মুল্যবোধ (176 টি প্রশ্ন )
- "দাসপ্রথা বন্ধ করা" আধুনিক মূল্যবোধ।
- সমাজ নিয়ত পরিবর্তনশীল, আর এ পরিবর্তনের সাথে সাথে মূল্যবোধেরও পরিবর্তন ঘটে।
- এজন্যই অতীতের অনেক মূল্যবোধই এখন অর্থহীন হয়ে পড়েছে।
- অতীতে বাল্যবিবাহের প্রচলন ছিল, এখন মানুষ বাল্যবিবাহকে অপছন্দ করে।
- রাষ্ট্র আইন করে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
- কর্তব্য হচ্ছে মানুষের এমন এক নীতিনিষ্ঠ আচরণ, যা সকল সময়ই সর্বপ্রকার মানুষ পালন করতে বাধ্য থাকে।
- নৈতিক কর্তব্য নিয়মিত পালন করার মানসিক প্রবণতা বা অভ্যাস থেকেই মানুষের মধ্যে সদগুণ গড়ে উঠে এবং কর্তব্য সম্পাদনের মধ্য দিয়েই সদগুণ প্রকাশিত হয়ে থাকে।
- কর্তব্যের স্বরূপ প্রসঙ্গে ম্যাকেনজী বলেন যে, কর্তব্য হচ্ছে এমন এক বিশেষ ধরণের কাজ- যা আমাদের করা উচিত।
- মূল্যবোধ একটি অর্জিত বিষয়, যা কোন সমাজে দীর্ঘ সময় বসবাসের মধ্য দিয়ে একজন ব্যক্তির মাঝে গড়ে ওঠে।
- শৃঙ্খলা মূল্যবোধের অপরিহার্য উপাদান।
- শৃঙ্খলা অনুসরণ করলে উচ্চ মূল্যবোধের সৃষ্টি হয়।
- 'সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন' একটি রাজনৈতিক মূল্যবোধ।
- গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠের মত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, কারণ জনগণের অভিমতই আইন, নীতি ও শাসন ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।
- সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্ত বা মতামতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে জানাটাই রাজনীতিতে ন্যায়বিচার, সহনশীলতা ও গণতান্ত্রিক চর্চার নিদর্শন।
- এই মূল্যবোধ রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও জনগণের নাগরিক কর্তব্য পালনের মাধ্যমে সুশাসন ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
- তাই সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনকে রাজনৈতিক মূল্যবোধ হিসেবেই গণ্য করা হয়।
মরিস গিন্সবার্গ জনমতকে "বিভিন্ন ব্যক্তির মতামতের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট একটি সামাজিক ফলাফল" হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার মতে, জনমত কোনো একক ব্যক্তির মতামত নয়, বরং এটি সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তির মতামত ও চিন্তার পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে গঠিত হয়। এটি একটি সামাজিক প্রক্রিয়া, যা সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের চিন্তা ও মতামতের সমন্বয়ে গঠিত হয় এবং সমাজের বিভিন্ন বিষয়ে প্রভাব ফেলে।
শিশু প্রথম নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষা পায় পরিবারে। এটি কেন সঠিক উত্তর, তা নিচে ব্যাখ্যা করা হলো:

- পরিবার হলো শিশুর জীবনের প্রথম সামাজিক প্রতিষ্ঠান যেখানে সে জন্মগ্রহণ করে এবং প্রাথমিকভাবে বেড়ে ওঠে।
- পরিবারের সদস্যরা, বিশেষ করে বাবা-মা, শিশুকে নৈতিক মূল্যবোধ, নীতি-নৈতিকতা এবং সামাজিক আচরণের প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করে।
- শিশুরা তাদের পরিবারের সদস্যদের থেকে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন মূল্যবোধ এবং আচরণ শেখে, যা তাদের মানসিক ও নৈতিক বিকাশে সহায়তা করে।
- পরিবারের পরিবেশ ও পরিবারিক মূল্যবোধ শিশুর মধ্যে নৈতিকতার ভিত্তি গড়ে তোলে, যা পরবর্তীতে সমাজে তাদের আচরণের উপর প্রভাব ফেলে।

সুতরাং, পরিবারের ভূমিকা শিশুদের নৈতিক মূল্যবোধের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাথমিক।
- সামাজিক কাঠামো মূলত মূল্যবোধ, বিশ্বাস, রীতিনীতি, এবং নিয়মনীতির ওপর ভিত্তি করে গঠিত হয়।
- মূল্যবোধ সামাজিক কাঠামোর অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা সমাজের সদস্যদের আচরণ ও পারস্পরিক সম্পর্ককে নিয়ন্ত্রণ করে।
- মূল্যবোধের মাধ্যমে সমাজের সদস্যরা ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, উচিত-অনুচিত সম্পর্কে ধারণা লাভ করে।
- মূল্যবোধ সামাজিক স্থিতিশীলতা ও সংহতি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- মূল্যবোধ সমাজের সদস্যদের মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করে।
- ‘কর্তব্যের জন্য কর্তব্য' ধারণাটির প্রবর্তক ইমানুয়েল কান্ট।
- ইমানুয়েল কান্ট জার্মান নীতিবিজ্ঞানী।
- তাঁর নীতিবিদ্যার মূলকথা তিনটি যথা: সৎ ইচ্ছা, কর্তব্যের জন্য কর্তব্য এবং শর্তহীন আদেশ।
- 'কর্তব্যমুখী নৈতিকতা' বা 'কর্তব্যের নৈতিকতার' দর্শন যে কোনো কর্মের ফল বা পরিণতির বদলে কর্মের ধরনকে গুরুত্ব দেয়।
- ইমানুয়েল কান্টকে 'কর্তব্যমুখী নৈতিকতার' প্রবর্তক বলা হয়।
- মূল্যবোধ নির্ধারিত হয় আচরনের মাধ্যমে।
- অর্থাৎ মূল্যবোধের মাধ্যমে মানুষ 'ভুল' ও 'শুদ্ধ' ভাল ও মন্দ- এর পার্থক্য নির্ধারণ করতে পারে।
- মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী মানদণ্ড ও নীতি।
- শিক্ষার মাধ্যমে মূল্যবোধকে সুদৃঢ় করা যায়।
- জন্মের পর থেকেই মানুষ মূল্যবোধের শিক্ষা লাভ করতে শুরু করে যা আমৃত্যু চলে।
- তবে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মূল্যবোধ শিক্ষারও পরিবর্তন ঘটে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

- মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতিমালা ও মানদণ্ড।
- এগুলো আমাদের জীবনে সঠিক ও ভুলের ধারণা দেয় এবং আমাদের সিদ্ধান্ত ও কর্মকাণ্ডকে প্রভাবিত করে।

মূল্যবোধের বিভিন্ন শ্রেণীবিভাগ রয়েছে:
- গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
- ধর্মীয় মূল্যবোধ
- সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ
- নৈতিক মূল্যবোধ
- আধুনিক মূল্যবোধ
- আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ
- গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ

- গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হলো জনগণের অধিকার, স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, সহিষ্ণুতা এবং সমতার নীতি।
- নৈতিকতা, সহমর্মিতা, আত্মসংযম, পরমত সহিষ্ণুতা ইত্যাদি গুণাবলি মানুষকে গণতান্ত্রিক আচরণ করতে সাহায্য করে।
- গণতন্ত্র কেবল ঘোষণা করলেই হবে না, তা প্রতিষ্ঠা করার জন্য জনগণের মধ্যে গণতান্ত্রিক চেতনা, সংকল্প এবং উদ্দেশ্য থাকতে হবে। সমাজের কথা, প্রতিবেশীর সুবিধা-অসুবিধা, অন্যের অধিকার সম্পর্কে চিন্তা করা মূল্যবোধের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এগুলোই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতিফলন।
- মূল্যবোধ আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- মূল্যবোধ আমাদেরকে নীতিবান, সৎ, ন্যায়পরায়ণ এবং দায়িত্ববান মানুষ হতে সাহায্য করে।
- মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী মানদণ্ড ও নীতি।
- এগুলো 'ভুল' ও 'শুদ্ধ', 'ভালো' ও 'মন্দ'-এর পার্থক্য নির্ধারণে সহায়তা করে।
- আচরণের মাধ্যমে এই মূল্যবোধগুলো বাস্তবায়িত হয়।

- শিক্ষার মাধ্যমে মূল্যবোধকে আরও সুদৃঢ় করা সম্ভব।
- জন্মের পর থেকেই পরিবার, সমাজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মানুষ মূল্যবোধের শিক্ষা লাভ করে।
- এই শিক্ষা আমৃত্যু চলতে থাকে। তবে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মূল্যবোধ শিক্ষার পরিবর্তন ঘটে।
- Hidden Curriculum” অর্থাৎ "গোপন পাঠক্রম" বলতে সেই শিক্ষাগুলো বোঝানো হয়, যা পাঠ্যবই বা পাঠ্যসূচিতে আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত না হলেও শিক্ষার্থীরা স্কুল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক, সহপাঠী আচরণ এবং প্রতিষ্ঠানের রীতিনীতি ও সংস্কৃতির মাধ্যমে শেখে।

- এই পাঠক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যা শেখে তা হল:
শৃঙ্খলা ও সময়ানুবর্তিতা
শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা
লিঙ্গ-ভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি
ন্যায়-অন্যায়ের ধারণা
কর্তৃত্বের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি।
বিখ্যাত দার্শনিক সক্রেটিস খ্রিস্টপূর্ব ৪৭০ অব্দে গ্রিসের এথেন্সে জন্মগ্রহণ করেন।
-সক্রেটিসের দার্শনিক চিন্তাধারা ছিল জ্ঞানতত্ত্ব, আত্মজ্ঞান, সদগুণ ও মরমীবাদ সক্রেটিসের জ্ঞানতত্ত্ব মতে, নৈতিক ক্রিয়া বা ন্যায়ের ভিত্তি হলো প্রকৃত জ্ঞান এবং অন্যায়ের ভিত্তি অজ্ঞতা।
-তার মতে, যার মধ্যে ন্যায়বোধ সম্পর্কে জ্ঞান নেই, তার পক্ষে ন্যায় কাজ করা সম্ভব নয়। সক্রেটিসের মতে, আত্মজ্ঞান অর্জন প্রত্যেক মানুষের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য।
-তিনি মনে করতেন নৈতিক জ্ঞান জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আর সব জ্ঞানই নৈতিক জ্ঞানের অধীন। এজন্যই সক্রেটিস সদগুণ ও জ্ঞানকে একত্রে করে বলেছেন 'জ্ঞানই পূণ্য'।

তাঁর বিখ্যাত কিছু উক্তি-
‘নিজেকে জানো।’,
‘তুমি কিছুই জান না এটা জানা-ই জ্ঞানের আসল মানে।’
‘টাকার বিনিময়ে শিক্ষা অর্জনের চেয়ে অশিক্ষিত থাকা ভালো।’
‘মৃত্যুই হলো মানুষের সর্বাপেক্ষা বড় আশীর্বাদ।'.
‘বিস্ময় হলো জ্ঞানের শুরু।'

-সত্য ও জ্ঞানের প্রতি অবিচল সক্রেটিসকে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী তথাকথিত অভিযোগে তাকে হেমলক বিষপানে মৃত্যুদণ্ড দেয়

অন্যদিকে, প্লেটো তার জ্ঞান মতবাদ বর্ণনা করতে গিয়ে সক্রেটিসের ‘জ্ঞানই পুণ্য’ বা ‘অনুভূতিই জ্ঞান' মতবাদকে অস্বীকার করে বলেন, জ্ঞানকে ব্যক্তি মনের অনুভূতি বা পুণ্য বলে ধরে নিলে জ্ঞানের সর্বজনীনতা ও নৈর্ব্যক্তিকতা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সত্য মিথ্যার পার্থক্য ঘুচে যায়।
প্লেটোর মতে, জ্ঞান এমন কিছুর নির্দেশক, যা স্থায়ী ও সার্বিক । সঠিক জ্ঞান আমাদের সত্যের সন্ধান দেয়। তিনি মনে করেন জ্ঞান মূলত প্রজ্ঞার উপর প্রতিষ্ঠিত।
-নৈতিক মূল্যবোধ মানুষের জীবনে অনুসরণযোগ্য এমন কিছু আচরণ বিধি, যা মানুষের জীবন ব্যবস্থা ও জীবন পদ্ধতিকে সঠিক ও সুন্দর পথে পরিচালনা করে। 
-ধর্মের কল্যাণধর্মী মর্মবাণী অনুসরণ ও অনুকরণের মাধ্যমে মানুষের জীবনে নৈতিক মূল্যবোধের উজ্জ্বল প্রকাশ ঘটে। 
-ধর্ম থেকে উৎসারিত নৈতিক মূল্যবোধ মানুষের নৈতিক চেতনার বিকাশ ঘটায় এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন-অগ্রগতি সাধন করে।

- সুনির্দিষ্ট ভূখণ্ডে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী, সুসংগঠিত সরকারের প্রতি স্বভাবজাতভাবে আনুগত্যশীল, বহিঃশত্রুর নিয়ন্ত্রণ হতে মুক্ত, স্বাধীন জনসমষ্টিকে রাষ্ট্র বলে।
- রাষ্ট্রের মোট উপাদান ৪টি।
 যথা:
- নির্দিষ্ট ভূখণ্ড,
- জনসমষ্টি,
- সরকার ও
- সার্বভৌমত্ব।

- রাষ্ট্রের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো সার্বভৌমত্ব।
- সার্বভৌমত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রের চূড়ান্ত, স্থায়ী, অবিভাজ্য, অহস্তান্তরযোগ্য এবং সার্বজনীন ক্ষমতা।
- স্বাধীনতা একটি জটিল ধারণা যা বিভিন্ন বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত, তবে আইন (Law) ব্যতীত এটিকে কল্পনা করা কঠিন।
- আইন ব্যক্তি ও সমাজের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে।
- এটি নির্ধারণ করে যে একজন ব্যক্তি তার স্বাধীনতা কতদূর পর্যন্ত প্রয়োগ করতে পারবে এবং অন্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
- আইনের অনুপস্থিতিতে, শক্তিশালী ব্যক্তিরা দুর্বলদের অধিকার হরণ করতে পারে, যা স্বাধীনতার পরিপন্থী।
- একটি সুষ্ঠু আইনি কাঠামো নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতাকে সুরক্ষা প্রদান করে।
- বাকস্বাধীনতা, চলাফেরার স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা ইত্যাদি আইনি কাঠামোর মাধ্যমেই নিশ্চিত করা হয়।
- আইন সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে: আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিক আইনের চোখে সমান হয়।
- এটি বৈষম্য হ্রাস করে এবং সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করে, যা স্বাধীনতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
- মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক অধিকার।
- এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার চিন্তা, ধারণা এবং দৃষ্টিভঙ্গি অন্যদের কাছে তুলে ধরতে পারে এবং রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক বিষয়ে আলোচনা ও সমালোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারে।
- এই অধিকার গণতন্ত্রের একটি অপরিহার্য স্তম্ভ, যা নাগরিকদের রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে যুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে।
- মানবাধিকার এমন কিছু মৌলিক অধিকার যা প্রত্যেক মানুষ জন্মগতভাবে লাভ করে।
- এই অধিকারগুলো কোনো রাষ্ট্র বা সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নয়, বরং এগুলো মানুষের inherent বা অন্তর্নিহিত অধিকার।
- এই কারণে, মানবাধিকারকে প্রাকৃতিক অধিকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- পিটার অ্যালবার্ট ডেভিড সিঙ্গার (জন্ম 6 জুলাই 1946) একজন বিখ্যাত অস্ট্রেলিয়ান নৈতিক ও রাজনৈতিক দার্শনিক। তিনি জৈব-নৈতিকতা নিয়ে কাজ করার জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছেন এবং আধুনিক প্রাণী অধিকার আন্দোলনের একজন প্রবর্তক হিসেবে বিবেচিত হন।
- সিঙ্গার প্রাণী অধিকার ধারণার একজন প্রবল সমর্থক। তিনি যুক্তি দেন যে সমস্ত সংবেদনশীল প্রাণীরই কষ্ট এড়ানোর এবং সুখ অনুভব করার নৈতিক অধিকার রয়েছে। তার বিখ্যাত বই "Animal Liberation" প্রাণী অধিকার আন্দোলনের একটি মূল পাঠ্য হয়ে উঠেছে।

সিঙ্গারের কিছু উল্লেখযোগ্য লেখা:
- Animal Liberation (1975): প্রাণী অধিকার আন্দোলনের একটি মূল পাঠ্য।
- The Ethics of What We Eat (1981): মাংস খাওয়ার নীতিশাস্ত্র নিয়ে একটি আলোচনা।
- Practical Ethics (1979): নীতিশাস্ত্রের নীতিগুলিকে বাস্তব জীবনের পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করার উপর একটি পাঠ্যপুস্তক।
- One Day You Will Eat Vegan (2021): উদ্ভিজ্জ খাবার গ্রহণের নৈতিক ও পরিবেশগত যুক্তি নিয়ে একটি বই।
- স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে মূলত প্রযুক্তি নির্ভর জীবনব্যবস্থাকে বোঝায়, যেখানে সব ধরনের নাগরিক সেবা থেকে শুরু করে সবকিছুই স্মার্টলি করা যাবে। যেখানে ভোগান্তি ছাড়া প্রতিটি নাগরিক পাবে অধিকারের নিশ্চয়তা এবং কর্তব্য পালনের সুবর্ণ সুযোগ।
- ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সরকার ৭ এপ্রিল, ২০২২ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করে 'স্মার্ট বাংলাদেশ নামকরণ করে।
- আর এটি বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সভাপতি করে ২১ আগস্ট, ২০২২ সালে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট 'স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। এছাড়া এ টাস্কফোর্সের অধীনে একটি নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়, যারা 'স্মার্ট বাংলাশে ২০৪১' প্রতিষ্ঠার জন্য নীতিনির্ধার্থী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সুপারিশ প্রদান করবে।

• স্মার্ট বাংলাদেশ চারটি (স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি) ভিত্তির ওপর গড়ে উঠবে।

- স্মার্ট সিটিজেন- দেশের প্রতিটি নাগরিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে।
- স্মার্ট ইকোনমি অর্থনীতির সকল কার্যক্রমে প্রযুক্তির ছোঁয়া থাকবে।
- স্মার্ট গভর্নমেন্ট সরকারের সকল কার্যক্রমে প্রযুক্তির ব্যবহার।
- স্মার্ট সোসাইটি- পুরো সমাজব্যবস্থাই পরিচালিত হবে প্রযুক্তির হাত ধরে।
- সমাজ জীবনে অগ্রগতির প্রধান সোপান হলো শৃঙ্খলাবোধ।
- শৃঙ্খলাবোধ বলতে বোঝায় নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলার মানসিকতা, যা ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।
- যে সমাজে শৃঙ্খলা বজায় থাকে, সেই সমাজে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়ন সম্ভব হয়।
- শৃঙ্খলাবোধের অভাবে সমাজে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা এবং অবনতি দেখা দেয়।
- বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে শৃঙ্খলাবোধের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। যেমন, সময়ানুবর্তিতা, আইন মেনে চলা, এবং সামাজিক দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে একটি জাতি উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারে।
- বিশ্বব্যাংকের মতে, সুশাসন হল এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদ সমাজের সমস্যা ও চাহিদা পূরণে ব্যবহৃত হয়।
- সুশাসন ধারণাটি প্রথম ব্যবহার করেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট কনাবলে ১৯৮৯ সালে।
নৈতিক মূল্যবোধ:
- নৈতিক মূল্যবোধ হলো সেসব মনোভাব ও আচরণ, যা মানুষ সবসময় ভালো, কল্যাণকর ও অপরিহার্য হিসেবে বিবেচনা করে এবং মানসিকভাবে তৃপ্তিবোধ করে।
- নীতি ও উচিত-অনুচিতের বোধ থেকেই নৈতিক মূল্যবোধের উৎস।
- পরিবার নৈতিক মূল্যবোধের প্রথম পাঠশালা, যেখানে শিশু নৈতিকতার শিক্ষা লাভ করে।
- সত্যকে সত্য বলা, মিথ্যাকে মিথ্যা বলা, অন্যায় থেকে বিরত থাকা, দুঃস্থকে সহায়তা করা ইত্যাদি নৈতিক মূল্যবোধের উদাহরণ।
- প্লেটো ‘সদগুণ’ বলতে বুঝিয়েছেন প্লেটো ‘সাদগুন’ বলতে বুজিয়েছেন প্রজ্ঞা, সাহস, আত্ম নিয়ন্ত্রণ ও ন্যায় কে।
- প্লেটো মানুষকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছেন।
- প্লেটোর মতে প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে তিন ধরনের উপাদান রয়েছে, যেমন (১) প্রজ্ঞা (২) সাহস ও (৩) প্রবৃত্তি ।

- ব্যক্তি জীবনের এই তিন ধরনের অবস্থার সমন্বয় বিভিন্নব্যক্তির মধ্যে বিভিন্নভাবে ঘটে থাকে।
- যেমন, কারও মধ্যে প্রজ্ঞার মাত্রা অধিক, আবার কারও মধ্যে প্রবৃত্তির মাত্রা অধিক। আবার কারও মধ্যে সাহসের মাত্রা বেশী।
- এমতাবস্থায় ব্যক্তির জীবনের তিনটি অবস্থার হেরফের রাষ্ট্রীয় জীবনে তিনটি শ্রেণী তৈরী করে যাকে,
যথা-
(১) প্রজ্ঞা বিশিষ্টরা দার্শনিক শ্রেণীভুক্ত
(২) সাহসীরা যোদ্ধা শ্রেণী ও
(৩) প্রবৃত্তির দ্বারা পরিচালিতরা কৃষক বা উৎপাদক শ্রেণীভুক্ত।
ব্যক্তি জীবনের যখন বিক্রম ও প্রবৃত্তি প্রজ্ঞার দ্বারা পরিচালিত হয়, তখন ঐ ব্যক্তির জীবনে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে ধরা হয়।
- প্রকৃত সুনাগরিক হিসেবে মানুষকে গড়ে তুলতে মূল্যবোধ শিক্ষার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- মূল্যবোধ শিক্ষা মানুষের নৈতিকতা, সততা, দায়িত্ববোধ এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করে, যা একজন সুনাগরিকের মৌলিক গুণাবলী।
- শিক্ষার মাধ্যমে নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটিয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।
- মূল্যবোধের অবক্ষয় শহরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়।
- শহরাঞ্চলে দ্রুত নগরায়ণ, শিল্পায়ন, এবং আধুনিক জীবনযাত্রার প্রভাবে ঐতিহ্যবাহী মূল্যবোধগুলো দুর্বল হয়ে যায়।
- শহরের জটিল জীবনযাত্রা, প্রতিযোগিতা, এবং ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা মানুষের মধ্যে স্বার্থপরতা, অসহিষ্ণুতা, এবং নৈতিক অবক্ষয় বাড়িয়ে তোলে।
- শহরের বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা, যেমন: দারিদ্র্য, বেকারত্ব, এবং অপরাধ প্রবণতা মূল্যবোধের অবক্ষয়কে আরও ত্বরান্বিত করে।
- শহরাঞ্চলে মানুষের মধ্যে সামাজিক বন্ধন এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ কমে যায়, যা মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটায়।
- গ্রামাঞ্চলে এখনো সামাজিক মূল্যবোধ, ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় অনুশাসন তুলনামূলকভাবে বেশি শক্তিশালী।
- পাহাড়ি ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী মূল্যবোধগুলো এখনো অনেকটা সংরক্ষিত।
- "জাতিকে বড় করতে হলে, মানুষকে প্রথম জাগাতে হবে" বাক্যটিতে পল্লীর কথা বলা হয়েছে।
- পল্লী হলো গ্রাম বা গ্রামাঞ্চল, যেখানে অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ বা অন্যান্য গ্রামীণ পেশায় নিযুক্ত।
- পল্লীর মানুষের জীবনযাত্রা সাধারণত সরল ও প্রাকৃতিক।
- পল্লীর উন্নয়নের মাধ্যমে সমগ্র জাতির উন্নয়ন সম্ভব।
নৈতিক মূল্যবোধ:
- নৈতিক মূল্যবোধ হলো সেসব মনোভাব ও আচরণ, যা মানুষ সবসময় ভালো, কল্যাণকর ও অপরিহার্য হিসেবে বিবেচনা করে এবং মানসিকভাবে তৃপ্তিবোধ করে।
- নীতি ও উচিত-অনুচিতের বোধ থেকেই নৈতিক মূল্যবোধের উৎস।
- পরিবার নৈতিক মূল্যবোধের প্রথম পাঠশালা, যেখানে শিশু নৈতিকতার শিক্ষা লাভ করে।
- সত্যকে সত্য বলা, মিথ্যাকে মিথ্যা বলা, অন্যায় থেকে বিরত থাকা, দুঃস্থকে সহায়তা করা ইত্যাদি নৈতিক মূল্যবোধের উদাহরণ।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- আধুনিক বিশ্বে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, মানবাধিকার, ব্যক্তির নিজস্ব চিন্তাধারা, পছন্দ এবং সুযোগ-সুবিধা খুব বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
- প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং বিশ্বায়নের ফলে ব্যক্তির স্বাধীনতা এবং নিজস্ব সত্ত্বাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
- যদিও পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক মূল্যবোধও গুরুত্বপূর্ণ, তবে আধুনিক সমাজে ব্যক্তি-স্বাধীনতা এবং নিজের জীবনযাপন পদ্ধতি বেছে নেওয়ার অধিকারই বেশি জোর দেওয়া হয়।
- এটি ব্যক্তিগত মূল্যবোধের প্রাধান্যকে প্রতিফলিত করে।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0