সামরিক ভূমি ও ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তর (সহকারী শিক্ষক) - ০৮.০৯.২০২৩ (60 টি প্রশ্ন )
- জল, স্থল ও আকাশপথে এক ভিসায় কিংবা ভিসা ব্যতীত জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ইউরোপ ভ্রমণ করার লক্ষ্য ১৯৮৫ সালের ১৪ জুন লুক্সেমবার্গের শেনজেন শহরে স্বাক্ষরিত হয় শেনজেন চুক্তি।
- ১৯৮৫ সালে বেলজিয়াম, ফ্রান্স, পশ্চিম জার্মানি, লুক্সেমবার্গ ও নেদারল্যান্ড এ চুক্তি স্বাক্ষর করে।
- এ চুক্তির ফলশ্রুতিতে ১৬ মার্চ, ১৯৯৫ থেকে ভিসামুক্ত ইউরোপের যাত্রা শুরু হয়।
- বর্তমানে ইউরোপের ২৯টি দেশ নিয়ে শেনজেন এলাকা গঠিত।
- সর্বশেষ ৩১ মার্চ ২০২৪ শেনজেনভুক্ত হয়- রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া।
- 'ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল’ নামটি ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সাথে জড়িত।
- তিনি Lady with the Lamp নামে পরিচিত।
- যুদ্ধটি ১৮৫৩-১৮৫৬ সময়কালে সংঘটিত হয়।
- ক্রিমিয়ার যুদ্ধে নার্সিং ইতিহাসের বৈপ্লবিক উন্নয়ন ও পরিবর্তন ঘটেছিল অপ্রতুল চিকিৎসা সেবার আলো হাতে নিয়ে পাশে এসে দাঁড়ান ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল।
- ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল কে লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প বলা হয়।
- তাকে আধুনিক নার্সিংয়ের অগ্রদূতও বলা হয়।
- পঞ্চাশের দশকে মাও সে তুং (Mao Zedong) এর নেতৃত্বে চীনা কমুনিস্ট পার্টি ও চিয়াং কাইশেকের নেতৃত্বে চীনা জাতীয়তাবাদী দলের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।
- এ যুদ্ধে চীনা কমুনিস্ট পার্টি জয়ী হয়ে ১ অক্টোবর, ১৯৪৯ সালে গণচীন (People's Republic of China) প্রতিষ্ঠা করেন।
জনসংখ্যার হারে বিশ্বের শীর্ষ মুসলিম দেশ হলো :

১. ইন্দোনেশিয়া :
- বিশ্বের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মুসলমান বাস করে ইন্দোনেশিয়ায়।
- দেশটির জনসংখ্যার ৮৪ শতাংশ মুসলিম এবং তাদের সংখ্যা ২২ কোটি নব্বই লাখ।

২. পাকিস্তান :
- মুসলিম জনসংখ্যার বিচারে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে পাকিস্তান।
- দেশটির জনসংখ্যার ৯২ শতাংশ মুসলিম এবং তাদের সংখ্যা ২০ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার।

৩. ভারত :
- হিন্দুপ্রধান দেশ হলেও ভারতে মুসলমানের সংখ্যা কম নয়।
- দেশটির জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ মুসলিম এবং তাদের সংখ্যা ১৯ কোটি ৫০ লাখ।

৪. বাংলাদেশ :
- বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৯৩ শতাংশ মুসলিম।
- তাদের সংখ্যা ১৫ কোটি ৩৭ লাখ।

সোর্সঃ কালের কণ্ঠ ১১ আগস্ট ২০২৪

- ওয়েস্ট ব্যাংক মধ্যপ্রাচ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূখণ্ড।
- এটি জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত, যা থেকেই এর নাম এসেছে।
- এই অঞ্চলটি প্যালেস্টাইনের একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাতের একটি কেন্দ্রবিন্দু।

- ওয়েস্ট ব্যাংকের ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় গুরুত্ব অপরিসীম।
- এখানে বহু প্রাচীন শহর রয়েছে, যেমন বেথলেহেম, যা খ্রিস্টধর্মের জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও হেব্রন, নাবলুস, জেরিকো প্রভৃতি ঐতিহাসিক শহর এই অঞ্চলে অবস্থিত।

- বর্তমানে, ওয়েস্ট ব্যাংক একটি বিতর্কিত অঞ্চল। এর কিছু অংশ প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, আবার কিছু অংশ ইসরায়েলের দখলে রয়েছে।
- এই জটিল পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও কূটনীতির একটি প্রধান বিষয়।


- বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের মোট আসন সংখ্যা ৩৫০টি। এর মধ্যে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত আসন সংখ্যা ৩০০টি।
- বান্দরবান, রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি জেলায় একটি করে সংসদীয় আসন রয়েছে।
- সর্বোচ্চ ২০টি আসন রয়েছে ঢাকা জেলায়।

(সূত্র: নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট)
- সুন্দরবন হল পৃথিবীর বৃহত্তম প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বনভূমি।
- এর মোট আয়তন প্রায় ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার।
- সুন্দরবনের সাথে সংশ্লিষ্ট ৩টি জেলা রয়েছে।
- এই জেলাগুলো হলো বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত খুলনা, বাগেরহাট এবং সাতক্ষীরা।
- বাংলাদেশের সুন্দরবনের আয়তন প্রায় ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার, যা পুরো সুন্দরবনের মোট আয়তনের প্রায় ৬২ শতাংশ।
- ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর, জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কো সুন্দরবনকে ৭৯৮তম বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে।
- সুন্দরবনের প্রধান বৃক্ষ হলো সুন্দরী, এবং এই গাছের নাম থেকেই বনের নামকরণ হয়েছে সুন্দরবন।
- সুন্দরবনের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গাছের মধ্যে গরান, গেওয়া, কেওড়া, ধুন্দল এবং গোলপাতা অন্তর্ভুক্ত।

উৎস: বনবিভাগ ওয়েবসাইট।
সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও বাণী

সংবিধানের ৭৩ অনুচ্ছেদ-

(১) রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দান এবং বাণী প্রেরণ করিতে পারিবেন।

(২) সংসদ-সদস্যদের প্রত্যেক সাধারণ নির্বাচনের পর প্রথম অধিবেশনের সূচনায় এবং প্রত্যেক বৎসর প্রথম অধিবেশনের সূচনায় রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দান করিবেন।

(৩) রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত ভাষণ শ্রবণ বা প্রেরিত বাণী প্রাপ্তির পর সংসদ উক্ত ভাষণ বা বাণী সম্পর্কে আলোচনা করিবেন।
- সংবিধানের ১৪২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী,

সংবিধানের বিধান সংশোধনের ক্ষমতা -
(ক) সংসদের আইন-দ্বারা এই সংবিধানের কোন বিধান সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন বা রহিতকরণের দ্বারা সংশোধিত হইতে পারিবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে,
(অ) অনুরূপ সংশোধনীর জন্য আনীত কোন বিলের সম্পূর্ন শিরনামায় এই সংবিধানের কোন বিধান সংশোধন করা হইবে বলিয়া স্পষ্টরূপে উল্লেখ না থাকিলে বিলটি বিবেচনার জন্য গ্রহণ করা যাইবে না;
(আ) সংসদের মোট সদস্য-সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত না হইলে অনুরূপ কোন বিলে সম্মতিদানের জন্য তাহা রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপিত হইবে না;

(খ) উপরি-উক্ত উপায়ে কোন বিল গৃহীত হইবার পর সম্মতির জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট তাহা উপস্থাপিত হইলে উপস্থাপনের সাত দিনের মধ্যে তিনি বিলটিতে সম্মতিদান করিবেন, এবং তিনি তাহা করিতে অসমর্থ হইলে উক্ত মেয়াদের অবসানে তিনি বিলটিতে সম্মতিদান করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
অর্থনৈতিক সমীক্ষা - ২০২৪
• মোট জনসংখ্যা : ১৭১.০০ মিলিয়ন বা ১৭ কোটি (শুমারি- ২০২৩ অনুসারে) ।
• জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার (২০২৩) : ১.৩৩% ।
• জনসংখ্যার ঘনত্ব (প্রতিবর্গ কিলোমিটার) : ১,১৭১ জন।
• গড় আয়ু/প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল: ৭২.৩ বছর (পুরুষ- ৭০.৮ ও নারী- ৭৩.৮) ।
• সাক্ষরতার হার (৭+বয়স) : ৭৭.৯% (পুরুষ- ৮০.১ % ও নারী- ৭৫.৮%) ।
• মোট জাতীয় আয় : ৩,০৬,১১৪৪ কোটি টাকা ।
• মাথাপিছু আয় : ২,৭৮৪ মার্কিন ডলার ।
• অর্থনীতির মোট খাত: ১৯টি (২০১৫-১৬ ভিত্তিবছর)
• পণ্যভিত্তিক আমদানি ব্যয়: ৪৪,১০৮.০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (জুলাই - ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ পর্যন্ত)
• পণ্যভিত্তিক রপ্তানি আয়: ৩৮,৪৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (জুলাই - ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ পর্যন্ত)
• মোট রপ্তানি আয় ও ব্যয় : (৩৮.৪৫ ও ৪৪.১১) বিলিয়ন মার্কিন ডলার ।
• মোট প্রবাসী/রেমিট্যান্স আয় : ১৫.০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (ফেব্রুয়ারি, ২০২৪)
• বৈদেশি মুদ্রা মজুদ : ৩,৫২,৮৫৮.৩ কোটি টাকা।
• মোট কর্মক্ষম জনশক্তি/শ্রমশক্তি (১৫বছর+) : ৭.৩৫ কোটি (পুরুষ - 8.৮০ ও নারী - ২.৫৫ কোটি) [ শ্রমশক্তি ও কর্মসংস্থান সার্ভে, ২০২৩)
• শিশু মৃত্যুর হার (প্রতি হাজারে) : ২৭ জন (১ বছরের কম) [৫ বছরের কম প্রতি হাজারে ৩৩ জন]
• চালু কমিউনিটি ক্লিনিক : ১৪,২৭৫টি ।
• বিনিয়োগের হার : ৩০.৯৮% [সরকারি - ৭.৪৭%, বেসরকারি - ২৩.৫১%]
• আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র : ২৯টি । [উৎপাদনরত - ২০টি , স্থগিত - ০৫টি ও উৎপাদনে যায়নি - ০৪টি]
• মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা : ৪,৭৮,০০০ কোটি টাকা (GDP'এর ৯.৫১%)
• মোট সরকারি ব্যয় : ৭,১৪,৪১৮ কোটি টাকা ।
• মাথাপিছু জিডিপি : ২,৬৭৫ মার্কিন ডলার বা ২,৯৪,১৯১ টাকা ।
• দারিদ্র্যের হার : ১৮.৭% [খানা আয়-ব্যয় জরিপ,২০২২ অনুসারে]
• চরম দারিদ্র্যের হার : ৫.৬%
• জিডিপিতে প্রবৃদ্ধির হার : ৫.৮২% (জিডিপির ১৪.২১%) ।
• জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান : ১১.০২% [নিয়োজিত জনশক্তির পরিমাণ - ৪৫.০০%]
• জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান : ৩৭.৯৫% [নিয়োজিত জনশক্তির পরিমাণ -১৭.০০% ]
জিডিপিতে সেবা খাতের অবদান : ৫১.০৪% [নিয়োজিত জনশক্তির পরিমাণ -৩৮.০০% ]
• মোট ব্যাংক(তফসিলি) : ৬১টি : রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক - ৬টি, বিশেষায়িত ব্যাংক - ৩টি, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক - ৪৩টি, বৈদেশিক ব্যাংক - ৯টি, ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান - ৩৫টি।
• ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান : ৩৫ টি
- ইউরেনাস সৌরজগতের তৃতীয় বৃহত্তম গ্রহ।
- এ গ্রহটি সূর্য থেকে ২৮৭ কোটি কি.মি. দূরে অবস্থিত।
- সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে এ গ্রহের সময় লাগে ৮৪ বছর।
- এর গড় ব্যাস ৪000 কি.মি.। এ গ্রহটি হালকা পদার্থ দিয়ে গঠিত।
- এর আবহমন্ডলে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ অধিক হওয়ায় একে সবুজ গ্রহ বলা হয়। অন্যদিকে, মঙ্গল গ্রহকে লাল গ্রহ আর পৃথিবীকে নীল গ্রহ বলা হয়।
কোন স্থানের তাপ ও চাপের পার্থক্যের কারণে স্থানীয়ভাবে যে বায়ু প্রবাহের সৃষ্টি হয় তাকে স্থানীয় বায়ু বলে।
যেমন বিভিন্ন অঞ্চলের স্থানীয় বায়ু:
✔ সাইমুম - আরব মালভূমি থেকে উৎপন্ন স্থানীয় বায়ু।
✔ খামসিন - মিশরীয় স্থানীয় বায়ু
✔ সিরক্কো - সাহারা ও লিবিয়া
✔ লু - ভারতীয় উপমহাদেশের স্থানীয় বায়ু।
বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির নাম ও ব্যবহারঃ

১. হাইড্রোমিটার: তরলের আপেক্ষিক ঘনত্ব পরিমাপক যন্ত্র।
২. অডিওমিটার: শ্রবণশক্তি পরীক্ষা করা হয়।
৩. ব্যারোমিটার: বায়ুর চাপ মাপক যন্ত্র।
৪. ক্যালরিমিটার: তাপের পরিমাপ করা হয়।
৫. ম্যানোমিটার: গ্যাসের চাপ মাপক যন্ত্র।
৬. বেকম্যান থার্মোমিটার: এর দ্বারা তাপমাত্রার সামান্যতম পরিবর্তনকে লিপিবদ্ধ করা হয়।
৭. ক্লিনিক থার্মোমিটার: মানবদেহের তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয়।
৮. ফ্যাদোমিটার: সমুদ্রের গভীরতা পরিমাপতে এই যন্ত্র ব্যবহৃত হয়।
৯. ডায়নামোমিটার: বৈদ্যুতিক ক্ষমতা মাপা হয়।
১০. স্পিডোমিটার: চলমান বস্তুর গতি নির্ধারণে ব্যবহার করা হয়।

- চায়ের পাতায় বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন বি কমপ্লেক্স পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে:

- ভিটামিন B1 (থায়ামিন)
- ভিটামিন B2 (রাইবোফ্লাভিন)
- ভিটামিন B3 (নিয়াসিন)
- ভিটামিন B5 (প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড)
- ভিটামিন B6 (পাইরিডক্সিন)
- ভিটামিন B9 (ফোলিক অ্যাসিড)

- এছাড়াও চায়ের পাতায় অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যেমন পলিফেনল, ফ্লাভোনয়েড, ক্যাফিন, এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়।
- এই সব উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকার প্রদান করে।
- জারক রস হল একধরনের অনুঘটক যা জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
- এগুলি মূলত প্রোটিন দিয়ে গঠিত।
- রাসায়নিক বিক্রিয়াকে দ্রুত সম্পন্ন করে, কিন্তু নিজে অপরিবর্তিত থাকে।

বৈশিষ্ট্য:
- নির্দিষ্ট বিক্রিয়ার জন্য কাজ করে
- পুনঃব্যবহারযোগ্য
- তাপমাত্রা ও pH সংবেদনশীল

- হজম, শ্বসন, DNA প্রতিলিপি, হরমোন নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় অপরিহার্য।
- জারক রস হল জীবদেহের অত্যাবশ্যকীয় অনুঘটক যা বিভিন্ন জৈব প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ ও ত্বরান্বিত করে।
- স্পাইনাল নার্ভ হল মানব শরীরের মেরুদণ্ড থেকে নির্গত স্নায়ুগুলি।
- এই স্নায়ুগুলি আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে সংবেদন ও গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী।

- মানব শরীরে মোট ৩১ জোড়া স্পাইনাল নার্ভ রয়েছে।
- এগুলি মেরুদণ্ডের বিভিন্ন অংশ থেকে বের হয়:
- সার্ভিকাল (গর্দান) অঞ্চল: ৮ জোড়া
- থোরাসিক (বুক) অঞ্চল: ১২ জোড়া
- লাম্বার (কোমর) অঞ্চল: ৫ জোড়া
- স্যাক্রাল (ত্রিকাস্থি) অঞ্চল: ৫ জোড়া
- কক্সিজিয়াল (লেজের হাড়) অঞ্চল: ১ জোড়া

- এই ৩১ জোড়া স্পাইনাল নার্ভ আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে সংবেদন, যন্ত্রণা, তাপমাত্রা, স্পর্শ ইত্যাদি অনুভূতি বহন করে এবং পেশী সঞ্চালনের জন্য নির্দেশ প্রেরণ করে।
- প্রতিটি জোড়া স্পাইনাল নার্ভের দুটি শাখা থাকে - একটি সামনের দিকে (ভেন্ট্রাল) এবং অন্যটি পিছনের দিকে (ডরসাল)।

- এই জটিল স্নায়ু ব্যবস্থা আমাদের শরীরের সমস্ত অংশকে মস্তিষ্কের সাথে সংযুক্ত করে, যা আমাদের দৈনন্দিন কার্যকলাপ সম্পাদন করতে সাহায্য করে।
- হিমোগ্লোবিন হলো একটি জটিল আমিষ যা আমাদের রক্তে পাওয়া যায়।
- এটি রক্ত কণিকার (লাল রক্ত কণিকা বা এরিথ্রোসাইট) মধ্যে থাকে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন পরিবহনের জন্য দায়ী।

হিমোগ্লোবিনের গঠন:
- হিমোগ্লোবিন চারটি পলিপেপটাইড শৃঙ্খল দিয়ে গঠিত, যাকে গ্লোবিন বলা হয়।
- প্রতিটি গ্লোবিন শৃঙ্খলের সাথে একটি করে হিম গ্রুপ যুক্ত থাকে।
- হিম গ্রুপের মধ্যে একটি লোহার অণু থাকে, যা অক্সিজেনের সাথে বন্ধন তৈরি করে।

হিমোগ্লোবিনের কাজ:
- ফুসফুস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে শরীরের বিভিন্ন কোষে পৌঁছে দেয়।
- কোষ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড সংগ্রহ করে ফুসফুসে ফিরিয়ে আনে।
- রক্তের pH নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

- হিমোগ্লোবিন একটি আমিষ হওয়ার কারণে এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- আমিষ জাতীয় পদার্থ হিসেবে এটি শরীরের কোষগুলোর গঠন ও কার্যক্রমে সহায়তা করে এবং জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।
রক্ত:
- প্রাণীদেহের রক্ত এক ধরনের লাল বর্ণের অস্বচ্ছ, আন্তঃকোষীয় লবণাক্ত এবং খানিকটা ক্ষারধর্মী তরল যোজক টিস্যু।
- একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের দেহে প্রায় ৫-৬ লিটার রক্ত থাকে, যা মানুষের দেহের মোট ওজনের প্রায় ৮%
- মানুষ এবং অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণীদেহের রক্ত লাল রঙের।
- রক্তের রসে লাল রঙের হিমোগ্লোবিন নামে লৌহ-ঘটিত প্রোটিন জাতীয় পদার্থ থাকায় রক্তের রঙ লাল হয়।
- হিমোগ্লোবিন অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সিহিমোগ্লোবিন যৌগ গঠন করে অক্সিজেন পরিবহন করে।
- কিছু পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড হিমোগ্লোবিনের সাথে যুক্ত হয়ে ফুসফুসে পরিবাহিত হয়, তবে কার্বন ডাই-অক্সাইডের সিংহভাগ বাইকার্বনেট আয়ন হিসেবে রক্ত দ্বারা ফুসফুসে পরিবাহিত হয়।

উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।
• ডিমের নরম খোসা বাতাসের সংস্পর্শে এসে শক্ত হয়ে যায়।

এটি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যা নিম্নলিখিত কারণে ঘটে:

১. বাষ্পীভবন প্রক্রিয়া:
• যখন সদ্য পাড়া ডিম বাতাসের সংস্পর্শে আসে, তখন ডিমের খোসার বাইরের অংশ থেকে পানি বাষ্পীভূত হতে শুরু করে।
• এই বাষ্পীভবনের ফলে খোসার উপরিভাগ শুকিয়ে যেতে থাকে।

২. প্রোটিন কণার ঘনীভবন:
• বাষ্পীভবনের কারণে খোসার প্রোটিন কণাগুলি ক্রমশ ঘনীভূত হতে থাকে।
• এই ঘনীভূত প্রোটিন কণাগুলি একে অপরের সাথে দৃঢ়ভাবে যুক্ত হয়।

৩. ক্যালসিয়াম কার্বোনেট গঠন:
• বাতাসের কার্বন ডাই-অক্সাইড ডিমের খোসার ক্যালসিয়ামের সাথে বিক্রিয়া করে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট তৈরি করে।
• এই ক্যালসিয়াম কার্বোনেট খোসাকে আরও শক্ত ও দৃঢ় করে তোলে।

৪. অক্সিজেনের প্রভাব:
• বাতাসের অক্সিজেন খোসার প্রোটিনের মধ্যে থাকা সালফার বন্ধনগুলিকে শক্তিশালী করে।
• এই প্রক্রিয়া খোসার কাঠামোকে আরও মজবুত করে তোলে।

৫. সময়ের প্রভাব:
• বাতাসের সংস্পর্শে থাকার সময় যত বাড়ে, খোসা তত বেশি শক্ত হয়।
• সাধারণত কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং ক্রমাগত চলতে থাকে।

এই প্রক্রিয়াটি প্রকৃতির একটি অসাধারণ কৌশল, যা ডিমের ভিতরের নরম অংশকে বাইরের পরিবেশ থেকে রক্ষা করে এবং ভ্রূণের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। 

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- শ্রীলংকাতে বাঘ নাই। 

- বর্তমানে পৃথিবীতে মাত্র ১৩টি দেশে বাঘের অস্তিত্ব রয়েছে।
- এই দেশগুলোকে 'টাইগার রেঞ্জ কান্ট্রি' বলা হয়।

বাঘ সমৃদ্ধ দেশসমূহ:
- বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, ভুটান, নেপাল ও রাশিয়া।

বাঘের উপ-প্রজাতি:
- বর্তমানে ৫টি উপ-প্রজাতির বাঘ টিকে আছে:
- বেঙ্গল টাইগার,
- সাইবেরিয়ান টাইগার,
- সুমাত্রান টাইগার,
- সাউথ চায়না টাইগার এবং ইন্দো-চায়না টাইগার। 

বিশ্ব বাঘ দিবস:
- ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস পালন করা হয়।


- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গঠিত হয় ২০১০ সালে। 

১. প্রতিষ্ঠাকাল:
- ২০১০ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গঠন করে।
- এই তারিখটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী 'অপারেশন সার্চলাইট' নামে গণহত্যা শুরু করেছিল।

২. উদ্দেশ্য:
- এই ট্রাইব্যুনালের মূল উদ্দেশ্য ছিল ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার করা।

৩. আইনি ভিত্তি:
- ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনের আওতায় এই ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়।
- ২০০৯ সালে এই আইন সংশোধন করা হয়, যা ২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠনের পথ সুগম করে।

৪. ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
- এই ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে, মুক্তিযুদ্ধের প্রায় ৩৯ বছর পর, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
- এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

৫. কার্যক্রম:
- ২০১০ সাল থেকে এই ট্রাইব্যুনাল নিয়মিতভাবে মামলা শুনানি, তদন্ত ও রায় প্রদান করে আসছে।
- এর মাধ্যমে অনেক যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করা হয়েছে।

- সুতরাং, ২০১০ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর, যখন দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মুক্তিযুদ্ধকালীন অপরাধীদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ প্রতিষ্ঠিত হয়।
- এটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় ইতিহাসের একটি কলঙ্কিত অধ্যায়ের সমাপ্তির দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বসূচক অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার দু'জন মহিলাকে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করে।
- তারা হচ্ছেন ক্যাপ্টেন সেতারা বেগম (সেনাবাহিনী, ২নং সেক্টর) এবং মোসাম্মৎ তারামন বেগম (গণবাহিনী, ১১নং সেক্টর)।
- ক্যাপ্টেন সেতারা বেগমকে ঐ সময় চিহ্নিত করা হলেও, তারামন বেগমকে দীর্ঘ ২৪ বছর পর ডিসেম্বর ১৯৯৫-এ চিহ্নিত করা হয়।
- ১৯ ডিসম্বের, ১৯৯৫ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে তারামন বেগমকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করেন।
বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম দেশ ভুটান (৬ ডিসেম্বর ১৯৭১)। ভুটানের কিছু সময় পর ভারতও ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। 
চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ৩১ আগস্ট ১৯৭৫। 
নেপাল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ১৬ জানুয়ারি ১৯৭২। 
সেনেগাল - ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২ (প্রথম মুসলিম ও আফ্রিকান)
ইরাক - ৮ জুলাই, ১৯৭২ (প্রথম আরব)
মিশর - ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৬
ইরান - ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪
সৌদি আরব - ১৬ আগস্ট, ১৯৭৫
১৯৭২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় (প্রথম এশীয়)। 
১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। 
 
উল্লেখ্য, বাংলাদেশকে এ পর্যন্ত ১৫০ টি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

- ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) শরণার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক সচেতনতা এবং ত্রাণ তহবিল পঠনের লক্ষ্যে জর্জ হ্যারিসন ও রবি শঙ্করের উদ্যোগে 'কনসার্ট ফর বাংলাদেশ" অনুষ্ঠিত হয়। এই কনসার্টের প্রধান শিল্পী ছিলেন জর্জ হ্যারিসন।
- এছাড়া পণ্ডিত রবিশঙ্কর, সারিক ক্লাপটন, লিয়ন, রাসেল, বিলি প্রিস্টন ও বব ডিলান সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
- এই কনসার্টে মোট ৪০ হাজার মানুষের সমাগম হয়।
- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বন্ধ করার জন্য জাতিসংঘে তিন বার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল।
- এই তথ্যটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

১. প্রথম প্রস্তাব: মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথম দিকে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য।

২. দ্বিতীয় প্রস্তাব: যুদ্ধের মধ্যপর্যায়ে আবারও একটি প্রস্তাব আনা হয় সংঘাত থামানোর লক্ষ্যে।

৩. তৃতীয় প্রস্তাব: যুদ্ধের শেষের দিকে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পূর্বে, শেষ বারের মতো একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।

- এই তিনটি প্রস্তাবের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল।
- কিন্তু বাঙালি জাতির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা এতই প্রবল ছিল যে, এই প্রস্তাবগুলো কার্যকর হয়নি।
- ফলে, মুক্তিযুদ্ধ অব্যাহত থাকে এবং শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।

- এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল অপ্রতিরোধ্য এবং আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও বাঙালি জাতি তাদের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক-
- যে অরণ্যে আলো নেই : নীলিমা ইব্রাহীম
- পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় : সৈয়দ শামসুল হক
- ‘বর্ণচোরা’ ও ‘কী চাহ শঙ্খচিল' : মমতাজউদ্দীন আহমেদ
- নরকে লাল গোলাপ : আলাউদ্দিন আল আজাদ
- প্রতিদিন একদিন : সাঈদ আহমদ

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রবন্ধ-
- A Search for Identity : মেজর মোহাম্মদ আবদুল জলিল
- The Liberation of Bangladesh : মেজর জেনারেল সুখওয়ান্ত সিং
- আমি বীরাঙ্গনা বলছি : ড. নীলিমা ইব্রাহীম
- একাত্তরের ঢাকা : সেলিনা হোসেন স্মৃতিকথা
- আমি বিজয় দেখেছি : এম আর আখতার মুকুল
- একাত্তরের দিনগুলি : জাহানারা ইমাম
- একাত্তরের ডায়েরি : সুফিয়া কামাল
- একাত্তরের যীশু : শাহরিয়ার কবির

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র-
- Stop Genocide: জহির রায়হান
- ওরা ১১ জন : চাষী নজরুল ইসলাম
- আবার তোরা মানুষ হ : খান আতাউর রহমান
- হাঙ্গর নদী গ্রেনেড : চাষী নজরুল ইসলাম
- অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী : সুভাষ দত্ত

মুক্তিযুদ্ধের জনপ্রিয় ১০টি উপন্যাসঃ
-রাইফেল রোটি আওরাত
-নেকড়ে অরণ্য
-যাত্রা
-হাঙর নদী গ্রেনেড
-জীবন আমার বোন
-দ্বিতীয় দিনের কাহিনী
-খাঁচায়
-জোছনা ও জননীর গল্প
-সাড়ে তিন হাত ভূমি
-জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা
- বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের মহান নেতা।
- মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি পাকিস্তানে বন্দি ছিলেন, তবে তার নামেই ন’মাস ধরে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়।
- মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী মুজিবনগর সরকারও ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ তারিখে বঙ্গবন্ধুকে প্রধান করে গঠিত হয়েছিল।
- পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি ঢাকার মাটিতে পা রাখেন।
- এর আগে, ৮ জানুয়ারি খবর আসে যে, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়ে ভোরে লন্ডনে গিয়েছেন।
- ৯ জানুয়ারি, টেলিফোনে ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধুকে অভিনন্দন জানান এবং অনুরোধ করেন যে, তিনি ঢাকার পথে দিল্লিতে যাত্রাবিরতি করেন।
- রাষ্ট্রপতি শ্রী ভরাহগিরি ভেঙ্কট গিরি তখন বঙ্গবন্ধুকে আলিঙ্গন করছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী তাকে স্বাগত জানাচ্ছিলেন।
- সেই সময় ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে অভিনন্দন জানানো হচ্ছিল।
- ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বিকালে বঙ্গবন্ধু লন্ডন এবং দিল্লি হয়ে ঢাকায় ফিরে আসেন, বেলা ১টা ৪১ মিনিটে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান:

জন্ম ও রাজনৈতিক যাত্রা শুরু:
• ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ, বাইগার নদীর তীরবর্তী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান।
• তাঁর রাজনৈতিক জীবনের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটে ১৯৪৪ সালে, কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে।

সংগঠন প্রতিষ্ঠা:
• ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি: ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা।
• ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন: আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন।

ভাষা আন্দোলন থেকে ছয়দফা:
• ১৯৫২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ দিন কারাগারে অনশন করেন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে।
• ১৯৬৬ সালের ২৩ মার্চ ঐতিহাসিক ছয়দফা ঘোষণা করেন, যা বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে পরিচিতি পায়।

'বঙ্গবন্ধু' থেকে 'জাতির জনক':
• আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় ১ নম্বর আসামি (মোট ৩৫ জন)।
• ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি: রেসকোর্স ময়দানে 'বঙ্গবন্ধু' উপাধি প্রাপ্তি (প্রদানকারী: তৎকালীন ডাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমেদ)।
• ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ: 'জাতির জনক' উপাধি প্রাপ্তি (প্রদানকারী: আ স ম আবদুর রব)।

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী:
• ৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯: পূর্ব বাংলাকে 'বাংলাদেশ' নামকরণ।
• ১৯৭০: সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব প্রদান।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ (১৯৭১):
• স্থান: ঢাকার রেসকোর্স ময়দান (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)।
• সময়কাল: প্রায় ১৯ মিনিট (১৮.৩৯ সেকেন্ড)।
• মূল বক্তব্য: "এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম"।

স্বাধীনতার ঘোষণা ও পরবর্তী ঘটনা:
• ২৩ মার্চ, ১৯৭১: ধানমন্ডির বাসভবনে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন।
• ২৬ মার্চ, ১৯৭১ (২৫ মার্চের মধ্যরাত): বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা।
• স্বাধীনতা ঘোষণার পরই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে।
• বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয় অপারেশন বিগবার্ড এর মাধ্যমে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও জাতি গঠনের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই ছিলেন না, বরং ছিলেন একটি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা, মুক্তির পথপ্রদর্শক এবং স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার।
- ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার "মুজিবনগর সরকার" নামে পরিচিত।
- এটি একটি প্রবাসী সরকার হিসেবেও বিবেচিত হয়, তবে এটিকে বাংলাদেশ সরকার বা মুজিবনগর সরকার বলাই যথার্থ।

প্রতিষ্ঠা ও শপথ গ্রহণ:
- ১০ এপ্রিল, ১৯৭১: অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়। 
- ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১: কুষ্টিয়ার মেহেরপুর মহকুমার (বর্তমানে জেলা) ভবেরপাড়া গ্রামের বৈদ্যনাথতলায় নতুন সরকার শপথ গ্রহণ করে। 
- বৈদ্যনাথতলার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় মুজিবনগর। 

অবস্থান ও কার্যালয়:
- মুজিবনগর সরকার কখনোই মুজিবনগরে অবস্থান করেনি। 
- 'মুজিবনগর' নামটি প্রতীকী তাৎপর্য বহন করে। 
- সরকারের প্রকৃত কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয় কলকাতায়। 

গুরুত্বপূর্ণ অবদান:
- 'স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র' প্রকাশ। 
- পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা। 

প্রধান পদাধিকারীগণ:
- রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। 
- উপরাষ্ট্রপতি ও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি: সৈয়দ নজরুল ইসলাম। 
- প্রধানমন্ত্রী: তাজউদ্দিন আহমেদ। 
- এই সরকারের গঠন ও কার্যক্রম বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- ১ মার্চ ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়া খান পূর্ব ঘোষিত ৩ মার্চ ঢাকায় পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের ডাকা অধিবেশন স্থগিত করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ সারাদেশে হরতাল এবং ৭ মার্চ রেসকোর্স (সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) ময়দানে জনসভা আহ্বান করেন।
- ৭ মার্চ, ১৯৭১ সালে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লাখো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ভাষণ দেন তা ইতিহাসে ‘৭ মার্চ ভাষণ' নামে পরিচিত।
- এ ভাষণটির স্থায়ীত্বকাল ছিল প্রায় ১৯ মিনিট (১৮.৩৯ সেকেন্ড)।
- বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণে অ্যাসেম্বলিতে বসার জন্য তৎকালীন সরকারকে ৪টি শর্ত দিয়েছিলেন। সেগুলো হলো- সামরিক আইন প্রত্যাহার করতে হবে, সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নিতে হবে, গণহত্যার তদন্ত করতে হবে ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0