নিচের কোন প্রাচীন গ্রন্থে ‘বঙ্গ’ কথাটির উল্লেখ আছে?
Solution
Correct Answer: Option A
- ঋক, সাম, যজু ও অথর্ব- চারটি বেদের মধ্যে প্রথমটি ঋগ্বেদ।
- সনাতন ধর্মের আদি উৎস ঋগ্বেদ হলো প্রাচীন ভারতীয় বৈদিক সংস্কৃত স্তোত্রবলির সংকলন, যা আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ থেকে ১২০০ অব্দের মধ্যে রচিত।
- বেদের প্রাথমিক পাঠ বা সংকলনকে সংহিতা বলে। প্রতিটি সংহিতার সাথে যুক্ত থাকে একটি ব্রাহ্মণ। প্রতিটি ব্রাহ্মণে একটি করে আরণ্যক ও উপনিষদ থাকে।
- এ 'আরণ্যক' (ঐতরেয় আরণ্যক) গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডে প্রথম '' কথাটির উল্লেখ পাওয়া যায়। এ গ্রন্থে উল্লেখ আছে 'বয়াংসি বঙ্গাবগাধারেপাদ শব্দটির। এখানে 'বঙ্গ' বলতে বর্তমান বাংলাদেশ, 'বগধ বলতে ভারতের 'মগধ জনপদ এবং চেরাপাদ বলতে দক্ষিণ ভারতের চেরা জাতিকে বোঝানো হয়েছে।
- 'বয়াংসি' অর্থ পাখির মতো কিচিরমিচির, যা বঙ্গ ও মগধ অঞ্চলের অরণ্যবাসী মানুষের ভাষাকে ব্যঙ্গ করে উপস্থাপন করা হয়েছে।
- পাণ্ডব বংশের পাঁচ ভাইয়ের সঙ্গে কুরু বংশের ১০০ ভাইয়ের যুদ্ধের কাহিনী নিয়ে কৃষ্ণ দ্বৈপায়ণ বেদব্যাস ১৮ খণ্ডে ও ৮৫০০০টি শ্লোকে সংস্কৃত ভাষায় মহাভারত রচনা করেন। এ গ্রন্থের 'দিগ্বিজয়' অধ্যায়ে 'বঙ্গ' কথাটির উল্লেখ আছে।
- বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন 'চর্যাপদ'-এ ভুসুকুপা কর্তৃক ৪৯ সংখ্যক “আজি ভুসু বঙ্গালী ভইলী পদে 'বঙ্গালী' শব্দটির উল্লেখ আছে এবং সরহপা কর্তৃক ৩৯ সংখ্যক "বঙ্গে জায়া নিলেসি পরে ভাঙ্গেল তোহার বিণাণা" পদে 'বঙ্গ' শব্দের উল্লেখ আছে।
- উল্লেখ্য, ঋকবেদ, মহাভারত ও চর্যাপদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে ঋকবেদ অতি প্রাচীন গ্রন্থ হওয়ায় সঠিক উত্তর ঋকবেদ হবে।