যাকে অবলম্বন করে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে ক্রিয়ার কর্ম বা কর্মকারক বলে। ক্রিয়াকে ‘কী/ কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্ম। আর কর্মের কারকে কর্মকারক বলে।
কর্ম দুই ধরনের
ক. মুখ্য কর্মঃ বস্তুবাচক কর্মকে মুখ্য কর্ম বলে।
খ. গৌণ কর্মঃ ব্যক্তিবাচক কর্মকে গৌণ কর্ম বলে।
যেমন- বাবা আমাকে একটি কলম দিয়েছেন। বাক্যটিতে ‘আমাকে’ গৌণ কর্ম এবং ‘কলম’ মুখ্য কর্ম। সাধারণত কর্মকারকের গৌণ কর্মে বিভক্তি যুক্ত হয়, মুখ্য কর্মে হয় না।
কর্ম কারকে প্রথমা বা শূণ্য বা অ বিভক্তির ব্যবহার
ডাক্তার ডাক।
ঘোড়া গাড়ি টানে।
সর্বাঙ্গে ব্যথা, ঔষধ দিব কোথা।
আমাকে একখানা বই দাও। (দ্বিকর্মক ক্রিয়ার মুখ্য কর্ম)
রবীন্দ্রনাথ পড়লাম, নজরুল পড়লাম, এর সুরাহা পেলাম না। (গ্রন্থ অর্থে বিশিষ্ট গ্রন্থকার প্রয়োগে)