বীরশ্রেষ্ঠ, বীর-উত্তম, বীরবিক্রম ও বীরপ্রতীক—মুক্তিযুদ্ধে অসম সাহসিকতা প্রদর্শন ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রদত্ত খেতাব। ১৯৭১ সালের ১৬ মে মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বীরত্বসূচক খেতাবের প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়। এতে চার পর্যায়ের খেতাব প্রদানের বিধান ছিল : (ক) সর্বোচ্চ পদ, (খ) উচ্চ পদ, (গ) প্রশংসনীয় পদ, (ঘ) বীরত্বসূচক প্রশংসাপত্র।
- স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সভায় বীরত্বসূচক খেতাবের নতুন নামকরণ হয়। আগের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার খেতাবকে বীরশ্রেষ্ঠ, উচ্চ পদমর্যাদার খেতাব বীর-উত্তম, প্রশংসনীয় পদমর্যাদার খেতাব বীরবিক্রম, বীরত্বসূচক প্রশংসাপত্রের খেতাব এখন বীরপ্রতীক নামে পরিচিত।
- ১৯৭৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খেতাব তালিকায় স্বাক্ষর করেন। ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর পূর্বে নির্বাচিত সব মুক্তিযোদ্ধার নামসহ মোট ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে খেতাব প্রদান করা হয়। এর মধ্যে বীরশ্রেষ্ঠ সাতজন, বীর-উত্তম ৬৮ জন, বীরবিক্রম ১৭৫ জন, বীরপ্রতীক ৪২৬ জন
বর্তমানে খেতাবগুলো হলো:
বীরপ্রতীক- ৪২৪ জন
বীরবিক্রম- ১৭৪ জন
বীরউত্তম- ৬৭ জন মুক্তিযোদ্ধা (মোট ৬৮ জন)
বীরশ্রেষ্ঠ- ০৭ জন
মোট খেতাবধারী- ৬৭২ জন মুক্তিযোদ্ধা (মোট ৬৭৩ জন)
গত ৭ জুন ২০২১ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যাকান্ডের চার আসামীর খেতাব বাতিল করে।
তারা হলেন: লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম (বীর উত্তম), লে. কর্নেল নূর চৌধুরী (বীর বিক্রম), লে. এ এম রাশেদ চৌধুরী (বীর প্রতীক), নায়েক সুবেদার মোসলেম উদ্দিন খান (বীর প্রতীক)