(লিখিত প্রশ্ন)
f) প্রবন্ধ রচনা করুন: “বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রতিরোধ ।

A অপশন প্রযোজ্য নয়

B অপশন প্রযোজ্য নয়

C অপশন প্রযোজ্য নয়

D অপশন প্রযোজ্য নয়

Solution

Correct Answer: Option A

Solution:
বৈশ্বিক উষ্ণায়নঃ
• বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বলতে পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে বুঝানো হয় ।
• এর মূল কারণ আকাশে Carbon dioxide (CO2), methane, Nitrus Oxide (N2O) and CFCs গ্যাসসমূহের নির্গমন ও সঞ্চয়ন। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন/জলবায়ু পরিবর্তনের চিহ্ন / প্রভাবঃ
• ১৯০০ সাল হতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ০.৬ সেঃ বেড়েছে।
• প্রতি দশকে ১ সেঃমিঃ করে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে।
• বিগত ৪০ বছরে আর্কটিক অঞ্চলের বরফের ঘনত্ব ৪০% কমেছে।
• সারা বিশ্বের বড় বড় বরফ খণ্ডসমূহ গলছে।
• শরৎ ও বসন্ত দীর্ঘায়িত হচ্ছে এবং শীত ছোট হচ্ছে।
• খরা সংঘটনের মাত্রা ও তীব্রতা বেড়েছে।
• মৌসুমবিহীন বৃষ্টি বেড়েছে
• সাইক্লোন, এল নিনো সংঘটনের মাত্রা ও তীব্রতা বেড়েছে।
• দুর্যোগের দ্বারা খাদ্য শস্য হানি বেড়েছে । বৈশ্বিক উষ্ণতার সমস্যাসমূহঃ

• তাপমাত্রা বৃদ্ধিঃ
- পর্যায়ক্রমে পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেড়ে চলছে (১৯৭০ সাল হতে ২০০০ সালের তথ্য )
- ফলে শরৎ দেরিতে শুরু হচ্ছে এবং বসন্ত আগেই চলে আসছে।
- বাংলাদেশে শীতকালের স্থায়িত্ব কমে যাচ্ছে যা খাদ্য উৎপাদনকে প্রভাবিত করছে।

• সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিঃ অনেক গবেষনায় এটা প্রমাণিত যে,
- Arctic Himalayan, Siberria অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা গত দু'দশকে বেড়ে চলেছে।
- সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের ৭০% লোক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে (UNDP এর মতে )

• বৃষ্টিপাতে বৈচিত্রতায়ঃ
- বাংলাদেশের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২,৩০০ মিঃমিঃ ।
- কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অঞ্চল ও মৌসুম ভেদে বৃষ্টিপাতে ভিন্নতা হচ্ছে
- উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চলের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ১৩০০ মিঃমিঃ এবং
- পূর্ব উত্তর অঞ্চলে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ৫০০০ মিঃমিঃ ।
- বৃষ্টিপাতে এরূপ চরম অবস্থা কৃষি ও জীবিকাকে প্রভাবিত করে।

• প্রাকৃতিক দুর্যোগঃ
- জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমনঃ সাইক্লোন, ঝড়, জলোচ্ছাস, বন্যা, খরা, নদী ভাঙ্গন সংঘটনের মাত্রা ও তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে
- ২০০৮ সালে ৫৭টি দেশ বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে (UNWFP মতে)
- বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান একে দুর্যোগের কাছে নাজুক করেছে।

• কৃষি উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তাঃ
- জলবায়ু পরিবর্তন তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত ও পানি সরবরাহ পরিবর্তনের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন এলাকাতে কৃষি উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে।
- একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, জলবায়ু পরিবর্তন আউশ ফসলে ২৭%, গম উৎপাদনে ৬১% এবং সেচ ভিত্তিক ফসলে ৫৫% ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে।

• পরিবেশ ও জীববৈচিত্রঃ
- প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও চরম আবহাওয়া পরিবেশ ও জীববৈচিত্রকে বিলুপ্ত করছে।
- ২০০৭ সালে সংগঠিত সিডর ব্যাপকভাবে সুন্দর বনের প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র প্রভাবিত করেছে।

• মানব স্বাস্থ্যঃ
- জলবায়ু পরিবর্তন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, চরম আবহাওয়া ও খাদ্য সমস্যা বৃদ্ধি করে।
- জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ডায়রিয়া, পুষ্টিহীনতা প্রভৃতি বৃদ্ধি করে।
- বন্যার ফলে পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ে।

• বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রতিবিধানঃ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন একটি সার্বজনীন সমস্যা। এই সমস্যার আশু সমাধান না হলে বিশ্ববাসীকেই এর খেসারত দিতে হবে। কাজেই এর দ্রুত ও দক্ষ একটি সমাধান প্রয়োজন যা সম্মিলিতভাবে নিতে হবে। এই উষ্ণায়ন রোধে একটি দেশ নিচের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে পারেঃ

• উষ্ণায়ন রোধে বনায়ন বিশেষ ভূমিকা পালন করে। উষ্ণায়নের মরণছোবল থেকে রক্ষা পাবার জন্য বনায়ন সৃষ্টি প্রত্যেক সচেতন নাগরিকের কর্তব্য।
• ১৯৮০'র দশক থেকে গ্রিন হাউস গ্যাসের প্রভাবে পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রতিবছর গড়ে ০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বাড়ছে। কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোর জন্য COP সম্মেলন হতে যে মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে সেই দেশগুলো মেনে চলছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে।
• বিশ্ব জলবায়ু চুক্তির রোডম্যাপ তৈরী করে “Highest Carbon Emission” দেশগুলো হতে একটি বিশাল অঙ্কের Fund নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনে ও উষ্ণায়নের প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো যেমনঃ বাংলাদেশ, মাল্লীপ, ভূটান, শ্রীলংকাকে আর্থিক সাহায্য করতে হবে।
• IPCC ও জাতিসংঘের পরিবেশ সংস্থার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী Green product ব্যবহারের নির্দেশ জারি করতে হবে। বিশ্বব্যাপী যে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলি রয়েছে সেগুলোকে সোচ্চার হতে হবে।
• Montreal Protocol, COP সম্মেলনে সিদ্ধান্তগুলি নেয়া হয়েছে তার বাস্তবায়ন করতে হবে।

Practice More Questions on Our App!

Download our app for free and access thousands of MCQ questions with detailed solutions