১৯৪৭ সালের ১২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের তুমুল জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান কংগ্রেসে দাঁড়িয়ে এক ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। সেদিন তিনি ঘোষণা করেন, দীর্ঘদিন যাবৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে নীতি অবলম্বন করে আসছে তা হলো বিচ্ছিন্নতার নীতি বা মনরো নীতি। এখন সময় এসেছে এই নীতি ছুড়ে ফেলে দেওয়ার। অপ্রতিরোধ্য কমিউনিস্ট সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব রোধ করতে হলে এই নীতি থেকে আমাদের এখনই বেরিয়ে আসতে হবে।
মনরো নীতির পরিবর্তে উদার সামরিক সক্রিয়তা এবং সোভিয়েত মদদে বিশ্বব্যাপী কমিউনিস্ট বিদ্রোহের লাগাম টেনে ধরতে হ্যারি ট্রুম্যান যে নীতির ঘোষণা দেন ঐতিহাসিকভাবে সেটাই ট্রুম্যান ডকট্রিন বা ট্রুম্যান নীতি নামে পরিচিত।
- পরবর্তীতে এই নীতির অধীনে কংগ্রেস গ্রীস ও তুরস্কে সহায়তার মাধ্যেমে এই নীতির কার্যক্রম শুরু হয়।
- ট্রুম্যান নীতিই হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ভিত্তি। এই নীতির উপর ভিত্তি করেই ৪ এপ্রিল, ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় 'উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট' বা 'ন্যাটো'। মূলত সোভিয়েত ইউনিয়নকে রুখতেই এই সামরিক জোট গঠন করা হয়। ট্রুম্যান নীতি ঘোষণার মধ্য দিয়েই অবতারণা হয় স্নায়ুযুদ্ধের। এমনকি ঐতিহাসিকগণ কংগ্রেসে ট্রুম্যানের দেওয়া ভাষণের দিনকেই স্নায়ুযুদ্ধ শুরুর তারিখ হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন।
সোর্সঃ ব্রিটানিকা ও রোর মিডিয়া।