আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও যুদ্ধ (278 টি প্রশ্ন )
- ১৯৮২ সালের ২ এপ্রিল আর্জেন্টিনা দক্ষিণ আটলান্টিকের ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ আক্রমণ করলে যুক্তরাজ্য ও আর্জেন্টিনার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।
- এই যুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মার্গারেট থ্যাচার
- তিনি এই সংকট মোকাবেলায় অত্যন্ত কঠোর এবং দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেন এবং ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীকে দ্বীপপুঞ্জটি পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দেন।
- তার নেতৃত্বে পরিচালিত এই যুদ্ধে ব্রিটিশরা জয়লাভ করে, যা তার রাজনৈতিক ভাবমূর্তিকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয় এবং তাকে "লৌহমানবী" বা "Iron Lady" হিসেবে খ্যাতি এনে দেয়।
- ‘বভার-৩৭৩’ ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে উন্নীত একটি সারফেস-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
- এটি রাশিয়ার এস-৩০০ এবং মার্কিন প্যাট্রিয়ট ব্যবস্থার চেয়ে উন্নত হিসেবে দাবি করা হয়।
- বভার-৩৭৩ লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম, যার মধ্যে থাকে বিমান, ক্রুজ মিসাইল এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল।
- এর রাডারের পাল্লা প্রায় ৩২০ কিলোমিটার এবং ট্র্যাকিং রেঞ্জ ২৫০ কিলোমিটারের বেশি।
- ইরান ২০১৯ সালের ১৮ আগস্ট এই সিস্টেমটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করে।
- বভার-৩৭৩ সিস্টেম পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানকেও আঘাত করতে পারে যা রাডার থেকে ফাঁকি দিতে পারে।
- হামাস ২০০৬ সালের ফিলিস্তিনি আইনসভা নির্বাচনে (Palestinian legislative elections) সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় এবং সরকার গঠন করে।
- পরবর্তীতে ফাতাহের সঙ্গে সংঘাতের জের ধরে ২০০৭ সালে হামাস গাজা উপত্যকার কার্যত নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।
- তাই নির্বাচন জয়ের বছর ২০০৬; আর গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয় ২০০৭ সালে।

Biological Weapons Convention (BWC)—যা ১০ এপ্রিল ১৯৭২ এ স্বাক্ষরিত হয়ে ২৬ মার্চ ১৯৭৫ থেকে কার্যকর—মূলত “জৈবিক (bacteriological/biological) ও বিষাক্ত (toxin) অস্ত্র” সম্পর্কিত সকল শস্ত্রকৌশলকে নিষিদ্ধ করে: এসব এজেন্ট বা টক্সিনকে অস্ত্র বানানো, উৎপাদন, অর্জন/অবধারণ, স্থানান্তর বা মজুদ রাখা ইত্যাদি। বিধির মূল অংশটি (Article I) এই বাধ্যবাধকতিগুলোই সংজ্ঞায়িত করস

১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি শরণার্থী জর্ডানে আশ্রয় নেয়। সময়ের সাথে সাথে, ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বাধীন পিএলও জর্ডানের অভ্যন্তরে একটি শক্তিশালী স্বায়ত্তশাসিত কাঠামো গড়ে তোলে, যা "রাষ্ট্রের ভেতর রাষ্ট্র" হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। পিএলও জর্ডানের ভূমি ব্যবহার করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনা করত, যার ফলে ইসরায়েল পাল্টা আক্রমণ চালাত। এটি জর্ডানের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।

১৯৭০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, জর্ডানের বাদশাহ হুসেইন দেশে শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তার সিংহাসন সুরক্ষিত করার জন্য পিএলও-র বিরুদ্ধে একটি পূর্ণাঙ্গ সামরিক অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। এই অভিযানে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়, যাদের অধিকাংশই ছিল ফিলিস্তিনি। ১০ দিনব্যাপী এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের কারণে এই মাসটি "ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর" বা "কালো সেপ্টেম্বর" নামে পরিচিতি লাভ করে।

এই যুদ্ধের ফলে পিএলও এবং তার হাজার হাজার যোদ্ধা লেবাননে নির্বাসিত হতে বাধ্য হয়। এই ঘটনা ফিলিস্তিনি মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং দুঃখজনক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়। পরবর্তীতে, এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে "ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর" নামে একটি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গেরিলা সংগঠন গড়ে ওঠে। এই সংগঠনটি ১৯৭২ সালের মিউনিখ অলিম্পিকে ইসরায়েলি ক্রীড়াবিদদের উপর হামলার জন্য পরিচিত।


জেনেভা কনভেনশনসমূহ আন্তর্জাতিক এবং অ-আন্তর্জাতিক উভয় প্রকার সশস্ত্র সংঘাতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই কনভেনশনগুলোর উদ্দেশ্য হলো যুদ্ধের সময় যারা সরাসরি সংঘাতে অংশ নিচ্ছে না বা অংশগ্রহণ থেকে বিরত রয়েছে, তাদের সুরক্ষা প্রদান করা।

আন্তর্জাতিক সশস্ত্র সংঘাত: ১৯৪৯ সালের জেনেভা কনভেনশনের ২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, স্বাক্ষরকারী দুই বা ততোধিক দেশের মধ্যে যেকোনো ঘোষিত যুদ্ধ বা সশস্ত্র সংঘাতের ক্ষেত্রে এই কনভেনশনগুলো সম্পূর্ণরূপে প্রযোজ্য হবে। এমনকি যদি এক পক্ষ যুদ্ধের অবস্থাকে স্বীকৃতি নাও দেয়, তবুও এটি কার্যকর থাকবে।

অ-আন্তর্জাতিক সশস্ত্র সংঘাত: চারটি জেনেভা কনভেনশনের সাধারণ ৩ নম্বর অনুচ্ছেদটি বিশেষভাবে অ-আন্তর্জাতিক সশস্ত্র সংঘাতের (যেমন গৃহযুদ্ধ) জন্য প্রণীত হয়েছে। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, একটি দেশের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে সংঘটিত সংঘাতের ক্ষেত্রেও न्यूनतम মানবিক আচরণবিধি অবশ্যই পালনীয়। এটি আহত, অসুস্থ এবং আত্মসমর্পণকারী যোদ্ধাদের প্রতি মানবিক আচরণ নিশ্চিত করে এবং অসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা প্রদান করে।

এছাড়াও, ১৯৭৭ সালের অতিরিক্ত প্রটোকল-২ বিশেষভাবে অ-আন্তর্জাতিক সশস্ত্র সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষা প্রদানের জন্য গৃহীত হয়েছে। সুতরাং, জেনেভা কনভেনশন শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক যুদ্ধের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি সকল প্রকার সশস্ত্র সংঘাতের ক্ষেত্রে মানবিক সুরক্ষার একটি সার্বজনীন মানদণ্ড স্থাপন করে।
ডেটন চুক্তি, যা ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায়, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনাকে একটি একক সার্বভেৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। এই চুক্তির অধীনে দেশটির রাজনৈতিক কাঠামোকে দুটি প্রধান স্বায়ত্তশাসিত সত্তা (entity) নিয়ে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় রাষ্ট্র হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছিল। 

এই দুটি সত্তা হলো:
ফেডারেশন অফ বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা (Federation of Bosnia and Herzegovina): এটি মূলত বসনিয়াক (মুসলিম) এবং ক্রোয়াট-অধ্যুষিত এলাকা নিয়ে গঠিত। 

রিপাবলিকা স্রপস্কা (Republika Srpska): এটি মূলত সার্ব-অধ্যুষিত এলাকা নিয়ে গঠিত। 

এই দুটি সত্তার নিজস্ব সরকার, আইনসভা এবং পুলিশ বাহিনী থাকলেও, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে একটি কেন্দ্রীয় সরকার রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাঠামোতে একটি ত্রি-সদস্যের প্রেসিডেন্সি অন্তর্ভুক্ত, যেখানে একজন বসনিয়াক, একজন ক্রোয়াট এবং একজন সার্ব সদস্য থাকেন, যারা পালাক্রমে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। এই জটিল কাঠামোটি যুদ্ধের পর তিনটি প্রধান জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিশ্চিত করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। 
জেনেভা কনভেনশনের অতিরিক্ত প্রটোকলগুলো, বিশেষ করে ১৯৭৭ সালে গৃহীত দুটি প্রটোকল, সশস্ত্র সংঘাতের সময় বেসামরিক জনগণের সুরক্ষা বৃদ্ধি করার উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করে। মূল চারটি জেনেভা কনভেনশন যুদ্ধাহত ও অসুস্থ সৈন্য, যুদ্ধবন্দী এবং বেসামরিক ব্যক্তিদের প্রাথমিক সুরক্ষা দিলেও, আধুনিক যুদ্ধের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে এই সুরক্ষা আরও বিস্তৃত করার প্রয়োজন দেখা দেয়। 

প্রটোকল-১ (Protocol I): এই প্রটোকলটি আন্তর্জাতিক সশস্ত্র সংঘাতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।এটি বেসামরিক জনগণ এবং বেসামরিক বস্তু, যেমন—বাড়ি, স্কুল ও হাসপাতালকে ইচ্ছাকৃত বা নির্বিচার হামলা থেকে রক্ষা করার জন্য সুস্পষ্ট নিয়মাবলী প্রতিষ্ঠা করে। ] এর প্রধান লক্ষ্য হলো সামরিক অভিযান এবং বেসামরিক জনগণের মধ্যে পার্থক্য নিশ্চিত করা।

প্রটোকল-২ (Protocol II): এই প্রটোকলটি অ-আন্তর্জাতিক সশস্ত্র সংঘাত বা গৃহযুদ্ধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং এটি জেনেভা কনভেনশনের সাধারণ ৩ নম্বর অনুচ্ছেদের বিস্তারিত রূপ। এটি অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বেসামরিক জনগণের জন্য সুরক্ষা বৃদ্ধি করে এবং তাদের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করার উপর জোর দেয়। এর মধ্যে বেসামরিক জনগণের উপর হামলা নিষিদ্ধকরণ, তাদের জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য বস্তু (যেমন- খাদ্য, পানি) রক্ষা করা এবং জোরপূর্বক স্থানান্তর নিষিদ্ধ করার মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত। 

সুতরাং, অতিরিক্ত প্রটোকলগুলোর মূল উদ্দেশ্যই হলো যুদ্ধের সময় বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি যথাসম্ভব কমিয়ে আনা এবং তাদের মানবিক সুরক্ষা জোরদার করা।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

১৯৭৮ সালের ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির অন্যতম প্রধান ফলাফল ছিল মিশর কর্তৃক সিনাই উপদ্বীপ ফিরে পাওয়া।  ১৯৭৯ সালে স্বাক্ষরিত মিশর-ইসরায়েল শান্তি চুক্তির মাধ্যমে চূড়ান্ত হয়।

১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের সময় ইসরায়েল মিশরের কাছ থেকে সিনাই উপদ্বীপ দখল করে নিয়েছিল। পরবর্তীতে, মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর ক্যাম্প ডেভিড চুক্তিতে উপনীত হন।

এই চুক্তির শর্তানুযায়ী, ইসরায়েল পর্যায়ক্রমে সিনাই উপদ্বীপ থেকে তার সৈন্য এবং বসতি স্থাপনকারীদের প্রত্যাহার করে নিতে সম্মত হয় এবং এর বিনিময়ে মিশর ইসরায়েলকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ও স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। ১৯৮২ সালের ২৫ এপ্রিলের মধ্যে ইসরায়েল সম্পূর্ণভাবে সিনাই উপদ্বীপ মিশরকে ফিরিয়ে দেয়।  এই চুক্তিটি ছিল কোনো আরব রাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের মধ্যে প্রথম শান্তি চুক্তি।


'পার্পল লাইন' সীমারেখাটি সিরিয়া ও ইসরাইলকে পৃথক করেছে।

১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের পর এই দুটি দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি রেখা হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটি কার্যত দুটি দেশের মধ্যে সীমান্ত হিসেবে কাজ করে। জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা এই লাইনটি তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যখন সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রস্তাব আসে, তখন সেটি পাশ না হওয়ার পেছনে প্রধান ভূমিকায় থাকে ভেটো পাওয়ার দেশগুলো। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের মধ্যে পাঁচটি দেশ রয়েছে যাদের প্রত্যেকেরই এককভাবে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা আছে।

- চীন ও রাশিয়া হচ্ছে সেই দুটি দেশ যারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে প্রস্তাবকে ভেটো দিয়ে বাধা দিয়েছে।
- তারা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে রাজি হয়নি বিভিন্ন কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণে।
- চীন ও রাশিয়ার এই পদক্ষেপকে বোঝার পেছনে রয়েছে তাদের মিয়ানমারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক এবং অঞ্চলীয় স্থিতিশীলতার দিক থেকে উদ্বেগ।
- অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সাধারণত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয় কিন্তু তারা ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা প্রয়োগ করেনি এই ইস্যুতে।

সুতরাং, চীন ও রাশিয়ার ভেটো আরোপের কারণে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কঠোর ধরণের কোনও পদক্ষেপ নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত হয়নি।
MSS-এর পূর্ণরূপ Ministry of State Security।
- এটি চীনের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা এবং এর দায়িত্ব হল চীনের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা করা।

অন্যান্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার নাম:
- ভারত: Research and Analysis Wing (RAW)
- রাশিয়া: Federal Security Service (FSB)
- জাপান: Public Security Intelligence Agency (PSIA).
নাকচিভান ছিটমহল (Nakhchivan Exclave)

অবস্থান: আজারবাইজান
ভূখণ্ড: আজারবাইজানের প্রায় ৬%
সীমান্ত: তুরস্ক এবং ইরানের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে
জনসংখ্যা: প্রায় ৪৬০,০০০
- প্রধান জাতি: আজারিস
- অন্যান্য: কিছু রাশিয়ান
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনা: রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে আর্মেনিয়া সম্মত হয়েছে তার দেশের মধ্য দিয়ে একটি করিডোর প্রদান করতে, যার মাধ্যমে তুরস্ক ও নাকচিভানের সাথে আজারবাইজানের মূল ভূখণ্ডের সরাসরি স্থল যোগাযোগ সম্ভব হবে।
- 'বে অব পিগস' আক্রমণ ১৯৬১ সালে পরিচালিত হয়েছিল।
- এই আক্রমণ কিউবার বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছিল।
- এটি ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক কিউবার ফিদেল কাস্ত্রোর সরকারকে উৎখাত করার একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা।
- আক্রমণটি সিআইএ (CIA) দ্বারা প্রশিক্ষিত কিউবান নির্বাসিতদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল, কিন্তু কিউবার সামরিক বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে এটি দ্রুত ব্যর্থ হয়।
- কিউবার বিপ্লব ১৯৫৯ সালে সাফল্য লাভ করে।
- এই বিপ্লবের প্রধান নেতা ছিলেন ফিদেল কাস্ত্রো।
- ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বে বিদ্রোহীরা কিউবার তৎকালীন স্বৈরশাসক ফুলগেন্সিও বাতিস্তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
- বিপ্লবের পর কিউবা একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং স্নায়ুযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের ঘনিষ্ঠ মিত্র হয়ে ওঠে।
- 'ব্লাডি সানডে' বা 'রক্তাক্ত রবিবার' ঘটনাটি ১৯০৫ সালে ঘটে।
- এটি ছিল রুশ বিপ্লবের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যেখানে সেন্ট পিটার্সবার্গে শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর জার সাম্রাজ্যের সৈন্যরা গুলি চালায়।
- এই ঘটনাটি রাশিয়ার জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে এবং ১৯০৫ সালের বিপ্লবের সূত্রপাত ঘটায়, যা পরবর্তীতে ১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের পথ প্রশস্ত করে।
- এই ঘটনার পর জার সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা মারাত্মকভাবে কমে যায়।
- 'মার্শাল প্ল্যান' এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত পশ্চিম ইউরোপের অর্থনৈতিক পুনর্গঠন।
- এটি আনুষ্ঠানিকভাবে 'ইউরোপীয় পুনরুদ্ধার কর্মসূচি' (European Recovery Program) নামে পরিচিত ছিল এবং ১৯৪৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এটি চালু করে।
- এই পরিকল্পনার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
- এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য ছিল ইউরোপে সমাজতন্ত্রের বিস্তার রোধ করা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বৃদ্ধি করা, যা স্নায়ুযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
- স্নায়ুযুদ্ধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন এই দুটি দেশের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল।
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব দুটি প্রধান ক্ষমতা ব্লকে বিভক্ত হয়ে যায়: একদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পুঁজিবাদী ব্লক এবং অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক ব্লক।
- এই দুটি দেশ সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত না হলেও, তারা বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক প্রভাব বিস্তারের জন্য তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত ছিল।
- তাদের মধ্যে আদর্শগত পার্থক্য (পুঁজিবাদ বনাম সমাজতন্ত্র) এবং পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতা এই স্নায়ুযুদ্ধের মূল চালিকাশক্তি ছিল।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন


- মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মহাকাশ-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নাম হলো "Golden Dome"।
- এটি একটি উচ্চ প্রযুক্তির স্পেস-বেসড মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম, যা ব্যালিস্টিক, হাইপারসোনিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করবে।
- এই প্রকল্পের বাজেট প্রায় ১৭৫ বিলিয়ন ডলার এবং এটি ২০২৯ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
- ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার শাসনের এই ব্যবস্থা চালু হয় ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে।
- একটি বিপ্লবের মাধ্যমে ইরানে রেজা শাহ পাহলভীর রাজতন্ত্রকে উৎখাত করা হয়। তাকে উৎখাতের পর ইরানে ধর্মীয় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
- এরপর দেশটি দুজন সুপ্রিম লিডার বা সর্বোচ্চ নেতা পেয়েছে। তাদের পদবী হিসেবে আয়াতুল্লাহ ব্যবহার করা হয়, শিয়া ধর্মাবলম্বীদের কাছে যার অর্থ সিনিয়র ধর্মীয় নেতা।
- সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এখন দেশটির সামরিক বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ।

- এপ্রিল মাসে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগাম এলাকায় এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ওই হামলায় অন্তত ২৬ নিরীহ পর্যটক প্রাণ হারান।
- ভারত সরকার এ হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনকে দায়ী এবং ইসলামাবাদের যোগসূত্রতার অভিযোগ করে।
- পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে ও তাদের সরকার এবং দেশের কারও সঙ্গে হামলার কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানায়।
- এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে ৭ মে রাতে পাকিস্তানের মাটিতে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ভারত।
- ভারত দাবি করে, তারা ‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযান’ হিসেবে পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ড ও পাকিস্তান অধ্যুষিত কাশ্মীরের ৯টি শহরে মোট ২৪টি হামলা চালিয়েছে।
- পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে।
- গত শুক্রবার (১৩ জুন) ভোররাতে ইসরাইলের দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান আকস্মিক হামলা চালিয়ে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনা লক্ষ্য করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে।
- ইসরাইল এই হামলার নাম দিয়েছে অপারেশন রাইজিং লায়ন।
- তেহরান থেকে ২২৫ কিলোমিটার দূরে নাতাজ পারমাণবিক স্থাপনায় চালানো হয় বিমান হামলা।
- এই হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) প্রধান এবং অন্তত ১২জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।
- ২০২৩ সালের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলার পর থেকেই গোটা মধ্যপ্রাচ্যে বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা।
- এমন এক অবস্থায় গত শুক্রবার (১৩ জুন) ভোররাতে ইসরাইল আবারও আকস্মিক হামলা চালিয়েছে ইরানে।
- ইসরাইল এই হামলার নাম দিয়েছে অপারেশন রাইজিং লায়ন
- তেহরান থেকে ২২৫ কিলোমিটার দূরে নাতাজ পারমাণবিক স্থাপনায় চালানো হয় বিমান হামলা।
- এবারের হামলা ছিল এক কথায় ভয়াবহ ও বিপর্যয় সৃষ্টিকারী।
- ইসরাইলের প্রায় ২০০টি যুদ্ধবিমান হামলায় অংশ নিয়েছিল বলে দাবি করেছে দেশটির সামরিক মুখপাত্র।
- হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে ইরানের পারমাণবিক প্রকল্প, ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
- ভয়াবহ হামলায় দেশটির অন্তত ৭৮ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরানের বার্তাসংস্থা, যাদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান, ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান, বিমানবাহিনীর প্রধানসহ অন্তত ২০ জন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা। কয়েকজন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ শিশুও আছে।
- ভিয়েতনাম যুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রায় ২০ বছর স্থায়ী হয়েছিল।
- শুরু: ১৯৫৫ সালের ১লা নভেম্বর (যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামের সামরিক উপদেষ্টা দল পাঠানো শুরু করে)।
- শেষ: ১৯৭৫ সালের ৩০শে এপ্রিল (যখন সাইগন দখল হয় এবং দক্ষিণ ভিয়েতনামের পতন ঘটে)।
- সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৭৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর আফগানিস্তানে প্রবেশ করে।
- সোভিয়েত ৪০তম আর্মি ইউনিট নিয়ে আফগানিস্তানে প্রবেশ করে।
- এই আর্মি ইউনিটের কমান্ডার ছিলেন ল্যাফটেন্যান্ট জেনারেল ইউরি আনড্রেয়েভ।

- সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে প্রবেশ করার মূল কারণ ছিল আফগানিস্তানের কমিউনিস্ট সরকারকে রক্ষা করা।
- আফগানিস্তানে তখন একটি গৃহযুদ্ধ চলছিল। আফগান মুজাহিদিনরা কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল।
- সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগান মুজাহিদিনদের পরাজিত করে কমিউনিস্ট সরকারকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিল।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- ‘RS-24 Yars’ (আর এস-২৪ ইয়ার্স) একটি রাশিয়ার তৈরি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (ICBM), যা প্রথম ২০০৭ সালে পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় এবং ২০১০ সালে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে কার্যকরভাবে যুক্ত হয়।
- এটি থার্মোনিউক্লিয়ার অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং একাধিক স্বাধীনভাবে লক্ষ্যভেদী রি-এন্ট্রি ভেহিকল (MIRV) বহন করতে পারে।
- এই ক্ষেপণাস্ত্রটি রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0