আন্তর্জাতিক চুক্তি (252 টি প্রশ্ন )
-১৯৯৩ সালে ওয়াশিংটনে ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর ১৯৯৮ সালে ওয়াশিংটনের অদূরে 'উই রিভার' চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্তু শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ইসরাইলের ব্যাপারে পিএলও ও আরব রাষ্ট্রগুলো বিভিন্ন সময় কিছু কিছু নমনীয় মনোভাব গ্রহণ করলেও ইসরাইল কখনোই তার একগুঁয়ে ও আগ্রাসী মনোভাব পরিত্যাগ করেনি।
লিসবন চুক্তি হল ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার চুক্তি যা ২০০৭ সালের ১৩ই ডিসেম্বর পর্তুগালের লিসবনে স্বাক্ষরিত হয়েছিল
-২০০৯ সালের ১লা ডিসেম্বর কার্যকর হয়।
- এই চুক্তিটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্যকারিতা, স্বচ্ছতা এবং গণতান্ত্রিক বৈধতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে প্রণীত হয়েছিল।
- এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ইইউ-কে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও কার্যকর করে তোলা, বিশেষ করে ২০০৪ এবং ২০০৭ সালে নতুন সদস্য রাষ্ট্রগুলোর যোগদানের পর ইইউ-এর প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে আধুনিকীকরণ করা।
- আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের মতো গুরুতর আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার করে।
- এটি ব্যক্তিদের বিচার করে, রাষ্ট্র বা সংস্থার নয়।
- ২০০২ সালে রোম সংবিধির অধীনে এই আদালতটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
- এর সদর দপ্তর নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত।
- এটি জাতিসংঘের প্রধান অঙ্গ নয়, তবে উভয়ের মধ্যে একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বিদ্যমান।
- ১৯৭৮ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের কাজাখস্তানের আলমা-আতা শহরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
- এই সম্মেলনটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং ইউনিসেফ (UNICEF) যৌথভাবে আয়োজন করেছিল।
- সম্মেলনের শেষে গৃহীত ঘোষণাপত্রটি 'আলমা-আতা ঘোষণা' নামে পরিচিতি লাভ করে।
- এই ঘোষণায় '২০০০ সালের মধ্যে সকলের জন্য স্বাস্থ্য' (Health for All) অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
- প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকেই এই লক্ষ্য অর্জনের মূল ভিত্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
• তাসখন্দ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারি।
• তাশখন্দ চুক্তি হচ্ছে ১৯৬৬ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে চুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হলেও এটি চূড়ান্ত রূপ লাভ করে ১০ জানুয়ারি, উজবেকিস্তানের রাজধানী তাশখন্দে পাকিস্তান ও ভারত এর মধ্যে সম্পাদিত একটি চুক্তি।
• এই চুক্তি ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সমাধান করে এবং উভয় দেশকে যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে বাধ্য করে।
• জাতিসংঘ, আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের চাপে তাশখন্দ সম্মেলনে, ভারত ও পাকিস্তানকে তাদের পূর্বের চুক্তির বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে বাধ্য করা হয়—এক এ অপরের জয়যুক্ত অঞ্চলগুলি ছেড়ে দিতে এবং কাশ্মীরের ১৯৪৯ সালের যুদ্ধবিরতির সীমান্ত চুক্তি মেনে চলা।
• চুক্তির মধ্যস্থতাকারী ছিলেন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সেই কসিগিন।
• এই চুক্তির ফলে উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হয় এবং যুদ্ধবন্দীদের মুক্তি দেওয়া হয়।
• তাশখন্দ চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আয়ুব খান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী একসঙ্গে যৌথ বিবৃতি দেন।
• উল্লেখ্য, চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টা পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন, যা ইতিহাসে একটি আলোচিত ঘটনা।
- SAFTA (South Asian Free Trade Area) হলো সার্কভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি।
- এই চুক্তিটি ২০০৪ সালের ৬ জানুয়ারি ১২তম সার্ক সম্মেলনে স্বাক্ষরিত হয় এবং ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়।
- SAFTA চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ এবং আফগানিস্তানসহ সার্কভুক্ত দেশগুলো একটি মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল গঠন করেছে।
- এর মাধ্যমে সদস্য দেশগুলো পণ্যের আমদানি-রপ্তানি শুল্ক ধাপে ধাপে কমিয়ে অবাধ বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
- SAFTA-এর মূল উদ্দেশ্য হলো আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, শুল্ক হ্রাস ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উন্নয়ন করা।
- জল, স্থল ও আকাশপথে এক ভিসায় কিংবা ভিসা ব্যতীত জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ইউরোপ ভ্রমণ করার লক্ষ্য ১৯৮৫ সালের ১৪ জুন লুক্সেমবার্গের শেনজেন শহরে স্বাক্ষরিত হয় শেনজেন চুক্তি।
- ১৯৮৫ সালে বেলজিয়াম, ফ্রান্স, পশ্চিম জার্মানি, লুক্সেমবার্গ ও নেদারল্যান্ড এ চুক্তি স্বাক্ষর করে।
- এ চুক্তির ফলশ্রুতিতে ১৬ মার্চ, ১৯৯৫ থেকে ভিসামুক্ত ইউরোপের যাত্রা শুরু হয়।
- বর্তমানে ইউরোপের ২৯টি দেশ নিয়ে শেনজেন এলাকা গঠিত।
- সর্বশেষ ৩১ মার্চ ২০২৪ শেনজেনভুক্ত হয়- রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া।
- তাসখন্দ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারি, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ শহরে।
- এটি ছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের পর একটি শান্তি চুক্তি।
- পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি মুহাম্মদ আইয়ুব খান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
- চুক্তিটি সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধানমন্ত্রী নিকোলাই কোসিগিন এর মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হয়।
- এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় দেশ তাদের দখলকৃত অঞ্চলগুলো ফেরত দেওয়া, যুদ্ধবন্দীদের মুক্তি এবং ভবিষ্যতে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়।
- কেমিক্যাল উইপনস কনভেনশন (CWC) একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যা রাসায়নিক অস্ত্রের উৎপাদন, মজুদ এবং ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
- এটি ২৯ এপ্রিল ১৯৯৭ সালে কার্যকর হয়।
- জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত, ১৯৩টি দেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর ও অনুমোদন করেছে।
- এর মধ্যে ১৯৩টি দেশ চুক্তির সদস্য (States Parties)।
- তবে, ইসরায়েল চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও এটি অনুমোদন করেনি। অন্যদিকে, মিশর, উত্তর কোরিয়া এবং দক্ষিণ সুদান চুক্তিতে স্বাক্ষর বা অনুমোদন করেনি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- ওয়ারশ প্যাক্ট (Warsaw Pact) ছিল একটি সামরিক জোট যা ১৯৫৫ সালের ১৪ই মে সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি কমিউনিস্ট দেশ দ্বারা গঠিত হয়েছিল।
- এটি উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা (NATO) এর প্রতিপক্ষ হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল, যখন পশ্চিম জার্মানি ন্যাটোতে যোগ দিয়েছিল।
- এটি স্নায়ুযুদ্ধের সময় "ইস্টার্ন ব্লক"-এর প্রধান সামরিক শক্তি ছিল।
- ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এটি বিলুপ্ত হয়ে যায়।
- বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধকল্পে জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৯৯৭ সালের ১১ ডিসেম্বর জাপানের কিয়োটো শহরে 'কিয়োটো প্রটোকল' গৃহীত হয় এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫ সালে চুক্তিটি কার্যকর হয়।
- এ প্রটোকলের অন্যতম চুক্তি ছিল কার্বন ট্রেড চালু করা।
- এছাড়া এ চুক্তি অনুযায়ী উন্নত দেশসমূহ ২০১২ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ ৫.২% হ্রাস করার কথা ছিল।
- কিন্তু কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় কপ-১৮ সম্মেলনে এর মেয়াদ ৮ বছর বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সাল পর্যন্ত করা হয়।
- ২০২০ সালে এর মেয়াদ শেষ হলে চুক্তিটি আর নবায়ন না করে UNFCCC এর প্যারিস চুক্তির মাধ্যমে কিয়োেটা প্রটোকলের লক্ষ্য অর্জিত হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কিয়োটো প্রটোকল স্বাক্ষর করে ২০০১ সালে এবং কার্যকর করে ২০০৫ সালে।
- ইউরোপীয় ইউনিয়ন (European Union - EU) আনুষ্ঠানিকভাবে মাসট্রিচট চুক্তির (Maastricht Treaty) মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়।
- এই চুক্তিটি ১৯৯২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি নেদারল্যান্ডসের মাসট্রিচট শহরে স্বাক্ষরিত হয়েছিল এবং ১৯৯৩ সালের ১ নভেম্বর থেকে এটি কার্যকর হয়।
- এই চুক্তির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল একটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করা, যা একক মুদ্রা (ইউরো) প্রবর্তন, অভিন্ন বৈদেশিক ও নিরাপত্তা নীতি, এবং বিচার ও স্বরাষ্ট্র বিষয়ক সহযোগিতা অন্তর্ভুক্ত করে।
- ওয়ারশ চুক্তি সংস্থা বা ওয়ারশ প্যাক্ট হল একটি রাজনৈতিক ও সামরিক চুক্তি জোট যা ১৪ মে ১৯৫৫ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পূর্ব ইউরোপীয় কয়েকটি দেশের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়।
- মূলত সোভিয়েত ইউনিয়ন ন্যাটোর (NATO) বিকল্প সামরিক জোট হিসেবে ওয়ারশ চুক্তি জোট গঠন করে।
- পূর্ব ইউরোপের রাষ্ট্র পোল্যান্ডের বৃহত্তম শহর ও রাজধানী ওয়ারশ এর নাম অনুসারে চুক্তিটির নামকরণ করা হয়।
- ওয়ারশ চুক্তি, স্নায়ুযুদ্ধ (Cold War) চলাকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পূর্ব ইউরোপের আটটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত সম্মিলিত প্রতিরক্ষা চুক্তি।
- এটি ছিল Council for Mutual Economic Assistant or COMICON (কমিকন) এর সাথে সামরিক দিক দিয়ে সম্পূরক।
- Sustainable Development Goals (SDGs) হলো টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা যা Millennium Development Goals (MDGs) এর স্থলে প্রতিস্থাপন করা হয়।
- ২০১৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে "Transforming our world: The 2030 Agenda for Sustainable development' শিরোনামের একটি কর্মসূচি গৃহীত হয়, যা SDGs নামে পরিচিত।
- SDGs এর মেয়াদ ২০১৬ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। এতে মোট ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা ও ১৬৯টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এসডিজির ১৭ লক্ষ্যসমূহ হলো:
- প্রথম : দারিদ্র্য নির্মূল
- দ্বিতীয় : ক্ষুধামুক্তি
- তৃতীয় : সুস্বাস্থ্য
- চতুর্থ : মানসম্মত শিক্ষা
- পঞ্চম : লিঙ্গ সমতা
- ষষ্ঠ : বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন
- সপ্তম : সাশ্রয়ী ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি
- অষ্টম : কর্মসংস্থান ও অর্থনীতি
- নবম : শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো
- দশম : বৈষম্য হ্রাস
- একাদশ : টেকসই শহর ও জনগণ
- দ্বাদশ : পরিমিত ভোগ ও উৎপাদন
- ত্রয়োদশ : জলবায়ু বিষয়ে পদক্ষেপ
- চতুর্দশ : সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থান
- পঞ্চদশ : স্থলভাগের জীবন
- ষোড়শ : শান্তি, ন্যায়বিচার ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান এবং
- সপ্তদশ : অভিষ্টের জন্যে অংশীদারিত্ব।
ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি হল আরব - ইসরাইলের চতুর্থ যুদ্ধ অবসানের চুক্তি, এর স্বাক্ষর হয় ১৯৭৮ [মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের ক্যাম্পডেভিডে], এর উদ্দেশ্য মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপন
- স্বাক্ষরকারী মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিন
- এর মধ্যস্থকারী তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিম কার্টার
- বিষয়বস্তু  মিশর সিনাই উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাবে, মিশর ইসরাইলে স্বীকৃতি দিবে।
- এই চুক্তির প্রতিক্রিয়া  মিশর OIC ও Arab League থেকে বহিস্কার করা হয়, ইহুদিরা আরো বেপরোয়া হয়ে পড়ে, মিশর প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত প্রথম মুসলিম  হিসেবে নোবেল শান্তি পায় (১৯৭৮), আনোয়ার সাদাত খুন হয় (১৯৮১)।

• SDG- টার্গেট ১.১ - ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র দূর করা।
• ১.২ - দরিদ্র মহিলা, পুরুষ ও শিশুর সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনা।
• ১.৩ - সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
• ১.৪ - দারিদ্র দূরীকরণে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নীতি নির্ধারণ করা।
 
জাতিসংঘ কর্তৃক ২০১৬-২০৩০ মেয়াদে ১৭ টি লক্ষ্য সম্বলিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা গৃহিত হয়। 
• এসডিজির লক্ষ্যসমূহ হলো:
• দারিদ্র্য নির্মূল
• ক্ষুধামুক্তি
• সুস্বাস্থ্য
• মানসম্মত শিক্ষা
• লিঙ্গ সমতা
• বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন
• সাশ্রয়ী ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি
• উপযুক্ত কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
• শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো
• বৈষম্য হ্রাস
• টেকসই শহর ও জনগণ
• পরিমিত ভোগ ও উৎপাদন
• জলবায়ু বিষয়ে পদক্ষেপ
• সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থান
• স্থলভাগের জীবন
• শান্তি, ন্যায়বিচার ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান এবং
• অভিষ্টের জন্যে অংশীদারিত্ব।

বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোক্তা-এর প্রস্তাবক হচ্ছে ⎯ চীন।

বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ (জিডিআই):

- জিডিআই মূলত স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও ডিজিটাল অর্থনীতির ওপর ভিত্তি করে উন্নয়ন সহযোগিতার একটি উদ্যোগ।
- ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং আনুষ্ঠানিকভাবে বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোক্তা এর ঘোষণা দেন।
- এই উদ্যোগে উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য তথ্য:
- চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বাংলাদেশেরকে বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগে (গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ - জিডিআই) অন্তর্ভুক্ত করতে চান।
- স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলা, যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন, ডিজিটাল অর্থনীতিসহ আটটি ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দিয়ে জিডিআইতে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে শিগগিরই বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করতে চায় চীন।

তথ্যসূত্র: CGTN ও প্রথম আলো প্রতিবেদন।
- জাতিসংঘের জৈব নিরাপত্তা বিষয়ক চুক্তি হল 'কার্টাগেনা প্রটোকল '। 
- ১৯৯৯ সালে কলম্বিয়ার কার্টাগেনা শহরে জৈব নিরাপত্তা বিষয়ক চুক্তিটি ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 
- কিন্তু চুক্তিটি ২৯ জানুয়ারি ,২০০০ সালে কানাডার মন্ট্রিলে স্বাক্ষরিত হয় ।
- বাংলাদেশ ২০০০ সালের ২৪ মে কার্টাগেনা প্রটোকলে স্বাক্ষর করে এবং ২০০৪ সালের ৫ মে এটি অনুমোদন করে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
আর্টিকেল ৫ এ বলা হয় যে, যদি একটি ন্যাটো মিত্র সশস্ত্র আক্রমণের শিকার হয়, তবে জোটের প্রতিটি সদস্য এই সহিংসতার কাজটিকে সদস্যদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করবে এবং মিত্রদের আক্রমণ সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কার্টাগেনা প্রটোকল:
- পূর্ণ নাম: Cartagena Protocol on Biosafety to the convention on Biological Diversity
- অপর নাম: জৈব নিরাপত্তা বিষয়ক প্রটোকল
- লক্ষ্য: জৈব জ্বালানি সংরক্ষণ
- গৃহীত: ২৯ জানুয়ারি, ২০০০
- কার্যকর: ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০৩
- স্বাক্ষরিত হয়: মন্ট্রিল, কানাডা।
- ১৭৩টি দেশ অনুমোদন করেছে (২০২৪ পর্যন্ত)
- ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ সকল প্রধান দেশ এর সদস্য
- বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি যা GMO/LMO নিয়ন্ত্রণ করে
- এ চুক্তির মাধ্যমে Biosafety Clearing-House (BCH) প্রতিষ্ঠা হয়
- বাংলাদেশ স্বাক্ষর করে: ২০০০
- বাংলাদেশ অনুমোদন করে: ২০০৪
- প্রটোকলটি ১৯৯৯ সালে কলম্বিয়ার কার্টাগেনা শহরে স্বাক্ষরের কথা ছিল।
- ANZUS (Australia, New Zealand, United States Security Treaty) একটি ত্রিপাক্ষিক নিরাপত্তা চুক্তি, যা ১৯৫১ সালে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।
- এটি মূলত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য গঠিত হয়েছিল।
- চুক্তিটি ১৯৫২ সালের ২৯ এপ্রিল কার্যকর হয়।
- এর মূল উদ্দেশ্য ছিল সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা নিশ্চিত করা।
- ANZUS চুক্তি ১১টি ধারা নিয়ে গঠিত।
প্যারিস চুক্তির অপর নাম পিস অব প্যারিস। উপনিবেশ স্থাপন সংক্রান্ত বিষয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সাথে ইউরোপের অন্যান্য কয়েকটি সাম্রাজ্যবাদী দেশের দ্বন্দ্ব বিদ্যমান ছিল। ১৭৮৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর এই চুক্তির মাধ্যমে আমেরিকার বিপ্লবের সমাপ্তি হয়। এই চুক্তির একদিকে গ্রেট ব্রিটেন ও অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং স্পেন। ৩০ নভেম্বর, ১৭৮২ সালে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্যারিসের প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর পর ১৭৮৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চুক্তির সময় যুক্তরাজ্য অন্যান্য দেশ (ফ্রান্স, স্পেন ও ডাচ) - এর সাথে আলাদা আলাদা তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই মোট চারটি চুক্তিকে একত্রে “পিস অব প্যারিস” (Peace of Paris) বলে।

NPT -Treaty on the Non-Proliferation of Nuclear Weapons বা পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ চুক্তি পারমাণবিক অস্ত্রের প্রসার রোধের উদ্দেশ্যে একটি চুক্তিপত্র। ১৯৬৮ সালের ১ জুলাই এই চুক্তির সাক্ষরসূচনা। এই চুক্তিতে সাক্ষরকারী রাষ্ট্রপক্ষের সংখ্যা ১৮৯। তার মধ্যে পাঁচটি রাষ্ট্র পরমাণু শক্তিধর: যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও গণচীন.
- এটি ১৯৭০ সালের ৫ মার্চ কার্যকর হয়।
- এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১৯১ ।
- বাংলাদেশ NPT চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ১৯৭৯ সালে।


- ওয়ারশ চুক্তি সংস্থা বা ওয়ারশ প্যাক্ট হল একটি রাজনৈতিক ও সামরিক চুক্তি জোট যা ১৪ মে ১৯৫৫ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পূর্ব ইউরোপীয় কয়েকটি দেশের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়।
- মূলত সোভিয়েত ইউনিয়ন ন্যাটোর (NATO) বিকল্প সামরিক জোট হিসেবে ওয়ারশ চুক্তি জোট গঠন করে।
- পূর্ব ইউরোপের রাষ্ট্র পোল্যান্ডের বৃহত্তম শহর ও রাজধানী ওয়ারশ এর নাম অনুসারে চুক্তিটির নামকরণ করা হয়।
- ওয়ারশ চুক্তি, স্নায়ুযুদ্ধ (Cold War) চলাকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পূর্ব ইউরোপের আটটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত সম্মিলিত প্রতিরক্ষা চুক্তি।
- এটি ছিল Council for Mutual Economic Assistant or COMICON (কমিকন) এর সাথে সামরিক দিক দিয়ে সম্পূরক।
- "বেইজিং প্ল্যাটফর্ম ফর অ্যাকশন" ১৯৯৫ সালে চীনের বেইজিং শহরে অনুষ্ঠিত চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলনে গৃহীত হয়।
- এটি নারীর অধিকার ও লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক নীতিমালা।
- এই প্ল্যাটফর্মটি নারীর ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা প্রদান করে।
- এটি নারীর উন্নয়নের জন্য ১২টি "গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র" চিহ্নিত করে।
- এই সম্মেলনে ১৮৯টি দেশ অংশগ্রহণ করে এবং সর্বসম্মতিক্রমে "বেইজিং ডিক্লারেশন অ্যান্ড প্ল্যাটফর্ম ফর অ্যাকশন" গৃহীত হয়।
- এটি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবচেয়ে প্রগতিশীল নীতিমালা হিসেবে বিবেচিত।
- এটি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG)-এর লিঙ্গ সমতা বিষয়ক লক্ষ্য (SDG 5)-এর ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
- প্রতি পাঁচ বছর পরপর এর অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
- ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।
- এটি তার প্রথম নির্বাহী আদেশগুলোর একটি ছিল।
- এর আগে, ২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রকে প্যারিস চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করেছিলেন। তবে ২০২১ সালে জো বাইডেন ক্ষমতায় এসে যুক্তরাষ্ট্রকে আবার প্যারিস চুক্তিতে ফিরিয়ে আনেন।
- প্যারিস চুক্তি হলো একটি বৈশ্বিক জলবায়ু চুক্তি, যা ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত হয়।
- এর লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা।
- ট্রাম্প এই চুক্তিকে "যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্বার্থের পরিপন্থী" এবং "অন্যায্য" বলে অভিহিত করেন।
- তিনি যুক্তরাষ্ট্রের তেল ও গ্যাস শিল্পের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেন।
- ‘দ্য লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল’ (প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা) বরাবর সেনাবাহিনীর টহল দেওয়ার বিষয়ে একটা সমঝোতায় পৌঁছেছে ভারত ও চীন।
- রাশিয়ায় আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রওনা হওয়ার ঠিক আগে আগেই ২১ অক্টোবর ২০২৪ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘোষণা করে।
সূত্র- BBC
ANZUS হলো একটি সামরিক চুক্তি বা জোট। তিনটি দেশের সমন্বয়ে এই জোট গঠিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে কমিউনিজম আগ্রাসন রোধে ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৫১ সালে ANZUS গঠিত হয়। 
সদস্য দেশগুলো হলো:
- অস্ট্রেলিয়া
- নিউজিল্যান্ড
- যুক্তরাষ্ট্র।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- প্যারিস চুক্তিতে প্রথমবারের মতো বিশ্বের প্রায় সব দেশ গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমাতে একমত হয়।
- ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ১৯৩টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্যারিস চুক্তি করে।
- ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর এই চুক্তি কার্যকর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, শিল্পায়ন-পূর্ববর্তী যুগের পর থেকে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে চেষ্টা করবে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো।
- চুক্তির আরেকটি লক্ষ্য হলো, গাছ, মাটি ও সমুদ্র যতটা কার্বন শোষণ করতে পারে, ২০৫০ থেকে ২১০০ সালের মধ্যে কৃত্রিমভাবে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ সেই পর্যায়ে (নেট জিরো) নামিয়ে আনতে হবে।
- এ জন্য প্রতিটি দেশ নিজস্ব কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করবে এবং পাঁচ বছর পরপর তা পর্যালোচনা করবে।
- এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে গরিব দেশগুলোকে ধনী দেশগুলো ‘জলবায়ু তহবিল’ দিয়ে সাহায্য করবে।
- ২০২০ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকার সময়ে যুক্তরাষ্ট্র প্যারিস চুক্তি থেকে সরে যায়।
- ২০২১ সালের জানুয়ারিতেই আবার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তিতে ফিরিয়ে আনেন।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0