Solution
Correct Answer: Option D
- বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন 'চর্যাপদ' থেকে শুরু করে বর্তমান কাল পর্যন্ত গীতিকবিতার ধারা ও সচল।
- মধ্যযুগে বৈষ্ণব পদাবলীর মাধ্যমে বাংলা গীতিকবিতা ভাব ও রূপে এক অসাধারণ উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
- আধুনিক যুগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জসীমউদ্দীন, জীবনানন্দ দাশ প্রমুখ কবির হাত ধরে এই ধারা লাভ করেছে বিশ্ব এবং সর্বাধিক সমৃদ্ধি।
- গীতিকবিতার মধ্যে কবিহৃদয়ের বিশেষ কোন অনুভূতি, সঙ্গীতমাধুর্য সহকারে রূপায়িত হয়ে ওঠে। কবির ব্যক্তিগত অনুভূতি এর উপজীব্য, সঙ্গীতের ব্যঞ্জনা নিয়ে তার প্রকাশ।
- যে শ্রেণির কবিতায় কবির হৃদয়ের অনুভূতি বা একান্ত ব্যক্তিগত বাসনাকামনা ও আনন্দবেদনা প্রাণের অন্তস্তল থেকে আবেগকম্পিত সুরে অখণ্ড ভাবমূর্তিতে আত্মপ্রকাশ করে, তাকেই গীতিকবিতা বলে অভিহিত করা হয়।
- আন্তরিকতাপূর্ণ অনুভূতি, অবয়বের স্বল্পতা, সঙ্গীতমাধুর্য ও গতিস্বাচ্ছন্দ্য-এই কয়টি বৈশিষ্ট্য গীতিকবিতার মধ্যে বিদ্যমান।
- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, বক্তার ভাবোচ্ছ্বাসের পরিস্ফুটন মাত্র যার উদ্দেশ্য সেই কাব্যই গীতিকাব্য। হৃদয়ের অনুভূতি সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী নয় বলে তা অবলম্বনে লেখা গীতিকবিতাও দীর্ঘ আকারের হয় না।
- গীতিকবিতায় ভাববস্তু সংক্ষিপ্ত বা বিস্তৃত উভয় রূপই হতে পারে। আর একারণেই গীতিকবিতার আকার তথা দৈর্ঘ্য সম্পর্কে সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ অসম্ভব।