- রামায়ণের কাহিনী অবলম্বনে বীর রসের অমিত্রাক্ষর ছন্দে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য প্রভাবের সংমিশ্রণে মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত বাংলা সাহিত্যের সর্বপ্রথম, সর্বশ্রেষ্ঠ ও
সার্থক মহাকাব্য 'মেঘনাদবধ কাব্য' (১৮৬১)।
- ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লবের স্বাধীনতা মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে রাবণকে নায়ক ও রামকে খলনায়ক করে তিনি রচনা করেন এই অমর মহাকাব্য।
- বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ থেকে মেঘনাদ হত্যা, প্রমীলার চিতারোহণ পর্যন্ত নয় খণ্ডে মোট তিন দিন ও দুই রাতের ঘটনায় সম্পন্ন 'মেঘনাদবধ কাব্য'।
- এটি প্রথম ইংরেজিতে অনুবাদ করেন রাজনারায়ণ বসু। গ্রন্থটি উৎসর্গ করেন এটি মুদ্রণের ব্যয়বহনকারী রাজা দিগম্বর মিত্রকে।
- চরিত্র: রাবণ, মেঘনাদ, লক্ষ্মণ, রাম, প্রমীলা, বিভীষণ, সীতা।
অন্য অপশন-
- হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত দুই খণ্ডে বিভক্ত জনপ্রিয় আখ্যানকাব্য 'বৃত্রসংহার' (১ম খণ্ড- ১৮৭৫, ২য় খণ্ড- ১৮৭৭), যা মহাকাব্য হিসেবে পরিচিত।
- কায়কোবাদ রচিত মহাকাব্য 'মহাশশ্মশান' (১৯০৪)।
- মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রথম কাব্য: তিলোত্তমা সম্ভব কাব্য।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের-
- প্রথম নাটক: শর্মিষ্ঠা(১৮৫৯)।
- প্রথম কাব্য: তিলোত্তমা সম্ভব কাব্য(১৮৬০)।
- মহাকাব্য: মেঘনাদবধ কাব্য(১৮৬১)।
- শ্রেষ্ঠদান: অমিত্রাক্ষর ছন্দ।
♦ সাহিত্য স্বীকৃতি :
১.আধুনিক বাংলা কবিতার জনক
২.অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক।
৩.প্রথম সার্থক মহাকাব্য রচয়িতা।
৪.সার্থক প্রহসন রচয়িতা।
৫.সার্থক নাটক রচয়িতা।
৬.বাংলাভাষায় সনেটের প্রবর্তক।
♦ সাহিত্য কর্ম:
- মহাকাব্য: মেঘনাদবধ, তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য।
- গীতিকাব্য : বীরাঙ্গনা কাব্য,ব্রজাঙ্গনা কাব্য,চতুর্দশপদী কবিতাবলি।
- নাট্যগ্রন্থ : শর্মিষ্ঠা,পদ্মাবতী, কৃষ্ণকুমারী,মায়াকানন।
- প্রহসন :বুড়ো শালিকের ঘাঁরে রোঁ, একেই কি বলে সভ্যতা।
- গদ্যকাব্য : হেক্টর বধ
- ইংরেজি কাব্য: Captive lady, Vision of the past.