নাইন ড্যাশ লাইন কখন তৈরি হয়েছিল?

A ১৯৪৭ সালে

B ১৯৫০ সালে

C ১৯৬০ সালে

D ১৯৭০ সালে

Solution

Correct Answer: Option A

দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে উত্তেজনার শেষ নাই।বিশ্ব বাণিজ্যের প্রায় ৩০ ভাগ পরিচালিত হয় দক্ষিণ চীন সাগর বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগর দিয়ে। আর এই জন্যই চীন সাম্প্রতিক সময়ে মরিয়া হয়ে উঠেছে দক্ষিণ চীন সাগর কে নিজের কবলে রাখার জন্য। দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধের মূল কারণ হল নাইন ড্যাশ লাইন যার অপর নাম নাইন ডটস লাইন।চীন তার দক্ষিনে হাইনান প্রদেশে একটি বিন্দু বসিয়ে তা থেকে সোজা চলে এসে থাইল্যান্ড উপসাগরে আর একটি বিন্দু বসাই যা একটি U আকৃতির সৃষ্টি করে। এই লাইনটি সেশন ফিলিপাইন সাগরে এসে। মূলত এই লাইনের কারণে দক্ষিণ চীন সাগরের ৮০ ভাগ চীনের দখলে চলে আসে।
১৯৪৭ সালে চীনা ন্যাশনালিস্ট পার্টি ক্ষমতায় থাকার সময় এই লাইনটা ঠিক করে । তখন তারা এতে ১১ টি ডট ব্যবহার করে এবং এর নাম Eleven Dots Line(EDL) । এরপর ১৯৫০ সালের দিকে কমিউনিস্টরা ক্ষমতায় আসলে এর দুটি ডট কমিয়ে দেয় এবং নিজেদের প্রাধান্য বিস্তারের জন্য তার নামকরণ করে Nine Dots Line(NDL) কিন্তু এর সীমানা একই থাকে এবং বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। লুজন প্রণালী নিয়ে একটি বিরোধের নাম লুজন বিরোধ। এই লুজন প্রণালী ফিলিপাইন ও তাইওয়ানের মধ্যে অবস্থিত ২৫০ কিলোমিটার চওড়া একটি প্রণালী। এটা নিয়ে ফিলিপাইন চীন ও তার মধ্যে বিরোধ রয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থিত যে সকল দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে তীরবর্তী দেশ সমূহের মধ্যে বিরোধ রয়েছে সেগুলো হল----
১. স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জ(বিরোধ: চীন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ব্রুনাই ,তাইওয়ান)
২. প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জ(বিরোধ: চীন ,ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ,ব্রুনাই ,তাইওয়ান)
৩. নাতুনা দ্বীপপুঞ্জ(বিরোধ: ইন্দোনেশিয়া,চীন,তাইওয়ান)
৪. পালাওয়ান দ্বীপপুঞ্জ(বিরোধ: ফিলিপাইন,চীন ,তাইওয়ান)
৫. লুজন দ্বীপপুঞ্জ(বিরোধ: ফিলিপাইন, চীন ,তাইওয়ান)
৬. তাকেশিমা দ্বীপপুঞ্জ(বিরোধ: চীন, দক্ষিণ কোরিয়া)
৭. দিয়ায়ুটাল দ্বীপপুঞ্জ(বিরোধ: জাপান,চীন ,তাইওয়ান)
৮. পালমিরা দ্বীপপুঞ্জ(বিরোধ: চীন,ভিয়েতনাম,তাইওয়ান)
আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন(UNCLOS) অনুযায়ী একটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা হবে ২০০ নটিক্যাল মাইল এবং রাজনৈতিক সমুদ্র হবে ১২ নটিক্যাল মাইল এবং ভিত্তিরেখা থেকে একটি রাষ্ট্রের মহীসোপান হবে সর্বনিম্ন ২০০ নটিক্যাল মাইল এবং সর্বোচ্চ হবে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল। কিন্তু দক্ষিণ চীন সাগরে চীন যে নাইন ড্যাস লাইন স্থাপন করেছে তা আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন(UNCLOS) কে অমান্য করা হয়েছে, এ কারণে এই নাইন ড্যাস লাইন নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা হয়।‌ মামলার রায় প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালে এবং যেখানে নাইন ড্যাস লাইন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

Practice More Questions on Our App!

Download our app for free and access thousands of MCQ questions with detailed solutions