পৃথিবীর ভৌগোলিক তথ্য (112 টি প্রশ্ন )
ভিয়েতনামের সীমান্ত রেখা ১৭ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ (17th parallel north) বরাবর বিভক্ত করা হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, ১৯৫৪ সালের জেনেভা চুক্তি অনুসারে ভিয়েতনামকে সাময়িকভাবে দুটি অংশে ভাগ করা হয়েছিল: উত্তর ভিয়েতনাম এবং দক্ষিণ ভিয়েতনাম। এই বিভাজন রেখাটি ছিল ১৭ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ বরাবর।
দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের ফলে ভূস্তর জীবনের অনেক পরিবর্তন ঘটে এবং প্রধানত পর্বতমালা তৈরি হয়। কারণ দুইটি প্লেট একে অপরের দিকে ধাক্কা দিলে তাদের ভূত্বক উপরে উঠতে থাকে, যা পর্বত গঠনের শুরু।

- যখন দুটি প্লেট মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে, তখন তাদের মধ্যে প্রচুর চাপ সৃষ্টি হয়।
- এই চাপের ফলে ভূত্বকের এক অংশ উপরে উঠে গিয়েছে এবং পর্বতমালা গঠন হয়।
- উদাহরণ স্বরূপ, হিমালয় পর্বতমালা সৃষ্টি হয়েছে ভারতীয় প্লেট এবং ইউরেশীয় প্লেটের সংঘর্ষের ফলে।

অন্য অপশনগুলোর উল্লেখ করলে:
*মালভূমি* বলতে সাধারণত সমতল বা অভ্যন্তরীণ স্থল বুঝায়, যা প্লেট সংঘর্ষের ফল নয়, বরং প্লেট বিচ্ছিন্ন হওয়া বা লোড হওয়ার কারণে হতে পারে।
*সমভূমি* হলো সমতল ভূমি, যা আগ্নেয় বা প্লেট حرকের দ্বারাও সৃষ্টি হতে পারে, তবে প্রধানত প্লেট সংঘর্ষের ফলে নয়।
*উপত্যকা* সাধারণত তখন ঘটে যখন একটি প্লেট অন্যের নিচে স্লাইড করে (subduction zone) এবং সৃষ্ট উপভূমি নিম্নতলায় থাকে।

অতএব, টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের সবচেয়ে সাধারণ এবং সুপরিচিত ফলাফল হলো পর্বতমালা গঠন।
বারিমণ্ডলের উন্মুক্ত ও বিশাল জলরাশিকে মহাসাগর বলে। এর কারণ হলো:

- সাগর বলতে সাধারণত কোনো বড় জলরাশিকে বোঝানো হয় যা মহাসাগরের একটি অংশ হতে পারে অথবা উপকূলীয় দেশগুলোর কাছাকাছি অবস্থিত ছোট জলরাশি।
- মহাসাগর হল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং বিস্তৃত উন্মুক্ত জলরাশি, যা মহাদেশগুলোর মধ্যে অবস্থিত।
- হ্রদ হলো স্থলভাগের মধ্যে অবস্থিত ছোট বা মাঝারি জলরাশি, যা স্থির জল ধারণ করে, যেমন পাহাড়ের ঢালে বা থেকে গড়ে ওঠা জলাশয়।
- নদী হলো ভূমির উপর প্রবাহিত পানির জলস্রোত, যা শেষ পর্যন্ত সাগর বা মহাসাগরে মিলিত হয়।

সুতরাং, যখন প্রশ্নে “বারিমণ্ডলের উন্মুক্ত বিস্তীর্ণ জলরাশি” বলা হয়েছে, তখন এর অর্থ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও বিস্তৃত জলরাশি, যা হলো মহাসাগর। তাই সঠিক উত্তর হচ্ছে Option 2: মহাসাগর.
প্লাইস্টোসিন কাল হার্ড জীবাশ্ম এবং ভূতত্ত্বীয় প্রমাণ অনুসারে পৃ্থিবীর সাম্প্রতিক ভূতাত্ত্বিক যুগগুলোর মধ্যে একটি প্রধান সময়কেন্দ্র। এটি মূলত শেষ তুষারযুগ বা আইস এজ হিসেবেও পরিচিত। প্লাইস্টোসিন কাল:

- প্রায় ২,৫০০,০০০ বছর থেকে আনুমানিক ১১,৭০০ বছর আগ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
- এই সময়ে পৃথিবীর জলবায়ু অনেক পরিবর্তিত হয়, যা বারে বারে বর্ধিত তুষারাবৃত্তির (glaciation) ঘটনার সৃষ্টি করে।
- প্লাইস্টোসিনের সময় মানুষের প্রজাতির বিবর্তন ও প্রসার ঘটেছে এবং অনেক প্রাচীন প্রাণী যেমন ম্যামথ, সেভেকস সহ অনেক বড় স্তন্যপায়ী প্রাণী এই সময়ে বিস্মৃত হয়েছে।

উপরোক্ত তথ্য থেকে বোঝা যায়, ২৫,০০০ বছর পূর্বে প্লাইস্টোসিন কাল সক্রিয় ছিল, যা বর্তমানের অপশনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সঠিক উত্তর। অন্যদিকে ১০,০০০ বা ৫,০০০ বছর পূর্বের সময় প্লাইস্টোসিনের পরবর্তী যুগ হল হোলোসিন (Holocene)। অতএব, ২৫,০০০ বছর পূর্বে প্লাইস্টোসিন কাল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
বায়ুমণ্ডল হলো একটি গ্যাসীয় স্তর যা পৃথিবীকে চাদরের মতো ঘিরে রেখেছে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে এই গ্যাসীয় আবরণটি পৃথিবীর পৃষ্ঠের সাথে লেগে থাকে। এটি মূলত বিভিন্ন গ্যাসের মিশ্রণ, যার মধ্যে প্রধান উপাদানগুলো হলো:

- নাইট্রোজেন (প্রায় ৭৮%)
- অক্সিজেন (প্রায় ২১%)
- আর্গন, কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং অন্যান্য গ্যাস (প্রায় ১%)
- একটি ইসথমাস হল একটি সংকীর্ণ ভূমিখণ্ড যা দুটি বড় স্থলভাগকে সংযুক্ত করে এবং দুই পাশে পানি দ্বারা বেষ্টিত থাকে।
- উদাহরণ: পানামা ইসথমাস, যা উত্তর আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকাকে সংযুক্ত করেছে।
পৃথিবী পৃষ্ঠের অধিকাংশ অংশ জল দ্বারা আচ্ছাদিত, যা সামুদ্রিক ইকোসিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত। এই ইকোসিস্টেমগুলো মহাসাগর, সমুদ্র এবং সমুদ্রের উপকূলবর্তী এলাকাগুলো নিয়ে গঠিত এবং এগুলো পৃথিবীর মোট পৃষ্ঠের প্রায় ৭১% জুড়ে বিস্তৃত।

- সামুদ্রিক ইকোসিস্টেম পৃথিবীর বৃহত্তম ইকোসিস্টেম, যা মহাসাগর, সমুদ্র এবং সমুদ্রের উপকূলীয় এলাকা নিয়ে গঠিত।
- পৃথিবীর পৃষ্ঠের প্রায় ৭১% জল দ্বারা আচ্ছাদিত, যা প্রধানত সামুদ্রিক ইকোসিস্টেমের অংশ।
- এই ইকোসিস্টেম জীববৈচিত্র্য, আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ এবং কার্বন চক্রের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- সামুদ্রিক ইকোসিস্টেমে বিভিন্ন প্রকারের প্রাণী এবং উদ্ভিদ বাস করে, যা বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহের একটি বড় অংশ নিশ্চিত করে।

এই কারণে, সামুদ্রিক ইকোসিস্টেম পৃথিবীর অধিকাংশ পৃষ্ঠ জুড়ে বিদ্যমান এবং এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ।
- পেনাং হলো একটি প্রধান সমুদ্র বন্দর যা মালয়েশিয়ায় অবস্থিত।
- পেনাং মালয়েশিয়ার একটি রাজ্য এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
- এই বন্দরটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক গতিশীলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এখানে উল্লেখিত অপশনগুলোর মধ্যে, মালয়েশিয়া সঠিক উত্তর কারণ পেনাং সমুদ্র বন্দর মালয়েশিয়ার অংশ।
- ভৌগোলিক দৃষ্টিকোণ থেকে পৃথিবীর ভূমিরূপকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়।

এই তিনটি ভূমিরূপ হলো:
- পর্বত (Mountains): পৃথিবীর উচ্চতম ভূমিরূপ। এগুলো সাধারণত খাড়া ঢালযুক্ত এবং উচ্চতা অনেক বেশি। উদাহরণ: হিমালয়, আল্পস।
- মালভূমি (Plateaus): সমতল উচ্চভূমি যা চারপাশে খাড়া ঢাল দিয়ে ঘেরা। এগুলো সাধারণত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উঁচুতে অবস্থিত। উদাহরণ: দাক্ষিণাত্য মালভূমি, তিব্বত মালভূমি।
- সমভূমি (Plains): পৃথিবীর সমতল ভূমি যা কৃষিকাজ ও বসবাসের জন্য উপযোগী। উদাহরণ: গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র সমভূমি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
-প্রশান্ত মহাসাগর পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর। 
-এর আয়তন ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ বর্গ কি.মি.। 
-এটি দেখতে বৃহদাকার ত্রিভুজের মতো। 
-প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরতম স্থান মারিয়ানা ট্রেঞ্চ। 
-এর গভীরতা ১১০৩৩ মিটার (৩৬১৯৯ ফুট)। 
-এটি পৃথিবীর গভীরতম স্থান। 
 
অন্যদিকে,
-Dead Sea (মৃত সাগর) একটি লবণাক্ত হ্রদ। এর দৈর্ঘ্য ৬৭ কিলোমিটার, প্রস্থ ১৮ কিলোমিটার এবং গভীরতা ১,২৪০ ফুট।
- বৈকাল বিশ্বের গভীরতম হৃদ। এটি রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলে অবস্থিত। 
-লোহিত সাগর ভারত মহাসাগরের একটি অংশ বিশেষ। এটি এশিয়া ও আফ্রিকার মধ্যবর্তীস্থানে অবস্থিত।

বায়ুতে নাইট্রোজেন (৭৮.০২% ),
অক্সিজেন (২০.৭১% ),
আর্গন (০.৮০% ),
কার্বন ডাই-অক্সাইড (০.০৩% ),
নিয়ন (০.০০১৮% ),
হিলিয়াম (০.০০০৫% ),
ক্রিপ্টন (০.০০০১২% ),
জেনন (০.০০০০৯% ),
হাইড্রোজেন (০.০০০০৫% ),
মিথেন (০.০০০০২% ),

বায়ুমণ্ডলে ওজোনের পরিমাণ=o.ooo১%

এবং আরো নানাবিধি গ্যাসীয় উপাদান (০.৪৩৭৪২% ) । 

 


- দ্রাঘিমা (Longtitude): গ্রিনিচের মূল মধ্যরেখা থেকে পূর্বে বা পশ্চিমে যে কোন স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের দ্রাঘিমা বলা হয়।
- যদি গ্রিনিচের সময় এবং অন্য কোনো স্থানের সময় জানা থাকে তাহলে দুটি স্থানের সময়ের পার্থক্য অনুসারে প্রতি ৪ মিনিট সময়ের পার্থক্যে ১০ দ্রাঘিমার পার্থক্য ধরে ঐ স্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয় করা যায়।
- কোনো স্থান গ্রিনিচের পূর্বে হলে তার স্থানীয় সময় গ্রিনিচের সময় অপেক্ষা বেশি হবে এবং পশ্চিমে হলে স্থানীয় সময় গ্রিনিচের সময় থেকে কম হবে।
- ঢাকা থেকে পূর্বদিকে অবস্থিত একটি স্থানের সাথে দ্রাঘিমার পার্থক্য ৪৫° ।

সুতরাং সময়ের পার্থক্য = ৪৫° ×৪ মিনিট = ১৮০ মিনিট বা ৩ ঘণ্টা।
স্থানটি ঢাকা থেকে পূর্বদিকে হওয়ায় সময় বাড়বে।
স্থানটির স্থানীয় সময়= ঢাকার সময় + ৩ ঘণ্টা
                        = মধ্যাহ্ন ১২:০০ + ৩ ঘণ্টা
                        = বিকাল ৩:০০ টা।
- ভূপৃষ্ঠে বিভিন্ন আয়তনের মোট ২৭টি পাত বা প্লেটের সন্ধান পাওয়া গেছে।
- এদের মধ্যে ৭টি বৃহৎ এবং ২০টি ক্ষুদ্র আকৃতির প্লেট রয়েছে।
- ৭টি বৃহৎ প্লেটসমূহ হলো-
(১) প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেট,
(২) ইউরেশিয়া প্লেট,
(৩) অস্ট্রেলিয়া প্লেট,
(৪) উত্তর আমেরিকান প্লেট,
(৫) দক্ষিণ আমেরিকান প্লেট,
(৬) আফ্রিকান প্লেট এবং
(৭) অ্যান্টার্কটিকা প্লেট।

- অপ্রধান প্লেটসমূহের মধ্যে ভারতীয় প্লেট অন্যতম।
- ভারতীয় টেকটনিক প্লেটের ইউরেশীয় প্লেটের নিচে অধোগমন দ্বারা উত্থিত হওয়ায়, হিমালয় পর্বতমালা ২,৪০০ কিলোমিটার (১,৫০০ মাইল) দীর্ঘ একটি দুর্গম পথ ধরে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম থেকে পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বিস্তৃত হয়েছে।
- এর উল্লেখযোগ্য পর্বত শৃঙ্গের মধ্যে একটি হলো মাউন্ট এভারেস্ট, যা পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া (৮৮৪৮ মিটার)।
- ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি যে স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে তাপমাত্রা হ্রাস পায়, তাকে ট্রপোস্ফিয়ার বলে।
- এটি বায়ুমন্ডলের সর্বনিম্ন স্তর। জীবজগতের জন্য এ স্তর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- এ স্তরের গড় গভীরতা ১২ কি.মি।
- এ স্তরে বায়ুর ঘনত্ব বেশি থাকে।
- আবহাওয়া ও জলবায়ুর দিক থেকেও এ স্তর গুরুত্বপূর্ণ।
- এ স্তরে জলীয়বাষ্প ও ধূলিকণা অশান্ত বায়ুর সাথে মিলিত হয়ে মেঘ ও ঝড়ের সৃষ্টি করে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটায়।
- ঝড় ও আবহাওয়ার পরিবর্তন এ ট্রপোমন্ডলেই সীমাবদ্ধ।
- এজন্য কখনো কখনো এ মন্ডলকে আবহাওয়া মন্ডল নামেও অভিহিত করা হয়।
- ট্রপোস্ফিয়ারে অর্থাৎ নিম্ন বায়ুমন্ডলে প্রতি কিলোমিটারে ৬.৪° সেলসিয়াস বা প্রতি হাজার ফুটে ৩.৫° ফা. হারে বায়ুর তাপমাত্রা হ্রাস পায়।
- বায়ুর তাপমাত্রা হ্রাসের এ হারকে পরিবেশগত তাপ হ্রাস হার (Environmental lapse rate) বা স্বাভাবিক তাপ হ্রাস হার (Normal lapse rate) বলে।
- নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে ঐ স্থানের অক্ষাংশ বলে।
- নিরক্ষরেখার উত্তর দিকে অবস্থিত কোনো স্থানের উত্তর অক্ষাংশ এবং দক্ষিণ দিকে অবস্থিত কোনো স্থানের অক্ষাংশকে দক্ষিণ অক্ষাংশ বলে।
- নিরক্ষরেখার অক্ষাংশ ০°; উত্তর মেরু বা সুমেরুর অক্ষাংশ ৯০° উত্তর এবং দক্ষিণ মেরু বা কুমেরুর অক্ষাংশ ৯০° দক্ষিণ।
- কোমল পাললিক শিলায় ভাঁজ পড়ে যে পর্বত গঠিত হয়েছে, তাকে ভঙ্গিল পর্বত বলে।
এর প্রধান বৈশিষ্ট্য— ভাঁজ। 

 ভঙ্গিল পর্বত গুলো হচ্ছেঃ  
- এশিয়ার হিমালয়,
- ইউরোপের আল্পস,
- উত্তর আমেরিকার রকি,
- দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ পর্বত।
- ব্ল্যাক ফরেস্ট (Black Forest), যা জার্মান ভাষায় Schwarzwald নামে পরিচিত, জার্মানির দক্ষিণ-পশ্চিমে বাডেন-ভুর্টেমবার্গ (Baden-Württemberg) রাজ্যে অবস্থিত।
- এটি একটি বিখ্যাত বনাঞ্চল এবং পর্বতমালা, যা রাইন উপত্যকার পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে বিস্তৃত।
- ব্ল্যাক ফরেস্টের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হলো ফেল্ডবার্গ (Feldberg), যার উচ্চতা ১,৪৯৩ মিটার।
- এটি কুকুর ঘড়ি (Cuckoo Clocks), হাইকিং, এবং স্কিইং-এর জন্য বিখ্যাত।

পানির প্রবাহের (flow rate) হিসাবে বিশ্বের বৃহত্তম জলপ্রপাত হলো ইংগা ফলস (Inga Falls)। এটি কঙ্গো নদীতে অবস্থিত এবং এর আনুমানিক প্রবাহ হার প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ২৫,৭৬৮.৩৩ ঘনমিটার। এটি কঙ্গো নদীর প্রায় ৩০% পানি প্রবাহকে ডাইভার্ট করে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।

পৃথিবীর বৃহত্তম:
বৃহত্তম প্রাণী- নীল তিমি
বৃহত্তম প্রাসাদ- ভ্যাটিকান, ইতালি
বৃহত্তম উপ-দ্বীপ- আরব উপদ্বীপ
বৃহত্তম দ্বীপপুঞ্জ - মালয় দ্বীপপুঞ্জ
বৃহত্তম জলপ্রপাত- নায়াগ্রা (আয়তনে)
বৃহত্তম জলপ্রপাত- ইংগা ফলস (পানি প্রবাহে)
বৃহত্তম দিন- ২১ জুন (উত্তর গোলার্ধে)
বৃহত্তম রাত- ২২ ডিসেম্বর (উত্তর গোলার্ধে)
বৃহত্তম বনাঞ্চল- তৈগা
বৃহত্তম সাগর (স্থল বেষ্টিত)- ভূ-মধ্য সাগর
বৃহত্তম শহর (লোকসংখ্যায়)- টোকিও, জাপান
বৃহত্তম মহাসাগর- প্রশান্ত মহাসাগর
বৃহত্তম উপসাগর (গালফ)- মেক্সিকো উপসাগর
বৃহত্তম উপসাগর (বে)- বঙ্গোপসাগর
বৃহত্তম দ্বীপ- গ্রিনল্যান্ড
বৃহত্তম পাখি- উট পাখি


- 'দোকদো' দ্বীপটি জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে একটি বিতর্কিত দ্বীপ।
- জাপান এই দ্বীপটিকে 'তাকেশিমা' (Takeshima) নামে ডাকে।
- দক্ষিণ কোরিয়া এই দ্বীপটিকে 'দোকদো' (Dokdo) নামে ডাকে।
- এই দ্বীপটি জাপান সাগর (Sea of Japan) এ অবস্থিত।
- এই দ্বীপটি নিয়ে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।
- দুটি দেশই এই দ্বীপের ওপর তাদের সার্বভৌমত্ব দাবি করে।
- দক্ষিণ কোরিয়া বর্তমানে এই দ্বীপটি নিয়ন্ত্রণ করে।
- জাপান এই দ্বীপটিকে তাদের অংশ হিসেবে দাবি করে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ স্তরগুলি উপর থেকে নীচের দিকে এবং তাদের তাপমাত্রা নিম্নরূপ:

1. ভূ-ত্বক (Crust)
- সবচেয়ে উপরের স্তর
- পুরুত্ব: 5-70 কিমি
- তাপমাত্রা: 200-400°C
- এখানে আমরা বাস করি

2. ম্যান্টল (Mantle)
- ভূ-ত্বকের নীচের স্তর
- পুরুত্ব: 2900 কিমি
- তাপমাত্রা: 400-4000°C
- গলিত শিলার স্তর

3. বহির্নিউক্লিয়াস (Outer Core)
- ম্যান্টলের নীচের স্তর
- পুরুত্ব: 2200 কিমি
- তাপমাত্রা: 4000-5000°C
- তরল অবস্থায় থাকে

4. অন্তঃনিউক্লিয়াস (Inner Core)
- সবচেয়ে গভীরের স্তর
- পুরুত্ব: 1250 কিমি
- তাপমাত্রা: 5000-6000°C
- কঠিন অবস্থায় থাকে
- পৃথিবী নিজ অক্ষের চারদিকে ঘুরছে, যাকে আমরা আহ্নিক গতি বলি। এই আহ্নিক গতির ফলে পৃথিবীর উপর কেন্দ্রাতিগ বল সৃষ্টি হয়।

- কেন্দ্রাতিগ বল পৃথিবীর ভূমধ্যরেখায় সবচেয়ে বেশি এবং মেরুতে সবচেয়ে কম।

- এই বলের প্রভাবে পৃথিবীর ভূমধ্যরেখা বেশি ফুলে উঠে এবং মেরু চাপা হয়ে যায়, যার ফলে পৃথিবী একটি অভিগত গোলক আকার ধারণ করে।
• পৃথিবীর আকৃতি পুরোপুরি গোলাকার নয়, বরং এটি একটি অভিগত গোলক।
• পৃথিবীর ভূমধ্যরেখার ব্যাস মেরুর ব্যাসের চেয়ে প্রায় 43 কিলোমিটার বেশি।
• পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফলে দিন-রাতের পরিবর্তন হয়।
- পৃথিবী নিখুঁত গোলক নয়, বরং মেরু অঞ্চলে সামান্য চ্যাপ্টা এবং নিরক্ষীয় অঞ্চলে সামান্য স্ফীত। এই কারণে, নিরক্ষীয় ব্যাস (প্রায় ১২,৭৫৬ কিমি) মেরু ব্যাস (প্রায় ১২,৭১৪ কিমি) থেকে সামান্য বড়।
- এই দুই ব্যাসের পার্থক্য প্রায় ৪২ কিমি।

কারণ:
- পৃথিবীর আবর্তন গতি
- অভিকর্ষ বল
- কেন্দ্রাতিগ বল

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- বিষুবরেখায় পৃথিবীর আবর্তন গতি সর্বাধিক
- এই গতির কারণে মধ্যরেখায় ফোলা
- মেরুতে আবর্তন গতি কম বলে চ্যাপ্টা


পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি: জিওয়েড (Geoid)
1. মূল বৈশিষ্ট্য:
- উত্তর-দক্ষিণে চ্যাপ্টা
- মধ্যরেখা বা বিষুবরেখার কাছে ফোলা
- কমলালেবুর মতো আকৃতি

2. প্রমাণসমূহ:
- বিষুবীয় ব্যাস: 12,756 কিমি
- মেরু ব্যাস: 12,714 কিমি
- পার্থক্য: 42 কিমি

3. কারণ:
- পৃথিবীর আবর্তন গতি
- অভিকর্ষ বল
- কেন্দ্রাতিগ বল

4. গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- বিষুবরেখায় পৃথিবীর আবর্তন গতি সর্বাধিক
- এই গতির কারণে মধ্যরেখায় ফোলা
- মেরুতে আবর্তন গতি কম বলে চ্যাপ্টা

সঠিক উত্তর C) উত্তর-দক্ষিণে চ্যাপ্টা এবং মধ্যরেখায় ফোলা কারণ:
- এটি পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি (জিওয়েড)
- বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত
- পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলে এই আকৃতি
- মহাকাশ থেকে তোলা ছবিতেও এই আকৃতি দেখা যায়

অন্য অপশন গুলি ভুল কারণ:
- A) পূর্ণ গোলাকার: পৃথিবী পূর্ণ গোলাকার নয়
- B) চ্যাপ্টা গোলাকার: শুধু চ্যাপ্টা নয়, মধ্যরেখায় ফোলাও
- D) পূর্ব-পশ্চিমে চ্যাপ্টা: পৃথিবী পূর্ব-পশ্চিমে চ্যাপ্টা নয়
- ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ধারনের জন্য বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহ্নত স্কেলের নাম রিখতার স্কেল।
- সিসমোগ্রাফ থেকে পাওয়া তথ্য এবং রেখাচিত্র বিশ্লেষণ করে গাণিতিকভাবে ভূমিকম্পকে মাপা হয় রিখটার স্কেলের মাধ্যমে।
- রিখটার স্কেলে ০-১০ মাত্রা পর্যন্ত ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপা যায়।
- চার্লস এফ রিখটার ১৯৩৫ সালে রিখটার স্কেল উদ্ভাবন করেন। 
- এটি একটি ১০-ভিত্তির লগারিদমীয় পরিমাপ।
- ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থাকে সংক্ষেপে বলা হয় জিআইএস (GIS- Geographic Information System)। 
- এটি কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থা যার মধ্য দিয়ে ভৌগোলিক তথ্যগুলোর সংরক্ষন, বিশ্লেষণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্থানিক ও পারিসরিক সমস্যা চিহ্নিতকরণ, মানচিত্রায়ণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করে থাকে। 
- রজার টমলিনসন সর্বপ্রথম ১৯৬৮ সালে জিআইএস কথাটি ব্যবহার করেন। এজন্য তাকে জিআইএসের জনক বলা হয়।
- GIS সর্বপ্রথম কানাডা ব্যবহার করে। 

- পৃথিবীর মানচিত্রে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য পূর্ব-পশ্চিমে এবং উত্তর- দক্ষিণে কতকগুলো কাল্পনিক রেখা অঙ্কন করা হয়। এগুলোকে যথাক্রমে অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখা বলে।
- দুই মেরু থেকে সমান দূরত্বে পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে যে রেখা কল্পনা করা হয় তাকে নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা বলে ।
- নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা (ইকুয়েটর) হ'ল পৃথিবী পৃষ্ঠের দীর্ঘতম কাল্পনিক রেখা।
- পৃথিবী গোলাকৃতির জন্য এ রেখা বৃত্তাকার। এটি নিরক্ষবৃত্ত, মহাবৃত্ত, গুরুবৃত্ত প্রভৃতি নামেও পরিচিত।
- এই কাল্পনিক রেখাটির দৈর্ঘ্য ৪০,০৭৫ কিলোমিটার (২৪,৯০১ মাইল) যা পৃথিবীকে উত্তর গোলার্ধ এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ভাগ করেছে।
- নিরক্ষরেখা পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণে সমান দুই ভাগে ভাগ করেছে। নিরক্ষরেখার উত্তর দিকের পৃথিবীর অর্ধেককে উত্তর গোলার্ধ এবং দক্ষিণ দিকের অর্ধেককে দক্ষিণ গোলার্ধ বলা হয়।
- নিরক্ষরেখার ৭৮.৮% জলের মধ্যে এবং ২১.৩% স্থলভাগে কল্পনা করা হয়েছে।
- নিরক্ষরেখার সাহায্যে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্ব নির্ণয় করা হয়। পৃথিবীর বৃত্তের মোট পরিধি হলো ৩৬০° ।
-
- তাপমন্ডলের বিস্তৃতি ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে ৮০ কি.মি. থেকে ৫০০ কি.মি. এর মধ্যে। রকেটও এ স্তর দিয়ে চলাচল করে।
- তাপমন্ডলের নিচের অংশ আয়নমন্ডল নামে পরিচিত যেখানে পৃথিবী থেকে প্রেরিত বেতার তরঙ্গ বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরে আসে।
- পৃথিবীর দিকে ধেয়ে উল্কাপিণ্ড এই স্তরেই পুড়ে যায়। এটি বায়ুমন্ডলের চতুর্থ স্তর।
- মহাকাশে পাঠানো স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহসমূহ তাপমন্ডলে অবস্থান করে।

স্তর                     -        গড় পুরুত্ব 

ভূ-ত্বক                 -        ২০ কি.মি.
মহাদেশীয় তলদেশ   -       ৩৫ কি.মি.
সমুদ্র তলদেশ         -       ০৫ কি.মি.
- নিরক্ষরেখাকে ডিগ্রি, মিনিট ও সেকেন্ডে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগবিন্দুর উপর দিয়ে উত্তর হতে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত কল্পিত রেখাই দ্রাঘিমাে রেখা।

বৈশিষ্ট্য: 
- দ্রঘিমা রেখাগুলো পৃথিবীর পরিথির অর্ধেকের সমান।
- দ্রাঘিমারেখার ১ ডিগ্রি ব্যবধানে পৃথিবীর সময়ের পার্থক্য ৪ মিনিট।
- দ্রাঘিমা রেখা কোনো স্থানের সময় সম্পর্কে ধারনা প্রদান করে।
- মূলমধ্য রেখার ডানে বা পূর্বে গেলে সময় বাড়ে এবং বামে বা পশ্চিমে গেলে সময় কমে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- পৃথিবী নিজ অক্ষের চারদিকে ঘুরছে, যাকে আমরা আহ্নিক গতি বলি। এই আহ্নিক গতির ফলে পৃথিবীর উপর কেন্দ্রাতিগ বল সৃষ্টি হয়।

- কেন্দ্রাতিগ বল পৃথিবীর ভূমধ্যরেখায় সবচেয়ে বেশি এবং মেরুতে সবচেয়ে কম।

- এই বলের প্রভাবে পৃথিবীর ভূমধ্যরেখা বেশি ফুলে উঠে এবং মেরু চাপা হয়ে যায়, যার ফলে পৃথিবী একটি অভিগত গোলক আকার ধারণ করে।
  • পৃথিবীর আকৃতি পুরোপুরি গোলাকার নয়, বরং এটি একটি অভিগত গোলক।
  • পৃথিবীর ভূমধ্যরেখার ব্যাস মেরুর ব্যাসের চেয়ে প্রায় 43 কিলোমিটার বেশি।
  • পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফলে দিন-রাতের পরিবর্তন হয়।

সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0