Loading [MathJax]/jax/output/HTML-CSS/fonts/TeX/fontdata.js
 
পৃথিবীর ভৌগোলিক তথ্য (100 টি প্রশ্ন )
- দ্রাঘিমা (Longtitude): গ্রিনিচের মূল মধ্যরেখা থেকে পূর্বে বা পশ্চিমে যে কোন স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের দ্রাঘিমা বলা হয়।
- যদি গ্রিনিচের সময় এবং অন্য কোনো স্থানের সময় জানা থাকে তাহলে দুটি স্থানের সময়ের পার্থক্য অনুসারে প্রতি ৪ মিনিট সময়ের পার্থক্যে ১০ দ্রাঘিমার পার্থক্য ধরে ঐ স্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয় করা যায়।
- কোনো স্থান গ্রিনিচের পূর্বে হলে তার স্থানীয় সময় গ্রিনিচের সময় অপেক্ষা বেশি হবে এবং পশ্চিমে হলে স্থানীয় সময় গ্রিনিচের সময় থেকে কম হবে।
- ঢাকা থেকে পূর্বদিকে অবস্থিত একটি স্থানের সাথে দ্রাঘিমার পার্থক্য ৪৫° ।

সুতরাং সময়ের পার্থক্য = ৪৫° ×৪ মিনিট = ১৮০ মিনিট বা ৩ ঘণ্টা।
স্থানটি ঢাকা থেকে পূর্বদিকে হওয়ায় সময় বাড়বে।
স্থানটির স্থানীয় সময়= ঢাকার সময় + ৩ ঘণ্টা
                        = মধ্যাহ্ন ১২:০০ + ৩ ঘণ্টা
                        = বিকাল ৩:০০ টা।
- ভূপৃষ্ঠে বিভিন্ন আয়তনের মোট ২৭টি পাত বা প্লেটের সন্ধান পাওয়া গেছে।
- এদের মধ্যে ৭টি বৃহৎ এবং ২০টি ক্ষুদ্র আকৃতির প্লেট রয়েছে।
- ৭টি বৃহৎ প্লেটসমূহ হলো-
(১) প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেট,
(২) ইউরেশিয়া প্লেট,
(৩) অস্ট্রেলিয়া প্লেট,
(৪) উত্তর আমেরিকান প্লেট,
(৫) দক্ষিণ আমেরিকান প্লেট,
(৬) আফ্রিকান প্লেট এবং
(৭) অ্যান্টার্কটিকা প্লেট।

- অপ্রধান প্লেটসমূহের মধ্যে ভারতীয় প্লেট অন্যতম।
- ভারতীয় টেকটনিক প্লেটের ইউরেশীয় প্লেটের নিচে অধোগমন দ্বারা উত্থিত হওয়ায়, হিমালয় পর্বতমালা ২,৪০০ কিলোমিটার (১,৫০০ মাইল) দীর্ঘ একটি দুর্গম পথ ধরে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম থেকে পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বিস্তৃত হয়েছে।
- এর উল্লেখযোগ্য পর্বত শৃঙ্গের মধ্যে একটি হলো মাউন্ট এভারেস্ট, যা পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া (৮৮৪৮ মিটার)।
- ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি যে স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে তাপমাত্রা হ্রাস পায়, তাকে ট্রপোস্ফিয়ার বলে।
- এটি বায়ুমন্ডলের সর্বনিম্ন স্তর। জীবজগতের জন্য এ স্তর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- এ স্তরের গড় গভীরতা ১২ কি.মি।
- এ স্তরে বায়ুর ঘনত্ব বেশি থাকে।
- আবহাওয়া ও জলবায়ুর দিক থেকেও এ স্তর গুরুত্বপূর্ণ।
- এ স্তরে জলীয়বাষ্প ও ধূলিকণা অশান্ত বায়ুর সাথে মিলিত হয়ে মেঘ ও ঝড়ের সৃষ্টি করে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটায়।
- ঝড় ও আবহাওয়ার পরিবর্তন এ ট্রপোমন্ডলেই সীমাবদ্ধ।
- এজন্য কখনো কখনো এ মন্ডলকে আবহাওয়া মন্ডল নামেও অভিহিত করা হয়।
- ট্রপোস্ফিয়ারে অর্থাৎ নিম্ন বায়ুমন্ডলে প্রতি কিলোমিটারে ৬.৪° সেলসিয়াস বা প্রতি হাজার ফুটে ৩.৫° ফা. হারে বায়ুর তাপমাত্রা হ্রাস পায়।
- বায়ুর তাপমাত্রা হ্রাসের এ হারকে পরিবেশগত তাপ হ্রাস হার (Environmental lapse rate) বা স্বাভাবিক তাপ হ্রাস হার (Normal lapse rate) বলে।
- নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে ঐ স্থানের অক্ষাংশ বলে।
- নিরক্ষরেখার উত্তর দিকে অবস্থিত কোনো স্থানের উত্তর অক্ষাংশ এবং দক্ষিণ দিকে অবস্থিত কোনো স্থানের অক্ষাংশকে দক্ষিণ অক্ষাংশ বলে।
- নিরক্ষরেখার অক্ষাংশ ০°; উত্তর মেরু বা সুমেরুর অক্ষাংশ ৯০° উত্তর এবং দক্ষিণ মেরু বা কুমেরুর অক্ষাংশ ৯০° দক্ষিণ।
- কোমল পাললিক শিলায় ভাঁজ পড়ে যে পর্বত গঠিত হয়েছে, তাকে ভঙ্গিল পর্বত বলে।
এর প্রধান বৈশিষ্ট্য— ভাঁজ। 

 ভঙ্গিল পর্বত গুলো হচ্ছেঃ  
- এশিয়ার হিমালয়,
- ইউরোপের আল্পস,
- উত্তর আমেরিকার রকি,
- দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ পর্বত।
- ব্ল্যাক ফরেস্ট (Black Forest), যা জার্মান ভাষায় Schwarzwald নামে পরিচিত, জার্মানির দক্ষিণ-পশ্চিমে বাডেন-ভুর্টেমবার্গ (Baden-Württemberg) রাজ্যে অবস্থিত।
- এটি একটি বিখ্যাত বনাঞ্চল এবং পর্বতমালা, যা রাইন উপত্যকার পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে বিস্তৃত।
- ব্ল্যাক ফরেস্টের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হলো ফেল্ডবার্গ (Feldberg), যার উচ্চতা ১,৪৯৩ মিটার।
- এটি কুকুর ঘড়ি (Cuckoo Clocks), হাইকিং, এবং স্কিইং-এর জন্য বিখ্যাত।
পৃথিবীর বৃহত্তম:
বৃহত্তম প্রাণী- নীল তিমি
বৃহত্তম প্রাসাদ- ভ্যাটিকান, ইতালি
বৃহত্তম উপ-দ্বীপ- আরব উপদ্বীপ
বৃহত্তম দ্বীপপুঞ্জ - মালয় দ্বীপপুঞ্জ
বৃহত্তম জলপ্রপাত- নায়াগ্রা (আয়তনে)
বৃহত্তম জলপ্রপাত- ওয়ারিয়া (পানি প্রবাহে)
বৃহত্তম দিন- ২১ জুন (উত্তর গোলার্ধে)
বৃহত্তম রাত- ২২ ডিসেম্বর (উত্তর গোলার্ধে)
বৃহত্তম বনাঞ্চল- তৈগা
বৃহত্তম সাগর (স্থল বেষ্টিত)- ভূ-মধ্য সাগর
বৃহত্তম শহর (লোকসংখ্যায়)- টোকিও, জাপান
বৃহত্তম মহাসাগর- প্রশান্ত মহাসাগর
বৃহত্তম উপসাগর (গালফ)- মেক্সিকো উপসাগর
বৃহত্তম উপসাগর (বে)- বঙ্গোপসাগর
বৃহত্তম দ্বীপ- গ্রিনল্যান্ড
বৃহত্তম পাখি- উট পাখি
- 'দোকদো' দ্বীপটি জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে একটি বিতর্কিত দ্বীপ।
- জাপান এই দ্বীপটিকে 'তাকেশিমা' (Takeshima) নামে ডাকে।
- দক্ষিণ কোরিয়া এই দ্বীপটিকে 'দোকদো' (Dokdo) নামে ডাকে।
- এই দ্বীপটি জাপান সাগর (Sea of Japan) এ অবস্থিত।
- এই দ্বীপটি নিয়ে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।
- দুটি দেশই এই দ্বীপের ওপর তাদের সার্বভৌমত্ব দাবি করে।
- দক্ষিণ কোরিয়া বর্তমানে এই দ্বীপটি নিয়ন্ত্রণ করে।
- জাপান এই দ্বীপটিকে তাদের অংশ হিসেবে দাবি করে।
পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ স্তরগুলি উপর থেকে নীচের দিকে এবং তাদের তাপমাত্রা নিম্নরূপ:

1. ভূ-ত্বক (Crust)
- সবচেয়ে উপরের স্তর
- পুরুত্ব: 5-70 কিমি
- তাপমাত্রা: 200-400°C
- এখানে আমরা বাস করি

2. ম্যান্টল (Mantle)
- ভূ-ত্বকের নীচের স্তর
- পুরুত্ব: 2900 কিমি
- তাপমাত্রা: 400-4000°C
- গলিত শিলার স্তর

3. বহির্নিউক্লিয়াস (Outer Core)
- ম্যান্টলের নীচের স্তর
- পুরুত্ব: 2200 কিমি
- তাপমাত্রা: 4000-5000°C
- তরল অবস্থায় থাকে

4. অন্তঃনিউক্লিয়াস (Inner Core)
- সবচেয়ে গভীরের স্তর
- পুরুত্ব: 1250 কিমি
- তাপমাত্রা: 5000-6000°C
- কঠিন অবস্থায় থাকে

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- পৃথিবী নিজ অক্ষের চারদিকে ঘুরছে, যাকে আমরা আহ্নিক গতি বলি। এই আহ্নিক গতির ফলে পৃথিবীর উপর কেন্দ্রাতিগ বল সৃষ্টি হয়।

- কেন্দ্রাতিগ বল পৃথিবীর ভূমধ্যরেখায় সবচেয়ে বেশি এবং মেরুতে সবচেয়ে কম।

- এই বলের প্রভাবে পৃথিবীর ভূমধ্যরেখা বেশি ফুলে উঠে এবং মেরু চাপা হয়ে যায়, যার ফলে পৃথিবী একটি অভিগত গোলক আকার ধারণ করে।
• পৃথিবীর আকৃতি পুরোপুরি গোলাকার নয়, বরং এটি একটি অভিগত গোলক।
• পৃথিবীর ভূমধ্যরেখার ব্যাস মেরুর ব্যাসের চেয়ে প্রায় 43 কিলোমিটার বেশি।
• পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফলে দিন-রাতের পরিবর্তন হয়।
- পৃথিবী নিখুঁত গোলক নয়, বরং মেরু অঞ্চলে সামান্য চ্যাপ্টা এবং নিরক্ষীয় অঞ্চলে সামান্য স্ফীত। এই কারণে, নিরক্ষীয় ব্যাস (প্রায় ১২,৭৫৬ কিমি) মেরু ব্যাস (প্রায় ১২,৭১৪ কিমি) থেকে সামান্য বড়।
- এই দুই ব্যাসের পার্থক্য প্রায় ৪২ কিমি।

কারণ:
- পৃথিবীর আবর্তন গতি
- অভিকর্ষ বল
- কেন্দ্রাতিগ বল

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- বিষুবরেখায় পৃথিবীর আবর্তন গতি সর্বাধিক
- এই গতির কারণে মধ্যরেখায় ফোলা
- মেরুতে আবর্তন গতি কম বলে চ্যাপ্টা


পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি: জিওয়েড (Geoid)
1. মূল বৈশিষ্ট্য:
- উত্তর-দক্ষিণে চ্যাপ্টা
- মধ্যরেখা বা বিষুবরেখার কাছে ফোলা
- কমলালেবুর মতো আকৃতি

2. প্রমাণসমূহ:
- বিষুবীয় ব্যাস: 12,756 কিমি
- মেরু ব্যাস: 12,714 কিমি
- পার্থক্য: 42 কিমি

3. কারণ:
- পৃথিবীর আবর্তন গতি
- অভিকর্ষ বল
- কেন্দ্রাতিগ বল

4. গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- বিষুবরেখায় পৃথিবীর আবর্তন গতি সর্বাধিক
- এই গতির কারণে মধ্যরেখায় ফোলা
- মেরুতে আবর্তন গতি কম বলে চ্যাপ্টা

সঠিক উত্তর C) উত্তর-দক্ষিণে চ্যাপ্টা এবং মধ্যরেখায় ফোলা কারণ:
- এটি পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি (জিওয়েড)
- বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত
- পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলে এই আকৃতি
- মহাকাশ থেকে তোলা ছবিতেও এই আকৃতি দেখা যায়

অন্য অপশন গুলি ভুল কারণ:
- A) পূর্ণ গোলাকার: পৃথিবী পূর্ণ গোলাকার নয়
- B) চ্যাপ্টা গোলাকার: শুধু চ্যাপ্টা নয়, মধ্যরেখায় ফোলাও
- D) পূর্ব-পশ্চিমে চ্যাপ্টা: পৃথিবী পূর্ব-পশ্চিমে চ্যাপ্টা নয়
- ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ধারনের জন্য বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহ্নত স্কেলের নাম রিখতার স্কেল।
- সিসমোগ্রাফ থেকে পাওয়া তথ্য এবং রেখাচিত্র বিশ্লেষণ করে গাণিতিকভাবে ভূমিকম্পকে মাপা হয় রিখটার স্কেলের মাধ্যমে।
- রিখটার স্কেলে ০-১০ মাত্রা পর্যন্ত ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপা যায়।
- চার্লস এফ রিখটার ১৯৩৫ সালে রিখটার স্কেল উদ্ভাবন করেন। 
- এটি একটি ১০-ভিত্তির লগারিদমীয় পরিমাপ।
- ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থাকে সংক্ষেপে বলা হয় জিআইএস (GIS- Geographic Information System)। 
- এটি কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থা যার মধ্য দিয়ে ভৌগোলিক তথ্যগুলোর সংরক্ষন, বিশ্লেষণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্থানিক ও পারিসরিক সমস্যা চিহ্নিতকরণ, মানচিত্রায়ণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করে থাকে। 
- রজার টমলিনসন সর্বপ্রথম ১৯৬৮ সালে জিআইএস কথাটি ব্যবহার করেন। এজন্য তাকে জিআইএসের জনক বলা হয়।
- GIS সর্বপ্রথম কানাডা ব্যবহার করে। 

- পৃথিবীর মানচিত্রে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য পূর্ব-পশ্চিমে এবং উত্তর- দক্ষিণে কতকগুলো কাল্পনিক রেখা অঙ্কন করা হয়। এগুলোকে যথাক্রমে অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখা বলে।
- দুই মেরু থেকে সমান দূরত্বে পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে যে রেখা কল্পনা করা হয় তাকে নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা বলে ।
- নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা (ইকুয়েটর) হ'ল পৃথিবী পৃষ্ঠের দীর্ঘতম কাল্পনিক রেখা।
- পৃথিবী গোলাকৃতির জন্য এ রেখা বৃত্তাকার। এটি নিরক্ষবৃত্ত, মহাবৃত্ত, গুরুবৃত্ত প্রভৃতি নামেও পরিচিত।
- এই কাল্পনিক রেখাটির দৈর্ঘ্য ৪০,০৭৫ কিলোমিটার (২৪,৯০১ মাইল) যা পৃথিবীকে উত্তর গোলার্ধ এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ভাগ করেছে।
- নিরক্ষরেখা পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণে সমান দুই ভাগে ভাগ করেছে। নিরক্ষরেখার উত্তর দিকের পৃথিবীর অর্ধেককে উত্তর গোলার্ধ এবং দক্ষিণ দিকের অর্ধেককে দক্ষিণ গোলার্ধ বলা হয়।
- নিরক্ষরেখার ৭৮.৮% জলের মধ্যে এবং ২১.৩% স্থলভাগে কল্পনা করা হয়েছে।
- নিরক্ষরেখার সাহায্যে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্ব নির্ণয় করা হয়। পৃথিবীর বৃত্তের মোট পরিধি হলো ৩৬০° ।
-
- তাপমন্ডলের বিস্তৃতি ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে ৮০ কি.মি. থেকে ৫০০ কি.মি. এর মধ্যে। রকেটও এ স্তর দিয়ে চলাচল করে।
- তাপমন্ডলের নিচের অংশ আয়নমন্ডল নামে পরিচিত যেখানে পৃথিবী থেকে প্রেরিত বেতার তরঙ্গ বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরে আসে।
- পৃথিবীর দিকে ধেয়ে উল্কাপিণ্ড এই স্তরেই পুড়ে যায়। এটি বায়ুমন্ডলের চতুর্থ স্তর।
- মহাকাশে পাঠানো স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহসমূহ তাপমন্ডলে অবস্থান করে।

স্তর                     -        গড় পুরুত্ব 

ভূ-ত্বক                 -        ২০ কি.মি.
মহাদেশীয় তলদেশ   -       ৩৫ কি.মি.
সমুদ্র তলদেশ         -       ০৫ কি.মি.
- নিরক্ষরেখাকে ডিগ্রি, মিনিট ও সেকেন্ডে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগবিন্দুর উপর দিয়ে উত্তর হতে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত কল্পিত রেখাই দ্রাঘিমাে রেখা।

বৈশিষ্ট্য: 
- দ্রঘিমা রেখাগুলো পৃথিবীর পরিথির অর্ধেকের সমান।
- দ্রাঘিমারেখার ১ ডিগ্রি ব্যবধানে পৃথিবীর সময়ের পার্থক্য ৪ মিনিট।
- দ্রাঘিমা রেখা কোনো স্থানের সময় সম্পর্কে ধারনা প্রদান করে।
- মূলমধ্য রেখার ডানে বা পূর্বে গেলে সময় বাড়ে এবং বামে বা পশ্চিমে গেলে সময় কমে।
- পৃথিবী নিজ অক্ষের চারদিকে ঘুরছে, যাকে আমরা আহ্নিক গতি বলি। এই আহ্নিক গতির ফলে পৃথিবীর উপর কেন্দ্রাতিগ বল সৃষ্টি হয়।

- কেন্দ্রাতিগ বল পৃথিবীর ভূমধ্যরেখায় সবচেয়ে বেশি এবং মেরুতে সবচেয়ে কম।

- এই বলের প্রভাবে পৃথিবীর ভূমধ্যরেখা বেশি ফুলে উঠে এবং মেরু চাপা হয়ে যায়, যার ফলে পৃথিবী একটি অভিগত গোলক আকার ধারণ করে।
  • পৃথিবীর আকৃতি পুরোপুরি গোলাকার নয়, বরং এটি একটি অভিগত গোলক।
  • পৃথিবীর ভূমধ্যরেখার ব্যাস মেরুর ব্যাসের চেয়ে প্রায় 43 কিলোমিটার বেশি।
  • পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফলে দিন-রাতের পরিবর্তন হয়।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- কেন্দ্রমণ্ডলের উপাদান সমূহের মধ্যে লোহা ও নিকেল প্রধান।
- এই স্তরের পুরত্ব প্রায় ৩,৪৮৬ কিলোমিটার।
- কেন্দ্রমণ্ডল ভূ-অভ্যন্তরের সবচেয়ে ভেতরের স্তর।
- অন্যান্য উপাদানের মধ্যে পারদ ও সীসা উল্লেখযোগ্য।
শুক্রকে পৃথিবীর যমজ গ্রহ হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ এটির আকার এবং আকৃতি অনেকটাই পৃথিবীর সাথে মেলে এবং এটির গঠনও অনেকটা একইরকমের।
- নর্দান লিমিট লাইন (NLL) দক্ষিণ কোরিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্রসীমার একটি বিরোধপূর্ণ স্থান।

- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোরিয়া উপদ্বীপকে ৩৮তম সমান্তরাল বরাবর বিভক্ত করা হয়েছিল।

- ১৯৫৩ সালে কোরিয়ান যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর জাতিসংঘ সেনাবাহিনী দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলরেখা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার উত্তরে নর্দান লিমিট লাইন (NLL) স্থাপন করে।

- উত্তর কোরিয়া NLL কে কখনোই স্বীকৃতি দেয়নি এবং এটিকে একটি অবৈধ সীমানা হিসেবে মনে করে।
- স্ট্রাটোমন্ডল স্তর পৃথিবীর ভূমির উপর ১৩ কিমি থেকে শুরু করে প্রায় ৫০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। এই স্তরে রয়েছে ওজন নামের একটি গ্যাস। অক্সিজেনের তিনটি পরমাণু একসাথে মিলিত হবার ফলে এই ওজোন স্তর গঠিত হয়। এই মিলিত তিন পরমাণুর অক্সিজেন অথবা ওজোন গ্যাস অথবা ওজোন স্তর সূর্য থেকে নির্গত ক্ষতিকর অতি বেগুনী রশ্মি অথবা সৌর বিকিরন শোষণ করে তা থেকে আমাদের রক্ষা করে।
- বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থের নিঃসরণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ স্তরের পুরুত্ব কমে আসে। 
- ওজনস্তরের ক্ষতি ঠেকাতে তাই মন্ট্রিয়াল প্রটোকল গৃহিত হয়।
- বায়ুমণ্ডলে ওজোনের প্রায় ৯০ শতাংশ স্ট্রাটোস্ফিয়ারের মধ্যে পাওয়া যায়। 
- ওজন গ্যাসের ঘনত্ব মাপা হয় DU(ডবসন ইউনিট )-এ | বিজ্ঞানী ডবসন আবিষ্কৃত স্পেক্ট্রোফটোমেটের এর সাহায্যে এই ঘনত্ব পরিমাপ করা হয়

- নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর পরিধি এবং আহ্নিক গতির বেগ সবচেয়ে বেশি (১৬১০ কিমি বেশি)।
- এজন্য নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর আবর্তনের বেগ সবচেয়ে বেশি।
আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদান গুলো হলো-বায়ুর তাপ, বায়ুর চাপ, বায়ুপ্রবাহ, বায়ুর আদ্রতা,ও বারিপাত।
- অতি গভীর, ঘন, কালো এবং বিশাল আকারের যে মেঘ থেকে বজ্রপাত ও বিদ্যুৎসহ মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়, তাকে কিউমুলোনিম্বাস মেঘ বা ঝড়োপুঞ্জ মেঘ (Cumulonimbus Cloud) বলে ।
- এ মেঘ পর্বতারোহীদের জন্য বিপদজ্জনক। 
- পশ্চিমবঙ্গ, অসম, বাংলাদেশে সংঘটিত কালবৈশাখী ঝড় এই প্রকার মেঘ থেকে ঘটে থাকে ।
- প্রিইরি হল উত্তর আমেরিকার বিস্তৃত তৃণভূমি অঞ্চল যা কানাডার প্রদেশগুলো, বিশেষ করে আলবার্টা, সাসকাচোয়ান এবং ম্যানিটোবায় বিস্তৃত।

- ডোনস ইউরোপের পূর্ব অংশে অবস্থিত তৃণভূমি।
- পেম্পাস দক্ষিণ আমেরিকার তৃণভূমি।
- সাভানা আফ্রিকার তৃণভূমি
- আগ্নেয় শিলা হল পৃথিবীর ভূত্বক গঠনকারী পাঁচটি প্রধান ধরনের শিলার মধ্যে একটি। এটি গলিত ম্যাগমা বা লাভা থেকে শীতল হয়ে তৈরি হয়। 
 
আগ্নেয় শিলার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল: 
- স্তরবিহীন: আগ্নেয় শিলা গলিত অবস্থা থেকে দ্রুত শীতল হয়ে জমাট বেঁধে তৈরি হয়। এই প্রক্রিয়াতে শিলার কোনো স্তর তৈরি হয় না। 
- জীবাশ্মবিহীন: আগ্নেয় শিলা গলিত অবস্থা থেকে তৈরি হয়, যেখানে কোনো প্রাণি বা উদ্ভিদ থাকতে পারে না। তাই আগ্নেয় শিলায় জীবাশ্ম পাওয়া যায় না। 
কেলাসিত (Crystalline): যেসব আগ্নেয় শিলা মাটির নিচে গভীরে সৃষ্টি হয়, তাদের বলা হয় অন্তর্ভেদী আগ্নেয় শিলা। এগুলো খুব ধীরে ধীরে ঠাণ্ডা হয়। এই ধীরগতিতে ঠাণ্ডা হওয়ার ফলে শিলার মধ্যে খনিজ পদার্থগুলো বড় এবং স্পষ্ট স্ফটিক আকারে জমাট বাঁধে। উদাহরণ হিসেবে গ্রানাইটকে বলা যায়, যা দেখতে চকচকে এবং স্ফটিকগুলো স্পষ্টভাবে চোখে পড়ে।
- অপ্রবেশ্য: আগ্নেয় শিলার দানাগুলির মধ্যে ছিদ্র না থাকায় এই শিলায় পানি প্রবেশ করতে পারে না। তাই আগ্নেয় শিলা অপ্রবেশ্য। 
- সুদৃঢ় ও সুসংহত: আগ্নেয় শিলা গলিত অবস্থা থেকে দ্রুত শীতল হয়ে তৈরি হয়। এই প্রক্রিয়াতে খনিজ পদার্থগুলির মধ্যে শক্তিশালী বন্ধন তৈরি হয়। তাই আগ্নেয় শিলা সুদৃঢ় ও সুসংহত। 
- প্রাচীনতম: আগ্নেয় শিলা হল পৃথিবীর প্রাচীনতম শিলা। এই শিলা থেকে অন্যান্য শিলার উৎপত্তি হয়েছে। 
- অপেক্ষাকৃত ভারী: আগ্নেয় শিলা অন্যান্য শিলার চেয়ে ভারী।

- মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তথ্যমতে, পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
-  পৃথিবীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ইরানের লুট মরুভূমিতে, ৭০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
- ২০০৩ থেকে ২০০৯ সালে নাসার আর্থ অবজারভেটরির বিজ্ঞানীদের পরিচালিত একটি জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
- জরিপ করা সাত বছরের মধ্যে পাঁচ বছরই লুট মরুভূমি ছিল পৃথিবীর উষ্ণতম স্থান।
- আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, এ পর্যন্ত ২০২৩ সাল ছিল গড়ে পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম বছর।
- আবার বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে শীতল স্থান পূর্ব অ্যান্টার্কটিকার মালভূমি।
- সেখানকার গড় তাপমাত্রা মাইনাস ৯৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
- তবে স্যাটেলাইটের তথ্যমতে, সেখানকার তাপমাত্রা কমে মাইনাস ৯৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও পৌঁছেছিল।


ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- অতি গভীর, ঘন, কালো এবং বিশাল আকারের যে মেঘ থেকে বজ্রপাত ও বিদ্যুৎসহ মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়, তাকে কিউমুলোনিম্বাস মেঘ বা ঝড়োপুঞ্জ মেঘ (Cumulonimbus Cloud) বলে ।
- পশ্চিমবঙ্গ, অসম, বাংলাদেশে সংঘটিত কালবৈশাখী ঝড় এই প্রকার মেঘ থেকে ঘটে থাকে ।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0