বাংলাদেশর অবস্থান ও ভূ-প্রকৃতি (130 টি প্রশ্ন )
বাংলাদেশের চারটি প্রান্ত
উত্তর প্রান্ত
* স্থান: বাংলাবান্ধা/জায়গীরজোত
* উপজেলা: তেঁতুলিয়া
* জেলা: পঞ্চগড়

দক্ষিণ প্রান্ত
* স্থান: ছেঁড়াদ্বীপ/সেন্টমার্টিন
* উপজেলা: টেকনাফ
* জেলা: কক্সবাজার

পূর্ব প্রান্ত
* স্থান: আখাইনঠং
* উপজেলা: থানচি
* জেলা: বান্দরবান

পশ্চিম প্রান্ত
* স্থান: মনাকষা
* উপজেলা: শিবগঞ্জ
* জেলা: চাঁপাইনবাবগঞ্জ

* পঞ্চগড় জেলাকে 'হিমালয়ের কন্যা' বলা হয় এবং এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গ দেখা যায়
বাংলাদেশের চারটি প্রান্ত
উত্তর প্রান্ত
* স্থান: বাংলাবান্ধা/জায়গীরজোত
* উপজেলা: তেঁতুলিয়া
* জেলা: পঞ্চগড়

দক্ষিণ প্রান্ত
* স্থান: ছেঁড়াদ্বীপ/সেন্টমার্টিন
* উপজেলা: টেকনাফ
* জেলা: কক্সবাজার

পূর্ব প্রান্ত
* স্থান: আখাইনঠং
* উপজেলা: থানচি
* জেলা: বান্দরবান

পশ্চিম প্রান্ত
* স্থান: মনাকষা
* উপজেলা: শিবগঞ্জ
* জেলা: চাঁপাইনবাবগঞ্জ

* পঞ্চগড় জেলাকে 'হিমালয়ের কন্যা' বলা হয় এবং এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গ দেখা যায়
1. পাকিস্তানের সময় হল GMT +5 (পাকিস্তান স্ট্যান্ডার্ড টাইম)
2. বাংলাদেশের সময় হল GMT +6 (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টাইম)
3. এই দুই সময়ের মধ্যে পার্থক্য হল 1 ঘণ্টা

যখন পাকিস্তানে সময় 12:00 PM (দুপুর), তখন বাংলাদেশে সময় হবে 1:00 PM (দুপুর)। অর্থাৎ বাংলাদেশের সময় পাকিস্তানের সময় থেকে 1 ঘণ্টা এগিয়ে থাকে।
ঐতিহাসিকভাবে 'বঙ্গ' নামক বৃহৎ অঞ্চলের পূর্ব অংশ পূর্ব বাংলা নামে পরিচিত ছিল। এই ভূখণ্ডের স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল অনেক আগে থেকেই। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ এবং ১৯১২ সালে এর রদ থেকে শুরু করে বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটতে থাকে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের পর পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানের অংশ হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত হয়।

১৯৪৮ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার প্রতিবাদে বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রথম প্রকাশ ঘটে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগ এই জাতীয়তাবাদকে আরও শক্তিশালী করে।
ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশের পশ্চিম, উত্তর ও পূর্ব সীমান্তজুড়ে রয়েছে ভারত, দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে রয়েছে মায়ানমার, এবং দক্ষিণ দিকে বিস্তৃত রয়েছে বঙ্গোপসাগর।
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ : চূড়ান্ত প্রতিবেদন
- ১৫ থেকে ২১ জুন ২০২২ অনুষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা।
- ২৭ জুলাই ২০২২ ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
- এরপর ১৫ নভেম্বর ২০২৩ জনশুমারি ও গৃহগণনার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ‘ভলিউম-১’ প্রকাশ করা হয়।

প্রশাসনিক কাঠামো:
• আয়তন : ১,৪৭,৫৭০ (বর্গ কি.মি) বা ৫৬,৯৭৭ বর্গমাইল । 
• বিভাগ : ৮টি  • জেলা : ৬৪টি 
• সিটি কর্পোরেশন : ১২টি
• উপজেলা : ৪৯৫টি  • মেট্রো থানা : ১০৫টি
• পৌরসভা : ৩২৭টি [বর্তমানে ৩৩০টি]
• সিটি ওয়ার্ড : ৪৬৫টি  • পৌর ওয়ার্ড : ৩,০৭৫টি
• ইউনিয়ন : ৪,৫৯৬টি  • মৌজা : ৫৮,৮৪৬টি
• গ্রাম : ৯০,০৪৯টি  • মহল্লা : ১৫,১৫৩টি ।

- দেশের উন্নয়নকে গতিশীল এবং উন্নয়নের চালেঞ্জসমুহ মোকাবিলা করতে সরকার ১০০ বছরের দীর্ঘ মেয়াদী একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এই মহাপরিকল্পনার নাম হচ্ছে বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০।
- নেদারল্যান্ডসের ডেল্টা ব্যবস্থাপনার আলোকে সেই দেশের সহায়তায় বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি ) এটি প্রণয়ন করেছে। 
- বাংলাদেশ ব দ্বীপ পরিকল্পনা -২০২১ এর হটস্পট ছয়টি । 
যথা:
- উপকূলীয় অঞ্চল, 
- বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ অঞ্চল, 
- হাওড় ও আকস্মিক বন্যাপ্রবণ অঞ্চল,
- পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল, -
- নদী অঞ্চল ও মোহনা এবং 
- নগর এলাকা সমুহ ।

- বাকল্যান্ড বাঁধ ঢাকা শহরের সদরঘাট এলাকার দক্ষিণ দিক দিয়ে প্রবহমান বুড়িগঙ্গা নদীর উত্তর তীরে একটি শহর পরিবেষ্টনী বাঁধ।
- ১৮৬৪ সনে তৎকালীন নগর কমিশনার সি.টি বাকল্যান্ড এই বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেন।
- নদীর ঘাট পর্যন্ত কার্গো ও যাত্রীবাহী স্টিমার চলাচল সুগম করার জন্য পাড়ের নিম্নভাগে পলি প্রতিরোধ করা এবং প্লাবন ও ভাঙন থেকে ঢাকা শহর রক্ষা প্রকল্পের অধীনে এই বাঁধ নির্মিত হয়।
পৃথিবীর চাপ বলয়গুলো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে যে বায়ু সারাবছর একইদিকে প্রবাহিত হয় তাকে নিয়ত বায়ু বলে।
নিয়ত বায়ু তিন প্রকার। যথা:
✔ পশ্চিমা বায়ু
✔ অয়ন বায়ু
✔ মেরু বায়ু।

অয়ন বায়ুঃ কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চ চাপ বলয় দুটি (২৫ডিগ্রি থেকে ৩৫ডিগ্রি, উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশ) থেকে সারা বছর নিয়মিতভাবে নিরক্ষীয় নিম্ন চাপ বলয়ের (০ডিগ্রি থেকে ১০ডিগ্রি উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশ) দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। এ বায়ুকে অয়ন বা বাণিজ্য বায়ু বলা হয়। উত্তর গোলার্ধে এ বায়ু নিরক্ষীয় প্রদেশের দিকে আসার সময় পৃথিবীর আবর্তনের জন্য ফেরেলের সূত্র অনুসারে বেঁকে উত্তর-পূর্ব বায়ুতে পরিণত হয়। দক্ষিণ গোলার্ধে এরূপ বায়ু প্রবাহ নিরক্ষীয় প্রদেশের দিকে আসতে থাকে এবং ফেরেলের সূত্র অনুসারে বাঁ দিকে বেঁকে দক্ষিণ-পূর্ব প্রবাহে পরিণত হয়। এদের যথাক্রমে উত্তর-পূর্ব অয়ন বায়ু ও দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন বায়ু বলে। এমন বায়ুর সাহায্যে আগে বাণিজ্যের জাহাজ যাতায়াত করত বলে এদের বাণিজ্য বায়ুও বলা হয়।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
♦ বাংলাদেশের সাথে ভারতের ৫ টি রাজ্যের সীমানা রয়েছে। যথা- আসাম, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গ।
 
♦ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্য— ৪টি (আসাম, মিজোরাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা)।
 
♦ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জেলা ৯ টি। যথা- মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, কুচবিহার, দার্জিলিং।

 - বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের দ্বীপ ছেড়াদ্বীপ কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত নিঝুম দ্বীপের অবস্থান হাতিয়া, নোয়াখালী ।

- ১৯৪০ সালে দ্বীপটি জেগে উঠে এবং ১৯৫০ সালে জনবসতি গড়ে উঠে।

- এ দ্বীপের আয়তন ৯১ কি.মি.। এটি চর ওসমান, গোল্ডেন আইল্যান্ড ও বাউলার চর নামেও পরিচিত।

ভূ-প্রকৃতি অনুসারে বাংলাদেশে তিন ধরনের ভূমিরূপ দেখা যায়।
এগুলো হলোঃ
- টারশিয়ারি যুগের পাহাড়শ্রেণী
- প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ
- প্লাবন সমভূমি।

- এদের মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন ভূমিরূপ হলো টারশিয়ারি যুগের পাহাড়শ্রেণী। আনুমানিক প্রায় ২০ লক্ষ বছর পূর্বে এগুলো গঠিত হয়। 
- টারশিয়ারি যুগে হিমালয় পর্বত উত্থিত হওয়ার কালে এ সকল পাহাড়ি এলাকার পাদভুমি ও ভরাটকৃত গিরিখাত মূলত এদের ক্ষয়িত কণায় গঠিত এবং দির্ঘকালের প্রাকৃতিক প্রভাবে এ সকল পাহাড়ি এলাকার উচ্চতা কমছে এবং এগুলোর ক্ষয়িত অংশ সংলগ্ন এলাকা ভরাট হয়ে নতুন মৃত্তিকার সমতল ভূমি সৃষ্টি করছে।
- এ সকল পাহাড় বেলে পাথর, স্লেট পাথর ও কর্দমের সংমিশ্রণে গঠিত।
- মায়ানমারের দিক হতে গিরিজনি আলোড়নের প্রভাবে ও ধাক্কায় সম্ভবত রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং পাহাড়ি এলাকাগুলোর সৃষ্টি হয়।
- আসামের লুসাই ও মায়ানমারের আরাকান এলাকার পাহাড়ের সাথে এদের মিল দেখা যায়।
বাংলাদেশের রেলপথ নেই ১৯ টি জেলা: বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, মেহেরপুর, লক্ষীপুর, শেরপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নড়াইল, মাগুরা, সাতক্ষীরা, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান।
২০২৪ সালে শেরপুরের সীমান্তবর্তী উপজেলা ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদীতে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার অনেকে ক্ষতি হয়েছে।
- Laterite হল একটি মাটির ধরন যা আয়রন এবং অ্যালুমিনিয়াম সমৃদ্ধ এবং সাধারণত উষ্ণ এবং আর্দ্র গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে গঠিত বলে মনে করা হয়।
- উচ্চ আয়রন অক্সাইডের কারণে প্রায় সব ল্যাটেরাইট মরিচা-লাল বা বাদামী রঙের হয়।
- এই মাটিতে লোহা ও অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইডের পরিমাণ বেশি থাকে।

বরেন্দ্র অঞ্চলে ল্যাটেরাইট মাটির উপস্থিতির কারণ:
জলবায়ু: এই অঞ্চলে তুলনামূলকভাবে কম বৃষ্টিপাত হয়, যা ল্যাটেরাইট মাটি গঠনে সহায়ক।
ভূতাত্ত্বিক গঠন: এই অঞ্চলের উচ্চভূমি চরিত্র ল্যাটেরাইট মাটি গঠনে অনুকূল।

অন্যান্য অঞ্চলের মাটির প্রকৃতি:
- হাওর অঞ্চল: এখানে মূলত পলি মাটি পাওয়া যায়।
- পাহাড়ি অঞ্চল: এখানে মূলত অনুর্বর পাহাড়ি মাটি দেখা যায়।
- উপকূলীয় অঞ্চল: এখানে লবণাক্ত মাটি বেশি পাওয়া যায়
- ভূতাত্ত্বিকভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন বা প্রাচীন ভূমিরূপ হলো দক্ষিণ-পূর্ব এবং উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি ভূমি ।
- টারশিয়ারী যুগে হিমালয় পর্বত উথিত হওয়ার সময় এ পাহাড়সমূহ সৃষ্টি হয়েছিল ।
- রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও চট্রগ্রাম জেলার পূর্বাংশ ছাড়াও ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সিলেট, মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জ জেলার পাহাড়ি ভূমি টারশিয়ারী যুগের ভূমিরূপের অন্তর্ভুক্ত । 
পাদদেশীয় পললভূমি হচ্ছে দেশের উত্তর পশ্চিমাংশের বৃহত্তম রংপুর, দিনাজপুর জেলার কিছু অংশ হিমালয় পর্বত হতে আনীত পললে গঠিত।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
  • ভূ-প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়:
    • টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ:
      • এ পাহাড়সমূহ বেলেপাথর, শেল ও কদম দ্বারা গঠিত।
      • এ পাহাড়সমূহ আসামের লুসাই এবং মিয়ানমারের আরাকান পাহাড়ের সমগোত্রীয় বলে ধারণা করা হয়।
      • এ পাহাড়সমূহকে আবার দুইভাগে ভাগ করা যায়।
        • দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ: রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জের পাহাড়সমূহ।
        • উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ: রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জের পাহাড়সমূহ।
    • প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ:
      • আজ থেকে আনুমানিক প্রায় ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিনকাল বলে।
      • এ অঞ্চলের মাটির রং লাল ও ধূসর।
      • দেশের উত্তর-পশ্চিমাংশের বরেন্দ্রভূমি, মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় বা উচ্চভূমি এর অন্তর্ভুক্ত।
    • সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি:
      • টারশিয়ারি যুগের পাহাড়ি এলাকা এবং প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ ব্যতীত সমগ্র বাংলাদেশ সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমির অন্তভুর্ক্ত।
      • সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি অঞ্চলটি পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, মেঘনা প্রভৃতি নদ-নদী ও এদের উপনদী, শাখানদী বাহিত পলিমাটি দ্বারা গঠিত।
      • এই অঞ্চলের মোট আয়তন ১,২৪,২৬৬ বর্গকিলোমিটার। বাংলাদেশের বৃহত্তম এ এলাকার নদীগুলো প্রায়ই গতি পরিবর্তনের কারণে নতুন নতুন পললভূমি গঠিত হতে দেখা যায়।
      • এ সমভূমির গড় উচ্চতা প্রায় ৯ মিটার।
      • প্লাবন সমভূমি পলি দ্বারা গঠিত বলে এ অঞ্চলের মাটির উর্বরতা তুলনামূলকভাবে অন্য এলাকার চেয়ে অনেক বেশি।

- আজ থেকে প্রায় ২৫ লক্ষ বছর পূর্বের সময়কে টারশিয়ারি যুগ বলা হয়।
- এই যুগে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি অঞ্চলে পাহাড় গঠিত হয়।
- এই পাহাড়গুলো বেলেপাথর, শেল ও কদম দ্বারা গঠিত।
- এই পাহাড়গুলো আসামের লুসাই এবং মিয়ানমারের আরাকান পাহাড়ের সমগোত্রীয় বলে ধারণা করা হয়।
- এই পাহাড়গুলোকে আবার দুইভাগে ভাগ করা যায়।
   • দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ
   • উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ

প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ:
- আজ থেকে আনুমানিক প্রায় ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিনকাল বলা হয়।
- এই যুগে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশের বরেন্দ্রভূমি, মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় বা উচ্চভূমি গঠিত হয়।
- এই অঞ্চলের মাটির রং লাল ও ধূসর।
- এই উচ্চভূমিগুলো প্লাইস্টোসিনকালে গঠিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।



- মধুপুর গড় বা মধুপুর শালবন বা মধুপুর জঙ্গল বাংলাদেশের কেন্দ্রভাগে অবস্থিত একটি বৃহৎ বনভূমি বা উত্থিত এলাকা।
- বাংলাদেশে মোট শালবন এলাকা প্রায় ১,২১,০০০ হেক্টর অর্থাৎ দেশের বনভূমির শতকরা প্রায় ৩২ ভাগ।
- শালবন দেশের মাত্র কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ছড়ানো
- অঞ্চলটি উত্তর দিকে জামালপুর জেলার দক্ষিণ অংশ থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানা পর্যন্ত বিস্তৃত।
- বেশির ভাগ বনাঞ্চল রয়েছে গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলায়।
- চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাহাড়সমূহ আরাকান ইয়োমা পর্বতের অংশ।
- আরাকান ইয়োমা হলো একটি পর্বতমালা যা দক্ষিণ এশিয়ার মায়ানমার এবং বাংলাদেশ জুড়ে বিস্তৃত। এই পর্বতমালাটি হিমালয়ের একটি প্রশাখা।
- চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাহাড়সমূহ মূলত আরাকান ইয়োমার পূর্ব অংশে অবস্থিত। এই পাহাড়সমূহের মধ্যে রয়েছে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, এবং চট্টগ্রামের পাহাড়সমূহ।
- বাংলাদেশের বৃহত্তর হাওর হাকালুকি হাওর, যার আয়তন ২৪,২৯২ হেক্টর। 
- হাকালুকি হাওর সিলেট জেলার ফেঞ্ঝুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার এবং মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা ও কুলাউড়া উপজেলা জুড়ে বিস্তৃত। 
 
- হাইল বিল মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত। 
- চলনবিল বাংলাদেশের বৃহত্তম বিল। চলন বিল পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও নাটোর জেলায় বিস্তৃত।

- উড়ির চর চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলায় অবস্থিত।
- এটি মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত একটি দ্বীপ।
- উড়ির চর একটি নতুন দ্বীপ, যা ১৯৭০-৭১ সালের ভূমিকম্প ও জলোচ্ছ্বাসের ফলে জেগে উঠেছিল।
- উড়ির চরের আয়তন প্রায় ১৪.৭০ বর্গকিলোমিটার।
- এটি একটি জনবহুল দ্বীপ, যার জনসংখ্যা প্রায় ১২,৪২১ জন।
- উড়ির চরের প্রধান পেশা হল মৎস্য চাষ ও কৃষি।
-বঙ্গবন্ধু দ্বীপ (যা পুটুনির দ্বীপ নামে পরিচিত) সুন্দরবনের দুবলার চর থেকে ১০ কি.মি. দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপ।
-দ্বীপটি প্রথম আবিষ্কৃত হয় ১৯৯২ সালে।
-বর্তমানে দ্বীপের আয়তন ৭.৮৪ কিলোমিটার, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দুই মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।
-এই দ্বীপে সর্বমোট নয় কিলোমিটার লম্বা সাগর সৈকত রয়েছে।
কর্কটক্রান্তি রেখা এদেশের ঠিক মধ্যভাগ দিয়ে অতিক্রম করেছে আর ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মৌসুমী স্রোত এদেশের দক্ষিণ-প্রান্তবর্তী বঙ্গোপসাগর দিয়ে অতিক্রম করায় এখানে ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু বিরাজ করে।
- বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগসমূহের মধ্যে কালবৈশাখী ঝড় এবং টর্নেডো অন্যতম।
- কালবৈশাখী ঝড় গ্রীষ্মকালীন জলবায়ুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
- সাধারণত বৈশাখ মাসের শেষের দিকে এ ঝড় হতে দেখা যাওয়ায় একে কালবৈশাখী ঝড় বলে।
- মার্চ-এপ্রিল মাসে সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ আকাশ কালো মেঘে ঢেকে বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়ো হাওয়া প্রবাহিত হয়। এ ঝড়ই কালবৈশাখী ঝড় নামে পরিচিত।
- এ সময় বাৎসরিক বৃষ্টিপাতের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ সংঘটিত হয়। অনেক সময় বৃষ্টিপাতের সাথে শিলাবৃষ্টিও হয়ে থাকে। দেশের পূর্বাঞ্চলে এ ঝড় অধিক হয়ে থাকে।
প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক গঠনের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের মাটিকে ৫ ভাগে ভাগ করা যায় । যথা :
(ক) পাহাড়ি মাটি,
(খ) ল্যাটোসেলিক মাটি,
(গ) পলল মাটি,
(ঘ) জলাভূমি মাটি এবং
(ঙ) কোষ মাটি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
বাংলাদেশের মাঝামাঝি স্থান দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করায় এখানে জলবায়ু বিরাজমান । কিন্তু মৌসুমি বায়ুর প্রভাব এ দেশের জলবায়ুর উপর এত বেশি যে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের জলবায়ু 'ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু' নামে পরিচিত । উষ্ণ ও আর্দ্র গ্রীষ্মকাল এবং শুস্ক শীতকাল এ জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য । 
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0