|
|
| |
|
|
|
- বাংলাদেশে সংঘটিত বন্যাকে সাধারণত তিনটি প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো:
মৌসুমি বন্যা (Monsoon Flood): - এই বন্যা ঋতুগত এবং বর্ষাকালে (জুন থেকে সেপ্টেম্বর) ঘটে। - নদনদীর পানি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত করে। - এটি দীর্ঘস্থায়ী এবং জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
আকস্মিক বন্যা (Flash Flood): - পাহাড়ি ঢল বা স্বল্প সময়ে অতিবৃষ্টির কারণে আকস্মিকভাবে এই বন্যা ঘটে। - এটি সাধারণত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং পাহাড়ি এলাকায় দেখা যায়। - এর স্থায়িত্ব কম হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়।
জোয়ারসৃষ্ট বন্যা (Tidal Flood): - উপকূলীয় এলাকায় জোয়ার-ভাটার প্রভাবে এই বন্যা ঘটে। - বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের সময় এটি বেশি দেখা যায়। - এর উচ্চতা সাধারণত ৩ থেকে ৬ মিটার পর্যন্ত হতে পারে।
|
|
| |
|
|
|
কালবৈশাখী = North westerlies
|
|
| |
|
|
|
- জলজ আবহাওয়াজনিত (hydro-meteorological) দুর্যোগ হলো এমন দুর্যোগ যা আবহাওয়া, জলবায়ু এবং পানির সাথে সম্পর্কিত। - উদাহরণস্বরূপ, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিধস, এবং নদীভাঙ্গন এই ধরনের দুর্যোগের অন্তর্ভুক্ত। - তবে ভূমিকম্প একটি ভূতাত্ত্বিক (geological) দুর্যোগ, যা পৃথিবীর অভ্যন্তরে টেকটোনিক প্লেটের নড়াচড়ার কারণে ঘটে। - এটি আবহাওয়া বা জলবায়ুর সাথে সম্পর্কিত নয়। - সুতরাং, ভূমিকম্প জলজ আবহাওয়াজনিত দুর্যোগের অন্তর্ভুক্ত নয়।
|
|
| |
|
|
|
নিম্নচাপের কারণে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বিশেষ। সাধারণভাবে এই জাতীয় ঘূর্ণিঝড়কে সাধারণভাবে বলা হয় সাইক্লোন (Cyclone)। গ্রিক kyklos শব্দের অর্থ হলো বৃ্ত্ত। এই শব্দটি থেকে উৎপন্ন শব্দ হলো kykloun। এর অর্থ হলো- আবর্তিত হওয়া। এই শব্দটি পরিবর্তিত হয়ে তৈরি হয়েছে kyklōma । এই শব্দের অর্থ হলো- চক্র বা কুণ্ডলিত। ১৮৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ-ভারতীয় আবহাওয়াবিদ হেনরী পিডিংটন তাঁর সামুদ্রিক দুর্যোগ বিষয়ক গ্রন্থ, The Sailor's Horn-book for the Law of Storms-এতে Cyclone শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন। উল্লেখ্য বাংলায় সাইক্লোন শব্দটি গৃহীত হয়েছে ইংরেজি থেকে।
ঘূর্ণিঝড় পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন- - ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে 'সাইক্লোন' - অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে 'সাইক্লোন' - আমেরিকায় হ্যারিকেন নামে পরিচিত, - জাপানের উপকূলে 'টাইফুন' - ফিলিপাইনে 'বাগিও' - মেক্সিকো উপকূলে 'হ্যারিকেন' ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
- সমুদ্র উপকূলীয় বেষ্টনী প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমানো এবং পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করা। - এই প্রকল্পের আওতায় উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী তৈরি করা হয়, যা জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষা দেয়। - এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (ADB) এই প্রকল্পে অর্থায়ন করে থাকে। - তারা উপকূলীয় অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন এবং পরিবেশ সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে সহায়তা প্রদান করে। - ইউনেস্কো, বিশ্বব্যাংক, বা আইডিএ এই প্রকল্পে সরাসরি অর্থায়নকারী নয়।
|
|
| |
|
|
|
IPCC বা Intergovernmental Panel on Climate Change নামক জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সংস্থাটি ১৯৮৮ সালে United Nations Environment Programme (UNEP) ও World Meteorological Organization (WMO) এর মিলিত উদ্যোগে গঠিত হয় । IPCC নোবেল পুরস্কার লাভ করে— ২০০৭ সালে
|
|
| |
|
|
|
- সিংহলিজ শব্দ 'সিডর' এর অর্থ চোখ। - সাগরে উৎপন্ন তীব্রতাসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় হলো সিডর। - ৯ নভেম্বর ২০০৭ সালে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় এর উৎপত্তি ঘটে, যা ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে ১৫ নভেম্বর, ২০০৭ সালে বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলে বৃহত্তর খুলনা ও পটুয়াখালী অঞ্চলে আঘাত হানে। - বাংলাদেশের উপকূলীয় ২২টি জেলা সিডরে আক্রান্ত হয় এবং প্রায় ১০ হাজার লোক নিহত হয়।
|
|
| |
|
|
|
- বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড়প্রবণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে খুলনা অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। - খুলনা অঞ্চল বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী এলাকায় অবস্থিত। - এই অঞ্চলটি ঘূর্ণিঝড়ের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়গুলো সাধারণত উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও এর আশপাশের এলাকায় আঘাত হানে। - খুলনা অঞ্চলের একটি বড় অংশ সুন্দরবনের কাছাকাছি। সুন্দরবন কিছুটা প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা হিসেবে কাজ করলেও ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা এবং জলোচ্ছ্বাসের কারণে এই অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়। - অতীতে সিডর (২০০৭), আইলা (২০০৯), এবং বুলবুল (২০১৯) এর মতো বড় ঘূর্ণিঝড় খুলনা অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এই ঘূর্ণিঝড়গুলোতে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ফসল, ঘরবাড়ি, ও গবাদি পশুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। - ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস খুলনা অঞ্চলের কৃষিজমিতে লবণাক্ততা বাড়িয়ে দেয়, যা কৃষি উৎপাদনে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
নিম্নচাপের কারণে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বিশেষ। সাধারণভাবে এই জাতীয় ঘূর্ণিঝড়কে সাধারণভাবে বলা হয় সাইক্লোন (Cyclone)। গ্রিক kyklos শব্দের অর্থ হলো বৃ্ত্ত। এই শব্দটি থেকে উৎপন্ন শব্দ হলো kykloun। এর অর্থ হলো- আবর্তিত হওয়া। এই শব্দটি পরিবর্তিত হয়ে তৈরি হয়েছে kyklōma । এই শব্দের অর্থ হলো- চক্র বা কুণ্ডলিত। ১৮৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ-ভারতীয় আবহাওয়াবিদ হেনরী পিডিংটন তাঁর সামুদ্রিক দুর্যোগ বিষয়ক গ্রন্থ, The Sailor's Horn-book for the Law of Storms-এতে Cyclone শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন। উল্লেখ্য বাংলায় সাইক্লোন শব্দটি গৃহীত হয়েছে ইংরেজি থেকে।
ঘূর্ণিঝড় পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন- - ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে 'সাইক্লোন' - অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে 'সাইক্লোন' - আমেরিকায় হ্যারিকেন নামে পরিচিত, - জাপানের উপকূলে 'টাইফুন' - ফিলিপাইনে 'বাগিও' - মেক্সিকো উপকূলে 'হ্যারিকেন' ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উপর প্রতিকূল প্রভাব রয়েছে এমন যে কোনো প্রাকৃতিক ঘটনাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ। স্বভাবতই উন্নত দেশসমূহের অধিবাসীদের তুলনায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে উন্নয়নশীল দেশসমূহের অধিবাসীদের ঝুঁকির মাত্রা অধিক। প্রাকৃতিক দুর্যোগসমূহ তিনটি বৃহৎ বিভাগভুক্ত-
ক) বায়ুমণ্ডলীয় প্রক্রিয়াসৃষ্ট Climatic বা বায়ুমণ্ডলীয় দুর্যোগসমূহ: ঝড়, ঘূর্ণিঝড়, কালবৈশাখী, টর্নেডো, হারিকেন, খরা, ইত্যাদি।
খ) ভূ-পৃষ্ঠে প্রক্রিয়া সৃষ্ট Exogenetic দুর্যোগসমূহ: বন্যা, নদীভাঙন, উপকূলীয় ভাঙন, ভূমিধস, মৃত্তিকা ক্ষয়, প্রাকৃতিক ভূগর্ভস্থ পানি দূষণ।
গ) পৃথিবীপৃষ্ঠের অভ্যন্তরস্থ প্রক্রিয়াসৃষ্ট Endogentic ভূগর্ভস্থ দুর্যোগসমূহ: ভূমিকম্প এবং অগ্ন্যুৎপাত।
বাংলাদেশে বায়ুমণ্ডলীয় দুর্যোগ এবং এক্সোজেনিক দুর্যোগের ঝুঁকি অধিক এবং এখানে ভূগর্ভস্থ দুর্যোগের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম।
|
|
| |
|
|
|
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন-২০১২ অনুসারে দুর্যোগ অর্থ প্রকৃতি বা মনুষ্য সৃষ্টি অথবা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ঘটনা।
দুর্যোগকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ।
জাতিসংঘের প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান (United Nations Institute for Training and Research) দুর্যোগসমূহকে চার ভাগে ভাগ করেছেন। যথা: ১. প্রাকৃতিক দুর্যোগ: বন্যা, ঘুর্ণিঝড়, টর্নেডো, নদীভাঙন, ভূমিকম্প, ইত্যাদি। ২. দীর্ঘস্থায়ী দুর্যোগ: মহামারী, খরা, ইত্যাদি। ৩. মনুষ্য সৃষ্ট দূর্যোগ: যুদ্ধ, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, পরিবেশ দূষণ, ইত্যাদি। ৪. দুর্ঘটনাজনিত দুর্যোগ: সড়ক দুর্ঘটনা।
বাংলাদেশের দুর্যোগের ধরণ ও প্রকৃতি: দুর্যোগ ব্যবস্থা সংক্রান্ত জাতীয় পরিকল্পনায় ১৩টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হলো- বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, টর্নেডো, নদীভাঙন, ভূমিকম্প, খরা, আর্সেনিক দূষণ, লবণাক্ততা, সুনামি, অগ্নিকাণ্ড, ভূমিধস ও বজ্রপাত। ১৭ মে, ২০১৬ বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
|
|
| |
|
|
|
দুর্যোগ ব্যবস্থা সংক্রান্ত জাতীয় পরিকল্পনায় ১৩টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হলো- বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, টর্নেডো, নদীভাঙন, ভূমিকম্প, খরা, আর্সেনিক দূষণ, লবণাক্ততা, সুনামি, অগ্নিকাণ্ড, ভূমিধস ও বজ্রপাত। ১৭ মে, ২০১৬ বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
|
|
| |
|
|
|
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২ এর ক্ষমতাবলে সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১৫ প্রণয়ন করে । যা ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয় , এতে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা ও হুশিয়ারি সংকেত হিসেবে সমুদ্রবন্দরের জন্য ১১ টি ও নদী বন্দরের জন্য ৪ টি সংকেত নির্ধারণ করা হয়।
|
|
| |
|
|
|
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় "সাড়াদান" ধাপটি মূলত দুর্যোগ সংঘটিত হওয়ার পরপরই দ্রুত প্রতিক্রিয়া প্রদানের জন্য কার্যকর। - এই ধাপে প্রধান কাজ হলো দুর্গতদের জরুরি সহায়তা প্রদান করা। এর মধ্যে রয়েছে:
• খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ। • আহতদের চিকিৎসা সেবা প্রদান। • দুর্গত এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা। • আশ্রয়হীনদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা।
- এই ধাপটি দুর্যোগের তাৎক্ষণিক প্রভাব কমাতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। - অন্যদিকে, আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, পুনর্বাসন এবং প্রশমন ধাপগুলো দুর্যোগ পূর্ব বা পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রমের অংশ। সেজন্য "সাড়াদান" ধাপের মূল কাজ হলো দুর্গতদের ত্রাণ বিতরণ।
|
|
| |
|
|
|
- বাংলাদেশে বন্যার প্রধান কারণ হলো উজানে ভারী বৃষ্টিপাত। - বাংলাদেশের প্রধান নদীগুলো, যেমন গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র এবং মেঘনা, হিমালয় থেকে উৎপন্ন। - বর্ষাকালে হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে এই নদীগুলোর পানির স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পায়। - উজানের এই অতিরিক্ত পানি বাংলাদেশের নদীগুলোতে প্রবাহিত হয়ে তীর উপচে পড়ে এবং বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত করে। - এছাড়াও, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান এবং সমতল ভূমি বন্যার ঝুঁকি বাড়ায়। যদিও নদীর তলদেশ ভরাট, বাঁধ নির্মাণ এবং বৃক্ষ নিধন বন্যার কারণ হিসেবে ভূমিকা রাখে, তবে উজানে ভারী বৃষ্টিপাতই সবচেয়ে বড় এবং প্রধান কারণ।
|
|
| |
|
|
|
বিশ্বব্যাংক ২০০৯ সালে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে সৃষ্ট ৫টি প্রধান ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেছে। বাংলাদেশ এই ঝুঁকিগুলোর মধ্যে কয়েকটিতে বিশেষভাবে সংবেদনশীল।
- বন্যা: বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে বন্যা ঝুঁকির দিক থেকে সবচেয়ে সংবেদনশীল দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। - ঝড়: ঝড়ের ঝুঁকির দিক থেকেও বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। - সমুদ্রস্তর বৃদ্ধি: সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ঝুঁকিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দশম স্থানে রয়েছে।
|
|
| |
|
|
|
• ভূকম্পনীয় মূল কেন্দ্রের বণ্টন এবং বিভিন্ন ভূ-গাঠনিক ব্লকের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে তিনটি সাধারণীকৃত ভূকম্পন অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে, যথা অঞ্চল-১, অঞ্চল-২ ও অঞ্চল-৩। - বাংলাদেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলকে নিয়ে গঠিত অঞ্চল-১ হচ্ছে সবচেয়ে সক্রিয় অঞ্চল, যার মৌলিক ভূকম্পনীয় সহগ হচ্ছে ০.০৮। এই অঞ্চল পূর্ব সিলেটের ডাউকি চ্যুতি ব্যবস্থা, গভীর প্রোথিত সিলেট চ্যুতি এবং জাফলং ঘাত, নাগা ঘাত ও ডিসাং ঘাতের সঙ্গে উচ্চ সক্রিয় দক্ষিণ-পূর্ব আসামের অঞ্চলসমূহকে অন্তর্ভুক্ত করে। - অঞ্চল-২-এর মধ্যে রয়েছে বরেন্দ্র ও মধুপুরের সম্প্রতি উত্থিত প্লাইসটোসিন ব্লকের অঞ্চলসমূহ এবং বলিত বলয়ের পশ্চিমা সম্প্রসারণ। - অঞ্চল-৩ ভূকম্পায়িতভাবে আনুমানিক মৌলিক ভূকম্পনীয় সহগ ০.০৪-এর সঙ্গে প্রায় অভিন্ন। অঞ্চলটি দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করে ও ভূকম্পনীয়ভাবে শান্ত।
|
|
| |
|
|
|
- আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া সমুদ্রবন্দর সমূহের জন্যে সংকেত ১১টি। - এগুলো হলো: • ১-নং দূরবর্তী সতর্ক সংকেত, • ২-নং দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত, • ৩-নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত, • ৪-নং স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত, • ৫-নং বিপদ সংকেত, • ৬-নং বিপদ সংকেত, • ৭-নং বিপদ সংকেত, • ৮-নং মহাবিপদ সংকেত, • ৯-নং মহাবিপদ সংকেত, • ১০-নং মহাবিপদ সংকেত, • ১১-নং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সংকেত।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় নদীভাঙন এ দেশের জন্য নিয়মিত সমস্যা বলা যায়। - নদীভাঙনের কয়েকটি কারণ হলোঃ জলবায়ু পরিবর্তন, নদীর প্রবাহপথ ও তীব্র গতিবেগ, নদীর গতিপথ পরিবর্তন, নদীগর্ভে শিলার উপাদান, রাসায়নিক দ্রব্যের উপস্থিতি, বাহিত শিলার কঠিনতা, নদীগর্ভে ফাটলের উপস্থিতি, বৃক্ষনিধন ইত্যাদি।
- দুর্বল ও অপরিণত মাটির কারণে সবচেয়ে বেশি ভেঙেছে মাওয়া, শরীয়তপুর ও চাঁদপুর।
|
|
| |
|
|
|
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান উদ্দেশ্য তিনটি হলো- (ক) দুর্যোগকালিন সময়ে জীবন, সম্পদ ও পরিবেশের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো বা পরিমাণ হ্রাস করা; (খ) দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের মধ্যে দ্রুত প্রয়োজনীয় ত্রাণ পৌঁছানো ও পূণর্বাসন নিশ্চিত করা এবং (গ) দুর্যোগ পরবর্তী পুনরুদ্ধার কাজ সুষ্ঠুরূপে সম্পন্ন করা।
|
|
| |
|
|
|
- দীর্ঘ সময় ধরে চলা শুষ্ক আবহাওয়া, অপর্যাপ্ত বৃষ্টি, বৃষ্টিপাতের তুলনায় বাষ্পীভবন ও প্রস্বেদনের পরিমাণ বেশি হলে খরার সৃষ্টি হয়। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় দেখা দেয় পানির অভাব। - কুয়া, খাল, বিলের মতো নিত্যব্যবহার্য পানির আধার শুকিয়ে যায়। - ১৯৬০ থেকে ১৯৯১ সাল, এই সময়সীমার মাঝে বাংলাদেশ মোট ১৯টি খরার মুখোমুখি হয়েছিলো। এর মাঝে সবচেয়ে তীব্র ছিল ১৯৬১, ১৯৭২, ১৯৭৬, ১৯৭৯ ও ১৯৮৯ সালের খরা। - এরপর ১৯৯৭ সালেও তীব্র খরা দেখা দেয়। সেই খরার কারণে কৃষিতে প্রায় ৫০ কোটি ডলারের ক্ষতি মোকাবেলা করতে হয় বাংলাদেশকে। সেসময় ১০ লাখ টন ধান ক্ষতির শিকার হয়। - যার মধ্যে ছয় লাখ টন ছিল রোপা আমন। সব মিলিয়ে কৃষিতে এ ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ৫০ কোটি ডলার। - এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যান্ড ডিজাস্টার রিস্ক অ্যাটলাস’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে দেশের প্রায় ২২টি জেলা খরার ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে খুবই উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে ছয় জেলা। খরাপ্রবণ এসব এলাকা মূলত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত।
|
|
| |
|
|
|
- ১৫ নভেম্বর, ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডর বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রচন্ড ভাবে আঘাত হানে। - এই ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় মার্কিন সেনাবাহিনী পরিচালিত ত্রাণ কার্যক্রমের সাংকেতিক নাম 'অপারেশন সি-এঞ্জেল-২'। - 'অপারেশন মান্না' সাংকেতিক নামে বাংলাদেশে ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনা করে যুক্তরাজ্য।
|
|
| |
|
|
|
- প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলতে প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা সংঘটিত দুর্যোগসমূহকে বুঝায়। যেমন: অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিকম্প, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি। - মানব-সৃষ্ট দুর্যোগ বলতে মানব কর্মকান্ডের ফলে সংঘটিত দুর্যোগসমূহকে বুঝায়। যেমন: জলাবদ্ধতা, অগ্নিকান্ড, রাসায়নিক দূষণ, যুদ্ধ ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
- প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলতে প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা সংঘটিত দুর্যোগসমূহকে বুঝায়। যেমন: অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিকম্প, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি। - মানব-সৃষ্ট দুর্যোগ বলতে মানব কর্মকান্ডের ফলে সংঘটিত দুর্যোগসমূহকে বুঝায়। যেমন: জলাবদ্ধতা, অগ্নিকান্ড, রাসায়নিক দূষণ, যুদ্ধ ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
- আভিকর্ষিক প্রভাবে অপেক্ষাকৃত শুকনা ভূখন্ড, শিলা বা উভয়ের প্রত্যক্ষভাবে নিম্নমুখী অবনমন বা পতন হল ভূমিধস। - ভূমিধস হল ভূমিক্ষয়ের একটা বড় কারণ এবং জানামতে সবচেয়ে শক্তিশালী অবক্ষয়। - বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পাহাড়ি এলাকায় এটা বেশি ঘটে থাকে। - গত কয়েক বছর ধরে প্রায় প্রতিবছরই পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিধস হতে শোনা যাচ্ছে। এমনকি, সিলেট বিভাগেও বন্যার মাঝে ভারী বৃষ্টিতে ভূমিধস ও ভূমিধসের কারণে মৃত্যু ঘটছে। - বাংলাদেশের অন্যতম বড় মাত্রার ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে ২০০৭ সালে। ওই বছরের ১১ই জুন চট্টগ্রামে বৃষ্টিজনিত ভূমিধ্বসে অন্তত ১২২ জনের প্রাণহানি ঘটে।
|
|
| |
|
|
|
- ন্যাপের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমি নদী ভাঙনের শিকার হয়।
- সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসের (সিইজিআইএস) তথ্যের বরাত দিয়ে এখানে বলা হয়েছে যে ১৯৭৩ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যমুনা নদীর ভাঙ্গন ছিল প্রায় ৯৪ হাজার হেক্টর এবং বৃদ্ধি ছিল সাড়ে ১৪ হাজার হেক্টর।
- এই সময়ের মাঝে পদ্মায় সাড়ে ৩৩ হাজার হেক্টরের বেশি জমি ভেঙ্গেছে এবং গড়েছে সাড়ে পাঁচ হাজারেরও কম। এছাড়া, যমুনায়ও ২৫ হাজার ২৯০ হেক্টর জমি বিলীন হয়ে গেছে।
- সিইজিআইএস বলছে, গত ২২ বছরে পদ্মা ও যমুনা নদীর ভাঙনে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছে।
|
|
| |
|
|
|
- দীর্ঘ সময় ধরে চলা শুষ্ক আবহাওয়া, অপর্যাপ্ত বৃষ্টি, বৃষ্টিপাতের তুলনায় বাষ্পীভবন ও প্রস্বেদনের পরিমাণ বেশি হলে খরার সৃষ্টি হয়। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় দেখা দেয় পানির অভাব। - কুয়া, খাল, বিলের মতো নিত্যব্যবহার্য পানির আধার শুকিয়ে যায়। - ১৯৬০ থেকে ১৯৯১ সাল, এই সময়সীমার মাঝে বাংলাদেশ মোট ১৯টি খরার মুখোমুখি হয়েছিলো। এর মাঝে সবচেয়ে তীব্র ছিল ১৯৬১, ১৯৭২, ১৯৭৬, ১৯৭৯ ও ১৯৮৯ সালের খরা। - এরপর ১৯৯৭ সালেও তীব্র খরা দেখা দেয়। সেই খরার কারণে কৃষিতে প্রায় ৫০ কোটি ডলারের ক্ষতি মোকাবেলা করতে হয় বাংলাদেশকে। সেসময় ১০ লাখ টন ধান ক্ষতির শিকার হয়। - যার মধ্যে ছয় লাখ টন ছিল রোপা আমন। সব মিলিয়ে কৃষিতে এ ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ৫০ কোটি ডলার। - এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যান্ড ডিজাস্টার রিস্ক অ্যাটলাস’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে দেশের প্রায় ২২টি জেলা খরার ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে খুবই উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে ছয় জেলা। খরাপ্রবণ এসব এলাকা মূলত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত।
|
|
| |
|
|
|
- ২০২৪ সালে হারিকেন মিল্টন একটি অত্যন্ত শক্তিশালী ঝড় হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। - এটি আটলান্টিক মহাসাগরের অন্যতম শক্তিশালী হারিকেন হিসেবে বিবেচিত হয়। - হারিকেন মিল্টনের সর্বোচ্চ স্থায়ী বাতাসের গতি ছিল ১৮০ মাইল প্রতি ঘণ্টা, যা এটিকে আটলান্টিকের ইতিহাসে অন্যতম শক্তিশালী ঝড় হিসেবে স্থান দিয়েছে। - হারিকেনটি দ্রুততার সাথে ক্যাটাগরি ৫ ঝড়ে পরিণত হয় এবং এর কেন্দ্রে বায়ুর চাপ ছিল ৮৯৭ মিলিবার, যা এটিকে ইতিহাসের পঞ্চম সর্বনিম্ন চাপযুক্ত হারিকেন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। - মিল্টন ফ্লোরিডার উপকূলের দিকে অগ্রসর হয় এবং এটি ফ্লোরিডার উপকূলে আঘাত হানে যা ঐ অঞ্চলে বিপর্যয়কর ঝড়ের জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি করে।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় নদীভাঙন এ দেশের জন্য নিয়মিত সমস্যা বলা যায়। - নদীভাঙনের কয়েকটি কারণ হলোঃ জলবায়ু পরিবর্তন, নদীর প্রবাহপথ ও তীব্র গতিবেগ, নদীর গতিপথ পরিবর্তন, নদীগর্ভে শিলার উপাদান, রাসায়নিক দ্রব্যের উপস্থিতি, বাহিত শিলার কঠিনতা, নদীগর্ভে ফাটলের উপস্থিতি, বৃক্ষনিধন ইত্যাদি।
- দুর্বল ও অপরিণত মাটির কারণে সবচেয়ে বেশি ভেঙেছে মাওয়া, শরীয়তপুর ও চাঁদপুর।
|
|
| |
|