Loading [MathJax]/jax/output/HTML-CSS/fonts/TeX/fontdata.js
 
বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক পরিবেশ পরিবর্তন (255 টি প্রশ্ন )
- জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা সবচেয়ে বেশি আফ্রিকায় দেখা দিচ্ছে।
- বিশেষ করে সাব-সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলে খাদ্য সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
- আফ্রিকার অনেক অঞ্চল, বিশেষ করে সাহেল অঞ্চল, ক্রমাগত খরার শিকার হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের অনিয়মিততা এবং দীর্ঘস্থায়ী খরা কৃষি উৎপাদনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে।
- জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আফ্রিকার অনেক উর্বর জমি মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। এর ফলে কৃষি জমি হ্রাস পাচ্ছে এবং খাদ্য উৎপাদন কমে যাচ্ছে।
- তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে ফসলের উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে। বিশেষ করে গম, ভুট্টা এবং অন্যান্য প্রধান খাদ্যশস্যের ফলন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাচ্ছে।
- ঘূর্ণিঝড়, বন্যা এবং খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা কৃষি খাতকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
- এই সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং টেকসই কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
- IPCC-এর ২০০৭ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১০০ বছরে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা প্রায় ০.৭৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।
- উত্তর অক্ষাংশে তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার তুলনামূলকভাবে বেশি।
- স্থলভাগ সমুদ্রের চেয়ে দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে।
- গত একশো বছরে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
- এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে, আগামী শতকে গড় তাপমাত্রা ৬ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে।
- জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
- এর প্রধান কারণ হলো সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং বন্যা।
- এসব কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ তাদের বসতভিটা হারিয়ে অভ্যন্তরীণভাবে অন্যত্র অভিবাসন করতে বাধ্য হচ্ছে।
- উপকূলীয় অঞ্চল থেকে অভিবাসনের ফলে শহরগুলোতে জনসংখ্যার চাপ বাড়ছে, বিশেষত ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো শহরে।
- অভিবাসনের ফলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, যেমন বেকারত্ব, অপরাধ বৃদ্ধি, এবং অবকাঠামোর ওপর চাপ।
- জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে থাকা প্রাকৃতিক সম্পদ হলো সুন্দরবন।
- সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন এবং এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত।
- এটি শুধুমাত্র একটি প্রাকৃতিক সম্পদ নয়, বরং এটি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলকে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে।

সুন্দরবনের হুমকির কারণ:
- সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা সুন্দরবনের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে সুন্দরবনের একটি বড় অংশ হারিয়ে যেতে পারে।

- লবণাক্ততা বৃদ্ধি: সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে সুন্দরবনের মিঠা পানির প্রবাহ কমে যাচ্ছে এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি সুন্দরবনের গাছপালা এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।
ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস:
সুন্দরবন ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসের প্রথম প্রতিরক্ষা লাইন হিসেবে কাজ করে। কিন্তু ঘন ঘন এবং শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সুন্দরবনের গাছপালা এবং বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
উদাহরণস্বরূপ, ২০০৭ সালের সিডর এবং ২০২০ সালের আম্পান ঘূর্ণিঝড় সুন্দরবনের বড় অংশ ধ্বংস করে দিয়েছে।

- জীববৈচিত্র্যের হুমকি:সুন্দরবন রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ অনেক বিরল প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই প্রাণীগুলোর টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে।
- জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের ঋতুচক্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।
- এর মধ্যে শীতকাল সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে।
- জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে শীতের সময়কাল ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে এবং শীতের তীব্রতা কমে যাচ্ছে।

শীতের বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তনের কারণ:
- গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি: বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে শীতকালে গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে শীতের তীব্রতা আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে।
- শীতের সময়কাল হ্রাস: আগে শীতকাল নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থায়ী থাকত। এখন এটি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
- কুয়াশার পরিমাণ কমে যাওয়া: শীতকালে কুয়াশার ঘনত্ব এবং স্থায়িত্বও কমে গেছে।
- জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব: গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে ঋতুচক্রের স্বাভাবিক ধারা ব্যাহত হচ্ছে।
- বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রধান কারণ হলো গ্রিনহাউস গ্যাসের বৃদ্ধি।
- গ্রিনহাউস গ্যাস যেমন কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂), মিথেন (CH₄), নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O), এবং ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (CFC) বায়ুমণ্ডলে জমা হয়ে সূর্যের তাপকে আটকে রাখে।
- এই প্রক্রিয়াকে গ্রিনহাউস এফেক্ট বলা হয়।
- এর ফলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মূল কারণ।

- অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গত এক বছরে প্রায় ১৫টি প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ।
- ১৭নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ১০০ দিন উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
- গত কয়েক দশকে যে পরিমাণ নদী দূষণ হয়েছে তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়ার কোথাও তিনি বলেন।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব:
- জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে-ঋতু পরিবর্তনসহ অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।
- জলবায়ু পরিবর্তনে- উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকিতে পড়বে।
- PPCC'র তথ্যানুযায়ী ২১০০ সাল নাগাদ মধ্য ইউরোপ ও উত্তর এশিয়ার ৮০ শতাংশ হিমবাহ গলে যাবে
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন :
- পৃথিবীতে পরিবেশগত সমস্যাসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ন (Global Warming)।
- বিগত শতাব্দীর তুলনায় বর্তমান শতাব্দীতে 0.6°C তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
- পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মেরু অঞ্চলের ও পর্বত চূড়ার বরফ গলে গিয়ে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে।
- এর ফলে পৃথিবীর প্রায় ৪০ % মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হতে চলেছে।
গ্রিন হাউস গ্যাস                 -    শতকরা হার
কার্বন ডাই-অক্সাইড(CO2)     -     ৪৯%
মিথেন  (CH4)                   -     ১৮%
ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (CFC)    -     ১৪%
নাইট্রাস অক্সাইড (N2O)        -    ০৬%
অন্যান্য (জলীয় বাষ্প)          -    ১৩%

জাপানের প্রাচীর রাজধানী কিয়োটাতে ১৯৯৭ সালের ১১ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয় কিয়োটা প্রটোকল । বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে ১৯৯০ সালকে ভিত্তি বছর ধরে উন্নত দেশগুলো তাদের গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস করার কথা ছিলো ৫.২% । প্রথমদিকে এর মেয়াদ ছিলো ১৬ বছর ( ১৯৯৭-২০১২ ), পরবর্তীতে বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সাল পর্যন্ত করা হয় ।
• IPCC বা Intergovernmental Panel on Climate Change নামক জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সংস্থাটি ১৯৮৮ সালে United Nations Environment Programme (UNEP) ও World Meteorological Organization (WMO) এর মিলিত উদ্যোগে গঠিত হয়।
• সদর দপ্তর- জেনেভা, সুইজারল্যান্ডে।
• IPCC নোবেল পুরস্কার লাভ করে- ২০০৭ সালে।
আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে প্রকৃতপক্ষে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উল্লেখযোগ্য পানির অভাব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জলবায়ু মডেলগুলি ভবিষ্যদ্বাণী করে যে এই অঞ্চলটি বর্ধিত তাপমাত্রা এবং আরও অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের ধরণগুলির মুখোমুখি হবে, যা খরা এবং পানির ঘাটতির দিকে পরিচালিত করবে। এটি সাহেলের কৃষি এবং মানুষের জীবন-জীবিকার জন্য গুরুতর প্রভাব ফেলেছে।
- উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলে উত্তরমুখী উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের ঘন নীল জল এবং দক্ষিণমুখী শীতল ল্যাব্রাডর স্রোতের প্রায় সবুজ জলের মধ্যে এমনই এক বিভাজন বহু দূর পর্যন্ত স্পষ্ট দেখা যায় ।
- এই বিভাজন রেখাকে ' হিমপ্রাচীর ' নামে অভিহিত করা হয় ।
- ভূ-ত্বকের উপরের শিলারাশি বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত, নদীপ্রবাহ, হিমবাহ ও সাগর তরঙ্গ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে অবিরত ক্ষয়ের মাধ্যমে সৃষ্ট ক্ষয়জাত পদার্থ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পরিবাহিত ও স্থানান্তরিত হয়। এভাবে প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা ভূ-ত্বকের শিলারাশির ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ক্ষয়ীভবন বলে।
- সূর্যরশ্মি, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত, নদীপ্রবাহ, হিমবাহ ও সাগর তরঙ্গ প্রভৃতি ক্ষয়ীভবনের প্রাকৃতিক নিয়ামক।
- মরু এলাকায় বায়ুপ্রবাহের দ্বারা সর্বাধিক ক্ষয়ীভবন হয়।
- মরুভূমিতে গাছপালা না থাকায় মৃত্তিকা ও শিলারাশির দৃঢ়তা খুবই কম। যার দরুণ ভূ-ত্বকের উপরিভাগ থেকে শিলারাশি ও মৃত্তিকা বায়ুর সাথে অন্যত্র চলে যায়।
বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের গৃহীত কার্যক্রম:
- সরকার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে।
- পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক সারাদেশে ১৬টি সার্বক্ষণিক বায়ুমান পরিবীক্ষণ স্টেশন (Continuous Air Monitoring Station বা CAMS) এবং ১৫টি কমপ্যাক্ট সার্বক্ষণিক বায়ুমান মনিটরিং স্টেশন (C- CAMS) পরিচালিত হচ্ছে।
- এ সকল CAMS-এ প্রাপ্ত তথ্য বিশেষণ করে মাসিক প্রতিবেদন ও বায়ুমান সূচক (Air Quality Index বা AQ) প্রকাশ করা হচ্ছে।
- এছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলের সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় একটি আন্ত:দেশীয় বায়ু মনিটরিং কেন্দ্রের মাধ্যমে আন্ত:দেশীয় বায়ু দূষণ চলাচল পরিমাপ করা হয়।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
-পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী বাগেরহাট জেলার বনভূমির বেশিরভাগই রয়েছে সুন্দরবন অঞ্চলে।
-সুন্দরবন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনভূমি। এই বনভূমিতে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী বাস করে। সুন্দরবন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুন্দরবন অঞ্চলে অবস্থিত বাগেরহাট জেলার বনভূমির আয়তন প্রায় ১,০০,০০০ হেক্টর। এই বনভূমিতে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ, উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। সুন্দরবন বনভূমি বাগেরহাট জেলার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সুন্দরবন তথা বাগেরহাটের পরিবেশগত গুরুত্ব নিম্নরূপ:
-জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ
-জলসম্পদ সংরক্ষণ
-প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা
-জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ
-অ্যান্টার্কটিকার উপর ওজোন স্তর ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ার আবিষ্কারটি বিজ্ঞানী জো ফরমান,
ব্রায়ান জি গার্ডিনার এবং জোনাথন ডি. শ্যাঙ্কলিন ১৯৮৫ সালে করেছিলেন।
-তারা নেচার জার্নালে তাদের ফলাফল প্রকাশ করেছিলেন।
-কোনো অঞ্চলে বায়ুমণ্ডলে নিম্নচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হলে জলভাগের উপর থেকে জলীয়বাষ্পপূর্ণ উষ্ণ এবং
 স্থলভাগের উপর থেকে শুষ্ক শীতল বায়ু ঐ একই নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে অনুভূমিকভাবে ছুটে আসে।
 শীতল বায়ু ভারী বলে উষ্ণ বায়ু শীতল বায়ুর উপর ধীরে ধীরে উঠতে থাকে। জলভাগের উপর থেকে আসা 
উষ্ণ বায়ুতে প্রচুর জলীয়বাষ্প থাকে। ঐ বায়ু শীতল বায়ুর উপরে উঠলে তার ভিতরে জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে 
বৃষ্টিপাত প্রাচীর ঊষ্ণ বায়ু ঘটায়। এরূপ বৃষ্টিপাতকে ঘূর্ণি বৃষ্টি বলে)। এই বৃষ্টিপাত সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে। 
মধ্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শীতকালে এরূপ বৃষ্টিপাত হতে দেখা যায় ৷ 


স্থল ও জলভাগের মধ্যে চাপের তারতম্য জনিত কারণে প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট ঋতুতে জলভাগ ও স্থলভাগের মধ্যে যে বিপরীতমুখী বায়ু প্রবাহিত হয়, তাকে মৌসুমি বায়ু বলে। মৌসুমি বায়ুর বৈশিষ্ট্য গুলি হলঃ
১. স্থল ও জলভাগের মধ্যে চাপের তারতম্য জনিত কারণে মৌসুমি বায়ু প্রবাহের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
২. শীত ও গ্রীষ্মকালে বায়ুর বিপরীত দিক থেকে প্রবাহিত হয়ে থাকে। যেমন – গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে এবং শীতকালে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়।
৩. মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে প্রধানত গ্রীষ্মকালে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে এবং শীতকাল শীতল ও শুষ্ক প্রকৃতির হয়।
৪. মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে যে বৃষ্টিপাত হয় তা সাধারনত শৈলোৎক্ষেপ শ্রেনীর হয়ে থাকে ।
ধান চাষের জন্য উপযুক্ত সাধারণ নদী উপত্যকা, নদী অববাহিকা ও নদীর বদ্বীপসমূহ। ধান চাষের ভৌগোলিক নিয়ামকসমূহ হচ্ছেঃ
- প্রাকৃতিক,
- অর্থনৈতিক ও
- সাংস্কৃতিক নিয়ামক।
ধান চাষের জন্য বিভিন্ন অর্থনৈতিক নিয়ামকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মূলধনের। উচ্চ ফলনশীল বীজ, সার ও কীটনাশক এবং সরকারি উদ্যেগের সহযোগিতা হলো সাংস্কৃতিক নিয়ামক
স্থল ও জলভাগের মধ্যে চাপের তারতম্য জনিত কারণে প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট ঋতুতে জলভাগ ও স্থলভাগের মধ্যে যে বিপরীতমুখী বায়ু প্রবাহিত হয়, তাকে মৌসুমি বায়ু বলে। মৌসুমি বায়ুর বৈশিষ্ট্য গুলি হলঃ
১. স্থল ও জলভাগের মধ্যে চাপের তারতম্য জনিত কারণে মৌসুমি বায়ু প্রবাহের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
২. শীত ও গ্রীষ্মকালে বায়ুর বিপরীত দিক থেকে প্রবাহিত হয়ে থাকে। যেমন – গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে এবং শীতকালে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়।
৩. মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে প্রধানত গ্রীষ্মকালে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে এবং শীতকাল শীতল ও শুষ্ক প্রকৃতির হয়।
৪. মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে যে বৃষ্টিপাত হয় তা সাধারনত শৈলোৎক্ষেপ শ্রেনীর হয়ে থাকে ।

'প্যাম্পারো' হলো স্থানীয় বায়ুপ্রবাহ। এটির ভৌগোলিক অবস্থান আর্জেন্টিনায় এবং উৎপত্তিকাল নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি।
পৃথিবীর অন্যান্য স্থানীয় বায়ুপ্রবাহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- উপতক্যা বায়ু,
- পার্বত্য বায়ু,
- ফন,
- সাইমুম,
- লি,
- খামসিন,
- সিরক্কো,
- বোরা,
- সালানো,
- হারমাতান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
সমুদ্র নিকটবর্তী এলাকায় শীত-গ্রীষ্ম এবং দিনরাত্রির তাপমাত্রার তেমন পার্থক্য হয় না, এ ধরণের জলবায়ুকে সমভাবাপন্ন জলবায়ু বলে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
অভিগমন মূলত দুই প্রকার। যেমনঃ 
১) অভ্যন্তরীণ অভিগমন
২) আন্তর্জাতিক অভিগমন।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0