Solution
Correct Answer: Option B
• বিসর্গ সন্ধি: বিসর্গের সাথে স্বর বা ব্যঞ্জনধ্বনির যে সন্ধি হয় তাকে বিসর্গ সন্ধি বলে। বিসর্গ সন্ধি দুই ভাগে বিভক্ত যথা-
১. র্-জাত বিসর্গ।
২. স্-জাত বিসর্গ।
সংস্কৃত ভাষার নিয়মে সংস্কৃত শব্দের শেষে ‘সৃ’ বা ‘র্’ থাকলে ‘স’ বা ‘র’ লোপ পেয়ে বিসর্গ সন্ধি হয়।
যেমন:
• র্-জাত বিসর্গ: নির্>নিঃ; দুর্>দুঃ, অন্তর্>অন্তঃ ইত্যাদি।
• স্-জাত বিসর্গ: সরস্>সরঃ; মনস্>মনঃ; পুরস্>পুরঃ ইত্যাদি।
বিসর্গ সন্ধির বৈশিষ্ট্য হলো সন্ধির ফলে র্-জাত বিসর্গের ‘র’ এবং স্-জাত বিসর্গের ‘স’ অনেক ক্ষেত্রে লোপ পেয়ে আবার ‘র’ এবং ‘স’ ফিরে আসে।
- র্-জাত বিসর্গ সন্ধি হলো: অন্তঃ + গত = অন্তর্গত।
- স্-জাত বিসর্গ সন্ধি হলো: মনঃ + কাম + মনস্কাম।
অন্যদিকে,
• স্বরসন্ধির সাথে স্বরসন্ধির মিলনের নাম স্বরসন্ধি। স্বরসন্ধিযোগে গঠিত শব্দ
আ + অ = আ; যথা+অর্থ = যথার্থ।
অ + অ = আ; নর+অধম = নরাধম।
ঈ + ই = ঈ; ফনী + ইন্দ্র = ফনীন্দ্র।