ধ্বনির উচ্চারন বিধি (102 টি প্রশ্ন )
• ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের স্থান ও প্রকৃতি অনুযায়ী তাদের বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। 'ন' ধ্বনিটি উচ্চারণের সময়:
- জিহ্বার ডগা উপরের পাটির দাঁতের গোড়া বা দন্তমূলকে স্পর্শ করে। একারণে এটি একটি দন্ত্য বর্ণ।
- একই সাথে ফুসফুস থেকে আগত বাতাস মুখ দিয়ে বের না হয়ে নাক দিয়ে বের হয়। একারণে এটি একটি নাসিক্য বর্ণ।
- এই দুটি বৈশিষ্ট্য মিলিয়ে 'ন'-কে দন্ত্য-নাসিক্য বর্ণ বলা হয়
- ত-বর্গের (ত, থ, দ, ধ, ন) পঞ্চম বর্ণ হওয়ায় এটি দন্ত্য এবং নাসিক্য উভয় বৈশিষ্ট্যই ধারণ করে।
বাংলা ভাষায় ‘অ’ ধ্বনি দুই রকমভাবে উচ্চারিত হয়—
- সংক্ষিপ্ত বা সংক্ষিপ্ত-অ (অ) – যেমন: অজ, অনেক, অতুল
- বিবৃত বা প্রসারিত-অ (আসন্ন আ ধ্বনির মতো) – যেমন: অন্যায়, অধ্যয়ন, অন্ন, সংখ্যা
- ‘অন্যায়’ শব্দে
প্রথম ‘অ’ (অन्) উচ্চারণের সময় মুখ কিছুটা বেশি খোলা হয়, এবং স্বরযন্ত্রে ধ্বনি প্রসারিতভাবে (বিবৃতভাবে) উচ্চারিত হয়।
অর্থাৎ, এটি বিবৃত ‘অ’ ধ্বনি — যা সংক্ষিপ্ত নয়।
- যে ধ্বনিগুলো উচ্চারণের সময় জিহ্বার গোড়ার অংশ বা জিহ্বামূল নরম তালু বা কণ্ঠের কাছাকাছি অংশ স্পর্শ করে, তাদের কণ্ঠ্যধ্বনি বলা হয়।
- 'ক' বর্গীয় ধ্বনিগুলো (ক, খ, গ, ঘ, ঙ) কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত হয়, তাই এদের কণ্ঠ্যধ্বনি বলা হয়।
ধ্বনিগুলোর উচ্চারণস্থান:

• ক খ গ ঘ ঙ - কণ্ঠ্য,
• চ ছ জ ঝ ঞ - তালব্য,
• ট ঠ ড ঢ ণ - মূর্ধন্য,
• ত থ দ ধ ন - দন্ত্য,
• প ফ ব ভ ম - ওষ্ঠ্য।

সে অনুসারে,
‘ছাদবাগান’ শব্দটিতে ধ্বনিসমূহের উচ্চারনের স্থানসমূহ যথাক্রমে- তালু, দন্ত্য, ওষ্ঠ্য, কণ্ঠ্য, দন্ত্য।
- যে স্বরধ্বনি উচ্চারণকালে মুখবিবর সংকুচিত হয় তাকে সংবৃত স্বরধ্বনি বলে।
- সংবৃত স্বরধ্বনি ৪টি ।
- যথা: ই, উ, এ, ও।

- যে স্বরধ্বনি উচ্চারণকালে মুখবিবর বিবৃত বা প্রসারিত হয় তাকে বিবৃত স্বরধ্বনি বলে।
- বিবৃত স্বরধ্বনি ৩টি।
- যথা: অ, আ, অ্যা।
বর্ণ ঃ উচ্চারণ স্থানগত অবস্থান- 
- ক  খ  গ  ঘ  ঙ ঃ কণ্ঠ বা জিহ্বামূলীয় বর্ণ
- চ  ছ  জ  ঝ  ঞ  শ  য  য় ঃ তালব্য বর্ণ
- ট  ঠ  ড  ঢ  ণ  ষ  র  ড়  ঢ় ঃ মূর্ধণ্য বা পশ্চাত দন্তমূলীয় বর্ণ
- ত  থ  দ  ধ  ন  ল  স ঃ দন্ত বর্ণ
- প  ফ  ব  ভ  ম ঃ ওষ্ঠ্য বর্ণ

- পাশাপাশি দুটি স্বরধ্বনি এক প্রয়াসে ও দ্রুত উচ্চারিত হয়ে যদি একটি যুগ্মধ্বনিতে রূপ নেয় তবে তাকে যৌগিক স্বরধ্বনি বা সন্ধিস্বর বা দ্বিস্বর বলা হয়।
- বাংলা ভাষায় যৌগিক স্বরধ্বনির সংখ্যা পঁচিশ।
- তবে যৌগিক স্বরজ্ঞাপক বর্ণ মাত্র ২টি- এবং ঔ।
- বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনির সংখ্যা ৭টি।
শ, ষ, স এর উচ্চারণ:
- শ কখনাে [শ]-এর মতাে উচ্চারিত হয়, কখনাে [স]-এর মতাে উচ্চারিত হয়।
- স কখনাে [শ]-এর মতাে উচ্চারিত হয়, আবার কখনাে [স]-এর মতাে উচ্চারিত হয়।
- ষ বর্ণের উচ্চারণ সব সময়ে [শ]।

উদাহরণ:
- শ বর্ণের [শ] উচ্চারণ: শত [শতো], শসা [শশা]।
- শ বর্ণের [স] উচ্চারণ: শ্রমিক [স্রোমিক্‌], শৃগাল [সৃগাল্‌]।
- ষ বর্ণের [শ] উচ্চারণ: ভাষা [ভাশা], ষােলাে [শােলাে]।
- স বর্ণের [শ) উচ্চারণ: সাধারণ [শাধারােন], সামান্য [শামান্‌নো] ।
- স বর্ণের [স] উচ্চারণ: আস্তে [আসতে], সালাম [সালাম্‌]।

উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- 'অদ্য' শব্দটিতে 'অ' বর্ণের উচ্চারণ [ও] এর মতো হবে। 

- 'অ' বর্ণের উচ্চারণ দুই রকম। যথা: [অ] এবং [ও] । সাধারণ উচ্চারণ [অ], কিন্তু পাশের ধ্বনির প্রভাবে [অ] কখনো কখনো [ও]-এর মতো উচ্চারিত হয়।

-  ‘অ' বর্ণের স্বাভাবিক উচ্চারণ: অনেক [অনেক], কথা [কথা], অনাথ [অনাথ] ।

- ‘অ’ বর্ণের [ও] উচ্চারণ: অতি [ওতি], অণু [ওনু], পক্ষ [পোখো], অদ্য [ওদো]।
বাংলা বর্ণমালায় অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ বর্ণ রয়েছে । অল্পপ্রাণ বর্ণ উচ্চারণে অ - যোগ করতে হয় আর মহাপ্রাণ বর্ণে অ+ হ উচ্চারণ করতে হয় ।যেমন - খ-অ+হ । ঝ- অ +হ্ন
- ক  খ  গ  ঘ  ঙ ঃ কণ্ঠ বা জিহ্বামূলীয় বর্ণ
- চ  ছ  জ  ঝ  ঞ  শ  য  য় ঃ তালব্য বর্ণ
- ট  ঠ  ড  ঢ  ণ  ষ  র  ড়  ঢ় ঃ মূর্ধণ্য বা পশ্চাত দন্তমূলীয় বর্ণ
- ত  থ  দ  ধ  ন  ল  স ঃ দন্ত বর্ণ
- প  ফ  ব  ভ  ম ঃ ওষ্ঠ্য বর্ণ

- 'সামান্য' শব্দটির সঠিক উচ্চারণ - শামান্‌নো।

শ, ষ, স এর উচ্চারণ:
- শ কখনাে [শ]-এর মতাে উচ্চারিত হয়, কখনাে [স]-এর মতাে উচ্চারিত হয়।
- স কখনাে [শ]-এর মতাে উচ্চারিত হয়, আবার কখনাে [স]-এর মতাে উচ্চারিত হয়।
- ষ বর্ণের উচ্চারণ সব সময়ে [শ]।

উদাহরণ:
- শ বর্ণের [শ] উচ্চারণ: শত [শতো], শসা [শশা]।
- শ বর্ণের [স] উচ্চারণ: শ্রমিক [স্রোমিক্‌], শৃগাল [সৃগাল্‌]।
- ষ বর্ণের [শ] উচ্চারণ: ভাষা [ভাশা], ষােলাে [শােলাে]।
- স বর্ণের [শ) উচ্চারণ: সাধারণ [শাধারােন], সামান্য [শামান্‌নো] ।
- স বর্ণের [স] উচ্চারণ: আস্তে [আসতে], সালাম [সালাম্‌]।

উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি।

- 'ল' একটি দন্ত্য ব্যঞ্জনবর্ণ।
- এই বর্ণটি উচ্চারণের সময় জিহ্বার অগ্রভাগ উপরের পাটির দাঁতের গোড়ায় বা দন্তমূলে স্পর্শ করে।
- যেহেতু জিহ্বা দাঁতকে স্পর্শ করে এই ধ্বনিটি তৈরি করে, তাই একে দন্ত্য বর্ণ বলা হয়।
- উচ্চারণরীতি অনুযায়ী 'ল'-কে পার্শ্বিক ধ্বনিও বলা হয়।

উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী দন্ত্য বর্ণ ৭ টি। যথা- ত, থ, দ, ধ, ন, ল, স।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

তালু থেকে উচ্চারিত ধ্বনির প্রতীক বর্ণকে তালব্য বর্ণ বলে।চ,ছ,জ, ঝ,ঞ ,শ
তালব্য বর্ণ – তালু থেকে উচ্চারিত ধ্বনির প্রতীক বর্ণ অর্থাত্ , ঈ, এ, চ, ছ, , ঝ, , য়, শ।





- 'বাহ্য' শব্দটি সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত, যেখানে এটি "বহিস্‌ + য" ধাতু থেকে এসেছে।
- বাংলা উচ্চারণের নিয়ম অনুযায়ী, 'হ্য' যুক্ত শব্দগুলোর উচ্চারণে 'জ্‌ঝো' ধ্বনি ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, 'দাহ্য' উচ্চারিত হয় 'দাজ্‌ঝো', এবং 'সহ্য' উচ্চারিত হয় 'শোজ্‌ঝো'।
- 'বাহ্য' শব্দের উচ্চারণ 'বাজ্‌ঝো' ।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0