অনুসর্গ (103 টি প্রশ্ন )
- প্রদত্ত বিকল্পগুলির মধ্যে 'বনাম' অনুসর্গটি বিরুদ্ধগামিতা, প্রতিযোগিতা বা প্রতিপক্ষতা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
- যেমন: "আজকের খেলা বাংলাদেশ বনাম ভারত"। এখানে 'বনাম' শব্দটি দুটি দলের একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থানকে নির্দেশ করছে।

- সনে: 'সঙ্গে' বা 'সাথে' অর্থে ব্যবহৃত হয় (সাধারণত কাব্যে বা পুরোনো বাংলায়)।
- প্রতি: 'দিকে' বা 'উদ্দেশ্যে' অর্থে ব্যবহৃত হয় (যেমন: গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধা)।
- বিনা: 'ছাড়া' বা 'ব্যতীত' অর্থে ব্যবহৃত হয় (যেমন: জল বিনা জীবন অচল)।
- বাক্যে 'অবধি' অনুসর্গটি একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বা শেষ বিন্দু নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়েছে।
- 'তারিখ অবধি হিসাব করো' বাক্যটির অর্থ হলো 'নির্দিষ্ট তারিখ পর্যন্ত হিসাব করো'।
- এখানে 'অবধি' শব্দটি 'পর্যন্ত' (until/up to) অর্থ প্রকাশ করছে।
- এই বাক্যে 'দিয়ে' শব্দটি একটি অনুসর্গ।
- এখানে 'দিয়ে' অনুসর্গটি 'তোমাকে' সর্বনাম পদের পরে বসেছে এবং বাক্যের ক্রিয়াপদ 'চলবে না'-এর সাথে একটি করণকারক সম্পর্ক স্থাপন করেছে।
- এটি বোঝাচ্ছে যে, কোনো একটি কাজ সম্পন্ন করার উপকরণ বা মাধ্যম হিসেবে 'তোমাকে' ব্যবহার করা সম্ভব নয়।
- অনুসর্গ হিসেবে 'দিয়ে' এখানে একটি স্বাধীন পদ, যা বাক্যের অর্থকে পূর্ণতা দিয়েছে।

এই বাক্যে 'বনাম' শব্দটি দুটি পক্ষ (বাংলাদেশ ও ভারত) -এর মধ্যেকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। যে সকল শব্দ দুটি পদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে, সেগুলিই অনুসর্গ। ইংরেজিতে এর প্রতিশব্দ 'versus'।

এখানে 'আজ' একটি ক্রিয়াবিশেষণ (Adverb of time), 'ভারতের' একটি সম্বন্ধ পদ এবং 'খেলা' একটি বিশেষ্য পদ। একমাত্র 'বনাম' শব্দটিই অনুসর্গ হিসেবে দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করেছে। 
বিভক্তি হলো বর্ণের সমষ্টি যা শব্দের শেষে যুক্ত হয়ে শব্দটিকে পদে পরিণত করে এবং কারক নির্দেশ করে। অনুসর্গগুলো নিজেরা স্বাধীন শব্দ হলেও, অনেক সময় এগুলো বিভক্তির মতোই কাজ করে।

উদাহরণস্বরূপ, "ছাদের উপরে" এবং "ছাদে" – এই দুটি 'উপরে' অনুসর্গটি সপ্তমীর 'এ' বিভক্তির মতো কাজ করছে, অর্থাৎ স্থান নির্দেশ করছে। ফাইলের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় অনুসর্গের সংজ্ঞাতেই বলা হয়েছে, "কখনো শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে"। তাই অনুসর্গই হলো সেই ব্যাকরণিক উপাদান যা বিভক্তির মতো কাজ করতে পারে।
অনুসর্গ হলো সেই সব অব্যয় শব্দ যা বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের পরে বসে শব্দটির সাথে বাক্যের অন্য অংশের সম্পর্ক তৈরি করে।

এই বাক্যে, 'থেকে' শব্দটি 'ঢাকা' বিশেষ্য পদের পরে বসে যাত্রার সূচনা স্থান নির্দেশ করছে এবং বাক্যের বাকি অংশের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করছে। এটি একটি বিযুক্তি বা উৎপত্তিস্থল বোঝাচ্ছে, যা অপাদান কারকের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। 'যেতে' (অসমাপিকা ক্রিয়া), 'নদী' (বিশেষ্য) বা 'হয়' (সমাপিকা ক্রিয়া) অনুসর্গ নয়।
'কাছে' অনুসর্গটিও বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে, যেমন - নিকট (Proximity), অধিকার (Possession), বা জিজ্ঞাসা।

প্রদত্ত বাক্যে, "আমার কাছে আর কে আসবে?" বলতে বক্তার নিকটে বা সমীপে আসার কথা বলা হচ্ছে। এখানে বক্তার অধিকারে কিছু থাকা বা অন্য কোনো অর্থ প্রকাশ পাচ্ছে না। এটি স্থানগত নৈকট্য বোঝাচ্ছে। 
করণ কারক হলো যা দিয়ে বা যার সাহায্যে ক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ক্রিয়াকে "কীসের দ্বারা?" বা "কী উপায়ে?" প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই করণ কারক।

এই বাক্যে ক্রিয়াটি হলো 'গাঁথা'। যদি প্রশ্ন করা হয়, "কীসের দ্বারা গাঁথা?", উত্তর আসে '(বিনি) সুতায়', অর্থাৎ সুতা এখানে মাধ্যম বা উপকরণ। 'বিনি' শব্দটি এখানে 'ছাড়া' বা 'ব্যতীত' অর্থ প্রকাশ করছে এবং এটি করণ কারকের সাথে যুক্ত হয়েছে। 

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
'সঙ্গে' অনুসর্গটি একাধিক অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে, যেমন: সহগামিতা (একসাথে যাওয়া বা থাকা) বা তুলনা। বাক্যের প্রসঙ্গের উপর এর অর্থ নির্ভর করে।

এই বাক্যে "মায়ের সঙ্গে এ মেয়ের তুলনা" বলতে মায়ের এবং মেয়ের মধ্যে একটি তুলনা বোঝানো হচ্ছে। এখানে একসাথে থাকার বা যাওয়ার কোনো অর্থ প্রকাশ পাচ্ছে না। 
- বাংলা ব্যাকরণে অনুসর্গগুলো সাধারণত শব্দের পরে বসে।
- কিছু ক্ষেত্রে এগুলি সরাসরি প্রাতিপদিকের (শব্দের মূল রূপ) পরে বসে, আবার কিছু ক্ষেত্রে বিভক্তিযুক্ত শব্দের পরে বসে।

- এই বাক্যে, 'তোমাকে' শব্দটি হলো 'তুমি' সর্বনামের সাথে দ্বিতীয়া বিভক্তির 'কে' যুক্ত রূপ (তুমি + কে = তোমাকে)।
- এরপরে 'দিয়ে' অনুসর্গটি ব্যবহৃত হয়েছে। 'দিয়ে' অনুসর্গটি এখানে দ্বিতীয়া বিভক্তিযুক্ত একটি শব্দের পরে বসেছে।

- বাংলা ভাষায় যে অব্যয় শব্দগুলো কখনো স্বাধীন পদ রূপে, আবার কখনো শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে, সেগুলোকে অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বলে।
- যেমন: শরতের পরে আসে বসন্ত।
- প্রদত্ত উদাহরণে 'পরে' অনুসর্গটি দীর্ঘবিরতি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
অনুসর্গ প্রধানত দুই প্রকার।
১) নাম বা বিশেষ্য অনুসর্গ
২) ক্রিয়া অনুসর্গ

- নাম বা বিশেষ্য অনুসর্গকে আবার তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১) সংস্কৃত অনুসর্গ: অপেক্ষা, অভিমুখ, উপরে, কর্তৃক, জন্য, দিকে ইত্যাদি।
২) বিবর্তিত অনুসর্গ: আগে, কাছে, ছাড়া, তরে, পানে, পাশে, বই, ভেতর, মাঝে, সাথে, সামনে ইত্যাদি।
৩) ফারসি অনুসর্গ: দরুন, বদলে, বনাম, বাদে, বাবদ, বরাবর ইত্যাদি।
অনুসর্গের প্রয়োগ:
• বিনা: তুমি বিনা (বিনে) আমার কে আছে? (কর্তৃকারকের সাথে)
• বিনি: বিনি সুতায় গাঁথা মালা। (করণ কারকের সাথে)
• বিহনে: উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ?
• সহ: তিনি পুত্রসহ উপস্থিত হলেন। (সহগামিতা অর্থে)
• সহিত: শত্রুর সহিত সন্ধি চাই না। (সমসূত্রে অর্থে)
• সনে: 'দংশনক্ষত শ্যেন বিহঙ্গ যুঝে ভুজঙ্গ সনে।' (বিরুদ্ধগামিতা অর্থে)
• সঙ্গে: মায়ের সঙ্গে এ মেয়ের তুলনা হয় না। (তুলনায়)
• অবধি: সন্ধ্যা অবধি অপেক্ষা করব। (পর্যন্ত অর্থে)
• পরে: এ ঘটনার পরে আর এখানে থাকা চলে না। (স্বল্প বিরতি অর্থে)
• পর: শরতের পরে আসে বসন্ত। (দীর্ঘ বিরতি অর্থে)
• পানে: ঐ তো ঘর পানে ছুটেছেন। (প্রতি/দিকে অর্থে) 'শুধু তোমার পানে চাহি বাহির হনু।'
• পক্ষে: রাজার পক্ষে সব কিছু সম্ভব। (সক্ষমতা অর্থে); আসামির পক্ষে উকিল কে? (সহায় অর্থে)
• মতে: বেকুবের মত কাজ করো না। (ন্যায় অর্থে)
• তরে: এ জন্মের তরে বিদায় নিলাম। (মতো অর্থে)
• মাঝে: 'সীমার মাঝে অসীম তুমি'। (মধ্যে অর্থে) এ দেশের মাঝে এক দিন সব ছিল। (একদেশিক অর্থে) নিমেষ মাঝেই সব শেষ। (ক্ষণকাল অর্থে)
• কাছে: আমার কাছে আর কে আসবে? (নিকট অর্থে) 'রাখাল শুধায় আসি ব্রাহ্মণের কাছে।' (কর্মকারকে 'কে' বোঝাতে) কার কাছে গেলে জানা যাবে?
• প্রতি: মণপ্রতি পাঁচ টাকা লাভ দেব। (প্রত্যেক অর্থে) 'নিদারুণ তিনি অতি, নাহি দয়া তব প্রতি।' (দিকে বা ওপর অর্থে)
• হেতু: 'কী হেতু এসেছ তুমি, কহ বিস্তারিয়া।' (নিমিত্ত অর্থে)
• জন্যে: 'এ ধন-সম্পদ তোমার জন্যে।' (নিমিত্ত অর্থে)
• হারানো ঘড়িটার জন্য অনেক কেঁদেছি।
• সহকারে: আগ্রহ সহকারে কহিলেন। (সঙ্গে অর্থে)
• বশত: দুর্ভাগ্যবশত সভায় উপস্থিত হতে পারিনি। (কারণে অর্থে)
• উপরে: মাথার উপরে নীল আকাশ।
• দ্বারা: এমন কাজ তোমার দ্বারা হবে না।
• বনাম: আজ বাংলাদেশ বনাম ভারতের খেলা।
• করে: ভালো করে খেয়ে নাও।
• থেকে: ঢাকা থেকে বরিশাল যেতে পদ্মা নদী পার হতে হয়।
• দিয়ে: মন দিয়ে লেখাপড়া করা দরকার।
• ধরে: বহুদিন ধরে অপেক্ষা করে বসে আছি।
• বলে: সে সঙ্গে যাবে বলে তৈরি হয়ে এসেছে।
- বাংলা ভাষায় যে অব্যয় শব্দগুলো কখনো স্বাধীন পদরূপে, আবার কখনো শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে, সেগুলোকে অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বলা হয়।
- বাংলা ভাষার কয়েকটি অনুসর্গহলো-
- প্রতি, বিনা, বিহনে, সহ, ওপর, অবধি, হেতু, মাঝে, পরে, ভিন্ন, বই, ব্যতীত, জন্যে, জন্য, পর্যন্ত, অপেক্ষা, সহকারে, তরে, পানে, নামে, মতো, নিকট, অধিক, পক্ষে, দ্বারা, দিয়া, দিয়ে, কর্তৃক, সঙ্গে, হইতে, হতে, থেকে, চেয়ে, পাছে, ভিতর, ভেতর ইত্যাদি।
- এদের মধ্যে দ্বারা, দিয়া, দিয়ে, কর্তৃক (তৃতীয়া বিভক্তি), হইতে, হতে, চেয়ে (পঞ্চমী বিভক্তি), অপেক্ষা, মধ্যে প্রভৃতি কয়েকটি অনুসর্গ বিভক্তিরূপে ব্যবহৃত হয়। 
অনুসর্গের প্রয়োগ:
• বিনা: তুমি বিনা (বিনে) আমার কে আছে? (কর্তৃকারকের সাথে)
• বিনি: বিনি সুতায় গাঁথা মালা। (করণ কারকের সাথে)
• বিহনে: উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ?
• সহ: তিনি পুত্রসহ উপস্থিত হলেন। (সহগামিতা অর্থে)
• সহিত: শত্রুর সহিত সন্ধি চাই না। (সমসূত্রে অর্থে)
• সনে: 'দংশনক্ষত শ্যেন বিহঙ্গ যুঝে ভুজঙ্গ সনে।' (বিরুদ্ধগামিতা অর্থে)
• সঙ্গে: মায়ের সঙ্গে এ মেয়ের তুলনা হয় না। (তুলনায়)
• অবধি: সন্ধ্যা অবধি অপেক্ষা করব। (পর্যন্ত অর্থে)
• পরে: এ ঘটনার পরে আর এখানে থাকা চলে না। (স্বল্প বিরতি অর্থে)
• পর: শরতের পরে আসে বসন্ত। (দীর্ঘ বিরতি অর্থে)
• পানে: ঐ তো ঘর পানে ছুটেছেন। (প্রতি/দিকে অর্থে) 'শুধু তোমার পানে চাহি বাহির হনু।'
• পক্ষে: রাজার পক্ষে সব কিছু সম্ভব। (সক্ষমতা অর্থে); আসামির পক্ষে উকিল কে? (সহায় অর্থে)
• মতে: বেকুবের মত কাজ করো না। (ন্যায় অর্থে)
• তরে: এ জন্মের তরে বিদায় নিলাম। (মতো অর্থে)
• মাঝে: 'সীমার মাঝে অসীম তুমি'। (মধ্যে অর্থে) এ দেশের মাঝে এক দিন সব ছিল। (একদেশিক অর্থে) নিমেষ মাঝেই সব শেষ। (ক্ষণকাল অর্থে)
• কাছে: আমার কাছে আর কে আসবে? (নিকট অর্থে) 'রাখাল শুধায় আসি ব্রাহ্মণের কাছে।' (কর্মকারকে 'কে' বোঝাতে) কার কাছে গেলে জানা যাবে?
• প্রতি: মণপ্রতি পাঁচ টাকা লাভ দেব। (প্রত্যেক অর্থে) 'নিদারুণ তিনি অতি, নাহি দয়া তব প্রতি।' (দিকে বা ওপর অর্থে)
• হেতু: 'কী হেতু এসেছ তুমি, কহ বিস্তারিয়া।' (নিমিত্ত অর্থে)
• জন্যে: 'এ ধন-সম্পদ তোমার জন্যে।' (নিমিত্ত অর্থে)
• হারানো ঘড়িটার জন্য অনেক কেঁদেছি।
• সহকারে: আগ্রহ সহকারে কহিলেন। (সঙ্গে অর্থে)
• বশত: দুর্ভাগ্যবশত সভায় উপস্থিত হতে পারিনি। (কারণে অর্থে)
• উপরে: মাথার উপরে নীল আকাশ।
• দ্বারা: এমন কাজ তোমার দ্বারা হবে না।
• বনাম: আজ বাংলাদেশ বনাম ভারতের খেলা।
• করে: ভালো করে খেয়ে নাও।
• থেকে: ঢাকা থেকে বরিশাল যেতে পদ্মা নদী পার হতে হয়।
• দিয়ে: মন দিয়ে লেখাপড়া করা দরকার।
• ধরে: বহুদিন ধরে অপেক্ষা করে বসে আছি।
• বলে: সে সঙ্গে যাবে বলে তৈরি হয়ে এসেছে।
- অনুসর্গগুলো কখনো প্রাতিপদিকের পরে ব্যবহৃত হয়, আবার কখনো বা 'কে' এবং 'র' বিভক্তিযুক্ত শব্দের পরে বসে।
যেমন-
- বিনা: দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে? (প্রাতিপদিকের পরে)
- সনে: ময়ূরীর সনে নাচিছে ময়ূর। (ষষ্ঠী বিভক্তিযুক্ত শব্দের পরে)
- দিয়ে: তোমাকে দিয়ে আমার চলবে না। (দ্বিতীয়ার 'কে' বিভক্তিযুক্ত শব্দের পরে)।
- জন্যে: সে পরীক্ষার জন্য পড়ছে। (ষষ্ঠীর 'র' বিভক্তিযুক্ত শব্দের পরে)।
-অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বাংলা ব্যাকরণের একটি পদ। 
-বাংলা ভাষায় যে অব্যয় শব্দগুলো কখনো স্বাধীন পদরূপে, আবার কখনো শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে, সেগুলোকেই অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বলা হয়।
যেমন- প্রতি, বিনা, বিহনে, সহ, ওপর, অবধি, নিকট, অধিক, পক্ষে, দ্বারা, দিয়া, দিয়ে, কর্তৃক, সঙ্গে, হইতে, হতে, থেকে, চেয়ে, পাছে, ভিতর, ভেতর ইত্যাদি

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
অনুসর্গ প্রধানত দুই প্রকার।
১) নাম বা বিশেষ্য অনুসর্গ
২) ক্রিয়া অনুসর্গ

- নাম বা বিশেষ্য অনুসর্গকে আবার তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১) সংস্কৃত অনুসর্গ: অপেক্ষা, অভিমুখ, উপরে, কর্তৃক, জন্য, দিকে ইত্যাদি।
২) বিবর্তিত অনুসর্গ: আগে, কাছে, ছাড়া, তরে, পানে, পাশে, বই, ভেতর, মাঝে, সাথে, সামনে ইত্যাদি।
৩) ফারসি অনুসর্গ: দরুন, বদলে, বনাম,বাদে, বাবদ, বরাবর ইত্যাদি।
- বাংলা ভাষায় যে অব্যয় শব্দগুলো কখনো স্বাধীন পদরূপে, আবার কখনো শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে, সেগুলোকে অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বলা হয়।
- বাংলা ভাষার কয়েকটি অনুসর্গহলো-
- প্রতি, বিনা, বিহনে, সহ, ওপর, অবধি, হেতু, মাঝে, পরে, ভিন্ন, বই, ব্যতীত, জন্যে, জন্য, পর্যন্ত, অপেক্ষা, সহকারে, তরে, পানে, নামে, মতো, নিকট, অধিক, পক্ষে, দ্বারা, দিয়া, দিয়ে, কর্তৃক, সঙ্গে, হইতে, হতে, থেকে, চেয়ে, পাছে, ভিতর, ভেতর ইত্যাদি।
- এদের মধ্যে দ্বারা, দিয়া, দিয়ে, কর্তৃক (তৃতীয়া বিভক্তি), হইতে, হতে, চেয়ে (পঞ্চমী বিভক্তি), অপেক্ষা, মধ্যে প্রভৃতি কয়েকটি অনুসর্গ বিভক্তিরূপে ব্যবহৃত হয়। 
সংস্কৃত অনুসর্গ- অপেক্ষা, অভিমুখে, উপরে, কর্তৃক, জন্য, দিকে ইত্যাদি। যেমন- গ্রীষ্ম অপেক্ষা শীত ভাল, মাথার উপরে সুনীল আকাশ, বাড়ির অভিমুখে যাত্রা শুরু করলাম ইত্যাদি।
অনুসর্গ প্রধানত দুই প্রকার।
১) নাম বা বিশেষ্য অনুসর্গ
২) ক্রিয়া অনুসর্গ

- নাম বা বিশেষ্য অনুসর্গকে আবার তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১) সংস্কৃত অনুসর্গ: অপেক্ষা, অভিমুখ, উপরে, কর্তৃক, জন্য, দিকে ইত্যাদি।
২) বিবর্তিত অনুসর্গ: আগে, কাছে, ছাড়া, তরে, পানে, পাশে, বই, ভেতর, মাঝে, সাথে, সামনে ইত্যাদি।
৩) ফারসি অনুসর্গ: দরুন, বদলে, বনাম, বাদে, বাবদ, বরাবর ইত্যাদি।
ক্রিয়াজাত অনুসর্গ:
- যেসব অনুসর্গ ক্রিয়াপদ থেকে তৈরি হয়েছে, সেগুলোকে ক্রিয়াজাত অনুসর্গ বলে।
যেমন:
• করে: ভালো করে খেয়ে নাও।
• ধরে: বহুদিন ধরে অপেক্ষা করে আছি।
• দিয়ে: মন দিয়ে লেখাপড়া করা দরকার।
• থেকে: ঢাকা থেকে বরিশাল যেতে পদ্মা নদী পার হতে হয়।
• বলে: তুমি আসবে বলে আমি দাঁড়িয়ে আছি।
অনুসর্গ প্রধানত দুই প্রকার।
১) নাম বা বিশেষ্য অনুসর্গ
২) ক্রিয়া অনুসর্গ

- নাম বা বিশেষ্য অনুসর্গকে আবার তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১) সংস্কৃত অনুসর্গ: অপেক্ষা, অভিমুখ, উপরে, কর্তৃক, জন্য, দিকে ইত্যাদি।
২) বিবর্তিত অনুসর্গ: আগে, কাছে, ছাড়া, তরে, পানে, পাশে, বই, ভেতর, মাঝে, সাথে, সামনে ইত্যাদি।
৩) ফারসি অনুসর্গ: দরুন, বদলে, বনাম,বাদে, বাবদ, বরাবর ইত্যাদি।
- বাংলা ভাষায় যে অব্যয় শব্দগুলো কখনো স্বাধীন পদ দেয়, আবার কখনো শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশ করতে সাহায্য করে, তাকে অনুসর্গ বলে।
অনুসর্গ ২ প্রকার:
- সাধারণ অনুসর্গ,
- ক্রিয়াজাত অনুসর্গ।

ক্রিয়াজাত অনুসর্গ:
- যেসব অনুসর্গ ক্রিয়াপদ থেকে তৈরি হয়েছে, সেগুলোকে ক্রিয়াজাত অনুসর্গ বলে।

- "মন দিয়ে লেখাপড়া করা দরকার।"
এখানে 'দিয়ে' শব্দটি 'দেওয়া' ক্রিয়াপদ থেকে উদ্ভূত হয়েছে এবং এটি বাক্যে অনুসর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। যেহেতু এটি একটি ক্রিয়াপদ থেকে তৈরি হয়েছে, তাই এটি ক্রিয়াজাত অনুসর্গ হিসেবে বিবেচিত হয়।
- রাজার পক্ষে সবকিছুই সম্ভব > সক্ষমতা অর্থে

- দংশঙ্কখত শ্যেন বিহঙ্গ যুঝে ভুজঙ্গ সনে > বিরুদ্ধগামিতা অর্থে

- শত্রুর সহিত সন্ধি চাই না > সমসূত্র অর্থে,

- এ ঘটনার পরে আর এখানে থাকা চলে না > স্বল্পবিরতি অর্থে।
-বাংলা ভাষায় যে অব্যয় শব্দগুলো কখনো স্বাধীন পদরূপে, আবার কখনো শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে, সেগুলোকে অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বলা হয়।
-বাংলা ভাষার কয়েকটি অনুসর্গহলো-
-প্রতি, বিনা, বিহনে, সহ, ওপর, অবধি, হেতু, মাঝে,
-পরে, ভিন্ন, বই, ব্যতীত, জন্যে, জন্য, পর্যন্ত, অপেক্ষা,
-সহকারে, তরে, পানে, নামে, মতো, নিকট, অধিক, পক্ষে,
-দ্বারা, দিয়া, দিয়ে, কর্তৃক, সঙ্গে, হইতে, হতে, থেকে, চেয়ে,
-পাছে, ভিতর, ভেতর ইত্যাদি। এদের মধ্যে দ্বারা, দিয়া, দিয়ে,
-কর্তৃক (তৃতীয়া বিভক্তি), হইতে, হতে, চেয়ে (পঞ্চমী বিভক্তি),
-অপেক্ষা, মধ্যে প্রভৃতি কয়েকটি অনুসর্গ বিভক্তিরূপে ব্যবহৃত হয়।
- অনুসর্গের প্রয়োগ -

- নিমিত্তে অর্থে - কী হেতু এসছ তুমি, কহ বিস্তারিয়া

- কারণ অর্থে - দুর্ভাগ্যবশত সভায় উপস্থিত হতে পারিনি

- সঙ্গে অর্থে - আগ্রহ সহকারে কহিলেন

- সক্ষমতা অর্থে - রাজার পক্ষে সবকিছুই সম্ভব

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- রাজার পক্ষে সবকিছুই সম্ভব > সক্ষমতা অর্থে

- দংশঙ্কখত শ্যেন বিহঙ্গ যুঝে ভুজঙ্গ সনে > বিরুদ্ধগামিতা অর্থে

- শত্রুর সহিত সন্ধি চাই না > সমসূত্র অর্থে,

- এ ঘটনার পরে আর এখানে থাকা চলে না > স্বল্পবিরতি অর্থে।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0