নরবাচক ও নারীবাচক শব্দ (225 টি প্রশ্ন )
কতকগুলো শব্দের শেষে পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ যোগ করে পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ গঠন করা হয়।যেমন : পুংলিঙ্গ বোন - পো বোন - ঝি ঠাকুরদা ঠাকুরমা গয়লা গয়লা বউ জেলে জেলে বউ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
শুক একটি বিশেষ্য পদ এবং পুরুষবাচক শব্দ। সারী শব্দটি স্ত্রীবাচক ।
 তাই শুক শব্দের স্ত্রীবাচক শব্দ সারী।

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যেসকল শব্দের লিঙ্গান্তর হয় না সেগুলো নিত্য পুরুষবাচক অথবা নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ।
নিত্য পুরুষবাচক শব্দ- কবিরাজ, কেরানী, দরবেশ, সরকার, জামাতা, রাষ্ট্রপতি, পীর, সেনাপতি ইত্যাদি।
নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ- সতীন, দাই, সধবা, পরী, অপ্সরা, এয়ো, বিধবা ইত্যাদি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যেসব পুরুষবাচক শব্দের শেষে 'অক' রয়েছে সেসব শব্দে স্ত্রীবাচক এর ক্ষেত্রে 'ইকা' প্রত্যয় হবে। যেমন- অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, নায়ক-নায়িকা ইত্যাদি।
[ব্যতিক্রম- চাতক- চাতকী, রজক-রজকী, নর্তক- নর্তকী ইত্যাদি।]
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
মজুর- শব্দের স্ত্রীবাচক শব্দ মজুরনি। নি-প্রত্যয়যোগে শব্দটি গঠিত হয়েছে। অন্যান্য উদাহরণ- কুমার-কুমারনি, জেলে-জেলেনি, ধোপা-ধোপানি ইত্যাদি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বিশেষ নিয়মে সাধিত স্ত্রীবাচক শব্দ:
(ক) যে সব পুরুষবাচক শব্দের শেষে ‘তা’ আছে, সেগুলোর শেষে ‘ত্রী’ হয়।
যেমন- নেতা-নেত্রী, শ্রোতা- শ্রোত্রী, ধাতা-ধাত্রী, কর্তা-কর্ত্রী, 
(খ) পুরুষবাচক শব্দের শেষে অত, বান, মান, ঈয়ান থাকলে স্ত্রীবাচক শব্দে যথাক্রমে অতী, বতী, মতী, ঈয়সী হয়।
যেমন- সৎ-সতী, মহৎ-মহতী, বুদ্ধিমান-বুদ্ধিমতী, গরীয়ান-গরিয়সী, রূপবান-রূপবতী, শ্রীমান-শ্রীমতি,
(গ) বিশেষ নিয়মে গঠিত স্ত্রীবাচক শব্দ: যুবক-যুবতী, দেবর- জা, শিক্ষক- শিক্ষয়িত্রী, স্বামী-স্ত্রী, পতি-পত্নী, সম্রাট- সম্রাজ্ঞী, রাজা-রাণী, সভাপতি-সভানেত্রী, শ্বশুর-শ্বশ্রূ, নর-নারী, বন্ধু-বান্ধবী।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বাংলা ভাষায় সর্বনাম পদে স্ত্রী-পুরুষবাচক শব্দে পার্থক্য করা হয় না। আমি, তুমি, সে, তারা ইত্যাদি সর্বনাম নারীপুরুষ উভয় ক্ষেত্রে একই রূপে ব্যবহৃত হয়।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বাংলা স্ত্রীবাচক শব্দের বিশেষণ স্ত্রীবাচক হয় না। 
যেমনঃ 
সুন্দর বলদ - সুন্দর গাই, 
সুন্দর ছেলে - সুন্দর মেয়ে, 
মেজ খুড়ো - মেজ খুড়ি   
 
বাংলায় বিশেষণ পদের স্ত্রীবাচক হয় না। যেমনঃ 
- মেয়েটি পাগল হয়ে গেছে (পাগলি হবে না)। 
- নদী ভয়ে অস্থির হয়ে গেছে (অস্থিরা হবে না)।

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বাংলা ব্যাকরণের অব্যয় পদ সংস্কৃতের মতো লিঙ্গের নিয়ম মানে না। অব্যয় পদগুলি সর্বদাই নির্দিষ্ট লিঙ্গবিহীন। যেমন,
- একটি, দুটি, তিনটি, চারটি, পাঁচটি, ছয়টি, সাতটি, আটটি, নয়টি, দশটি
- ও, না, কি, হয়, নাও, যাও, এসো, চলো, যা, এসো
- যে, যদি, যেমন, তা, তাই, কিন্তু, অথবা, তাও, নাও

• বাংলা লিখিত ভাষায় কখনো কখনো সংস্কৃতপ্রধান শৈলীতে বিশেষ্য ও বিশেষণের লিঙ্গসাযুজ্য ঘটে। যেমন- দুঃখিনী, জন্মভূমি, বিপুলা।
• বাংলা ভাষায় সর্বনাম শব্দে নারী-পুরুষবাচক পার্থক্য করা হয় না। আমি, তুমি, সে, তারা, এটা, ওটা ইত্যাদি সর্বনাম স্ত্রী-পুরুষ উভয় ক্ষেত্রেই একই রূপে ব্যবহৃত হয়।
• তৎসম পুরুষবাচক শব্দের শেষে -আ, -ঈ, -আনী, -নী ইত্যাদি নারীবাচক প্রত্যয় যোগে নারীবাচত শব্দে পরিবর্তিত করা হয়।
• ভিন্ন ভিন্ন নারীবাচক প্রত্যয় যোগে একই পুরুষবাচক শব্দের একাধিক নারীবাচক রূপ হতে পারে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বঁধু (বিশেষ্য): অর্থ - বন্ধু, প্রণয়ী, প্রিয়। [বঁধু = স. বন্ধু > ]

আবার,
বধূ বিশেষ্য): (স্ত্রীলিঙ্গ)
১. পত্নী; স্ত্রী; বনিতা।
২. নতুন বৌ; কনে; নব বিবাহিতা (স্ত্রীলিঙ্গ) ছেলে বা তৎস্থানীয়ের পত্নী।


ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বেঙ্গমা-বেঙ্গমী, বর্ষীয়ান-বর্ষীয়সী, দুঃখী-দুঃখিনী । 
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
পুরুষ ও নারীবাচক শব্দগুলো দুই ভাগে বিভক্ত। যথা-
১। পতি ও পত্নীবাচক অর্থে। যথা- আব্বা-আম্মা, চাচা-চাচী, নানা- নানী ইত্যাদি।
২। পুরুষ ও নারী জাতীয় অর্থে। যথা-পাগল- পাগলী, মোরগ-মুরগী ইত্যাদি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
লিঙ্গ পরিবর্তন বা লিঙ্গান্তরের নিয়মঃ

১) পুংলিঙ্গবাচক শব্দের শেষে প্রত্যয় যোগ করে।
২) স্ত্রীবাচক শব্দ আগে বা পরে বসিয়ে এবং
৩) ভিন্ন শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
শাঁখচুন্নি নিত্য স্ত্রীবাচক । হিন্দু সংস্কার মতে শাঁখচুন্নি হচ্ছে প্রেত্নীর আত্না । 
আরো কিছু  নিত্য স্ত্রীবাচকঃ 
সতীন, সৎমা, এয়ো, দাই, সধবা, অন্ত:স্বত্ত্বা, সতীন,সৎমা,দাই,এয়ো,কলঙ্কিনী,অর্ধাঙ্গিনী,ডাইনি,সপত্নী, অসূর্যস্পশ্যা, অরক্ষণীয়া,সধবা,শাখিনী, কুলটা,বাইজি।

কিছু নিত্য পুরুষবাচক শব্দ ,এদের কখনো স্ত্রীবাচক শব্দ হয় নাঃ
রাষ্ট্রপতি,কাজী,কুস্তিগীর,কবিরাজ,পুরোহিত,জামাতা,কৃতদার,অকৃতদার,যোদ্ধা,ঢাকী,বিচারপতি,সেনাপতি
 
অন্যগুলো নিত্য স্ত্রীবাচক নয় । যেমনঃ গোপ/গোপিনী, মালী-মালিনী, কাঙাল-কাঙালিনী ।

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দের কোন পুরুষবাচক শব্দই নেই। যেমন- সতীন, সৎমা, এয়ো, দাই, সধবা ইত্যাদি।
রজক /বিশেষ্য পদ/ ধোপা, রঙকারক। / স্ত্রীলিঙ্গ. রজকী, রজকিনী।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
নিত্য পুরুষবাচক শব্দঃ যে শব্দগুলো শুধুমাত্র পুরুষবাচক অর্থ নির্দেশ করে।
উদাহরণঃ মাওলানা, কবিরাজ, অকৃতদার, কৃতদার, সভাপতি, দরবেশ, পীর, ঢাকী(যে পুরুষের বিবাহ হয় নাই), প্রধানমন্ত্রী, ব্রাহ্মণ, বামুন, নবী, রাসূল, কুস্তিগির, পুরোহিত, জামাতা, মৃতদার(বিপত্নীক), স্ত্রৈণ(স্ত্রীর অতিশয় বাধ্য)
নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দঃ যে শব্দগুলো শুধুমাত্র নারীদেরকে নির্দেশ করে।
উদাহরণঃ সতীন, কুলটা(নষ্টা), পেত্নী, সৎমা, অরক্ষণীয়া(অবিবাহিতা)­, ডাইনী, সধবা, কলঙ্কিনী, শাঁকচুন্নি, বিধবা, হতভাগিনী, নর্তকী, এয়ো, অসূর্যস্পর্শ্যা, পরী, অপ্সরা(স্বর্গীয় রমনী), বাইজি, সপত্নী, অন্তঃসত্ত্বা, অর্ধাঙ্গী, গর্ভিনী, গর্ভবতী, ধনি(সুন্দরী), বিমাতা, পোয়াতি, সজনী, ললনা, অঙ্গনা, রূপসী, বাইজি, শাঁখিনী, ডাকিনী, গর্বিনী, বড়কী, ছোটকী, অবীরা, কপিলা, ধাই।

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
‘অভাবী - অভাব’ – এর লিঙ্গান্তর হয় না। তাই এটি অশুদ্ধ। তবে - ‘অভাগা - অভাগী’ শুদ্ধ লিঙ্গান্তর।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সতীন, সৎমা, দাইমা -এগুলোর পুরুষবাচক শব্দ নেই । ননদ-এর দুটি পুরুষবাচক শব্দ । 
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বাংলা প্রত্যয়জনিত নারীবাচক শব্দ ভিখারিনী। এ প্রত্যয়গুলো বাংলা শব্দের সাথে যুক্ত হয়। পুরুষবাচক শব্দের শেষে ঈ থাকলে নারীবাচক শব্দে নী হয় এবং আগের ঈ পরবর্তীতে ই হয়। 
যেমনঃ
ভিখারী- ভিখারিনী, 
অভিসারী- অভিসারিনী ইত্যাদি। 
এখানে ভিখারী ও অভিসারী খাঁটি বাংলা শব্দ।

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
শঙ্খী পুরুষবাচক শব্দ যার অর্থ বিষ্ণু।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
নিত্য পুরুষবাচক শব্দঃ যে শব্দগুলো শুধুমাত্র পুরুষবাচক অর্থ নির্দেশ করে।
উদাহরণঃ মাওলানা, কবিরাজ, অকৃতদার, কৃতদার, সভাপতি, দরবেশ, পীর, ঢাকী(যে পুরুষের বিবাহ হয় নাই), প্রধানমন্ত্রী, ব্রাহ্মণ, বামুন, নবী, রাসূল, কুস্তিগির, পুরোহিত, জামাতা, মৃতদার(বিপত্নীক), স্ত্রৈণ(স্ত্রীর অতিশয় বাধ্য)

নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দঃ যে শব্দগুলো শুধুমাত্র নারীদেরকে নির্দেশ করে।
উদাহরণঃ সতীন, কুলটা(নষ্টা), পেত্নী, সৎমা, অরক্ষণীয়া(অবিবাহিতা)­, ডাইনী, সধবা, কলঙ্কিনী, শাঁকচুন্নি, বিধবা, হতভাগিনী, নর্তকী, এয়ো, অসূর্যস্পর্শ্যা, পরী, অপ্সরা(স্বর্গীয় রমনী), বাইজি, সপত্নী, অন্তঃসত্ত্বা, অর্ধাঙ্গী, গর্ভিনী, গর্ভবতী, ধনি(সুন্দরী), বিমাতা, পোয়াতি, সজনী, ললনা, অঙ্গনা, রূপসী, বাইজি, শাঁখিনী, ডাকিনী, গর্বিনী, বড়কী, ছোটকী, অবীরা, কপিলা, ধাই।

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0