নরবাচক ও নারীবাচক শব্দ (251 টি প্রশ্ন )
- পুরুষ, স্ত্রী, জড় পদার্থ ও উভয় সম্প্রদায়ভুক্ত জাতি বোঝাতে যে চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে লিঙ্গ বলে।
- বাংলা ভাষায় প্রধানত বিশেষ্য পদেরই লিঙ্গের পার্থক্য হয়।

- সাধারণ নারীবাচক শব্দ দুই ধরনের।
- যথা: পত্নীবাচক ও অপত্নীবাচক।

• স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক বোঝালে পত্নীবাচক হয়।
যেমন:
- পিতা-মাতা,
- চাচা-চাচি,
- দাদা-দাদি।

• স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক না বোঝালে অপত্নীবাচক হয়।
যেমন:
- খোকা-খুকি,
- ছাত্র- ছাত্রী,
- শিক্ষক-শিক্ষিকা,
- আয়া-খানসামা।

• আবার কিছু শব্দ আছে যা কেবল স্ত্রীবাচক এদেরকে নিত্য স্ত্রীবাচাক শব্দ বলে।
যেমন:
- সতীন,
- সৎমা ইত্যাদি।
• যেসকল শব্দের লিঙ্গান্তর হয় না সেগুলো নিত্য পুরুষবাচক অথবা নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ।

• নিত্য পুরুষবাচক শব্দ- কবিরাজ, কেরানী, দরবেশ, সরকার, জামাতা, রাষ্ট্রপতি, পীর, সেনাপতি, সভাপতি ইত্যাদি।

• নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ- সতীন, দাই, সধবা, পরী, অপ্সরা, এয়ো, বিধবা ইত্যাদি।
- কতগুলো শব্দে কেবল পুরুষ বোঝায়ঃ কবিরাজ, ঢাকী, কৃতদার, অকৃতদার, যোদ্ধা, পুরোহিত, কেরানী, রাষ্ট্রপতি, সরকার, প্রধানমন্ত্রী, পীর, দরবেশ, মওলানা, সেনাপতি, দলপতি, বিচারপতি, জ্বীন ইত্যাদি।
- উল্লেখ্য, সেবক-সেবিকা; মালী-মালিনী ।
শব্দের শেষে '-আনি' / 'আনী' প্রত্যয়যোগে গঠিত স্ত্রীবাচক শব্দ:

যেমন:
সেবক- সেবিনী,
অরণ্য - অরণ্যানী,
ঠাকুর - ঠাকুরানি।

অন্যদিকে,
শব্দের শেষে 'ইনী' প্রত্যয় যোগ করে:
- গোয়ালা - গোয়ালিনী।

উৎস: বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, অষ্টম শ্রেণি।
- তৎসম পুরুষবাচক শব্দের পরে আ, ঈ, আনী, নী, ইকা প্রভৃতি প্রত্যয়যোগে স্ত্রীবাচক শব্দ গঠিত হয়।
- ক্ষুদ্রার্থে 'ইকা-প্রত্যয়' যোগ হয়।
যেমন:
- মালা- মালিকা,
- নাটক- নাটিকা,
- গীত- গীতিকা।
নিত্য নারীবাচক শব্দঃ সতীন, সৎমা, দাই, সধবা, ডাইনি, কুলটা, অরক্ষণীয়া, শাঁকচুন্নি, বাইজি প্রভৃতি ।

♦ নিত্য স্ত্রীবাচক তৎসম শব্দ: সতীন, অর্ধাঙ্গিনী, কুলটা, বিধবা, অসূর্যস্পশ্যা, অরক্ষণীয়া, সপত্নী, অন্ত:সত্ত্বা
১. নিত্য পুরুষবাচক শব্দ: কবিরাজ, যোদ্ধা, ঢাকী, কৃতদার, অকৃতদার, পুরোহিত, কেরানী, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সরকার, পীর, দরবেশ, মওলানা, সেনাপতি, দলপতি, বিচারপতি, জ্বীন, জামাতা ইত্যাদি।
২. নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ: সতীন, সপত্নী, সধবা, সৎমা, ডাইনি, অর্ধাঙ্গিনী, বাইজী, কুলটা, এয়ো, দাই, বিধবা, অসূর্যস্পর্শা, অরক্ষণীয়া, কলঙ্কিনী, পেত্নী, শাকচুন্নি, অপ্সরা, পরী ইত্যাদি।
৩. উভয় লিঙ্গ (স্ত্রী ও পুরুষ) বাচক শব্দ: শিশু, সন্তান, পাখি, জন, শিক্ষিত ইত্যাদি।
৪. কিছু কিছু শব্দ আছে যেগুলোকে উভয়লিঙ্গ হিসেবে ধরা হয়। যেমন: কবি, সম্পাদক, সভাপতি, চেয়ারম্যান ইত্যাদি।
৫. বাংলা ভাষায় প্রাতিষ্ঠানিক পদমর্যাদাকে নারীবাচক করা হয় বাংলা যেমন: নার্গিস আখতার একজন সহকারী শিক্ষক। নমিতা রায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
পুরুষবাচক শব্দের সঙ্গে কতকগুলো প্রত্যয় যোগ করে স্ত্রীবাচক শব্দ গঠন করা হয়। এগুলো হলো:
১. ঈ-প্রত্যয়: বেঙ্গমা-বেঙ্গমী, ভাগনা/ভাগনে-ভাগনী।
২. নী-প্রত্যয়: কামার-কামারনী, কুমার-কুমারনী, মজুর-মজুরনী।
৩. আনী-প্রত্যয়: ঠাকুর-ঠাকুরানী, নাপিত-নাপিতানী, মেথর-মেথরানী, চাকর-চাকরানী।
৪. ইনি-প্রত্যয়: কাঙাল-কাঙালিনি, গোয়ালা-গোয়ালিনি, বাঘ-বাঘিনি।
৫. উন-প্রত্যয়: ঠাকুর-ঠাকরুন/ঠাকুরানী।
৬. আইন-প্রত্যয়: ঠাকুর-ঠাকুরাইন
৭. পুরুষবাচক শব্দের শেষে ঈ থাকলে স্ত্রীবাচক শব্দে নী হয় এবং পূর্বের ঈ 'ই' হয়।
যেমন: ভিখারী-ভিখারিনী, গুণী-গুণিনী।
- যেসব পুরুষবাচক শব্দের শেষে 'তা' রয়েছে, স্ত্রীবাচক বোঝাতে সেসব শব্দে 'ত্রী' হয়।
যেমন—
- নেতা- নেত্রী,
- কর্তা-কর্ত্রী,
- শ্রোতা-শ্রোত্রী,
- ধাতা-ধাত্রী।
- যে সব নামবাচক শব্দের সাহায্যে পুরুষজাতিকে বোঝায় তাদেরকে পুংলিঙ্গ বলে।
উদাহরণ- কাকা, চাচা, ছেলে, বালক, নানা, বাবা, গোয়ালা, কিশোর, প্রবীণ ইত্যাদি।
- পুরুষবাচক শব্দের শেষে ঈ থাকলে স্ত্রীবাচক শব্দে নী হয় এবং পূর্বের ঈ ‘ই’ হয়। যেমন: মেধাবী-মেধাবিনী; অভিসারী-অভিসারিণী, রোগী-রোগিনী ।
• অ কারান্ত পুংলিঙ্গের শেষে 'আ' প্রত্যয় যোগ করে স্ত্রীবাচক হয়।
যেমনঃ
মূর্খ - মূর্খা।
প্রিয় - প্রিয়া
দীন - দীনা
জটিল - জটিলা
কৃপণ - কৃপণা
জীবিত - জীবিতা
কুটিল - কুটিলা
লিঙ্গ পরিবর্তন বা লিঙ্গান্তরের নিয়মঃ

১) পুংলিঙ্গবাচক শব্দের শেষে প্রত্যয় যোগ করে।
২) স্ত্রীবাচক শব্দ আগে বা পরে বসিয়ে এবং
৩) ভিন্ন শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে।
কল্যাণীয়েষু শব্দটির স্ত্রীবাচক কল্যাণীয়াসু, সুচরিতেষু শব্দটির স্ত্রীবাচক সুচরিতাসু, শ্রদ্ধাস্পদাসু শব্দটি স্ত্রীবাচক এবং প্রীতিাজনেষু শব্দটি দ্বারা নারীকে সম্বোধন করা হয় না।

‘অভাবী - অভাব’ – এর লিঙ্গান্তর হয় না। তাই এটি অশুদ্ধ। তবে - ‘অভাগা - অভাগী’ শুদ্ধ লিঙ্গান্তর।
পুরুষবাচক - নারীবাচক
কোকিল - কোকিলা
অসীম - অসীমা
শারদীয় - শারদীয়া
ভাই - বোন

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

কতকগুলো পুরুষবাচক শব্দের আগে স্ত্রীবাচক শব্দ প্রয়োগ করে। উচ্চারণ স্থান স্ত্রীবাচক শব্দ গঠিত হয়। যেমনঃ
- কবি-মহিলা কবি,
- ডাক্তার মহিলা ডাক্তার,
- সভ্য—মহিলা সভ্য,
- পুলিশ মহিলা পুলিশ,
- কর্মী-মহিলা কর্মী।
অন্যদিকে নেতা-নেত্রী, দাতা-দাত্রী ও বাদশা-বেগম।
- অরণ্যানী: এটি ‘আনী’ প্রত্যয় যোগে গঠিত (অরণ্য + আনী = অরণ্যানী, বৃহদার্থে)।
- চাকরানী: এটি ‘আনী’ প্রত্যয় যোগে গঠিত (চাকর + আনী = চাকরানী)।
- ভাগনী: এটি ‘ঈ’ প্রত্যয় যোগে গঠিত (ভাগনা/ভাগনে + ঈ = ভাগনী)।

মেধাবিনী:
- "পুরুষবাচক শব্দের শেষে ঈ থাকলে স্ত্রীবাচক শব্দে নী হয়..." (যেমন: গুণী - গুণিনী)।
- একই নিয়মে মেধাবী থেকে মেধাবিনী হয়েছে। 
- তাই এখানে ‘নী’ প্রত্যয় যুক্ত হয়েছে।



জামাতা শব্দের লিঙ্গান্তর হয় না।অন্যগুলোর লিঙ্গান্তর হয়। যেমন- সঙ্গী-সঙ্গিনী, বেয়াই-বেয়াইন, সাহেব-বিবি ইত্যাদি।



ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
যেসকল শব্দের লিঙ্গান্তর হয় না সেগুলো নিত্য পুরুষবাচক অথবা নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ।

নিত্য পুরুষবাচক শব্দ- কবিরাজ, কেরানী, দরবেশ, সরকার, জামাতা, রাষ্ট্রপতি, পীর, সেনাপতি, সভাপতি ইত্যাদি।

নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ- সতীন, দাই, সধবা, পরী, অপ্সরা, এয়ো, বিধবা ইত্যাদি।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0