বচন (139 টি প্রশ্ন )
- বাংলা ব্যাকরণে, অনেক সময় কোনো বিশেষ্য পদের দ্বিরুক্তি বা পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে বহুবচন প্রকাশ করা হয়। এখানে 'হাঁড়ি হাঁড়ি' বলতে একটিমাত্র হাঁড়ি বোঝানো হচ্ছে না, বরং হাঁড়ির বিপুল সংখ্যা বা পরিমাণ বোঝানো হচ্ছে।
- অর্থাৎ, অনেক হাঁড়িতে ভর্তি সন্দেশ রয়েছে।

এই নিয়মের কয়েকটি উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:
- বনে বনে ফুল ফুটেছে। (অর্থাৎ, অনেক বনে)
- ঘরে ঘরে অসুখ হচ্ছে। (অর্থাৎ, প্রত্যেক ঘরে বা অনেক ঘরে)

সুতরাং, 'হাড়ি হাড়ি সন্দেশ' বাক্যাংশটিতে দুটি বিশেষ্য পদকে পাশাপাশি ব্যবহার করে বহুবচন তৈরি করা হয়েছে।
- একের বেশি সংখ্যা বুঝাতে যেসব লগ্নক (রা,এরা,গুলো ,গুলি,দের ,রাজি ,মালা ,সমূহ ) বিশেষ্য বা সর্বনামের সঙ্গে যুক্ত হয় ,সেগুলোকে বচন বলে।
- অপ্রাণিবাচক শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত শব্দ/লগ্নক রাজি -বৃক্ষরাজি ,তারকারাজি ,প্রাণীবাচক শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত শব্দ/লগ্নক ঃ সমূহ -বৃক্ষসমূহ ।
- বাংলা ব্যাকরণে, 'রাজি' একটি লগ্নক (প্রত্যয়) যা সাধারণত বিশেষ্য পদের শেষে যুক্ত হয়ে বহুবচন এবং সমষ্টি বা সারি বোঝায়। এটি মূলত অপ্রাণীবাচক বা উদ্ভিদবাচক বিশেষ্য শব্দের সাথে ব্যবহৃত হয়।

A) বৃক্ষ + রাজি = বৃক্ষরাজি: এটি একটি সঠিক এবং প্রচলিত শব্দ। 'বৃক্ষরাজি' বলতে গাছের সারি বা সমূহ বোঝায়।
B) মানুষ + রাজি: এটি ভুল। 'মানুষ' উন্নত প্রাণীবাচক শব্দ হওয়ায় এর বহুবচনে 'রা', 'এরা', 'গণ' ইত্যাদি ব্যবহৃত হয় (যেমন: মানুষেরা, মানুষগণ)।
C) নদী + রাজি: এটি ভুল। নদীর বহুবচনে 'সমূহ', 'গুলো' ইত্যাদি বসে (যেমন: নদীসমূহ, নদীগুলো)।
D) ফুল + রাজি: এটি অপ্রচলিত। ফুলের বহুবচনে 'সমূহ', 'গুলো', 'রাশি' (পুষ্পরাশি) ইত্যাদি বসে, কিন্তু 'ফুলরাজি' শব্দটি ব্যবহৃত হয় না। 'পুষ্প' শব্দের সাথে 'রাজি' যোগ করে 'পুষ্পরাজি' শব্দটি ব্যবহৃত হয়।

সুতরাং, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে একমাত্র 'বৃক্ষ' শব্দের সঙ্গেই 'রাজি' লগ্নকটি বসে একটি অর্থপূর্ণ বহুবচন শব্দ গঠন করে।
- কেবল বিশেষ্য ও সর্বনাম পদেরই বচনভেদ হয় ।
যেমনঃ
মেয়েটি (একবচন)- মেয়েরা (বহুবচন),
কলমটা (একবচন)- কলমগুলো (বহুবচন),
সে (একবচন)- তারা (বহুবচন) ।
মধুকর একটি প্রাণিবাচক শব্দ যার বহুবচন মধুকরত্রাত।
‘পুষ্প’ শব্দের বহুবচনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বহুবচন লগ্নকগুলো হলো-  

চয়: পুষ্পচয়, বুধচয়
রাজি: পুষ্পরাজি, বৃক্ষরাজি, গ্রন্থরাজি
গুচ্ছ: পুষ্পগুচ্ছ, কেশগুচ্ছ।

সুতরাং, সঠিক উত্তর সবগুলো হবে। 
যুথ: এই শব্দটি মূলত পশু বা পাখির দলকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।  উদাহরণস্বরূপ, হস্তীযূথ (হাতির পাল), মেষযূথ (ভেড়ার পাল) ইত্যাদি।

রাশি ও পুঞ্জ: এই শব্দ দুটি সাধারণত অপ্রাণিবাচক বা বস্তুবাচক শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত হয়। এগুলোর অর্থ হলো স্তূপ, সমূহ বা গাদা। যেমন:
রাশি: বালিরাশি, ধান্যরাশি।
পুঞ্জ: মেঘপুঞ্জ, তারকা পুঞ্জ। 


ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

শ্রেণি কেবল প্রাণিবাচক শব্দের সাথে হয়। যেমন – ধনিকশ্রেণি সব সময় নিম্নশ্রেণির উপর খবরদারি করে থাকে। আবলি, মালা কেবল অপ্রাণীবাচক শব্দে ব্যবহৃত হয়। সভা শব্দটি প্রাণীবাচক ও অপ্রাণীবচক উভয় ধরণের শব্দেই ব্যবহৃত হতে পারে। যেমন- মন্ত্রীসভা, সাহিত্যসভা
কেবল জন্তুবাচক শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত হয়। যেমন, পাল-গরুর পাল, যূথ-হস্তিযূথ।
যুথ: এই শব্দটি মূলত পশু বা পাখির দলকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।  উদাহরণস্বরূপ, হস্তীযূথ (হাতির পাল), মেষযূথ (ভেড়ার পাল) ইত্যাদি।

রাশি ও পুঞ্জ: এই শব্দ দুটি সাধারণত অপ্রাণিবাচক বা বস্তুবাচক শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত হয়। এগুলোর অর্থ হলো স্তূপ, সমূহ বা গাদা। যেমন:
রাশি: বালিরাশি, ধান্যরাশি।
পুঞ্জ: মেঘপুঞ্জ, তারকা পুঞ্জ। 




একের বেশি সংখ্যা বোঝাতে যেসব লগ্নক (রা ,এরা ,গুলো ,গুলি,দের ,গণ ,বৃন্দ ,মণ্ডলী ,বর্গ ,রাজি ,মালা ,সমূহ ,গুচ্ছ ) বিশেষ্য বা সর্বনামের সঙ্গে যুক্ত হয় ,সেগুলোকে বচন বলে।উন্নত প্রাণিবাচক মনুষ্য শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত শব্দ /লগ্নক ঃ গণ -দেবগণ ,জনগণ ,গণকবর ;বৃন্দ -সুধীবৃন্দ ,ভক্তবৃন্দ,শিক্ষকবৃন্দ।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন


পুঞ্জ, , নিচয়, রাজি, রাশি, পাল, দাম, নিকর, মালা, ইত্যাদি অপ্রানিবাচক শব্দের ব্যবহৃত হয়।
একের বেশি সংখ্যা বোঝাতে যেসব লগ্নক (রা, এরা, গুলো, গুলি, দের, রাজি, মালা, সমূহ, গুচ্ছ) বিশেষ্য বা সর্বনামের সঙ্গে যুক্ত হয়, সেগুলোকে বচন বলে। অপ্রাণীবাচক শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত লগ্নক/শব্দ: মালা → তরঙ্গমালা, পর্বতমালা, মেঘমালা, বর্ণমালা।
একের বেশি সংখ্যা বোঝাতে যেসব লগ্নক (রা, এরা, গুলো, গুলি, গুচ্ছ, দের, রাজি, মালা, সমূহ) বিশেষ্য বা সর্বনামের সঙ্গে যুক্ত হয়, সেগুলোকে বচন বলে।
অপ্রাণিবাচক শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত শব্দ/লগ্নক:
গুচ্ছ → কবিতাগুচ্ছ;
মালা → মেঘমালা;
রাজি → বৃক্ষরাজি।

উন্নত প্রাণীবাচক বা ব্যক্তিবাচক শব্দের সঙ্গে ব্যবহৃত বহুবচন বোধক শব্দ-

গণ- দেবগণ, নরগণ, জনগণ

বৃন্দ- সুধীবৃন্দ, ভক্তবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ,

মন্ডলী- শিক্ষকমন্ডলী, সম্পাদকমন্ডলী

বর্গ- পন্ডিত বর্গ, মন্ত্রি বর্গ

বাংলায় বহুবচন প্রকাশের জন্য রা ,এরা ,গুলো ,গুলি ,গুলিন ,দিগ ,দের প্রভৃতি বিভক্তি যুক্ত হয় এবং সব ,সকল ,সমুদয় ,কুল ,বৃন্দ ,বর্গ ,নিচয় ,রাশি ,রাজি ,পাল ,দাম ,নিকর ,মালা ,আবলি প্রভৃতি সমষ্টিবোধক শব্দ ব্যবহৃত হয় ।সমষ্টিবোধক শব্দগুলোর বেশির ভাগই সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত ।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0