বচন (152 টি প্রশ্ন )
কিছু বিদেশি শব্দে বাংলা ভাষার বহুবচনের পদ্ধতির পাশাপাশি বিদেশি ভাষার অনুকরণেও বহুবচন করা হয়ে থাকে।
- যেমন: বুজুর্গ - বুজুর্গাইন, সাহেব - সাহেবান।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- সকল এবং ছাত্ররা উভয়ই বহুবচন। দুইবার বহুবচন হবে না।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- কেবল বিশেষ্য ও সর্বনাম পদেরই বচনভেদ হয় ।
যেমনঃ
মেয়েটি (একবচন)- মেয়েরা (বহুবচন),
কলমটা (একবচন)- কলমগুলো (বহুবচন),
সে (একবচন)- তারা (বহুবচন) ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
'সব মানুষগুলো জমায়েত হয়েছে'- এখানে 'সব' এবং 'গুলো' দুইটা বহুবচন ব্যবহার করা হয়েছে যা ভুল
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বর্গ > উন্নত প্রাণির ক্ষেত্রে- মন্ত্রিবর্গ, পণ্ডিতবর্গ ইত্যাদি।
সমূহ, সকল > ইতর প্রাণিবাচক শব্দের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বিশেষ্য শব্দের এক বচনের ব্যবহারেও অনেক সময় বহুবচন বোঝায়। যেমন- সিংহ বনে থাকে (একবচন ও বহুবচন দু-ই বোঝায়)।
- পোকার আক্রমণে ফসল নষ্ট হয় (বহুবচন)।
- বাজারে লোক জমেছে (বহুবচন)।
- বাগানে ফুল ফুটেছে (বহুবচন)।
অনেক ক্ষেত্রে বচন লগ্নক ব্যবহৃত না হয়েও বহুবচন হতে পারে। যেমন- বাজারে লোক কম। মৌমাছি মৌচাক বানায়। সমাজে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে তিনি গবেষণা করছেন।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
রূপতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়-শব্দ, শব্দের গঠন, বচন, লিঙ্গ, কারক, পুরুষ, উপসর্গ, প্রত্যয়, বিভক্তি, সমাস, ক্রিয়া,প্রকরণ ইত্যাদি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বচন একটি পারিভাষিক শব্দ। এর অর্থ সংখ্যার ধারণা। ব্যাকরণে বিশেষ্য বা সর্বনামের সংখ্যাগত ধারণা প্রকাশের উপায়কে বচন বলে। বাংলা ভাষায় বচন ২ প্রকার। যথাঃ-
-একবচন
-বহুবচন
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
রাজি-শব্দটি অপ্রাণিবাচক শব্দের বহুবচন করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যেমন- তারকারাজি, বৃক্ষরাজি ইত্যাদি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
নিচয় - উভয় ক্ষেত্রে- পুস্পনিচয়, বুধনিচয় ইত্যাদি
মালা- অপ্রাণিবাচক- মেঘমাল, পর্বতমালা ইত্যাদি
রাজি- অপ্রাণিবাচক-পুষ্পরাজি, বিক্ষরাজি ইত্যাদি


ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের সংখ্যার ধারণা প্রকাশের উপায় বা সংখ্যাত্মক প্রকাশের উপায়কে বচন বলে। অর্থাৎ বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ যে ব্যক্তি, বস্ত্ত বা প্রাণীর প্রতিনিধিত্ব করছে বা বোঝাচ্ছে, সেই ব্যক্তি,বস্ত্ত বা প্রাণীর সংখ্যা, অর্থাৎ সেটি একসংখ্যক নাএকাধিক সংখ্যাক, তা বোঝানোর পদ্ধতিকেই বচন বলে।
বচন দুই প্রকার- —একবচন বহুবচন। ইংরেজিতে বলা হয় singular and plural.
যখন কোন শব্দ দিয়ে কেবল একটি ব্যক্তি, বস্ত্ত বা প্রাণীকে বোঝান হয়, তখন তাকে একবচন বলে। যেমন - মেয়েটি, বইটি ইত্যাদি।
আবার যে শব্দ দিয়ে একাধিক ব্যক্তি, বস্তু বা প্রাণীকে বোঝান হয়, তখন তাকে বহুবচন বলে। যেমন — মেয়েগুলো, বইগুলো ইত্যাদি।
এটা মনে রাখার দরকার যে এই একবচন বা বহুবচন কেবলমাত্র বিশেষ্য (noun) ও সর্বনাম (pronoun) পদেই ব্যবহৃত হয়‌‌ ।
আমি (একবচন), আমরা (বহুবচন); সে (একবচন), তারা বা তাহারা (বহুবচন); আমার (একবচন), আমাদের (বহুবচন)

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।

নিত্য স্ত্রীবাচক তৎসম শব্দঃ  বিধবা, অরক্ষণীয়া, সপত্নী, কুলটা, সতীন, অর্ধাঙ্গিনী ইত্যাদি।

কতগুলো শব্দের শেষে পুরুষবাচক ও স্ত্রীবাচক শব্দ যোগ করে শব্দ গঠন করা হয়ঃ ঠাকুরপো - ঠাকুরঝি।
অনেক সময় আলাদা আলাদা শব্দে পুরুষবাচক ও স্ত্রীবাচক শব্দ গঠন করা হয়ঃ বেয়াই - বেয়াইন।
স্বামী ও পত্নীবাচক অর্থেঃ নন্দাই - ননদ।


ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যাবতীয় প্রাণনকুল -> যাবতীয় প্রাণী

অশুদ্ধ: যাবতীয় প্রাণীকুল এই গ্রহের বাসিন্দা।

শুদ্ধ: যাবতীয় প্রাণী এই গ্রহের বাসিন্দা।


ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হল: কাগজগুলো

 কাগজাত:
- এটি 'কাগজ' শব্দের বহুবচন নয়।
- 'কাগজাত' শব্দটি বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র বা দলিলপত্রকে বোঝায়।

কাগজগুলো:
- এটি 'কাগজ' শব্দের সঠিক বহুবচন রূপ।
- বাংলায় '-গুলো' প্রত্যয় যোগ করে একবচন থেকে বহুবচন গঠন করা হয়।

কাগজসমূহ:
- যদিও এটি ব্যবহৃত হয়, তবে এটি তত্সম শব্দের ক্ষেত্রে বেশি প্রযোজ্য।
- 'কাগজ' একটি তদ্ভব শব্দ, তাই 'কাগজগুলো' ব্যবহার করা বেশি প্রচলিত।

 কাগজদী:
- এটি 'কাগজ' শব্দের কোনো প্রচলিত রূপ নয়।
- বাংলা ভাষায় এই ধরনের বহুবচন গঠন করার নিয়ম নেই।

মনে রাখার বিষয়:
- বাংলায় সাধারণত '-গুলো', '-গুলি', '-রা', '-এরা' ইত্যাদি প্রত্যয় যোগ করে বহুবচন গঠন করা হয়।
- তদ্ভব শব্দের ক্ষেত্রে '-গুলো' বা '-গুলি' ব্যবহার করা হয়।
- তত্সম শব্দের ক্ষেত্রে '-সমূহ' বা '-গণ' ব্যবহার করা যেতে পারে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
প্রানীবাচক ও অপ্রাণিবাচক উভয় ক্ষেত্রেই 'পাল' শব্দটি বহুবচনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যেমন- মৃগপাল, মেষপাল, ছাগপাল ইত্যাদি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
শ্রেণি কেবল প্রাণিবাচক শব্দের সাথে হয়। যেমন – ধনিকশ্রেণি সব সময় নিম্নশ্রেণির উপর খবরদারি করে থাকে। আবলি, মালা কেবল অপ্রাণীবাচক শব্দে ব্যবহৃত হয়। সভা শব্দটি প্রাণীবাচক ও অপ্রাণীবচক উভয় ধরণের শব্দেই ব্যবহৃত হতে পারে। যেমন- মন্ত্রীসভা, সাহিত্যসভা
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0