সংখ্যাবাচক শব্দ (82 টি প্রশ্ন )
- বাংলা ব্যাকরণে বচন হলো এমন একটি বৈশিষ্ট্য, যা বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের সংখ্যা নির্দেশ করে।
- এটি শব্দের সঙ্গে যোগ করে বোঝায় যে উক্ত পদটি একবচন (একটি) নাকি বহুবচন (একাধিক)। উদাহরণস্বরূপ:
- একবচন: বই, পাখি, ছেলে
- বহুবচন: বইগুলো, পাখিগুলো, ছেলেরা
- বচন শব্দাংশ যোগ করে পদের সংখ্যা বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
- এটি বিশেষ্য বা সর্বনামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাদের সংখ্যা নির্দেশ করে।
সুবর্ণ জয়ন্তী -পঞ্চাশ বছর পূর্তি উৎসব;
সার্ধশতবর্ষ - একশ পঞ্চাশ বছর পূর্তি উৎসব;
হীরক জয়ন্তী - ষাট বছর পূর্তিতে উৎসব।
বাংলা তারিখবাচক শব্দের প্রথম চারটি তারিখ হিন্দি নিয়মে সাধিত। এগুলো হলো- পহেলা, দোসরা, তেসরা, চৌঠা। পরবর্তী ৫-৩১ পর্যন্ত তারিখবাচক শব্দ বাংলার নিজস্ব রীতিতে গঠিত।
- যে শব্দ বিশ্লেষণ করা যায় না বা ভেঙে আলাদা করা যায় না, সেগুলোকে মৌলিক শব্দ বলে।
- যেমন: চাঁদ, গোলাপ, নাক, লাল, তিন, গাছ, পাখি, ফুল, হাত ইত্যাদি।





ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

বাংলা ভাষায় তারিখ নির্দেশ করার জন্য সংখ্যাশব্দের পূরণবাচক নির্দিষ্ট কিছু প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন: পহেলা বা পয়লা (১লা), দোসরা (২রা), তেসরা (৩রা), চৌঠা (৪ঠা) ইত্যাদি। এগুলোকে তারিখবাচক বা তারিখ পূরণবাচক শব্দ বলে।








ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
এক, দুই, তিন ইত্যাদি সংখ্যাবাচক বিশেষণকে ক্রমবাচক সংখ্যা বলা হয়। এই সংখ্যাগুলো কোনো কিছুর অবস্থান বা ক্রম নির্দেশ করে। অর্থাৎ, এগুলো কোন জিনিস বা ব্যক্তির অবস্থান বা স্থান চিন্হিত করে, যেমন প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ইত্যাদি।

- ক্রমবাচক সংখ্যা ব্যবহার করে আমরা কোন তালিকা, পর্যায়ক্রম বা স্থান নির্ধারণ করি।
- উদাহরণস্বরূপ, “প্রথম” মানে যে জিনিসটি বা ব্যক্তি যে স্থানে বা পর্যায়ে আছে সেটা বুঝায়।
- অন্যদিকে, “সাধারণ পূরণবাচক” সংখ্যা যেমন এক, দুই, তিন শুধুমাত্র পরিমাণ বোঝায়, অবস্থান নয়।
- “তালিখ পূরণবাচক” এবং “ভগ্নাংশ পূরণবাচক” সংখ্যা বিশেষ পরিমাণ বা ভাগ বোঝাতে ব্যবহার হয়।

সুতরাং, এক, দুই, তিন ইত্যাদিকে আমরা ক্রমবাচক সংখ্যা বলতে পারি কারণ এগুলো কোনো কিছুর ক্রম বা স্থান নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়।
এক , দুই , তিন ইত্যাদি গণনাবাচক শব্দ । প্রথম, দ্বিতীয় , তৃতীয় ইত্যাদি পূরণবাচক বা ক্রমবাচক শব্দ | পহেলা , দোসরা , তেসরা ইত্যাদি হলাে তারিখবাচক শব্দ ।






- পূর্ণসংখ্যার থেকে খানিকটা কম বা খানিকটা বেশি বোঝাতে ভগ্নাংশ পূরণবাচক ব্যবহৃত হয়।
- যেমন- অধ, সাড়ে, পোয়া, সোয়া, দেড়, আড়াই, তেহাই, চৌথ ইত্যাদি।

একবিংশ- শব্দটি একটি পূরনবাচক শব্দ।
সূত্র- নবম-দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ।


ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
শব্দে সঙ্গে যে সব প্রত্যয় যোগে নতুন শব্দ গঠিত হয় তাদের তদ্ধিত প্রত্যয় বলা হয়।

আ- প্রত্যয়:
ক) অবজ্ঞার্থে: চোর + আ = চোরা, কেষ্ট + আ = কেষ্টা।
খ) বৃহদার্থে: ডিঙ্গি + আ = ডিঙ্গা।
গ) সদৃশ অর্থে: বাঘ + আ = বাঘা, হাত + আ = হাতা।
ঘ) সমষ্টি অর্থে : বিশ + আ = বিশা, বাইশ + আ = বাইশা।

উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0