Loading [MathJax]/extensions/tex2jax.js
 
ণ-ত্ব ষ-ত্ব বিধান (98 টি প্রশ্ন )
- খাঁটি বাংলা ভাষায় মূর্ধন্য-ষ এর ব্যবহার নেই। বিদেশি ও তদ্ভব শব্দের বানানে মূর্ধন্য-ষ এর ব্যবহার পাওয়া যায় না।
- কেবল তৎসম শব্দে মূর্ধন্য-ষ এর ব্যবহার পাওয়া যায়।
- এগুলোকে অবিকৃত রাখার প্রয়োজনে ষ-ত্ব বিধান প্রয়োগ করা হয়।
- তৎসম শব্দের বানানে 'ষ' এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মই ষ-ত্ব বিধান।

- ঋ ও ঋ-কার এর পর '' হয়।
যেমন:
- ঋষভ
- ঋষি
- কৃষক
- কৃষাণ
- কৃষি
- কৃষ্ণ
- কৃষ্ণা
- তৃষ্ণা
- দৃষ্টি
- বৃষ্টি
- সৃষ্টি
- কৃষ্টি
- অ, আ ভিন্ন অন্য স্বরধ্বনির এবং ক ও র- এর পরের বিভক্তি বা প্রত্যয়ে স থাকলে তা ষ হয়। যেমন- চিকীর্ষা, চক্ষুষ্মান, মুমূর্ষ ইত্যাদি।
- ই-কারান্ত (অধি, অভি, পরি, প্রতি, বি) এবং উ-কারান্ত (অনু, সু) উপসর্গের পর কতগুলো ধাতুতে 'ষ' হয়। যেমন- অভিষেক, অনুষঙ্গ, অনুষ্ঠান, বিষম, সুষমা ইত্যাদি।
তৎসম শব্দের বানানে ষ- এর ব্যবহারের নিয়মকে ষত্ববিধান বলে।তবে কতগুলো শব্দে স্বভাবতই ষ হয়।যেমন-- পৌষ, ভাষা,ষড়ঋতু,রোষ,কোষ, ভাষণ ইত্যাদি ।

যে দুটো সময়ে ‘ণ’ কথা রাখে নাঃ
- আমরা জানি- ‘ণ’ কেবল তৎসম শব্দের বানানেই ব্যবহৃত হয়।
- তৎসম শব্দের কোন কোন জায়গায় কীভাবে ‘ণ’ বসবে, তারও কিছু নিয়ম আছে।
- কিন্তু এমন দুটো জায়গা আছে, যেখানে ‘ণ’ কথা রাখে না। মানে, নিয়মানুসারে ‘ণ’ হবার কথা থাকলেও ‘ন’ হয়। কোন কোন জায়গায়? চলুন, দেখে নেয়া যাক।

নিয়মানুসারে ‘ণ’ হবার কথা থাকলেও হয় না যেখানে:
১. সমাসবদ্ধ শব্দে। সমাসের নিয়মে যে-সব শব্দ তৈরি হয়, সে-সব শব্দে কখনোই ‘ণ’ বসে না।
যেমন: দুর্নীতি। নিয়ম বলছে, রেফ-এর পরে ‘ণ’ বসে। কিন্তু এ শব্দটিতে রেফ-এর পরে ‘ণ’ না বসে ‘ন’ বসেছে। কারণ এটি সমাসের নিয়মে তৈরি শব্দ (অব্যয়ীভাব সমাস: মন্দ নীতি = দুর্নীতি)।

আরও উদাহরণ: ত্রিনয়ন, সর্বনাম, দুর্নাম, দুর্নিবার, পরনিন্দা, অগ্রনায়ক।

২. ত, থ, দ, ধ-এর সঙ্গে যুক্ত হলে কখনোই ‘ণ’ হয় না।
যেমন: গ্রন্থ। নিয়ম বলছে, র-ফলার পরে ‘ণ’ বসে। কিন্তু এ শব্দটিতে র-ফলার পরে ‘ণ’ না বসে ‘ন’ বসেছে। কারণ এখানে ‘ন’-টি যুক্ত হয়েছে ‘থ’-এর সঙ্গে (ন্ + থ)।


- কতকগুলো শব্দে স্বভাবতই মূর্ধন্য-ণ হয়৷
যেমন:
চাণক্য মাণিক্য গণ বাণিজ্য লবণ মণ
বেণু বীণা কঙ্কণ কণিকা৷
কল্যাণ শোণিত মণি স্থাণু গুণ পুণ্য বেণী
ফণী অণু বিপণি গণিকা৷
আপণ লাবণ্য বাণী নিপুণ ভণিতা পাণি
গৌণ কোণ ভাণ পণ শাণ৷
চিক্কণ নিক্কণ তূণ কফণি (কনুই) বণিক গুণ
গণনা কণা পিণাক পণ্য বাণ৷

- পরিষ্কার শব্দটি বিসর্গযুক্ত ই - ধ্বনি সন্ধির ফলে মুধর্ন্য ষ হয়েছ।

- পরি + কার = পরিষ্কার । বিশেষ নিয়মে সাধিত সন্ধি।


- স্বভাবতই 'ষ' হয় আষাঢ়, বাষ্প, মহিষ, ঊষা, অভিলাষ,
- মানুষ, সরিষা, ঔষধ, ষোড়শ, পৌষ, ভূষণ, রোষ ইত্যাদি
কতগুলো শব্দে স্বভাবতই 'ষ' হয়। যেমনঃ
- আষাঢ়, ষড়ঋতু, রোষ, কোষ, ভাষণ,
- ভাষা, ঊষা, পৌষ, কলুষ, পাষাণ,
- মানুষ, ঔষধ, ষড়যন্ত্র, ভূষণ, দ্বেষ ইত্যাদি ।
- ট-বর্গের পূর্বের দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয়৷
- যেমন: বণ্টন, লুণ্ঠন, খণ্ড।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
বিদেশি শব্দের বানানে সাধারণত ণ এবং ষ হয় না। কর্ণেল-এর শুদ্ধ বানান হবে- কর্নেল।





'ত্রিকোণ' শব্দে 'ণ' এর ব্যবহার সঠিক। 
কিন্তু 'পুরোণো' শব্দে 'ন' এর বদলে 'ণ' ব্যবহার করা হয়েছে, যা ভুল। এই শব্দে 'র' এর আগে ওকার (ো) আছে, যা ণ-ত্ব বিধানের অন্তর্ভুক্ত নয়। সুতরাং, এর সঠিক বানান হবে 'পুরোনো'।

তৎসম শব্দের বানানে 'ষ' এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মই ষ-ত্ব বিধান। খাঁটি বাংলা ও বিদেশি ভাষা থেকে আগত শব্দে 'ষ' হয় না। যেমন: দেশি, জিনিস, পোশাক, মাস্টার, পোস্ট ইত্যাদি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন



- ণ-ত্ব বিধান অনুসারে, 'র' এর পরে 'ণ' বসে যদি তার আগে ইকার (ি), ঈকার (ী), একার (ে), ঐকার (ৈ) বা রেফ (র্) থাকে।
- 'দূর্ণাম' শব্দে 'র' এর আগে কোনো ইকার, ঈকার, একার, ঐকার বা রেফ নেই। এখানে আছে উকার (ূ)।
- সুতরাং, এই ক্ষেত্রে 'ণ' না বসে 'ন' বসবে। শব্দটির শুদ্ধ বানান হবে 'দুর্নাম'।




ভণিতা শব্দে নিত্য মূর্ধন্য-ণ ব্যবহৃত হয়েছে।
- এছাড়াও কিছু কিছু শব্দে স্বভাবতই মূর্ধন্য-ণ হয়।
যেমন:
চাণক্য মাণিক্য গণ
বাণিজ্য লবণ মণ
বেণু বীণা কঙ্কণ কণিকা।
কল্যাণ শোণিত মণি
স্থাণু গুণ পুণ্য বেণী
ফণী অণু বিপণি গণিকা।
আপণ লাবণ্য বাণী
নিপুণ ভণিতা পাণি
গৌণ কোণ ভাণ পণ শাণ।
চিক্কণ নিক্বণ তূণ  
কফণি বণিক গুণ
গণনা পিণাক পণ্য বাণ।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0