উপসর্গ (355 টি প্রশ্ন )
- ‘অবকাশ’ শব্দটি ‘অব’ উপসর্গ এবং ‘কাশ’ (যার অর্থ দীপ্তি বা সুযোগ) মূল শব্দযোগে গঠিত হয়েছে।
- এখানে ‘অব’ উপসর্গটি ‘অল্পতা’ বা ‘ঈষৎ’ (সামান্য) অর্থে প্রযুক্ত হয়েছে।
- সুতরাং, ‘অবকাশ’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো ‘অল্প সুযোগ’ বা ‘সামান্য বিরাম’
- এই শব্দটি একটি বৃহত্তর কাজের মধ্যে একটি ছোট বা সীমিত ফাঁক বোঝায়, যা 'অল্পতা' অর্থকেই নির্দেশ করে।
- যেমন ‘অবশেষ’ (অল্প যা বাকি আছে) শব্দটিতেও ‘অব’ উপসর্গটি অল্পতা বা হীনতা অর্থে ব্যবহৃত হয়।
- ‘হেডমাস্টার’ শব্দে ব্যবহৃত ‘হেড’ উপসর্গটি ইংরেজি ভাষা থেকে আগত।
- যেসব উপসর্গ বিদেশী ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে, সেগুলোকে বিদেশী উপসর্গ বলা হয়।
- এখানে ‘হেড’ উপসর্গটি ‘প্রধান’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
- যেমন, হেড (প্রধান) + মাস্টার (শিক্ষক) = হেডমাস্টার (প্রধান শিক্ষক)।
- ইংরেজি ভাষা থেকে আসা আরও কিছু উপসর্গ হলো ‘সাব’ (সাব-ইন্সপেক্টর), ‘হাফ’ (হাফ-প্যান্ট), ‘ফুল’ (ফুল-শার্ট) ইত্যাদি।
- বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত 'সু' উপসর্গটি তৎসম (সংস্কৃত) এবং খাঁটি বাংলা উভয় প্রকারেই পাওয়া যায়।
- কোন শব্দের সাথে যুক্ত হয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করে উপসর্গের প্রকার নির্ধারণ করা হয়।
- যদি উপসর্গটি কোনো তৎসম শব্দের পূর্বে বসে, তবে সেটি তৎসম উপসর্গ হিসেবে গণ্য হয়।
- 'সুনাম' শব্দটি 'সু' উপসর্গ এবং 'নাম' মূল শব্দ নিয়ে গঠিত, অর্থাৎ 'সু' + 'নাম'
- এখানে 'নাম' শব্দটি একটি তৎসম বা সংস্কৃত শব্দ
- তাই, তৎসম শব্দ 'নাম'-এর সাথে যুক্ত হওয়ায় 'সু' এখানে একটি তৎসম উপসর্গ
- এই উপসর্গটি এখানে 'উত্তম', 'ভালো' বা 'সুন্দর' অর্থ প্রকাশ করছে।
- ‘পরিচালক’ শব্দটি 'পরি' উপসর্গ, 'চাল্‌' ধাতু এবং ‘অক’ প্রত্যয় যোগে গঠিত হয়েছে।
- এখানে 'পরি' উপসর্গটি সম্যক রূপে বা সম্পূর্ণরূপে অর্থ প্রকাশ করছে।
- 'চালনা করা' ক্রিয়ার সাথে 'পরি' যুক্ত হয়ে সুষ্ঠুভাবে বা ভালোভাবে পরিচালনা করা বোঝায়।
- সুতরাং, পরিচালক হলেন তিনি যিনি কোনো কিছু সম্যক রূপে বা সম্পূর্ণরূপে পরিচালনা করেন
- 'পরি' উপসর্গের এই অর্থে গঠিত আরও কিছু শব্দ হলো পরীক্ষা, পরিপূর্ণ, পরিবর্তন ইত্যাদি।
বাংলা ভাষায় যেসব শব্দাংশ বা শব্দখণ্ড ধাতুর পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে, সেগুলোকে উপসর্গ বলা হয়। বাংলা ব্যাকরণে ব্যবহৃত এই উপসর্গগুলোকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়:
- খাঁটি বাংলা,
- সংস্কৃত বা তৎসম, এবং
- বিদেশি উপসর্গ

বাংলা ভাষায় নিজস্ব যে ২১টি খাঁটি বাংলা উপসর্গ রয়েছে, সেগুলো হলো: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, এবং হা। এর মধ্যে আ, সু, বি, এবং নি—এই চারটি উপসর্গ তৎসম শব্দেও পাওয়া যায়।

অন্যদিকে, বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গের সংখ্যা ২০টি। এগুলো হলো: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, এবং আ।

এছাড়াও, দীর্ঘকাল ধরে আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি ও উর্দুসহ বিভিন্ন বিদেশি ভাষার কিছু উপসর্গ বাংলা ভাষায় প্রচলিত আছে। এই বিদেশি উপসর্গগুলোর কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই, যেমন—আরবিতে আম, খাস, লা, গর; ফারসিতে কার, দর, না, নিম; ইংরেজিতে হেড, সাব, ফুল, হাফ; এবং উর্দুতে হর অন্যতম।
সংস্কৃত উপসর্গ ‘উৎ’ উপসর্গের ব্যবহার:
‘ঊর্ধ্বমুখিতা’ অর্থে = উদ্দাম, উন্নতি, উৎক্ষিপ্ত, উদ্‌গ্রীব, উত্তোলন।

সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় যেসকল সংস্কৃত উপসর্গ ব্যবহার করা হয় তাদের সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ বলে।
সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ ২০ টি।
যথা: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অপি, উপ, আ।
- তৎসম উপসর্গ মোট ২০ টি।
- এগুলো হলো: প্র, পরা, অপ, সপ, নঈ, অনু, অব, নঈর, দু, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, উপ, আ।

- উপ উপসর্গটির ব্যবহারঃ
- সামীপ্য অর্থে- উপকূল, উপকন্ঠ।
- সদৃশ অর্থে- উপদ্বীপ, উপবন।
- ক্ষুদ্র অর্থে- উপগ্রহ, উপনেতা,উপসাগর।
- বিশেষ অর্থে- উপনয়ন,উপভোগ।
যেসব উপসর্গ সরাসরি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হচ্ছে সেসব উপসর্গকে বলা হয় তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ।
- তৎসম উপসর্গ ২০টি।
যেমন:
- প্র,পরা, অপ, সম, নি, অব, অনু, নির, দুর, বি, অধি, সু, উদ, পরি, প্রতি, অভি, অতি, অপি, উপ, আ।

'অপ' উপসর্গ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়:
- বিপরীত অর্থে = অপমান, অপবাদ, অপকার।
- নিকৃষ্ট অর্থে = অপব্যয়, অপকর্ম, অপকীর্তি।
- স্থানান্তর অর্থে = অপহরণ, অপনোদন, অপসারণ।
- বিকৃত অর্থে = অপমৃত্যু।
যেসব উপসর্গ সরাসরি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হচ্ছে সেসব উপসর্গকে বলা হয় তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ।
- তৎসম উপসর্গ ২০টি 
• খাঁটি বাংলা উপসর্গ মোট ২১টি। যথা—অ, অনা, অজ, অঘা, , আড়, আন, আর, ইতি, ঊন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।

• যেসব উপসর্গ সরাসরি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হচ্ছে সেসব উপসর্গকে বলা হয় তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ।
- তৎসম উপসর্গ ২০টি।
যেমন:
- প্র,পরা, অপ, সম, নি, অব, অনু, নির, দুর, বি, অধি, সু, উদ, পরি, প্রতি, অভি, অতি, অপি, উপ,

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- তৎসম উপসর্গ মোট ২০ টি।
- এগুলো হলো: প্র, পরা, অপ, সপ, নঈ, অনু, অব, নঈর, দু, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, উপ, আ।

- উপ উপসর্গটির ব্যবহারঃ
- সামীপ্য অর্থে- উপকূল, উপকন্ঠ।
- সদৃশ অর্থে- উপদ্বীপ, উপবন।
- ক্ষুদ্র অর্থে- উপগ্রহ, উপনেতা,উপসাগর।
- বিশেষ অর্থে- উপনয়ন,উপভোগ।
- বাংলা ভাষায় এমন কতগুলো অব্যয়সূচক শব্দাংশ রয়েছে, যা স্বাধীন পদ হিসেবে বাক্যে ব্যবহৃত হতে পারে না, এগুলো অন্য শব্দের পূর্বে বসে।
- যেসব অব্যয় ধাতু বা শব্দের পূর্বে বসে নতুন নতুন শব্দের সৃষ্টি করে, তাদের উপসর্গ বলে।
- উপসর্গগুলোর নিজস্ব কোনো অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অন্য শব্দের পূর্বে বসে এদের অর্থদ্যোতকতা বা নতুন শব্দ সৃজনের ক্ষমতা থাকে।
- উপসর্গের মাধ্যমে-
- নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরি হয় (সম্+বাদ = সংবাদ);
- শব্দের অর্থের পূর্ণতা সাধিত হয় (পরি+পুষ্টি = পরিপুষ্টি);
- শব্দের অর্থের সম্প্রসারণ ঘটে (সম্‌+পূর্ণ = সম্পূর্ণ) 
- শব্দের অর্থের সংকোচন ঘটে (সু+নজর = সুনজর)।
- উপসর্গ শব্দের শুরুতে যোগ করা হয়, যা একটি শব্দের অর্থ পরিবর্তন, সম্প্রসারণ বা সংকোচন ঘটায়। - এটি কখনোই শব্দের শেষে যোগ করা হয় না। উদাহরণস্বরূপ, "অপমান" শব্দে "অপ-" একটি উপসর্গ, যা "মান" শব্দের আগে বসে নতুন অর্থ তৈরি করে।
- প্রত্যয় শব্দের শেষে যোগ করা হয় এবং এটি নতুন শব্দ গঠনে ব্যবহৃত হয়। যেমন: "লেখা" + "ক" = "লেখক"।
- বিধান এবং পরিশিষ্ট শব্দের শেষে যোগ করার ধারণা নেই; এগুলো আলাদা শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
- বাংলা ভাষায় খাঁটি বাংলা বা দেশি উপসর্গ ২১টি।
- যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (উনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
- বাংলা উপসর্গ সাধারণত বাংলা শব্দের পূর্বেই বসে।
- বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত তৎসম শব্দের পূর্বে যেসব উপসর্গ বসে তাদেরকে তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ বলে।
- তৎসম উপসর্গ মোট ২০ টি।
- এগুলো হলো: প্র, পরা, অপ, সপ, নঈ, অনু, অব, নঈর, দু, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, উপ, আ।
"প্রতাপ" শব্দটি গঠিত হয়েছে:  প্র (উপসর্গ) + তাপ = প্রতাপ

এখানে:
- তাপ মানে গরম বা উত্তাপ।
- উপসর্গ "প্র" যুক্ত হওয়ার ফলে এর অর্থে শুধু উত্তাপ বোঝানো হয়নি, বরং তা সম্মান, প্রভাব, মর্যাদা, শক্তির প্রভাব ইত্যাদি অর্থে সম্প্রসারিত হয়েছে
- অর্থাৎ, "তাপ" এককভাবে এক ধরনের তেজ বা উত্তাপ বোঝালেও, "প্রতাপ" শব্দটি একটি বিস্তৃত, গৌরবময় ও ক্ষমতার অর্থে ব্যবহৃত হয়।  এটাই হল শব্দের অর্থের সম্প্রসারণ।

অন্যদিকে,
B) নিমরাজি
- এখানে "নিম" উপসর্গ দ্বারা অর্থ সংকোচন ঘটেছে (আংশিক সম্মতি)।

C) উপকথা
-  এখানে "উপ" উপসর্গ ব্যবহারে অর্থ পরিবর্তন হয়েছে (সাধারণ কথা → গল্প বা রূপকথা)।

D) পরিপুষ্টি
- "পরি" উপসর্গ ব্যবহার করে অর্থের পূর্ণতা বোঝানো হয়েছে (সম্পূর্ণ পুষ্ট)।
- বাংলা ভাষায় খাঁটি বাংলা বা দেশি উপসর্গ ২১টি।
- যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (উনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
- বাংলা উপসর্গ সাধারণত বাংলা শব্দের পূর্বেই বসে।
- বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত তৎসম শব্দের পূর্বে যেসব উপসর্গ বসে তাদেরকে তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ বলে।
- তৎসম উপসর্গ মোট ২০ টি।
- এগুলো হলো: প্র, পরা, অপ, সপ, নঈ, অনু, অব, নঈর, দু, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, উপ, আ।
• বিদেশি উপসর্গ অনির্দিষ্ট বা অনির্ণেয়।
যেমন:
- আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর, বাজে এবং খয়ের।
- ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
- উর্দু উপসর্গ: হর।
- ইংরেজি উপসর্গ: হেড, সাব, ফুল, হাফ।
- যেসব অব্যয় ধাতু বা শব্দের পূর্বে বসে নতুন নতুন অর্থের সৃষ্টি করে, তাদের উপসর্গ বলে।
- উপসর্গগুলোর নিজস্ব কোনো অর্থবাচকতা নেই,কিন্তু অন্য শব্দের পূর্বে বসে এদের অর্থদ্যোতকতা বা নতুন শব্দ সৃজনের ক্ষমতা থাকে।
- উপসর্গের মাধ্যমে নতুন অর্থবোধক শব্দ গঠিত হয়। যেমনঃ প্র+ছায়া = প্রচ্ছায়া
- এখানে 'ছায়া' একটি শব্দ এবং এর সাথে 'প্র' উপসর্গ যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ 'প্রচ্ছায়া' গঠিত হয়েছে।
- উপসর্গ হলো সেই শব্দাংশ যা শব্দের পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে।
- দ্রোহী একটি শব্দ যার অর্থ অনিষ্টাচারী।
- এর পূর্বে 'বি' উপসর্গ বসে গঠিত হয়েছে বিদ্রোহী শব্দটি।
বিদেশী উপসর্গ:
- আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি- এসব ভাষার বহু শব্দ দীর্ঘকাল ধরে বাংলা ভাষায় প্রচলিত রয়েছে।
- এর কতগুলো খাঁটি উচ্চারণে আবার কতগুলো বিকৃত উচ্চারণে বাংলায় ব্যবহৃত হয়।
- এদের সাথে কতগুলো বিদেশি উপসর্গ বাংলায় চালু রয়েছে।
- দীর্ঘ কাল ব্যবহারে এগুলো বাংলা ভাষায় বেমালুম মিশে গিয়েছে।
- বেমালুম শব্দটিতে 'মালুম' আরবি শব্দ আর 'বে' ফারসি উপসর্গ।
- এরূপ: বেহায়া, বেনজির, বেশরম, বেকার ইত্যাদি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
বিদেশী উপসর্গ:
- আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি- এসব ভাষার বহু শব্দ দীর্ঘকাল ধরে বাংলা ভাষায় প্রচলিত রয়েছে।
- এর কতগুলো খাঁটি উচ্চারণে আবার কতগুলো বিকৃত উচ্চারণে বাংলায় ব্যবহৃত হয়।
- এদের সাথে কতগুলো বিদেশি উপসর্গ বাংলায় চালু রয়েছে।
- দীর্ঘ কাল ব্যবহারে এগুলো বাংলা ভাষায় বেমালুম মিশে গিয়েছে।
- বেমালুম শব্দটিতে 'মালুম' আরবি শব্দ আর 'বে' ফারসি উপসর্গ।
- এরূপ: বেহায়া, বেনজির, বেশরম, বেকার ইত্যাদি।
- যেসব অব্যয় ধাতু বা শব্দের পূর্বে বসে নতুন নতুন শব্দের সৃষ্টি করে, তাদের উপসর্গ বলে।

- বাংলা ভাষায় তৎসম (সংস্কৃত) উপসর্গ ২০টি।
- যথা: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অণু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অপি, অভি, উপ, আ।

- বাংলা ভাষায় খাঁটি বাংলা উপসর্গ ২১টি।
- যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, উন (উনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
- যেসব অব্যয় ধাতু বা শব্দের পূর্বে বসে নতুন নতুন শব্দের সৃষ্টি করে, তাদের উপসর্গ বলে।

- বাংলা ভাষায় তৎসম (সংস্কৃত) উপসর্গ ২০টি।
- যথা: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অণু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অপি, অভি, উপ, আ।

- বাংলা ভাষায় খাঁটি বাংলা উপসর্গ ২১টি।
- যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, উন (উনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
'অপরিণামদর্শী' শব্দের উপসর্গ বিশ্লেষণ:
অপরিণামদর্শী = অ + পরি।
এখানে,
অ, পরি- ২টি উপসর্গ।
- বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত ইংরেজি উপসর্গগুলো হলো-
ফুল (ফুল-হাতা),(ফুল-বাবু), (ফুল-প্যান্ট) 
হাফ (হাফ-টিকেট),
হেড (হেড-অফিস),
সাব (সাব-জজ)।
- বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
- ফারসি 'বে' উপসর্গটির এখানে অতিরিক্ত অর্থে ব্যবহৃত শব্দ- বে+হিসাবি = বেহিসাবি।
ফারসি উপসর্গ- কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর ইত্যাদি।
আরবি উপসর্গ- আম, খাস, লা, গর্‌, বাজে, খয়ের।
ইংরেজি উপসর্গ- ফুল, হাফ, হেড, সাব।
হিন্দি/ উর্দু উপসর্গ- হর, হরেক।
- বাক্যটিতে ২টি খাঁটি বাংলা উপসর্গ 'অঘা' ও 'অজ' ব্যবহৃত হয়েছে। 
- বাংলা ভাষায় খাঁটি বাংলা বা দেশি উপসর্গ ২১টি।
- যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, উন (উনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
- বাংলা ভাষায় খাঁটি বাংলা উপসর্গ ২১টি।
- যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, উন (উনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
- বাংলা উপসর্গ মোট ২১ টি।
- তন্মধ্যে "অ" উপসর্গটি একটি।
- " অ" উপসর্গটি নিন্দিত, অভাব, ক্রমাগত ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন:যেমন:
- নিন্দিত অর্থে - অকেজো, অচেনা।
- অভাব অর্থে - অচিন, অজানা, অপিচ।
- ক্রমাগত অর্থে - অঝোর, অঝোরে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- বাংলা ভাষায় আগত আরবি উপসর্গ: আম, খাস, গর, লা।
- আরবি ‘লা’ উপসর্গযোগে ‘না’ অর্থে লাপাত্তা, লাজওয়াব, লাখেরাজ, লাওয়ারিশ প্রভৃতি শব্দ গঠিত হয়েছে।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0