কারক ও বিভক্তি (347 টি প্রশ্ন )
যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্মকারক বলে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে অধিকরণ কারক ক্রিয়া সংঘটনের স্থান নির্দেশ করে, তাকে স্থানাধিকরণ বলে। বাক্যে ‘মাঠ’ স্থান বোঝানোর কারণে এটি স্থানাধিকরণ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
কোনো ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য যখন অন্য ক্রিয়ার ভাবের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে, তখন তাকে ভাবাধিকরণ কারক বলে। এই কারকে সবসময় ৭মী বিভক্তি যুক্ত হয় বলে একে ‘ভাবে সপ্তমী’ বলে। যেমন: কান্নায় শোক কমে। সূর্যোদয়ে পদ্ম ফোটে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
-যদি কোনো ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য অন্য ক্রিয়ার কোনোরূপ ভাবের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে, তবে তাকে ভাবাধিকরণ বলে।
-ভাবাধিকরণে সর্বদাই সপ্তমী বিভক্তির প্রয়োগ হয় বলে একে 'ভাবে সপ্তমী' বলা হয়। উদাহরণ- কান্নায় শোক মন্দীভূত হয়। হাসিতে মুক্তা ঝরে। জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- সামীপ্য অর্থেও ঐকদেশিক অধিকরণ হয়।
- যেমন: ঘাটে নৌকা বাঁধা আছে (ঘাটের কাছে)। ‘দুয়ারে দাঁড়ায়ে প্রার্থী।'
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যা থেকে কিছু বিচ্যুত, গৃহীত, বিরত, আরম্ভ, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বলে। যেমন: পাপে বিরত হও।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্মকারক বলে।
যেমন— সর্বাঙ্গে ব্যথা, ঔষধ দিব কোথা। এ বাক্যে 'ঔষধ' শব্দটি কর্মকারকে শূন্য বিভক্তি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
ক্রিয়া পদের সঙ্গে সম্পর্ক না রেখে যে নামপদ বাক্যস্থিত অন্য পদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয় ,তাকে সম্বন্ধ পদ বলে ।
যেমন : মতিনের ভাই বাড়ি যাবে। এখানে 'মতিনের' সঙ্গে 'ভাই'-এর সম্পর্ক আছে কিন্তু 'যাবে' ক্রিয়ার সাথে সম্বন্ধ নাই।

আবার,
সম্বন্ধ পদে 'র' বা 'এর' বিভক্তি যুক্ত হয়ে থাকে । 
যেমন -আমার ভাই বাড়ি যাবে । এখানে 'আমি ' এর সাথে 'র ' বিভক্তি যুক্ত হয়ে 'আমার' হয়েছে 'যা সম্বন্ধ পদের নিজস্ব বিভক্তি বিবেচিত ।

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
কর্তা যাকে স্বত্বত্যাগ করে কিছু দান করে তাকে সম্প্রদান কারক বলে। যেমিন- ভিক্ষুককে পয়সা দাও। সম্প্রদান কারক সাধারণত চতুর্থী বিভক্তি হয়।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
-ক্রিয়ার আধারকে অধিকরণ কারক বলে। অর্থাৎ , যে স্থানে বা যে বিষয়টি আশ্রয় করে ক্রিয়া নিষ্পন্ন হয় , সে বিষয় , সময় বা স্থানকে অধিকরণ কারক বলে ।
যেমন - শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে - বাক্যে ''পাঠে'' শব্দটি অধিকরণে সপ্তমী বিভক্তি ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বিষয় বিশেষে বা কোনো বিশেষ গুণে কারো কোনো দক্ষতা বা ক্ষমতা থাকলে সেখানে বৈষয়িক আধারাধিকরণ হয়। যেমন: রাজিব বাংলা ব্যাকরণে ভালো। প্রদত্ত উদাহরণে ব্যাকরণ বিষয়ে বিশেষ গুণ বা দক্ষতার বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে, যা বৈষয়িক আধারাধিকরণের শর্তের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং 'ব্যাকরণ' এর সাথে ৭মী বিভক্তি (ব্যাকরণ+এ) যুক্ত হওয়ায় এটি অধিকরণে ৭মী বিভক্তি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- বাংলায় সম্প্রদান কারকের প্রয়োজন নেই, এ কথা রবীন্দ্রনাথ অনেক আগেই বলেছিলেন।
- নতুন ব্যাকরণে সম্প্রদান কারক বাদ দেওয়া হয়েছে।
- আবার সম্বন্ধ কারক বলে নতুন কারক যুক্ত করা হয়েছে।
- তাই আগের মতোই কারক ছয় প্রকারই আছে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
-যাজে উদ্দেশ্য করে বা আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পাদিত হয়, তাকে কর্মকারক বলে। 
-কর্মকারক কে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন: 
১/সকর্মক ক্রিয়ার কর্ম 
২/ প্রযোজক ক্রিয়ার কর্ম 
৩/সমধাতুজজ কর্ম 
৪/ উদ্দেশ্য ও বিধেয় কর্ম।

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক বলে।

কর্তৃকারকে বিভক্তির প্রয়োগের উদাহরণ-
- পাখি সব করে রব = কর্তৃকারকে শূন্য বিভক্তি
- আমার দ্বারা এ কাজ হবে না সাধন = কর্তৃকারকে তৃতীয়া বিভক্তি
- পাছে লোকে কিছু বলে = কর্তৃকারকে ৭মী বিভক্তি
- বুলবুলিতে ধান খেয়েছে = কর্তৃকারকে ৭মী বিভক্তি
- ঘোড়ায় গাড়ি টানে = কর্তৃকারকে ৭মী বিভক্তি
- মানুষ ভাবে এক হয় আর এক = কর্তৃকারকে শূন্য বিভক্তি
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
-অধিকরণ কারক বলতে ক্রিয়া সম্পাদনের সময় এবং আধারকে নির্দেশ করে।ক্রিয়াকে "কখন" ও "কোথায়" দ্বারা প্রশ্ন করলে উত্তরে অধিকরণ কারক পাওয়া যায়। অধিকরণ কারকে সপ্তমী অর্থাৎ '-এ' '-য়' '-তে' ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।

-অধিকরণ কারক তিন প্রকার। যথা-
১. কালাধিকরণ,
২. আধারাধিকরণ এবং
৩. ভাবাধিকরণ।

-আধারাধিকরণ তিন ভাগে বিভক্ত। যথা:-
 ১. ঐকদেশিক, ২. অভিব্যাপক এবং ৩. বৈষয়িক।

 -উদ্দিষ্ট বস্তু যদি সমগ্র আধার ব্যাপ্ত করে বিরাজমান থাকে, তবে তাকে অভিব্যাপক আধারাধিকরণ বলে।
উদাহরণ:
তিলে তৈল আছে। (তিলের সারা অংশব্যাপী)
নদীতে পানি আছে। (নদীর সমস্ত অংশ ব্যাপ্ত করে)
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- যা থেকে কিছু বিচ্যুত, গৃহীত, জাত, বিরত, আরম্ভ, দূরীভূত, উৎপন্ন ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বলে।
- ক্রিয়াকে ‘কোথা হতে’, ‘কি হতে’ বা ‘কিসের হতে দিয়ে প্রশ্ন করলে অপাদান কারক পাওয়া যায়।
- যেমন: মনে পড়ে সেই ছোটবেলার স্কুল পলায়ন। এখানে যদি প্রশ্ন করা হয়, কোথা হতে পলায়নের কথা বলা হয়েছে? তাহলে উত্তর পাই- স্কুল হতে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে কিছু দেয়া হয় ,তাকে সম্প্রদান কারক বলে।'কি দান করা হল' প্রশ্নের উত্তরই হলো সম্প্রদান কারক ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- যদি কোনো ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য অন্য ক্রিয়ার কোনোরূপ ভাবের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে, তবে তাকে ভাবাধিকরণ বলে ৷
- ভাবাধিকরণে সর্বদাই সপ্তমী বিভক্তির প্রয়োগ হয় বলে একে ভাবে সপ্তমীও বলা হয়ে থাকে৷ 
যেমন: 
- সূর্যোদয়ে অন্ধকার দূরীভূত হয়, 
- কান্নায় শোক মন্দীভূত হয়, 
- হাসিতে মুক্তা ঝরে, 
- জলে কুমির, 
- ডাঙায় বাঘ৷ ইত্যাদি। 

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- যদি কোনো ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য অন্য ক্রিয়ার কোনোরূপ ভাবের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে, তবে তাকে ভাবাধিকরণ বলে ৷
- ভাবাধিকরণে সর্বদাই সপ্তমী বিভক্তির প্রয়োগ হয় বলে একে ভাবে সপ্তমীও বলা হয়ে থাকে৷ 
যেমন: 
- সূর্যোদয়ে অন্ধকার দূরীভূত হয়, 
- কান্নায় শোক মন্দীভূত হয়, 
- হাসিতে মুক্তা ঝরে, 
- জলে কুমির, 
- ডাঙায় বাঘ৷ ইত্যাদি। 

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যদি কোনো ক্রিয়বাচক বিশেষ্য অন্য ক্রিয়ার কোনোরূপ ভাবের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে, তাকে ভাবাধিকরণ বলে । ভাবাধিকরণে সর্বদাই সপ্তমী বিভক্তির প্রয়োগ হয় বলে একে 'ভাবে সপ্তমী' বলা হয় । যেমন- সূর্যোদয়ে অন্ধকার দূরীভূত হয় । কান্নায় শোক মন্দীভূত হয় । 
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যদি কোন ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য অন্য ক্রিয়ার কোনরূপ ভাবের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে, তবে তাকে ভাবাধিকরণ বলে। ভাবাধিকরণে সর্বাপদাই সপ্তমী বিভক্তি ব্যবহৃত হয়, যার কারণে একে ভাবে সপ্তমী বলা হয়। যেমন- কান্নায় শোক মন্দীভূত হয়।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- কোনো বাক্যে যে দুটো কর্তা একত্রে একজাতীয় ক্রিয়া সম্পাদন করে,তাদের ব্যতিহার কর্তা বলে। যেমন:

- শ্রদ্ধাবান লভে জ্ঞান অন্যে কভু নয়;
- পাছে লোকে কিছু বলে;
- গণিতে গণিতে লড়াই চলে ইত্যাদি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
-বেলা যে পড়ে এলো জলকে চল এই বাক্যটিতে;' জলকে 'এর 'কে' বিভক্তি দিয়ে 'নিমিত্ত' /জন্যে বুঝায় ।
-পরের দিন ব্যবহারের জন্য দুরান্তের পানি উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করে রাখতে হত সন্ধ্যার আগেই ।]
-এই নিমিত্ত অর্থের 'কে''বিভক্তিই চতুর্থী বিভক্তির অন্তর্গত।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র ,উপকরণ বা সহয়াককেই করণ কারক বলে ,ক্রিয়াপদকে 'কিসের দ্বারা ' বা 'কি উপায়ে' প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি পাওয়া যায় ,তাই করণ কারক ।যেমন ঃ বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ কর ।প্রদত্ত বাক্যের ক্রিয়াকে যদি প্রশ্ন করা হয় 'কীসের দ্বারা কাজ কর ?' তাহলে উত্তর পাই 'বুদ্ধির দ্বারা বা খাটিয়ে ' সুতরাং 'বুদ্ধি ' করণ কারক এবং এর সাথে শূন্য বিভক্তি (বুদ্ধি+০ ) যুক্ত হয় করণে শূন্য হয়েছে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
-বাক্যস্থিত একটি শব্দের সাথে অন্য শব্দের অন্বয় সাধনের জন্য শব্দের সাথে যে সকল বণ যুক্ত হয়, তাদেরকে। বিভক্তি বলে ।
-বিভক্তি প্রধানত দুই প্রকার। যথা: নাম বা শব্দ বিভক্তি ও ক্রিয়া বিভক্তি।

-আবার, নাম বা শব্দ বিভক্তি সাত প্রকার। যথা: প্রথমা, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী এবং সপ্তমী ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বাক্যের বাচ্য বা প্রকাশভঙ্গি অনুসারে কর্তা ৩ প্রকার। যথা- কর্মবাচ্যের কর্তা, ভাববাচ্যের কর্তা, কর্ম-কর্তৃবাচ্যের কর্তা।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বাক্যের বাচ্য বা প্রকাশভঙ্গি অনুসারে কর্তা তিন প্রকার। এগুলো হলোঃ
-কর্মবাচ্যের কর্তাঃ পুলিশ দ্বারা চোর ধৃত হয়েছে।
-ভাব বাচ্যের কর্তাঃ আমার যাওয়া হবে না।
-কর্ম-কর্তৃবাচ্যের কর্তাঃ বাঁশি বাজে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের অন্বয় সাধনের জন্য শব্দের সঙ্গে যে সকল বর্ণ যুক্ত হয়,তাদেরকে বিভক্তি বলে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0