Loading [MathJax]/jax/output/HTML-CSS/fonts/TeX/fontdata.js
 
কারক ও বিভক্তি (357 টি প্রশ্ন )
- ষষ্ঠী বিভক্তি সাধারণত কোনো বস্তু বা ব্যক্তির অধিকার বা সম্পর্ক বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
- এখানে "বাড়ির" শব্দটি "বাড়ি" শব্দের সঙ্গে ষষ্ঠী বিভক্তি যুক্ত হয়ে বাড়ির অধিকার বা সম্পর্ক নির্দেশ করছে। অর্থাৎ, পুকুরটি বাড়ির অন্তর্গত।

• বিভক্তির নাম ও বিভক্তি:
- প্রথমা বা শূণ্য বিভক্তি: শূন্য, অ;
- দ্বিতীয়া বিভক্তি: কে, রে;
- তৃতীয়া বিভক্তি: দ্বারা, দিয়া (দিয়ে), কর্তৃক;
- চতুর্থী বিভক্তি: কে, রে;
- পঞ্চমী বিভক্তি: হইতে (হতে), থেকে, চেয়ে;
- ষষ্ঠী বিভক্তি: র, এর;
- সপ্তমী বিভক্তি: এ, য়, তে।
- ক্রিয়াপদকে ধরে কোথায়, কোন স্থানে, কখন, কোন সময়, কবে, কোন বিষয়ে বা ব্যাপারে-এই প্রকার প্রশ্ন করলে তার উত্তরে অধিকরণ কারক পাওয়া যায়।
- এখানে 'ঢাকায় আজ অনেক জ্যাম’ বাক্যে ‘কোথায়?-এর উত্তরে পাওয়া যাবে- ‘ঢাকায়।'
- সুতরাং এটি অধিকরণ কারক।
- আবার এটির সাথে ‘য়’ থাকায় এটি ৭মী বিভক্তি।
যে কারকে বিশেষ্য ও সর্বনামের সঙ্গে বিশেষ্য ও সর্বনামের সম্পর্ক নির্দেশিত হয়, তাকে সম্বন্ধ কারক বলে। এই কারকে ক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পরোক্ষ। এ কারকে শব্দের সঙ্গে ‘র’, ‘এর’, ‘কার’ ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমন:
- ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না।
- তখনকার দিনে পায়ে হেঁটে চলতে হতো মাইলের পর মাইল
- তুমি আমার বন্ধু।
- যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে দান, অর্চনা, সাহায্য ইত্যাদি করা হয়, তাকে (সংস্কৃত নিয়মে) সম্প্রদান কারক বলে। বস্তু নয়, ব্যক্তিই সম্প্রদান কারক।
- "আমি তোমার জন্য উপহার এনেছি।" এখানে 'তোমার জন্য' সম্প্রদান কারক।
- তেমনি, "তুমি তার জন্য অপেক্ষা করছো" বাক্যে 'তার জন্য' একইভাবে সম্প্রদান কারক।
যে কারকে বিশেষ্য ও সর্বনামের সঙ্গে বিশেষ্য ও সর্বনামের সম্পর্ক নির্দেশিত হয়, তাকে সম্বন্ধ কারক বলে। এই কারকে ক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পরোক্ষ। এ কারকে শব্দের সঙ্গে ‘র’, ‘এর’, ‘কার’ ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমন:
- ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না।
- আমার জামার বোতামগুলো একটু অন্য রকম।
- তখনকার দিনে পায়ে হেঁটে চলতে হতো মাইলের পর মাইল ।
- বাক্যে ক্রিয়াটি যার দ্বারা সম্পাদিত হয়, তাকে কর্তৃকারক বলে।
- বাক্যের ক্রিয়াকে 'কে/কারা' দিয়ে প্রশ্নের উত্তরে কর্তৃকারক পাওয়া যায়।

কর্তৃকারকে বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার
প্রথমা শূন্য বা অ বিভক্তি:
- হামিদ বই পড়ে।
- পাতাটির নিচে বসে আছে ভোরের দোয়েল পাখি।
- ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই করণ কারক বলে।
- ক্রিয়াপদকে ‘কিসের দ্বারা’ বা ‘কি উপায়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি পাওয়া যায়, তাই করণ কারক।
- বাক্যটিকে কার দ্বারা সাগর পার হওয়া যায়? প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় ‘জাহাজে’। সুতরাং ‘জাহাজে’ করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি।
যে কারকে বিশেষ্য ও সর্বনামের সঙ্গে বিশেষ্য ও সর্বনামের সম্পর্ক নির্দেশিত হয়, তাকে সম্বন্ধ কারক বলে। এই কারকে ক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পরোক্ষ। এ কারকে শব্দের সঙ্গে ‘র’, ‘এর’, ‘কার’ ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমন:
- ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না।
- তখনকার দিনে পায়ে হেঁটে চলতে হতো মাইলের পর মাইল ।
- যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকেই কর্ম কারক বলে।
- কর্মকারক ২ প্রকার।
- যথা: মুখ্য কর্ম ও গৌণ কর্ম।
- বাক্যের ক্রিয়াকে ‘কী’ বা ‘কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে এর উত্তরে কর্ম পাওয়া যায়।

- অসহায়কে সাহায্য করো। ( কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি)।
- শিক্ষককে জানাও। ( কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি)।
- বাঁশি বাজে। ( কর্মকারকে প্রথমা বা শূন্য বিভক্তি)।
- তাঁকে বল। ( কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি)।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপায় বা সহায়ককেই করণ কারক বলে।
- এখানে ‘চোখ’ দেখার উপায় হওয়ায় এটি করণ কারক।
- ক্রিয়াকে ‘কী দিয়ে’ প্রশ্ন করলেও, এর উত্তরে চোখ পাওয়া যায়।
- 'চোখে' শব্দটিতে '৭মী' বিভক্তি যুক্ত হয়েছে।
- ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই করণ কারক বলে।
- ক্রিয়াপদকে ‘কিসের দ্বারা’ বা ‘কি উপায়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি পাওয়া যায়, তাই করণ কারক।
- যেমন- বইটি দ্বারা আমার অনেক উপকার হলো। প্রদত্ত বাক্যের ক্রিয়াকে যদি প্রশ্ন করা হয় 'কিসের দ্বারা?' তাহলে উত্তর পাই ‘বইটি’ ।
অধিকরণ কারক বলতে বোঝায় ক্রিয়া সম্পাদনের কাল (সময়) ও আধারকে। সন্ধ্যার আকাশ বা সন্ধ্যাকাশ এর সাথে বিভক্তি চিহ্ন ‘এর’ যুক্ত হয়েছে। কাজেই নিয়ম অনুযায়ী এটি অধিকরণ কারক এবং ৬ষ্ঠী বিভক্তি।
এই বাক্যে 'গাছ' শব্দের সাথে '-এর' বিভক্তি যুক্ত হয়েছে। এটি সম্বন্ধপদীয় বিভক্তি, যা সম্পর্ক নির্দেশ করে। এক্ষেত্রে, এটি নির্দেশ করছে যে ফলটি গাছের সাথে সম্পর্কিত বা গাছের অংশ।

বাংলা ভাষায় '-এর' বিভক্তির ব্যবহার সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

১. '-এর' বিভক্তি সাধারণত স্বরান্ত শব্দের (যে শব্দ স্বরবর্ণ দিয়ে শেষ হয়) সাথে যুক্ত হয়।

     যেমন: গাছ + এর = গাছের, বই + এর = বইয়ের

২. ব্যঞ্জনান্ত শব্দের (যে শব্দ ব্যঞ্জনবর্ণ দিয়ে শেষ হয়) ক্ষেত্রে সাধারণত '-র' বিভক্তি ব্যবহৃত হয়।

     যেমন: বাড়ি + র = বাড়ির, দেশ + র = দেশের


যে কারকে স্থান , কাল , বিষয় ও ভাব নির্দেশিত হয় তাকে অধিকরণ কারক বলে। এই কারকে সাধারণত ‘- এ’, ‘- য় ‘, ‘- য়ে’ ‘- তে’ ইত্যাদি বিভক্তি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়।
যেমন -
- বাবা বাড়িতে আছেন
- এ বাড়িতে কেউ নেই
- বিকাল পাঁচটায় অফিস ছুটি হবে।
1. যে কারকে ক্রিয়ার উত্স নির্দেশ করা হয়, তাকে অপাদান কারক বলে। এই কারকে সাধারণত হতে’, ‘থেকে ইত্যাদি অনুসর্গ শব্দের পরে বসে।
যেমন –
- জমি থেকে ফসল পাই।
- কাপটা উঁচু টেবিল থেকে পড়ে ভেঙে গেল।

2. প্রধান অনুসর্গ:
- হতে
- থেকে
- চেয়ে
- অপেক্ষা

3. ব্যবহার: অপাদান কারক বাক্যে কোনও ক্রিয়ার শুরু, উৎস, বা তুলনার বিন্দু নির্দেশ করে।

4. উদাহরণ:
- বই থেকে জ্ঞান অর্জন করা যায়।
- সূর্য হতে আলো আসে।
- তিনি আমার চেয়ে বয়সে বড়।
- গাছ থেকে পাতা ঝরে পড়ছে।

5. বিশেষ ক্ষেত্রে:
- কখনও কখনও অনুসর্গ ছাড়াও অপাদান কারক প্রকাশ পায়। যেমন: "সে ঢাকা এসেছে।" এখানে 'ঢাকা' শব্দটি অপাদান কারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

- তুলনামূলক বাক্যে 'চেয়ে' বা 'অপেক্ষা' শব্দ ব্যবহার করে অপাদান কারক প্রকাশ করা হয়।
যার দ্বারা বা যে উপায়ে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে করণ কারক বলে। এই কারকে সাধারণত ‘দ্বারা’ ‘দিয়ে’ ‘কতৃক’ ইত্যাদি অনুসর্গ যুক্ত হয়। করণ কারক বাক্যে যন্ত্র, মাধ্যম, উপায় বা উপকরণকে নির্দেশ করে।
যেমন-
ভেড়া দিয়ে চাষ করা সম্ভব নয়।
চাষিরা ধারালো কাস্তে দিয়ে ধান কাটছে।

- বিভক্তি দ্বারাও করণ কারক প্রকাশ পায়। যেমন: "কাঠের" (কাঠ + এর) টেবিল।



- ক্রিয়া যার দ্বারা সম্পাদিত হয়, তাকে কর্তা কারক বলে। বাক্যে কর্তা বা উদ্দেশ্যই কর্তা কারক। কর্তা কারকে সাধারণত বিভক্তি যুক্ত হয় না।
যেমন:
- আমরা নদীর ঘাট থেকে রিকশা নিয়েছিলাম।
- অনেকগুলো বন্য হাতি বাগান নষ্ট করে দিল।
- অর্থ অনর্থ ঘটায়। (কর্তায় শূন্য)।
- বাক্যের ক্রিয়াকে ‘কী’ বা ‘কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে এর উত্তরে কর্ম পাওয়া যায়।
- ক্রিয়াকে যদি প্রশ্ন করা হয় 'কাকে করিবে ত্রান?' তাহলে এর উত্তরে ‘আমারে’ পাওয়া যাবে বলে এটি কর্মকারক।
- ‘রে’ বিভক্তি থাকায় এখানে হবে কর্মে ২য়া।
- ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই করণ কারক বলে।
- ক্রিয়াপদকে ‘কিসের দ্বারা’ বা ‘কি উপায়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি পাওয়া যায়, তাই করণ কারক।
- যেমন- তােমাদের দ্বারা দেশের ক্ষতি হবে। প্রদত্ত বাক্যের ক্রিয়াকে যদি প্রশ্ন করা হয় 'কীসের দ্বারা ক্ষতি হবে? তাহলে উত্তর পাই ‘আমাদের’ ।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
স্বত্ব ত্যাগ করে কোনো কিছু দান, অর্চনা ও সাহায্য করাকে সম্প্রদান কারক বলে। এখানে ভিক্ষা দেওয়ার কথা ব্যক্ত করা হয়েছে।
- "ভিক্ষা দাও আসিলে ভিক্ষুক" সম্প্রদান কারক।
বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক বলে।

কর্তৃকারকে বিভক্তির প্রয়োগের উদাহরণ-
- পাখি সব করে রব = কর্তৃকারকে শূন্য বিভক্তি
- আমার দ্বারা এ কাজ হবে না সাধন = কর্তৃকারকে তৃতীয়া বিভক্তি
- পাছে লোকে কিছু বলে = কর্তৃকারকে ৭মী বিভক্তি
- বুলবুলিতে ধান খেয়েছে = কর্তৃকারকে ৭মী বিভক্তি
- ঘোড়ায় গাড়ি টানে = কর্তৃকারকে ৭মী বিভক্তি
- মানুষ ভাবে এক হয় আর এক = কর্তৃকারকে শূন্য বিভক্তি

বিষয় বিশেষে বা কোনো বিশেষ গুণে কারো কোনো দক্ষতা বা ক্ষমতা থাকলে সেখানে বৈষয়িক আধারাধিকরণ হয়। যেমন: রাজিব বাংলা ব্যাকরণে ভালো। প্রদত্ত উদাহরণে ব্যাকরণ বিষয়ে বিশেষ গুণ বা দক্ষতার বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে, যা বৈষয়িক আধারাধিকরণের শর্তের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং 'ব্যাকরণ' এর সাথে ৭মী বিভক্তি (ব্যাকরণ+এ) যুক্ত হওয়ায় এটি অধিকরণে ৭মী বিভক্তি।
-ক্রিয়ার আধারকে অধিকরণ কারক বলে। অর্থাৎ , যে স্থানে বা যে বিষয়টি আশ্রয় করে ক্রিয়া নিষ্পন্ন হয় , সে বিষয় , সময় বা স্থানকে অধিকরণ কারক বলে ।
যেমন - শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে - বাক্যে ''পাঠে'' শব্দটি অধিকরণে সপ্তমী বিভক্তি ।
- ক্রিয়া সম্পাদনের কাল (সময়) এবং আধারকে (স্থান) অধিকরণ কারক বলে।
- ক্রিয়ার সাথে কোথায় / কখন / কিসে যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই অধিকরণ কারক।
- যেমন: ‘সাগরের গভীরে আছে এক বিচিত্র রাজ্য’, এখানে যদি ক্রিয়াকে প্রশ্ন করা হয়, কোথায় আছে বিচিত্র রাজ্য? উত্তর: সাগরের গভীরে।
অধিকরণ কারক বলতে ক্রিয়া সম্পাদনের সময় এবং আধারকে নির্দেশ করে। ক্রিয়াকে "কখন" ও "কোথায়" দ্বারা প্রশ্ন করলে উত্তরে অধিকরণ কারক পাওয়া যায়।
- অধিকরণ কারকে সপ্তমী অর্থাৎ '-এ' '-য়' '-তে' ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।
- উদাহরণ- রোববার স্কুল বন্ধ থাকে, নদীতে পানি আছে, আকাশে চাঁদ উঠেছে ইত্যাদি।


যে অধিকরণ কারক ক্রিয়া সংঘটনের স্থান নির্দেশ করে, তাকে স্থানাধিকরণ বলে। বাক্যে ‘মাঠ’ স্থান বোঝানোর কারণে এটি স্থানাধিকরণ।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0