|
|
- 'দরিদ্র' একটি বিশেষণ পদ। - 'দরিদ্র' শব্দের সঙ্গে /-য/প্রত্যয় যোগ করলে গঠিত হয় (দরিদ্র + য) দারিদ্র্য। - 'দারিদ্র্য' একটি বিশেষ্য পদ। এবার 'দারিদ্র্য'র সাথে যদি /-তা/ যোগ করা হয়, তাহলে গঠিত হয় (দারিদ্র্য+তা) দারিদ্র্যতা। - 'দারিদ্র্যতা' গঠনে একই সঙ্গে /-য/ এবং /-তা/প্রত্যয় যুক্ত হওয়ার কারণে এটি অশুদ্ধ শব্দ।
|
|
| |
|
|
|
মৌনতা শব্দটিতে "তা" প্রত্যয়ের অপপ্রয়োগ ঘটেছে। শুদ্ধ প্রয়োগ: মৌন।
এরূপ কিছু অশুদ্ধ শব্দের শুদ্ধরূপ হলো: • অধৈর্যতা - অধৈর্য, ধীরতা। • আলস্যতা - আলস্য, অলসতা। • ঐক্যতা - ঐক্য, একতা। • দৈন্যতা - দৈন্য, দীনতা। • মৈত্রতা- মৈত্র/মিত্রতা। • বৈশিষ্টতা- বৈশিষ্ট্য/বিশিষ্টিতা। • কার্পণ্যতা - কার্পন্য, কৃপণতা।
|
|
| |
|
|
|
শুদ্ধ প্রয়োগকৃত বাক্য - বাল্মীকি কর্তৃক রামায়ণ রচিত হয়েছে
|
|
| |
|
|
|
অশুদ্ধ: নির্বিরোধী শুদ্ধ: নির্বিরোধ
অশুদ্ধ: নিজ্ঞানী শুদ্ধ: নির্জ্ঞান
অশুদ্ধ: অহোরাত্রি শুদ্ধ: অহোরাত্র
অশুদ্ধ: মধ্যরাত্রি শুদ্ধ: মধ্যরাত্র
|
|
| |
|
|
|
মৌনতাশব্দটিতে "তা" প্রত্যয়ের অপপ্রয়োগ ঘটেছে। শুদ্ধ প্রয়োগ: মৌন।
এরূপ কিছু অশুদ্ধ শব্দের শুদ্ধরূপ হলো: • অধৈর্যতা - অধৈর্য, ধীরতা। • আলস্যতা - আলস্য, অলসতা। • ঐক্যতা - ঐক্য, একতা। • দৈন্যতা - দৈন্য, দীনতা। • মৈত্রতা- মৈত্র/মিত্রতা। • বৈশিষ্টতা- বৈশিষ্ট্য/বিশিষ্টিতা। • কার্পণ্যতা - কার্পন্য, কৃপণতা।
|
|
| |
|
|
|
- শব্দের শেষে খণ্ড ত (ৎ) প্রয়োগ হয় না।
- সঠিক বানান: উচিত
|
|
| |
|
|
|
- একটি মাত্র নয়, একটিমাত্র - একভূত নয়, একীভূত - এক্ষুণি নয়, এক্ষুনি - এতদ্বারা নয়, এতদ্দ্বারা (দ্দ+ব) - এতৎউদ্দেশ্যে নয়, এতদুদ্দেশ্যে (তেমনি এতদুপলক্ষ্যে) - এতদ্সত্ত্বেও নয়, এতৎসত্ত্বেও - ঐকবদ্ধ নয়, ঐক্যবদ্ধ - ঐকাগ্র নয়, ঐকাগ্র্য - ঐক্যতান নয়, ঐকতান - ঐক্যমত নয়, ঐকমত্য - ঐক্যতা নয়, ঐক্য/একতা
- সূত্র: সর্বশেষ সংশোধিত বাংলা শব্দের তালিকা, ড. মোহাম্মদ আমীন
|
|
| |
|
|
|
'ষ' ব্যবহারের নিয়ম: ১. অ, আ ভিন্ন অন্য স্বরধ্বনি এবং ক ও র-এর পরে প্রত্যয়ের স, ষ হয়। যেমন— ভবিষ্যৎ (ভ্ + অ + ব্ + ই +ৎ) এখানে ব-এর পরে ই, মুমূর্ষু, চক্ষুষ্মান, চিকীর্ষা ইত্যাদি। এ নিয়মের কারণেই ‘পুরস্কার’ বানানে শুধু ‘র্+অ’ থাকায় ‘স’ হয় কিন্তু ‘পরিষ্কার’ বানানে ‘র+ই’ থাকায় ‘ষ’ হয়। সেভাবেই তিরস্কার, আবিষ্কার, ধনুষ্টঙ্কার, নিষ্ঠুর, চতুষ্কোণ ইত্যাদি। ২. ই-কারান্ত এবং উ-কারান্ত উপসর্গের পর কতগুলো ধাতুতে ‘ষ’ হয়। যেমন – অভিসেক >অভিষেক, সুসুপ্ত > সুষুপ্ত, অনুসঙ্গ > অনুষঙ্গ, প্রতিসেধক > প্রতিষেধক, প্রতিস্থান > প্রতিষ্ঠান, অনুস্থান >অনুষ্ঠান, বিসম > বিষম, সুসমা > সুষমা ইত্যাদি। ৩. ‘ঋ’এবং ঋ কারের পর ‘ষ’ হয়। যেমন- ঋষি, কৃষক, উৎকৃষ্ট, দৃষ্টি, সৃষ্টি ইত্যাদি। ৪. তৎসম শব্দে ‘র’-এর পর ‘ষ’ হয়। যেমন- বর্ষা, ঘর্ষণ, বর্ষণ।
৫. ট-বর্গীয় ধ্বনির সঙ্গে ‘ষ’ যুক্ত হয়। যথা : কষ্ট, স্পষ্ট, নষ্ট, কাষ্ঠ, ওষ্ঠ ইত্যাদি। ৬. আরবি, ফারসি, ইংরেজি ইত্যাদি বিদেশি ভাষা থেকে আগত শব্দে ষ হয় না। এ সম্বন্ধে সতর্ক হতে হবে। যেমন- জিনিস, পোশাক, মাস্টার, পোস্ট ইত্যাদি। খ. সংস্কৃত ‘সাৎ প্রত্যয়যুক্ত পদেও ষ হয় না। যেমন- অগ্নিসাৎ, ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
শুদ্ধ - গিরিকন্দর
অশুদ্ধ- অযাথাথ্য শুদ্ধ - অযাথার্থ্য
অশুদ্ধ - ঐষ্টীক শুদ্ধ- ঐষ্টিক
অশুদ্ধ - কলকোল্ললিনী শুদ্ধ - কলকল্লোলিনী
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- প্রয়োজনের অতিরিক্ত শব্দ ব্যবহার করলে বাহুল্য দোষ ঘটে এবং এর ফলে বাক্য তার যোগ্যতা গুণ হারিয়ে থাকে।যেমন- সকল মাছগুলোর দাম কত?। - বাংলা ভাষায় একই বাক্যে দুইবার বহুবচন ব্যবহৃত হয় না। - দুইবার বহুবচন বাচক চিহ্ন বা শব্দ ব্যবহার করলে শব্দ বাহুল্য দোষে দুষ্ট হয়।
|
|
| |
|
|
|
• 'অধীন' শব্দের প্রয়োগ শুদ্ধ।
অশুদ্ধ ও শুদ্ধ প্রয়োগ: • ‘জন্মবার্ষিক’ - ‘জন্মবার্ষিকী’। • 'ঐক্যতা' - ঐক্য বা একতা। • মহাত্ম' - মহত্ত্ব।
|
|
| |
|
|
|
- অধীনী শব্দটি 'অধীন' শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ রূপ। কিন্তু 'অধীন' শব্দটি লিঙ্গ নিরপেক্ষ এবং পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তাই এর স্ত্রীলিঙ্গ রূপ তৈরি করা অপ্রয়োজনীয় এবং ভুল। - 'অধীনী' ছাড়া অন্য শব্দগুলি বাংলা ভাষায় স্বাভাবিক ও গ্রহণযোগ্য লিঙ্গভেদ নির্দেশক শব্দ। - 'অভাগা' পুংলিঙ্গ এবং 'অভাগী' স্ত্রীলিঙ্গ - দুটিই বাংলা ভাষায় স্বীকৃত। - 'অনাথ' পুংলিঙ্গ এবং 'অনাথা' স্ত্রীলিঙ্গ - উভয়ই গ্রহণযোগ্য। - গোপী শব্দটি 'গোপ' শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ রূপ।
|
|
| |
|
|
|
- "শ্রেষ্ঠত্ব" শব্দের সাথে অতিরিক্ত "তা" প্রত্যয় যোগ করা হয়েছে। - "শ্রেষ্ঠত্ব" নিজেই একটি সম্পূর্ণ শব্দ, যা শ্রেষ্ঠ হওয়ার গুণ বা অবস্থা বোঝায়। এখানে "তা" যোগ করা অনাবশ্যক ও ভুল।
|
|
| |
|
|
|
- এই বাক্যে 'ঘাটের মড়া' (অর্থ- মৃত্যু আসন্ন যার/অকর্মণ্য বৃদ্ধ) এর পরিবর্তে 'পুকুরের মড়া' ব্যবহার করাতে বাগধারাটি তার যোগ্যতা হারিয়েছে।
সঠিক বাক্যটি হবে - 'ওই ঘাটের মড়ার সাথে শেষ পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে ঠিক করলে!'
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
এখানে শুদ্ধ বাক্য নয় → ‘অকারণে ঋণ করিওনা’। কারণ বাক্যটি গুরুচণ্ডালী (সাধু-চলিত মিশ্রণ) দোষে দুষ্ট হয়েছে। বাক্যটির শুদ্ধরূপ→ অকারণে ঋণ কর না। অপর তিনটি বাক্য শুদ্ধ।
|
|
| |
|
|
|
'সুনামীর তান্ডবে অনেকেই সর্বশান্ত হয়েছে, বাক্যটিতে তিনটি ভুল রয়েছে।
সঠিক বাক্যটি হবে- সুনামির তাণ্ডবে অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়েছে।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
শুদ্ধ বাক্য- আমার বড় দুরবস্থা। অন্য বাক্যগুলোতে 'দুরবস্থা' বানান ভুল রয়েছে।
'দুরবস্থা' একটি বিসর্গ সন্ধিজাত শব্দ।
সংস্কৃতিতে বিসর্গ দু প্রকার। র্-জাত বিসর্গ ও স্-জাত বিসর্গ। র্-স্থানে যে বিসর্গ হয় তাকে বলে র্-জাত বিসর্গ।
যখন সন্ধিযুক্ত শব্দ তৈরি হয় তখন আবার র্-জাত বিসর্গ থেকে 'র্' ফিরে আসে।
যেমন,
দুঃ+অবস্থা
দুঃ -এর বিসর্গ হচ্ছে র্-জাত বিসর্গ। অর্থাৎ দুঃ=দুর্।
তাহলে,
দুঃ+অবস্থা=দুরবস্থা।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
সৌজন্যতায় শব্দের শুদ্বরূপ সৌজন্য । "তাহার " সাধুভাষার শব্দ যার চলিত রূপ হল "তার" । অর্থাৎ শুদ্ধ বাক্য হল - " তার সৌজন্যে আমি সুযোগটি পেয়েছি । "
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
শুদ্ধ বাক্যঃ সূর্য উদিত হয়েছে। তার সৌজন্যে মুগ্ধ হয়েছি। বিধি লঙ্ঘন হয়েছে।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
| |
|