Loading [MathJax]/jax/output/HTML-CSS/fonts/TeX/fontdata.js
 
ভাষার প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ (274 টি প্রশ্ন )
- 'দরিদ্র' একটি বিশেষণ পদ।
- 'দরিদ্র' শব্দের সঙ্গে /-য/প্রত্যয় যোগ করলে গঠিত হয় (দরিদ্র + য) দারিদ্র্য।
- 'দারিদ্র্য' একটি বিশেষ্য পদ। এবার 'দারিদ্র্য'র সাথে যদি /-তা/ যোগ করা হয়, তাহলে গঠিত হয় (দারিদ্র্য+তা) দারিদ্র্যতা।
- 'দারিদ্র্যতা' গঠনে একই সঙ্গে /-য/ এবং /-তা/প্রত্যয় যুক্ত হওয়ার কারণে এটি অশুদ্ধ শব্দ।
মৌনতা শব্দটিতে "তা" প্রত্যয়ের অপপ্রয়োগ ঘটেছে।
শুদ্ধ প্রয়োগ: মৌন।

এরূপ কিছু অশুদ্ধ শব্দের শুদ্ধরূপ হলো:
• অধৈর্যতা - অধৈর্য, ধীরতা।
• আলস্যতা - আলস্য, অলসতা।
• ঐক্যতা - ঐক্য, একতা।
• দৈন্যতা - দৈন্য, দীনতা।
• মৈত্রতা- মৈত্র/মিত্রতা।
• বৈশিষ্টতা- বৈশিষ্ট্য/বিশিষ্টিতা।
• কার্পণ্যতা - কার্পন্য, কৃপণতা।
শুদ্ধ প্রয়োগকৃত বাক্য - বাল্মীকি কর্তৃক রামায়ণ রচিত হয়েছে
অশুদ্ধ: নির্বিরোধী
শুদ্ধ: নির্বিরোধ

অশুদ্ধ: নিজ্ঞানী
শুদ্ধ: নির্জ্ঞান

অশুদ্ধ: অহোরাত্রি
শুদ্ধ: অহোরাত্র

অশুদ্ধ: মধ্যরাত্রি
শুদ্ধ: মধ্যরাত্র
মৌনতাশব্দটিতে "তা" প্রত্যয়ের অপপ্রয়োগ ঘটেছে।
শুদ্ধ প্রয়োগ: মৌন।

এরূপ কিছু অশুদ্ধ শব্দের শুদ্ধরূপ হলো:
• অধৈর্যতা - অধৈর্য, ধীরতা।
• আলস্যতা - আলস্য, অলসতা।
• ঐক্যতা - ঐক্য, একতা।
• দৈন্যতা - দৈন্য, দীনতা।
• মৈত্রতা- মৈত্র/মিত্রতা।
• বৈশিষ্টতা- বৈশিষ্ট্য/বিশিষ্টিতা।
• কার্পণ্যতা - কার্পন্য, কৃপণতা।
- শব্দের শেষে খণ্ড ত (ৎ) প্রয়োগ হয় না।

- সঠিক বানান: উচিত
- একটি মাত্র নয়, একটিমাত্র
- একভূত নয়, একীভূত
- এক্ষুণি নয়, এক্ষুনি
- এতদ্বারা নয়, এতদ্দ্বারা (দ্দ+ব)
- এতৎউদ্দেশ্যে নয়, এতদুদ্দেশ্যে (তেমনি এতদুপলক্ষ্যে)
- এতদ্‌সত্ত্বেও নয়, এতৎসত্ত্বেও
- ঐকবদ্ধ নয়, ঐক্যবদ্ধ
- ঐকাগ্র নয়, ঐকাগ্র্য
- ঐক্যতান নয়, ঐকতান
- ঐক্যমত নয়, ঐকমত্য
- ঐক্যতা নয়, ঐক্য/একতা

- সূত্র: সর্বশেষ সংশোধিত বাংলা শব্দের তালিকা, ড. মোহাম্মদ আমীন
'ষ' ব্যবহারের নিয়ম:
১. অ, আ ভিন্ন অন্য স্বরধ্বনি এবং ক ও র-এর পরে প্রত্যয়ের স, ষ হয়। যেমন— ভবিষ্যৎ (ভ্‌ + অ + ব্‌ + ই +ৎ) এখানে ব-এর পরে ই, মুমূর্ষু, চক্ষুষ্মান, চিকীর্ষা ইত্যাদি। এ নিয়মের কারণেই ‘পুরস্কার’ বানানে শুধু ‘র্‌+অ’ থাকায় ‘স’ হয় কিন্তু ‘পরিষ্কার’ বানানে ‘র+ই’ থাকায় ‘ষ’ হয়। সেভাবেই তিরস্কার, আবিষ্কার, ধনুষ্টঙ্কার, নিষ্ঠুর, চতুষ্কোণ ইত্যাদি।
২. ই-কারান্ত এবং উ-কারান্ত উপসর্গের পর কতগুলো ধাতুতে ‘ষ’ হয়। যেমন – অভিসেক >অভিষেক, সুসুপ্ত > সুষুপ্ত, অনুসঙ্গ > অনুষঙ্গ, প্রতিসেধক > প্রতিষেধক, প্রতিস্থান > প্রতিষ্ঠান, অনুস্থান >অনুষ্ঠান, বিসম > বিষম, সুসমা > সুষমা ইত্যাদি।
৩. ‘ঋ’এবং ঋ কারের পর ‘ষ’ হয়। যেমন- ঋষি, কৃষক, উৎকৃষ্ট, দৃষ্টি, সৃষ্টি ইত্যাদি।
৪. তৎসম শব্দে ‘র’-এর পর ‘ষ’ হয়। যেমন- বর্ষা, ঘর্ষণ, বর্ষণ।

৫. ট-বর্গীয় ধ্বনির সঙ্গে ‘ষ’ যুক্ত হয়। যথা : কষ্ট, স্পষ্ট, নষ্ট, কাষ্ঠ, ওষ্ঠ ইত্যাদি।
৬. আরবি, ফারসি, ইংরেজি ইত্যাদি বিদেশি ভাষা থেকে আগত শব্দে ষ হয় না। এ সম্বন্ধে সতর্ক হতে হবে। যেমন- জিনিস, পোশাক, মাস্টার, পোস্ট ইত্যাদি। খ. সংস্কৃত ‘সাৎ প্রত্যয়যুক্ত পদেও ষ হয় না। যেমন- অগ্নিসাৎ, ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ ইত্যাদি।
শুদ্ধ - গিরিকন্দর

অশুদ্ধ- অযাথাথ্য
শুদ্ধ - অযাথার্থ্য

অশুদ্ধ - ঐষ্টীক
শুদ্ধ- ঐষ্টিক

অশুদ্ধ - কলকোল্ললিনী
শুদ্ধ - কলকল্লোলিনী

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- প্রয়োজনের অতিরিক্ত শব্দ ব্যবহার করলে বাহুল্য দোষ ঘটে এবং এর ফলে বাক্য তার যোগ্যতা গুণ হারিয়ে থাকে।যেমন- সকল মাছগুলোর দাম কত?।
- বাংলা ভাষায় একই বাক্যে দুইবার বহুবচন ব্যবহৃত হয় না।
- দুইবার বহুবচন বাচক চিহ্ন বা শব্দ ব্যবহার করলে শব্দ বাহুল্য দোষে দুষ্ট হয়।
• 'অধীন' শব্দের প্রয়োগ শুদ্ধ।

অশুদ্ধ ও শুদ্ধ প্রয়োগ: 
• ‘জন্মবার্ষিক’ - ‘জন্মবার্ষিকী’।
• 'ঐক্যতা' - ঐক্য বা একতা।
• মহাত্ম' - মহত্ত্ব।
- অধীনী শব্দটি 'অধীন' শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ রূপ। কিন্তু 'অধীন' শব্দটি লিঙ্গ নিরপেক্ষ এবং পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তাই এর স্ত্রীলিঙ্গ রূপ তৈরি করা অপ্রয়োজনীয় এবং ভুল।
- 'অধীনী' ছাড়া অন্য শব্দগুলি বাংলা ভাষায় স্বাভাবিক ও গ্রহণযোগ্য লিঙ্গভেদ নির্দেশক শব্দ।
- 'অভাগা' পুংলিঙ্গ এবং 'অভাগী' স্ত্রীলিঙ্গ - দুটিই বাংলা ভাষায় স্বীকৃত।
- 'অনাথ' পুংলিঙ্গ এবং 'অনাথা' স্ত্রীলিঙ্গ - উভয়ই গ্রহণযোগ্য।
- গোপী শব্দটি 'গোপ' শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ রূপ।
- "শ্রেষ্ঠত্ব" শব্দের সাথে অতিরিক্ত "তা" প্রত্যয় যোগ করা হয়েছে।
- "শ্রেষ্ঠত্ব" নিজেই একটি সম্পূর্ণ শব্দ, যা শ্রেষ্ঠ হওয়ার গুণ বা অবস্থা বোঝায়। এখানে "তা" যোগ করা অনাবশ্যক ও ভুল।
- এই বাক্যে 'ঘাটের মড়া' (অর্থ- মৃত্যু আসন্ন যার/অকর্মণ্য বৃদ্ধ) এর পরিবর্তে 'পুকুরের মড়া' ব্যবহার করাতে বাগধারাটি তার যোগ্যতা হারিয়েছে।

সঠিক বাক্যটি হবে - 'ওই ঘাটের মড়ার সাথে শেষ পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে ঠিক করলে!'


এখানে শুদ্ধ বাক্য নয় → ‘অকারণে ঋণ করিওনা’। কারণ বাক্যটি গুরুচণ্ডালী (সাধু-চলিত মিশ্রণ) দোষে দুষ্ট হয়েছে। বাক্যটির শুদ্ধরূপ→ অকারণে ঋণ কর না। অপর তিনটি বাক্য শুদ্ধ।
'সুনামীর তান্ডবে অনেকেই সর্বশান্ত হয়েছে, বাক্যটিতে তিনটি ভুল রয়েছে।

সঠিক বাক্যটি হবে- সুনামির তাণ্ডবে অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়েছে। 

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
শুদ্ধ বাক্য- আমার বড় দুরবস্থা। অন্য বাক্যগুলোতে 'দুরবস্থা' বানান ভুল রয়েছে।

'দুরবস্থা' একটি বিসর্গ সন্ধিজাত শব্দ।
সংস্কৃতিতে বিসর্গ দু প্রকার। র্-জাত বিসর্গ ও স্-জাত বিসর্গ। র্-স্থানে যে বিসর্গ হয় তাকে বলে র্-জাত বিসর্গ।
যখন সন্ধিযুক্ত শব্দ তৈরি হয় তখন আবার র্-জাত বিসর্গ থেকে 'র্' ফিরে আসে।
যেমন, 
দুঃ+অবস্থা
দুঃ -এর বিসর্গ হচ্ছে র্-জাত বিসর্গ। অর্থাৎ দুঃ=দুর্।
তাহলে,
দুঃ+অবস্থা=দুরবস্থা।




সৌজন্যতায় শব্দের শুদ্বরূপ সৌজন্য । "তাহার " সাধুভাষার শব্দ যার চলিত রূপ হল "তার" । অর্থাৎ শুদ্ধ বাক্য হল - " তার সৌজন্যে আমি সুযোগটি পেয়েছি । "


শুদ্ধ বাক্যঃ সূর্য উদিত হয়েছে। তার সৌজন্যে মুগ্ধ হয়েছি। বিধি লঙ্ঘন হয়েছে। 


ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0