বাচ্য (89 টি প্রশ্ন )
- প্রশ্নবোধক, অনুজ্ঞাসূচক ও আবেগসূচক প্রত্যক্ষ উক্তি পরোক্ষ উক্তিতে পরিবর্তন করতে হলে প্রধান খণ্ডবাক্যের ক্রিয়াকে ভাব অনুসারে পরিবর্তন করতে হয়।
প্রত্যক্ষ উক্তি: শিক্ষক বললেন, "তোমরা ছুটি চাও?"
পরোক্ষ উক্তি: আমাদের ছুটি চাই কিনা শিক্ষক তা জিজ্ঞেস করলেন।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- যে বাচ্যে বাক্যের কর্তা প্রাধান্য পায় এবং কর্তা অনুগামী ক্রিয়াপদ হয় সেই বাচ্যকে কর্তৃবাচ্য বলে।
- 'রোগী পথ্য সেবন করে' বাক্যটিতে রোগী নিজেই পথ্য সেবন করে তাই এটি কর্তৃবাচ্য।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
 ভাববাচ্য : বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে প্রকাশিত হলে তাকে ভাববাচ্য বলে। এ ধরনের বাক্যে কর্ম থাকে না এবং কর্তাও প্রধান হয় না। কাউকে কোন কিছু সরাসরি না বলে ঘুরিয়ে বলতে গেলে ভাববাচ্যে বলা যায়।
এ ধরনের বাক্যে কর্তায়- ষষ্ঠী, দ্বিতীয়া বা তৃতীয়া বিভক্তি হয়।
- নামপুরুষের ক্রিয়াপদ [ক্রিয়াপদ] হয়।
-মাঝে মাঝে মূল ক্রিয়াপদের সঙ্গে সহযোগী ক্রিয়াপদও যুক্ত থাকে।
-কখনো কখনো কর্তা উহ্য থাকে, অর্থাৎ কর্তা অনুল্লেখিত থাকে।
যেমন-
আমার খাওয়া হল না। (নামপুরুষের ক্রিয়াপদ
তোমার যাওয়া হবে না। (নামপুরুষের ক্রিয়াপদ)
এ পথে চলা যায় না। (সহযোগী ক্রিয়াপদ যুক্ত)
কোথা থেকে আসা হচ্ছে। (সহযোগী ক্রিয়াপদ যুক্ত)
এ ব্যাপারে আমাকে দায়ী করা চলে না। (কর্তা ‘তুমি’ উহ্য)
এ রাস্তা আমার চেনা নেই।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
ভাববাচ্যঃ যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যের ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয়, তাকে ভাববাচ্য বলে। 
ভাববাচ্যের বৈশিষ্ঠ্যঃ - ভাববাচ্যে ক্রিয়া সর্বদা নাম পুরুষের হয়। 
ভাববাচ্যের কর্তায় ষষ্ঠী, দ্বিতীয়া অথবা তৃতীয় বিভক্তি প্রযুক্ত হয়।
বাবার শরীর খারাপ, শোওয়া হয়নি। (কর্তায় ষষ্ঠী)

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে বাক্যে কর্মপদই কর্তৃস্থানীয় হয়ে বাক্য গঠন করে, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্যের বাক্য বলা হয়। যেমন- কাজটা ভালো দেখায় না।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
কোনো কথকের বাককর্মের নামই উক্তি। উক্তি দুই প্রকার। যথা: প্রত্যক্ষ উক্তি ও পরোক্ষ উক্তি। প্রত্যক্ষ উক্তির বাক্যের সর্বনাম এবং কালসূচক শব্দের পরোক্ষ উক্তিতে নিম্নলিখিত পরিবর্তন সংঘটিত হয়। যেমনঃ
গতকাল - আগের দিন
গত কাল্য- পূর্ব দিন
আগামীকাল - পরদিন 
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
‘এটা’ এর পরোক্ষ উক্তি - ওটা/সেটা
‘ইহা’ এর পরোক্ষ উক্তি - তাহা/ উহা
‘এই’ এর পরোক্ষ উক্তি - সেই
'গতকাল' এর পরোক্ষ উক্তি - আগের দিন
'আগামীকাল' এর পরোক্ষ উক্তি - পরদিন
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
আমি অপমান হয়েছি > আমি অপমানিত হয়েছি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে বাক্যে কর্তার উল্লেখ থাকে না, কর্ম পদটিই কর্তার মতো কাজ করে, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্য বলে । যেমন— ঢাক বাজে । ঘুড়ি ওড়ে । পাতা নড়ে ইত্যাদি ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বাচ্যজনিত ভুলঃ কর্তৃবাচ্যে বিশেষ্য ও করা ক্রিয়ার রূপ থাকলে কর্মবাচ্যে বিশেষণ ও হওয়া ক্রিয়ার রূপ হবে।
শুদ্ধ বাক্যঃ সে আশ্চার্যান্বিত হয়েছে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয়, তাকে ভাববাচ্য বলে।

যেমন -
- কোথায় থাকা হয়,
- রামের খাওয়া হয়েছে,
- আমাকে যেতে হবে,
- আমার খাওয়া হলো না,
- কোথা থেকে আসা হচ্ছে,
- এবার ওঠা যাক,
- এবার যাওয়া যেতে পারে,
- আমাকে এখন যেতে হবে'।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
কর্তৃবাচ্য: বাক্যে কর্তার প্রাধান্য রক্ষিত হলে তাকে কর্তৃবাচ্য বলে। এ ধরনের বাক্যে কর্তা অনুযায়ী ক্রিয়াপদ ব্যবহৃত হয় এবং ক্রিয়া কর্তার অনুসারী হয়।

কর্তৃবাচ্যের -
কর্তায়- শূণ্য বিভক্তি হয়।
কর্মে- দ্বিতীয়া বা ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। (শূণ্য বিভক্তিও হতে পারে)

যেমন-
- ছাত্ররা বাংলা পড়ছে।
- শিক্ষক ছাত্রদের পড়ান।
- রোগী পথ্য সেবন করে।


ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে বাচ্যে কর্মপদই কর্তৃস্থানীয় হয়ে কাজ করে বা ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে কর্মকর্তৃবাচ্য বলে ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
কর্মবাচ্য :- যে বাচ্যে কর্মপদটি কর্তৃপদে পরিণত হয়ে বাচ্যে প্রাধান্য পায় এবং ক্রিয়া, কর্মের অনুগামী হয় তাকে কর্মবাচ্য বলে । যেমন— পুলিশ কর্তৃক চোরটি ধৃত হল । মীরার দ্বারা গানটা গাওয়া হল ।সমিতিতে চাঁদা দিতে হয়।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে বাক্যে কর্মের সাথে ক্রিয়ার সম্পর্ক প্রধানভাবে প্রকাশিত হয় ,তাকে কর্মবাচ্য বলে ।এ বাচ্যে কর্তায় তৃতীয়া বিভক্তি ব্যবহৃত হয়।
যেমনঃ
-আলেকজান্ডার কর্তৃক পারস্য দেশ বিজিত হয় ।
- রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক গীতাঞ্জলি লিখিত হয়েছে ।
- নজরুল কর্তৃক অগ্নিবীণা রচিত হয়েছে ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয় ,তাকে ভাববাচ্য বলে । এ বাচ্যে ক্রিয়া সর্বদাই নাম পুরুষের হয়ে থাকে । 
যেমন:  
- তোমাকেই ঢাকা যেতে হবে। প্রদত্ত বাক্যে 'যেতে হবে ' হল নাম পুরুষের ক্রিয়া এবং অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয়েছে ।

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
ভাববাচ্যঃ
যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয় তাকে ভাববাচ্য বলে।
যেমন -
- আমার খাওয়া হলো না।
- আমাকে এখন যেতে হবে।
- এ পথে চলা যায় না।
- এ রাস্তা আমার চেনা নেই।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে বাক্যে কর্মপদই কর্তস্থানীয় হয়ে বাক্য গঠন করে, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্যের বাক্য বলা হয়।
যেমনঃ 
 - কাজটা ভালো দেখায় না, 
 - বাঁশি বাজে এই মধুর লগনে।
 - সুতি কাপড় অনেক দিন টেকে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে তা ক্রিয়ার কর্তা । বাক্যের বাচ্য অনুসারে কর্তা ৩ প্রকার। 
যথা- 
১। কর্মবাচ্যের কর্তা, 
২। ভাব- বাচ্যের কর্তা, 
৩। কর্ম- কর্তৃবাচ্যের কর্তা। 
'আমার যাওয়া হবে না'- এখানে ভাব-বাচ্যের কর্তা ব্যবহৃত হয়েছে।

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0