বাচ্য (95 টি প্রশ্ন )
ভাববাচ্যে কাজের ওপর জোর দেওয়া হয় (তোমাকে হাঁটতে হবে = হাঁটার কাজ তোমার দ্বারা সম্পন্ন হবে)।
কর্তৃবাচ্যে কর্তার ওপর জোর দেওয়া হয় (তুমি = কর্তা; হাঁটবে = কাজ)।
তাহলে সঠিক রূপ → তুমি হাঁটবে।
ভাববাচ্যে কর্মের ওপর (লুণ্ঠিত হওয়া) জোর থাকে, কর্তা ধরা হয় না।
কর্তৃবাচ্যে কর্তা (দস্যুদল) স্পষ্টভাবে কাজ সম্পন্ন করছে।
তাই সঠিক উত্তর -দস্যুদল গৃহটি লুণ্ঠন করেছে
কর্তৃবাচ্যে কর্তা (আমি) স্পষ্টভাবে কাজের ক্রিয়াটি করছে।
কর্মবাচ্যে কাজের ওপর জোর থাকে, কর্তা প্রায় অপ্রকাশ্য বা ‘দ্বারা’র মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
তাহলে সঠিক কর্মবাচ্য: “বই আমার দ্বারা পড়া হয়েছে।”
বাচ্য পরিবর্তনের সময় ক্রিয়ার মূল অর্থ (action/কর্মের ভাব) এবং ক্রিয়ার কাল পরিবর্তিত হয় না।
ব্যাখ্যা:
বাচ্য পরিবর্তন (কর্তৃবাচ্য ↔ কর্মবাচ্য ↔ ভাববাচ্য) মূলত কর্তা ও কর্মের অবস্থান ও প্রকাশের ধরন পরিবর্তন করে।
ক্রিয়ার ধরন, সময়, কাল বা অর্থ সাধারণত অপরিবর্তিত থাকে।
উদাহরণ:
1. কর্তৃবাচ্য: ‘দস্যুদল গৃহটি লুণ্ঠন করেছে।’
2. কর্মবাচ্য: ‘গৃহটি দস্যুদলের দ্বারা লুণ্ঠিত হয়েছে।’
এখানে ‘লুণ্ঠন করা’ অর্থ পরিবর্তিত হয়নি।
কর্মবাচ্যে কর্তার সঙ্গে সাধারণত নিম্নলিখিত অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়:
“দ্বারা”, “দ্বারা কর্তৃক”, “হতে”, “দ্বারা দ্বারা” ইত্যাদি।
কর্মবাচ্যে কাজের ওপর জোর থাকে। কর্তা সরাসরি প্রকাশিত হয় না, বরং এই ধরনের অনুসর্গের মাধ্যমে নির্দেশিত হয়।
উদাহরণ:

কর্তৃবাচ্য: ‘দস্যুদল গৃহটি লুণ্ঠন করেছে।’
কর্মবাচ্য: ‘গৃহটি দস্যুদলের দ্বারা লুণ্ঠিত হয়েছে।’
কর্তৃবাচ্যের কর্তায় সাধারণত প্রথম বা শূন্য বিভক্তি যুক্ত হয়, যা হলো কারক বিভক্তি “প্রথমে” বা ‘কর্তা’ রূপে সরাসরি নাম/সর্বনাম।
ব্যাখ্যা:
কর্তৃবাচ্যে কর্তা সরাসরি বাক্যের শুরুতে বা উপযুক্ত স্থানে থাকে এবং তাকে কোনো বিশেষ অনুসর্গ বা মাধ্যম ছাড়া প্রকাশ করা হয়।
উদাহরণ:
কর্তৃবাচ্য: “দস্যুদল গৃহটি লুণ্ঠন করেছে।”
এখানে “দস্যুদল” = কর্তা, সরাসরি নাম + প্রথাগত (প্রথম) বিভক্তি।
- কর্তৃবাচ্য হলো এমন বাচ্য যেখানে কর্তা (যে কাজটি করে) স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে এবং ক্রিয়ার রূপ কর্তার অনুসারী হয়।

প্রদত্ত বাক্য "একটু বাইরে বেরিয়ে আসা যাক"  যেখানে কর্তা "আমরা" অনুক্ত থাকলেও বোঝা যায়। এর কর্তৃবাচ্যের সঠিক রূপ হবে:

A) "আমরা একটু বাইরে বেড়িয়ে আসি।"

এখানে "আমরা" কর্তা হিসেবে স্পষ্ট, এবং ক্রিয়া "আসি" কর্তার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
- অজীব বিশেষ্য কর্তা বলতে আমরা বুঝি এমন কোনো নিরেট বা প্রাণহীন বস্তু, যা বাক্যে কর্তার ভূমিকা পালন করে।

- B) "ফ্যানটা অনেক জোরে ঘুরছে।"
এখানে "ফ্যান" একটি অজীব বিশেষ্য (প্রাণহীন বস্তু), যা কর্তা হিসেবে কাজ করছে এবং ক্রিয়া "ঘুরছে"-এর সাথে যুক্ত হয়েছে।
- যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয়, তাকে ভাববাচ্য বলে।

যেমন: 
- কোথায় থাকা হয়।
- রামের খাওয়া হয়েছে।
- আমাকে যেতে হবে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- ভাববাচ্যঃ যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যের ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয়, তাকে ভাববাচ্য বলে।
- ভাববাচ্যের বৈশিষ্ঠ্যঃ ভাববাচ্যে ক্রিয়া সর্বদা নাম পুরুষের হয়।
- ভাববাচ্যের কর্তায় ষষ্ঠী, দ্বিতীয়া অথবা তৃতীয় বিভক্তি প্রযুক্ত হয়।
যেমন: 
- এবার ওঠা যাক।
- রামের খাওয়া হয়েছে।
- আমাকে যেতে হবে।
- বাক্যের বিভিন্ন ধরনের প্রকাশভঙ্গিকে বাচ্য বলে।
- বাচ্য প্রধানত তিন প্রকার।
- যথা: কর্তৃবাচ্য, কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্য।

- যে বাক্যে কর্মের সাথে ক্রিয়ার সম্বন্ধ প্রধানভাবে প্রকাশিত হয়, তাকে কর্মবাচ্য বলে।
যেমন:
- বিদ্বান সকলের দ্বারা সমাদৃত হন।
- আমার ভাত খাওয়া হয়েছে।
- শিকারী কর্তৃক ব্যাঘ্র নিহত হয়েছে।

- বাক্যে কর্তার প্রাধান্য রক্ষিত হলে তাকে কর্তৃবাচ্য বলে।
যেমন: 
- ছাত্ররা বাংলা পড়ছে।
- শিক্ষক ছাত্রদের পড়ান।
- রোগী পথ্য সেবন করে

- যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয়, তাকে ভাববাচ্য বলে।

যেমন: 
- কোথায় থাকা হয়।
- রামের খাওয়া হয়েছে।
- আমাকে যেতে হবে।
- বাক্যে কর্তার প্রাধান্য রক্ষিত হলে তাকে কর্তৃবাচ্য বলে।
- কর্তৃবাচ্য সেই বাচ্য যেখানে কর্তার প্রাধান্য থাকে এবং ক্রিয়াপদ কর্তার অনুসারী হয়।
- কর্মকর্তৃবাচ্য সেই বাচ্য যেখানে কর্তার উল্লেখ থাকে না এবং কর্ম বা বস্তুটি কর্তার মতো কাজ করে।
- এখানে "প্রদীপ" কর্তার মতো কাজ করছে, অর্থাৎ প্রদীপ নিজে থেকেই জ্বলছে বলে বোঝানো হয়েছে।
- বাক্যে কর্তার সরাসরি উল্লেখ নেই এবং ক্রিয়া (জ্বলে) কর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত।
- তাই, এই বাক্যটি কর্মকর্তৃবাচ্যের উদাহরণ।
- বাক্যে কর্তার প্রাধান্য রক্ষিত হলে তাকে কর্তৃবাচ্য বলে।
- কর্তৃবাচ্য সেই বাচ্য যেখানে কর্তার প্রাধান্য থাকে এবং ক্রিয়াপদ কর্তার অনুসারী হয়।
- এখানে "কেউ" হলো কর্তা এবং "শাঁখ বাজাচ্ছে" হলো ক্রিয়া।
- কর্তা "কেউ" সরাসরি ক্রিয়ার কাজটি করছে, অর্থাৎ শাঁখ বাজানোর কাজটি কর্তার দ্বারা সম্পন্ন হচ্ছে।
- তাই এটি কর্তৃবাচ্যের উদাহরণ।
- সক্রিয় বাক্য: যেসব বাক্যের বিধেয় অংশে ক্রিয়া থাকে, সেগুলোকে সক্রিয় বাক্য বলে। যেমন: আমার মা চাকরি করেন।

- অক্রিয় বাক্য: যেসব বাক্যের বিধেয় অংশে ক্রিয়া থাকে না, সগুলোকে অক্রিয় বাক্য বলে। যেমন- তিনি বাংলাদেশের নাগরিক।


- যে বাক্যে কর্মপদই কর্তৃস্থানীয় হয়ে বাক্য গঠন করে, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্যের বাক্য বলা হয়।
- যেমন- কাজটা ভালো দেখায় না; বাঁশি বাজে এ মধুর লগনে; পাখি ডাকে; ফুল ফোটে
যে বাক্যে কর্মপদই কর্তস্থানীয় হয়ে বাক্য গঠন করে, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্যের বাক্য বলা হয়।
যেমনঃ 
 - কাজটা ভালো দেখায় না, 
 - বাঁশি বাজে এই মধুর লগনে।
 - সুতি কাপড় অনেক দিন টেকে।

যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয় ,তাকে ভাববাচ্য বলে । এ বাচ্যে ক্রিয়া সর্বদাই নাম পুরুষের হয়ে থাকে । 
যেমন:  
- তোমাকেই ঢাকা যেতে হবে। প্রদত্ত বাক্যে 'যেতে হবে ' হল নাম পুরুষের ক্রিয়া এবং অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয়েছে ।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
• যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয় তাকে ভাববাচ্য বলে।
• যেমন- ডিঙি টেনে বের করতে হবে।
ভাববাচ্যঃ যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যের ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয়, তাকে ভাববাচ্য বলে। 
ভাববাচ্যের বৈশিষ্ঠ্যঃ - ভাববাচ্যে ক্রিয়া সর্বদা নাম পুরুষের হয়। 
ভাববাচ্যের কর্তায় ষষ্ঠী, দ্বিতীয়া অথবা তৃতীয় বিভক্তি প্রযুক্ত হয়।
বাবার শরীর খারাপ, শোওয়া হয়নি। (কর্তায় ষষ্ঠী)

• ভাববাচ্য:
যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয় তাকে ভাববাচ্য বলে।

১. ভাববাচ্যের ক্রিয়া সর্বদাই নাম পুরুষের হয়। ভাববাচ্যের কর্তায় ষষ্ঠী, দ্বিতীয়া অথবা তৃতীয়া বিভক্তি প্রযুক্ত হয়।
যেমন-
(ক) আমার (কর্তায় ষষ্ঠী) খাওয়া হলো না। (নাম পুরুষের ক্রিয়া)
(খ) আমাকে (কর্তায় দ্বিতীয়া) এখন যেতে হবে। (নাম পুরুষের ক্রিয়া)
(গ) তোমার দ্বারা (কর্তায় তৃতীয়) এ কাজ হবে না। (নাম পুরুষের ক্রিয়া)

২. কখনো কখনো ভাববাচ্যে কর্তা উহ্য থাকে, কর্ম দ্বারাই ভাববাচ্য গঠিত হয়।
যেমন-
- এ পথে চলা যায় না।
- এবার ট্রেনে ওঠা যাক।
- তবে যাওয়া হোক।
- কোথা থেকে আসা হচ্ছে?

৩. মূল ক্রিয়ার সঙ্গে সহযোগী ক্রিয়ার সংযোগ ও বিভিন্ন অর্থে ভাববাচ্যের ক্রিয়া গঠিত হয়।
যেমন-
- এ ব্যাপারে আমাকে দায়ী করা চলে না।
- এ রাস্তা আমার চেনা নেই।

---------------------
অন্যদিকে,
• কর্মবাচ্য:
যে বাক্যে কর্মের সাথে ক্রিয়ার সম্বন্ধ প্রধানভাবে প্রকাশিত হয়, তাকে কর্মবাচ্য বলে।
যেমন:
- শিকারি কর্তৃক ব্যাঘ্র নিহত হয়েছে।
- চোরটা ধরা পড়েছে।

------------------
• কর্তৃবাচ্য:
যে বাক্যে কর্তার অর্থ-প্রাধান্য রক্ষিত হয় এবং ক্রিয়াপদ কর্তার অনুসারী হয়, তাকে কর্তৃবাচ্যের বাক্য বলে।

• কর্তৃবাচ্যে কর্তায় প্রথমা বা শূন্য বিভক্তি এবং কর্মে দ্বিতীয়া, ষষ্ঠী বা শূন্য বিভক্তি হয়।
যথা -
- শিক্ষক ছাত্রদের পড়ান।
- রোগী পথ্য সেবন করে।
- একদিন তো মরবই।
- তা বিশেষ ক্ষতি করে না।

উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ এবং বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।




- যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয়, তাকে ভাববাচ্য বলে।
যেমন:
- তোমাকে হাঁটতে হবে
- তার যেন সেখানে যাওয়া হয়।
- সেঁজুতির ঘুমানো হলো না।
- আমার খাওয়া হল না।
- কোথা থেকে আসা হলো।
যে বাক্যে কর্মের সাথে ক্রিয়ার সম্পর্ক প্রধানভাবে প্রকাশিত হয় ,তাকে কর্মবাচ্য বলে ।এ বাচ্যে কর্তায় তৃতীয়া বিভক্তি ব্যবহৃত হয়।
যেমনঃ
-আলেকজান্ডার কর্তৃক পারস্য দেশ বিজিত হয় ।
- রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক গীতাঞ্জলি লিখিত হয়েছে ।
- নজরুল কর্তৃক অগ্নিবীণা রচিত হয়েছে ।
-যে বাক্যে কর্মপদই কর্তৃস্থানীয় হয়ে বাক্য গঠন করে, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্যের বাক্য বলা হয়।
যেমন- কাজটা ভালো দেখায় না; বাঁশি বাজে এ মধুর লগনে; পাখি ডাকে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
ভাববাচ্যঃ
যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয় তাকে ভাববাচ্য বলে।
যেমন -
- আমার খাওয়া হলো না।
- আমাকে এখন যেতে হবে।
- এ পথে চলা যায় না।
- এ রাস্তা আমার চেনা নেই।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0