Loading [MathJax]/extensions/tex2jax.js
 
বাচ্য (91 টি প্রশ্ন )
- বাক্যে কর্তার প্রাধান্য রক্ষিত হলে তাকে কর্তৃবাচ্য বলে।
- কর্তৃবাচ্য সেই বাচ্য যেখানে কর্তার প্রাধান্য থাকে এবং ক্রিয়াপদ কর্তার অনুসারী হয়।
- কর্মকর্তৃবাচ্য সেই বাচ্য যেখানে কর্তার উল্লেখ থাকে না এবং কর্ম বা বস্তুটি কর্তার মতো কাজ করে।
- এখানে "প্রদীপ" কর্তার মতো কাজ করছে, অর্থাৎ প্রদীপ নিজে থেকেই জ্বলছে বলে বোঝানো হয়েছে।
- বাক্যে কর্তার সরাসরি উল্লেখ নেই এবং ক্রিয়া (জ্বলে) কর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত।
- তাই, এই বাক্যটি কর্মকর্তৃবাচ্যের উদাহরণ।
- বাক্যে কর্তার প্রাধান্য রক্ষিত হলে তাকে কর্তৃবাচ্য বলে।
- কর্তৃবাচ্য সেই বাচ্য যেখানে কর্তার প্রাধান্য থাকে এবং ক্রিয়াপদ কর্তার অনুসারী হয়।
- এখানে "কেউ" হলো কর্তা এবং "শাঁখ বাজাচ্ছে" হলো ক্রিয়া।
- কর্তা "কেউ" সরাসরি ক্রিয়ার কাজটি করছে, অর্থাৎ শাঁখ বাজানোর কাজটি কর্তার দ্বারা সম্পন্ন হচ্ছে।
- তাই এটি কর্তৃবাচ্যের উদাহরণ।
- প্রশ্নবোধক, অনুজ্ঞাসূচক ও আবেগসূচক প্রত্যক্ষ উক্তি পরোক্ষ উক্তিতে পরিবর্তন করতে হলে প্রধান খণ্ডবাক্যের ক্রিয়াকে ভাব অনুসারে পরিবর্তন করতে হয়।
প্রত্যক্ষ উক্তি: শিক্ষক বললেন, "তোমরা ছুটি চাও?"
পরোক্ষ উক্তি: আমাদের ছুটি চাই কিনা শিক্ষক তা জিজ্ঞেস করলেন।
‘এটা’ এর পরোক্ষ উক্তি - ওটা/সেটা
‘ইহা’ এর পরোক্ষ উক্তি - তাহা/ উহা
‘এই’ এর পরোক্ষ উক্তি - সেই
'গতকাল' এর পরোক্ষ উক্তি - আগের দিন
'আগামীকাল' এর পরোক্ষ উক্তি - পরদিন


• প্রত্যক্ষ উক্তিতে বক্তার বক্তব্যটুকু উদ্ধরণচিহ্নের (“ ”) অন্তর্ভুক্ত থাকে।
• পরোক্ষ উক্তিতে উদ্ধরণ চিহ্ন লোপ পায়।
• প্রথম উদ্ধরণ চিহ্ন স্থানে ‘যে’ এই সংযোজক অব্যয়টি ব্যবহার করতে হয়।
• বাক্যের সঙ্গতি রক্ষার জন্য উক্তিতে ব্যবহৃত বক্তার পুরুষের পরিবর্তন করতে হয়।
• যেমন- পরোক্ষ উক্তি: ‘বাবা ছেলের দীর্ঘায়ু কামনা করলেন’ প্রত্যক্ষ উক্তি: বাবা ছেলেকে বললেন, ‘তুমি দীর্ঘজীবী হও’।
• বাক্যের অর্থ-সঙ্গতি রক্ষার জন্য সর্বনামের পরিবর্তন করতে হয়।
• যেমন-প্রত্যক্ষ উক্তি: রশিদ বলল, “আমার ভাই আজই ঢাকা যাচ্ছেন।” পরোক্ষ উক্ত: রশিদ বলল যে, তার ভাই সেদিনই ঢাকা যাচ্ছিলেন।


ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
কোনো কথকের বাককর্মের নামই উক্তি। উক্তি দুই প্রকার। যথা: প্রত্যক্ষ উক্তি ও পরোক্ষ উক্তি। প্রত্যক্ষ উক্তির বাক্যের সর্বনাম এবং কালসূচক শব্দের পরোক্ষ উক্তিতে নিম্নলিখিত পরিবর্তন সংঘটিত হয়। যেমনঃ
গতকাল - আগের দিন
গত কাল্য- পূর্ব দিন
আগামীকাল - পরদিন 



যে বাক্যে কর্মপদই কর্তস্থানীয় হয়ে বাক্য গঠন করে, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্যের বাক্য বলা হয়।
যেমনঃ 
 - কাজটা ভালো দেখায় না, 
 - বাঁশি বাজে এই মধুর লগনে।
 - সুতি কাপড় অনেক দিন টেকে।

যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয় ,তাকে ভাববাচ্য বলে । এ বাচ্যে ক্রিয়া সর্বদাই নাম পুরুষের হয়ে থাকে । 
যেমন:  
- তোমাকেই ঢাকা যেতে হবে। প্রদত্ত বাক্যে 'যেতে হবে ' হল নাম পুরুষের ক্রিয়া এবং অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয়েছে ।

• যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয় তাকে ভাববাচ্য বলে।
• যেমন- ডিঙি টেনে বের করতে হবে।
ভাববাচ্যঃ যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যের ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয়, তাকে ভাববাচ্য বলে। 
ভাববাচ্যের বৈশিষ্ঠ্যঃ - ভাববাচ্যে ক্রিয়া সর্বদা নাম পুরুষের হয়। 
ভাববাচ্যের কর্তায় ষষ্ঠী, দ্বিতীয়া অথবা তৃতীয় বিভক্তি প্রযুক্ত হয়।
বাবার শরীর খারাপ, শোওয়া হয়নি। (কর্তায় ষষ্ঠী)


ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন




- যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয়, তাকে ভাববাচ্য বলে।
যেমন:
- তোমাকে হাঁটতে হবে
- তার যেন সেখানে যাওয়া হয়।
- সেঁজুতির ঘুমানো হলো না।
- আমার খাওয়া হল না।
- কোথা থেকে আসা হলো।
যে বাক্যে কর্মের সাথে ক্রিয়ার সম্পর্ক প্রধানভাবে প্রকাশিত হয় ,তাকে কর্মবাচ্য বলে ।এ বাচ্যে কর্তায় তৃতীয়া বিভক্তি ব্যবহৃত হয়।
যেমনঃ
-আলেকজান্ডার কর্তৃক পারস্য দেশ বিজিত হয় ।
- রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক গীতাঞ্জলি লিখিত হয়েছে ।
- নজরুল কর্তৃক অগ্নিবীণা রচিত হয়েছে ।
ভাববাচ্যঃ
যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয় তাকে ভাববাচ্য বলে।
যেমন -
- আমার খাওয়া হলো না।
- আমাকে এখন যেতে হবে।
- এ পথে চলা যায় না।
- এ রাস্তা আমার চেনা নেই।
বাচ্যজনিত ভুলঃ কর্তৃবাচ্যে বিশেষ্য ও করা ক্রিয়ার রূপ থাকলে কর্মবাচ্যে বিশেষণ ও হওয়া ক্রিয়ার রূপ হবে।
শুদ্ধ বাক্যঃ সে আশ্চার্যান্বিত হয়েছে।
যে বাক্যে কর্তার উল্লেখ থাকে না, কর্ম পদটিই কর্তার মতো কাজ করে, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্য বলে । যেমন— ঢাক বাজে । ঘুড়ি ওড়ে । পাতা নড়ে ইত্যাদি ।
আমি অপমান হয়েছি > আমি অপমানিত হয়েছি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে তা ক্রিয়ার কর্তা । বাক্যের বাচ্য অনুসারে কর্তা ৩ প্রকার। 
যথা- 
১। কর্মবাচ্যের কর্তা, 
২। ভাব- বাচ্যের কর্তা, 
৩। কর্ম- কর্তৃবাচ্যের কর্তা। 
'আমার যাওয়া হবে না'- এখানে ভাব-বাচ্যের কর্তা ব্যবহৃত হয়েছে।

সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0