|
|
| |
|
|
|
- বাংলা ভাষায় গৃহীত আরবি শব্দসমূহ: ইনসান, ইবাদত, মর্জি, কলম, আল্লাহ, ইসলাম, ঈমান, ওযু, কোরবানী, কুরআন, কিয়ামত, জান্নাত, জাহান্নাম, তওবা, তসবি, হজ, যাকাত, হালাল, হারাম, আদালত, আলেম, ইদ, উকিল, ওজর, এজলাস, এলেম, কানুন, কলম, কিতাব, কেচ্ছা, খারিজ, গায়েব, দোয়াত, নগদ, বাকি, মহকুমা, মুন্সেফ, মোক্তার, রায়, আদমি ইত্যাদি।
ফারসি শব্দঃ - বাংলা ভাষায় আগত ফারসি শব্দগুলোকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করা যায়। - ইসলাম ধর্মসংক্রান্ত: খোদা, গুনাহ, দোজখ, নামাজ, পয়গম্বর, ফেরেশতা, বেহেশত, রোজা ইত্যাদি। - প্রশাসনিকঃ আইন, জবানবন্দি, তারিখ, দফতর, দরবার, দস্তখত, নালিশ, বাদশাহ, বান্দা, বেগম, মেথর ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
পৃথিবীর সমস্ত ভাষাকে কয়েকটি ভাষাবৃক্ষে বিভক্ত করা যায় । এ ভাষাবৃক্ষগুলোর মূলভাষার একটি ইন্দো -ইউরোপীয় । ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে ইউরোপ পর্যন্ত মধ্যবর্তী সব ভাষাকে এই ভাষাবংশের অন্তর্ভুক্ত করা হয় । - ইন্দো - ইউরোপীয় ভাষা বংশের শাখা দুইটি ।যথা -কেন্তুম ও শতম । এ দুটি শাখার উপশাখা রয়েছে ৮ টি । যথা: - গ্রিক, - - ইতালিক, - কেলটিক, - জার্মানিক, - আর্য (ইন্দো -ইরানীয় ), - বাল্টো -স্লাভিক, - আর্মেনীয় ও আলবেনীয় ।
ইউরোপীয় ভাষাগুলোকে কেন্তুম ও আর্য (ইন্দো -ইরানীর ) ভাষাগুলোকে শতম শাখা ধরা হয় । বাংলা ভাষার উদ্ভয় হয়েছে ইন্দো -ইউরোপীয় ভাষার শতম শাখা থেকে ।
|
|
| |
|
|
|
বাংলা ভাষার উপভাষাকে প্রধানত পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়।
১. রাঢ়ি (পশ্চিম ও মধ্যবঙ্গ)। ২. ঝাড়খন্ডি (দক্ষিণ পশ্চিমবঙ্গ, সিংভূম, মানভূম, পুরুলিয়া অঞ্চল)। ৩. বরেন্দ্রি (উত্তর বঙ্গ)। ৪. বঙ্গালি (পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ববঙ্গ, ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, বরিশাল)। ৫. কামরুপি (উত্তর পূর্ববঙ্গ, কোচবিহার, কাছাড়া)।
|
|
| |
|
|
|
- পাণিনি ছিলেন উপমহাদেশের বৈদিক যুগের একজন সংস্কৃত ব্যাকরণবিদ। - পাণিনি সংস্কৃত ভাষার পণ্ডিত । - তিনি খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকের সংস্কৃত ব্যাকরণের প্রণেতা। সেকারনেই তাকে বৈয়াকরণিক বলা হয়। - পাণিনি হিন্দু ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ ‘বেদ’ এর বৈদিক ভাষার সংস্কার সাধন করেন, যা সংস্কৃত ভাষা হিসেবে রূপলাভ করে। - তার রচিত বিখ্যাত ব্যাকরণ গ্রন্থের নাম- অষ্টাধ্যায়ী ।
|
|
| |
|
|
|
- ভারতীয় উপমহাদেশের আঞ্চলিক ভাষাগুলোর আদিম উৎস অনার্য ভাষা। কারণ, বাংলার আদিম অধিবাসী অনার্যদের ভাষা ছিল অস্ট্রিক। - অনার্যদের তাড়িয়ে সভ্যতায় উন্নত আর্যরা এদেশে বসবাস শুরু করলে অনার্যদের অপেক্ষাকৃত নিম্নস্তরের ভাষার সাথে আর্যদের অপেক্ষাকৃত উচ্চস্তরের ভাষার সংমিশ্রণে নতুন আর্য ভাষা রূপলাভ করে। এ আর্য ভাষা হতে বিবর্তনের মাধ্যমে বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়। - পাণিনি হিন্দু ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ ‘বেদ’ এর বৈদিক ভাষার সংস্কার সাধন করেন, যা সংস্কৃত ভাষা হিসেবে রূপলাভ করে। - সংস্কৃত ভাষা সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা ছিল না, এ ভাষা ব্রাহ্মণ পণ্ডিতরা ব্যবহার করতেন। - সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা ছিল ‘প্রাকৃত ভাষা’ । - পরবর্তীতে প্রাকৃত ভাষা থেকে ‘পালি’ ও ‘অপভ্রংশ’ নামক দুটি ভাষার উদ্ভব ঘটে। বাংলা ভাষা অপভ্রংশের নিকট ঋণী। - ‘প্রাকৃত’ ভাষার প্রকারভেদ ঘটলেও সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা প্রাকৃতই থেকে গেল। পরবর্তীতে ‘প্রাকৃত' ভাষাই ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রভাবে, কথ্য ভাষার উচ্চারণের বিভিন্নতা অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন রূপ পরিগ্রহ করল। - কালক্রমে ‘প্রাকৃত’ থেকে উৎপত্তি লাভ করে ‘বাংলা ভাষা’ ।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
- সাধারণ মানুষের মুখের ভাষাকে চলিত ভাষা বলে। - চলিত ভাষার আদর্শরূপ থেকে গৃহীত ভাষাকে বলা হয় প্রমিত ভাষা। - চলিত ভাষার অন্যতম বৈশিষ্ট্য প্রমিত উচ্চারণ। - বিশ শতকের সূচনায় কলকাতার শিক্ষিত লোকের কথ্য ভাষাকে লেখ্য রীতির আদর্শ হিসেবে চালু করার চেষ্টা হয়। - এটি তখন চলিত রীতি নামে পরিচিতি পায়। বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে চলিত রীতি সাধু রীতির জায়গা দখল করে। - ক্রমে জীবনের সব ক্ষেত্রে সাধু রীতিকে সরিয়ে চলিত রীতি আদর্শ লেখ্য রীতিতে পরিণত হয়। - একুশ শতকের সূচনাকালে এই চলিত রীতিরই নতুন নাম হয় ‘প্রমিত রীতি’ ।
|
|
| |
|
|
|
- বাংলা ভাষার প্রধান রুপ দুটি মৌখিক ও লৈখিক। - বাংলা ভাষা প্রধান বা মৌলিক রূপ দুইটি । যথা - - লৈখিক রূপ এবং মৌখিক । - লেখার রীতি ভাষার মৌলিক রীতি।
- লৈখিক রূপ কে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে । ১) সাধু, ২ ) চলিত
-মৌখিক রূপ কে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে । ১) চলিত ২) আঞ্চলিক ( উপভাষা )
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
• ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ: - লর্ড ওয়েলেসলী ১৮০০ সালে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। - ১৮০১ সালে এই কলেজে বাংলা বিভাগ খোলা হয়। - ১৮০১ সালের মে মাসে উইলিয়াম কেরী ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। - পরবর্তীতে ১৮০৫ সালের মধ্যে কলেজে মোট ১২টি অনুষদ খোলা হয়। - এই কলেজে রামরাম বসু, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার, রাজীব লোচন মুখোপাধ্যায়, তারিণীচরণ মিত্র, চণ্ডীচরণ মুন্শি, হরপ্রসাদ রায় ও গোলকনাথ শর্মা প্রমুখ পণ্ডিত শিক্ষকতা করেছিলেন।
|
|
| |
|
|
|
বাংলা ভাষার ৩টি রীতি রয়েছে।
যথা:
-১. সাধু রীতি
২. চলিত রীতি
৩. আঞ্চলিক কথ্য রীতি বা উপভাষা
চলিত রীতির বৈশিষ্ট:
- চলিত রীতি পরিবর্তনশীল অর্থাৎ সময়ের প্রবাহের কারনের চলিত রীতি পরিবর্তিত রূপ লাভ করে।
- এই রীতি তদ্ভব শব্দবহুল। এছাড়াও এতে দেশি ও বিদেশি শব্দের প্রাধান্য রয়েছে।
- চলিতরীতির লৈখিক ও মৌখিক দুটি রূপই বিদ্যমান।
- এই রীতি সহজবোধ্য, সংক্ষিপ্ত। বকৃতা, সংলাপ ও আলাপ - আলোচনার জন্য উপযোগী ।
|
|
| |
|
|
|
-বাংলা ভাষার মৌলিক রূপ ২টি। যথা: কথ্য ভাষা রীতি ও লেখ্য ভাষা রীতি।
-লেখ্য ভাষা রীতি আবার দুইভাগে বিভক্ত। যথা: সাধু রীতি ও চলিত রীতি।
-সংস্কৃত ভাষা থেকে উৎপন্ন ভাষাকে সাধু ভাষা বলে।
-সাধারণ মানুষের মুখের ভাষাকে চলিত ভাষা বলে।
-যেমন:
পার হইয়া (সাধু), পেরিয়ে (চলিত);
বন্য (সাধু), বুনো (চলিত);
জুতা (সাধু), জুতো (চলিত);
আসিয়া (সাধু), এসে (চলিত)।
|
|
| |
|
|
|
পুরাতন নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ অনুসারে, ‘বাগধারা’ বাক্যতত্ত্বের আলোচিত বিষয়। অপরদিকে, নতুন নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ অনুসারে, ‘বাগধারা’ অর্থতত্ত্বের আলোচিত বিষয়।
|
|
| |
|
|
|
ব্যাকরণের মৌলিক আলোচ্য বিষয় চারটি আলোচ্য বিষয়সমূহ নতুন বই অনুসারেঃ
ধ্বনিত্ত্ব ( Phonetics) ঃ বাগযন্ত্র, বাগযন্ত্রের উচ্চারণ-প্রক্রিয়া, ধ্বনির বিন্যাস, স্বর ও ব্যঞ্জন ধ্বনির বৈশিষ্ট্য, ধ্বনি দল প্রভৃতি ।
রূপতত্ত্ব বা শব্দতত্ত্ব (Morphology) ঃ শব্দ ও তার উপাদান, বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়া, ক্রিয়াবিশেষণ, শব্দ নির্মাণ ও পদনির্মাণ প্রক্রিয়া প্রভৃতি।
বাক্যতত্ত্ব বা পদক্রম (syntax) ঃ বাক্য, বাক্যের নির্মাণ, গঠন, বাক্য রূপান্তর, বাক্যের বাচ্য, উক্তি, কারক বিশ্লেষণ, বাক্যের যোগ্যতা, বাক্যের উপাদান লোপ, যতিচিহ্ন প্রভৃতি।
অর্থতত্ত্ব বা বাগাৰ্থতত্ত্ব (semantics) ঃ শব্দ, বর্গ ও বাক্যের অর্থ, বিপরীত শব্দ, প্রতিশব্দ, শব্দকে বাগধারা, শব্দ, বর্গ ও বাক্যের ব্যঞ্জনা প্রভৃতি ।
|
|
| |
|
|
|
বাংলা ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় : 4টি
ক. ধ্বনিতত্ত্ব (Phonology): বর্ণ, সন্ধি, ণ-ত্ব বিধান, ষ-ত্ব বিধান, ধ্বনি পরিবর্তন ও লোপ, বর্ণের বিন্যাস।
খ. শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব (Morphology): শব্দ, লিঙ্গ, সমাস, বচন, ধাতু, সংখ্যাবাচক পদ, পদাশ্রিত নির্দেশক, দ্বিরুক্তি, ক্রিয়া, কাল, পুরুষ, উপসর্গ,
পদ, প্রকৃতি ও প্রত্যয়।
গ. বাক্যতত্ত্ব (Syntax): যতিচিহ্ন, বাগধারা, কারক বিশ্লেষণ, বাক্যের যোগ্যতা, বাক্যের উপাদান লোপ, পদক্রম, বাচ্য, উক্তি ও বাক্য সংক্রান্ত সকল বিষয়, পদের রূপ পরিবর্তন, বাক্যতত্ত্ব।
ঘ. অর্থতত্ত্ব (Semantic): বাক্যের অর্থবিচার, বিপরীতার্থক, মুখ্যার্থ ও গৌণার্থ।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
ধ্বনিতত্ত্বে আলোচিত হয়ঃ সন্ধি, ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান, ধ্বনির পরিবর্তন, ধ্বনির উচ্চারণবিধি।
শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্বে আলোচিত হয়ঃ সমাস, প্রকৃতি-প্রত্যয়, উপসর্গ, বচন, পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ, দ্বিরুক্ত শব্দ, সংখ্যাবাচক শব্দ, পদাশ্রিত নির্দেশক, ধাতু, শব্দের শ্রেণীবিভাগ।
|
|
| |
|
|
|
'সন্ধি' হলো ধ্বনিতত্ত্বের একটি আলোচ্য বিষয়। তাই ধ্বনির পরিবর্তন, ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন, ধ্বনির উচ্চারণে সহজপ্রবণতা ইত্যাদি সন্ধির মাধ্যমে সম্পাদিত হয়।
|
|
| |
|
|
|
- ‘ব্যাকরণ' শব্দটি সংস্কৃত থেকে এসেছে। - 'ব্যাকরণ' (বি+আ+√কৃ+অন) শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বিশেষভাবে বিশ্লেষণ। - ভাষার অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা আবিষ্কারের নামই ব্যাকরণ। - ব্যাকরণের সার্বিক আলোচ্য বিষয় ৬টি। - যথা:ধ্বনিতত্ত্ব, শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব, বাক্যতত্ত্ব, ছন্দ ও অলঙ্কার প্রকরণ; বাগর্থ বিজ্ঞান বা অর্থতত্ত্ব ও অভিধানতত্ত্ব। - তবে পৃথিবীর সকল ভাষার ব্যাকরণে চারটি বিষয় আলোচিত হয়। - যথা: ধ্বনিতত্ত্ব, শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব, অর্থতত্ত্ব ও বাক্যতত্ত্ব বা পদক্রম।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
- বাংলা ভাষার পূর্বি উপভাষাটি ত্রিপুরা, আসামের বরাক অঞ্চল, এবং বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে প্রচলিত। এই উপভাষাটিতে ত্রিপুরা, বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল, এবং আসামের বরাক অঞ্চল এই তিনটি অঞ্চলের ভাষার বৈশিষ্ট্যগুলি লক্ষ্য করা যায়। - অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, এবং ঝাড়খণ্ড এই তিনটি অঞ্চলে পশ্চিমা উপভাষাটি প্রচলিত। - সুতরাং, পূর্বি উপভাষাটি ত্রিপুরা অঞ্চলের উপভাষা।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
| |
|