ভাষা (310 টি প্রশ্ন )
- ভাষাতাত্ত্বিক বিচারে বাংলা, অহমিয়া (অসমিয়া) এবং ওড়িয়া—এই তিনটি ভাষার উৎস একই, যা মাগধী প্রাকৃত থেকে সৃষ্ট।
- এই ভাষাগুলো পূর্ব-মাগধী ভাষা-গোষ্ঠীর অন্তর্গত এবং এদের শব্দভান্ডার, বাক্য গঠন ও ধ্বনিতত্ত্বের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে।
- একারণে অহমিয়া ও ওড়িয়াকে বাংলা ভাষার সবচেয়ে নিকটতম আত্মীয় ভাষা হিসেবে গণ্য করা হয়।
- সাধু ও চলিতরীতি বাংলা ভাষার দুইটি রূপ। সাধু রীতিতে শব্দ ও বাক্য গঠন কিছুটা পুরাতন ও গম্ভীর, আর চলিতরীতি সাধারণ কথ্য ভাষার কাছাকাছি।
- কিছু শব্দ আছে যেগুলো সাধু ও চলিত উভয় রীতিতেই অপরিবর্তিত থাকে, অর্থাৎ রূপান্তরিত হয় না।
- "যাও" শব্দটি সাধু ও চলিত উভয় রীতিতেই একইভাবে ব্যবহৃত হয়।

উদাহরণ:
সাধু: তুমি এখনই যাও।
চলিত: তুমি এখনই যাও।
বাংলা ভাষা হলো বাঙালি জাতির মনের ভাব প্রকাশের প্রধান মাধ্যম। এই ভাষায় কথা বলে প্রায় ৩০ কোটি মানুষ, যার মধ্যে বাংলাদেশে প্রায় ১৬ কোটি এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ১০ কোটি মানুষ বাংলা ভাষাভাষী।

বিশ্বের ভাষাগুলিকে বৈজ্ঞানিকভাবে বিভিন্ন ভাষা-পরিবারে ভাগ করা হয়েছে। বাংলা ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-পরিবারের অন্তর্ভুক্ত, যেমন ইংরেজি, ফরাসি, হিন্দি, উর্দু, ফারসি, ইত্যাদি।

বাংলা ভাষার নিকটতম আত্মীয় ভাষা হিসেবে গণ্য করা হয় অহমিয়া (অসমীয়া) এবং ওড়িয়া ভাষাকে। তবে বাংলা ভাষার গভীরতম শিকড় নিহিত আছে ধ্রুপদি সংস্কৃত এবং পালি ভাষায়।

- সংস্কৃত থেকে বাংলায় বহু শব্দ, বাক্যগঠন এবং ব্যাকরণগত রীতি এসেছে।
- পালি ভাষাও প্রাচীন ভারতে প্রচলিত ছিল এবং বাংলা ভাষার শব্দভান্ডার ও কাঠামো গঠনে প্রভাব রেখেছে।

অতএব, বাংলা ভাষার সঙ্গে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে সংস্কৃত ও পালি ভাষার সঙ্গে। অন্য বিকল্পগুলো (যেমন: আরবি, ফারসি, হিন্দি, উর্দু) বাংলা ভাষার ওপর প্রভাব ফেলেছে ঠিকই, তবে তারা ‘ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক’ এর স্তরে নয়।
সাধু ভাষারীতি হলো বাংলা ভাষার একটি প্রাচীন ও শুদ্ধ ভাষারূপ, যা মূলত লেখ্যরূপে ব্যবহৃত হয়। এই ভাষারীতির কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে:

রূপ অপরিবর্তনীয়:
সাধু ভাষার গঠন কাঠামো সময় ও অঞ্চলভেদে পরিবর্তিত হয় না। এটি স্থির ও নিয়মমাফিক।

ব্যাকরণভিত্তিক:
সাধু ভাষা ব্যাকরণের কঠোর নিয়ম মেনে চলে এবং এর পদবিন্যাস অত্যন্ত সুনিয়ন্ত্রিত।

তৎসম শব্দের আধিক্য:
এই ভাষারীতিতে সংস্কৃত ও তৎসম শব্দ বেশি ব্যবহৃত হয়, যা একে আভিজাত্য ও গাম্ভীর্য দেয়।

শুধু লেখায় ব্যবহারযোগ্য:
সাধু ভাষা সাধারণত লেখালেখির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় — যেমন গল্প, প্রবন্ধ, প্রাচীন সাহিত্য, ধর্মীয় গ্রন্থ ইত্যাদিতে। এটি দৈনন্দিন কথাবার্তা, বক্তৃতা বা নাটকের সংলাপে ব্যবহার উপযোগী নয়।

পূর্ণরূপ ব্যবহার:
সাধু ভাষায় সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয় — যেমন: “তিনি বলিলেন”, “তাহার কথা শুনিয়া” ইত্যাদি।
রূপতত্ত্ব:
- রূপতত্ত্বে শব্দ ও তার উপাদান নিয়ে আলোচনা করা হয়।
- এই আলোচনায় পদ প্রকরণ যেমন: বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়া, ক্রিয়াবিশেষণ ইত্যাদি স্থান পায়।
- বিশেষ গুরুত্ব পায় শব্দগঠন প্রক্রিয়া।
- ক্রিয়ারকাল ও পুরুষ এ অংশে আলোচিত হয়।

ধ্বনিতত্ত্ব:
- ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় ধ্বনি।
- লিখিত ভাষায় ধ্বনিকে যেহেতু বর্ণ দিয়ে প্রকাশ করা হয়, তাই বর্ণমালা সংক্রান্ত আলোচনা এর অন্তর্ভুক্ত।
- ধ্বনিতত্ত্বের মূল আলোচ্য সন্ধি বাগ্যন্ত্র, বাগ্যন্ত্রের উচ্চারণ-প্রক্রিয়া, ধ্বনির বিন্যাস, স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য, ধ্বনিদল প্রভৃতি।

বাক্যতত্ত্ব:
- বাক্যতত্ত্বে বাক্য নিয়ে আলোচনা করা হয়।
- বাক্যের নির্মাণ এবং এর গঠন বাক্যতত্ত্বের মূল আলোচ্য।
- বাক্যের মধ্যে পদ ও বর্গ কীভাবে বিন্যস্ত থাকে, বাক্যতত্ত্বে তা বর্ণনা করা হয়।
- এছাড়া এক ধরনের বাক্যকে অন্য ধরনের বাক্যে রূপান্তর, বাক্যের বাচ্য, উক্তি ইত্যাদি বাক্যতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।
- কারক বিশ্লেষণ, বাক্যের যোগ্যতা, বাক্যের উপাদান লোপ, যতিচিহ্ন প্রভৃতিও বাক্যতত্ত্বে আলোচিত হয়ে থাকে।

অর্থতত্ত্ব:
- ব্যাকরণের যে অংশে শব্দ, বর্গ ও বাক্যের অর্থ নিয়ে আলোচনা করা হয়, সেই অংশের নাম অর্থতত্ত্ব। একে বাগর্থতত্ত্বও বলা হয়।
- বিপরীত শব্দ,
- প্রতিশব্দ,
- শব্দজোড়,
- বাগ্ধারা প্রভৃতি বিষয় অর্থতত্ত্বের অন্তর্ভুক্ত।
এছাড়া শব্দ, বর্গ ও বাক্যের ব্যঞ্জনা নিয়েও ব্যাকরণের এই অংশে আলোচনা থাকে।
- ধ্বনি নির্দেশক প্রতীক বা চিহ্নকে বলা হয় বর্ণ বা অক্ষর ।
- ভাষার ক্ষুদ্রতম একককে বলা হয় ধবনি ।
- অপরদিকে বাক্যের মৌলিক উপাদান শব্দ ।
• প্রমিত রীতি/চলিত ভাষা:
- সাধারণ মানুষের মুখের ভাষাকে চলিত ভাষা বলে। চলিত, ভাষার আদর্শরূপ থেকে গৃহীত ভাষাকে বলা হয় প্রমিত ভাষা।
- বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে চলিত রীতি সাধু রীতির জায়গা দখল করে। ক্রমে জীবনের সব ক্ষেত্রে সাধু রীতিকে সরিয়ে চলিত রীতি আদর্শ লেখ্য রীতিতে পরিণত হয়।
- একুশ শতকের সূচনাকালে এই চলিত রীতিরই নতুন নাম হয় 'প্রমিত রীতি'। এটি 'মান রীতি' নামেও পরিচিত।
- চলিত ভাষা রীতির প্রবর্তনে প্রমথ চৌধুরীর অবদান অনস্বীকার্য।

“সে আসিবে বলিয়া ভরসাও করিতেছি না।” — এই বাক্যটি সাধু রীতি অনুযায়ী গঠিত। এখানে "সে" একটি একবচন, অনুজ শ্রেণির (অথবা সমকক্ষ) পুরুষ বা নারী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে।

"আসিবে" — এটি তৃতীয় পুরুষ, একবচন, ভবিষ্যৎকাল, সাধারণ সম্মানসূচক (বা অনুজ/সমকক্ষ)।
"আসিবেন" — এটি তৃতীয় পুরুষ, একবচন, সম্মানসূচক রূপ (যেমন “তিনি” বা “বাবা” ইত্যাদি ব্যক্তি বোঝালে)।

অনেক সময় পরীক্ষা 'স' এর পরিবর্তে 'তিনি' থাকে এই ক্ষেত্রে 'আসিবেন' হবে। 



ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- বাংলা ভাষায় গৃহীত আরবি শব্দসমূহ: ইনসান, ইবাদত, মর্জি, কলম, আল্লাহ, ইসলাম, ঈমান, ওযু, কোরবানী, কুরআন, কিয়ামত, জান্নাত, জাহান্নাম, তওবা, তসবি, হজ, যাকাত, হালাল, হারাম, আদালত, আলেম, ইদ, উকিল, ওজর, এজলাস, এলেম, কানুন, কলম, কিতাব, কেচ্ছা, খারিজ, গায়েব, দোয়াত, নগদ, বাকি, মহকুমা, মুন্সেফ, মোক্তার, রায়, আদমি ইত্যাদি।

ফারসি শব্দঃ
- বাংলা ভাষায় আগত ফারসি শব্দগুলোকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করা যায়।
- ইসলাম ধর্মসংক্রান্ত: খোদা, গুনাহ, দোজখ, নামাজ, পয়গম্বর, ফেরেশতা, বেহেশত, রোজা ইত্যাদি।
- প্রশাসনিকঃ আইন, জবানবন্দি, তারিখ, দফতর, দরবার, দস্তখত, নালিশ, বাদশাহ, বান্দা, বেগম, মেথর ইত্যাদি।
পৃথিবীর সমস্ত ভাষাকে কয়েকটি ভাষাবৃক্ষে বিভক্ত করা যায় । এ ভাষাবৃক্ষগুলোর মূলভাষার একটি ইন্দো -ইউরোপীয় । ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে ইউরোপ পর্যন্ত মধ্যবর্তী সব ভাষাকে এই ভাষাবংশের অন্তর্ভুক্ত করা হয় ।
- ইন্দো - ইউরোপীয় ভাষা বংশের শাখা দুইটি ।যথা -কেন্তুম ও শতম ।
এ দুটি শাখার উপশাখা রয়েছে ৮ টি । যথা:
- গ্রিক, -
- ইতালিক,
- কেলটিক,
- জার্মানিক,
- আর্য (ইন্দো -ইরানীয় ),
- বাল্টো -স্লাভিক,
- আর্মেনীয় ও আলবেনীয় ।

ইউরোপীয় ভাষাগুলোকে কেন্তুম ও আর্য (ইন্দো -ইরানীর ) ভাষাগুলোকে শতম শাখা ধরা হয় । বাংলা ভাষার উদ্ভয় হয়েছে ইন্দো -ইউরোপীয় ভাষার শতম শাখা থেকে ।

বাংলা ভাষার উপভাষাকে প্রধানত পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়। 

১. রাঢ়ি (পশ্চিম ও মধ্যবঙ্গ)। 
২. ঝাড়খন্ডি (দক্ষিণ পশ্চিমবঙ্গ, সিংভূম, মানভূম, পুরুলিয়া অঞ্চল)। 
৩. বরেন্দ্রি (উত্তর বঙ্গ)।
৪. বঙ্গালি (পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ববঙ্গ, ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, বরিশাল)। 
৫. কামরুপি (উত্তর পূর্ববঙ্গ, কোচবিহার, কাছাড়া)।


- পাণিনি ছিলেন উপমহাদেশের বৈদিক যুগের একজন সংস্কৃত ব্যাকরণবিদ।
- পাণিনি সংস্কৃত ভাষার পণ্ডিত ।
- তিনি খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকের সংস্কৃত ব্যাকরণের প্রণেতা। সেকারনেই তাকে বৈয়াকরণিক বলা হয়।
- পাণিনি হিন্দু ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ ‘বেদ’ এর বৈদিক ভাষার সংস্কার সাধন করেন, যা সংস্কৃত ভাষা হিসেবে রূপলাভ করে।
- তার রচিত বিখ্যাত ব্যাকরণ গ্রন্থের নাম- অষ্টাধ্যায়ী ।
- ভারতীয় উপমহাদেশের আঞ্চলিক ভাষাগুলোর আদিম উৎস অনার্য ভাষা। কারণ, বাংলার আদিম অধিবাসী অনার্যদের ভাষা ছিল অস্ট্রিক।
- অনার্যদের তাড়িয়ে সভ্যতায় উন্নত আর্যরা এদেশে বসবাস শুরু করলে অনার্যদের অপেক্ষাকৃত নিম্নস্তরের ভাষার সাথে আর্যদের অপেক্ষাকৃত উচ্চস্তরের ভাষার সংমিশ্রণে নতুন আর্য ভাষা রূপলাভ করে। এ আর্য ভাষা হতে বিবর্তনের মাধ্যমে বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়।
- পাণিনি হিন্দু ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ ‘বেদ’ এর বৈদিক ভাষার সংস্কার সাধন করেন, যা সংস্কৃত ভাষা হিসেবে রূপলাভ করে।
- সংস্কৃত ভাষা সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা ছিল না, এ ভাষা ব্রাহ্মণ পণ্ডিতরা ব্যবহার করতেন।
- সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা ছিল ‘প্রাকৃত ভাষা’ ।
- পরবর্তীতে প্রাকৃত ভাষা থেকে ‘পালি’ ও ‘অপভ্রংশ’ নামক দুটি ভাষার উদ্ভব ঘটে। বাংলা ভাষা অপভ্রংশের নিকট ঋণী।
- ‘প্রাকৃত’ ভাষার প্রকারভেদ ঘটলেও সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা প্রাকৃতই থেকে গেল। পরবর্তীতে ‘প্রাকৃত' ভাষাই ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রভাবে, কথ্য ভাষার উচ্চারণের বিভিন্নতা অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন রূপ পরিগ্রহ করল।
- কালক্রমে ‘প্রাকৃত’ থেকে উৎপত্তি লাভ করে ‘বাংলা ভাষা’ ।
• সাধুভাষায় সর্বনাম পদ পূর্ণরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন- তাহার, তাহারা ইত্যাদি।
• চলিত রীতিতে সর্বনাম গুলাে সংকচিত রূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন- তার, তারা ইত্যাদি।

• সাধু ভাষায় ক্রিয়াপদ পূর্ণরূপে ব্যবহৃত। যেমন- করিয়া, পড়িয়া, খেলিয়া ইত্যাদি।
• চলিত ভাষায় ক্রিয়াপদ সংক্ষিপ্তভাবে ব্যবহৃত হয়। যেমন- করে, পড়ে, খেলে ইত্যাদি।
• সাধুভাষায় সর্বনাম পদ পূর্ণরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন- তাহার, তাহারা ইত্যাদি।
• চলিত রীতিতে সর্বনাম গুলাে সংকচিত রূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন- তার, তারা ইত্যাদি।

• সাধু ভাষায় ক্রিয়াপদ পূর্ণরূপে ব্যবহৃত। যেমন- করিয়া, পড়িয়া, খেলিয়া ইত্যাদি।
• চলিত ভাষায় ক্রিয়াপদ সংক্ষিপ্তভাবে ব্যবহৃত হয়। যেমন- করে, পড়ে, খেলে ইত্যাদি।
- একটি প্রবন্ধ মূলত তার বিষয়বস্তুর মাধ্যমেই পাঠকের কাছে তার বক্তব্য বা চিন্তাভাবনা পৌঁছে দেয়। - প্রবন্ধের মূল ভিত্তি হলো লেখক যে নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন, তার তথ্য, বিশ্লেষণ এবং লেখকের নিজস্ব মতামত। - একটি প্রবন্ধের মূল বাহন হলো তার বিষয়বস্তু।
- সাধারণ মানুষের মুখের ভাষাকে চলিত ভাষা বলে।
- চলিত ভাষার আদর্শরূপ থেকে গৃহীত ভাষাকে বলা হয় প্রমিত ভাষা।
- চলিত ভাষার অন্যতম বৈশিষ্ট্য প্রমিত উচ্চারণ।
- বিশ শতকের সূচনায় কলকাতার শিক্ষিত লোকের কথ্য ভাষাকে লেখ্য রীতির আদর্শ হিসেবে চালু করার চেষ্টা হয়।
- এটি তখন চলিত রীতি নামে পরিচিতি পায়। বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে চলিত রীতি সাধু রীতির জায়গা দখল করে।
- ক্রমে জীবনের সব ক্ষেত্রে সাধু রীতিকে সরিয়ে চলিত রীতি আদর্শ লেখ্য রীতিতে পরিণত হয়।
- একুশ শতকের সূচনাকালে এই চলিত রীতিরই নতুন নাম হয় ‘প্রমিত রীতি’ ।
- বাংলা ভাষার প্রধান রুপ দুটি মৌখিক ও লৈখিক।
- বাংলা ভাষা প্রধান বা মৌলিক রূপ দুইটি । যথা -
- লৈখিক রূপ এবং মৌখিক ।
- লেখার রীতি ভাষার মৌলিক রীতি।

- লৈখিক রূপ কে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে ।
১) সাধু, ২ ) চলিত

-মৌখিক রূপ কে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে ।
১) চলিত ২) আঞ্চলিক ( উপভাষা )

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন


আরবি শব্দঃ কিয়ামত, ইনসান, নকিব, সালাত, আলেম, নগদ, রায়, কুরআন, ময়না ইত্যাদি।
বাংলা ভাষার ৩টি রীতি রয়েছে। 
যথা: 
-১. সাধু রীতি 
২. চলিত রীতি 
৩. আঞ্চলিক কথ্য রীতি বা উপভাষা 
 
চলিত রীতির বৈশিষ্ট: 
- চলিত রীতি পরিবর্তনশীল অর্থাৎ সময়ের প্রবাহের কারনের চলিত রীতি পরিবর্তিত রূপ লাভ করে। 
- এই রীতি তদ্ভব শব্দবহুল। এছাড়াও এতে দেশি ও বিদেশি শব্দের প্রাধান্য রয়েছে। 
- চলিতরীতির লৈখিক ও মৌখিক দুটি রূপই বিদ্যমান। 
- এই রীতি সহজবোধ্য, সংক্ষিপ্ত। বকৃতা, সংলাপ ও আলাপ - আলোচনার জন্য উপযোগী ।

-বাংলা ভাষার মৌলিক রূপ ২টি। যথা: কথ্য ভাষা রীতি ও লেখ্য ভাষা রীতি। 
-লেখ্য ভাষা রীতি আবার দুইভাগে বিভক্ত। যথা: সাধু রীতি ও চলিত রীতি। 
-সংস্কৃত ভাষা থেকে উৎপন্ন ভাষাকে সাধু ভাষা বলে। 
-সাধারণ মানুষের মুখের ভাষাকে চলিত ভাষা বলে। 
-যেমন: 
পার হইয়া (সাধু), পেরিয়ে (চলিত); 
বন্য (সাধু), বুনো (চলিত); 
জুতা (সাধু), জুতো (চলিত); 
আসিয়া (সাধু), এসে (চলিত)।

যে সুবিন্যস্ত পদ সমষ্টি দ্বারা কোনো বিষয়ে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়, তাকে বাক্য বলে। বাক্যকে ভাষার মূল উপকরণ, বৃহত্তম একক ও ভাষার ছাদ বলা হয়।
- ভাষার মূল উপাদান : ধ্বনি
- ভাষার বৃহত্তম একক : বাক্য
- ভাষার ক্ষুদ্রতম একক : ধ্বনি
- বাক্যের মৌলিক উপাদান :  শব্দ
- বাক্যের মূল উপাদান : শব্দ
- বাক্যের মূল উপকরণ : শব্দ
- বাক্যের ক্ষুদ্রতম একক : শব্দ, বাক্যের মধ্যে স্থান পাওয়া প্রতিটি শব্দকে পদ বলে। 
- শব্দের মূল উপাদান : ধ্বনি
- শব্দের মূল উপকরণ : ধ্বনি
- শব্দের ক্ষুদ্রতম একক : ধ্বনি


বাংলা ব্যাকারণের প্রধান ও মৌলিক আলোচ্য বিষয় চারটি , যথা--ধ্বনিতত্ত্ব, শব্দতত্ত্ব, রুপতত্ত্ব, বাক্যতত্ত্ব বা পদক্রম ও অর্থতত্ত্ব। রূপতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়--ক্রিয়ার কাল, কারক, লিঙ্গ,উপসর্গ,প্রত্যয়,সমাস,বচন ইত্যাদি , ধ্বনিতত্বের আলোচ্য বিষয়--ণত্ব ও যত্ব বিধান, সন্ধি,ধ্বনি পরিবর্তন ইত্যাদি , বাক্যতত্বের আলোচ্য বিষ্য--বাক্যর গঠন প্রণালী, বীড়াম বা জটী চিহ্ন, বাগধারা ইত্যাদি।
যে কোনো ভাষায় ব্যবহৃত লিখিত নর্ণসমষ্টিকে সে ভাষার বর্ণমালা বলে । বাংলা ভাষার বর্ণ সম্পর্কিত চিহ্ন বা প্রতীককে বাংলা বর্ণমালা বলে । বাংলা বর্ণ মোট ৫০টি । স্বরবর্ণ ১১টি ও ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯টি ।
বাংলা ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় : 4টি 
 
ক. ধ্বনিতত্ত্ব (Phonology): বর্ণ, সন্ধি, ণ-ত্ব বিধান, ষ-ত্ব বিধান, ধ্বনি পরিবর্তন ও লোপ, বর্ণের বিন্যাস। 
 
খ. শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব (Morphology):  লিঙ্গ, সমাস, বচন, ধাতু, সংখ্যাবাচক পদ, পদাশ্রিত নির্দেশক, দ্বিরুক্তি, ক্রিয়া, কাল, পুরুষ, উপসর্গ,
পদ, প্রকৃতি ও প্রত্যয়।
 
গ. বাক্যতত্ত্ব (Syntax): যতিচিহ্ন, বাগধারা, কারক বিশ্লেষণ, বাক্যের যোগ্যতা, বাক্যের উপাদান লোপ, পদক্রম, বাচ্য, উক্তি ও বাক্য সংক্রান্ত সকল বিষয়, পদের রূপ পরিবর্তন, বাক্যতত্ত্ব। 
 
ঘ. অর্থতত্ত্ব (Semantic): শব্দ ও বাক্যের অর্থবিচার, বিপরীতার্থক, মুখ্যার্থ ও গৌণার্থ। 


ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
বাংলা ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় : 4টি 
 
ক. ধ্বনিতত্ত্ব (Phonology): বর্ণ, সন্ধি, ণ-ত্ব বিধান, ষ-ত্ব বিধান, ধ্বনি পরিবর্তন ও লোপ, বর্ণের বিন্যাস। 
 
খ. শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব (Morphology):  লিঙ্গ, সমাস, বচন, ধাতু, সংখ্যাবাচক শব্দ, পদাশ্রিত নির্দেশক, দ্বিরুক্তি, ক্রিয়া, কাল, পুরুষ, উপসর্গ, প্রকৃতি ও প্রত্যয়।
 
গ. বাক্যতত্ত্ব (Syntax): যতিচিহ্ন, কারক বিশ্লেষণ, বাক্যের যোগ্যতা, বাক্যের উপাদান লোপ, পদক্রম, বাচ্য, উক্তি ও বাক্য সংক্রান্ত সকল বিষয়, পদের রূপ পরিবর্তন, বাক্যতত্ত্ব। 
 
ঘ. অর্থতত্ত্ব (Semantic): ''শব্দ ও বাক্যের অর্থবিচার'', বিপরীতার্থক, মুখ্যার্থ ও গৌণার্থ, বাগধারা।
 
[পদ - রূপতত্ত্ব ও বাক্যতত্ত্ব উভয়টিতেই আলোচিত হয়।
শব্দগুলো যখন বাক্যে ব্যবহৃত হয় তখন পদ হয়। আবার শব্দের সাথে বিভক্তি যুক্ত হলে তা পদ হয়। অতএব পদের সাথে শব্দ ও বাক্যের সম্পর্ক রয়েছে। তাই পদ ব্যাকরণের শব্দতত্ত্ব ও বাক্যতত্ত্ব উভয়টিতেই আলোচিত হয়।
পদ পরিবর্তন ও পদক্রম - ব্যাকরণের বাক্যতত্ত্বে আলোচনা করা হয়।]

সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0