Loading [MathJax]/jax/output/HTML-CSS/fonts/TeX/fontdata.js
 
ভাষা (279 টি প্রশ্ন )

- বাংলা ভাষায় গৃহীত আরবি শব্দসমূহ: ইনসান, ইবাদত, মর্জি, কলম, আল্লাহ, ইসলাম, ঈমান, ওযু, কোরবানী, কুরআন, কিয়ামত, জান্নাত, জাহান্নাম, তওবা, তসবি, হজ, যাকাত, হালাল, হারাম, আদালত, আলেম, ইদ, উকিল, ওজর, এজলাস, এলেম, কানুন, কলম, কিতাব, কেচ্ছা, খারিজ, গায়েব, দোয়াত, নগদ, বাকি, মহকুমা, মুন্সেফ, মোক্তার, রায়, আদমি ইত্যাদি।

ফারসি শব্দঃ
- বাংলা ভাষায় আগত ফারসি শব্দগুলোকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করা যায়।
- ইসলাম ধর্মসংক্রান্ত: খোদা, গুনাহ, দোজখ, নামাজ, পয়গম্বর, ফেরেশতা, বেহেশত, রোজা ইত্যাদি।
- প্রশাসনিকঃ আইন, জবানবন্দি, তারিখ, দফতর, দরবার, দস্তখত, নালিশ, বাদশাহ, বান্দা, বেগম, মেথর ইত্যাদি।
পৃথিবীর সমস্ত ভাষাকে কয়েকটি ভাষাবৃক্ষে বিভক্ত করা যায় । এ ভাষাবৃক্ষগুলোর মূলভাষার একটি ইন্দো -ইউরোপীয় । ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে ইউরোপ পর্যন্ত মধ্যবর্তী সব ভাষাকে এই ভাষাবংশের অন্তর্ভুক্ত করা হয় ।
- ইন্দো - ইউরোপীয় ভাষা বংশের শাখা দুইটি ।যথা -কেন্তুম ও শতম ।
এ দুটি শাখার উপশাখা রয়েছে ৮ টি । যথা:
- গ্রিক, -
- ইতালিক,
- কেলটিক,
- জার্মানিক,
- আর্য (ইন্দো -ইরানীয় ),
- বাল্টো -স্লাভিক,
- আর্মেনীয় ও আলবেনীয় ।

ইউরোপীয় ভাষাগুলোকে কেন্তুম ও আর্য (ইন্দো -ইরানীর ) ভাষাগুলোকে শতম শাখা ধরা হয় । বাংলা ভাষার উদ্ভয় হয়েছে ইন্দো -ইউরোপীয় ভাষার শতম শাখা থেকে ।

বাংলা ভাষার উপভাষাকে প্রধানত পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়। 

১. রাঢ়ি (পশ্চিম ও মধ্যবঙ্গ)। 
২. ঝাড়খন্ডি (দক্ষিণ পশ্চিমবঙ্গ, সিংভূম, মানভূম, পুরুলিয়া অঞ্চল)। 
৩. বরেন্দ্রি (উত্তর বঙ্গ)।
৪. বঙ্গালি (পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ববঙ্গ, ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, বরিশাল)। 
৫. কামরুপি (উত্তর পূর্ববঙ্গ, কোচবিহার, কাছাড়া)।


- পাণিনি ছিলেন উপমহাদেশের বৈদিক যুগের একজন সংস্কৃত ব্যাকরণবিদ।
- পাণিনি সংস্কৃত ভাষার পণ্ডিত ।
- তিনি খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকের সংস্কৃত ব্যাকরণের প্রণেতা। সেকারনেই তাকে বৈয়াকরণিক বলা হয়।
- পাণিনি হিন্দু ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ ‘বেদ’ এর বৈদিক ভাষার সংস্কার সাধন করেন, যা সংস্কৃত ভাষা হিসেবে রূপলাভ করে।
- তার রচিত বিখ্যাত ব্যাকরণ গ্রন্থের নাম- অষ্টাধ্যায়ী ।
- ভারতীয় উপমহাদেশের আঞ্চলিক ভাষাগুলোর আদিম উৎস অনার্য ভাষা। কারণ, বাংলার আদিম অধিবাসী অনার্যদের ভাষা ছিল অস্ট্রিক।
- অনার্যদের তাড়িয়ে সভ্যতায় উন্নত আর্যরা এদেশে বসবাস শুরু করলে অনার্যদের অপেক্ষাকৃত নিম্নস্তরের ভাষার সাথে আর্যদের অপেক্ষাকৃত উচ্চস্তরের ভাষার সংমিশ্রণে নতুন আর্য ভাষা রূপলাভ করে। এ আর্য ভাষা হতে বিবর্তনের মাধ্যমে বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়।
- পাণিনি হিন্দু ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ ‘বেদ’ এর বৈদিক ভাষার সংস্কার সাধন করেন, যা সংস্কৃত ভাষা হিসেবে রূপলাভ করে।
- সংস্কৃত ভাষা সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা ছিল না, এ ভাষা ব্রাহ্মণ পণ্ডিতরা ব্যবহার করতেন।
- সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা ছিল ‘প্রাকৃত ভাষা’ ।
- পরবর্তীতে প্রাকৃত ভাষা থেকে ‘পালি’ ও ‘অপভ্রংশ’ নামক দুটি ভাষার উদ্ভব ঘটে। বাংলা ভাষা অপভ্রংশের নিকট ঋণী।
- ‘প্রাকৃত’ ভাষার প্রকারভেদ ঘটলেও সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা প্রাকৃতই থেকে গেল। পরবর্তীতে ‘প্রাকৃত' ভাষাই ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রভাবে, কথ্য ভাষার উচ্চারণের বিভিন্নতা অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন রূপ পরিগ্রহ করল।
- কালক্রমে ‘প্রাকৃত’ থেকে উৎপত্তি লাভ করে ‘বাংলা ভাষা’ ।

- সাধারণ মানুষের মুখের ভাষাকে চলিত ভাষা বলে।
- চলিত ভাষার আদর্শরূপ থেকে গৃহীত ভাষাকে বলা হয় প্রমিত ভাষা।
- চলিত ভাষার অন্যতম বৈশিষ্ট্য প্রমিত উচ্চারণ।
- বিশ শতকের সূচনায় কলকাতার শিক্ষিত লোকের কথ্য ভাষাকে লেখ্য রীতির আদর্শ হিসেবে চালু করার চেষ্টা হয়।
- এটি তখন চলিত রীতি নামে পরিচিতি পায়। বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে চলিত রীতি সাধু রীতির জায়গা দখল করে।
- ক্রমে জীবনের সব ক্ষেত্রে সাধু রীতিকে সরিয়ে চলিত রীতি আদর্শ লেখ্য রীতিতে পরিণত হয়।
- একুশ শতকের সূচনাকালে এই চলিত রীতিরই নতুন নাম হয় ‘প্রমিত রীতি’ ।
- বাংলা ভাষার প্রধান রুপ দুটি মৌখিক ও লৈখিক।
- বাংলা ভাষা প্রধান বা মৌলিক রূপ দুইটি । যথা -
- লৈখিক রূপ এবং মৌখিক ।
- লেখার রীতি ভাষার মৌলিক রীতি।

- লৈখিক রূপ কে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে ।
১) সাধু, ২ ) চলিত

-মৌখিক রূপ কে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে ।
১) চলিত ২) আঞ্চলিক ( উপভাষা )

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
• ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ:
- লর্ড ওয়েলেসলী ১৮০০ সালে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
- ১৮০১ সালে এই কলেজে বাংলা বিভাগ খোলা হয়।
- ১৮০১ সালের মে মাসে উইলিয়াম কেরী ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নিযুক্ত হন।
- পরবর্তীতে ১৮০৫ সালের মধ্যে কলেজে মোট ১২টি অনুষদ খোলা হয়।
- এই কলেজে রামরাম বসু, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার, রাজীব লোচন মুখোপাধ্যায়, তারিণীচরণ মিত্র, চণ্ডীচরণ মুন্‌শি, হরপ্রসাদ রায় ও গোলকনাথ শর্মা প্রমুখ পণ্ডিত শিক্ষকতা করেছিলেন।
বাংলা ভাষার ৩টি রীতি রয়েছে। 
যথা: 
-১. সাধু রীতি 
২. চলিত রীতি 
৩. আঞ্চলিক কথ্য রীতি বা উপভাষা 
 
চলিত রীতির বৈশিষ্ট: 
- চলিত রীতি পরিবর্তনশীল অর্থাৎ সময়ের প্রবাহের কারনের চলিত রীতি পরিবর্তিত রূপ লাভ করে। 
- এই রীতি তদ্ভব শব্দবহুল। এছাড়াও এতে দেশি ও বিদেশি শব্দের প্রাধান্য রয়েছে। 
- চলিতরীতির লৈখিক ও মৌখিক দুটি রূপই বিদ্যমান। 
- এই রীতি সহজবোধ্য, সংক্ষিপ্ত। বকৃতা, সংলাপ ও আলাপ - আলোচনার জন্য উপযোগী ।

-বাংলা ভাষার মৌলিক রূপ ২টি। যথা: কথ্য ভাষা রীতি ও লেখ্য ভাষা রীতি। 
-লেখ্য ভাষা রীতি আবার দুইভাগে বিভক্ত। যথা: সাধু রীতি ও চলিত রীতি। 
-সংস্কৃত ভাষা থেকে উৎপন্ন ভাষাকে সাধু ভাষা বলে। 
-সাধারণ মানুষের মুখের ভাষাকে চলিত ভাষা বলে। 
-যেমন: 
পার হইয়া (সাধু), পেরিয়ে (চলিত); 
বন্য (সাধু), বুনো (চলিত); 
জুতা (সাধু), জুতো (চলিত); 
আসিয়া (সাধু), এসে (চলিত)।

পুরাতন নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ অনুসারে, ‘বাগধারা’ বাক্যতত্ত্বের আলোচিত বিষয়। অপরদিকে, নতুন নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ অনুসারে, ‘বাগধারা’ অর্থতত্ত্বের আলোচিত বিষয়।
ব্যাকরণের মৌলিক আলোচ্য বিষয় চারটি আলোচ্য বিষয়সমূহ নতুন বই অনুসারেঃ

ধ্বনিত্ত্ব ( Phonetics) ঃ বাগযন্ত্র, বাগযন্ত্রের উচ্চারণ-প্রক্রিয়া, ধ্বনির বিন্যাস, স্বর ও ব্যঞ্জন ধ্বনির বৈশিষ্ট্য, ধ্বনি দল প্রভৃতি ।

রূপতত্ত্ব বা শব্দতত্ত্ব (Morphology) ঃ শব্দ ও তার উপাদান, বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়া, ক্রিয়াবিশেষণ, শব্দ নির্মাণ ও পদনির্মাণ প্রক্রিয়া প্রভৃতি।

বাক্যতত্ত্ব বা পদক্রম (syntax) ঃ বাক্য, বাক্যের নির্মাণ, গঠন, বাক্য রূপান্তর, বাক্যের বাচ্য, উক্তি, কারক বিশ্লেষণ, বাক্যের যোগ্যতা, বাক্যের উপাদান লোপ, যতিচিহ্ন প্রভৃতি।

অর্থতত্ত্ব বা বাগাৰ্থতত্ত্ব (semantics) ঃ শব্দ, বর্গ ও বাক্যের অর্থ, বিপরীত শব্দ, প্রতিশব্দ, শব্দকে বাগধারা, শব্দ, বর্গ ও বাক্যের ব্যঞ্জনা প্রভৃতি ।


বাংলা ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় : 4টি 
 
ক. ধ্বনিতত্ত্ব (Phonology): বর্ণ, সন্ধি, ণ-ত্ব বিধান, ষ-ত্ব বিধান, ধ্বনি পরিবর্তন ও লোপ, বর্ণের বিন্যাস। 
 
খ. শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব (Morphology):  শব্দ, লিঙ্গ, সমাস, বচন, ধাতু, সংখ্যাবাচক পদ, পদাশ্রিত নির্দেশক, দ্বিরুক্তি, ক্রিয়া, কাল, পুরুষ, উপসর্গ,
পদ, প্রকৃতি ও প্রত্যয়।
 
গ. বাক্যতত্ত্ব (Syntax): যতিচিহ্ন, বাগধারা, কারক বিশ্লেষণ, বাক্যের যোগ্যতা, বাক্যের উপাদান লোপ, পদক্রম, বাচ্য, উক্তি ও বাক্য সংক্রান্ত সকল বিষয়, পদের রূপ পরিবর্তন, বাক্যতত্ত্ব। 
 
ঘ. অর্থতত্ত্ব (Semantic): বাক্যের অর্থবিচার, বিপরীতার্থক, মুখ্যার্থ ও গৌণার্থ। 


ধ্বনিতত্ত্বে আলোচিত হয়ঃ সন্ধি, ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান, ধ্বনির পরিবর্তন, ধ্বনির উচ্চারণবিধি। 
শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্বে আলোচিত হয়ঃ সমাস, প্রকৃতি-প্রত্যয়, উপসর্গ, বচন, পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ, দ্বিরুক্ত শব্দ, সংখ্যাবাচক শব্দ, পদাশ্রিত নির্দেশক, ধাতু, শব্দের শ্রেণীবিভাগ।

'সন্ধি' হলো ধ্বনিতত্ত্বের একটি আলোচ্য বিষয়। তাই ধ্বনির পরিবর্তন, ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন, ধ্বনির উচ্চারণে সহজপ্রবণতা ইত্যাদি সন্ধির মাধ্যমে সম্পাদিত হয়।
- ‘ব্যাকরণ' শব্দটি সংস্কৃত থেকে এসেছে।
- 'ব্যাকরণ' (বি+আ+√কৃ+অন) শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বিশেষভাবে বিশ্লেষণ।
- ভাষার অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা আবিষ্কারের নামই ব্যাকরণ।
- ব্যাকরণের সার্বিক আলোচ্য বিষয় ৬টি।
- যথা:ধ্বনিতত্ত্ব, শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব, বাক্যতত্ত্ব, ছন্দ ও অলঙ্কার প্রকরণ; বাগর্থ বিজ্ঞান বা অর্থতত্ত্ব ও অভিধানতত্ত্ব।
- তবে পৃথিবীর সকল ভাষার ব্যাকরণে চারটি বিষয় আলোচিত হয়।
- যথা: ধ্বনিতত্ত্ব, শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব, অর্থতত্ত্ব ও বাক্যতত্ত্ব বা পদক্রম।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন


- বাংলা ভাষার পূর্বি উপভাষাটি ত্রিপুরা, আসামের বরাক অঞ্চল, এবং বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে প্রচলিত। এই উপভাষাটিতে ত্রিপুরা, বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল, এবং আসামের বরাক অঞ্চল এই তিনটি অঞ্চলের ভাষার বৈশিষ্ট্যগুলি লক্ষ্য করা যায়।
- অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, এবং ঝাড়খণ্ড এই তিনটি অঞ্চলে পশ্চিমা উপভাষাটি প্রচলিত।
- সুতরাং, পূর্বি উপভাষাটি ত্রিপুরা অঞ্চলের উপভাষা।









ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0