ভাষা (278 টি প্রশ্ন )
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত কতিপয় তুর্কি শব্দ হলো- খাতুন, চকমক, চাকু, তালাশ, তােপ, বন্দুক, বাবুর্চি, বাবা, উজবুক, কাঁচি, কাবু, কুর্নিশ, কুলি (মজুর), কোর্মা, বারুদ, বাহাদুর, বেগম, মুচলেকা, লাশ ইত্যাদি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সংস্কৃত ভাষা থেকে উৎপন্ন ভাষাকে সাধু ভাষা হিসেবে অভিহিত করা হয়। সাধারণ মানুষের মুখের ভাষাকে চলিত ভাষা বলে। সাধু ও চলিত ভাষার মূল পার্থক্য হলো: সাধু রীতি গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দবহুল কিন্তু চলিত রীতি তদ্ভব শব্দবহুল ও পরিবর্তনশীল। সাধু রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ এক বিশেষ গঠন পদ্ধতি মেনে চলে। অপরদিকে, চলিত রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ পরিবর্তিত ও সহজতর রূপ লাভ করে। সাধু রীতিতে সর্বনাম, ক্রিয়া ও অনুসর্গের পূর্ণরূপ ব্যবহার করা হয়। অপরদিকে, চলিত রীতিতে সর্বনাম, ক্রিয়া ও অনুসর্গের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করা হয়। যেমন যেমন: পার হইয়া (সাধু), পেরিয়ে (চলিত); পূর্বেই (সাধু), আগেই (চলিত); অদ্য (সাধু), আজ (চলিত)।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বাংলা ভাষায় কিছু সংস্কৃত শব্দ কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত আকারে ব্যবহৃত হয় । এগুলোকে অর্ধ-তৎসম শব্দ বলে । যেমনঃ গিন্নী, বোষ্টম, কুচ্ছিত, ছেরাদ্দ, জ্যোছনা ইত্যাদি ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- আধুনিক চলিত ভাষায় অনেক সময় দুই স্বরের মাঝামাঝি হ-কারের লোপ হয়।
যেমন-
- পুরোহিত > পুরুত,
- গাহিল > গাইল,
- চাহে > চায়, ইত্যাদি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সুরঙ্গ> গ্রিক ভাষা
বাতাবী> ইন্দোনেশিয়ান ভাষা
গরবা> গুজরাটি ভাষা
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সাধু রীতিতে 'তৎসম' শব্দের ব্যবহার বেশি হয়। শতকরা ৪৫ ভাগ 'তৎসম' শব্দ ব্যাবহার হয় সাধু রীতিতে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
-বাংলা লেখ্য সাধুরীতি সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে চলে এবং এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট । 
-এ রীতি গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দবহুল ।
-এ রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ বিশেষ গঠন পদ্ধতি মেনে চলে ।

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সাধু ভাষার শব্দে ‘ঙ্গ’-এর স্থলে চলিত ভাষার কোমল রূপ হিসেবে ঙ ব্যবহৃত হয়।

যেমন-
লাঙ্গল > লাঙল
বাঙ্গালি > বাঙালি

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে - 'সাধারণ গদ্য সাহিত্য ব্যবহৃত বাংলা ভাষাকে সাধু ভাষা বলে' ১৮০০ সালের দিকে সাধু ভাষার প্রচলন শুরু হয়। সংস্কৃত ব্যুৎপত্তিগত মানুষের ভাষাকে 'সাধু ভাষা' বলে প্রথম অভিহিত করেন রাজা রামমোহন রায়।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে পদ সর্বদা অপরিবর্তনীয় থেকে কখনো বাক্যের শোভা বর্ধন করে, কখনো একাধিক পদের, বাক্যাংশের বা বাক্যের সংযোগ বা বিয়োগ ঘটায়, তাকে অব্যয় পদ বলে। সাধু ও চলিত রীতিতে অভিন্নরূপে ব্যবহৃত হয় অব্যয় পদ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বাংলা ভাষার লৈখিক বা লেখ্য রুপের দুটো রীতি রয়েছে: একটি চলিত রীতি (standard colloquial Style), অপরটি সাধু রীতি (Standard written form )।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সাধু ও চলিত ভাষার মূল পার্থক্য সর্বনাম ও ক্রিয়াপদে । যেমন- 
ভাষারীতি সর্বনাম বিশেষ্য ক্রিয়া
সাধু তাহারা ভাত খাইতেছিল
চলিত তারা  ভাত খাচ্ছিল
তাছাড়া; সাধু রীতি তৎসম শব্দবহুল এবং চলিত রীতি তদ্ভব শব্দবহুল ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
-সংস্কৃত ব্যাকরণ অনুসরণ করে গঠিত পারিভাষিক শব্দকে তৎসম শব্দ বলা হয়।
-যেমন- অধ্যাদেশ, গণপ্রজাতন্ত্রী, মহাপরিচালক, সচিবালয় ইত্যাদি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
ধ্বনিতত্ত্বে আলোচিত হয়ঃ সন্ধি, ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান, ধ্বনির পরিবর্তন, ধ্বনির উচ্চারণবিধি। 
শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্বে আলোচিত হয়ঃ সমাস, প্রকৃতি-প্রত্যয়, উপসর্গ, বচন, পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ, দ্বিরুক্ত শব্দ, সংখ্যাবাচক শব্দ, পদাশ্রিত নির্দেশক, ধাতু, শব্দের শ্রেণীবিভাগ।

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যতি বা ছেদ চিহ্ন ব্যাকরণেরবাক্যতত্ত্ব বা পদক্রমের আলোচ্য বিষয়। এ অংশের অন্যান্য আলোচ্য বিষয়গুলো হলো- বাক্য প্রকরণ, বাক্য সংকোচন, বাগধারা, পদবিন্যাস, প্রবাদ প্রবচন, বাচ্য ও উক্তি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
মুখের ভাষা কে ব্রিটিশ ভাষাবিজ্ঞানী ত্রিস্টোফার ব্রুম্পফিট ও অন্য ভাষা তাত্বিকরা ভাষার মূল কাঠামো হিসেবে গ্রহণ করেছেন।অন্যদিকে সাহিত্যের ভাষার জন্য কৃত্রিম সাধু রীতি তৈরি করে সাহিত্যে প্রযোগ করা হয়েছে। বলা চলে কথারীতি বা কথা বলার রীতি হলো ভাষার মৌলিক রীতি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
ভাষার মৌলিক রীতি বলার ও লেখার রীতি। উৎসঃ বাংলা প্রশ্ন-পাঠ - মোহসীনা নাজিলা
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
প্রত্যেক ভাষারই চারটি মৌলিক অংশ থাকে। যেমন:
১. ধ্বনি (Sound)
২. শব্দ (Word )
৩. বাক্য ( Sentence )
৪. অর্থ (Meaning)
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বাংলা ভাষার দুটি রূপ—সাধু ভাষা ও চলিত ভাষা। দুটি রূপের মধ্যে যেমন প্রকৃতিগত সাদৃশ্য রয়েছে, তেমনি পার্থক্যও রয়েছে। 
 
পার্থ্যক্য -১ঃ
 - সাধু ভাষায় ক্রিয়া ও সর্বনাম পদগুলো সাধারণত দীর্ঘ হয়ে থাকে। যেমন—খাইতেছি, তাহারা ইত্যাদি।
 - চলিত ভাষায় ক্রিয়া এবং সর্বনাম পদগুলো সংক্ষিপ্ত। যেমন—খাচ্ছি, তারা ইত্যাদি।
পার্থ্যক্য -২ঃ
- সাধু ভাষায় তৎসম শব্দের প্রয়োগ বেশি।
- চলিত ভাষায় অর্ধতৎসম, তদ্ভব, দেশি ও বিদেশি শব্দের প্রয়োগ বেশি।
পার্থ্যক্য -৩ঃ
- সাধু ভাষায় অপনিহিত ও অভিশ্রুতির ব্যবহার নেই।
- চলিত ভাষায় এদের প্রয়োগ লক্ষণীয়।
পার্থ্যক্য -৪ঃ
- সাধু ভাষার কাঠামো সাধারণত অপরিবর্তনীয়।
- চলিত ভাষা পরিবর্তনশীল।
 
 

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0