Loading [MathJax]/extensions/tex2jax.js
 
বর্ণ (118 টি প্রশ্ন )
'অ' একটি পূর্ণমাত্রার বর্ণ, স্বরবর্ণ এবং নিলীন বর্ণ।

- নিলীন অর্থ বিলীন বা নিমগ্ন থাকা ।
- ‘অ’ যখন কোনো ব্যঞ্জন বর্ণের সাথে যুক্ত থাকে তখন তা ঐ ব্যঞ্জনের ভেতরে বিলীন/একাকার হয়ে থাকে, অর্থাৎ কোনো physical Existence থাকে না, তাই ‘অ’ কে নিলীণ বর্ণ বলা হয়।
- যেমনঃ ক=ক+অ; খ=খ+অ; কল=ক+অ+ল; কল্=ক+অ+ল।
যুক্তবর্ণ দুই প্রকার:
১. স্বচ্ছ ও
২. অস্বচ্ছ।

- স্বচ্ছ যুক্তবর্ণ: যে যুক্তবর্ণের প্রতিটি বর্ণের স্বরূপ স্পষ্ট দেখা যায়, তা-ই স্বচ্ছ যুক্তবর্ণ।
- যেমন: ম্প, ঙ্খ, প্ট, প্ত, প্প, ন্স, জ্ব, ঞ, ণ্ড, ণ্ট, ণ্ঠ, ল্ট, ল্ড, ল্প, ফ, শ্চ, ইত্যাদি।

- অস্বচ্ছ যুক্তবর্ণ: যে যুক্তবর্ণের প্রতিটি বা কোনো একটি বর্ণ অস্পষ্ট, সে সব যুক্ত বর্ণকে অস্বচ্ছ যুক্তবর্ণ বলে।
- যেমন:
- ষ্ণ = (ষ্+ণ);
- গ + ধ = গ্ধ;
- জ + ঞ = জ্ঞ;
- ক্ষ = (ক্+ষ);
- হ্ম = (হ্+ম);
- গু = (গ্+উ) ইত্যাদি।
যুক্তবর্ণ দুই প্রকার:
১. স্বচ্ছ ও
২. অস্বচ্ছ।

- স্বচ্ছ যুক্তবর্ণ: যে যুক্তবর্ণের প্রতিটি বর্ণের স্বরূপ স্পষ্ট দেখা যায়, তা-ই স্বচ্ছ যুক্তবর্ণ।
- যেমন: ম্প, ঙ্খ, প্ট, প্ত, প্প, ন্স, জ্ব, ঞ, ণ্ড, ণ্ট, ণ্ঠ, ল্ট, ল্ড, ল্প, ফ, শ্চ, ইত্যাদি।

- অস্বচ্ছ যুক্তবর্ণ: যে যুক্তবর্ণের প্রতিটি বা কোনো একটি বর্ণ অস্পষ্ট, সে সব যুক্ত বর্ণকে অস্বচ্ছ যুক্তবর্ণ বলে।
- যেমন:
- ষ্ণ = (ষ্+ণ);
- গ + ধ = গ্ধ;
- জ + ঞ = জ্ঞ;
- ক্ষ = (ক্+ষ);
- হ্ম = (হ্+ম);
- গু = (গ্+উ) ইত্যাদি।
- ণ-ত্ব বিধান অনুসারে, ট-বর্গীয় (ট, ঠ, ড, ঢ) ধ্বনির আগে দন্ত্য-ন ব্যবহৃত হয়ে যুক্ত ব্যঞ্জন গঠিত হলে, সব সময় তা দন্ত্য-ন না হয়ে মূর্ধন্য-ণ হয়।
- যেমন: ঘণ্টা, লণ্ঠন, কাণ্ড, কণ্টক, দণ্ড ইত্যাদি।
• কারবর্ণ:
- স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে 'কার' বলে।
- স্বরবর্ণের মােট ১০টি সংক্ষিপ্ত রূপ রয়েছে, এগুলাের নাম কারবর্ণ।
এগুলো হলো: [ া, ি, ী, ু, ূ, ৃ, ে, ৈ, ে-া, ৈ-া ]
- কারবর্ণের স্বতন্ত্র ব্যবহার নেই। এগুলাে ব্যঞ্জনবর্ণের আগে, পরে, উপরে, নিচে বা উভয় দিকে যুক্ত হয়।
- কোনাে ব্যঞ্জনের সঙ্গে কারবর্ণ বা হসৃচিহ্ন না থাকলে ব্যঞ্জনটির সঙ্গে একটি অ আছে বলে ধরে নেওয়া হয়।
- 'অ' স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ নেই।
- তাই 'অ' একটি নিলীন বর্ণ।
- নিলীণ অর্থ বিলীন বা নিমগ্ন থাকা ।
- ‘অ’ যখন কোনো ব্যঞ্জন বর্ণের সাথে জুক্ত থাকে তখন তা ঐ ব্যঞ্জনের ভেতরে বিলীন/একাকার হয়ে থাকে, অর্থাৎ কোনো physical Existence থাকে না, তাই ‘অ’ কে নিলীণ বর্ণ বলা হয়।
- যেমনঃ ক=ক+অ; খ=খ+অ; কল=ক+অ+ল; কল্=ক+অ+ল।
শ, ষ, স এর উচ্চারণ:
- শ কখনাে [শ]-এর মতাে উচ্চারিত হয়, কখনাে [স]-এর মতাে উচ্চারিত হয়।
- স কখনাে [শ]-এর মতাে উচ্চারিত হয়, আবার কখনাে [স]-এর মতাে উচ্চারিত হয়।
- ষ বর্ণের উচ্চারণ সব সময়ে [শ]।

উদাহরণ:
- শ বর্ণের [শ] উচ্চারণ: শত [শতো], শসা [শশা]।
- শ বর্ণের [স] উচ্চারণ: শ্রমিক [স্রোমিক্‌], শৃগাল [সৃগাল্‌]।
- ষ বর্ণের [শ] উচ্চারণ: ভাষা [ভাশা], ষােলাে [শােলাে]।
- স বর্ণের [শ) উচ্চারণ: সাধারণ [শাধারােন], সামান্য [শামান্‌নো] ।
- স বর্ণের [স] উচ্চারণ: আস্তে [আসতে], সালাম [সালাম্‌]।

উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি।
মাত্রাহীন - ১০ টি। স্বরবর্ণ ৪টি ( এ,ঐ,ও,ঔ)। ব্যঞ্জনবর্গ ৬টি (ঙ,ঞ,ৎ,ং,ঃ,  ঁ) 

অর্ধমাত্রা - ৮টি। স্বরবর্ণ ১টি (ঋ) । ব্যঞ্জনবর্গ ৭টি ( খ,গ,ণ,থ,ধ,প,শ)। 

বাংলা বর্ণমালা মোট ৫০ টি। তার মধ্যে স্বরবর্ণ ১১ টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯। 

পূর্ণ মাত্রা - ৩২ টি। স্বরবর্ণ - ৬টি ও ব্যঞ্জনবর্গ - ২৬টি। 

বাংলা ব্যঞ্জন বর্ণে মাত্রাহীন বর্ণ কয়টি - ৬টি। কোন বর্ণগুলোতে মাত্রা হবে না - এ এবং ঐ। বর্গের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ণ অঘোষ। বর্গের তৃতীয়,চতুর্থ, এবং পঞ্চম বর্ণ ঘোষ। বর্গের প্রথম ও তৃতীয় বর্ণ অল্পপ্রাণ। বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ণ মহাপ্রাণ।

- 'অদ্য' শব্দটিতে 'অ' বর্ণের উচ্চারণ [ও] এর মতো হবে। 

- 'অ' বর্ণের উচ্চারণ দুই রকম। যথা: [অ] এবং [ও] । সাধারণ উচ্চারণ [অ], কিন্তু পাশের ধ্বনির প্রভাবে [অ] কখনো কখনো [ও]-এর মতো উচ্চারিত হয়।

-  ‘অ' বর্ণের স্বাভাবিক উচ্চারণ: অনেক [অনেক], কথা [কথা], অনাথ [অনাথ] ।

- ‘অ’ বর্ণের [ও] উচ্চারণ: অতি [ওতি], অণু [ওনু], পক্ষ [পোখো], অদ্য [ওদো]।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
যুক্তবর্ণ দুই রকম:
১. স্বচ্ছ ও
২. অস্বচ্ছ।

- স্বচ্ছ যুক্তবর্ণ: যে যুক্তবর্ণের প্রতিটি বর্ণের স্বরূপ স্পষ্ট দেখা যায়, তা-ই স্বচ্ছ যুক্তবর্ণ।
- যেমন: ম্প, ঙ্খ, প্ট, প্ত, প্প, ন্স, জ্ব, ঞ, ণ্ড, ণ্ট, ণ্ঠ, ল্ট, ল্ড, ল্প, ফ, শ্চ, ইত্যাদি।

- অস্বচ্ছ যুক্তবর্ণ: যে যুক্তবর্ণের প্রতিটি বা কোনো একটি বর্ণ অস্পষ্ট, সে সব যুক্ত বর্ণকে অস্বচ্ছ যুক্তবর্ণ বলে।
- যেমন:
- ষ্ণ = (ষ্+ণ);
- গ + ধ = গ্ধ;
- জ + ঞ = জ্ঞ;
- ক্ষ = (ক্+ষ);
- হ্ম = (হ্+ম);
ত্থ = (ত+থ ); 
- গু = (গ্+উ) ইত্যাদি।
- যে কোনো ভাষায় ব্যবহৃত লিখিত বর্ণসমষ্টিকে সে ভাষার বর্ণমালা বলে।
- বাংলা ভাষার বর্ণ সম্পর্কিত চিহ্ন বা প্রতীককে বাংলা বর্ণমালা বলে।
- বাংলা বর্ণ মোট ৫০টি।
- স্বরবর্ণ ১১টি ও ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯টি ।
- স্বরবর্ণগুলো হলো: অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, , এ, ঐ, ও, ঔ ।
'অ' একটি পূর্ণমাত্রার বর্ণ, স্বরবর্ণ এবং নিলীন বর্ণ

- নিলীন অর্থ বিলীন বা নিমগ্ন থাকা ।
- ‘অ’ যখন কোনো ব্যঞ্জন বর্ণের সাথে যুক্ত থাকে তখন তা ঐ ব্যঞ্জনের ভেতরে বিলীন/একাকার হয়ে থাকে, অর্থাৎ কোনো physical Existence থাকে না, তাই ‘অ’ কে নিলীণ বর্ণ বলা হয়।
- যেমনঃ ক=ক+অ; খ=খ+অ; কল=ক+অ+ল; কল্=ক+অ+ল।

মাত্রার উপর ভিত্তি করে বর্ণের সংখ্যা-

-মাত্রাহীন [ ১০ টি ]   -স্বরবর্ণ : এ, ঐ,ও, ঔ : (৪ টি)  - ব্যঞ্জনবর্ণ : ঙ, ঞ, ৎ, ং, ঃ, ঁ (৬ টি) 

-অর্ধমাত্রা  [ ৮ টি ]   -স্বরবর্ণ : ঋ (১ টি)- ব্যঞ্জনবর্ণ : খ, গ, ণ, থ, ধ, প, শ (৭ টি) 

-পূর্ণমাত্রা  [ ৩২টি ]  -স্বরবর্ণ : , আ, ই, ঈ, উ, ঊ (৬ টি)-ব্যঞ্জনবর্ণ : ২৬ টি


মাত্রাহীন - ১০ টি। স্বরবর্ণ ৪টি ( এ,ঐ,ও,ঔ)। ব্যঞ্জনবর্গ ৬টি (ঙ,ঞ,ৎ,ং,ঃ) 

অর্ধমাত্রা - ৮টি। স্বরবর্ণ ১টি () । ব্যঞ্জনবর্গ ৭টি ( খ,গ,ণ,থ,ধ,প,শ)। 

বাংলা বর্ণমালা মোট ৫০ টি। তার মধ্যে স্বরবর্ণ ১১ টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯। 

পূর্ণ মাত্রা - ৩২ টি। স্বরবর্ণ ৬টি ব্যঞ্জনবর্গ ২৬টি। 

বাংলা ব্যঞ্জন বর্ণে মাত্রাহীন বর্ণ কয়টি - ৬টি। কোন বর্ণগুলোতে মাত্রা হবে না - এ এবং ঐ। বর্গের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ণ অঘোষ। বর্গের তৃতীয়,চতুর্থ, এবং পঞ্চম বর্ণ ঘোষ। বর্গের প্রথম ও তৃতীয় বর্ণ অল্পপ্রাণ। বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ণ মহাপ্রাণ।

উচ্চারণের সময় শব্দ মধ্যস্থিত কোনো বর্ণ দুবার উচ্চারিত হলে তাকে বর্ণ দ্বিত্ব বলে। যথা- ছোট>ছোট্ট, বড়>বড্ড, একেবারে>এক্কেবারে, এতটুকু>এত্তটুকু ইত্যাদি।
বাংলা বর্ণমালায় অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ বর্ণ রয়েছে । অল্পপ্রাণ বর্ণ উচ্চারণে অ - যোগ করতে হয় আর মহাপ্রাণ বর্ণে অ+ হ উচ্চারণ করতে হয় ।যেমন - খ-অ+হ । ঝ- অ +হ্ন
বাংলা বর্ণমালায় অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ বর্ণ রয়েছে । অল্পপ্রাণ বর্ণ উচ্চারণে অ - যোগ করতে হয় আর মহাপ্রাণ বর্ণে অ+ হ উচ্চারণ করতে হয় ।যেমন - খ-অ+হ । ঝ- অ +হ্ন
- ক  খ  গ  ঘ  ঙ ঃ কণ্ঠ বা জিহ্বামূলীয় বর্ণ
- চ  ছ  জ  ঝ  ঞ  শ  য  য় ঃ তালব্য বর্ণ
- ট  ঠ  ড  ঢ  ণ  ষ  র  ড়  ঢ় ঃ মূর্ধণ্য বা পশ্চাত দন্তমূলীয় বর্ণ
- ত  থ  দ  ধ  ন  ল  স ঃ দন্ত বর্ণ
- প  ফ  ব  ভ  ম ঃ ওষ্ঠ্য বর্ণ
- ক  খ  গ  ঘ  ঙ ঃ কণ্ঠ বা জিহ্বামূলীয় বর্ণ
- চ  ছ  জ  ঝ  ঞ  শ  য  য় ঃ তালব্য বর্ণ
- ট  ঠ  ড  ঢ  ণ  ষ  র  ড়  ঢ় ঃ মূর্ধণ্য বা পশ্চাত দন্তমূলীয় বর্ণ
- ত  থ  দ  ধ  ন  ল  স ঃ দন্ত বর্ণ
- প  ফ  ব  ভ  ম ঃ ওষ্ঠ্য বর্ণ
-ক খ গ ঘ ঙ ঃ কণ্ঠ বা জিহ্বামূলীয় বর্ণ
-চ ছ জ ঝ ঞ শ য য় ঃ তালব্য বর্ণ
-ট ঠ ড ঢ ণ ষ র ড় ঢ় ঃ মূর্ধণ্য বা পশ্চাত দন্তমূলীয় বর্ণ
-ত থ দ ধ ন ল স ঃ দন্ত বর্ণ
-প ফ ব ভ ম ঃ ওষ্ঠ্য বর্ণ
 


ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
মাত্রাহীন - ১০ টি। স্বরবর্ণ ৪টি ( এ,ঐ,ও,ঔ)। ব্যঞ্জনবর্গ ৬টি (ঙ,ঞ,ৎ,ং,ঃ) 

অর্ধমাত্রা - ৮টি। স্বরবর্ণ ১টি (ঋ) । ব্যঞ্জনবর্গ ৭টি ( খ,গ,ণ,থ,ধ,প,শ)। 

বাংলা বর্ণমালা মোট ৫০ টি। তার মধ্যে স্বরবর্ণ ১১ টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯। 

পূর্ণ মাত্রা - ৩২ টি। স্বরবর্ণ ৬টি ব্যঞ্জনবর্গ ২৬টি। 

বাংলা ব্যঞ্জন বর্ণে মাত্রাহীন বর্ণ কয়টি - ৬টি। কোন বর্ণগুলোতে মাত্রা হবে না - এ এবং ঐ। বর্গের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ণ অঘোষ। বর্গের তৃতীয়,চতুর্থ, এবং পঞ্চম বর্ণ ঘোষ। বর্গের প্রথম ও তৃতীয় বর্ণ অল্পপ্রাণ। বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ণ মহাপ্রাণ।

মাত্রাহীন - ১০ টি। স্বরবর্ণ ৪টি ( এ,ঐ,ও,ঔ)। ব্যঞ্জনবর্গ ৬টি (ঙ,ঞ,ৎ,ং,ঃ) 

অর্ধমাত্রা - ৮টি। স্বরবর্ণ ১টি (ঋ) । ব্যঞ্জনবর্গ ৭টি ( খ,গ,ণ,থ,ধ,প,শ)। 

বাংলা বর্ণমালা মোট ৫০ টি। তার মধ্যে স্বরবর্ণ ১১ টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯। 

পূর্ণ মাত্রা - ৩২ টি। স্বরবর্ণ ৬টি ব্যঞ্জনবর্গ ২৬টি। 

বাংলা ব্যঞ্জন বর্ণে মাত্রাহীন বর্ণ কয়টি - ৬টি। কোন বর্ণগুলোতে মাত্রা হবে না - এ এবং ঐ। বর্গের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ণ অঘোষ। বর্গের তৃতীয়,চতুর্থ, এবং পঞ্চম বর্ণ ঘোষ। বর্গের প্রথম ও তৃতীয় বর্ণ অল্পপ্রাণ। বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ণ মহাপ্রাণ।

উচ্চারণের সময় শব্দ মধ্যস্থিত কোনো বর্ণ দুবার উচ্চারিত হলে তাকে বর্ণ দ্বিত্ব বলে। যথা-ছোট>ছোট্ট,বড়>বড্ড,একেবারে>এক্কেবারে,এতটুকু>এত্তটুকু ইত্যাদি।
• একাধিক বর্ণ যুক্ত হয়ে যুক্তবর্ণ তৈরি হয়।
যুক্ত হওয়া বর্ণ গুলোকে দেখে কখনো সহজে চেনা যায়, কখনো যায় না।
যুক্তবর্ণ দুই রকমের হয়,
- স্বচ্ছ,
- অস্বচ্ছ।

কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ যুক্তবর্ণ:
ঙ্ + গ = ঙ্গ,
ন্ + ধ = ন্ধ,
হ্ + উ = হু,
হ্ + ঋ = হৃ,
হ্ + ন = হ্ন,
হ + ণ = হ্ণ,
হ্ + ম = হ্ম,
ণ্ + ড = ণ্ড।
• ধ্বনির প্রতীককে বলা হয় বর্ণ। এই বর্ণ কানে শোনার বিষয়কে চোখে দেখার বিষয়ে পরিণত করে। ভাষার সবগুলো বর্ণকে একত্রে বলা হয় বর্ণমালা।

• বাংলা বর্ণমালায় মোট বর্ণ ৫০টি। স্বরবর্ণ ১১টি ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯ টি।
• মাত্রাহীন বর্ণ- বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণ ১০টি। এর মধ্যে স্বরবর্ণ ৪টি এ, ঐ, ও, ঔ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৬টি (ঙ্ ঞ, ৎ, ং, ঃ, ঁ)।
• অর্ধমাত্রা বর্ণ- বাংলা বর্ণমালায় অর্ধমাত্রার বর্ণ ৮ টি। এর মধ্যে স্বরবর্ণ ১টি (ঋ) এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৭টি ( খ, গ, ণ, থ, ধ, প, শ)।
পূর্ণমাত্রা বর্ণ- ৩২টি। এর মধ্যে স্বরবর্ণ ৬টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ২৬টি।
• কারবর্ণ:
- স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে 'কার' বলে।
- স্বরবর্ণের মােট ১০টি সংক্ষিপ্ত রূপ রয়েছে, এগুলাের নাম কারবর্ণ।
এগুলো হলো: [ া, ি, ী, ু, ূ, ৃ, ে, ৈ, ে-া, ৈ-া ]
- কারবর্ণের স্বতন্ত্র ব্যবহার নেই। এগুলাে ব্যঞ্জনবর্ণের আগে, পরে, উপরে, নিচে বা উভয় দিকে যুক্ত হয়।
- কোনাে ব্যঞ্জনের সঙ্গে কারবর্ণ বা হসৃচিহ্ন না থাকলে ব্যঞ্জনটির সঙ্গে একটি অ আছে বলে ধরে নেওয়া হয়।
- 'অ' স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ নেই।
- তাই 'অ' একটি নিলীন বর্ণ।

অন্যদিকে
• অনুবর্ণ: ব্যঞ্জনবর্ণের বিকল্প রূপের নাম অনুবর্ণ। অনুবর্ণের মধ্যে রয়েছে ফলা, রেফ ও বর্ণসংক্ষেপ।

• ফলা: ব্যঞ্জনবর্ণের কিছু সংক্ষিপ্ত রূপ অন্য ব্যঞ্জনের নিচে অথবা ডান পাশে ঝুলে থাকে, সেগুলোকে ফলা বলে। বাংলা বর্ণমালায় ফলা বর্ণ ৬টি।
যেমন:
- ন-ফলা,
- ব-ফলা,
- ম-ফলা,
- য-ফলা,
- র- ফলা,
- ল-ফলা।
- বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বরজ্ঞাপক দুটো বর্ণ রয়েছে: ঐ এবং ঔ।
- বাংলা ভাষায় যৌগিক স্বরধ্বনির সংখ্যা - পঁচিশটি।
- বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনি ৭ টি। যথা- অ, আ, ই, উ, এ, ও, অ্যা।
- যে বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনি অন্য ধ্বনির সঙ্গে মিলিত হয়ে একত্রে উচ্চারিত হয় তাকে বলা হয় পরাশ্রয়ী বর্ণ। 
- পরাশ্রয়ী বর্ণ তিনটি হলো: ং, ঃ, ঁ।


ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- ক্ষ=ক্+ষ
- হ্ম=হ্+ম
- জ্ঞ=জ্+ঞ
- ত্ম= ত+ম 

- সুতরাং অপশন (গ) ত্ম=ত্+ন ভুল

সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0