অনুজ্ঞা (50 টি প্রশ্ন )
- বিবৃতিমূলকঃ আমরা রোজ বেড়াতে যেতাম।

- অনুজ্ঞাবাচকঃ আমাকে একটি কলম দাও।

- প্রশ্নবাচকঃ সুন্দরবনকে কোন ধরনের বনাঞ্চল বলা হয়?

- আবেগবাচকঃ দারুণ! আমরা জিতে গিয়েছি।
যে বাক্যে শ্রোতাকে কোন কাজ করতে আদেশ, উপদেশ, অনুরোধ, উপরোধ, অনুনয়, নির্দেশ, নিষেধ, ভেচ্ছা, প্রার্থনা, আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা, আশীর্বাদ ইত্যাদির কোন একটি জানানো হয়, তাকে অনুজ্ঞাবাচক বাক্য বলে। যেমন- কাজটি করো, সেখানে যেও না, তোমার মঙ্গল হোক ইত্যাদি।

অনুজ্ঞাসূচক বাক্য :- যে বাক্যে আদেশ, উপদেশ, অনুরোধ ইত্যাদি প্রকাশ করা হয় সেই বাক্যকে অনুজ্ঞাবাচক বাক্য বলে । কিছু উপদেশমুলক বাক্য
-  এখানে এস ।
-পড়াশুনায় মনোযোগ দাও ।
- ১০ মিনিটের মধ্যে লিখে দাও ।
-জীবন যেমনই কঠিন হোক না কেন, অবশ্যই এমন কিছু আছে যা তুমি করতে পারবে এবং সে কাজে তুমি সফল হবে।
যখন কাউকে কিছু করতে বলা হয় যেমন অনুরোধ বা আদেশ করা হয় অথবা কিছু ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা করা হয়, তখন বর্তমান কালের সেই অবস্থাকে বর্তমান অনুজ্ঞা বলা হয়।
যেমন: আমার প্রণাম নিও, তোমার ভালো হোক, আল্লাহ তোমাকে দীর্ঘজীবী করুন ইত্যাদি।

যখন কাওকে কিছু করতে বলা হয় যেমন অনুরোধ বা আদেশ করা, তখন বর্তমান কালের সেই অবস্থাকে বর্তমান অনুজ্ঞা বলা হয়। যেমন: আমটা খাও.

অন্যদিকে,
- সবাই এখানে আসুন (আমন্ত্রণ অর্থে)।
- সুখী হও (আশীর্বাদ অর্থে)।
- নিজের দিকে খেয়াল রাখ (উপদেশ অর্থে)।




-অনুজ্ঞা হল এমন একটি বাক্য যা কারও কাছ থেকে কিছু করার আহ্বান জানায়। 
-উপরের বাক্যগুলির মধ্যে, কেবলমাত্র "এবার তোরা মানুষ হ" অনুজ্ঞা। এটি কারও কাছ থেকে কিছু করার আহ্বান জানায়, যা এই ক্ষেত্রে মানুষ হওয়া। বাকি বাক্যগুলি তথ্য দেয় এবং অনুজ্ঞা নয়।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
যে বাক্যে আদেশ, উপদেশ, অনুরোধ ইত্যাদি প্রকাশ করা হয় সেই বাক্যকে অনুজ্ঞাবাচক বাক্য বলে ।কিছু আদেশ্মুলক বাক্য-
-বাজার করে নিয়ে আয়।
-পড়তে বস।
'আপনারা আসবেন' কোন ভবিষ্যৎ কালে ঘটিত অনুজ্ঞা ভাব।
বাক্য আদেশ, নিষেধ, উপদেশ, অনুরোধ, আশীর্বাদ ইত্যাদি সূচিত হলে ক্রিয়াপদের অনুজ্ঞা ভাব হয়। উদাহরণ- আপনারা আসবেন, মন দিয়ে পড় ইত্যাদি।
যখন কাওকে কিছু করতে বলা হয় যেমন অনুরোধ বা আদেশ করা, তখন বর্তমান কালের সেই অবস্থাকে বর্তমান অনুজ্ঞা বলা হয়। যেমন: আমার প্রণাম নিও, কলমটা ডাও।
'কাজটি করে ফেলো'- এটি বর্তমান কালের অনুজ্ঞা। এই বাক্য দ্বারা 'আদেশ' বুঝানো হয়েছে।
আদেশ অর্থে ভবিষ্যৎ কালের অনুজ্ঞা হলো- সদা সত্য কথা বলবে।
অতীতকালের কোনো অনুজ্ঞা হয় না।
'স্বাস্থ্যের প্রতি দ্ররষ্টি রেখো' এটি ভবিষ্যৎ কালে হটিত অনুজ্ঞা ভাবের উদাহরণ।
আদেশ, নিষেধ, উপদেশ, অনুরোধা, আশীর্বাদ, ইত্যাদি সূচিত হলে তা ক্রিয়াপদের অনুজ্ঞা ভাব হয়। উদাহরণ-
তুমি কাল যেও,
মিথ্যা বলবে না,
মন দিয়ে পড় ইত্যাদি।
বর্তমান কালের অনুজ্ঞার ব্যবহার-
আদেশ- কাজটি করে ফেল।
উপদেশ- সত্য গোপন করো না,
প্রার্থনা- আমার দরখাস্তটি পড়ুন।
অভিশাপ- মর, পাপিষ্ঠ।
ক্রিয়ার যে ভাবে বক্তা কাউকে কিছু করতে আদেশ, অনুরোধ করে বা উপদেশ দান করে, তাকে অনুজ্ঞা ভাব বলে।
উদাহরণ:
- চুপ করো,
- তুমি কাল যেও,
- মিথ্যা বলবে না,
- মন দিয়ে পড়ো,
- ছাতাটা দিন তো ভাই ইত্যাদি।
'চেষ্টা করো, সবই বুঝতে পারবে'- এটি একটি ভবিষ্যৎ কালের অনুজ্ঞা যা দ্বারা সম্ভাবনা বুঝায়।
অন্যান্য অর্থে ব্যবহৃত ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা-
আদেশ- সদা সত্য কথা বলবে,
বিধান অর্থে- রোগ হলে ওষুধ খাবে,
অনুরোধ অর্থে- কাল একবার এসো।
আজ্ঞা, আদেশ, উপদেশ, অনুরোধ, অনুমতি, আমন্ত্রণ, নিষেধ ইত্যাদি যে বাক্যে প্রকাশ পায় তাকে বলা হয় অনুজ্ঞাসূচক বাক্য। যেমন- এখানে অপেক্ষা করো। এখন যেতে পারো ইত্যাদি।
যে বাক্যে শুভেচ্ছা, প্রার্থনা, আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা, অর্শীবাদ প্রকাশ করা হয় তাকে ইচ্ছাসূচক বাক্য বলে। যেমন- তোমার মঙ্গল হোক, ভালো থেকো ইত্যাদি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

'রোগ হলে ওষুধ খাবে'- এটি ভবিষ্যৎ কালের অনুজ্ঞা যা বিধান অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এছাড়াও-
আদেশ অর্থে- সদা সত্য কথা বলবে।
সম্ভাবনা অর্থে- চেষ্টা করো, সবই বুঝতে পারবে।
অনুরোধ অর্থে- কাল একবার এসো।
যে সর্বনামের দ্বারা বাক্যের বক্তা নিজেকে বোঝায় এমন সর্বনাম পদ হচ্ছে বক্তা পক্ষ বা উত্তম পুরুষ। যেমন- আমি, আমরা, আমাদের। উত্তম পুরুষের অনুজ্ঞা পদ হতে পারে না। কারণ কেউ নিজেকে আদেশ করতে পারে না।


যখন কোনও আদেশ, অনুরোধ বা প্রার্থনা ভবিষ্যতের জন্য করা হয় তখন তাকে ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা বলা হয়। যেমন: আগামীকাল আমার বাড়ি আসিস কিন্তু। কাজটা করে যেও।



- বাংলা ভাষায় সর্বনামের ক্ষেত্রে বিভক্তি যোগ করা হয় পুরুষ অনুযায়ী। তবে, কিছু ক্ষেত্রে তুচ্ছার্থক বা ঘনিষ্ঠার্থক সর্বনাম ব্যবহারে বিভক্তি যোগ হয় না।

মধ্যম পুরুষে যেমন: "তুই", "তোরা" — এই ধরনের ঘনিষ্ঠ বা তুচ্ছার্থক সর্বনামের পরে বিভক্তি যুক্ত হয় না।
উদাহরণ: তুই কোথায় যাচ্ছিস? → এখানে "তুই"-এর সঙ্গে কোনো বিভক্তি নেই।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0