বাক্য প্রকরণ (218 টি প্রশ্ন )
যে সুবিন্যস্ত পদ সমষ্টি দ্বারা কোন বিষয়ে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয় তাকে বাক্য বলে। গঠনের দিক থেকে বাক্য তিন প্রকার। যথা - সরল বাক্য , মিশ্র বা জটিল বাক্য এবং যৌগিক বাক্য । যে বাক্যে একটি মাত্র উদ্দেশজ ও একটি মাত্র বিধেয় ( সমাপিকা ক্রিয়া) থাকে তাকে সরল বাক্য বলে । যেমন - হযরত মুহম্মদ (স) ছিলেন একজন আদর্শ মানব ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে বাক্যে একটিমাত্র কর্তা (উদ্দেশ্য) এবং একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া (বিধেয়) থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে। যথা- পুকুরে পদ্মফুল জন্মে। এখানে ‘পদ্মফুল’ উদ্দেশ্য এবং ‘জন্মে’ বিধেয়।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
আমার হৃদয়-মন্দিরে আশার বীজ উপ্ত হলো- এই বাক্যটিতে উপমা প্রয়োগের ভুল রয়েছে। কিন্তু, আমার হৃদয়-ক্ষেত্রে আশার বীজ উপ্ত হলো-বাক্যে কোন ভুল নেই।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ নাই তাকে নিলীন বর্ণ বলে। অর্থাৎ কোনো Physical Existence থাকে না।
‘অ’ বর্ণটির কোন সংক্ষিপ্ত রূপ না থাকায় ‘অ’ বাংলা বর্ণমালার নিলীন বর্ণ।
 
যেমনঃ 
ক =  ক  +  অ
খ =  খ   +  অ
কল = ক + অ + ল +  অ
কল্‌ = ক + অ + ল 

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
একটি সার্থক বাক্যের তিনটি বৈশিষ্ট্য থাকবে 
যথাঃ 
১. আকাঙ্গাঃ বাক্যের অর্থ পরিষ্কারভাবে বোঝার জন্য বাক্যে ব্যবহৃত একটি পদের পর অন্যপদ শোনার যে আগ্রহ জাগে তাকে আকাঙ্গা বলে ।
২. আসত্তিঃ বাক্যে ব্যবহৃত পদগুলোর মাঝে অর্থের সঙ্গতি বা মিল রাখার জন্য সুশৃঙ্খল পদবিন্যাসকেই বলা হয় আসত্তি । 
৩. যোগ্যতাঃ বাক্যে ব্যবহৃত পদগুলোর অর্থগত ও ভাবগত মেলবন্ধনের নাম যোগ্যতা ।

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে বাক্যে একটি সমাপিকা ক্রিয়া থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে। যেমন - পাখিগুলাে নীল আকাশে উড়ছে, তিনি ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন।

সরল বাক্যে অনেক সময়ে ক্রিয়া অনুপস্থিত থাকে। যেমন - আমরা তিন ভাইবােন।

বাক্যের মধ্যে এক বা একাধিক অসমাপিকা ক্রিয়া থাকলেও সরল বাক্য হয়। যেমন - তিনি খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে পায়চারি করতে করতে বাজারের দিকে গেলেন ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সরল বাক্য: যে বাক্যে একটি মাত্র কর্তা (উদ্দেশ্য একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া(বিধেয়) থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে।
যদি আমার কথা না শুন, ভবিষ্যতে অনুতাপ করবে।
= আমার কথা না শুনলে অনুতাপ করবে।

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে বাক্যে একটি সমাপিকা ক্রিয়া থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে। যেমন – পাখিগুলাে নীল আকাশে উড়ছে। তিনি ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। সরল বাক্যে অনেক সময়ে ক্রিয়া অনুপস্থিত থাকে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে বাক্যে একটি প্রধান খন্ড বাক্যের এক বা একাধিক আশ্রিত বাক্য পরস্পর সাপেক্ষ ভাবে ব্যবহৃত হয় তাকে মিশ্র বা জটিল বাক্য বলে। এখানে আশ্রিত বাক্য‌ যে পরিশ্রম করে এবং প্রধান খণ্ডবাক্য সে-ই সুখ লাভ করে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্যের সাথে এক বা একাধিক আশ্রিতবাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহৃত হয়, তাকে মিশ্র বা জটিল বাক্য বলে। যে-সে, যারা তারা, যিনি- তিনি, যা-তা প্রভৃতি সাপেক্ষ সর্বনাম এবং যদি-তবে, যদিও তবুও, যেহেতু-সেহেতু, যত-তত, যেটুকু-সেটুকু, যেমন- তেমন, যখন-তখন প্রভৃতি সাপেক্ষ যোজক দিয়ে যখন অধীন বাক্যগুলো যুক্ত থাকে, তাকে জটিল বাক্য বলে। যেমন:

- যে পরিশ্রম করে, সেই সুখ লাভ করে।
- যিনি বিছান, তিনি সর্বত্র আদরণীয়।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
জটিল বা মিশ্র বাক্য : যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য ও তাকে আশ্রয় বা অবলম্বন করে একাধিক খণ্ডবাক্য থাকে, তাকে জটিল বা মিশ্র বাক্য বলে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- যে বাক্যে একটি মাত্র কর্তা (উদ্দেশ্য) এবং একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া (বিধেয়) থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে।
- যেমন: মেঘ গর্জন করলে ময়ূর নৃত্য করে। প্রদত্ত উদাহরণটিতে অসমাপিকা ক্রিয়া ‘করলে' এর মাধ্যমে বাক্যের কর্তা গঠিত হয়েছে এবং এতে একটি সমাপিকা ক্রিয়া ‘করে’ বিদ্যমান।সুতরাং, এটি সরল বাক্য।
- উল্লেখ্য, বাক্যের শুরুতে অসমাপিকা ক্রিয়া এবং পরে সমাপিকা ক্রিয়া থাকলে সরল বাক্য গঠিত হয়। যেমন: যত্ন করলে রত্ন মেলে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
মধ্যম পুরুষ ও প্রথম পুরুষ একসাথে কোনো ক্রিয়ার কর্তা হলে ক্রিয়াটি মধ্যম পুরুষের হবে। যেমন- তুমি ও তমাল কাজটি করেছো। আপনি এবং ছন্দা কাজটি করেছেন।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
ভাষার বিচারে বাক্যের গুণ ৩ টি। যথাঃ আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি, যোগ্যতা।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
ভাষার বিচারে বাক্যের নিম্নলিখিত তিনটি গুণ থাকা চাই। আকাঙ্খা, আসত্তি ও যোগ্যতা। আসক্তি বাক্যের গুণ নয়।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- বাগধারা ভাষার একটি ঐতিহ্য।
- বাংলা ভাষাতেও অসংখ্য বাগধারা প্রচলিত আছে।
- এসব বাগধারা ব্যবহার করার সময় এগুলোর কোন পরিবর্তন করলে বাগধারার ভাবগত যোগ্যতা নষ্ট হয়। ফলে বাক্য তার যোগ্যতা গুণ হারায়।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- শব্দ বলতে কিছু অর্থবোধক ধ্বনিসমষ্টিকেও নির্দেশ করে, যা একটি বাক্য গঠনের মূল উপাদান। এক্ষেত্রে শব্দকে "পদ" বলে। শব্দ একাধিক বর্ণ ও অক্ষর সমন্বয়ে গঠিত হয়ে থাকে। বাক্যের মৌলিক উপাদান শব্দ।

- শব্দকে বাক্যের একক বলা হয় অর্থাৎ বাক্যের বাহন হলো শব্দ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে সুবিন্যস্ত পদসমষ্টি দ্বারা কোন বিষয়ে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরুপে প্রকাশ পায় ,তাকে বাক্য বলে । একটি সার্থক বাক্য তৈরির জন্য কর্তা ,কর্ম ও ক্রিয়া আবশ্যক ।
যেমনঃ 
মিলন বই লেখে, প্রদত্ত উদাহরণে 'মিলন' কর্তা ,'বই' কর্ম এবং 'লেখে ' ক্রিয়া বিদ্যমান । উল্লেখ্য ,কর্তা কখনো কখনো উহ্য থাকতে পারে ।

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
উদ্দেশ্যঃ বাক্যের যে-অংশ সম্মন্ধে কিছু বলা হয় বা বাক্যের যে অংশে কারও সম্মন্ধে কিছু বলা হয়, তাকেই বলা হয় উদ্দেশ্য।
যেমনঃ রোহিত ভালো ক্রিকেট খেলে। এই বাক্যে রোহিত হল উদ্দেশ্য। কারন তার সম্মন্ধেই কিছু বলা হয়েছে।

 বিধেয়ঃ বাক্যের যে অংশে উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু বলা হয় তাকেই বলা হয় বিধেয়।
যেমনঃ রোহিত ভালো ক্রিকেট খেলে। এই বাক্যের বিধেয় সম্পর্কে যা কিছু বলা হয়েছে তা হল ভালো ক্রিকেট খেলে – এটিই হল বিধেয়।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
ক্রিয়া বিশেষণ পদ কর্ম ও ক্রিয়াপদের পূর্বে বসে। যেমন- সে ধীরে যায়, জোরে বাতাস বইছে ইত্যাদি। ক্রিয়া বিশেষণের বিশেষণ এর পূর্বে বসে। যেওমন- হাবিবা খুব ভালো মেয়ে ইত্যাদি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0