দ্বিরুক্ত শব্দ (178 টি প্রশ্ন )

- 'ধপ+ধপ' থেকে 'ধপাধপ' শব্দটি অসমীকরণ (Dissimilation) প্রক্রিয়ার একটি উদাহরণ।
- যখন দুটি একই রকম ধ্বনি বা শব্দের পুনরাবৃত্তি দূর করার জন্য মাঝখানে একটি স্বরধ্বনির আগমন ঘটে, তখন তাকে অসমীকরণ বলা হয়।

- এখানে 'ধপ' শব্দটি দুবার উচ্চারিত হয়েছে। এই পুনরাবৃত্তির ফলে সৃষ্ট একঘেয়েমি দূর করার জন্য মাঝখানে একটি 'আ' স্বরধ্বনি যুক্ত হয়ে 'ধপাধপ' শব্দটি গঠিত হয়েছে।
- এর ফলে উচ্চারণ সহজ এবং শ্রুতিমধুর হয়। একই ধরনের আরও উদাহরণ হলো 'টপ+টপ' থেকে 'টপাটপ'।


কোন কিছুর স্বাভাবিক বা কাল্পনিক অনুকৃতিবিশিষ্ট শব্দের রূপকে ধ্বনাত্মক শব্দ বলে ।
যেমনঃ কিচিরমিচির, টাপুর টুপুর, হাপুস হুপুস, ঝনঝন, পটপট ।

- শব্দদ্বিত্ব তিন ধরনের: অনুকার দ্বিত্ব, ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব ও পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব।
- অনুকার দ্বিত্বঃ পরপর প্রয়ােগ হওয়া কাছাকাছি চেহারার শব্দকে অনুকার দ্বিত্ব বলে। এতে প্রথম শব্দটি অর্থপূর্ণ হলেও প্রায় ক্ষেত্রে দ্বিতীয় শব্দটি অর্থহীন হয় এবং প্রথম শব্দের অনুকরণে তৈরি হয়, যেমন-অঙ্ক-টঙ্ক, আম-টাম, কেক-টেক, ঘর-টর
- ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বঃ কোনাে প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যেসব শব্দ তৈরি হয়, সেগুলােকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলে। যেমন –ঠন একটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ। কোনাে ধাতব পদার্থের সঙ্গে অন্য কোনাে ধাতব পদার্থের সংঘর্ষে এই ধরনের ধ্বনি তৈরি হয়। ঠন শব্দটি পরপর দুই বার বা কখনাে ততােধিক বার ব্যবহৃত হলে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব সৃষ্টি হয়। যেমন –কুটুস-কুটুস, খক খক, খুটুর-খুটুর, টুং টুং, ঠুক ঠুক, ধুপ ধুপ, দুম দুম, ঢং ঢং, ইত্যাদি।
- পুনরাবৃত্ত দ্বিত্বঃ পুনরায় আবৃত্ত হলে তাকে পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব বলে। পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব বিভক্তিহীন বা বিভক্তিযুক্ত হতে পারে। যেমন – জ্বর জ্বর, পর পর, কবি কবি, হাতে হাতে, কথায় কথায়, ভালো ভালো, জোরে জোরে ইত্যাদি।

- অভিন্ন বা সামান্য পরিবর্তিত চেহারায় কোনাে শব্দ পরপর দুইবার ব্যবহৃত হলে তাকে শব্দদ্বিত্ব বলে।
- শব্দদ্বিত্ব তিন ধরনের: অনুকার দ্বিত্ব, ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব ও পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব। 
- অনুকার দ্বিত্বঃ পরপর প্রয়ােগ হওয়া কাছাকাছি চেহারার শব্দকে অনুকার দ্বিত্ব বলে। এতে প্রথম শব্দটি অর্থপূর্ণ হলেও প্রায় ক্ষেত্রে দ্বিতীয় শব্দটি অর্থহীন হয় এবং প্রথম শব্দের অনুকরণে তৈরি হয়, যেমন-অঙ্ক-টঙ্ক, আম-টাম, কেক-টেক, ঘর-টর
 
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বঃ কোনাে প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যেসব শব্দ তৈরি হয়, সেগুলােকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলে।
যেমন –ঠন একটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ। কোনাে ধাতব পদার্থের সঙ্গে অন্য কোনাে ধাতব পদার্থের সংঘর্ষে এই ধরনের ধ্বনি তৈরি হয়। ঠন শব্দটি পরপর দুই বার বা কখনাে ততােধিক বার ব্যবহৃত হলে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব সৃষ্টি হয়। যেমন –কুটুস-কুটুস, খক খক, খুটুর-খুটুর, টুং টুং, ঠুক ঠুক, ধুপ ধুপ, দুম দুম, ঢং ঢং, ইত্যাদি।

পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব: পুনরায় আবৃত্ত হলে তাকে পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব বলে। পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব বিভক্তিহীন বা বিভক্তিযুক্ত হতে পারে।
যেমনঃ
- বিভক্তিহীন পুনরাবৃত্ত: ভালাে ভালাে (কথা), কত কত (লােক), হঠাৎ হঠাৎ (ব্যথা), ঘুম ঘুম (চোখ), উড় উড়ু (মন), গরম গরম (জিলাপি), হায় হায় (করা)।
- বিভক্তিযুক্ত পুনরাবৃত্ত: কথায় কথায় (বাড়া), মজার মজার (কথা), ঝাঁকে ঝাঁকে (চলা), চোখে চোখে (রাখা), মনে মনে (হাসা), সুরে সুরে (বলা), পথে পথে (হাঁটা)।
- যে সকল অব্যয় রব, শব্দ বা ধ্বনির অনুকরণে গঠিত হয়, তাকে ধ্বন্যাত্মক অব্যয় বলে।
- এ জাতীয় ধ্বন্যাত্মক শব্দের দুবার প্রয়োগের নাম ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি।ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি দ্বারা বহুত্ব বা আধিক্য ইত্যাদি বোঝায়।
- যেমন: বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদেয় এল বান।প্রদত্ত উদাহরণে 'টাপুর টুপুর' ধ্বন্যাত্মক শব্দটি বৃষ্টির ধ্বনির অবস্থাকে প্রকাশ করেছে।
একই বিভক্তি যুক্ত পদের পরপর দুবার ব্যবহারকে পদের দ্বিরুক্তি বা পদাত্মক দ্বিরুক্তি বলে।

১. দুটি পদে একই বিভক্তি প্রয়োগ করা হয়, শব্দ দুটি ও বিভক্তি অপরিবর্তিত থাকে। যেমন- ঘরে ঘরে লেখাপড়া হচ্ছে। দেশে দেশে ধন্য ধন্য করতে লাগল। মনে মনে আমিও এ কথাই ভেবেছি।
২. পদের দ্বিরুক্তির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পদের আধুনিক ধ্বনিগত পরিবর্তন ঘটে, কিন্তু পদ বিভক্তি একইরকম অবিকৃত থাকে। যেমন- চোর হাতে নাতে ধরা পড়েছে। আমার সন্তান যেন দুধে ভাতে থাকে।

- বাংলা ভাষায় কোনো কোনো শব্দ, পদ বা অনুকার শব্দ একবার ব্যবহার করলে যে অর্থ প্রকাশ করে, সেগুলোকে দুইবার ব্যবহার করলে অন্য কোনো সম্প্রসারিত অর্থ প্রকাশ করে। এ ধরনের শব্দের পরপর দুইবার প্রয়োগেই দ্বিরুক্ত শব্দ গঠিত হয়। ভাবের গভীরতা বোঝাতে অব্যয়ের দ্বিরুক্তি বা দ্বিত্ব হয়। যেমন: ছি! ছি! তুমি এত খারাপ।

- ভাবের ধারাবাহিকতা বোঝাতে পদের দ্বিরুক্তি বা দ্বিত্ব হয়। যেমন: তুমি দিন দিন রোগা হয়ে যাচ্ছ।

- দ্বিরুক্ত শব্দ ৩ প্রকার- শব্দের দ্বিরুক্তি, পদের দ্বিরুক্তি ও অনুকার দ্বিরুক্তি

অব্যয় পদের দ্বিরুক্তি -
১. ভাবের গভীরতা বোঝাতেঃ সবাই হায় হায় করতে লাগল। ছি ছি, তুমি এত খারাপ!
২. পৌনঃপুনিকতা বোঝাতেঃ
    বার বার সে কামান গর্জে উঠল।
৩. অনুভূতি বা ভাব বোঝাতেঃ
    ভয়ে গা ছম ছম করছে। ফোঁড়াটা টন টন করছে।
৪. বিশেষণ বোঝাতেঃ
   পিলসুজে বাতি জ্বলে মিটির মিটির।
৫. ধ্বনিব্যঞ্জনাঃ
    ঝির ঝির করে বাতাস বইছে। বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর।


ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- পরপর প্রয়োগ হওয়া কাছাকাছি চেহারার শব্দকে অনুকার দ্বিত্ব বলে।
- এতে প্রথম শব্দটি অর্থপূর্ণ হলেও প্রায় ক্ষেত্রে দ্বিতীয় শব্দটি অর্থহীন হয় এবং প্রথম শব্দের অনুকরণে তৈরি হয়।
- যেমন: এলোমেলো, অঙ্ক-টঙ্ক, আম- টাম, কেক-টেক, ঘর-টর, গরু-টরু, ছাগল-টাগল, ঝাল- টাল, আগড়ম-বাগড়ম, চাকর-বাকর, ঝিলমিল, শেষ-মেষ, অল্পস্বল্প, গুটিশুটি, মোটাসোটা, নরম-সরম, বুঝে-সুঝে।
- পরপর প্রয়ােগ হওয়া কাছাকাছি চেহারার শব্দকে অনুকার দ্বিত্ব বলে।
- এতে প্রথম শব্দটি অর্থপূর্ণ হলেও প্রায় ক্ষেত্রে দ্বিতীয় শব্দটি অর্থহীন হয় এবং প্রথম শব্দের অনুকরণে তৈরি হয়।
- এই অনুকরণ প্রক্রিয়ায় দ্বিতীয় শব্দের শুরুতে ট, ফ, ব, ম, শ প্রভৃতি ধ্বনি যুক্ত থাকতে দেখা যায়।
যেমন- অঙ্ক-টঙ্ক, আম-টাম, কেক-টেক, ঘর-টর, গরু-টরু, ছাগল-টাগল, ঝাল-টাল, হেন-তেন, লুচিফুচি, টাটু-ফাটু, আগড়ম-বাগড়ম, চাকর-বাকর, এলােমেলাে, ঝিকিমিকি, কচর-মচর, ঝিলমিল, শেষ মেষ, অল্পসল্প, বুদ্ধিশুদ্ধি, গুটিশুটি, মােটাসােটা, নরম-সরম, ব্যাপার-স্যাপার, বুঝেসুঝে।
-অভিন্ন বা সামান্য পরিবর্তিত চেহারায় কোনাে শব্দ পরপর দুইবার ব্যবহৃত হলে তাকে শব্দদ্বিত্ব বলে।
-শব্দদ্বিত্ব তিন ধরনের: অনুকার দ্বিত্ব, ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব ও পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব। 
-অনুকার দ্বিত্বঃ পরপর প্রয়ােগ হওয়া কাছাকাছি চেহারার শব্দকে অনুকার দ্বিত্ব বলে। এতে প্রথম শব্দটি অর্থপূর্ণ হলেও প্রায় ক্ষেত্রে দ্বিতীয় শব্দটি অর্থহীন হয় এবং প্রথম শব্দের অনুকরণে তৈরি হয়, যেমন-অঙ্ক-টঙ্ক, আম-টাম, কেক-টেক, ঘর-টর
 
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বঃ কোনাে প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যেসব শব্দ তৈরি হয়, সেগুলােকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলে। যেমন –ঠন একটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ। কোনাে ধাতব পদার্থের সঙ্গে অন্য কোনাে ধাতব পদার্থের সংঘর্ষে এই ধরনের ধ্বনি তৈরি হয়। ঠন শব্দটি পরপর দুই বার বা কখনাে ততােধিক বার ব্যবহৃত হলে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব সৃষ্টি হয়। যেমন –কুটুস-কুটুস, খক খক, খুটুর-খুটুর, টুং টুং, ঠুক ঠুক, ধুপ ধুপ, দুম দুম, ঢং ঢং, ইত্যাদি।

পুনরাবৃত্ত দ্বিত্বঃ পুনরায় আবৃত্ত হলে তাকে পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব বলে। পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব বিভক্তিহীন বা বিভক্তিযুক্ত হতে পারে। যেমন – জ্বর জ্বর, পর পর, কবি কবি, হাতে হাতে, কথায় কথায়, জোরে জোরে ইত্যাদি।

(নবম-দশম শ্রেনীর পুরাতন বইয়ে এই অধ্যায়টার নাম ছিল দ্বিরুক্ত শব্দ এবং ধন্যাত্মক ও অনুকার কে একই বলা হলেও নতুন বইয়ে এই অধ্যায়ের নাম শব্দদ্বিত্ব এবং ধন্যাত্মক ও অনুকার কে আলাদাভাবে দেখানো হয়েছে)

- যে সকল অব্যয় রব, শব্দ বা ধ্বনির অনুকরণে গঠিত হয়, তাকে অনুকার অব্যয় বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয় বলে।
- এ জাতীয় ধ্বন্যাত্মক শব্দের দুবার প্রয়োগের নাম ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি। ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি দ্বারা বহুত্ব বা আধিক্য ইত্যাদি বোঝায়।
- যেমন: বাতাসের গতি → শন শন; মেঘের গর্জন  → গুড় গুড়; কোকিলের রব → কুহু কুহু ।
- অভিন্ন বা সামান্য পরিবর্তিত চেহারায় কোনাে শব্দ পরপর দুইবার ব্যবহৃত হলে তাকে শব্দদ্বিত্ব বলে।
- শব্দদ্বিত্ব তিন ধরনের: অনুকার দ্বিত্ব, ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব ও পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব। 
- অনুকার দ্বিত্বঃ পরপর প্রয়ােগ হওয়া কাছাকাছি চেহারার শব্দকে অনুকার দ্বিত্ব বলে। এতে প্রথম শব্দটি অর্থপূর্ণ হলেও প্রায় ক্ষেত্রে দ্বিতীয় শব্দটি অর্থহীন হয় এবং প্রথম শব্দের অনুকরণে তৈরি হয়, যেমন-অঙ্ক-টঙ্ক, আম-টাম, কেক-টেক, ঘর-টর
 
- ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বঃ কোনাে প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যেসব শব্দ তৈরি হয়, সেগুলােকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলে।
যেমন –ঠন একটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ। কোনাে ধাতব পদার্থের সঙ্গে অন্য কোনাে ধাতব পদার্থের সংঘর্ষে এই ধরনের ধ্বনি তৈরি হয়। ঠন শব্দটি পরপর দুই বার বা কখনাে ততােধিক বার ব্যবহৃত হলে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব সৃষ্টি হয়। যেমন –কুটুস-কুটুস, খক খক, খুটুর-খুটুর, টুং টুং, ঠুক ঠুক, ধুপ ধুপ, দুম দুম, ঢং ঢং, ইত্যাদি।

পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব: পুনরায় আবৃত্ত হলে তাকে পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব বলে। পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব বিভক্তিহীন বা বিভক্তিযুক্ত হতে পারে।
যেমনঃ
- বিভক্তিহীন পুনরাবৃত্ত: ভালাে ভালাে (কথা), কত কত (লােক), হঠাৎ হঠাৎ (ব্যথা), ঘুম ঘুম (চোখ), উড় উড়ু (মন), গরম গরম (জিলাপি), হায় হায় (করা)।
- বিভক্তিযুক্ত পুনরাবৃত্ত: কথায় কথায় (বাড়া), মজার মজার (কথা), ঝাঁকে ঝাঁকে (চলা), চোখে চোখে (রাখা), মনে মনে (হাসা), সুরে সুরে (বলা), পথে পথে (হাঁটা)।
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব:
কোনো প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যেসব শব্দ তৈরি হয়, সেগুলোকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলে।
যেমন- ঠন একটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ। ঠন শব্দটি পর পর দুই বার বা কখনো ততোধিক বার ব্যবহৃত হলে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব সৃষ্টি হয়।

- কয়েকটি ধ্বন্যাত্বক দ্বিত্বের উদাহরণ:
চকচক, জ্বলজ্বল, থকথকে, কুট কুট, কোঁত কোঁত, কুটুস কুটুস, খক খক, খুটুর খুটুর, টুং টুং, ঢং ঢং, ঝমঝম, ধুপ ধুপ, শোঁ শোঁ ইত্যাদি।

- কিছু ক্ষেত্রে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বের মাঝখানে স্বরধ্বনির আগমন ঘটে।
যেমন: খপাখপ, হবাগব, ঝটাঝট, ফটাফট, দমাদম, পটাপট।

উৎস:বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)।
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব:
কোনো প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যেসব শব্দ তৈরি হয়, সেগুলোকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলে।
যেমন- ঠন একটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ। ঠন শব্দটি পর পর দুই বার বা কখনো ততোধিক বার ব্যবহৃত হলে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব সৃষ্টি হয়।

- কয়েকটি ধ্বন্যাত্বক দ্বিত্বের উদাহরণ:
চকচক, জ্বলজ্বল, থকথকে, কুট কুট, কোঁত কোঁত, কুটুস কুটুস, খক খক, খুটুর খুটুর, টুং টুং, ঢং ঢং, ঝমঝম, ধুপ ধুপ, শোঁ শোঁ ইত্যাদি।

- কিছু ক্ষেত্রে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বের মাঝখানে স্বরধ্বনির আগমন ঘটে।
যেমন: খপাখপ, হবাগব, ঝটাঝট, ফটাফট, দমাদম, পটাপট।

উৎস:বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)।
- একই শব্দ পরপর দুই বার ব্যবহৃত হলে তাকে দ্বিরুক্ত শব্দ বলে । 

দ্বিরুক্ত শব্দের প্রকারভেদ
দ্বিরুক্ত শব্দ মূলত তিন প্রকার। যথা :
ক. শব্দের দ্বিরুক্তি : একই শব্দ দুবার ব্যবহারকে শব্দের দ্বিরুক্তি বলে। যেমন : ভালো ভালো ফল, ফোঁটা ফোঁটা পানি, বড় বড় দালান ইত্যাদি।

খ. পদের দ্বিরুক্তি : একই পদ দুবার ব্যবহার হলে তাকে পদের দ্বিরুক্তি বলে। যেমন : ঘরে ঘরে, দেশে দেশে, মনে মনে ইত্যাদি।

গ. অনুকার দ্বিরুক্তি : কোনো কিছুর ধ্বনি, ডাক, আওয়াজ ও কাল্পনিক অনুকৃতিবিশিষ্ট শব্দের রূপকে অনুকার দ্বিরুক্তি বলে। যেমন : মিউমিউ, ঘেউঘেউ, টাপুর টুপুর ইত্যাদি।
বিভিন্ন পদরূপে ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্ত শব্দের ব্যবহার-
বিশেষ্য- বৃষ্টির ঝমঝমানি আমাদের অস্থির করে তোলে,
বিশেষণ- নামিল নভে বাদল ছলছল বেদনায়,
ক্রিয়া- কলকলিয়ে উঠিল সেথায় নারীর প্রতিবাদ,
ক্রিয়া বিশেষণ- চিকচিক করে বালি কোথা নাই কাদা।
বিভিন্ন পদরূপে ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্ত শব্দের ব্যবহার-
বিশেষ্য- বৃষ্টির ঝমঝমানি আমাদের অস্থির করে তোলে,
বিশেষণ- নামিল নভে বাদল ছলছল বেদনায়,
ক্রিয়া- কলকলিয়ে উঠিল সেথায় নারীর প্রতিবাদ,
ক্রিয়া বিশেষণ- চিকচিক করে বালি কোথা নাই কাদা।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
উচ্চারণের সময় শব্দ মধ্যস্থিত কোনো বর্ণ দুবার উচ্চারিত হলে তাকে বর্ণ দ্বিত্ব বলে। যথা- ছোট>ছোট্ট, বড়>বড্ড, একেবারে>এক্কেবারে, এতটুকু>এত্তটুকু ইত্যাদি।
বিভিন্ন পদরূপে ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্ত শব্দের ব্যবহার-
বিশেষ্য- বৃষ্টির ঝমঝমানি আমাদের অস্থির করে তোলে,
বিশেষণ- নামিল নভে বাদল ছলছল বেদনায়,
ক্রিয়া- কলকলিয়ে উঠিল সেথায় নারীর প্রতিবাদ,
ক্রিয়া বিশেষণ- চিকচিক করে বালি কোথা নাই কাদা।




- বাংলা ভাষায় কোনো কোনো শব্দ, পদ বা অনুকার শব্দ একবার ব্যবহার করলে যে অর্থ প্রকাশ করে, সেগুলোকে দুইবার ব্যবহার করলে অন্য কোনো সম্প্রসারিত অর্থ প্রকাশ করে।
- এ ধরনের শব্দের পরপর দুইবার প্রয়োগেই দ্বিরুক্ত শব্দ গঠিত হয়।
- একই শব্দ পরপর দুই বার ব্যবহৃত হলে তাকে দ্বিরুক্ত শব্দ বলে।
- যেমন: ডেকে ডেকে হয়রান হচ্ছি। প্রসন্ত বাক্যে 'ডেকে ডেকে' দ্বিরুক্ত শব্দ দ্বারা ক্রিয়াবাচক শব্দের পৌনঃপুনিকতা বোঝানো হয়েছে।
বাংলা ভাষায় বিভক্তিযুক্ত একটি পদের দুবার ব্যবহারকে পদাত্মক দ্বিরুক্তি বলে। যেমন- হাটে হাটে বিকিয়ে তোর ভরা আপণ। ভয়ে ভয়ে এগিয়ে গেলাম। এ দুই বাক্যে পদাত্মক দিরুক্তির প্রয়োগ ঘটেছে।


ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- যে সকল অব্যয় রব, শব্দ বা ধ্বনির অনুকরণে গঠিত হয়, তাকে ধ্বন্যাত্মক অব্যয় বলে। এ জাতীয় ধ্বন্যাত্মক শব্দের দুবার প্রয়োগের নাম ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি।

- ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি দ্বারা বহুত্ব বা আধিক্য ইত্যাদি বোঝায়। যেমন: বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদেয় এল বান।

- প্রদত্ত উদাহরণে ‘টাপুর টুপুর' ধ্বন্যাত্মক শব্দটি বৃষ্টির ধ্বনির অবস্থাকে প্রকাশ করেছে।

- উদাহরণ: গড়গড়, ধরা ধরি, শন শন, কুহু কুহু ইত্যাদি।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0