Loading [MathJax]/jax/output/HTML-CSS/fonts/TeX/fontdata.js
 
দ্বিরুক্ত শব্দ (144 টি প্রশ্ন )
- পরপর প্রয়ােগ হওয়া কাছাকাছি চেহারার শব্দকে অনুকার দ্বিত্ব বলে।
- এতে প্রথম শব্দটি অর্থপূর্ণ হলেও প্রায় ক্ষেত্রে দ্বিতীয় শব্দটি অর্থহীন হয় এবং প্রথম শব্দের অনুকরণে তৈরি হয়।
- এই অনুকরণ প্রক্রিয়ায় দ্বিতীয় শব্দের শুরুতে ট, ফ, ব, ম, শ প্রভৃতি ধ্বনি যুক্ত থাকতে দেখা যায়।
যেমন- অঙ্ক-টঙ্ক, আম-টাম, কেক-টেক, ঘর-টর, গরু-টরু, ছাগল-টাগল, ঝাল-টাল, হেন-তেন, লুচিফুচি, টাটু-ফাটু, আগড়ম-বাগড়ম, চাকর-বাকর, এলােমেলাে, ঝিকিমিকি, কচর-মচর, ঝিলমিল, শেষ মেষ, অল্পসল্প, বুদ্ধিশুদ্ধি, গুটিশুটি, মােটাসােটা, নরম-সরম, ব্যাপার-স্যাপার, বুঝেসুঝে।
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বঃ কোনাে প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যেসব শব্দ তৈরি হয়, সেগুলােকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলে। যেমন –ঠন একটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ। কোনাে ধাতব পদার্থের সঙ্গে অন্য কোনাে ধাতব পদার্থের সংঘর্ষে এই ধরনের ধ্বনি তৈরি হয়। ঠন শব্দটি পরপর দুই বার বা কখনাে ততােধিক বার ব্যবহৃত হলে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব সৃষ্টি হয়। যেমন –কুটুস-কুটুস, খক খক, খুটুর-খুটুর, টুং টুং, ঠুক ঠুক, ধুপ ধুপ, দুম দুম, ঢং ঢং, ইত্যাদি।
-অভিন্ন বা সামান্য পরিবর্তিত চেহারায় কোনাে শব্দ পরপর দুইবার ব্যবহৃত হলে তাকে শব্দদ্বিত্ব বলে।
-শব্দদ্বিত্ব তিন ধরনের: অনুকার দ্বিত্ব, ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব ও পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব। 
-অনুকার দ্বিত্বঃ পরপর প্রয়ােগ হওয়া কাছাকাছি চেহারার শব্দকে অনুকার দ্বিত্ব বলে। এতে প্রথম শব্দটি অর্থপূর্ণ হলেও প্রায় ক্ষেত্রে দ্বিতীয় শব্দটি অর্থহীন হয় এবং প্রথম শব্দের অনুকরণে তৈরি হয়, যেমন-অঙ্ক-টঙ্ক, আম-টাম, কেক-টেক, ঘর-টর
 
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বঃ কোনাে প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যেসব শব্দ তৈরি হয়, সেগুলােকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলে। যেমন –ঠন একটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ। কোনাে ধাতব পদার্থের সঙ্গে অন্য কোনাে ধাতব পদার্থের সংঘর্ষে এই ধরনের ধ্বনি তৈরি হয়। ঠন শব্দটি পরপর দুই বার বা কখনাে ততােধিক বার ব্যবহৃত হলে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব সৃষ্টি হয়। যেমন –কুটুস-কুটুস, খক খক, খুটুর-খুটুর, টুং টুং, ঠুক ঠুক, ধুপ ধুপ, দুম দুম, ঢং ঢং, ইত্যাদি।

পুনরাবৃত্ত দ্বিত্বঃ পুনরায় আবৃত্ত হলে তাকে পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব বলে। পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব বিভক্তিহীন বা বিভক্তিযুক্ত হতে পারে। যেমন – জ্বর জ্বর, পর পর, কবি কবি, হাতে হাতে, কথায় কথায়, জোরে জোরে ইত্যাদি।

(নবম-দশম শ্রেনীর পুরাতন বইয়ে এই অধ্যায়টার নাম ছিল দ্বিরুক্ত শব্দ এবং ধন্যাত্মক ও অনুকার কে একই বলা হলেও নতুন বইয়ে এই অধ্যায়ের নাম শব্দদ্বিত্ব এবং ধন্যাত্মক ও অনুকার কে আলাদাভাবে দেখানো হয়েছে)

- যে সকল অব্যয় রব, শব্দ বা ধ্বনির অনুকরণে গঠিত হয়, তাকে অনুকার অব্যয় বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয় বলে।
- এ জাতীয় ধ্বন্যাত্মক শব্দের দুবার প্রয়োগের নাম ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি। ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি দ্বারা বহুত্ব বা আধিক্য ইত্যাদি বোঝায়।
- যেমন: বাতাসের গতি → শন শন; মেঘের গর্জন  → গুড় গুড়; কোকিলের রব → কুহু কুহু ।
- অভিন্ন বা সামান্য পরিবর্তিত চেহারায় কোনাে শব্দ পরপর দুইবার ব্যবহৃত হলে তাকে শব্দদ্বিত্ব বলে।
- শব্দদ্বিত্ব তিন ধরনের: অনুকার দ্বিত্ব, ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব ও পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব। 
- অনুকার দ্বিত্বঃ পরপর প্রয়ােগ হওয়া কাছাকাছি চেহারার শব্দকে অনুকার দ্বিত্ব বলে। এতে প্রথম শব্দটি অর্থপূর্ণ হলেও প্রায় ক্ষেত্রে দ্বিতীয় শব্দটি অর্থহীন হয় এবং প্রথম শব্দের অনুকরণে তৈরি হয়, যেমন-অঙ্ক-টঙ্ক, আম-টাম, কেক-টেক, ঘর-টর
 
- ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বঃ কোনাে প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যেসব শব্দ তৈরি হয়, সেগুলােকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলে।
যেমন –ঠন একটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ। কোনাে ধাতব পদার্থের সঙ্গে অন্য কোনাে ধাতব পদার্থের সংঘর্ষে এই ধরনের ধ্বনি তৈরি হয়। ঠন শব্দটি পরপর দুই বার বা কখনাে ততােধিক বার ব্যবহৃত হলে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব সৃষ্টি হয়। যেমন –কুটুস-কুটুস, খক খক, খুটুর-খুটুর, টুং টুং, ঠুক ঠুক, ধুপ ধুপ, দুম দুম, ঢং ঢং, ইত্যাদি।

পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব: পুনরায় আবৃত্ত হলে তাকে পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব বলে। পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব বিভক্তিহীন বা বিভক্তিযুক্ত হতে পারে।
যেমনঃ
- বিভক্তিহীন পুনরাবৃত্ত: ভালাে ভালাে (কথা), কত কত (লােক), হঠাৎ হঠাৎ (ব্যথা), ঘুম ঘুম (চোখ), উড় উড়ু (মন), গরম গরম (জিলাপি), হায় হায় (করা)।
- বিভক্তিযুক্ত পুনরাবৃত্ত: কথায় কথায় (বাড়া), মজার মজার (কথা), ঝাঁকে ঝাঁকে (চলা), চোখে চোখে (রাখা), মনে মনে (হাসা), সুরে সুরে (বলা), পথে পথে (হাঁটা)।
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব:
কোনো প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যেসব শব্দ তৈরি হয়, সেগুলোকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলে।
যেমন- ঠন একটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ। ঠন শব্দটি পর পর দুই বার বা কখনো ততোধিক বার ব্যবহৃত হলে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব সৃষ্টি হয়।

- কয়েকটি ধ্বন্যাত্বক দ্বিত্বের উদাহরণ:
চকচক, জ্বলজ্বল, থকথকে, কুট কুট, কোঁত কোঁত, কুটুস কুটুস, খক খক, খুটুর খুটুর, টুং টুং, ঢং ঢং, ঝমঝম, ধুপ ধুপ, শোঁ শোঁ ইত্যাদি।

- কিছু ক্ষেত্রে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বের মাঝখানে স্বরধ্বনির আগমন ঘটে।
যেমন: খপাখপ, হবাগব, ঝটাঝট, ফটাফট, দমাদম, পটাপট।

উৎস:বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)।
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব:
কোনো প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যেসব শব্দ তৈরি হয়, সেগুলোকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলে।
যেমন- ঠন একটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ। ঠন শব্দটি পর পর দুই বার বা কখনো ততোধিক বার ব্যবহৃত হলে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব সৃষ্টি হয়।

- কয়েকটি ধ্বন্যাত্বক দ্বিত্বের উদাহরণ:
চকচক, জ্বলজ্বল, থকথকে, কুট কুট, কোঁত কোঁত, কুটুস কুটুস, খক খক, খুটুর খুটুর, টুং টুং, ঢং ঢং, ঝমঝম, ধুপ ধুপ, শোঁ শোঁ ইত্যাদি।

- কিছু ক্ষেত্রে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বের মাঝখানে স্বরধ্বনির আগমন ঘটে।
যেমন: খপাখপ, হবাগব, ঝটাঝট, ফটাফট, দমাদম, পটাপট।

উৎস:বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)।
- একই শব্দ পরপর দুই বার ব্যবহৃত হলে তাকে দ্বিরুক্ত শব্দ বলে । 

দ্বিরুক্ত শব্দের প্রকারভেদ
দ্বিরুক্ত শব্দ মূলত তিন প্রকার। যথা :
ক. শব্দের দ্বিরুক্তি : একই শব্দ দুবার ব্যবহারকে শব্দের দ্বিরুক্তি বলে। যেমন : ভালো ভালো ফল, ফোঁটা ফোঁটা পানি, বড় বড় দালান ইত্যাদি।

খ. পদের দ্বিরুক্তি : একই পদ দুবার ব্যবহার হলে তাকে পদের দ্বিরুক্তি বলে। যেমন : ঘরে ঘরে, দেশে দেশে, মনে মনে ইত্যাদি।

গ. অনুকার দ্বিরুক্তি : কোনো কিছুর ধ্বনি, ডাক, আওয়াজ ও কাল্পনিক অনুকৃতিবিশিষ্ট শব্দের রূপকে অনুকার দ্বিরুক্তি বলে। যেমন : মিউমিউ, ঘেউঘেউ, টাপুর টুপুর ইত্যাদি।
বিভিন্ন পদরূপে ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্ত শব্দের ব্যবহার-
বিশেষ্য- বৃষ্টির ঝমঝমানি আমাদের অস্থির করে তোলে,
বিশেষণ- নামিল নভে বাদল ছলছল বেদনায়,
ক্রিয়া- কলকলিয়ে উঠিল সেথায় নারীর প্রতিবাদ,
ক্রিয়া বিশেষণ- চিকচিক করে বালি কোথা নাই কাদা।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
বিভিন্ন পদরূপে ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্ত শব্দের ব্যবহার-
বিশেষ্য- বৃষ্টির ঝমঝমানি আমাদের অস্থির করে তোলে,
বিশেষণ- নামিল নভে বাদল ছলছল বেদনায়,
ক্রিয়া- কলকলিয়ে উঠিল সেথায় নারীর প্রতিবাদ,
ক্রিয়া বিশেষণ- চিকচিক করে বালি কোথা নাই কাদা।




বাংলা ভাষায় কোনো কোনো শব্দ, পদ বা অনুকার শব্দ একবার ব্যবহার করলে যে অর্থ প্রকাশ করে, সেগুলোকে দুইবার ব্যবহার করলে অন্য কোনো সম্প্রসারিত অর্থ প্রকাশ করে। এ ধরনের শব্দের পরপর দুইবার প্রয়োগেই দ্বিরুক্ত শব্দ গঠিত হয়। একই শব্দ পরপর দুই বার ব্যবহৃত হলে তাকে দ্বিরুক্ত শব্দ বলে।
যেমন: ডেকে ডেকে হয়রান হচ্ছি। প্রসন্ত বাক্যে 'ডেকে ডেকে' দ্বিরুক্ত শব্দ দ্বারা ক্রিয়াবাচক শব্দের পৌনঃপুনিকতা বোঝানো হয়েছে।
বাংলা ভাষায় বিভক্তিযুক্ত একটি পদের দুবার ব্যবহারকে পদাত্মক দ্বিরুক্তি বলে। যেমন- হাটে হাটে বিকিয়ে তোর ভরা আপণ। ভয়ে ভয়ে এগিয়ে গেলাম। এ দুই বাক্যে পদাত্মক দিরুক্তির প্রয়োগ ঘটেছে।



ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন



কোনো কিছুর স্বাভাবিক বা কাল্পনিক অনুকৃতিবিশিষ্ট শব্দের রূপকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলে। এ জাতীয় ধ্বন্যাত্মক শব্দের দুইবার প্রয়োগের নাম ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি।

অনুকার বা ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি গঠন :-
১. একই (ধ্বন্যাত্মক) শব্দের অবিকৃত প্রয়োগ : ধক ধক, ঝন ঝন, পট পট।
২. প্রথম শব্দটির শেষে আ-যোগ করে : গপা-গপ, টপা-টপ, পটা-পট।
৩. দ্বিতীয় শব্দটির শেষে ই-যোগ করে : ধরা-ধরি, ঝম-ঝমি, ঝন-ঝনি।
৪. যুগ্মরীতিতে গঠিত ধ্বন্যাত্মক শব্দ : কিচির মিচির (পাখি বা বানরের শব্দ), টাপুর টুপুর (বৃষ্টি পতনের শব্দ), হাপুস হুপুস (গোস্লাসে কিছু খাওয়ার শব্দ)।

বিভিন্ন পদরূপে ধ্বন্যাত্মক দ্বিভুক্ত শব্দের ব্যবহার :-
১. বিশেষ্য : বৃষ্টির ঝম-ঝমানি আমাদের অস্থির করে তোলে।
২. বিশেষণ : নামিল নতে বাদল ছল-ছল বেদনায়।
७. ক্রিয়া : কল-কলিয়ে উঠল নারীর প্রতিবাদ।
৪. ক্রিয়া বিশেষণ : চিক-চিক করে বালি কোথাও নাই কাঁদা।
৫. অব্যয়জাত বিশেষণ গঠনে:
টনটন - টনটনে (জ্ঞান),
কনকন - কনকনে (শীত),
গনগন - গনগনে (আগুন),
চকচক - চকচকে (জুতা)।

একই শব্দ পরপর দুই বার ব্যবহৃত হলে তাকে দ্বিরুক্ত শব্দ বলে । যেমন -আমার জ্বর জ্বর লাগছে (এখানে ঠিক জ্বর নয়, জ্বরের ভাব অর্থে প্রয়োগ হয়েছে ) ।
ক্রিয়াবাচক শব্দের দ্বিরুক্তি যোগে গঠিত বিশেষণ রুপ: এ দিকে রোগীর তো যায় যায় অবস্থা ।

দ্বিরুক্ত শব্দের প্রকারভেদ
দ্বিরুক্ত শব্দ মূলত তিন প্রকার। যথা :
ক. শব্দের দ্বিরুক্তি : একই শব্দ দুবার ব্যবহারকে শব্দের দ্বিরুক্তি বলে। যেমন : ভালো ভালো ফল, ফোঁটা ফোঁটা পানি, বড় বড় দালান ইত্যাদি।

খ. পদের দ্বিরুক্তি : একই পদ দুবার ব্যবহার হলে তাকে পদের দ্বিরুক্তি বলে। যেমন : ঘরে ঘরে, দেশে দেশে, মনে মনে ইত্যাদি।

গ. অনুকার দ্বিরুক্তি : কোনো কিছুর ধ্বনি, ডাক, আওয়াজ ও কাল্পনিক অনুকৃতিবিশিষ্ট শব্দের রূপকে অনুকার দ্বিরুক্তি বলে। যেমন : মিউমিউ, ঘেউঘেউ, টাপুর টুপুর ইত্যাদি।


যে সকল অব্যয় রব, শব্দ বা ধ্বনির অনুকরণে গঠিত হয তাদেরকে ধ্বন্যাত্মক অব্যয় বলে। এ জাতীয় ধ্বন্যাত্মক শব্দের দুবার প্রয়োগের নাম অনুকার দ্বিরুক্তি। অনুকার দ্বিরুক্তি দ্বারা বহুত্ব বা আধিক্য ইত্যাদি বোঝায়। যেমন: শন শন করে বাতাস বইছে। প্রদত্ত উদাহরণে ‘শন শন' অনুকার ধ্বন্যাত্মক অব্যয়টি বাতাসের প্রবাহমানকতাকে তীব্রতা অর্থে প্রকাশ করেছে।
অনুকার দ্বিত্বের উদাহরণ হলো ঝমঝম। উল্লেখ্য অব্যয় পদ বিভিন্নভাবে গঠিত হতে পারে। যেমনঃ
১. একটিমাত্র বর্ণ বা শব্দখন্ড বা শব্দ দ্বারা। যমনঃ তো,বটে,হু,হা ইত্যাদি
২. একাধিক অব্যয় শব্দযোগেঃ নতুবা,অথবা,অতএব,কদাপি ইত্যাদি।
৩. একই শব্দের দুবার প্রয়োগেঃ হায় হায়, ছিঃ ছিঃ, ধিক্ ধিক্, বেশ বেশ ইত্যাদি।
৪. দুটো ভিন্ন শব্দযোগেঃ যাহোক, যেহেতু,মোটকথা,নইলে,হয়ত ইত্যাদি।
৫. অনুকার শব্দযোগেঃ ঝমঝম, টুপটাপ,কুহু কুহু,গুনগুন,ঘেউ ঘেউ, শন শন, কনকন ইত্যাদি।
৬. তৎসম প্রত্যয় এর সঙ্গে ত প্রত্যয় যোগ করে (ধর্মত,প্রথমত, স্পষ্টত,ইত্যাদি)।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
অনেক সময় বিশেষ্য ও বিশেষণ পদের দ্বিত্ব প্রয়োগেও বহুবচন সাধিত হয়। 
এরকম দ্বিত্ব প্রয়োগে বহুবচনের কিছু উদাহরণ:
- হাঁড়ি হাঁড়ি সন্দেশ।
- কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা।
- লাল লাল ফুল
- পাকা পাকা আম।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0