ক্রিয়ার কাল (101 টি প্রশ্ন )
যখন কোনও আদেশ, অনুরোধ বা প্রার্থনা ভবিষ্যতের জন্য করা হয় তখন তাকে ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা বলা হয়। যেমন:
আগামীকাল আমার বাড়ি আসিস কিন্তু।
কাজটা করে যেও ইত্যাদি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে ক্রিয়া কিছু আগে শেষ হয়েছে কিন্তু তার ফল এখনো রয়েছে তাকে পুরাঘটিত বর্তমান কাল বলে । যেমন- এবার আমি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- যে ক্রিয়া অতীত কালে সাধারণভাবে সংঘটিত হয়েছে অর্থাৎ বর্তমান কালের পূর্বে সংঘটিত হয়েছে , তাকে সাধারণ অতীত কাল বলা হয়।
যেমন:
- প্রদীপ নিভে গেল।
- আমি কাজটি করলাম।
- আমি খেলা দেখে এলাম।
- বিড়াল ইঁদুরটিকে ধরল।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- 'চিৎকার করছে' কোনো বিশেষ্য, বিশেষণ বা ক্রিয়া-বিশেষণ নয়, বরং এটি একটি সম্পূর্ণ ক্রিয়া যা বাক্যের মূল কাজটি বর্ণনা করছে। তাই এটি ক্রিয়াবর্গের অন্তর্গত।
- বিশেষ্যবর্গ: বিশেষ্য নাম, বস্তু, স্থান ইত্যাদি নির্দেশ করে। যেমন: 'বাচ্চা', 'চিৎকার'।
- বিশেষণবর্গ: বিশেষণ বিশেষ্যের গুণ বা বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। যেমন: 'ছোট', 'উচ্চ'।
- ক্রিয়া-বিশেষণবর্গ: ক্রিয়া-বিশেষণ ক্রিয়াপদের বিশেষণ হিসেবে কাজ করে। যেমন: 'ধীরে', 'জোরে'।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে ক্রিয়া বর্তমানে সাধারণভাবে ঘটে তাকে সাধারণ বর্তমান বলে। যেমন- সে ভাত খায়, আমি বাড়ি যাই ইত্যাদি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ কাজ সম্পন্ন করে তাকে ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক বা কর্তা কারক বলে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে সর্বনাম পদ দ্বারা ব্যক্তির পার্থক্য বোঝায় বাংলা ব্যাকরণে সে সর্বনাম পদকে পুরুষ বলে। পুরুষ তিন প্রকার ।যথা-উত্তম,মধ্যম ও নাম পুরুষ ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
-ইতে জাত -তে প্রত্যয় যোগে গঠিত অসমাপিকা ক্রিয়া সাধারণত শব্দটিতে একটি নিমিত্তের অর্থ দেয়। । যেমন- "দেখতে এসেছি" মানে দেখার জন্য বা দেখার নিমিত্তে এসেছি। তবে নানা সংগঠনের ক্ষেত্রে -তে প্রত্যয় ভিন্ন অর্থও ব্যক্ত করে। যেমন- দেখতে হবে। রখানে -তে প্রত্যয় নিমিত্ত রূপে কাজ করে না।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বিশিষ্টার্থক বাগধারায় দ্বিরুক্ত শব্দের প্রয়োগ
সতর্কতা বোঝাতে               : ছেলেটিকে চোখে চোখে রেখো।
ভাবের প্রগাঢ়তা বোঝাতে      : ভুলগুলো তুই আনরে বাছা বাছা।
কালের বিস্তার বোঝাতে        : থেকে থেকে শিশুটি কাঁদছে।
আধিক্য বোঝাতে                : লোকটা হাড়ে হাড়ে শয়তান।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে বাক্যে আদেশ, উপদেশ, অনুরোধ ইত্যাদি প্রকাশ করা হয় সেই বাক্যকে অনুজ্ঞাবাচক বাক্য বলে ।কিছু আদেশ্মুলক বাক্য-
-বাজার করে নিয়ে আয়।
-পড়তে বস।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
ক্রিয়ার যে অবস্থার দ্বারা দ্বারা তা ঘটার ধরণ বা রীতি প্রকাশ পায়, তাকে ক্রিয়ার ভাব বলে। ক্রিয়ার ভাব চার প্রকার। যথা- নির্দেশক ভাব, অনুজ্ঞা ভাব, সাপেক্ষ ভাব, আকাঙ্ক্ষা প্রকাশক ভাব।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বিশেষ্য, বিশেষণ, ও ধ্বনাত্মক অন্যয়ের সঙ্গে কর, হ, দে, পা, যা, কাট্‌, গা, ছাড়, ধর্‌, মার্‌ প্রভৃতি ধাতুযোগে গঠিত ক্রিয়াপদ বিশেষ বিশেষ অর্থে মিশ্র ক্রিয়া গঠন করে। উক্ত বাক্যটি- " আমরা তাজমহল দর্শন করলাম" বিশেষ্যের উত্তর বুঝানোর অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অন্যান্য উদাহরণ- গোল্লায় যাও ইত্যাদি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যখন কাওকে কিছু করতে বলা হয় যেমন অনুরোধ বা আদেশ করা, তখন বর্তমান কালের সেই অবস্থাকে বর্তমান অনুজ্ঞা বলা হয়। যেমন: আমার প্রণাম নিও, কলমটা ডাও।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে ক্রিয়ার কাজটি বর্তমানে সাধারণভাবে ঘটে বা হয় এবং যা দ্বারা স্বাভাবিকতা বা অভ্যস্ততা বুঝায়, তাকে সাধারণ বর্তমান বা নিত্যবৃত্ত বর্তমান কাল বলা হয়। 
যেমন : 
- সকালে সূর্য ওঠে। 
- কে জানে দেশে আবার সুদিন আসবে কি না- বাক্যটি অনিশ্চয়া প্রকাশে নিত্যবৃত্ত বর্তমান কালের প্রয়োগ।

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
অতীত কালে যে ক্রিয়া সাধারণত অভ্যস্ততা অর্ধে ব্যবহৃত হয়, তাকে নিত্যবৃত্ত অতীত কাল বলে। যেমন: প্রতিদিন ফুল ফুটত । আগে প্রতি বছর এখানে খেলা হতো। আমরা তখন রোজ সকালে নদীতীরে ভ্রমণ করতাম।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে সর্বনামের দ্বারা বাক্যের বক্তা নিজেকে বোঝায় এমন সর্বনাম পদ হচ্ছে বক্তা পক্ষ বা উত্তম পুরুষ। যেমন- আমি, আমরা, আমাদের। উত্তম পুরুষের অনুজ্ঞা পদ হতে পারে না। কারণ কেউ নিজেকে আদেশ করতে পারে না।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
অনুপস্থিত যার সম্পর্কে কিছু বলা হয় সে প্রথম পুরুষ। যেমন:- সে, তারা, তাদের, তিনি ইত্যাদি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
কর্মপদের ভূমিকা অনুসারে ক্রিয়াপদ চার প্রকার। যথা- সকর্মক ক্রিয়া, অকর্মক ক্রিয়া, দ্বিকর্মক ক্রিয়া, প্রয়োজক ক্রিয়া।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
আদেশ, অনুরোধ, অনুমতি, প্রার্থনা, অনুনয় প্রভৃতি অর্থে বর্তমান এবং ভবিষ্যত কালে মধ্যম পুরুষে ক্রিয়াপদের যেরূপ হয় তাকে অনুজ্ঞা পদ বলে।
যেমনঃ
- উপদেশঃ সত্য গোপন কর না
- অনুরোধঃ আমার কাজটি এখন কর
- আদেশ : তুমি যাও,
- প্রার্থনাঃ আমার দরখাস্তটা পড়ুন,
সোর্সঃ শীকর বাংলা
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।

যখন কাওকে কিছু করতে বলা হয় যেমন অনুরোধ বা আদেশ করা, তখন বর্তমান কালের সেই অবস্থাকে বর্তমান অনুজ্ঞা বলা হয়। যেমন: আমটা খাও.

অন্যদিকে,
- সবাই এখানে আসুন (আমন্ত্রণ অর্থে)।
- সুখী হও (আশীর্বাদ অর্থে)।
- নিজের দিকে খেয়াল রাখ (উপদেশ অর্থে)।


ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0