ক্রিয়ার কাল (74 টি প্রশ্ন )
অতীত কালে যে কাজ চলছিল এবং যে সময়ের কথা বলা হয়েছে, তখনো কাজটি সমাপ্ত হয়নি, ক্রিয়া সংঘটনের এরূপ ভাব বোঝালে ক্রিয়ার ঘটমান অতীত কাল হয়। দেখাশোনা করছিলেন। তারা মাঠে খেলছিল। কাল সন্ধ্যায়। যেমন: আমরা তখন বই পড়ছিলাম। বাবা আমাদের। বৃষ্টি পড়ছিল। আমরা তখন বই পড়ছিলাম।

ক্রিয়ার কাল বলতে বোঝায় ক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার সময়কে। বাংলা ব্যাকরণে ক্রিয়ার কাল প্রধানত তিন প্রকার—বর্তমান, অতীত ও ভবিষ্যৎ।

তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্রিয়ার কাল তার স্বাভাবিক নিয়ম মেনে চলে না। ক্রিয়ার এই ধরনের ব্যতিক্রমী প্রয়োগকে ক্রিয়ার কালের বিশিষ্ট প্রয়োগ বলা হয়।

যেমন, সাধারণ ভবিষ্যৎ কালের ক্রিয়ার বিশিষ্ট প্রয়োগ-এর ক্ষেত্রে একটি ঘটনা অতীতে ঘটলেও ক্রিয়াপদটি ভবিষ্যৎ কালের রূপ নেয়। আপনার দেওয়া উদাহরণটি এর একটি চমৎকার দৃষ্টান্ত:

"তোমরা হয়ত ছয় দফার কথা শুনে থাকবে।"

এই বাক্যে 'শুনে থাকবে' ক্রিয়াপদটি ভবিষ্যৎ কালের হলেও, ছয় দফার কথা শোনার ঘটনাটি কিন্তু অতীতে ঘটেছে। এটিই ক্রিয়ার কালের বিশিষ্ট প্রয়োগের একটি উদাহরণ।


যে সকল ক্রিয়া দ্বারা কোন কাজ অনির্দিষ্টভাবে ভবিষ্যতে হইবে বা ঘটবে এইরূপ বুঝালে সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল হয়। অথবা, ভবিষ্যৎ কালে যে কাজ সাধারণভাবে সম্পন্ন হবে বোঝায়, তাকে সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল বলে।

চিনিবার উপাই(Identification):- বাংলা বাক্যের ক্রিয়ার শেষে ব, বে, বেন ইত্যাদি চিহ্ন থাকবে। যেমন আমি স্কুলে যাব।

যেমনঃ
- আমি রাস্তার মোড়ে তোমার জন্য অপেক্ষা করব।
- আমরা সবাই পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করব।
- আজ থেকে আমরা ইংরেজিতে কথা বলতে আরম্ভ করব।
- আগামীকাল আমি রুবিকে একটি স্বর্ণের চেইন উপহার দিব।
- সাধারণ বর্তমান কাল (Present Indefinite Tense) এমন কাল যা নিয়মিত ঘটে এমন ঘটনা, অভ্যাস বা সার্বজনীন সত্য প্রকাশ করে।
- "বিপদ যখন আসে, তখন এমনি করেই আসে।" এখানে ক্রিয়াটি নির্দেশ করছে এমন একটি কাল যা সাধারণত নিয়মিত বা সত্য ঘটনা বোঝায়, যা সময়ের সাথে সম্পর্কিত নয়, বরং সার্বজনীন সত্য বা অভ্যাসগত ঘটনা।
- বাক্যের ক্রিয়া "আসে" এবং "করেই আসে" সাধারণ বর্তমান কাল নির্দেশ করে, যা নিয়মিত বা অভ্যাসগত সত্য বোঝায়।
- এখানে বিপদ আসার ঘটনা কোনো নির্দিষ্ট অতীত বা ভবিষ্যৎ সময়ে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি একটি সার্বজনীন সত্য বা নিয়মিত ঘটনা হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। তাই এটি সাধারণ বর্তমান কাল।

কেবল বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের বচনভেদ হয়। কখনোই বিশেষণ পদের বচনভেদ হয় না। কিন্তু কোন বিশেষণবাচক শব্দ যদি কোন বাক্যে বিশেষ্য পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তখন তা বিশেষ্য পদ হয়, এবং কেবল তখনই তার বচনভেদ হয়। [পদ প্রকরণ]

বাংলায় বহুবচন বোঝানোর জন্য কতগুলো শব্দ বা শব্দাংশ (বিভক্তি) ব্যবহৃত হয়। এগুলোর অধিকাংশই এসেছে সংস্কৃত ভাষা থেকে। অর্থাৎ, বলা যায়, এগুলোর বেশিরভাগই তৎসম শব্দ বা শব্দাংশ। যেমন- রা, এরা, গুলা, গুলি, গুলো, দিগ, দের (শব্দাংশ বা বিভক্তি); সব, সকল, সমুদয়, কুল, বৃন্দ, বর্গ, নিচয়, রাজি, রাশি, পাল, দাম, নিকর, মালা, আবলি (শব্দ)।


যে সকল ক্রিয়া দ্বারা কোন কাজ অনির্দিষ্টভাবে ভবিষ্যতে হইবে বা ঘটবে এইরূপ বুঝালে সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল হয়। অথবা, ভবিষ্যৎ কালে যে কাজ সাধারণভাবে সম্পন্ন হবে বোঝায়, তাকে সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল বলে।

চিনিবার উপাই(Identification):- বাংলা বাক্যের ক্রিয়ার শেষে ব, বে, বেন ইত্যাদি চিহ্ন থাকবে। যেমন আমি স্কুলে যাব।

যেমনঃ
- আমি রাস্তার মোড়ে তোমার জন্য অপেক্ষা করব।
- আমরা সবাই পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করব।
- আজ থেকে আমরা ইংরেজিতে কথা বলতে আরম্ভ করব।
- আগামীকাল আমি রুবিকে একটি স্বর্ণের চেইন উপহার দিব।
- উত্তম পুরুষ হল বক্তা বা নিজের সম্পর্কে কিছু বলার সময় যে সর্বনাম ও ক্রিয়া ব্যবহার করে।
- উত্তম পুরুষের সর্বনামগুলো হল: আমি, আমরা, আমাকে, আমাদিগকে, আমার, আমাদের ইত্যাদি।
- উত্তম পুরুষের ক্রিয়াপদের বৈশিষ্ট্য হল ক্রিয়ার শেষে "-ই", "-ছি", "-লাম", "-ব" ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।
- বলেছি, করেছি - এই ক্রিয়াপদগুলো উত্তম পুরুষের উদাহরণ।
- এখানে "-ই" এবং "-ছি" বিভক্তি যুক্ত হয়েছে। বক্তা নিজের সম্পর্কে বলছেন "আমি বলেছি", "আমি করেছি"।
- অনুজ্ঞা ভবিষ্যৎ (Imperative Future): এই কালের ক্রিয়াপদ ভবিষ্যৎকালে কোনো আদেশ, অনুরোধ, উপদেশ, বা অনুমতি প্রকাশ করে।
- এই বাক্যটিতে বক্তা শ্রোতাকে ভবিষ্যতে কাজটি তাড়াতাড়ি করার জন্য আদেশ দিচ্ছেন।
- প্রদত্ত বাক্য "তাড়াতাড়ি কাজটি কোরো।" একটি অনুজ্ঞা ভবিষ্যৎ কালের উদাহরণ।
- যে ক্রিয়া অতীত কালে সাধারণভাবে সংঘটিত হয়েছে অর্থাৎ বর্তমান কালের পূর্বে সংঘটিত হয়েছে , তাকে সাধারণ অতীত কাল বলা হয়।
যেমন:
- প্রদীপ নিভে গেল।
- আমি কাজটি করলাম।
- আমি খেলা দেখে এলাম।
- বিড়াল ইঁদুরটিকে ধরল।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
• নামপুরুষ হলো বক্তা বা শ্রোতার অনুপস্থিতিতে তৃতীয় ব্যক্তির কথা বলা।
• সে - এই সর্বনাম ব্যবহার করে তৃতীয় ব্যক্তির কথা বলা হয়।
• আপনি, আমি, এবং তুমি - এই সর্বনামগুলো ব্যবহার করে বক্তা বা শ্রোতার কথা বলা হয়।
- যে ক্রিয়া অতীত কালে চলেছিল, তখনো শেষ হয়নি বোঝায়, তাকে ঘটমান অতীত কাল বলা হয়।

যেমন:
• রিতা ঘুমাচ্ছিল।
• তিনি মেয়েটির চেহারা কেমন জানতে চাইছিলেন।
• সেদিন রাতে আমি সিনেমা দেখছিলাম
- যে ক্রিয়া অতীতে প্রায়ই ঘটত এমন বোঝায়, তাকে নিত্যবৃত্ত অতীত কাল বলা হয়।
- এক্ষেত্রে ক্রিয়ার শেষে ইতাম, ইত, ইতেন, ইতে যুক্ত হয়।
যেমন:
বাবা প্রতিদিন বাজার করতেন।
ছুটিতে প্রতিবছর গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যেতাম।

- নিত্যবৃত্ত অতীতের বিশিষ্ট ব্যবহার:
• অসম্ভব কল্পনায়: এই বাড়ি হতাে যদি রাজার বাড়ি।
• কামনা প্রকাশে: আজ যদি রাসেল আসতাে, কেমন মজা হতাে।
• সম্ভাবনা প্রকাশে: তুমি যদি আসতে, তবে ভালােই হতাে।
ক্রিয়া পূর্বে শেষ হলে এবং তার ফল এখনও বর্তমান থাকলে পুরাঘটিত বর্তমান কাল ব্যবহৃত হয় ।
যেমন - এবার আমি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি, বুকের রক্তে লিখেছি একটি নাম বাংলাদেশ, এতক্ষণ আমি অঙ্ক করেছি ইত্যাদি। 



যে সর্বনাম পদ দ্বারা ব্যক্তির পার্থক্য বোঝায় বাংলা ব্যাকরণে সে সর্বনাম পদকে পুরুষ বলে। পুরুষ তিন প্রকার ।যথা-উত্তম,মধ্যম ও নাম পুরুষ ।


ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

অতীত কালে যে ক্রিয়া সাধারণত অভ্যস্ততা অর্ধে ব্যবহৃত হয়, তাকে নিত্যবৃত্ত অতীত কাল বলে। যেমন: প্রতিদিন ফুল ফুটত । আগে প্রতি বছর এখানে খেলা হতো। আমরা তখন রোজ সকালে নদীতীরে ভ্রমণ করতাম।




বর্তমান কালের পূর্বে যে ক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে তার সংঘটন কালই সাধারণ অতীত কাল। যেমন- প্রদীপ নিভে গেছে, শিকারি পাখিরটিকে গুলি করল।
ক্রিয়া পূর্বে শেষ হলেও তার ফল এখনও বর্তমান থাকলে পুরাঘটিত বর্তমান কাল ব্যবহৃত হয়। যেমন: বুকের রক্তে লিখেছি একটি নাম বাংলাদেশ। এ বার আমি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। এতক্ষণ আমি অঙ্ক করেছি।
ক্রিয়া পূর্বে শেষ হলে এবং তার ফল এখনও বর্তমান থাকলে পুরাঘটিত বর্তমান কাল ব্যবহৃত হয় ।
যেমন - এবার আমি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি ।

- যে কাজ এখনও চলমান তাকে ঘটমান বর্তমান কাল বলে ।
- বর্তমান কালের পূর্বে সংঘটিত ক্রিয়ার কালকে অতীতকাল বলে।
- আর অতীতের কোন ক্রিয়া সাধারণ অভ্যস্ততা বুঝালে নিত্যবৃত্ত অতীত কাল হয় ।
ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্তে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে । বাক্যটি সাধারণ বর্তমান কালের বিশিষ্ট প্রয়োগের ।কারণ , ঘটনা অতীত হলেও এর ফলাফল আজীবন বর্তমান থাকবে ।
 
একইভাবে, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮৯১ সালে মৃত্যুবরণ করেন ।বাক্যটিও সাধারণ বর্তমান কালের বিশিষ্ট প্রয়োগের । এখানেও ঘটনা অতীত কালের কিন্তু ক্রিয়ার কাল বর্তমান ।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0