Solution
Correct Answer: Option B
কোনো কিছুর স্বাভাবিক বা কাল্পনিক অনুকৃতিবিশিষ্ট শব্দের রূপকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলে। এ জাতীয় ধ্বন্যাত্মক শব্দের দুইবার প্রয়োগের নাম ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি।
অনুকার বা ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি গঠন :-
১. একই (ধ্বন্যাত্মক) শব্দের অবিকৃত প্রয়োগ : ধক ধক, ঝন ঝন, পট পট।
২. প্রথম শব্দটির শেষে আ-যোগ করে : গপা-গপ, টপা-টপ, পটা-পট।
৩. দ্বিতীয় শব্দটির শেষে ই-যোগ করে : ধরা-ধরি, ঝম-ঝমি, ঝন-ঝনি।
৪. যুগ্মরীতিতে গঠিত ধ্বন্যাত্মক শব্দ : কিচির মিচির (পাখি বা বানরের শব্দ), টাপুর টুপুর (বৃষ্টি পতনের শব্দ), হাপুস হুপুস (গোস্লাসে কিছু খাওয়ার শব্দ)।
বিভিন্ন পদরূপে ধ্বন্যাত্মক দ্বিভুক্ত শব্দের ব্যবহার :-
১. বিশেষ্য : বৃষ্টির ঝম-ঝমানি আমাদের অস্থির করে তোলে।
২. বিশেষণ : নামিল নতে বাদল ছল-ছল বেদনায়।
७. ক্রিয়া : কল-কলিয়ে উঠল নারীর প্রতিবাদ।
৪. ক্রিয়া বিশেষণ : চিক-চিক করে বালি কোথাও নাই কাঁদা।
৫. অব্যয়জাত বিশেষণ গঠনে:
টনটন - টনটনে (জ্ঞান),
কনকন - কনকনে (শীত),
গনগন - গনগনে (আগুন),
চকচক - চকচকে (জুতা)।