বিরাম চিহ্ন (177 টি প্রশ্ন )
- বাক্যের অর্থ পরিষ্কারভাবে প্রকাশ করার জন্য এবং পড়ার সময় শ্বাস নেওয়ার সুবিধার জন্য বাক্যের মধ্যে বা শেষে যে সকল সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, তাদের যতি চিহ্ন, বিরাম চিহ্ন বা ছেদ চিহ্ন বলা হয়।
- এই চিহ্নগুলো বাক্যের বিভিন্ন আবেগ (যেমন: বিস্ময়, প্রশ্ন, অনুরোধ) এবং সমাপ্তি নির্দেশ করে।
-  যেমন: দাঁড়ি (।), কমা (,), প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?), বিস্ময়সূচক চিহ্ন (!) ইত্যাদি।
"কোলন" যতিচিহ্ন:
একটি অপূর্ণ বাক্যের পর অন্য একটি বাক্য লিখতে হলে কোলন ব্যবহার করতে হয়।
যেমন:
'সভায় ঠিক করা হল: এক মাস পর আবার সভা অনুষ্ঠিত হবে।'

নিম্নলিখিত স্থানে কোলন ব্যবহৃত হয় -
কয়টা বাজে কত মিনিট তা সংখ্যায় নির্দেশ করতে। যেমন: ৮: ৫০।
বাক্যে কোনো প্রসঙ্গ অবতারণার আগে কোলন বসে। যেমন: আমি বললাম : পাশ করবই।
নাটকের চরিত্রের পরে ও সংলাপের আগে। যেমন: রাজা: উজিররা সবাই এসে হাসির হও।
মুখের কথা লিখিত রূপ দেওয়ার সময় কম-বেশি থামা বোঝাতে যতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়। বক্তব্যকে স্পষ্ট করতেও যতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়।যতিচিহ্নকে বিরামচিহ্ন বা বিরতি চিহ্নও বলা হয়।  তারিখ লিখতে বার ও মাসের পরে ‘কমা’ বসে।
যেমন:
- ১৯শে আশ্বিন, বৃহস্পতিবার, ১৪২৫ সালে মীম বান্দরবান জেলায় জন্মগ্রহণ করে।
- প্রান্তিক বিরাম চিহ্ন ৩টি। যথা: দাঁড়ি, প্রশ্নচিহ্ন ও বিস্ময়চিহ্ন।
- বাক্যের অভ্যন্তরে বসে ৩টি বিরাম চিহ্ন। যথা: কমা, সেমিকোলন ও ড্যাস।
- একটি অপূর্ণ বাক্যের পরে অন্য একটি বাক্যের অবতারণা করতে হলে কোলন ব্যবহৃত হয়।
- যেমন: সভায় সাব্যস্ত হলো: এক মাস পরে নতুন সভাপতি নির্বাচিত করা হবে।

বাক্যের শেষে বসে ৩টি যতিচিহ্ন বা বিরাম চিহ্ন। এগুলো হলোঃ দাঁড়ি চিহ্ন, প্রশ্নবোধক চিহ্ন এবং বিস্ময় চিহ্ন। এগুলোকে প্রান্তিক যতিচিহ্ন বলে। (বোর্ড বই অনুসারে)।
কিছু বইতে ৪টি দেওয়া আছে, দাঁড়ি ,দুই দাঁড়ি চিহ্ন মূলত পদ্যে ব্যবহৃত হয়। প্রাচীনকাল পদ্যে প্রথম চরণে এক দাঁড়ি ও দ্বিতীয় চরণে দাঁড়ি ব্যবহৃত হতো ।
বোর্ড বই অনুসারে আমাদের ৩টি দিতে হবে। 

» যতি/ছেদ চিহ্নের প্রবর্তক- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

» যতি চিহ্ন মোট ১২ টি। ব্যাকরণিক চিহ্ন (৪টি)

» ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তাঁর 'বোতল পঞ্চবিংশতি' (১৮৪৭) গ্রন্থ প্রথম যতিচিহ্নের ব্যবহার দেখান।

» বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ(২য় খণ্ড, পৃঃ২২৭, ২য় সংস্করণ,২০১২) অনুযায়ী যতি বা ছেদ চিহ্ন ১৬ টি।

» দাঁড়ির অপর নাম- পূর্ণচ্ছেদ

» কমার অপর নাম- পাদচ্ছেদ

» সেমিকোলনের অপর নাম- অর্ধচ্ছেদ

» ইলেকের অপর নাম - লোপচিহ্ন

» ড্যাশের অপর নাম- কষি চিহ্ন

» হাইফেনের অপর নাম- শব্দ সংযোগ চিহ্ন

বিরতি কালঃ

» এক বলতে সময় লাগে - ২ টি ( উদ্ধরণ, কমা)

» এক বলার দ্বিগুণ সময় লাগে- ১টি (সেমিকোলন)

» থামার প্রয়োজন নেই- ৩টি (হাইফেন, ইলেক, বন্ধনি)

» এক সেকেন্ড থামতে হয়- ৬টি (দাঁড়ি, প্রশ্নবোধক, বিস্ময়, কোলন, ড্যাশ, কোলনড্যাশ)


- সম্বোধন পদের শেষে কমা বসে।
- প্রত্যেক উক্তির পূর্বে সূচক বাক্যের শেষে কমা বসে।
- বড় রাশিকে স্পষ্ট করে বুঝানোর জন্য কমা বসে।
- শব্দ, বর্গ ও অধীন বাক্যকে আলাদা করতে কমা বসে।
- বাড়ী বা রাস্তার নামের পরে কমা বসে।
- বাক্য পাঠকালে সুস্পষ্টত বা অর্থ-বিভাগ দেখাবার জন্য যেখানে স্বল্প বিরতির প্রয়োজন, সেখানে কমা ব্যবহৃত হয় ।
- প্রান্তিক বিরাম চিহ্ন ৩টি । যথা: দাঁড়ি, প্রশ্নচিহ্ন ও বিস্ময়চিহ্ন।
- বাক্যের অভ্যন্তরে বসে ৩টি বিরাম চিহ্ন। যথা: কমা, সেমিকোলন ও ড্যাস।
- যৌগিক ও মিশ্র বাক্যে দুই বা তারচেয়েও বেশি পৃথক বাক্য লেখার সময় তাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে ড্যাস চিহ্ন ব্যবহার করা যায়।
- যেমন - তোমরা দরিদ্রের উপকার কর - এতে তোমাদের সম্মান যাবে না - বাড়বে।
- এছাড়াও এক বাক্যের সঙ্গে অন্য বাক্যের সংমিশ্রণে ড্যাস চিহ্ন ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
- ত্রিবিন্দু ( ... )-কোনো অংশ বাদ দিতে চাইলে ত্রিবিন্দুর ব্যবহার হয়।
- যেমনঃ তিনি রেগে গিয়ে বললেন, “তার মানে তুমি একটা ...।আমাদের ঐক্য বাইরের। ... এ ঐক্য জড় অকর্মক, সজীব সকর্মক নয়।"

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- ‘মাথার ’পরে জ্বলছে রবি’ বাক্যে ব্যবহৃত চিহ্নটি হলো ইলেক বা লোপ চিহ্ন (’)।
- এটি এমন একটি চিহ্ন যা কোনো শব্দের একটি অংশ বা বর্ণ লোপ পেলে তা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

- উদাহরণস্বরূপ, এখানে ‘পরে’ শব্দটি ‘ওপরে’ শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। ইলেক চিহ্ন ব্যবহার করে এটি বোঝানো হয়েছে।
কমার (,) ব্যবহারঃ

ক. বাক্য পাঠকালে সুস্পষ্টত বা অর্থ-বিভাগ দেখাবার জন্য যেখানে স্বল্প বিরতির প্রয়োজন, সেখানে কমা ব্যবহৃত হয় ।

যেমনঃ সুখ চাও, সুখ পাবে পরিশ্রমে ।

খ. সম্বোধনের পরে কমা বসাতে হয় । যেমনঃ শফিক, এদিকে এসো ।

গ. মাসের তারিখ লিখতে বার ও মাসের পর কমা বসে । যেমনঃ ১৬ই পৌষ, বুধবার, ১৪২৪ ।

ঘ. নামের শেষে ডিগ্রি থাকলে কমা বসে। যেমনঃ তারিক হোসেন, এমএ. পিএইচডি।
• ত্রিবিন্দু (...): বাক্যের বা উদ্ধিৃতির কোনো অংশ বাদ দিতে চাইলে ত্রিবিন্দু ব্যবহৃত হয়।

• বিস্ময়চিহ্ন (!): সাধারণত বিস্ময়, দুঃখ, আনন্দ ইত্যাদি প্রকাশের জন্য বিস্ময়চিহ্ন ব্যবহৃত হয়।

• বিন্দু (.): শব্দ সংক্ষেপ, ক্রম নির্দেশ ইত্যাদি কাজে বিন্দু ব্যবহৃত হয়।

• বিকল্পচিহ্ন (/): একটি বদলে অন্যটির সম্ভাবনা বোঝাতে বিকল্পচিহ্ন ব্যবহার হয়।


মুখের কথাকে লিখিত রুপ দেয়ার সময়ে কম -বেশি থামা বোঝাতে যেসব চিহ্ন ব্যবহৃত হয় ,সেগুলোকে যতিচিহ্ন বলে। বাক্যের কোন অংশ বাদ দিতে চাইলে ত্রিবিন্দু যতিচিহ্নের ব্যবহার হয় ।
যেমনঃ রহিম রেগে গিয়ে বললেন, ''তার মানে তুমি একটা .......'' .

- বক্তার প্রত্যক্ষ উক্তি (Direct Speech) অর্থাৎ বক্তার মুখনিঃসৃত মূল কথাটি হুবহু লেখার সময় উদ্ধরণ চিহ্ন (" ") ব্যবহৃত হয়।

উদাহরণ:
সে বলল, "আমি আজ স্কুলে যাব না।"
এখানে "আমি আজ স্কুলে যাব না।" — এই অংশটি বক্তার প্রত্যক্ষ উক্তি, এবং এটি উদ্ধরণ চিহ্নের মধ্যে লেখা হয়েছে।
- কোনো কিছু উদ্ধৃত করার কাজে বা সংলাপে উদ্ধৃতি চিহ্ন ব্যবহৃত হয়।
- এ চিহ্ন দুই রকম (একক ও দ্বৈত)। যেমন: ‘সিরাজউদ্দৌলা একটি ঐতিহাসিক নাটক। শিক্ষক বললেন, “গতকাল তুরস্কে ভয়ানক ভূমিকম্প হয়েছে।”

- ইলেক বা লোপ চিহ্ন থাকলে থামার প্রয়োজন নেই।
- কোন বর্ণ বিশেষের লোপ বোঝাতে বিলুপ্ত বর্ণের জন্য(') লোপ চিহ্ন দেয়া হয়।
- যেমন: মাথার 'পরে জ্বলছে রবি। ('পরে = ওপরে)


ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- হাইফেন এর অপরনাম সংযোগ চিহ্ন।
- সমাসবদ্ধ পদের অংশগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেখাবার জন্য হাইফেনের ব্যবহার হয়।
- যেমন: জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকেই দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে।

উদাহরণ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোলনড্যাস ( :- ) চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যেমন - পদ পাঁচ প্রকার :- বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, অব্যয় ও ক্রিয়া।

যৌগিক ও মিশ্র বাক্যে পৃথক ভাবাপন্ন দুই বা ততোধিক বক্যের সমন্বয় বোঝাতে ড্যাস ব্যবহৃত হয়। যেমন - তোমরা দরিদ্রের উপকার কর - এতে তোমাদের সম্মান যাবেনা - বাড়বে।



যৌগিক ও মিশ্র বাক্যে দুই বা তারচেয়েও বেশি পৃথক বাক্য লেখার সময় তাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে ড্যাস চিহ্ন ব্যবহার করা যায়। যেমন - তোমরা দরিদ্রের উপকার কর - এতে তোমাদের সম্মান যাবে না - বাড়বে। এছাড়াও এক বাক্যের সঙ্গে অন্য বাক্যের সংমিশ্রণে ড্যাস চিহ্ন ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

কোলন : একটি অপূর্ণ বাক্যের পর অন্য একটি বাক্য লিখতে হলে কোলন ব্যবহার করতে হয়। যেমন - সভায় ঠিক করা হল : এক মাস পর আবার সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সেমিকোলন (;) : কমার চেয়ে বেশি কিন্তু দাঁড়ির চেয়ে কম বিরতি দেয়ার জন্য সেমিকোলন ব্যবহৃত হয়। যেমন - আমরা সবাই সবাইকে ভালবাসি; আসলেই কি সবাই ভালবাসি?হাইফেন বা সংযোগ চিহ্ন : সমাসবদ্ধ পদের অংশগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেখানোর জন্য হাইফেন ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ, দুটি পদ একসঙ্গে লিখতে গেলে হাইফেন দিয়ে লিখতে হয়। যেমন - সুখ - দুঃখ, মা - বাবা।




ড্যাশ এর ব্যাবহারঃ

ক. কোনো কথার উদারণ বুঝাতে

খ. পৃথক ভাবাপন্ন একাধিক বাক্য এক বাক্য স্থাপন করতে - ব্যাবহার করা হয়। 

যেমনঃ তোমরা কায়িক শ্রম কর -

এতে তোমাদের সম্মান যাবেন না - বাড়বে। 

কমার (,) ব্যবহারঃ 

 ক. বাক্য পাঠকালে সুস্পষ্টত বা অর্থ-বিভাগ দেখাবার জন্য যেখানে স্বল্প বিরতির প্রয়োজন, সেখানে কমা ব্যবহৃত হয় । 

  যেমনঃ সুখ চাও, সুখ পাবে পরিশ্রমে । 

খ. সম্বোধনের পরে কমা বসাতে হয় । যেমনঃ শফিক, এদিকে এসো । 

গ. মাসের তারিখ লিখতে বার ও মাসের পর কমা বসে । যেমনঃ ১৬ই পৌষ, বুধবার, ১৪২৪ । 

 কোলনের ব্যবহারঃ একটি অপূর্ণ বাক্যের পরে অন্য একটি বাক্যের অবতারণা করতে হলে কোলন ব্যবহৃত হয় । 

  যেমনঃ সভায় সাব্যস্ত হলোঃ একমাস পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে । 

 সেমিকোলনের ব্যবহারঃ
 কমা অপেক্ষা বেশি বিরতির প্রয়োজন হলে, সেমিকোলন বসে । 
 একাধিক বাক্যকে একটি বাক্যে স্থান দিতে সেমিকোলন ব্যাবহার করা হয়। ,

সোর্সঃ ড. সৌমিত্র শেখর


কোলন (:); সেমিকোলন (;); সমান (=); ঊর্ধ্বকমা (" ")
বিরামচিহ্ন বসিয়ে বাক্যটির শুদ্ধরূপ: হায়! এ আমার কী হল ।
- বাক্যের পরিসমাপ্তি বোঝাতে দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ ব্যবহার করতে হয়।
- দাড়ি চিহ্ন থাকলে এক সেকেন্ড বিরতির প্রয়োজন হয়।
- যেমন: শীতকালে এ দেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকে। প্রান্ত ফুটবল খেলা পছন্দ করে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0