বিরাম চিহ্ন (157 টি প্রশ্ন )
সেমিকোলন বা অর্ধচ্ছেদ (;), কোলন (:), দাড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ (।), কোলন ড্যাস (:-) । 
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- কমা এর বাংলা অর্থ পাদচ্ছেদ। 
- সেমিকোলন এর বাংলা অর্থ অর্ধচ্ছেদ। 
- দাড়ি এর বাংলা অর্থ পূর্ণচ্ছেদ। 
- বিন্দু চিহ্ন এর বাংলা অর্থ বিন্দু।

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সম্বোধন পদের শেষে কমা বসে। যেমন- রহিম, এদিকে এসো।
কমা (,) এর অন্যান্য ব্যবহার-
-প্রত্যেক উক্তির পূর্বে সূচক বাক্যের শেষে কমা বসে, যেমন- কাল যে লোকটি এসেছিলো সে আমার পূর্ব পরিচিত।
-বড় রাশিকে স্পষ্ট করে বুঝানোর জন্য কমা বসে, যেমন- ৪, ৬০, ৫৫, ৪৮০।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সমাসবদ্ধপদের অংশগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে দেখানোর জন্য হাইফেনের ব্যবহার হয়।যেমন-এ আমাদের শ্রদ্ধা-অভিনন্দন ,আমাদের প্রীতি উপহার।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
একটি অপূর্ন বাক্যের পরে অন্য একটি বাক্যের অবতারণা করতে হলে কোলন ব্যবহার  করা হয়। কমা অপেক্ষা বেশি বিরতির প্রয়োজন হলে, সেমিকোরন বসে।বাক্য পাঠকালে সুস্পষ্ঠতা বা অর্থ বিভাগ দেখানোর জন্য যেখানে স্বল্প বিরতির প্রয়োজন ,সেখানে কমা ব্যবহিত হয়।


ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।

যৌগিক ও মিশ্র বাক্যে দুই বা তারচেয়েও বেশি পৃথক বাক্য লেখার সময় তাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে ড্যাস চিহ্ন ব্যবহার করা যায়। যেমন - তোমরা দরিদ্রের উপকার কর - এতে তোমাদের সম্মান যাবে না - বাড়বে। এছাড়াও এক বাক্যের সঙ্গে অন্য বাক্যের সংমিশ্রণে ড্যাস চিহ্ন ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

কোলন : একটি অপূর্ণ বাক্যের পর অন্য একটি বাক্য লিখতে হলে কোলন ব্যবহার করতে হয়। যেমন - সভায় ঠিক করা হল : এক মাস পর আবার সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সেমিকোলন (;) : কমার চেয়ে বেশি কিন্তু দাঁড়ির চেয়ে কম বিরতি দেয়ার জন্য সেমিকোলন ব্যবহৃত হয়। যেমন - আমরা সবাই সবাইকে ভালবাসি; আসলেই কি সবাই ভালবাসি?হাইফেন বা সংযোগ চিহ্ন : সমাসবদ্ধ পদের অংশগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেখানোর জন্য হাইফেন ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ, দুটি পদ একসঙ্গে লিখতে গেলে হাইফেন দিয়ে লিখতে হয়। যেমন - সুখ - দুঃখ, মা - বাবা।


ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- কমা অপেক্ষা বেশি বিরতির প্রয়োজন হলে সেমিকোলন বসে। যেমন- সংসারের মায়াজালে আবদ্ধ আমরা; এ মায়ার বাঁধন কি সত্যিই দুশ্ছেদ্য?
- কয়েকটি বাক্য সংযোজক অব্যয়ের সাহায্যে যুক্ত না হলে সেমিকোলন ব্যবহৃত হয়। যেমন- আগে পাঠ্যবই পড়; পরে গল্প উপন্যাস।
-খন্ডবাক্যে সেমিকোলন বসে। যেমন- জবাফুল দেখতে সুন্দর বটে' কিন্তু এর কোনো গন্ধ নেই।
- একাধিক স্বাধীন বাক্যকে একটি বাক্যে লিখলে সেগুলোর মাঝখানে সেমিকোলন ব্যবহৃত হয়। যেমন- তিনি শুধু তামাশা দেখছিলেন; কোথাকার জল কোথায় গিয়ে পড়ে।
- যেসব বাক্যে ভাব সাদৃশ্য রয়েছে তাদের মধ্যে সেমিকোলন বসে। যেমন- দিনটা ভালো নয়; মাঝে মাঝে বৃষ্টি পড়ছে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
ব্যাঙ্গাত্মক মনোভাব বুঝাতে বাক্যের মধ্যে প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসে। যেমন- আপনার মতো জনদরদি(?) নেতা অনেক দেখেছি। এছাড়াও বাক্যে কোনো প্রশ্ন করলে অথবা সন্দেহ বা সংশয় বোঝাতে প্রশ্নবোধক চিহ্ন ব্যবহৃত হয়।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
এক জনের বক্তব্যের ভিতরে যদি ভিন্ন বক্তব্য উদ্ধৃত হয় তা হলে প্রধান বক্তব্যের ক্ষেত্রে জোড় উদ্ধৃতি চিহ্ন এবং তার অন্তর্গত উদ্ধৃতিতে এক-উদ্ধৃতিচিহ্ন লাগবে । 
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বাক্যের অর্থ সুস্পষ্ট ভাবে বোঝার জন্য বাক্যের মধ্যে বা বাক্যের সমাপ্তিতে কিংবা বাক্যে আবেগ (হর্ষ,বিষাদ),জিজ্ঞাসা ইত্যাদি প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে বাক্য -গঠনে যেভাবে বিরতি দিতে হয় এবং লেখার সময় বাক্যের মধ্যে তা দেখানোর জন্য যেসব সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয় ,তাই যতি বা ছেদ চিহ্ন।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
-বাক্যের অর্থ সুস্পষ্টভাবে বোঝার জন্য বাক্যের মধ্যে বা বাক্যের সমাপ্তিতে কিংবা বাক্যে আবেগ (হর্ষ, বিষাদ), জিজ্ঞাসা ইত্যাদি প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে বাক্য গঠনে যে ভাবে বিরতি দিতে হয় এবং লেখার সময় বাক্যের মধ্যে তা দেখাবার জন্য যে সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, তা-ই যতি বা বিরাম বা ছেদচিহ্ন।
-যেমন: সুখ চাও, সুখ পাবে পরিশ্রমে।
-কিন্তু আমরা যদি প্রদত্ত বাক্যের ‘সুখ চাও’ এর পরে বিরাম চিহ্ন ‘কমা’ না বসাই, তাহলে তা বাক্যের অর্থকে স্পষ্ট করবে না।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
• ত্রিবিন্দু (...): বাক্যের বা উদ্ধিৃতির কোনো অংশ বাদ দিতে চাইলে ত্রিবিন্দু ব্যবহৃত হয়।

• বিস্ময়চিহ্ন (!): সাধারণত বিস্ময়, দুঃখ, আনন্দ ইত্যাদি প্রকাশের জন্য বিস্ময়চিহ্ন ব্যবহৃত হয়।

• বিন্দু (.): শব্দ সংক্ষেপ, ক্রম নির্দেশ ইত্যাদি কাজে বিন্দু ব্যবহৃত হয়।

• বিকল্পচিহ্ন (/): একটি বদলে অন্যটির সম্ভাবনা বোঝাতে বিকল্পচিহ্ন ব্যবহার হয়।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- বাক্যের পরিসমাপ্তি বোঝাতে দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ ব্যবহার করতে হয়।
- দাড়ি চিহ্ন থাকলে এক সেকেন্ড বিরতির প্রয়োজন হয়।
- যেমন: শীতকালে এ দেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকে। প্রান্ত ফুটবল খেলা পছন্দ করে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বিরতি কালের পরিমাণঃ
» কোলন- এক সেকেন্ড।
» কোলন ড্যাস- এক সেকেন্ড।
» সেমি কোলন- ১ বলার দ্বিগুণ সময়।

হাইফেন, ইলেক বা লোপচিহ্ন এবং বন্ধনীর ক্ষেত্রে থামার প্রয়োজন নেই।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয় বন্ধনী ব্যবহৃত হয়না। এটি কেবল গণিত শাস্ত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বাংলা সাহিত্যে শুধু প্রথম ও তৃতীয় বন্ধনী ব্যবহার করা হয়।
প্রথম বন্ধনীঃ কোন বক্তব্যকে বিশদ করা প্রয়োজন হলে প্রথম বন্ধনী ব্যবহার করা হয়। যেমন:
-  জাফর ও রাজীব আমাকে কামালের সঙ্গে যেতে বলেছেন। সে (কামাল) আমার প্রতিবেশি।
- প্রয়োজনে এক বা একাধিক শব্দ বা বাক্যকে প্রথম বন্ধনীর মধ্যে রেখে আরও বিশদ করা হয়। যেমন : ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বহুভাষাবিদ পণ্ডিত(ইংরেজি, ফারসি, হিন্দি; সম্ভবত জার্মানও জানতেন) ছিলেন।
- কোনও বক্তব্য কিংবা বক্তব্যের অংশবিশেষ নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকলে সংশ্লিষ্ট অংশের পর প্রথমবন্ধনী দিয়ে প্রশ্নচিহ্ন বসান হয়। যথা : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৪৩(?) খ্রিষ্টাব্দে মারা যান।

তৃতীয় বন্ধনীঃ 
বাংলা ভাষায় তৃতীয় বন্ধনীর ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদ্ধৃতির ব্যাখ্যা বা জটিলতা এড়ানোর জন্য উদ্ধৃতিস্থ বাক্যেও কোনও শব্দ বা শব্দাবলীর শুদ্ধরূপ তৃতীয় বন্ধনীর মধ্যে দেওয়া হয়। উৎসমূলে যা লেখা আছে সেটি ভুলসহ উদ্ধৃত করে শুদ্ধটি তৃতীয় বন্ধনীর মধ্যে লিখে দিলে অনেক জটিলতা ও সংশয় এড়ানো যায়। তাহলে পাঠক মূল উদ্ধৃতি এবং শুদ্ধ দুটিই জানতে পারেন।

যেমন : কোনও গ্রন্থে লেখা আছে— ‘মাইকেল মুধুসুদন দত্ত যশোড় জেলার সাঘরদাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।’ এ বাক্যটিকে উদ্ধৃতি দিয়ে লেখা হয়েছে- “মাইকেল মুধুসুদন [মধুসূদন] দত্ত যশোড় [যশোর] জেলার সাঘড়দাড়ি [সাগরদাড়ি] গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন”।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- বাংলা গদ্যে প্রথম বিরাম চিহ্ন বা যতি চিহ্ন প্রচলন করেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ।
- তিনি ১৮৪৭ সালে 'বেতাল পঞ্চবিংশতি' গ্রন্থের মাধ্যমে বিরাম চিহ্নের ব্যবহার শুরু করেন । 
- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পণ্ডিত মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার বাংলা গদ্যে কিছুটা ছন্দ আনলেও সে গদ্য দূরীন্বয়ী দোষ থেকে গেছে ।
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যে সুললিত শব্দবিন্যাস, পদবিভাগ ও যতি সন্নিবেশে সুবোধ্য ও শিল্পগুণান্বিত করে তোলেন ।
- বাংলা গদ্যকে তিনি সাহিত্য গুণসম্পন্ন ও সর্বভাব প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছিলেন ।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে বাংলাগদ্যের 'প্রথম শিপ্লী' হিসেবে অভিহিত করেছেন ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
-বাক্যে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করা হলে বাক্যের শেষে বা প্রান্তে প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?) বসে।
-যেমনঃফাইদ কি খাবে?
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0