|
|
» দাঁড়ির অপর নাম- পূর্ণচ্ছেদ
» কমার অপর নাম- পাদচ্ছেদ
» সেমিকোলনের অপর নাম- অর্ধচ্ছেদ
» ইলেকের অপর নাম - লোপচিহ্ন
» ড্যাশের অপর নাম- কষি চিহ্ন
» হাইফেনের অপর নাম- শব্দ সংযোগ চিহ্ন
বিরতি কালঃ
» এক বলতে সময় লাগে - ২ টি ( উদ্ধরণ, কমা)
» এক বলার দ্বিগুণ সময় লাগে- ১টি (সেমিকোলন)
» থামার প্রয়োজন নেই- ৩টি (হাইফেন, ইলেক, বন্ধনি)
» এক সেকেন্ড থামতে হয়- ৬টি (দাঁড়ি, প্রশ্নবোধক, বিস্ময়, কোলন, ড্যাশ, কোলনড্যাশ)
|
|
| |
|
|
|
- ‘মাথার ’পরে জ্বলছে রবি’ বাক্যে ব্যবহৃত চিহ্নটি হলো ইলেক বা লোপ চিহ্ন (’)। - এটি এমন একটি চিহ্ন যা কোনো শব্দের একটি অংশ বা বর্ণ লোপ পেলে তা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
- উদাহরণস্বরূপ, এখানে ‘পরে’ শব্দটি ‘ওপরে’ শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। ইলেক চিহ্ন ব্যবহার করে এটি বোঝানো হয়েছে।
|
|
| |
|
|
|
কমার (,) ব্যবহারঃ
ক. বাক্য পাঠকালে সুস্পষ্টত বা অর্থ-বিভাগ দেখাবার জন্য যেখানে স্বল্প বিরতির প্রয়োজন, সেখানে কমা ব্যবহৃত হয় ।
যেমনঃ সুখ চাও, সুখ পাবে পরিশ্রমে ।
খ. সম্বোধনের পরে কমা বসাতে হয় । যেমনঃ শফিক, এদিকে এসো ।
গ. মাসের তারিখ লিখতে বার ও মাসের পর কমা বসে । যেমনঃ ১৬ই পৌষ, বুধবার, ১৪২৪ ।
ঘ. নামের শেষে ডিগ্রি থাকলে কমা বসে। যেমনঃ তারিক হোসেন, এমএ. পিএইচডি।
|
|
| |
|
|
|
বাংলা ভাষায় নিম্নলিখিত যতিচিহ্নসমূহ ব্যবহৃত হয়: - কমা বা পাদচ্ছেদ , ১ (এক) বলতে যে সময় প্রয়োজন। - সেমিকোলন ; ১ বলার দ্বিগুণ সময়। - দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ । এক সেকেন্ড। - প্রশ্নবোধক চিহ্ন ? এক সেকেন্ড। - বিস্ময় ও সম্বোধন চিহ্ন ! এক সেকেন্ড। - কোলন :এক সেকেন্ড। - ড্যাস — এক সেকেন্ড। - কোলন ড্যাস :- এক সেকেন্ড।
- হাইফেন - থামার প্রয়োজন নেই। - ইলেক বা লোপ চিহ্ন ’ থামার প্রয়োজন নেই।
- একক উদ্ধৃতি চিহ্ন ' ' 'এক' উচ্চরণে যে সময় লাগে। - যুগল উদ্ধৃতি চিহ্ন “ ” ঐ
- ব্র্যাকেট (বন্ধনি চিহ্ন) ( ) { } [ ] থামার প্রয়োজন নেই। - ধাতু দ্যোতক চিহ্ন √ থামার প্রয়োজন নেই। - পরবর্তী রূপবোধক চিহ্ন < থামার প্রয়োজন নেই। - পূর্ববর্তী রূপবোধক চিহ্ন > থামার প্রয়োজন নেই। - সমান চিহ্ন = থামার প্রয়োজন নেই। - বর্জন চিহ্ন ... থামার প্রয়োজন নেই। - সংক্ষেপণ চিহ্ন . থামার প্রয়োজন নেই।
|
|
| |
|
|
|
• ত্রিবিন্দু (...): বাক্যের বা উদ্ধিৃতির কোনো অংশ বাদ দিতে চাইলে ত্রিবিন্দু ব্যবহৃত হয়।
• বিস্ময়চিহ্ন (!): সাধারণত বিস্ময়, দুঃখ, আনন্দ ইত্যাদি প্রকাশের জন্য বিস্ময়চিহ্ন ব্যবহৃত হয়।
• বিন্দু (.): শব্দ সংক্ষেপ, ক্রম নির্দেশ ইত্যাদি কাজে বিন্দু ব্যবহৃত হয়।
• বিকল্পচিহ্ন (/): একটি বদলে অন্যটির সম্ভাবনা বোঝাতে বিকল্পচিহ্ন ব্যবহার হয়।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
মুখের কথাকে লিখিত রুপ দেয়ার সময়ে কম -বেশি থামা বোঝাতে যেসব চিহ্ন ব্যবহৃত হয় ,সেগুলোকে যতিচিহ্ন বলে। বাক্যের কোন অংশ বাদ দিতে চাইলে ত্রিবিন্দু যতিচিহ্নের ব্যবহার হয় ।
যেমনঃ রহিম রেগে গিয়ে বললেন, ''তার মানে তুমি একটা .......'' .
|
|
| |
|
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- কোনো কিছু উদ্ধৃত করার কাজে বা সংলাপে উদ্ধৃতি চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। - এ চিহ্ন দুই রকম (একক ও দ্বৈত)। যেমন: ‘সিরাজউদ্দৌলা একটি ঐতিহাসিক নাটক। শিক্ষক বললেন, “গতকাল তুরস্কে ভয়ানক ভূমিকম্প হয়েছে।”
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
- ইলেক বা লোপ চিহ্ন থাকলে থামার প্রয়োজন নেই। - কোন বর্ণ বিশেষের লোপ বোঝাতে বিলুপ্ত বর্ণের জন্য(') লোপ চিহ্ন দেয়া হয়। - যেমন: মাথার 'পরে জ্বলছে রবি। ('পরে = ওপরে)
|
|
| |
|
|
|
- হাইফেন এর অপরনাম সংযোগ চিহ্ন। - সমাসবদ্ধ পদের অংশগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেখাবার জন্য হাইফেনের ব্যবহার হয়। - যেমন: জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকেই দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
|
|
| |
|
|
|
উদাহরণ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোলনড্যাস ( :- ) চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যেমন - পদ পাঁচ প্রকার :- বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, অব্যয় ও ক্রিয়া।
যৌগিক ও মিশ্র বাক্যে পৃথক ভাবাপন্ন দুই বা ততোধিক বক্যের সমন্বয় বোঝাতে ড্যাস ব্যবহৃত হয়। যেমন - তোমরা দরিদ্রের উপকার কর - এতে তোমাদের সম্মান যাবেনা - বাড়বে।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
যৌগিক ও মিশ্র বাক্যে দুই বা তারচেয়েও বেশি পৃথক বাক্য লেখার সময় তাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে ড্যাস চিহ্ন ব্যবহার করা যায়। যেমন - তোমরা দরিদ্রের উপকার কর - এতে তোমাদের সম্মান যাবে না - বাড়বে। এছাড়াও এক বাক্যের সঙ্গে অন্য বাক্যের সংমিশ্রণে ড্যাস চিহ্ন ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
কোলন : একটি অপূর্ণ বাক্যের পর অন্য একটি বাক্য লিখতে হলে কোলন ব্যবহার করতে হয়। যেমন - সভায় ঠিক করা হল : এক মাস পর আবার সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেমিকোলন (;) : কমার চেয়ে বেশি কিন্তু দাঁড়ির চেয়ে কম বিরতি দেয়ার জন্য সেমিকোলন ব্যবহৃত হয়। যেমন - আমরা সবাই সবাইকে ভালবাসি; আসলেই কি সবাই ভালবাসি?হাইফেন বা সংযোগ চিহ্ন : সমাসবদ্ধ পদের অংশগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেখানোর জন্য হাইফেন ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ, দুটি পদ একসঙ্গে লিখতে গেলে হাইফেন দিয়ে লিখতে হয়। যেমন - সুখ - দুঃখ, মা - বাবা।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
ড্যাশ এর ব্যাবহারঃ
ক. কোনো কথার উদারণ বুঝাতে
খ. পৃথক ভাবাপন্ন একাধিক বাক্য এক বাক্য স্থাপন করতে - ব্যাবহার করা হয়।
যেমনঃ তোমরা কায়িক শ্রম কর -
এতে তোমাদের সম্মান যাবেন না - বাড়বে।
কমার (,) ব্যবহারঃ
ক. বাক্য পাঠকালে সুস্পষ্টত বা অর্থ-বিভাগ দেখাবার জন্য যেখানে স্বল্প বিরতির প্রয়োজন, সেখানে কমা ব্যবহৃত হয় ।
যেমনঃ সুখ চাও, সুখ পাবে পরিশ্রমে ।
খ. সম্বোধনের পরে কমা বসাতে হয় । যেমনঃ শফিক, এদিকে এসো ।
গ. মাসের তারিখ লিখতে বার ও মাসের পর কমা বসে । যেমনঃ ১৬ই পৌষ, বুধবার, ১৪২৪ ।
কোলনের ব্যবহারঃ একটি অপূর্ণ বাক্যের পরে অন্য একটি বাক্যের অবতারণা করতে হলে কোলন ব্যবহৃত হয় ।
যেমনঃ সভায় সাব্যস্ত হলোঃ একমাস পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ।
সেমিকোলনের ব্যবহারঃ কমা অপেক্ষা বেশি বিরতির প্রয়োজন হলে, সেমিকোলন বসে । একাধিক বাক্যকে একটি বাক্যে স্থান দিতে সেমিকোলন ব্যাবহার করা হয়। ,
সোর্সঃ ড. সৌমিত্র শেখর
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
কোলন (:); সেমিকোলন (;); সমান (=); ঊর্ধ্বকমা (" ")
|
|
| |
|
|
|
বিরামচিহ্ন বসিয়ে বাক্যটির শুদ্ধরূপ: হায়! এ আমার কী হল ।
|
|
| |
|
|
|
- বাক্যের পরিসমাপ্তি বোঝাতে দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ ব্যবহার করতে হয়। - দাড়ি চিহ্ন থাকলে এক সেকেন্ড বিরতির প্রয়োজন হয়। - যেমন: শীতকালে এ দেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকে। প্রান্ত ফুটবল খেলা পছন্দ করে।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
- কমা অপেক্ষা বেশি বিরতির প্রয়োজন হলে, সেমি কোলন বসে। - একাধিক স্বাধীন বাক্যকে একটি বাক্যে লিখলে সেগুলোর মাঝখানে সেমি কোলন বসে। - যেমন: সংসারের মায়াজালে আবদ্ধ আমরা; সে মায়ার বাঁধন কি সত্যিই দুশ্ছেদ্য?
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
- কমা এর বাংলা অর্থ পাদচ্ছেদ।
- সেমিকোলন এর বাংলা অর্থ অর্ধচ্ছেদ।
- দাড়ি এর বাংলা অর্থ পূর্ণচ্ছেদ।
- বিন্দু চিহ্ন এর বাংলা অর্থ বিন্দু।
|
|
| |
|
|
|
কোলন (:); সেমিকোলন (;); সমান (=); ঊর্ধ্বকমা (" ")
|
|
| |
|
|
|
বাংলা বাক্যে কমা (,) বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হতে পারে। যেমনঃ উদ্ধরণ চিহ্নের পূর্বে ( খন্ডবাক্যের শেষে) কমা বসাতে হবে। যথাঃ সাহেব বললেন,“ছুটি পাবেন না” । মাসের তারিখ লিখতে বার ও মাসের পর ‘কমা’ বসবে। যথাঃ ১৬ই পৌষ,বুধবার, ১৩৯৯ সন। বাড়ি বা রাস্তার নম্বরের পরে কমা বসবে। যথাঃ ৬৮,নবাবপুর রোড,ঢাকা-১০০০ । নামের পরে ডিগ্রিসূচক পরিচয় সংযজিত হলে সেগুলোর প্রত্যেকটির পর কমা বসবে। যথাঃ ডক্টর মুহম্মদ এনামুল হক, এম,এ,পি-এইচডি।
|
|
| |
|
|
|
- মাসের তারিখ লিখতে বার ও মাসের পর বিরাম চিহ্ন ‘কমা বসবে। যেমন: ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
একটি অপূর্ন বাক্যের পরে অন্য একটি বাক্যের অবতারণা করতে হলে কোলন ব্যবহার করা হয়। কমা অপেক্ষা বেশি বিরতির প্রয়োজন হলে, সেমিকোরন বসে।বাক্য পাঠকালে সুস্পষ্ঠতা বা অর্থ বিভাগ দেখানোর জন্য যেখানে স্বল্প বিরতির প্রয়োজন ,সেখানে কমা ব্যবহিত হয়।
|
|
| |
|