Loading [MathJax]/jax/output/HTML-CSS/fonts/TeX/fontdata.js
 
সন্ধি (557 টি প্রশ্ন )
যেসব সন্ধিসমূহ স্বরসন্ধি বা ব্যঞ্জনসন্ধি বা বিসর্গসন্ধির নিয়মগুলো মেনে চলে না, তাদেরকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে। তৎসম শব্দের সন্ধিতেই শুধু নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি হয়। 
উদাহরণঃ 
- কুল+অটা= কুলটা,
- গো+অক্ষ= গবাক্ষ,
- প্র+ঊঢ়= প্রৌঢ়,
- অন্য+অন্য= অন্যান্য,
- মার্ত+অণ্ড= মার্তণ্ড,
- শুদ্ধ+ওদন= শুদ্ধোদন ইত্যাদি।

ঋ-কারের পর ঋ ভিন্ন অন্যস্বর থাকলে ঋ স্থানে ‘র’ হয় এবং তা ফলারূপে পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সাথে যুক্ত হয় যেমনঃ
- পিতৃ + আলয় = পিত্রালয় (ঋ+আ = র্+আ),
- পিতৃ + আদেশ = পিত্রাদেশ,
- মাতৃ + আদেশ = মাত্রাদেশ,
- পিতৃ + উপদেশ = পিক্রদেশ,
- পিতৃ + অনুমতি = পিত্ৰনুমতি ইত্যাদি।
- তৎসম স্বরসন্ধির নিয়মানুসারে, উ-কার কিংবা ঊ- কারের পর উ ও ঊ ভিন্ন অন্য স্বর থাকলে উ বা ঊ স্থানে ব-ফলা হয় এবং ব-ফলা লেখার সময় পূর্ববর্তী বর্ণের সাথে লেখা হয়।
যেমন:
- সু+আগত (উ+আ = ব+আ) = স্বাগত;
- পশু+আচার = পশ্বাচার
• উ-কার কিংবা ঊ-কারের পর উ-কার কিংবা ঊ-কার থাকলে উভয়ে মিলে ঊ-কার হয়; ঊ-কার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জন ধ্বনির সাথে যুক্ত হয়। যেমন-

উ+উ = ঊ

- মরু+উদ্যান = মরূদ্যান
- কটু+উক্তি = কটূক্তি
- সু+উক্ত = সূক্ত
- অনু+উদিত = অনূদিত
- "চলোর্মি," "মহোৎসব," এবং "নবোঢ়া" শব্দগুলো স্বরসন্ধির উদাহরণ।
- স্বরসন্ধি হলো এমন একটি সন্ধি যেখানে দুটি স্বরধ্বনি (অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, এ, ঐ, ও, ঔ) মিলিত হয়ে নতুন ধ্বনি তৈরি করে।

উদাহরণ:

চলোর্মি: চল + ঊর্মি = চলোর্মি
এখানে "অ" এবং "ঊ" মিলে "ও" ধ্বনি তৈরি করেছে।

মহোৎসব: মহা + উৎসব = মহোৎসব
এখানে "আ" এবং "উ" মিলে "ও" ধ্বনি তৈরি করেছে।

নবোঢ়া: নব + ঊঢ়া = নবোঢ়া
এখানে "অ" এবং "ঊ" মিলে "ও" ধ্বনি তৈরি করেছে।
নিয়ম বহির্ভূত অথচ প্রচিলত এরকম কিছু্কেই নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলা হয়।
যেমনঃ
আ + চর্য = আশ্চর্য,
মনস + ঈষা = মনীষা,
ষট্ + দশ = ষোড়শ,
পর + পর = পরস্পর।

কতগুলাে সন্ধি কোনাে নিয়মে সাধিত হয় না এমন সন্ধিকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে।
যেমন:
- তৎ + কর = তস্কর,
- পর্ + পর = পরস্পর,
- আ + চর্য = আশ্চর্য,
- গাে + পদ = গােষ্পদ,
- বন্ + পতি = বনস্পতি,
- ষট্ + দশ = ষােড়শ,
- বৃহৎ + পতি = বৃহস্পতি,
- মনস্ + ঈষা = মনীষা,
- এক + দশ = একাদশ।

উৎসঃ বাংলা ভাষার ব্যাকরণ


• যার দ্বারা শব্দের চমৎকারিত্ব বৃদ্ধি হয়,তাকে শব্দালঙ্কার বলে।যেসব সন্ধিসমূহ স্বরসন্ধি বা ব্যঞ্জনসন্ধি বা বিসর্গসন্ধির নিয়মগুলো মেনে চলে না, তাদেরকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে। তৎসম শব্দের সন্ধিতেই শুধু নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি হয়। 

• উদাহরণঃ 
- কুল+অটা= কুলটা,
- গো+অক্ষ= গবাক্ষ,
- প্র+ঊঢ়= প্রৌঢ়,
- অন্য+অন্য= অন্যান্য,
- মার্ত+অণ্ড= মার্তণ্ড,
- শুদ্ধ+ওদন= শুদ্ধোদন ইত্যাদি।

 অ-কারের পরস্থিত স-জাত বিসর্গের পর ঘোষ অল্পপ্রাণ ও ঘোষ মহাপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনি, নাসিক্য ধ্বনি কিংবা অন্ত:স্থ য, অন্ত:স্থ ব, র, ল, হ থাকলে অ-কার ও স-জাত বিসর্গ স্থলে ও-কার হয়।
যেমন:
- তির: + ধান = তিরোধান,
- মন:‌ + রম = মনোরম,
- সদ্য: + জাত = সদ্যোজাত,
- মন: + হর = মনোহর ইত্যাদি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
ই-কার কিংবা ঈ-কারের পর ই ও ঈ ছাড়া অন্য কোন স্বরধ্বনি থাকলে ই বা ঈ ‘য’ হয় এবং য- ফলা পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়। 
যেমনঃ
- অতি+অধিক = অত্যধিক, 
- অতি+অন্ত = অত্যন্ত, 
- প্রতি+অহ = প্রত্যহ, 
- আদি+অন্ত = আদ্যন্ত, 
- যদি+অপি = যদ্যপি, 
- পরি+অন্ত = পর্যন্ত
- অভি + উত্থান = অভ্যুত্থান
- প্রতি + উত্তর = প্রত্যুত্তর
- অভি + উদয় = অভ্যুদয় ইত্যাদি। 

• বিসর্গ সন্ধি: বিসর্গের সাথে স্বর বা ব্যঞ্জনধ্বনির যে সন্ধি হয় তাকে বিসর্গ সন্ধি বলে। বিসর্গ সন্ধি দুই ভাগে বিভক্ত যথা-
১. র্-জাত বিসর্গ।
২. স্-জাত বিসর্গ।

সংস্কৃত ভাষার নিয়মে সংস্কৃত শব্দের শেষে ‘সৃ’ বা ‘র্’ থাকলে ‘স’ বা ‘র’ লোপ পেয়ে বিসর্গ সন্ধি হয়।
যেমন:
• র্-জাত বিসর্গ: নির্>নিঃ; দুর্>দুঃ, অন্তর্>অন্তঃ ইত্যাদি।
• স্-জাত বিসর্গ: সরস্>সরঃ; মনস্>মনঃ; পুরস্>পুরঃ ইত্যাদি।

বিসর্গ সন্ধির বৈশিষ্ট্য হলো সন্ধির ফলে র্-জাত বিসর্গের ‘র’ এবং স্-জাত বিসর্গের ‘স’ অনেক ক্ষেত্রে লোপ পেয়ে আবার ‘র’ এবং ‘স’ ফিরে আসে।
- র্-জাত বিসর্গ সন্ধি হলো: অন্তঃ + গত = অন্তর্গত
- স্-জাত বিসর্গ সন্ধি হলো: মনঃ + কাম + মনস্কাম।
- ‘শঙ্কা’ হচ্ছে ব্যঞ্জন সন্ধিসাধিত শব্দ
- সন্ধি-বিচ্ছেদ: শম্ + কা = শঙ্কা।

- বিসর্গ সন্ধির নিয়মে গঠিত শব্দ হলো:
দুঃ + থ = দুস্থ।
শিরঃ + ছেদ = শিরশ্ছেদ।
নিঃ + চয় = নিশ্চয়।
আগে মূর্ধন্য ষ্ এবং এর পরে ত্ বা থ্ থাকলে, যথাক্রমে ত্ ও থ্ স্থানে ট ও ঠ হয়।
যেমন:
- বৃষ্‌ + তি = বৃষ্টি,
- সৃষ্ + তি = সৃষ্টি,
- ষষ্ + থ = ষষ্ঠ।
- ত্ ও দ্-এর পর চ্ ও ছ্ থাকলে ত্ ও দ্ স্থানে চ হয়।
যেমন:
- দ্ + ছ = চ্ছ; বিপদ + ছায়া = বিপচ্ছায়া;
- ত্ + ছ = চ্ছ; উৎ + ছেদ = উচ্ছেদ;


- স্বরধ্বনির পর ছ থাকলে উক্ত ব্যঞ্জনধ্বনিটি দ্বিত্ব (চ্ছ) হয়।
যথা:
- ই + ছ = চ্ছ; পরি + ছদ = পরিচ্ছদ;
- আ + ছ = চ্ছ; কথা + ছলে = কথাচ্ছলে;


- তৎসম বিসর্গ সন্ধির ক্ষেত্রে, অ ও আ ভিন্ন অন্য স্বরের পরে বিসর্গ থাকলে এবং তার সঙ্গে অ, আ, বর্গীয় ঘোষ অল্পপ্রাণ ও ঘোষ মহাপ্রাণ, নাসিক্যধ্বনি কিংবা য, র, ল, ব, হ- এর সন্ধি হলে বিসর্গ স্থানে 'র' হয়।
- যেমন: দুঃ + যোগ = দুর্যোগ, আশীঃ + বাদ = আশীর্বাদ, নিঃ + আকার = নিরাকার ইত্যাদি।
- ‘পুরাধ্যক্ষ’ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ - পুর + অধ্যক্ষ।
গুরুত্তপুর্ণ কিছু সন্ধি বিচ্ছেদঃ
- পরমাশ্চর্য = পরম + আশ্চর্য।
- গ্রামান্তর = গ্রাম + অন্তর।
- যথেষ্ট = যথা + ইষ্ট।
- শুভেচ্ছা = শুভ + ইচ্ছা।
- ঢাকেশ্বরী = ঢাকা + ঈশ্বরী।
- নবোদয় = নব + উদয়।
- দ্যুলোক = দিব্ + লোক।
- রত্নাকর = রত্ন + আকর।
- কথোপকথন = কথা + উপকথন।
- শ্রবণ = শ্রু + অন।
- প্রত্যুষ = প্রতি + ঊষ।
- স্বচ্ছ = সু + অচ্ছ।

- আমরা জানি, ব্যঞ্জনধ্বনির সাথে ব্যঞ্জনধ্বনির যে সন্ধি হয়, তাকে ব্যঞ্জনসন্ধি বলে। 
- কতগুলো ব্যঞ্জনসন্ধি বিশেষ নিয়মে সাধিত হয়।
যেমন:
উৎ + যোগ = উদ্যোগ
উৎ + স্থান = উত্থান ; 


‘প্রত্যেক’ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ - প্রতি + এক।

‘অ/আ’ এরপরে ‘অ/আ’ থাকলে উভয়ে মিলে ‘আ’ হয় এবং তা প্রথম ‘অ/আ’ - র আগের ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়।
গুরুত্তপুর্ণ কিছু সন্ধি বিচ্ছেদঃ
- পরমাশ্চর্য = পরম + আশ্চর্য।
- গ্রামান্তর = গ্রাম + অন্তর।
- যথেষ্ট = যথা + ইষ্ট।
- শুভেচ্ছা = শুভ + ইচ্ছা।
- ঢাকেশ্বরী = ঢাকা + ঈশ্বরী।
- নবোদয় = নব + উদয়।
- দ্যুলোক = দিব্ + লোক।
- রত্নাকর = রত্ন + আকর।
- কথোপকথন = কথা + উপকথন।
- শ্রবণ = শ্রু + অন।
- প্রত্যুষ = প্রতি + ঊষ।
- স্বচ্ছ = সু + অচ্ছ।


• স্বরধ্বনির পর ছ থাকলে উক্ত ব্যঞ্জনধ্বনিটি দ্বিত্ব (চ্ছ) হয়। 
যথা-
অ + ছ = চ্ছ             এক + ছত্র = একচ্ছত্র।
আ + ছ = চ্ছ            কথা + ছলে = কথাচ্ছলে।
ই + ছ = চ্ছ              পরি + ছদ = পরিচ্ছদ, বি + ছেদ = বিচ্ছেদ । 

• এরূপ – মুখচ্ছবি, পরিচ্ছেদ, বিচ্ছিন্ন, অঙ্গচ্ছেদ, আলােকচ্ছটা, প্রতিচ্ছবি, প্রচ্ছদ, আচ্ছাদন, বৃক্ষচ্ছায়া, স্বচ্ছন্দে, অনুচ্ছেদ ইত্যাদি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদঃ
- অহঃ + অহ = অহরহ 
- ছেলেমি = ছেলে + আমি,
- বন্‌ + পতি = বনস্পতি,
- সম্‌ + সার = সংসার,
- 'শারঙ্গ' শব্দটি নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধি। এরুপ পৌঢ়,অন্যান্য,কুলটা ,রক্তোষ্ঠ,শুদ্ধোদন, প্রভৃতি নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধি।
রজোগুণ শব্দটির সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ- রজঃ+গুণ
- যখন দুটি স্বরধ্বনি মিলিত হয়ে একটি নতুন স্বরধ্বনি তৈরি করে তখন তাকে স্বরসন্ধি বলে।
- "লবণ" শব্দটি স্বরসন্ধির উদাহরণ কারণ এতে দুটি স্বরধ্বনি মিলিত হয়ে একটি নতুন স্বরধ্বনি তৈরি করেছে।
- "লব" শব্দের শেষ স্বর "অ" এবং "অণু" শব্দের প্রথম স্বর "অ" মিলিত হয়ে "অ" তে পরিণত হয়েছে।
উ-ধ্বনি বা ঊ ধ্বনির পরে অন্য স্বরধ্বনি থাকলে উ অথবা ঊ-ধ্বনির জায়গায় ব-ফলা হয় এবং পরের স্বরধ্বনির চিহ্ন আগের ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়।
এই সূত্রের কিছু সন্ধির উদাহরণ হলো:
- অনু + এষণ = অন্বেষণ
- অনু + ইত = অন্বিত
- তনু + ঈ = তন্বী 
- অনু + অয় = অন্বয়
- খাঁটি বাংলা শব্দের সন্ধি দুই প্রকার। 
যথা- 
• স্বরসন্ধি, 
• ব্যঞ্জন সন্ধি। 

- তৎসম শব্দের সন্ধি তিন প্রকার। 
যথা- 
• স্বরসন্ধি, 
• ব্যঞ্জন সন্ধি এবং 
• বিসর্গ সন্ধি।
বহ্নুৎসব এর সন্ধি বিচ্ছেদ : বহ্নি + উৎসব। ই-কার কিংবা ঈ-কারের পরে ই ও ঈ ভিন্ন অন্য স্বর থাকলে ই/ঈ স্থানে য-ফলা হয়। যেমন: বহ্নি + উৎসব = বহ্ন্যুৎসব, মসী + আধার = মস্যাধার। প্রতি + ঊষ = প্রত্যূষ প্রভৃতি।
• অ কিংবা আ ধ্বনির পর ও কিংবা ঔ ধ্বনি থাকলে উভয়ে মিলে ঔ হয়। ঔ-কার পূর্ব বর্ণে যুক্ত হয়।
যেমন:
- জল + ওকা = জলৌকা,
- মহা + ওষধি = মহৌষধি,
- মহা + ঔদার্য = মহৌদার্য,
- বন + ওষধি = বনৌষধি।
• ‘সর্বংসহা’ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ- সর্বম্ + সহা = সর্বংসহা

অন্যদিকে,
ব্যঞ্জনসন্ধি নিয়মে গঠিত সন্ধি হলো:
• বিপদ্ + জাল = বিপজ্জাল।
• অলম + কার = অলংকার।

• বিসর্গ সন্ধির নিয়মে গঠিত সন্ধি হলো- চতুঃ + কোণ = চতুষ্কোণ।
• বিসর্গ সন্ধি: বিসর্গের সাথে স্বর বা ব্যঞ্জনধ্বনির যে সন্ধি হয় তাকে বিসর্গ সন্ধি বলে। বিসর্গ সন্ধি দুই ভাগে বিভক্ত যথা-
১. র্-জাত বিসর্গ।
২. স্-জাত বিসর্গ।

সংস্কৃত ভাষার নিয়মে সংস্কৃত শব্দের শেষে ‘সৃ’ বা ‘র্’ থাকলে ‘স’ বা ‘র’ লোপ পেয়ে বিসর্গ সন্ধি হয়।
যেমন:
• র্-জাত বিসর্গ: নির্>নিঃ; দুর্>দুঃ, অন্তর্>অন্তঃ ইত্যাদি।
• স্-জাত বিসর্গ: সরস্>সরঃ; মনস্>মনঃ; পুরস্>পুরঃ ইত্যাদি।

বিসর্গ সন্ধির বৈশিষ্ট্য হলো সন্ধির ফলে র্-জাত বিসর্গের ‘র’ এবং স্-জাত বিসর্গের ‘স’ অনেক ক্ষেত্রে লোপ পেয়ে আবার ‘র’ এবং ‘স’ ফিরে আসে।
- র্-জাত বিসর্গ সন্ধি হলো: অন্তঃ + গত = অন্তর্গত।
- স্-জাত বিসর্গ সন্ধি হলো: মনঃ + কাম + মনস্কাম

অন্যদিকে,
• স্বরসন্ধির সাথে স্বরসন্ধির মিলনের নাম স্বরসন্ধি। স্বরসন্ধিযোগে গঠিত শব্দ
আ + অ = আ; যথা+অর্থ = যথার্থ।
অ + অ = আ; নর+অধম = নরাধম।
ঈ + ই = ঈ; ফনী + ইন্দ্র = ফনীন্দ্র।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
-যেসব সন্ধিসমূহ স্বরসন্ধি বা ব্যঞ্জনসন্ধি বা বিসর্গসন্ধির নিয়মগুলো মেনে চলে না, তাদেরকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে।
-তৎসম শব্দের সন্ধিতেই শুধু নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি হয়। যেমন,
-নিপাতনে সিদ্ধ তৎসম "স্বরসন্ধি"-
-কুল+অটা= কুলটা,
-গো+অক্ষ= গবাক্ষ,
-প্র+ঊঢ়= প্রৌঢ়,
-অন্য+অন্য= অন্যান্য,
-মার্ত+অণ্ড= মার্তণ্ড,
-শুদ্ধ+ওদন= শুদ্ধোদন
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0