সন্ধি (550 টি প্রশ্ন )
বিসর্গ সন্ধির নিয়মানুসারে, বিসর্গের পর অঘোষ অল্পপ্রাণ কিংবা মহাপ্রাণ তালব্য ব্যঞ্জন থাকলে বিসর্গের স্থলে তালব্য শিশ ধ্বনি হয়, অঘোষ অল্পপ্রাণ কিংবা অঘোষ মহাপ্রাণ মূর্ধন্য ব্যঞ্জন থাকলে বিসর্গ স্থলে মূর্ধন্য শিশ ধ্বনি হয়, অঘোষ অল্পপ্রাণ কিংবা অঘোষ মহাপ্রাণ দন্ত্য ব্যঞ্জনের স্থলে দন্ত্য শিশ ধ্বনি হয়। যেমন: মনঃ+তাপ (ঃ+ত = স+ত) = মনস্তাপ; দুঃ+তর = দুস্তর।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
পদ্ধতি শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ করলে পাওয়া যায় পদ্ + হতি । এটি ব্যঞ্জন + ব্যঞ্জন সাধিত সন্ধি । ব্যঞ্জন + ব্যঞ্জন সন্ধির নিয়মে ত ও দ এর পর হ থাকলে ত ও দ এর স্থলে দ এবং হ এর স্থলে ধ্ হয় ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সন্ধিতে দুটি সন্নিহিত স্বরের একটির লোপ হয় । যেমন - মিথ্যা + উক = মিথ্যুক , কাঁদ + উনি = কাঁদুনি ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
'অ + অ = আ' হয়েছে। যেমন: স্ব + অধীনতা= স্বাধীনতা।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সদাশয় = সৎ + আশয়। এরূপে, সৎ + উপদেশ = সদুপদেশ; তৎ + ছায়া = তচ্ছায়া প্রভৃতি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
তৎসম ব্যঞ্জনসন্ধিতে কিছু কিছু সন্ধি বিশেষ নিয়মে সাধিত হয়। যেমন: সমৃ+কার = সংস্কার; উৎ+স্থান = উত্থান; পরি+কার = পরিষ্কার; সম+কৃতি = সংস্কৃতি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
তৎসম ব্যঞ্জনসন্ধির নিয়মানুসারে, ম্ এর পর অন্তঃস্থ ধ্বনি য, র, ল, ব কিংবা শ, ষ, শ, হ থাকলে ম্ স্থলে অনুস্বার (ং) হয়। যেমন: সম্ + সার = সংসার, সম্ +যম = সংযম।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
তৎসম ব্যঞ্জনসন্ধির নিয়মানুসারে, ষ্ এর পর ত্ বা প্ থাকলে যথাক্রমে ত্ ও থ্ স্থানে ট ও ঠ হয়। যেমন: ষষ্+থ = ষষ্ঠ, কৃষ্+তি = কৃষ্টি, আকৃষ্+ত = আকৃষ্ট ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
এটি নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধির উদাহরণ। এরূপ আরো কয়েকটি - কুল + অটা = কুলটা, প্র + ঊঢ় = প্রৌঢ়, অন্য + অন্য = অন্যান্য, মার্ত + অণ্ড = মার্তণ্ড।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বহ্নুৎসব এর সন্ধি বিচ্ছেদ : বহ্নি + উৎসব। ই-কার কিংবা ঈ-কারের পরে ই ও ঈ ভিন্ন অন্য স্বর থাকলে ই/ঈ স্থানে য-ফলা হয়। যেমন: বহ্নি + উৎসব = বহ্ন্যুৎসব, মসী + আধার = মস্যাধার। প্রতি + ঊষ = প্রত্যূষ প্রভৃতি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
ই-কার কিংবা ঈ-কারের পর ই ও ঈ ছাড়া অন্য কোন স্বরধ্বনি থাকলে ই বা ঈ ‘য’ হয় এবং য- ফলা পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়। যেমন- অতি+অধিক = অত্যধিক, অতি+অন্ত = অত্যন্ত, প্রতি+অহ = প্রত্যহ ইত্যাদি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
অ-কার কিংবা আ-কারের পর উ-কার কিংবা ঊ-কার থাকলে উভয়ে মিলে ও-কার হয়। সুতরাং হিতোপদেশ শব্দটির সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ হলো হিত+উপদেশ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সন্নিহিত দুটি ধ্বনির মিলনের নাম সন্ধি । সন্ধির উদ্দেশ্য স্বাভাবিক উচ্চারণে সহজপ্রবলতা এবং ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
• ই - কার কিংবা ঈ - কারের পর ই ও ঈ ভিন্ন অন্য স্বর থাকলে ই বা ঈ স্থানে 'য' বা য (¨) ফলা হয়। যেমনঃ ঈ + অ = য্ + অ। উদাহরণঃ নদী + অম্বু = নদ্যম্বু।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সন্ধি শব্দের অর্থ মিলন। দ্রুত উচ্চারণের ফলে পরস্পর সন্নিহিত দুটি ধ্বনির মিলনকে ধ্বনিগত পরিবর্তন হয় তাকে বলা হয় সন্ধি। বাংলা সন্ধি দুই প্রকার। যথা: স্বরসন্ধি ও ব্যঞ্জনসন্ধি। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত তৎসম সন্ধি তিন প্রকার। যথা: স্বরসন্ধি, ব্যঞ্জন সন্ধি ও বিসর্গ সন্ধি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
• অ কিংবা আ ধ্বনির পর ও কিংবা ঔ ধ্বনি থাকলে উভয়ে মিলে ঔ হয়। ঔ-কার পূর্ব বর্ণে যুক্ত হয়।
যেমন:
- জল + ওকা = জলৌকা,
- মহা + ওষধি = মহৌষধি,
- মহা + ঔদার্য = মহৌদার্য,
- বন + ওষধি = বনৌষধি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
নমঃ + কার = নমস্কার
পদঃ + খলন = পদস্খলন
পুরঃ + কার = পুরস্কার
তিরঃ + কার = তিরস্কার
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
তৎসম ব্যঞ্জনসন্ধির নিয়মানুসারে, ম্ এর পর যে কোনো বর্গীয় ধ্বনি থাকলে ম্ ধ্বনিটি সেই বর্গের নাসিক্য
ধ্বনি হয়। যেমন:
- সমৃ+ধি (মৃ+ধ = নৃ+ধ) = সন্ধি;
- সম্+তাপ = সত্তাপ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
• তন্ময়  -  তৎ + সয়
• রাজ্ঞী - রাজ্ + নী
• অহংকার - অহম্‌ + কার
• দোলনা - দুল + অনা
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সন্ধি বাংলা ব্যাকরণে শব্দগঠনের একটি মাধ্যম। এর অর্থ মিলন। অর্থাৎ‍ দুটি শব্দ মিলিয়ে একটি শব্দে পরিণত হওয়াকে বা পরস্পর সন্নিহিত দুই বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে। সন্ধি ব্যাকরণের‬ ধ্বনিতত্ব অংশে আলোচিত হয়। ধ্বনিগত মাধুর্য এবং স্বাভাবিক‬ উচ্চারণে সহজপ্রবণতা সন্ধির উদ্দেশ্য।
বাজার থেকে এক কেজি 'কচ্ছালু' বা কচু ও আলু নিয়ে আসো। এটা ভাষাগত মাধুর্য নস্ট করে দিয়েছে। তাই এটি সন্ধি হবে না। 

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
'ষষ্ঠ' - এর সন্ধিবিচ্ছেদ হলো ষষ্ + থ । ষ্ + থ থাকলে ষ্ঠ হয় ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
উ-ধ্বনি বা ঊ ধ্বনির পরে অন্য স্বরধ্বনি থাকলে উ অথবা ঊ-ধ্বনির জায়গায় ব-ফলা হয় এবং পরের স্বরধ্বনির চিহ্ন আগের ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়।
এই সূত্রের কিছু সন্ধির উদাহরণ হলো:
- অনু + এষণ = অন্বেষণ
- অনু + ইত = অন্বিত
- তনু + ঈ = তন্বী 
- অনু + অয় = অন্বয়
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
উ-ধ্বনি বা ঊ ধ্বনির পরে অন্য স্বরধ্বনি থাকলে উ অথবা ঊ-ধ্বনির জায়গায় ব-ফলা হয় এবং পরের স্বরধ্বনির চিহ্ন আগের ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়।
এই সূত্রের কিছু সন্ধির উদাহরণ হলো:
- অনু + এষণ = অন্বেষণ
- অনু + ইত = অন্বিত
- তনু + ঈ = তন্বী 
- অনু + অয় = অন্বয়
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
কতগুলো সন্ধি বিশেষ নিয়মে হয়। যেমন- সম + কার = সংস্কার, পরি + কার = পরিষ্কার, উৎ + স্থাপন = উত্থাপন ইত্যাদি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0