- এটি একটি বিসর্গ সন্ধি। - নিয়মটি হলো, অ-কারের পরস্থিত বিসর্গের (অঃ) পর অ-কার ভিন্ন অন্য কোনো স্বরধ্বনি থাকলে বিসর্গটি লোপ পায় অর্থাৎ বিলুপ্ত হয়ে যায়। - এখানে, 'অতঃ' শব্দে 'ত'-এর সাথে থাকা 'অ'-কারের পর বিসর্গ (ঃ) রয়েছে। - এরপর 'এব' শব্দের শুরুতে 'এ'-কার আছে, যা 'অ'-কার ভিন্ন একটি স্বরধ্বনি। - ফলে নিয়ম অনুযায়ী বিসর্গটি লোপ পেয়ে দুটি শব্দ মিলিত হয়ে 'অতএব' গঠিত হয়েছে।
- 'চলচ্ছক্তি'-এর সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ হলো: চলৎ + শক্তি।
- এটি ব্যঞ্জন সন্ধির একটি বিশেষ নিয়ম। - নিয়মটি হলো, 'ত্' বা 'দ্'-এর পর 'শ' থাকলে, 'ত্' বা 'দ্'-এর স্থলে 'চ' এবং 'শ'-এর স্থলে 'ছ' হয়। এই দুটি মিলে 'চ্ছ' তৈরি হয়। - এখানে, 'চলৎ' শব্দের শেষে 'ত্' রয়েছে। - এরপর 'শক্তি' শব্দের শুরুতে 'শ' রয়েছে। - সন্ধির নিয়ম অনুসারে 'ত্' পরিবর্তিত হয়ে 'চ' এবং 'শ' পরিবর্তিত হয়ে 'ছ' হয়েছে।
-বিসর্গ সন্ধির ক্ষেত্রে, মিলিত দুটি ধ্বনির মধ্যে একটি সর্বদা বিসর্গ (ঃ) থাকে। -অন্য ধ্বনিটি স্বরধ্বনি অথবা ব্যঞ্জনধ্বনি হতে পারে। যেহেতু এই সন্ধির মূল ভিত্তিই হলো বিসর্গের উপস্থিতি, তাই একে একটি আলাদা শ্রেণি হিসেবে "বিসর্গ সন্ধি" নামে অভিহিত করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ -বিসর্গ + স্বরধ্বনি: প্রাতঃ + আশ = প্রাতরাশ। এখানে বিসর্গের (ঃ) সঙ্গে স্বরধ্বনি 'আ' যুক্ত হয়েছে। -বিসর্গ + ব্যঞ্জনধ্বনি: মনঃ + কামনা = মনস্কামনা। এক্ষেত্রে বিসর্গের (ঃ) সঙ্গে ব্যঞ্জনধ্বনি 'ক' যুক্ত হয়েছে।
-এটি ব্যঞ্জন সন্ধির একটি বিশেষ নিয়ম অনুসারে গঠিত হয়েছে। নিয়মটি হলো:
ত্ বা দ্-এর পর হ থাকলে, ত্ বা দ্-এর স্থানে দ্ এবং হ-এর স্থানে ধ হয়। এই দ্ ও ধ মিলিত হয়ে দ্ধ গঠন করে।
এই নিয়ম অনুসারে: -উৎ (এখানে 'ৎ' মূলত 'ত্'-এর খণ্ড রূপ) + হত -এখানে সন্ধির নিয়ম অনুযায়ী 'ৎ' পরিবর্তিত হয়ে 'দ্' হয়েছে এবং 'হ' পরিবর্তিত হয়ে 'ধ' হয়েছে। -ফলে, দ্ + ধ = দ্ধ -অতএব, উৎ + হত = উদ্ধত
একই নিয়মে গঠিত আরও কিছু শব্দ হলো: উৎ + হার = উদ্ধার উৎ + হৃত = উদ্ধৃত পদ্ + হতি = পদ্ধতি তদ্ + হিত = তদ্ধিত
ব্যাকরণ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ হলো: বি + আ + √কৃ + অন এখানে, বি (উপসর্গ) আ (উপসর্গ) √কৃ (ধাতু, যার অর্থ 'করা' বা 'সৃষ্টি করা') অন (প্রত্যয়) এই চারটি অংশ মিলে 'ব্যাকরণ' শব্দটি গঠিত হয়েছে। এটি ব্যাকরণের ব্যুৎপত্তিগত
যদি কোনো শব্দের শেষে অ বা আ ছাড়া অন্য কোনো স্বরবর্ণের পর বিসর্গ (ঃ) থাকে এবং তার পরে যদি অ, আ, ঘোষ অল্পপ্রাণ, ঘোষ মহাপ্রাণ, নাসিক্য ধ্বনি, অথবা য, র, ল, ব, হ থাকে, তাহলে বিসর্গটি ‘র’ তে পরিবর্তিত হয়ে যায়।
উদাহরণ: দুঃ + যোগ = দুর্যোগ (এখানে 'উ'-কার এর পর বিসর্গ এবং তার পর 'য' আছে, তাই বিসর্গ 'র' হয়েছে)।
নিঃ + আকার = নিরাকার (এখানে 'ই'-কার এর পর বিসর্গ এবং তার পর 'আ' আছে, তাই বিসর্গ 'র' হয়েছে)।
আশীঃ + বাদ = আশীর্বাদ (এখানে 'ঈ'-কার এর পর বিসর্গ এবং তার পর 'ব' আছে, তাই বিসর্গ 'র' হয়েছে)।
-যেসব সন্ধিসমূহ স্বরসন্ধি বা ব্যঞ্জনসন্ধি বা বিসর্গসন্ধির নিয়মগুলো মেনে চলে না, তাদেরকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে। -তৎসম শব্দের সন্ধিতেই শুধু নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি হয়। যেমন, -নিপাতনে সিদ্ধ তৎসম "স্বরসন্ধি"- -কুল+অটা= কুলটা, -গো+অক্ষ= গবাক্ষ, -প্র+ঊঢ়= প্রৌঢ়, -অন্য+অন্য= অন্যান্য, -মার্ত+অণ্ড= মার্তণ্ড, -শুদ্ধ+ওদন= শুদ্ধোদন।
'পৃথক' এবং 'অন্ন'—এই দুটি শব্দ সন্ধি দ্বারা যুক্ত হয় না। এদেরকে আলাদাভাবে 'পৃথক অন্ন' লিখতে হয়। বাংলা সন্ধির কোনো নিয়মেই 'পৃথক + অন্ন = পৃথকন্ন' হয় না। এটি একটি ভুল ও অপ্রচলিত শব্দ।
যেসব সন্ধিসমূহ স্বরসন্ধি বা ব্যঞ্জনসন্ধি বা বিসর্গসন্ধির নিয়মগুলো মেনে চলে না, তাদেরকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে। তৎসম শব্দের সন্ধিতেই শুধু নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি হয়।যেমন ঃ
-যেসব সন্ধিসমূহ স্বরসন্ধি বা ব্যঞ্জনসন্ধি বা বিসর্গসন্ধির নিয়মগুলো মেনে চলে না, তাদেরকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে। -তৎসম শব্দের সন্ধিতেই শুধু নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি হয়। যেমন, -নিপাতনে সিদ্ধ তৎসম "স্বরসন্ধি"- -কুল+অটা= কুলটা, -গো+অক্ষ= গবাক্ষ, -প্র+ঊঢ়= প্রৌঢ়, -অন্য+অন্য= অন্যান্য, -মার্ত+অণ্ড= মার্তণ্ড, -শুদ্ধ+ওদন= শুদ্ধোদন।
- স্বরে আর ব্যঞ্জনে, ব্যঞ্জনে আর স্বরে এবং ব্যঞ্জনে আর ব্যঞ্জনে মিলিত হয়ে যে সন্ধি হয়, তাকে ব্যঞ্জনসন্ধি বলে। তবে ব্যঞ্জনধ্বনির সঙ্গে বিসর্গ (ঃ) যুক্ত হলে ব্যঞ্জনসন্ধি সংঘটিত হয় না।
- বিসর্গ সন্ধি, সন্ধির একটি বিশেষ প্রকারভেদ • বিসর্গ সন্ধি: বিসর্গের সাথে স্বর বা ব্যঞ্জনধ্বনির যে সন্ধি হয় তাকে বিসর্গ সন্ধি বলে। বিসর্গ সন্ধি দুই ভাগে বিভক্ত যথা- ১. র্-জাত বিসর্গ। ২. স্-জাত বিসর্গ।
সংস্কৃত ভাষার নিয়মে সংস্কৃত শব্দের শেষে ‘সৃ’ বা ‘র্’ থাকলে ‘স’ বা ‘র’ লোপ পেয়ে বিসর্গ সন্ধি হয়। যেমন: • র্-জাত বিসর্গ: নির্>নিঃ; দুর্>দুঃ, অন্তর্>অন্তঃ ইত্যাদি। • স্-জাত বিসর্গ: সরস্>সরঃ; মনস্>মনঃ; পুরস্>পুরঃ ইত্যাদি।
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
- 'নাবিক' শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ হয় "ঔ + অন্য স্বর" সূত্র অনুসারে। - 'নাবিক' শব্দটি গঠিত হয়েছে নৌ + ইক থেকে। - এখানে 'নৌ' শব্দের শেষে ঔ ধ্বনি এবং 'ইক' শব্দের শুরুতে ই ধ্বনি রয়েছে। - বাংলা ব্যাকরণ অনুযায়ী, ঔ + অন্য স্বর মিলিত হলে আবৃ + স্বর হয়।
- বিসর্গ সন্ধি হলো এমন একটি সন্ধি যেখানে পূর্বপদের শেষ ধ্বনি বিসর্গ (ঃ) এবং পরপদের প্রথম ধ্বনি স্বরধ্বনি বা ব্যঞ্জনধ্বনি হয়। - বিসর্গ সন্ধির ফলে বিসর্গের পরিবর্তন ঘটে বা এটি লুপ্ত হয়। - মনোযোগ শব্দটি গঠিত হয়েছে মনঃ + যোগ থেকে। - এখানে বিসর্গ (ঃ) এবং পরবর্তী শব্দের প্রথম ধ্বনি (য) একত্রিত হয়ে মনোযোগ শব্দটি তৈরি হয়েছে। - এটি বিসর্গ সন্ধির একটি আদর্শ উদাহরণ।
-'মনীষা' শব্দটি নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধির উদাহরণ। -নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি হলো সেই সকল সন্ধি, যা ব্যাকরণের সাধারণ নিয়ম অনুসারে হয় না - বরং বিশেষ নিয়মে বা প্রচলিত প্রয়োগের ওপর ভিত্তি করে গঠিত হয়। -এখানে, 'মনস' শব্দের 'স' এবং 'ঈষা' শব্দের 'ঈ' মিলে 'ষ' ও 'ঈ' (অর্থাৎ 'ষী') হয়েছে। -এটি বিসর্গ সন্ধির একটি বিশেষ ব্যতিক্রমী উদাহরণ।
- 'গণঅভ্যুত্থান' শব্দটি সমাস দ্বারা গঠিত। - এটি একটি তৎপুরুষ সমাস, যেখানে দুটি শব্দ 'গণ' এবং 'অভ্যুত্থান' একত্রিত হয়েছে। - গণ: অর্থ জনগণ বা সাধারণ মানুষ। - অভ্যুত্থান: অর্থ বিদ্রোহ বা উত্থান। - সমাসের মাধ্যমে এই দুটি শব্দ একত্রিত হয়ে 'গণঅভ্যুত্থান' শব্দটি তৈরি হয়েছে, যার অর্থ দাঁড়ায় "জনগণের বিদ্রোহ বা উত্থান।"
যেসব সন্ধিসমূহ স্বরসন্ধি বা ব্যঞ্জনসন্ধি বা বিসর্গসন্ধির নিয়মগুলো মেনে চলে না, তাদেরকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে। তৎসম শব্দের সন্ধিতেই শুধু নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি হয়।
- তৎসম স্বরসন্ধির নিয়মানুসারে, উ-কার কিংবা ঊ- কারের পর উ ও ঊ ভিন্ন অন্য স্বর থাকলে উ বা ঊ স্থানে ব-ফলা হয় এবং ব-ফলা লেখার সময় পূর্ববর্তী বর্ণের সাথে লেখা হয়। যেমন: - সু+আগত (উ+আ = ব+আ) = স্বাগত; - পশু+আচার = পশ্বাচার ।
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
✅প্রাইমারী, নিবন্ধন বা ১১তম-২০তম গ্রেডের যেকোনো চাকরি জন্য প্রশ্ন ব্যাংক লেগে থেকে শেষ করুন। অ্যাপ এর প্রশ্ন ব্যাংক থেকে ১০০% কমন আসবে। বাকি চাকরি পরীক্ষা জন্য ৭০%-৮০% কমন আসবে। আপনার চর্চার সময় আপনার ভুল প্রশ্ন, বুকমার্ক প্রশ্ন সব ডাটাবেজে জমা থাকে। মনে করুন বাংলা সাহিত্য ৪০০০ প্রশ্ন আছে, আপনি একবার ভালো করে পড়বেন, এর মধ্যে দেখবেন ৪০% প্রশ্ন আপনার জানা, যেগুলো কখনও ভুল হবে না, বাকি আছে ৬০%, এই প্রশ্নগুলো আলাদা বাটনে জমা হয়, যেগুলো আপনি ভুল করছেন, এখন এইগুলো ভালো করে রিভিশন দিন। এতে সহজে কম সময় প্রস্তুতি শেষ হবে। যারা একেবারে নতুন তারা জব শুলুশন্স বাটন দিয়ে শুরু করতে পারেন।
✅প্রাইমারী ১ম ধাপের পরীক্ষার তারিখ দিলে ফুল মডেল টেস্ট শুরু হবে।
✅ব্যাংক নিয়োগ প্রস্তুতি'র লং কোর্স (রুটিনের জন্য পিডিএফ বাটন দেখুন) - পরীক্ষা শুরুঃ ১০ নভেম্বর। - মোট পরীক্ষাঃ ১২৮টি, - টপিক ভিত্তিকঃ ১১২টি, - রিভিশন পরীক্ষাঃ ২২টি, - Vocabulary রিভিশনঃ ৩বার
✅ সম্পূর্ণ ফ্রিতে প্রস্তুতি নিন ৫০তম বিসিএস। মোট পরীক্ষাঃ ১৬২টি টপিক ভিত্তিক পরীক্ষাঃ ১০০টি রিভিশন পরীক্ষাঃ ৬২টি
অ্যাপ এর হোম screen -এ পিডিএফ বাটন ক্লিক করুন, এখান থেকে রুটিন ডাউনলোড করতে পারবেন। রুটিনের তারিখ অনুযায়ী পরীক্ষা রাত ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেকোন সময় দিতে পারবেন, ফলাফল সাথে সাথে বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ দেওয়া হয়। missed পরীক্ষাগুলো আর্কাইভ থেকে দিতে পারবেন, তবে মেরিট লিস্ট আসবে না, মেরিট লিস্টে থাকতে হলে রুটিন অনুযায়ী নির্দিষ্ট তারিখে দিতে হবে। আর্কাইভ থেকে পরীক্ষা দিতে হলে ভিজিট করুনঃ অ্যাপ এর হোম স্ক্রীনে 'পরীক্ষার সেকশন' বাটনে ক্লিক করুন -> বিসিএস বাটন -> [ফ্রি কোর্স] ৫০তম বিসিএস প্রিলি ২২০ দিনের সেকশনের All Exam বাটন ক্লিক করুন -> এখান Upcoming, Expired ট্যাব পাবেন।
✅ প্রধান শিক্ষক প্রস্তুতি - লেকচারশীট ভিত্তিকঃ রুটিন আপলোড করা হয়েছে। পরীক্ষা শুরুঃ ১৫ আগস্ট। মোট পরীক্ষাঃ ৫৮টি
✅ আপকামিং রুটিনঃ
- ১০০ দিনের বিসিএস বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি। - বেসিকভিউ বই অনুসারে GK রুটিনে টপিক ও বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ থাকবে। - অগ্রদূত বাংলা বই অনুসারে বাংলা সাহিত্য ও ভাষা রুটিনে টপিক ও বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ থাকবে।। - English মাস্টার বই অনুসারে রুটিনে টপিক ও বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ থাকবে।