সন্ধি (599 টি প্রশ্ন )
- 'অতএব'-এর সন্ধি বিচ্ছেদ হলো: অতঃ + এব। 

- এটি একটি বিসর্গ সন্ধি।
- নিয়মটি হলো, অ-কারের পরস্থিত বিসর্গের (অঃ) পর অ-কার ভিন্ন অন্য কোনো স্বরধ্বনি থাকলে বিসর্গটি লোপ পায় অর্থাৎ বিলুপ্ত হয়ে যায়।
- এখানে, 'অতঃ' শব্দে 'ত'-এর সাথে থাকা 'অ'-কারের পর বিসর্গ (ঃ) রয়েছে।
- এরপর 'এব' শব্দের শুরুতে 'এ'-কার আছে, যা 'অ'-কার ভিন্ন একটি স্বরধ্বনি।
- ফলে নিয়ম অনুযায়ী বিসর্গটি লোপ পেয়ে দুটি শব্দ মিলিত হয়ে 'অতএব' গঠিত হয়েছে।
- 'চলচ্ছক্তি'-এর সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ হলো: চলৎ + শক্তি। 

- এটি ব্যঞ্জন সন্ধির একটি বিশেষ নিয়ম।
- নিয়মটি হলো, 'ত্' বা 'দ্'-এর পর 'শ' থাকলে, 'ত্' বা 'দ্'-এর স্থলে 'চ' এবং 'শ'-এর স্থলে 'ছ' হয়। এই দুটি মিলে 'চ্ছ' তৈরি হয়।
- এখানে, 'চলৎ' শব্দের শেষে 'ত্' রয়েছে।
- এরপর 'শক্তি' শব্দের শুরুতে 'শ' রয়েছে।
- সন্ধির নিয়ম অনুসারে 'ত্' পরিবর্তিত হয়ে 'চ' এবং 'শ' পরিবর্তিত হয়ে 'ছ' হয়েছে।
সম্’ উপসর্গের পর ‘কৃ’ ধাতু থেকে উদ্ভূত পদ (যেমন – কার, কৃত, কৃতি ইত্যাদি) থাকলে, সন্ধির ফলে মাঝখানে একটি ‘স্’ (দন্ত্য স) বর্ণের আগম হয়।

এই নিয়মানুযায়ী:
সম্ + কৃত = সংস্কৃত
সম্ + কার = সংস্কার
সম্ + কৃতি = সংস্কৃতি
পরি + কার = পরিষ্কার

সুতরাং, 'সংস্কৃত' শব্দটি একটি বিশেষ নিয়মে সাধিত ব্যঞ্জনসন্ধির উদাহরণ।

-বিসর্গ সন্ধির ক্ষেত্রে, মিলিত দুটি ধ্বনির মধ্যে একটি সর্বদা বিসর্গ (ঃ) থাকে।
-অন্য ধ্বনিটি স্বরধ্বনি অথবা ব্যঞ্জনধ্বনি হতে পারে। যেহেতু এই সন্ধির মূল ভিত্তিই হলো বিসর্গের উপস্থিতি, তাই একে একটি আলাদা শ্রেণি হিসেবে "বিসর্গ সন্ধি" নামে অভিহিত করা হয়।

উদাহরণস্বরূপ
-বিসর্গ + স্বরধ্বনি: প্রাতঃ + আশ = প্রাতরাশ।
এখানে বিসর্গের (ঃ) সঙ্গে স্বরধ্বনি 'আ' যুক্ত হয়েছে।
-বিসর্গ + ব্যঞ্জনধ্বনি: মনঃ + কামনা = মনস্কামনা।
এক্ষেত্রে বিসর্গের (ঃ) সঙ্গে ব্যঞ্জনধ্বনি 'ক' যুক্ত হয়েছে।


-এটি ব্যঞ্জন সন্ধির একটি বিশেষ নিয়ম অনুসারে গঠিত হয়েছে। নিয়মটি হলো:

ত্ বা দ্-এর পর  থাকলে, ত্ বা দ্-এর স্থানে দ্ এবং -এর স্থানে  হয়। এই দ্ ও  মিলিত হয়ে দ্ধ গঠন করে।

এই নিয়ম অনুসারে:
-উৎ (এখানে 'ৎ' মূলত 'ত্'-এর খণ্ড রূপ) + হত
-এখানে সন্ধির নিয়ম অনুযায়ী 'ৎ' পরিবর্তিত হয়ে 'দ্' হয়েছে এবং 'হ' পরিবর্তিত হয়ে 'ধ' হয়েছে।
-ফলে, দ্ + ধ = দ্ধ
-অতএব, উৎ + হত = উদ্ধত

একই নিয়মে গঠিত আরও কিছু শব্দ হলো:
উৎ + হার = উদ্ধার
উৎ + হৃত = উদ্ধৃত
পদ্ + হতি = পদ্ধতি
তদ্ + হিত = তদ্ধিত


'ঘ্রাণ ' এর সন্ধি বিচ্ছেদ হল: ঘ্রা+অন = ঘ্রাণ।
ব্যাকরণ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ হলো:
বি + আ + √কৃ + অন
এখানে,
বি (উপসর্গ)
আ (উপসর্গ)
√কৃ (ধাতু, যার অর্থ 'করা' বা 'সৃষ্টি করা')
অন (প্রত্যয়)
এই চারটি অংশ মিলে 'ব্যাকরণ' শব্দটি গঠিত হয়েছে। এটি ব্যাকরণের ব্যুৎপত্তিগত
যদি কোনো শব্দের শেষে অ বা আ ছাড়া অন্য কোনো স্বরবর্ণের পর বিসর্গ (ঃ) থাকে এবং তার পরে যদি অ, আ, ঘোষ অল্পপ্রাণ, ঘোষ মহাপ্রাণ, নাসিক্য ধ্বনি, অথবা য, র, ল, ব, হ থাকে, তাহলে বিসর্গটি ‘র’ তে পরিবর্তিত হয়ে যায়।

উদাহরণ:
দুঃ + যোগ = দুর্যোগ (এখানে 'উ'-কার এর পর বিসর্গ এবং তার পর 'য' আছে, তাই বিসর্গ 'র' হয়েছে)।

নিঃ + আকার = নিরাকার (এখানে 'ই'-কার এর পর বিসর্গ এবং তার পর 'আ' আছে, তাই বিসর্গ 'র' হয়েছে)।

আশীঃ + বাদ = আশীর্বাদ (এখানে 'ঈ'-কার এর পর বিসর্গ এবং তার পর 'ব' আছে, তাই বিসর্গ 'র' হয়েছে)।
-যেসব সন্ধিসমূহ স্বরসন্ধি বা ব্যঞ্জনসন্ধি বা বিসর্গসন্ধির নিয়মগুলো মেনে চলে না, তাদেরকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে।
-তৎসম শব্দের সন্ধিতেই শুধু নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি হয়। যেমন,
-নিপাতনে সিদ্ধ তৎসম "স্বরসন্ধি"-
-কুল+অটা= কুলটা,
-গো+অক্ষ= গবাক্ষ,
-প্র+ঊঢ়= প্রৌঢ়,
-অন্য+অন্য= অন্যান্য,
-মার্ত+অণ্ড= মার্তণ্ড,
-শুদ্ধ+ওদন= শুদ্ধোদন।

নিপাতনে সিদ্ধ তৎসম "ব্যঞ্জনসন্ধি"-
-আ+চর্য= আশ্চর্য,
-গো+পদ= গোষ্পদ,
-বন+পতি= বনস্পতি,
-বৃহৎ+পতি= বৃহস্পতি,
-তৎ+কর= তস্কর,
-পর+পর= পরস্পর,
-মনস্+ঈষা= মনীষা,
-ষট্+দশ= ষোড়শ,
-এক+দশ= একাদশ,
-পতৎ+অঞ্জলি= পতঞ্জলি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
'পৃথক' এবং 'অন্ন'—এই দুটি শব্দ সন্ধি দ্বারা যুক্ত হয় না। এদেরকে আলাদাভাবে 'পৃথক অন্ন' লিখতে হয়। বাংলা সন্ধির কোনো নিয়মেই 'পৃথক + অন্ন = পৃথকন্ন' হয় না। এটি একটি ভুল ও অপ্রচলিত শব্দ।
- স্বরধ্বনির পরে ব্যঞ্জনধ্বনি এলে স্বরধ্বনিটি লুপ্ত হয়।
যেমন,
নাতি + বৌ = নাতবৌ,
ঘোড়া + দৌড় = ঘোড়দৌড় ইত্যাদি।

কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বিচ্ছেদ:
• বন + পতি = বনস্পতি,
• কাঁচকলা = কাঁচা + কলা
• আ + চর্য = আশ্চর্য,
• গো + পদ = গোস্পদ,
• পর + পর = পরস্পর,
• ষট্ + দশ = ষোড়শ,
• এক + দশ = একাদশ,
• পতৎ + অঞ্জলি = পতঞ্জলি ইত্যাদি।

উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।
যেসব সন্ধিসমূহ স্বরসন্ধি বা ব্যঞ্জনসন্ধি বা বিসর্গসন্ধির নিয়মগুলো মেনে চলে না, তাদেরকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে। তৎসম শব্দের সন্ধিতেই শুধু নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি হয়।যেমন ঃ
- তৎ+কর =তস্কর,
- আ +চর্য =আশ্চর্য ।
- বিশেষ নিয়মে সাধিত সন্ধি 'উৎ +স্থাপন =উত্থাপন । 
- কৃষ + টি =কৃষ্টি (তৎসম ব্যঞ্জন সন্ধি ),
- তদ্ + কাল = তৎকাল (তৎসম ব্যঞ্জন সন্ধি )

'ক,চ,ট,ত্‌,প' এর পরে স্বরধ্বনি থাকলে সেগুলো 'গ,জ,দ,ব্‌' হয়।পরবর্তী স্বরধ্বনি টি পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনধ্বনির সঙ্গে যুক্ত হয়।
যেমনঃ
সুপ্ + অন্ত = সুবন্ত,
বাক্‌ + অর্থ = বাগর্থ,
দিক্ + অন্ত = দিগন্ত,
ণিচ্ + অন্ত = ণিজন্ত।

ই + ঊ = য্ + ঊ হয়। যেমনঃ
- পরি + আলোচনা = পর্যালোচনা,
- প্রত্যূষ = প্রতি + ঊষ,
- প্রতি + উষ = প্রত্যুষ ইত্যাদি।
-যেসব সন্ধিসমূহ স্বরসন্ধি বা ব্যঞ্জনসন্ধি বা বিসর্গসন্ধির নিয়মগুলো মেনে চলে না, তাদেরকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে।
-তৎসম শব্দের সন্ধিতেই শুধু নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি হয়। যেমন,
-নিপাতনে সিদ্ধ তৎসম "স্বরসন্ধি"-
-কুল+অটা= কুলটা,
-গো+অক্ষ= গবাক্ষ,
-প্র+ঊঢ়= প্রৌঢ়,
-অন্য+অন্য= অন্যান্য,
-মার্ত+অণ্ড= মার্তণ্ড,
-শুদ্ধ+ওদন= শুদ্ধোদন।

নিপাতনে সিদ্ধ তৎসম "ব্যঞ্জনসন্ধি"-
-আ+চর্য= আশ্চর্য,
-গো+পদ= গোষ্পদ,
-বন+পতি= বনস্পতি,
-বৃহৎ+পতি= বৃহস্পতি,
-তৎ+কর= তস্কর,
-পর+পর= পরস্পর,
-মনস্+ঈষা= মনীষা,
-ষট্+দশ= ষোড়শ,
-এক+দশ= একাদশ,
-পতৎ+অঞ্জলি= পতঞ্জলি।
- তৎসম স্বরসন্ধির নিয়মানুসারে, অ-কার কিংবা আ- কারের পর ঋ-কার থাকলে উভয়ে মিলে 'অর' হয় এবং তা রেফ (') রূপে পরবর্তী বর্ণের সাথে লেখা হয়।
যেমন:
- উত্তম+ঋণ (অ+ঋ = অর্) = উত্তমর্ণ;
- অধম+ঋণ = অধমর্ণ;
- দেব+ঋষি = দেবর্ষি।

- স্বরে আর ব্যঞ্জনে, ব্যঞ্জনে আর স্বরে এবং ব্যঞ্জনে আর ব্যঞ্জনে মিলিত হয়ে যে সন্ধি হয়, তাকে ব্যঞ্জনসন্ধি বলে। তবে ব্যঞ্জনধ্বনির সঙ্গে বিসর্গ (ঃ) যুক্ত হলে ব্যঞ্জনসন্ধি সংঘটিত হয় না।

- বিসর্গ সন্ধি, সন্ধির একটি বিশেষ প্রকারভেদ
• বিসর্গ সন্ধি: বিসর্গের সাথে স্বর বা ব্যঞ্জনধ্বনির যে সন্ধি হয় তাকে বিসর্গ সন্ধি বলে। বিসর্গ সন্ধি দুই ভাগে বিভক্ত যথা-
১. র্-জাত বিসর্গ।
২. স্-জাত বিসর্গ।

সংস্কৃত ভাষার নিয়মে সংস্কৃত শব্দের শেষে ‘সৃ’ বা ‘র্’ থাকলে ‘স’ বা ‘র’ লোপ পেয়ে বিসর্গ সন্ধি হয়।
যেমন:
• র্-জাত বিসর্গ: নির্>নিঃ; দুর্>দুঃ, অন্তর্>অন্তঃ ইত্যাদি।
• স্-জাত বিসর্গ: সরস্>সরঃ; মনস্>মনঃ; পুরস্>পুরঃ ইত্যাদি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- 'নাবিক' শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ হয় "ঔ + অন্য স্বর" সূত্র অনুসারে।
- 'নাবিক' শব্দটি গঠিত হয়েছে নৌ + ইক থেকে।
- এখানে 'নৌ' শব্দের শেষে ঔ ধ্বনি এবং 'ইক' শব্দের শুরুতে ই ধ্বনি রয়েছে।
- বাংলা ব্যাকরণ অনুযায়ী, ঔ + অন্য স্বর মিলিত হলে আবৃ + স্বর হয়।
- বিসর্গ সন্ধি হলো এমন একটি সন্ধি যেখানে পূর্বপদের শেষ ধ্বনি বিসর্গ (ঃ) এবং পরপদের প্রথম ধ্বনি স্বরধ্বনি বা ব্যঞ্জনধ্বনি হয়।
- বিসর্গ সন্ধির ফলে বিসর্গের পরিবর্তন ঘটে বা এটি লুপ্ত হয়।
- মনোযোগ শব্দটি গঠিত হয়েছে মনঃ + যোগ থেকে।
- এখানে বিসর্গ (ঃ) এবং পরবর্তী শব্দের প্রথম ধ্বনি (য) একত্রিত হয়ে মনোযোগ শব্দটি তৈরি হয়েছে।
- এটি বিসর্গ সন্ধির একটি আদর্শ উদাহরণ।
-'মনীষা' শব্দটি নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধির উদাহরণ।
-নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি হলো সেই সকল সন্ধি, যা ব্যাকরণের সাধারণ নিয়ম অনুসারে হয় না
- বরং বিশেষ নিয়মে বা প্রচলিত প্রয়োগের ওপর ভিত্তি করে গঠিত হয়।
-এখানে, 'মনস' শব্দের 'স' এবং 'ঈষা' শব্দের 'ঈ' মিলে 'ষ' ও 'ঈ' (অর্থাৎ 'ষী') হয়েছে।
-এটি বিসর্গ সন্ধির একটি বিশেষ ব্যতিক্রমী উদাহরণ।
- 'গণঅভ্যুত্থান' শব্দটি সমাস দ্বারা গঠিত।
- এটি একটি তৎপুরুষ সমাস, যেখানে দুটি শব্দ 'গণ' এবং 'অভ্যুত্থান' একত্রিত হয়েছে।
- গণ: অর্থ জনগণ বা সাধারণ মানুষ।
- অভ্যুত্থান: অর্থ বিদ্রোহ বা উত্থান।
- সমাসের মাধ্যমে এই দুটি শব্দ একত্রিত হয়ে 'গণঅভ্যুত্থান' শব্দটি তৈরি হয়েছে, যার অর্থ দাঁড়ায় "জনগণের বিদ্রোহ বা উত্থান।"
বিশেষ নিয়মে সাধিত সন্ধির উদাহরণ 
১: উৎ + স্থান = উত্থান। এখানে স্ ব্যঞ্জনটি লোপ পেয়েছে। 
২: উৎ + স্থাপন = উত্থাপন। এখানেও উপরের নিয়ম কাজ করেছে। 
৩: পরি + কৃত = পরিষ্কৃত। এখানে বিসর্গ ছাড়াই ষ্ ব্যঞ্জনের আগমন ঘটেছে। 
৪: পরি + কার = পরিষ্কার। এখানেও উপরের নিয়ম কাজ করছে। 
৫: সম্ + কৃত = সংস্কৃত। এখানে বিসর্গ ছাড়াই স্ ব্যঞ্জনের আগম ঘটেছে।
৬: সম্ + কৃতি = সংস্কৃতি। এখানেও উপরের নিয়ম কাজ করেছে।
৭: সম্ + কার = সংস্কার। এখানেও এক‌ই নিয়ম কাজ করছে। 
৮: সম্ + করণ = সংস্করণ। এখানেও উপরের নিয়ম অনুযায়ী স্ এর আগম ঘটেছে।

কতগুলাে সন্ধি কোনাে নিয়মে সাধিত হয় না এমন সন্ধিকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে।
যেমন:
- তৎ + কর = তস্কর,
- পর্ + পর = পরস্পর,
- আ + চর্য = আশ্চর্য,
- গাে + পদ = গােষ্পদ,
- বন্ + পতি = বনস্পতি,
- ষট্ + দশ = ষােড়শ,
- বৃহৎ + পতি = বৃহস্পতি,
- মনস্ + ঈষা = মনীষা,
- এক + দশ = একাদশ।

উৎসঃ বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
- বিসর্গের পরে চ, ছ থাকলে বিসর্গের জায়গায় 'শ' হয়। পরিবর্তিত 'শ' পরবর্তী ব্যঞ্জনে যুক্ত হয়।
- সুতরাং শিরঃ + ছেদ = শিরশ্ছেদ।



যেসব সন্ধিসমূহ স্বরসন্ধি বা ব্যঞ্জনসন্ধি বা বিসর্গসন্ধির নিয়মগুলো মেনে চলে না, তাদেরকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে। তৎসম শব্দের সন্ধিতেই শুধু নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি হয়। 
উদাহরণঃ 
- কুল+অটা= কুলটা,
- গো+অক্ষ= গবাক্ষ,
- প্র+ঊঢ়= প্রৌঢ়,
- অন্য+অন্য= অন্যান্য,
- মার্ত+অণ্ড= মার্তণ্ড,
- শুদ্ধ+ওদন= শুদ্ধোদন ইত্যাদি।

ঋ-কারের পর ঋ ভিন্ন অন্যস্বর থাকলে ঋ স্থানে ‘র’ হয় এবং তা ফলারূপে পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সাথে যুক্ত হয় যেমনঃ
- পিতৃ + আলয় = পিত্রালয় (ঋ+আ = র্+আ),
- পিতৃ + আদেশ = পিত্রাদেশ,
- মাতৃ + আদেশ = মাত্রাদেশ,
- পিতৃ + উপদেশ = পিক্রদেশ,
- পিতৃ + অনুমতি = পিত্ৰনুমতি ইত্যাদি।
- তৎসম স্বরসন্ধির নিয়মানুসারে, উ-কার কিংবা ঊ- কারের পর উ ও ঊ ভিন্ন অন্য স্বর থাকলে উ বা ঊ স্থানে ব-ফলা হয় এবং ব-ফলা লেখার সময় পূর্ববর্তী বর্ণের সাথে লেখা হয়।
যেমন:
- সু+আগত (উ+আ = ব+আ) = স্বাগত;
- পশু+আচার = পশ্বাচার

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
• উ-কার কিংবা ঊ-কারের পর উ-কার কিংবা ঊ-কার থাকলে উভয়ে মিলে ঊ-কার হয়; ঊ-কার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জন ধ্বনির সাথে যুক্ত হয়। যেমন-

উ+উ = ঊ

- মরু+উদ্যান = মরূদ্যান
- কটু+উক্তি = কটূক্তি
- সু+উক্ত = সূক্ত
- অনু+উদিত = অনূদিত
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0