ধাতু (71 টি প্রশ্ন )
-বাংলা ভাষায় যেসব তৎসম ক্রিয়াপদের ধাতু প্রচলিত রয়েছে তাদের সংস্কৃত ধাতু বলে।
-যেমন : কৃ, কাঁদ, পঠ্‌, জান্, নাচ্ ইত্যাদি।
 ক্রিয়ার মূল অংশকে ধাতু বলে। বাংলা ভাষায় বা ব্যাকরণে অনেক ক্রিয়াপদ আছে। সেই সব ক্রিয়াপদের প্রধান অংশকে ধাতু বা ক্রিয়ামূল বলা হয়।

অন্যকথায় ক্রিয়াপদকে বিশ্লেষণ করলে দুটো অংশ পাওয়া যায়:
১. ধাতু বা ক্রিয়ামূল : কর, যা, খা, পা, বল, দেখ, খেলু, দে ইত্যাদি।
২. ক্রিয়াবিভক্তি : আ, ই, ছি, ছে, বে, তে, গে, লাম ইত্যাদি।

ক্রিয়াপদ থেকে ক্রিয়া বিভক্তি ছেঁটে দিলে যা অবশিষ্ট থাকে তাই ধাতু।
যেমন- 'করে' একটি ক্রিয়াপদ। এতে দুটো অংশ রয়েছে কর্+এ; এখানে 'কর' ধাতু এবং 'এ' বিভক্তি। সুতরাং 'করে' ক্রিয়ার মূল বা ধাতু হলো 'ক' আর ক্রিয়া বিভক্তি হলো 'এ'।

অন্যকথায় 'কর' ধাতু বা ক্রিয়ামূলের সঙ্গে 'এ' বিভক্তি যুক্ত হয়ে 'করে' ক্রিয়াপদটি গঠিত হয়েছে।
- এই বাক্যে 'ফেল্‌' ধাতুটি আকস্মিকতা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
- 'ফেলা' ক্রিয়াপদের সাথে 'হেসে' যোগ করে 'হেসে ফেলল' বলার মাধ্যমে বোঝানো হচ্ছে যে হাসিটা হঠাৎ করে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে।
- এখানে 'ফেল্‌' ধাতুর ব্যবহার হাসির আকস্মিকতা এবং অনিয়ন্ত্রণীয়তাকে বোঝাচ্ছে।
- গণ শব্দের অর্থ শ্রেণি।
- ধাতুর গণ বলতে ধাতুগুলোর বানানের ধরন বোঝায়।
- বাংলা ভাষায় সমস্ত ধাতুকে ২০টি গণে ভাগ করা হয়েছে।
- ক্রিয়ামূল বা ধাতুর পরে যেসব প্রত্যয় যুক্ত হয়, সেগুলোকে কৃৎ প্রত্যয় বলে।
- কৃৎ প্রত্যয় দিয়ে সাধিত শব্দকে বলে কৃদান্ত শব্দ।

উদাহরণ:
-দুল্‌+অনা = দোলনা,
-কৃ+তব্য = কর্তব্য
- এখানে, 'অনা' ও 'তব্য' হলো কৃৎ প্রত্যয় এবং 'দোলনা' ও 'কর্তব্য' হলো কৃদন্ত শব্দ।




ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

ক্রিয়াপদের মূল অংশকে ধাতু বা ক্রিয়ামূল বলা হয়। অর্থাৎ, ক্রিয়াপদের অবিভাজ্য অংশই ধাতু। ক্রিয়াপদকে ভাঙতে ভাঙতে যখন আর ভাঙা যায় না, তখন সেই অবিভাজ্য অংশটি হচ্ছে ধাতু। ক্রিয়াপদকে ভাঙলে দুটো অংশ পাওয়া যায়।
যথাঃ
- ধাতু বা ক্রিয়ামূল
- ক্রিয়া বিভক্তি
ক্রিয়াপদ থেকে ক্রিয়া বিভক্তি বাদ দিলে যা অবশিষ্ট থাকে তাই ধাতু। যেমন – করে একটি ক্রিয়াপদ। এর দুটো অংশ রয়েছে- কর + এ। এখানে, কর হলো ধাতু এবং  হলো ক্রিয়া বিভক্তি।

ধাতু তিন প্রকার। যথাঃ-
- মৌলিক ধাতু
- সাধিত ধাতু
- যৌগিক বা সংযোগমূলক ধাতু

মৌলিক ধাতু: যেসকল ধাতুকে ভাঙা বা বিশ্লেষণ করা যায় না, সেগুলোকে মৌলিক ধাতু বলে। যেমন – চল, পড়,কর, খেল,শোন ইত্যাদি।

বাংলা ভাষায় মৌলিক ধাতুগুলোকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –
- বাংলা ধাতু
- সংস্কৃত ধাতু
- বিদেশী ধাতু

বাংলা ধাতুঃ যেসব ধাতু বা ক্রিয়ামূল সংস্কৃত থেকে সোজাসুজি আসে নি, সেগুলোকে বাংলা ধাতু বলা হয়। যেমন –কহ্, কাঁদ, জান্, নাচ্ ইত্যাদি।
সংস্কৃত ধাতুঃ বাংলা ভাষায় যেসব তৎসম ক্রিয়াপদের ধাতু প্রচলিত রয়েছে তাদের সংস্কৃত ধাতু বলে। যেমন – কৃ,ধৃ,স্থা ইত্যাদি।
বিদেশী ধাতুঃ হিন্দি ও ক্বচিৎ আরবি-ফারসি ভাষা থেকে যেসব ধাতু বা ক্রিয়ামূল বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে,বিদেশী ধাতু বলে। যেমন – হের, মাগ ইত্যাদি।
শব্দের সাথে 'আ' প্রত‍্যয় যোগে গঠিত ধাতুকে নাম ধাতু বলে।
যেমন: ঠ‍্যাঙা+আ= √ঠ‍্যাঙা (ঠ‍্যাঙানো)
লাঠি+আ=√লাঠা (লাঠানো/ লাঠিপেটা করা)
ঘুম+আ=√ঘুমা (ঘুমানো)
জুতা+আ=√জুতা (জুতানো/জুতাপেটা করা)



বাংলা ব্যাকরণে ধাতু চিহ্নিত করার জন্য একটি আলাদা ব্যাকরণিক চিহ্ন (√) ব্যবহৃত হয়। একে বলা হয় ধাতু চিহ্ন। অর্থাৎ √পড় মানে ‘পড়’ ধাতু।
যাচনা, যাচ্‌ঞা [জাচোন্‌, জাচ্‌না, জাচ্‌না] (বিশেষ্য)
- প্রার্থনা; ভিক্ষা; যাচ্ঞা

{(তৎসম বা সংস্কৃত) √যাচ্‌ + অন(ল্যুট্‌)}
বাংলা ভাষায় যেসব তৎসম ক্রিয়াপদের ধাতু প্রচলিত রয়েছে তাদের সংস্কৃত ধাতু বলে। যেমন- √কৃ, √গম্‌, √ধৃ, √ক্রী, √শ্রু, √ধৃশ্‌, √হস্‌ ইত্যাদি।
প্রধানত হিন্দি এবং ক্বচিৎ আরবি-ফারসি ভাষা থেকে যেসব ধাতু বা ক্রিয়ামূল বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে, সেগুলোকে বিদেশাগত ধাতু বা ক্রিয়ামূল বলে। যেমন- ভিক্ষে মেগে খায়। এ বাক্যে 'মাগ্‌' ধাতু হিন্দি 'মাঙ্‌' থেকে আগত।
● যেসব ধাতু বা ক্রিয়ামূল সংস্কৃত থেকে সোজাসুজি আসে নি, সেগুলোকে বাংলা ধাতু বলা হয়। যেমন – কাঁদ, জান্,নাচ্ ইত্যাদি।
যেসব ধাতু বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়, সেগুলোই মৌলিক ধাতু। এগুল্পকে সিদ্ধ বা স্বয়ংসিদ্ধ ধাতু বলে। যেমন- চল্‌, পড়্‌, কর্‌, শো, হ, কা ইত্যাদি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

ধাতু প্রধানত তিন প্রকার। যথা :

i. মৌলিক বা সিদ্ধ ধাতু: যে সকল ধাতুকে ভাঙা বা বিশ্লেষণ করা যায় না তাকে মৌলিক বা সিদ্ধ ধাতু বলে। যেমন - √কর্‌, √চল, √দেখ্‌, √খেল, √পড়, √খা ইত্যাদি। বাংলা ভাষায় মৌলিক ধাতুগুলোকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা যায়ঃ (ক)বাংলা ধাতু (খ)সংস্কৃত ধাতু এবং (গ)বিদেশি ধাতু

ii. সাধিত ধাতু: কোন মৌলিক ধাতু কিংবা নাম শব্দের সাথে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে যে ধাতু গঠিত হয় তাকে সাধিত ধাতু বলে। যেমন - √কর + আ = √করা, √দেখ্‌ + আ = √দেখা, √পড়্ + আ = √পড়া

iii. সংযোগমূলক বা যৌগিক ধাতু: বিশেষ্য, বিশেষণ, ইত্যাদির সাথে কর্, দে, হ, পা ইত্যাদি মৌলিক ধাতু যুক্ত হয়ে যে ধাতু গঠন করে তাকে সংযোগমূলক বা যৌগিক ধাতু বলে। যেমন - পূজা কর্‌, রাজি হ, কষ্ট পা, শাস্তি দে।


শব্দের সাথে 'আ' প্রত‍্যয় যোগে গঠিত ধাতুকে নাম ধাতু বলে।
যেমন: 
- ঠ‍্যাঙা+আ= √ঠ‍্যাঙা (ঠ‍্যাঙানো)
- লাঠি+আ=√লাঠা (লাঠানো/ লাঠিপেটা করা)
- ঘুম+আ=√ঘুমা (ঘুমানো)
- জুতা+আ=√জুতা (জুতানো/জুতাপেটা করা)

যেসব ধাতু বা ক্রিয়ামূল সংস্কৃত থেকে সোজাসুজি আসে নি, সেগুলোকে বাংলা ধাতু বলা হয়। যেমন – কাঁদ, জান্,নাচ্ ইত্যাদি।
ক্রিয়াপদের মূলকে ধাতু বা ক্রিয়ামূল বলে। যেমনঃ কর্, যা, খা, চল্ প্রভৃতি। আবার, ক্রিয়াপদকে বিশ্লেষণ করলে দুটি অংশ পাওয়া যায়; এদের একটি হলো ধাতু বা ক্রিয়ামূল, অন্যটি হলো ক্রিয়া বিভক্তি। উক্ত উদাহরণে- 'চল্' হলো ক্রিয়ামূল এবং 'অন্ত' হলো ক্রিয়া বিভক্তি
বিশেষ্য, বিশেষণ ও ধন্যাত্মক অব্যয়ের পরে "আ" প্রত্যয় বসে নামধাতু গঠিত হয়। যেমন- বেত+আ= বেতা। এখানে বেত বিশেষ্য, আ প্রত্যয় এবং বেতা হলো নামধাতু। অনুরূপভাবে, বাঁকা+আ=বাঁকা ইত্যাদি।
ক্রিয়ার মূল অংশ হল ধাতু; ধাতু বা শব্দের সাথে বিভক্তিযুক্ত বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি হল প্রত্যয়; প্রত্যয় দুই প্রকার- কৃৎ প্রত্যয়, তদ্ধিত প্রত্যয় । 

-যেসব ধাতু বা ক্রিয়ামূল সংস্কৃত থেকে সরাসরি আসেনি সেগুলো হল বাংলা ধাতু।
-যেমন- কাট্, কাঁদ্, জান্, নাচ্ ইত্যাদি।
-আর গম্, গঠ্ সংস্কৃত ধাতু।

উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি।

-বাংলা ভাষায় যেসব তৎসম ক্রিয়াপদের ধাতু প্রচলিত রয়েছে তাদের সংস্কৃত ধাতু বলে।
-যেমন : কৃ, কাঁদ, পঠ্‌, জান্, নাচ্ ইত্যাদি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0