|
|
- কোনো কিছুর নামকেই বিশেষ্য পদ বলে। - বাক্য মধ্যে ব্যবহৃত যে সমস্ত পদ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, প্রাণী, জাতি, সমষ্টি, বস্তু, স্থান, কাল, ভাব, ধারণা, কর্ম বা গুণের নাম বোঝায়, তাকে বিশেষ্য পদ বলে।
- বিশেষ্য পদ ছয় প্রকার। যথা: - সংজ্ঞা (নাম) বাচক বিশেষ্য (আনিস, দিল্লি, মেঘনা, আরব সাগর), - জাতিবাচক বিশেষ্য (মানুষ, গরু, ছাগল, পাখি, ফুল, ফল, গাছ, নদী, বাঙালি), - বস্তুবাচক বা দ্রব্যবাচক বিশেষ্য (বই, খাতা, কলম, টেবিল, থালা, বাটি, মাটি, ইট), - সমষ্টিবাচক বিশেষ্য (সভা, জনতা, সমিতি, বাহিনী, মিছিল), - ভাববাচক বিশেষ্য (গমন, দর্শন, ভোজন, শয়ন, পঠন, দেখা, শোনা, করা, করানো) ও - গুণবাচক বিশেষ্য (মধুরতা, তারল্য, তিক্ততা, তারুণ্য, সৌন্দর্য, যৌবন, সুখ, দুঃখ, সরলতা, দয়া, আনন্দ, গুরুত্ব, দীনতা, ধৈর্য ইত্যাদি)।
|
|
| |
|
|
|
- বাক্যটিতে "কী" শব্দটি প্রশ্নবাচক বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। - এটি বাক্যে "কী" দ্বারা প্রশ্ন করা হচ্ছে এবং এটি ক্রিয়াপদ বা বাক্যের অন্য অংশকে বিশেষিত করছে। - বিশেষণ পদ হলো সেই পদ, যা বাক্যের অন্য কোনো পদের গুণ, দোষ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে। - এখানে "কী" শব্দটি প্রশ্নের মাধ্যমে বাক্যের অর্থকে বিশেষায়িত করছে।
|
|
| |
|
|
|
বাক্যালঙ্কার অব্যয়: - কয়েকটি অব্যয় শব্দ নিরর্থকভাবে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের শোভাবর্ধন করে, এদের বাক্যালঙ্কার অব্যয় বলে। যেমন: 'হায়রে ভাগ্য, হায়রে লজ্জা, কোথায় সভা, কোথায় সজ্জা।' কত না হারানো স্মৃতি জাগে আজও মনে।
|
|
| |
|
|
|
ক্রিয়াবিভক্তি: ক্রিয়ার দুইটি অংশ। যথা: প্রথম অংশ ধাতু বা ক্রিয়ামূল এবং দ্বিতীয় অংশ ক্রিয়াবিভক্তি। ক্রিয়ামূলের সঙ্গে যেসব লগ্নক যুক্ত হয়ে ক্রিয়ার কাল ও পক্ষ নির্দেশিত হয়, সেগুলোকে ক্রিয়াবিভক্তি বলে। যেমন: পড়ছি (পড়্+ছি) - ক্রিয়ার এই রূপটি থেকে বোঝা যায় যে, এই ক্রিয়ার কর্তা বক্তা পক্ষের এবং এটা দিয়ে ঘটমান বর্তমান কালের পড়া ক্রিয়াকে বোঝায়। পড়বেন (পড়্+বেন) - ক্রিয়ার এই রূপটি থেকে বোঝা যায় যে, এই ক্রিয়ার কর্তা শ্রোতা পক্ষের এবং এটা দিয়ে সাধারণ ভবিষ্যৎ কালের পড়া ক্রিয়াকে বোঝায়। পড়ছিল (পড়্+ছিল) - ক্রিয়ার এই রূপটি থেকে বোঝা যায় যে, এই ক্রিয়ার কর্তা অন্য পক্ষের এবং এটা দিয়ে সাধারণ অতীত কালের পড়া ক্রিয়াকে বোঝায়। উপরের উদাহরণগুলোতে -ছি, -বেন, -ছিল হলো ক্রিয়াবিভক্তি।
|
|
| |
|
|
|
- যে ক্রিয়ায় দুটি কর্মপদ থাকে, তাকে দ্বিকর্মক ক্রিয়া বলে। - দ্বিকর্মক ক্রিয়ায় বস্তুবাচক কর্মপদটিকে মুখ্য বা প্রধান কর্ম এবং ব্যক্তিবাচক কর্মপদটিকে গৌণ কর্ম বলে। যেমন: বাবা আমাকে (গৌণ কর্ম) একটি কলম (মুখ্য কর্ম) কিনে দিয়েছেন। শিক্ষক ছাত্রকে বই দিলেন (এ বাক্যে 'দিলেন' একটি দ্বিকর্মক ক্রিয়া)। কি দিলেন? উত্তর- বই (মুখ্য কর্ম)। প্রশ্ন- কাকে দিলেন? উত্তর- ছাত্রকে (গৌণ কর্ম)।
|
|
| |
|
|
|
- প্রদত্ত বাক্য "আমি সকাল থেকে বসে আছি" - এই বাক্যে "সকাল থেকে" অংশটি একটি ক্রিয়াবিশেষণ বর্গ। - এই বাক্যে "বসে আছি" হল ক্রিয়া। - "সকাল থেকে" এই ক্রিয়াটি কখন শুরু হয়েছে তা নির্দেশ করছে, অর্থাৎ ক্রিয়ার সময় বোঝাচ্ছে। - যেহেতু এটি একটি সময়ের উল্লেখ এবং একাধিক পদ (সকাল + থেকে) নিয়ে গঠিত, তাই এটি একটি ক্রিয়াবিশেষণ বর্গ।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
- যে সকল অব্যয় শব্দ বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের পরে বিভক্তির ন্যায় বসে কারকবাচকতা প্রকাশ করে তাদের অনুসর্গ অব্যয় বলে। - অনুসর্গ অব্যয় পদান্বয়ী অব্যয় নামে পরিচিত। - যেমন: ওকে 'দিয়ে' এ কাজ হবে না।
- অনুসর্গ অব্যয় দুই প্রকার। - যথা: বিভক্তিসূচক অব্যয় এবং বিভক্তিরূপ্র ব্যবহৃত অনুসর্গ।
|
|
| |
|
|
|
যে বিশেষণ পদ বাক্যের ক্রিয়াপদের গুণ, অবস্থা, প্রকৃতি ইত্যাদি নির্দেশ করে, তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যেমন: - তাড়াতাড়ি চল। - দিন ভালো যাচ্ছে না। - জিনিসটা সাবধানে রাখ।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- কোনো কিছুর নামকেই বিশেষ্য পদ বলে। - বাক্য মধ্যে ব্যবহৃত যে সমস্ত পদ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, প্রাণী, জাতি, সমষ্টি, বস্তু, স্থান, কাল, ভাব, ধারণা, কর্ম বা গুণের নাম বোঝায়, তাকে বিশেষ্য পদ বলে। - যেমন: নজরুল, বাঘ, ঢাকা, ইট, ভোজন, সততা ইত্যাদি।
- বিশেষ্য পদ ছয় প্রকার। যথা: - সংজ্ঞা (নাম) বাচক বিশেষ্য (আনিস, দিল্লি, মেঘনা, আরব সাগর), - জাতিবাচক বিশেষ্য (মানুষ, গরু, ছাগল, পাখি, ফুল, ফল, গাছ, নদী, বাঙালি), - বস্তুবাচক বা দ্রব্যবাচক বিশেষ্য (বই, খাতা, কলম, টেবিল, থালা, বাটি, মাটি, ইট), - সমষ্টিবাচক বিশেষ্য (সভা, জনতা, সমিতি, বাহিনী, মিছিল), - ভাববাচক বিশেষ্য (গমন, দর্শন, ভোজন, শয়ন, পঠন, দেখা, শোনা, করা, করানো) ও - গুণবাচক বিশেষ্য (মধুরতা, তারল্য, তিক্ততা, তারুণ্য, সৌন্দর্য, যৌবন, সুখ, দুঃখ, সরলতা, দয়া, আনন্দ, গুরুত্ব, দীনতা, ধৈর্য ইত্যাদি)।
|
|
| |
|
|
|
ভাব-বিশেষণ: - যে বিশেষণ পদ বিশেষ্য ও সর্বনাম পদ ছাড়া অন্য পদের দোষ, গুণ বা অবস্থা প্রকাশ করে, তাকে ভাব-বিশেষণ বলে। - যেমন: আস্তে হাঁটো, খুব আস্তে হাঁটো ইত্যাদি।
ভাব-বিশেষণ দুই প্রকার। যেমন— - ক্রিয়া বিশেষণ - বিশেষণের বিশেষণ
- ক্রিয়া বিশেষণ: যে বিশেষণ পদ বাক্যের ক্রিয়াপদের গুণ, অবস্থা, প্রকৃতি ইত্যাদি নির্দেশ করে, তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যেমন: তাড়াতাড়ি চল। দিন ভালো যাচ্ছে না। জিনিসটা সাবধানে রাখ।
- বিশেষণের বিশেষণ: যে বিশেষণ বিশেষণের দোষ, গুণ, অবস্থা প্রকাশ করে, তাকে বিশেষণের বিশেষণ বলে। যেমন: সে খুব আস্তে হাঁটে, মনোয়ারা খুব ভালো মেয়ে।
|
|
| |
|
|
|
বিশেষ্য পদের পরিবর্তে যে পদ ব্যবহৃত হয়, তাকেই সর্বনাম পদ বলে। পদগুলো মূলত ৯ ভাগ নতুন বোর্ড বই অনুসারে। পুরাতন বই অনুযায়ী সর্বনাম ১০ প্রকার। ১০ নম্বরটি হলো-ব্যতিহারিক সর্বনাম। যথাঃ ১. ব্যক্তিবাচক বা পুরুষবাচক সর্বনামঃ আমি, আমরা, তুমি, তোমরা, সে, তারা, তাহারা, তিনি, তাঁরা, এ, এরা, ও, ওরা। ২. আত্মবাচক সর্বনামঃ স্বয়ং, নিজ, আপনি। ৩. নির্দেশক সর্বনামঃ নিকট নির্দেশক - এ, এই, ইনি, এরা, ইহারা। দূর নির্দেশক - ও, উনি, ওই, ওরা । ৪. অনির্দিষ্ট সর্বনামঃ কেউ, কোথাও। ৫. প্রশ্নবাচক সর্বনামঃ কে, কারা, কার, কী ইত্যাদি। ৬. সাপেক্ষ সর্বনামঃ যারা-তারা, যেমন-তেমন ইত্যাদি। ৭. পারস্পারিক সর্বনামঃ পরস্পর ইত্যাদি। ৮. সকল/সাকুল্যবাচক সর্বনামঃ সব, সকল, সমস্ত ইত্যাদি। ৯. অন্যবাচক সর্বনামঃ অন্য, অপর, অমুক ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
শব্দ পদে পরিণত হওয়ার সময়ে তার সাথে কিছু শব্দাংশ যুক্ত হয়, যেগুলোকে লগ্নক বলে। লগ্নক চার প্রকার। যথা- - বিভক্তি, - নির্দেশক, - বচন, - বলক।
• বাক্যে যেসব পদে লগ্নক থাকে সেগুলোকে সলগ্নক পদ। • যেসব পদে লগ্নক থাকে না সেগুলোকে অলগ্নক পদ বলে। • যেহেতু 'ছেলেরা' শব্দটি 'ছেলে+রা' যোগে গঠিত তাই এটি সলগ্নক পদ।
|
|
| |
|
|
|
বিশেষ্য পদের পরিবর্তে যে পদ ব্যবহৃত হয়, তাকেই সর্বনাম পদ বলে। পদগুলো মূলত ৯ ভাগ নতুন বোর্ড বই অনুসারে। পুরাতন বই অনুযায়ী সর্বনাম ১০ প্রকার। ১০ নম্বরটি হলো-ব্যতিহারিক সর্বনাম। যথাঃ ১. ব্যক্তিবাচক বা পুরুষবাচক সর্বনামঃ আমি, আমরা, তুমি, তোমরা, সে, তারা, তাহারা, তিনি, তাঁরা, এ, এরা, ও, ওরা। ২. আত্মবাচক সর্বনামঃ স্বয়ং, নিজ, আপনি। ৩. নির্দেশক সর্বনামঃ নিকট নির্দেশক - এ, এই, ইনি, এরা, ইহারা। দূর নির্দেশক - ও, উনি, ওই, ওরা । ৪. অনির্দষ্ট সর্বনামঃ কেউ, কোথাও। ৫. প্রশ্নবাচক সর্বনামঃ কে, কারা, কার, কী ইত্যাদি। ৬. সাপেক্ষ সর্বনামঃ যারা-তারা, যেমন-তেমন ইত্যাদি। ৭. পারস্পারিক সর্বনামঃ পরস্পর ইত্যাদি। ৮. সকল/সাকুল্যবাচক সর্বনামঃ সব, সকল, সমস্ত ইত্যাদি। ৯. অন্যবাচক সর্বনামঃ অন্য, অপর, অমুক ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
- যে শব্দ কোন বাক্য বা বাক্যাংশের সঙ্গে অন্য একটি বাক্য বা বাক্যাংশের কিংবা বাক্যের একটি শব্দের সঙ্গে অন্য কোন শব্দের সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায় তাকে যোজক বলা হয়। যেমন– আমি গান গাইব ও তুমি নাচবে।
- অর্থ এবং সংযোজনের বৈশিষ্ট্য ও ধরন এর উপর ভিত্তি করে যোজক শব্দ পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো নিচে আলোচনা করা হলো–
১. সাধারণ যোজক যে যোজক দ্বারা একাধিক শব্দ, বাক্য বা বাক্যাংশকে সংযুক্ত করা হয় তাকে সাধারণ যোজক বলা হয়। যেমন– আমি ও আমার বড় ভাই বাজারে এসেছি। জলদি দোকানে যাও এবং পাউরুটি কিনে দিব।
২. বৈকল্পিক যোজক যে যোজকের মাধ্যমে একাধিক শব্দ, বাক্য বা বাক্যাংশের মধ্যে বিকল্প কিছু বোঝায় তাকে বৈকল্পিক যোজক বলে। যেমন– তুমি কিংবা তোমার ভাই যে কেউ এলেই হবে, চা না-হয় কফি খান। ৩. বিরোধমূলক যোজক এ ধরনের যোজকগুলো দুটি বাক্যের সংযোগ ঘটিয়ে দ্বিতীয়টির মাধ্যমে প্রথমটির বিরোধ নির্দেশ করে থাকে। যেমন– আমি চিঠি দিয়েছি কিন্তু তুমি উত্তর দাওনি। তাকে আসতে বললাম, তবু এলো না।
৪. কারণবাচক যোজক কারণবাচক যোজক এমন দুটি বাক্যের মধ্যে সংযোগ তৈরি করে যার একটি অন্যটির কারণ। যেমন– আমি যাইনি, কারণ তুমি নিমন্ত্রণ করনি। বসার সময় নেই, তাই চলে যেতে হচ্ছে।
৫. সাপেক্ষ যোজক পরস্পর নির্ভরশীল যে যোজক শব্দগুলো একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকে, তাদের সাপেক্ষ যোজক বলে। যেমন– যদি টাকা দাও তবে কাজ হবে। যতো পড়ছি ততোই নতুন করে জানছি।
|
|
| |
|
|
|
ধরনবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: কোনো কাজ কীভাবে সম্পন্ন হয়, ধরনবাচক ক্রিয়াবিশেষণ তা নির্দেশ করে। উদাহরণ: - টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছে। - ঠিকভাবে চললে কেউ কিছু বলবে না। - আমরা নির্ভয়ে গুহায় ঢুকলাম। - সে দ্রুত দৌড়াতে পারে।
|
|
| |
|
|
|
• অলংকার আবেগ: - অলংকার আবেগে এ ধরনের শব্দ বাক্যের অর্থের পরিবর্তন না ঘটিয়ে কোমলতা, মাধুর্যতা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। - এবং সংশয়, অনুরোধ, মিনতি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশের জন্য অলংকার আবেগ ব্যবহৃত হয়। যেমন: - যাকগে, ওসব কথা থাক। - দুর ! এ কথা কি বলতে আছে?
|
|
| |
|
|
|
- বিশেষ্য,বিশেষণ ও ধনাত্মক অব্যয় এর সঙ্গে ধাতু গঠিত ক্রিয়াপদ বিশেষ বিশেষ অর্থে যে ক্রিয়া গঠন করে,তাকে মিশ্র ক্রিয়া বলে। - বিশেষ্য, বিশেষণ ও ধ্বনাত্মক অব্যয়ের সঙ্গে কর্, হ্, দে, পা, যা, কাট্, গা, ছাড়, ধর্, মার্, প্রভৃতি ধাতুযোগে গঠিত ক্রিয়াপদ বিশেষ বিশেষ অর্থে মিশ্র ক্রিয়া গঠন করে। যেমন: বিশেষ্যের পর: আমরা তাজমহল দর্শন করলাম। বিশেষণের পর: তোমাকে দেখে প্রীত হলাম। ধ্বনাত্মক অব্যয়ের পর: মাথা ঝিমঝিম করছে।
|
|
| |
|
|
|
শব্দ পদে পরিণত হওয়ার সময়ে তার সাথে কিছু শব্দাংশ যুক্ত হয়, যেগুলোকে লগ্নক বলে। লগ্নক চার প্রকার। যথা- - বিভক্তি, - নির্দেশক, - বচন, - বলক।
• বাক্যে যেসব পদে লগ্নক থাকে সেগুলোকে সলগ্নক পদ। • যেসব পদে লগ্নক থাকে না সেগুলোকে অলগ্নক পদ বলে। • যেহেতু 'ছেলেরা' শব্দটি 'ছেলে+রা' যোগে গঠিত তাই এটি সলগ্নক পদ।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- বিশেষণের বিশেষণকে "অতিশায়িন" বলা হয়। এটি একটি বিশেষণকে আরও বিশেষায়িত করে। তার অতি সুন্দর হাতের লেখা এই বাক্যে- - "সুন্দর" হল একটি বিশেষণ যা "হাতের লেখা"কে বিশেষায়িত করছে। - "অতি" শব্দটি "সুন্দর" বিশেষণটিকে আরও বিশেষায়িত করছে, এটি বিশেষণের বিশেষণ বা অতিশায়িন হিসেবে কাজ করছে।
- অন্য বিকল্পগুলিতে কোনো বিশেষণের বিশেষণ নেই। উদাহরণস্বরূপ- "ভালো ছাত্র" বা "লাল জামা"তে শুধু বিশেষণ আছে, কিন্তু সেই বিশেষণগুলিকে আরও বিশেষায়িত করা হয়নি।
|
|
| |
|
|
|
- যে ক্রিয়াবিশেষণ দ্বারা কোনো কাজ কীভাবে বা কেমন করে সংঘটিত হচ্ছে বুঝায় তাকে ধরনবাচক বা ভাবজ্ঞাপক ক্রিয়াবিশেষণ বলে। যেমন : সাকিল দ্রুত লিখতে পারে। কাজটা ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
|
|
| |
|
|
|
নির্দিষ্টতাবাচক বিশেষণ: - যে বিশেষণ দিয়ে বিশেষিত শব্দকে নির্দিষ্ট করা হয়, তাকে নির্দিষ্টতাবাচক বিশেষণ বলে। - এই ধরনের বিশেষণ কোনো বিশেষ্যকে নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে। উদাহরণ: এই, সেই । - "এই যুগে মোবাইল অপরিহার্য।"
অন্যদিকে,
বর্ণবাচক বিশেষণ: - যে বিশেষণ দিয়ে রং নির্দেশ কবা হয়, তাকে বর্ণবাচক বিশেষণ বলে। - এগুলি রং বা বর্ণ নির্দেশ করে। উদাহরণ: নীল, সবুজ, লাল । - "নীল আকাশ", "সবুজ মাঠ", "লাল ফিতা"
প্রশ্নবাচক বিশেষণ: - যে বিশেষণ দিয়ে প্রশ্নবাচকতা নির্দেশিত হয়, তাকে প্রশ্নবাচক বিশেষণ বলে। - এই বিশেষণগুলি প্রশ্ন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ: কেমন, কতক্ষণ । - "কেমন গান?", "কতক্ষণ সময়?"
ভাববাচক বিশেষণ: - যেসব বিশেষণ বাক্যের অন্তর্গত অন্য বিশেষণকে বিশেষিত করে, সেসব বিশেষণকে ভাববাচক বিশেষণ বলে। - এই বিশেষণগুলি অন্য বিশেষণকে আরও বিশেষিত করে। উদাহরণ: খুব, বেশ। - "খুব ভালো খবর।", "গাড়িটা বেশ জোরে চলছে।"
এই বিভিন্ন প্রকারের বিশেষণগুলি বাংলা ভাষায় বাক্যের অর্থকে আরও স্পষ্ট ও নির্দিষ্ট করতে সাহায্য করে। প্রতিটি প্রকারের বিশেষণের নিজস্ব ভূমিকা রয়েছে এবং তারা বাক্যে বিভিন্ন ধরনের তথ্য যোগ করে।
|
|
| |
|
|
|
অনির্দিষ্ট বা পরিচয়বিহীন কিছু বুঝাতে যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয় তাকে অনির্দিষ্ট সর্বনাম বলে। যেমন- কোথাও, কেউ, কিছু, একজন ইত্যাদি। যেমনঃ কোথাও তাকে খুজে পাচ্ছিনা, এখানে কেউ নেই, আমার কিছু বলার নেই ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
নির্দিষ্টতাবাচক বিশেষণ: - যে বিশেষণ দিয়ে বিশেষিত শব্দকে নির্দিষ্ট করা হয়, তাকে নির্দিষ্টতাবাচক বিশেষণ বলে। - এই ধরনের বিশেষণ কোনো বিশেষ্যকে নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে। উদাহরণ: এই, সেই । - "এই যুগে মোবাইল অপরিহার্য।"
অন্যদিকে,
বর্ণবাচক বিশেষণ: - যে বিশেষণ দিয়ে রং নির্দেশ কবা হয়, তাকে বর্ণবাচক বিশেষণ বলে। - এগুলি রং বা বর্ণ নির্দেশ করে। উদাহরণ: নীল, সবুজ, লাল । - "নীল আকাশ", "সবুজ মাঠ", "লাল ফিতা"
প্রশ্নবাচক বিশেষণ: - যে বিশেষণ দিয়ে প্রশ্নবাচকতা নির্দেশিত হয়, তাকে প্রশ্নবাচক বিশেষণ বলে। - এই বিশেষণগুলি প্রশ্ন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ: কেমন, কতক্ষণ । - "কেমন গান?", "কতক্ষণ সময়?"
ভাববাচক বিশেষণ: - যেসব বিশেষণ বাক্যের অন্তর্গত অন্য বিশেষণকে বিশেষিত করে, সেসব বিশেষণকে ভাববাচক বিশেষণ বলে। - এই বিশেষণগুলি অন্য বিশেষণকে আরও বিশেষিত করে। উদাহরণ: খুব, বেশ। - "খুব ভালো খবর।", "গাড়িটা বেশ জোরে চলছে।"
এই বিভিন্ন প্রকারের বিশেষণগুলি বাংলা ভাষায় বাক্যের অর্থকে আরও স্পষ্ট ও নির্দিষ্ট করতে সাহায্য করে। প্রতিটি প্রকারের বিশেষণের নিজস্ব ভূমিকা রয়েছে এবং তারা বাক্যে বিভিন্ন ধরনের তথ্য যোগ করে।
|
|
| |
|
|
|
- যে সকল অব্যয় বাক্যের অন্য পদের সঙ্গে কোনো সম্বন্ধ না রেখে স্বাধীনভাবে নানাবিধ ভাব প্রকাশে ব্যবহৃত হয়, তাদের অনন্বয়ী অব্যয় বলে। - যেমনঃ
ক. উচ্ছ্বাস প্রকাশে : মরি মরি! কী সুন্দর প্রভাতের রূপ!
খ. স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতি জ্ঞাপনে : হ্যা, আমি যাব। না, আমি যাব না।
গ. সম্মতি প্রকাশে : আমি আজ আলবত যাব। নিশ্চয়ই পারব।
ঘ. অনুমোদনবাচকতায় : আপনি যখন বলছেন, বেশ তো আমি যাব।
ঙ. সমর্থনসূচক জবাবে : আপনি যা জানেন তা তো ঠিকই বটে।
চ. যন্ত্রণা প্রকাশে: উঃ! পায়ে বড্ড লেগেছে। নাঃ! এ কষ্ট অসহ্য।
ছ. ঘৃণা বা বিরক্তি প্রকাশে : ছি ছি, তুমি এত নীচ! কী আপদ! লোকটা যে পিছু ছাড়ে না।
জ. সম্বোধনে: ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।
ঝ. সম্ভাবনায় : সংশয়ে সংকল্প সদা টলে পাছে লোকে কিছু বলে।
|
|
| |
|
|
|
বিভিন্ন ক্রিয়াবিশেষণঃ
ধরনবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: কোনো কাজ কীভাবে সম্পন্ন হয়, ধরনবাচক ক্রিয়াবিশেষণ তা নির্দেশ করে। উদাহরণ: - টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছে। - ঠিকভাবে চললে কেউ কিছু বলবে না।
কালবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: এই ধরনের ক্রিয়াবিশেষণ কাজ সম্পাদনের কাল নির্দেশ করে।উদাহরণ: - আজকাল ফলের চেয়ে ফুলের দাম বেশি। - যথাসময়ে সে হাজির হয়।
স্থানবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: কাজের স্থান নির্দেশ করে স্থানবাচক ক্রিয়াবিশেষণ। উদাহরণ: - মিছিলটি সামনে এগিয়ে যায়। - তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
নেতিবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: ‘না’, ‘নি’ ইত্যাদি দিয়ে ক্রিয়াপদের নেতিবাচক অবস্থা বোঝায়। এগুলো সাধারণত ক্রিয়াপদের পরে বসে। উদাহরণ: - সে এখন যাবে না। - তিনি বেড়াতে যাননি।
|
|
| |
|
|
|
- যে বিশেষণ দিয়ে রং নির্দেশ করা হয় তাকে বর্ণবাচক বিশেষণ বলে। যেমন : লাল গরু, নীল আকাশ, সবুজ কৌটা ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
- যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোন ক্রিয়ার ভাব বা কাজের ভাব প্রকাশিত হয়,তাকে ভাববাচক বিশেষ্য বলে ।
-যেমন - গমন (যাওয়ার ভাব বা কাজ ), দর্শন (দেখার কাজ), ভোজন (খাওয়ার কাজ), শয়ন (শোয়ার কাজ),চলন্ত ,দেখা, শোনা ,করা ,করানো ,নেওয়া ইত্যাদি ।
|
|
| |
|
|
|
বহুশাব্দিক ক্রিয়ার আর একটি রুপ হল যৌগিক ক্রিয়া। এতে অসমাপিকা (মূলত পুর্বক্রিয়া) এবং তার পরে সমাপিকা হিসাবে ব্যবহৃত যেকোন একটি ক্রিয়া। কিছু যৌগিক ক্রিয়াঃ - হেসে ওঠা, - পেয়ে বসা, - সরে দাঁড়ানাে, - বেঁধে দেওয়া, - বুঝে নেওয়া, - মরে যাওয়া, - কমে আসা,
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- ক্রিয়া পদের সঙ্গে সম্পর্ক না রেখে যে নামপদ বাক্যস্থিত অন্য পদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয় ,তাকে সম্বন্ধ পদ বলে । - সম্বন্ধ পদ বহু প্রকারের হতে পারে। যেমন: - অধিকরণ সম্বন্ধ : রাজার রাজ্য, প্রজার জমি। - কার্যকারণ সম্বন্ধ : অগ্নির উত্তাপ, রোগের কষ্ট। - হেতু সম্বন্ধ : ধনের অহংকার, রূপের দেমাক। - ব্যাপ্তি সম্বন্ধ : রোজার ছুটি, শরতের আকাশ। - অভেদ সম্বন্ধ : জ্ঞানের আলোক, দুঃখের দাহন। - উপমান-উপমেয় সম্বন্ধ : ননীর পুতুল, লোহার শরীর। - নির্ধারক সম্বন্ধ : সবার সেরা, সবার ছোট।
|
|
| |
|