পদ প্রকরণ (447 টি প্রশ্ন )
সংস্কৃত শব্দ 'সুষ্ঠু' মিজেই একটি বিশেষণ । এর বিশেষ্য পদ সৌষ্ঠব ও সুষ্ঠুতা । ]
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
"কীরে, তুই কোথায় চললি?" বাক্যে "কীরে" শব্দটি একটি আবেগ। এই বাক্যে "কীরে" শব্দটি দ্বারা সম্বোধিত ব্যক্তির প্রতি বিস্ময় বা বিরক্তির আবেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। তাই এটি একটি আবেগ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- হণ্যমান একটি বিশেষণ যার অর্থ "হত হচ্ছে এমন"।

- হনন (
বিশেষ্য পদ) এর অর্থ- হত্যা, বধ।


ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে অব্যয় দুটি পদ বা বাক্যকে পৃথক করে দেয় তাকে বিয়োজক অব্যয় বলে। যেমন_ করিম বা রহিম আগামীকাল ঢাকা যাবে। বা, অথবা, নতুবা, কিংবা, নয়ত, না হয়, নচেত ইত্যাদি বিয়োজক অব্যয়।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- যে ক্রিয়াবিশেষণ দ্বারা কোনো কাজ কীভাবে বা কেমন করে সংঘটিত হচ্ছে বুঝায় তাকে ধরনবাচক বা ভাবজ্ঞাপক ক্রিয়াবিশেষণ বলে।
যেমন :
সাকিল দ্রুত লিখতে পারে।
কাজটা ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
-একটি সমাপিকা ও একটি অসমাপিকা ক্রিয়া যদি একত্রে একটি বিশেষ বা সম্প্রসারিত 
অর্থ প্রকাশ করে তবে তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে। 
-এখানে বেজে উঠল একটি যৌগিক ক্রিয়া।

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
বিশেষ্য পদের পরিবর্তে যে পদ ব্যবহৃত হয়, তাকেই সর্বনাম পদ বলে।  পদগুলো মূলত ৯ ভাগ নতুন বোর্ড বই অনুসারে। পুরাতন বই অনুযায়ী সর্বনাম ১০ প্রকার। ১০ নম্বরটি হলো-ব্যতিহারিক সর্বনাম।
যথাঃ
১. ব্যক্তিবাচক বা পুরুষবাচক সর্বনামঃ আমি, আমরা, তুমি, তোমরা, সে, তারা, তাহারা, তিনি, তাঁরা, এ, এরা, ও, ওরা।
২. আত্মবাচক সর্বনামঃ স্বয়ং, নিজ, আপনি।
৩. নির্দেশক সর্বনামঃ
নিকট নির্দেশক - এ, এই, ইনি, এরা, ইহারা।
দূর নির্দেশক - ও, উনি, ওই, ওরা ।
৪. অনির্দষ্ট সর্বনামঃ কেউ, কোথাও।
৫. প্রশ্নবাচক সর্বনামঃ কে, কারা, কার, কী ইত্যাদি।
৬. সাপেক্ষ সর্বনামঃ যারা-তারা, যেমন-তেমন  ইত্যাদি।
৭. পারস্পারিক সর্বনামঃ পরস্পর ইত্যাদি।
৮. সকল/সাকুল্যবাচক সর্বনামঃ সব, সকল, সমস্ত ইত্যাদি।
৯. অন্যবাচক সর্বনামঃ অন্য, অপর, অমুক ইত্যাদি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- জনতা সমষ্টিবাচক শব্দ,
- মেঘনা নামবাচক বিশেষ্য,
- পর্বত জাতিবাচক বিশেষ্য। 
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে পদ ক্রিয়া সংঘটনের ভাব,কাল বা রূপ নির্দেশ করে ,তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যেমন -সভয়ে লোকটি বলল,বাঘ আসছে ।প্রদত্ত উদাহরণে 'বলল ' ক্রিয়াকে যদি প্রশ্ন করা হয় ,লোকটি কীভাবে বলল ? তাহলে উত্তর পাই -সভয়ে ।সুতরাং 'সভয়ে' পদটি এখানে ক্রিয়ার রূপ নির্দেশ করেছে ,যা ক্রিয়া বিশেষণ ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।

দূরত্ববাচক : ঐ, ঐসব, সব

৫. সাকল্যবাচক : সব, সকল, সমুদয়, তাবৎ

৬. প্রশ্নবাচক : কে, কি, কী, কোন, কাহার, কার, কিসে

৭. অনির্দিষ্টতাজ্ঞাপক : কোন, কেহ, কেউ, কিছু

৮. ব্যতিহারিক : আপনা আপনি, নিজে নিজে, আপসে, পরস্পর

৯. সংযোগজ্ঞাপক : যে, যিনি, যাঁরা, যাহারা

১০. অন্যাদিবাচক : অন্য, অপর, পর


ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোন ক্রিয়ার ভাব বা কাজের ভাব প্রকাশিত হয়,তাকে ভাববাচক বিশেষ্য বলে ।

-যেমন - গমন (যাওয়ার ভাব বা কাজ ), দর্শন (দেখার কাজ), ভোজন (খাওয়ার কাজ), শয়ন (শোয়ার কাজ),চলন্ত ,দেখা, শোনা ,করা ,করানো ,নেওয়া ইত্যাদি ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
শব্দ (এবং ধাতু) বিভক্তি সহযোগে বাক্যে ব্যবহৃত হলে তাকে পদ বলা হয় । বাক্যে স্থান লাভের যোগ্যতা পদ পেলেও শব্দ পায়না । 
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে অব্যয় পদ একটি বাক্যের সঙ্গে অন্য একটি বাক্যের অথবা বাক্যস্থিত একটি পদের সঙ্গে অন্য একটি পদের সংযোজন,বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায় ,তাকে সমুচ্চয়ী অব্যয় বলে। সমুচ্চয়ী অব্যয়কে আবার সংযোজক,বিয়োজক,সংকোচক ও অনুগামী অব্যয় -এই চার ভাগে ভাগ করা যায় । উপরোক্ত বাক্যে অথচ অব্যয়টি বাক্যের মাঝে ভাবের সংকোচন সাধন করেছে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
-বিশেষণের বিশেষন (নাম বিশেষন বা ক্রিয়া বিশেষণকে বিশেষিত করে)। যেমন:- সামান্য একটু সুখ দাও।
 এব্যাপারে সে অতিশয় দুঃখিত ইত্যাদি নাম বিশেষণের বিশেষণ। - রকেট দ্রুত চলে (ক্রিয়া-বিশেষণের বিশেষণ)।

ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
পদ, বর্গ বা বাক্যকে যেসব শব্দ যুক্ত করে, সেগুলোকে যোজক বলে। যেমন: রহিম ও করিম এই কাজটি করেছে। লাল বা নীল কলমটা আনো। প্রদত্ত উদাহরণ দুটিতে ‘ও’ এবং ‘বা হলো যোজক।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
নির্দিষ্টতাবাচক বিশেষণ:
- যে বিশেষণ দিয়ে বিশেষিত শব্দকে নির্দিষ্ট করা হয়, তাকে নির্দিষ্টতাবাচক বিশেষণ বলে।
- এই ধরনের বিশেষণ কোনো বিশেষ্যকে নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে।
উদাহরণ: এই, সেই । 
- "এই যুগে মোবাইল অপরিহার্য।"

অন্যদিকে, 

বর্ণবাচক বিশেষণ:
- যে বিশেষণ দিয়ে রং নির্দেশ কবা হয়, তাকে বর্ণবাচক বিশেষণ বলে।
- এগুলি রং বা বর্ণ নির্দেশ করে।
উদাহরণ: নীল, সবুজ, লাল । 
- "নীল আকাশ", "সবুজ মাঠ", "লাল ফিতা"

প্রশ্নবাচক বিশেষণ:
- যে বিশেষণ দিয়ে প্রশ্নবাচকতা নির্দেশিত হয়, তাকে প্রশ্নবাচক বিশেষণ বলে।
- এই বিশেষণগুলি প্রশ্ন করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ: কেমন, কতক্ষণ । 
- "কেমন গান?", "কতক্ষণ সময়?"

ভাববাচক বিশেষণ:
- যেসব বিশেষণ বাক্যের অন্তর্গত অন্য বিশেষণকে বিশেষিত করে, সেসব বিশেষণকে ভাববাচক বিশেষণ বলে।
- এই বিশেষণগুলি অন্য বিশেষণকে আরও বিশেষিত করে। 
উদাহরণ: খুব, বেশ। 
- "খুব ভালো খবর।", "গাড়িটা বেশ জোরে চলছে।"


এই বিভিন্ন প্রকারের বিশেষণগুলি বাংলা ভাষায় বাক্যের অর্থকে আরও স্পষ্ট ও নির্দিষ্ট করতে সাহায্য করে। প্রতিটি প্রকারের বিশেষণের নিজস্ব ভূমিকা রয়েছে এবং তারা বাক্যে বিভিন্ন ধরনের তথ্য যোগ করে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
শব্দ পদে পরিণত হওয়ার সময়ে তার সাথে কিছু শব্দাংশ যুক্ত হয়, যেগুলোকে লগ্নক বলে। লগ্নক চার প্রকার। যথা-
- বিভক্তি,
- নির্দেশক,
- বচন,
- বলক।


• বাক্যে যেসব পদে লগ্নক থাকে সেগুলোকে সলগ্নক পদ।
• যেসব পদে লগ্নক থাকে না সেগুলোকে অলগ্নক পদ বলে।
• যেহেতু 'ছেলেরা' শব্দটি 'ছেলে+রা' যোগে গঠিত তাই এটি সলগ্নক পদ। 
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে সর্বনাম অন্যের উপর প্রভাব বিস্তার করেনা তাকে নিরপেক্ষ সর্বনাম বলে। যেমন- তুমি এ কাজ করেছো, আপনি সেখানে গিয়েছিলেন ইত্যাদি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
ভাব প্রকাশের দিক দিয়ে ক্রিয়াপদকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথাঃ
-সমাপিকা ক্রিয়া
-অসমাপিকা ক্রিয়া
সমাপিকা ক্রিয়াঃ যে ক্রিয়াপদ বাক্যকে পরিপূর্ণ করে এবং বাক্যের অর্থকে সুস্পষ্ট করে তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন- আমি বাড়ি যাব।আমরা সন্ধ্যায় পড়তে বসব ইত্যাদি।
অসমাপিকা ক্রিয়াঃ যে ক্রিয়াপদ দ্বারা বাক্যের পরিসমাপ্তি ঘটে না, বক্তার কথা অসম্পূর্ণ থেকে যায়, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন- আমরা হাত-মুখ ধুয়ে, প্রভাতে সূর্য উঠলে ইত্যাদি।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
• অলংকার আবেগ:
- অলংকার আবেগে এ ধরনের শব্দ বাক্যের অর্থের পরিবর্তন না ঘটিয়ে কোমলতা, মাধুর্যতা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে।
- এবং সংশয়, অনুরোধ, মিনতি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশের জন্য অলংকার আবেগ ব্যবহৃত হয়।
যেমন:
- যাকগে, ওসব কথা থাক।
- দুর ! এ কথা কি বলতে আছে?
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
কখনও কখনও পরস্পর সম্পর্কযুক্ত একাধিক সর্বনাম পদ একই সঙ্গে ব্যবহৃত হয়ে দুটি বাক্যের সংযোগ সাধন করে থাকে । এদেরকে বলা হয় সাপেক্ষ সর্বনাম । যেমনঃ যত-তত ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
পরস্পর শর্ত বা সম্পর্কযুক্ত একাধিক সর্বনাম পদ একই সাথে ব্যবহৃত হয়ে দুটি বাক্যের সংযোগ সাধন করলে তাকে সাপেক্ষ সর্ব নাম বলে।
একটির সাপেক্ষে অন্যটি ,অর্থাৎ একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল এবং তা দুটি বাক্যের সংযোগ ঘটায় । 
- যে - সে, যিনি - তিনি, যারা - তারা, যা - তা ইত্যাদি সাপেক্ষ সর্বনাম
যেমন-যেমন কর্ম তেমন ফল ।যত গর্জে তত বর্ষে না ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
- বিশেষ্য পদের পরিবর্তে যে পদ ব্যবহৃত হয় তাকে সর্বনাম পদ বলে।
যেমন - আবির খুব ভালো ছেলে। সে প্রতিদিন স্কুলে যায়।
এখানে 'সে' শব্দটি প্রথম বাক্যের 'আবির' বিশেষ্য পদের পুনরাবৃত্তি দুর করতে ব্যবহার করা হয়েছে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
ভাব-বিশেষণ:
- যে বিশেষণ পদ বিশেষ্য ও সর্বনাম পদ ছাড়া অন্য পদের দোষ, গুণ বা অবস্থা প্রকাশ করে, তাকে ভাব-বিশেষণ বলে।
- যেমন: আস্তে হাঁটো, খুব আস্তে হাঁটো ইত্যাদি।

ভাব-বিশেষণ দুই প্রকার।
যেমন—
- ক্রিয়া বিশেষণ
- বিশেষণের বিশেষণ

- ক্রিয়া বিশেষণ: যে বিশেষণ পদ বাক্যের ক্রিয়াপদের গুণ, অবস্থা, প্রকৃতি ইত্যাদি নির্দেশ করে, তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যেমন: তাড়াতাড়ি চল। দিন ভালো যাচ্ছে না। জিনিসটা সাবধানে রাখ।

- বিশেষণের বিশেষণ: যে বিশেষণ বিশেষণের দোষ, গুণ, অবস্থা প্রকাশ করে, তাকে বিশেষণের বিশেষণ বলে। যেমন: সে খুব আস্তে হাঁটে, মনোয়ারা খুব ভালো মেয়ে।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
যে পদ বিশেষ্য ও সর্বনাম ভিন্ন অন্য পদকে বিশেষায়িত করে তা-ই ভাব বিশেষণ। ভাব বিশেষণ ৪ প্রকার। যথা-
(১) ক্রিয়া বিশেষণ
(২) বিশেষণের বিশেষণ
(৩) অব্যয়ের বিশেষণ
(৪) বাক্যের বিশেষণ।
ব্যাখ্যাসহ সব প্রশ্ন পেতে আমাদের অ্যাপ ব্যাবহার করুন।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0