- এটি অধিকরণ কারকের একটি প্রকারভেদ। - যখন একটি ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য অন্য একটি ক্রিয়ার ভাব, অবস্থা বা কারণ প্রকাশ করে, তখন তাকে ভাবাধিকরণ বলে। - এতে সর্বদা সপ্তমী বিভক্তি যুক্ত হয় বলে একে ‘ভাবে সপ্তমী’ও বলা হয়। - যেমন: "কান্নায় শোক কমে।" এখানে ‘কান্না’ (ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য) ‘শোক কমা’ (ক্রিয়া)-র ভাবটি প্রকাশ করছে।
- আবেগ শব্দ মনের আকস্মিক ভাব বা অনুভূতিকে প্রকাশ করে। - বাক্যের অর্থের ওপর ভিত্তি করে আবেগ শব্দের শ্রেণিবিভাগ করা হয়। - 'আহা! বেচারার এত কষ্ট'—এই বাক্যে 'আহা' শব্দটি দ্বারা অন্যের কষ্ট দেখে সহানুভূতি, মায়া বা করুণার ভাব প্রকাশ পেয়েছে। তাই এটি একটি করুণা আবেগ।
অন্যদিকে, - আনন্দ আবেগ: কোনো আনন্দের অনুভূতি প্রকাশ করে (যেমন: বাহ! কী সুন্দর দৃশ্য!)। - বিস্ময় আবেগ: আশ্চর্য হওয়ার ভাব প্রকাশ করে (যেমন: আরে! তুমি কখন এলে!)। - বিরক্তি আবেগ: বিরক্তি বা ঘৃণা প্রকাশ করে (যেমন: ছি ছি! এ কী কাজ!)।
- ক্রিয়া-বিশেষণ ক্রিয়াপদকে বিশেষিত করে, অর্থাৎ কাজটি কখন, কোথায়, কীভাবে বা কী পরিমাণে ঘটছে তা নির্দেশ করে। - 'টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছে'—এই বাক্যে 'পড়ছে' ক্রিয়াপদটিকে 'কীভাবে পড়ছে?' দিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তর আসে 'টিপ টিপ'। - যেহেতু এটি ক্রিয়া সংঘটনের ধরণ বা রীতি বোঝাচ্ছে, তাই এটি একটি ধরনবাচক ক্রিয়া-বিশেষণ।
অন্যদিকে, - কালবাচক: ক্রিয়ার কাল নির্দেশ করে (যেমন: সকালে এসো)। - স্থানবাচক: ক্রিয়ার স্থান নির্দেশ করে (যেমন: এখানে বসো)। - পরিমাণবাচক: ক্রিয়ার পরিমাণ নির্দেশ করে (যেমন: অনেক খেয়েছি)।
- 'শাবাশ' একটি ফারসি শব্দ, যার অর্থ "প্রশংসাসূচক উক্তি", "ধন্য" বা "বাহবা"। - এটি কোনো কাজ বা কথায় মুগ্ধ হয়ে প্রশংসা বা তারিফ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। - যখন কোনো ব্যক্তি প্রত্যাশার চেয়ে ভালো কিছু করে, তখন তাকে উৎসাহিত করতে বা তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ 'শাবাশ' বলা হয়।
উদাহরণ ও বিশ্লেষণ: প্রশংসাসূচক আবেগ শব্দ প্রশংসা বা তারিফের মনোভাব প্রকাশ করে। যেমন: "শাবাশ! দেখার মতো একটা ছক্কা হাঁকালে।" "বাঃ! চমৎকার গান গায় মেয়েটা!"
- 'যিনি' শব্দটি বাংলা ব্যাকরণে সাপেক্ষ সর্বনাম বা নিত্যসম্বন্ধী সর্বনাম হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ। - এর কারণ হলো, এই ধরণের সর্বনাম বাক্যে একা ব্যবহৃত না হয়ে অন্য কোনো সর্বনামের ওপর নির্ভর করে ব্যবহৃত হয়। - 'যিনি' সর্বনামটি বাক্যে সবসময় 'তিনি' সর্বনামের সাথে একটি সম্পর্ক স্থাপন করে। 'যিনি' দ্বারা যাকে বোঝানো হয়, 'তিনি' দ্বারাও সেই একই ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ করা হয়। এই দুটি সর্বনাম একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে এবং বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণ করে।
- বিশেষ্য পদ হলো সেই শব্দ যা কোনো ব্যক্তি, বস্তু, গুণ বা ধারণা নির্দেশ করে।
বিশেষ্যকে প্রধানত চার ভাগে ভাগ করা যায়: - সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য – ব্যক্তি বা বস্তু/জিনিসের নাম (যেমন: মানুষ, বই, ঢাকা) - বস্তুবাচক বিশেষ্য – সরাসরি কোনো জিনিসের নাম (যেমন: মেঘ, গাছ, নদী) - গুণবাচক বিশেষ্য – কোনো গুণ, বৈশিষ্ট্য বা মান নির্দেশ করে (যেমন: সৌন্দর্য, মাধুর্য, সাহস) - সমষ্টিবাচক বিশেষ্য – একাধিক বস্তু বা ব্যক্তির সমষ্টি নির্দেশ করে (যেমন: জনতা, সম্প্রদায়)
‘মধুরতা’ শব্দটি বোঝাচ্ছে কোনো কিছুর মিষ্টতা বা আনন্দদায়ক বৈশিষ্ট্য। এটি কোনো নির্দিষ্ট বস্তু বা ব্যক্তি নয়, বরং গুণ নির্দেশ করছে, তাই এটি গুণবাচক বিশেষ্য।
- আবেগ শব্দ বা অনন্বয়ী অব্যয় হলো এমন কিছু শব্দ যা বাক্যের অন্য কোনো পদের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত না হয়ে স্বাধীনভাবে মনের নানা ভাব বা আবেগ প্রকাশ করে। - যেমন – আনন্দ, বেদনা, বিস্ময়, প্রশংসা, ঘৃণা ইত্যাদি। - ‘শাবাশ!’ শব্দটি সাধারণত কোনো ভালো কাজের জন্য কাউকে উৎসাহ বা প্রশংসা জানাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন: "শাবাশ! খুব ভালো খেলেছ।" - ‘বাহ্!’ শব্দটি কোনো সুন্দর জিনিস বা ভালো কাজ দেখে মুগ্ধতা বা প্রশংসা প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়। যেমন: "বাহ্! কী সুন্দর দৃশ্য!" - উভয় শব্দই বক্তার ইতিবাচক মনোভাব এবং প্রশংসার অনুভূতিকে প্রকাশ করে। - তাই, এগুলোকে প্রশংসা আবেগ (Admiration) বা প্রশংসাসূচক আবেগ শব্দের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
-মেঘের গর্জন বোঝাতে 'গুড় গুড়' অনুকার অব্যয়টি ব্যবহৃত হয়। -এর কারণ হলো, এই শব্দটি মেঘের গম্ভীর এবং ক্রমাগত ধ্বনির সঠিক অনুকরণ করে। -অনুকার অব্যয় বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয় হলো সেই সব শব্দ যা কোনো কিছুর স্বাভাবিক ধ্বনি বা শব্দের অনুকরণে তৈরি হয়। - এই শব্দগুলো আমাদের মনে একটি নির্দিষ্ট ধ্বনির চিত্র তৈরি করে। যেমন - পাখির ডাক বোঝাতে 'কিচিরমিচির' বা জলের পড়ার শব্দ বোঝাতে 'টুপটাপ' ইত্যাদি।
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
-যে অব্যয় পদ দুটি বা তার বেশি পদ, বাক্যাংশ বা বাক্যকে সংযুক্ত করে বা তাদের মধ্যে সংযোগ ঘটায়, তাকে সংযোজক অব্যয় বলা হয়। -এই অব্যয়গুলো মূলত যোগ করার কাজ করে থাকে। -‘ও’, ‘এবং’, ‘আর’—এই তিনটি অব্যয়ই দুটি শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। -এদের মূল কাজই হলো সংযোগ সাধন করা। উদাহরণ - ও: দুটি পদের সংযোগ ঘটাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন রহিম ও করিম দুই ভাই। সুখ ও দুঃখ জীবনে আসবেই। - এবং: দুটি বাক্য বা বাক্যাংশের সংযোগে ব্যবহৃত হয়, যা সাধারণত লেখ্য ভাষায় বেশি দেখা যায়। যেমন - তিনি বাড়ি গেলেন এবং আমি রওনা হলাম। মেঘ করেছে এবং বৃষ্টি পড়ার সম্ভাবনা আছে। - আর: দুটি পদ বা বাক্যের সংযোগ সাধনে ব্যবহৃত হয়। এটি কথ্য ভাষায় বেশি প্রচলিত। যেমন - তুমি আর আমি সেখানে যাবো। কামনা ত্যাগ করলে ধনী হয়, আর লোভ ত্যাগ করলেই সুখী হয়
- যে বিশেষণ পদ কোনো ক্রিয়া থেকে উদ্ভূত হয়ে বিশেষ্য পদের গুণ, অবস্থা বা ধর্ম প্রকাশ করে, তাকে ক্রিয়াজাত বিশেষণ বলে। একে ধাতুসাদিত বিশেষণও বলা হয়। - এখানে, 'চলন্ত' শব্দটি 'চলা' ক্রিয়া থেকে উৎপন্ন হয়েছে। - এটি 'গাড়ি' নামক বিশেষ্য পদটির অবস্থা (চলমান অবস্থা) প্রকাশ করছে। - অর্থাৎ, গাড়িটি চলছে এমন বোঝানো হচ্ছে। - যেহেতু বিশেষণটি একটি ক্রিয়া থেকে জাত বা তৈরি হয়েছে, তাই এটি একটি ক্রিয়াজাত বিশেষণ।
এরকম আরও কিছু উদাহরণ হলো: - উড়ন্ত পাখি (উড়া ক্রিয়া থেকে জাত) - হারানো মোবাইল (হারানো ক্রিয়া থেকে জাত) - পড়ন্ত বিকেল (পড়া ক্রিয়া থেকে জাত)
- যে পদ বাক্যের মধ্যে থাকা অন্য কোনো পদের (সাধারণত বিশেষ্য, সর্বনাম বা ক্রিয়াপদ) দোষ, গুণ, সংখ্যা, পরিমাণ, অবস্থা ইত্যাদি প্রকাশ করে, তাকে বিশেষণ পদ বলে। - বিশেষ্যের বিশেষণ: 'নীল আকাশ' - এখানে 'নীল' শব্দটি 'আকাশ' (বিশেষ্য) এর অবস্থা প্রকাশ করছে। - সর্বনামের বিশেষণ: 'সে খুব মেধাবী' - এখানে 'মেধাবী' শব্দটি 'সে' (সর্বনাম) এর গুণ প্রকাশ করছে। - ক্রিয়ার বিশেষণ: 'ঘোড়াটি দ্রুত দৌড়ায়' - এখানে 'দ্রুত' শব্দটি 'দৌড়ায়' (ক্রিয়া) এর অবস্থা প্রকাশ করছে। (এটিকে ক্রিয়া-বিশেষণও বলা হয়, যা বিশেষণ পদেরই একটি অংশ)। সুতরাং, সংজ্ঞা অনুযায়ী সঠিক উত্তর হলো বিশেষণ পদ।
- যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো ক্রিয়ার ভাব বা কাজের নাম বোঝায়, তাকে ভাববাচক বা ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য বলে। - এই ধরনের বিশেষ্য কোনো ব্যক্তি, বস্তু বা স্থানকে না বুঝিয়ে একটি কাজের অবস্থাকে বোঝায়। - ভোজন: এই শব্দটি 'ভুজ্' নামক ক্রিয়ামূল থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ 'খাওয়া' নামক কাজটি বা ক্রিয়ার ভাব। - শয়ন: এই শব্দটি 'শী' নামক ক্রিয়ামূল থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ 'শুয়ে থাকা' বা 'ঘুমানো' নামক কাজটি বা ক্রিয়ার ভাব।
- কারকের মূল শর্ত হলো ক্রিয়াপদের সাথে নামপদের সরাসরি সম্পর্ক থাকতে হবে। কিন্তু যখন কোনো নামপদ ক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত না হয়ে অন্য একটি নামপদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে, তখন তাকে সম্বন্ধ পদ বলে। - এতে সাধারণত ‘র’ বা ‘এর’ বিভক্তি যুক্ত থাকে। - যেমন: "রহিমের ভাই বাজারে যায়।" - এখানে ‘রহিমের’ পদটির সম্পর্ক ‘ভাই’ (নামপদ)-এর সাথে, ‘যায়’ (ক্রিয়াপদ)-এর সাথে নয়। তাই ‘রহিমের’ একটি সম্বন্ধ পদ, এটি কোনো কারক নয়।
-বিশেষ্যের পরিবর্তে যে শব্দ ব্যবহৃত হয় ,তাকে সর্বনাম পদ বলে । -সর্বনাম সাধারণত ইতোপূর্বে ব্যবহৃত বিশেষ্যের প্রতিনিধি শব্দ । -সুতরাং বিশেষ্যের পরিবর্তে সর্বনাম ব্যবহৃত হয় । যেমনঃ -রহিম মেধাবী ছাত্র। -রহিম নিয়মিত স্কুলে যায়। -এক্ষেত্রে রহিম বার বার ব্যবহার না করে 'সে' ব্যবহার করা হয়।
যে বিশেষ্য একই জাতীয় ব্যক্তি বস্তু বা প্রাণীর সমষ্টিকে বোঝায় তখন সেই বিশেষ্য কে সমষ্টিবাচক বিশেষ্য বলে। উদাহরণ: Army(সৈন্যদল), class(শ্রেণী) family(পরিবার).
যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো উপাদানবাচক পদার্থ বা বস্তুর নাম বোঝায়, যাকে গণনা করা যায় না কিন্তু ওজন বা পরিমাপ করা যায়, তাকে বস্তুবাচক বা দ্রব্যবাচক বিশেষ্য বলে। উদাহরণ: লোহা (একটি উপাদান) সোনা (একটি উপাদান) চাল (একটি দ্রব্য) চিনি (একটি দ্রব্য) জল (একটি তরল পদার্থ)
অন্যান্য option গুলো কেন ভুল: গুণবাচক বিশেষ্য: কোনো গুণের নাম বোঝায় (যেমন- সততা, দয়া, সৌন্দর্য)। জাতিবাচক বিশেষ্য: এক জাতীয় প্রাণী বা বস্তুর সাধারণ নাম বোঝায় (যেমন- মানুষ, নদী, পর্বত)। সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য: কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, স্থান বা বস্তুর নাম বোঝায় (যেমন- ঢাকা, পদ্মা, হিমালয়)।
- যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো এক জাতীয় প্রাণী বা পদার্থের সাধারণ নাম বোঝায় তাকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। - উদাহরণ- মানুষ, গরু, পাখি, গাছ, পর্বত, নদী ইত্যাদি। - তিতাস একটি নদীর নাম। প্রদত্ত বাক্যে নদী জাতিবাচক বিশেষ্য।
যে বিশেষ্য পদ দ্বারা ক্রিয়ার ভাব বা কাজের নাম বোঝায়, তাকে ভাববাচক বিশেষ্য (Verbal Noun) বলে। এখানে: শয়ন: শোয়া নামক কাজটি বা ক্রিয়ার ভাবকে বোঝাচ্ছে। গমন: যাওয়া নামক কাজটি বা ক্রিয়ার ভাবকে বোঝাচ্ছে। একইভাবে, ভোজন (খাওয়ার কাজ), দর্শন (দেখার কাজ), শ্রবণ (শোনার কাজ) ইত্যাদিও ভাববাচক বিশেষ্য।
বাক্যটিতে 'সুস্থ-সবল' শব্দটি 'দেহ' নামক বিশেষ্য পদের দোষ, গুণ বা অবস্থা প্রকাশ করছে। যে পদ অন্য কোনো পদের (বিশেষ্য বা সর্বনাম) দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি বোঝায়, তাকে বিশেষণ পদ বলে। এখানে 'দেহ' (বিশেষ্য) কেমন? = সুস্থ-সবল। তাই 'সুস্থ-সবল' শব্দটি বিশেষণ পদের উদাহরণ।
জাতিবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো এক জাতীয় প্রাণী, বস্তু বা স্থানের সাধারণ নাম বোঝায়, তাকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। এটি কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুকে না বুঝিয়ে পুরো একটি শ্রেণিকে বোঝায়।
- যেমন: পর্বত শব্দটি কোনো নির্দিষ্ট পর্বতকে (যেমন: হিমালয় বা কেওক্রাডং) না বুঝিয়ে, পৃথিবীর সমস্ত পর্বতের সাধারণ শ্রেণিকে বোঝাচ্ছে। একইভাবে, নদী, মানুষ, ফুল, পাখি ইত্যাদিও জাতিবাচক বিশেষ্য।
সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য: যখন কোনো নির্দিষ্ট পর্বত, যেমন— হিমালয়, আল্পস বা আন্দিজ-এর নাম বলা হবে, তখন সেটি সংজ্ঞাবাচক বা নামবাচক বিশেষ্য হবে।
বস্তুবাচক বিশেষ্য: যে পদ দ্বারা কোনো বস্তু বা পদার্থের নাম বোঝানো হয় এবং যা গণনা করা যায় না, শুধু পরিমাপ করা যায়, তাকে বস্তুবাচক বিশেষ্য বলে (যেমন: জল, মাটি, সোনা)। 'পর্বত' এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত নয়।
সমষ্টিবাচক বিশেষ্য: যে পদে সমষ্টি বা দল বোঝায়, তাকে সমষ্টিবাচক বিশেষ্য বলে (যেমন: দল, ঝাঁক, সভা)। 'পর্বত' কোনো সমষ্টি নয়।
যে অব্যয় পদ একটি বাক্যের সঙ্গে অন্য একটি বাক্যের অথবা বাক্যস্থিত একটি পদের সঙ্গে অন্য একটি পদের সংযোজন, বিয়োজন এবং সংকোচন ঘটায় তাকে সমুচ্চয়ী অব্যয় বলে।
যেমনঃ
- আমি গেলাম কিন্তু সে আসল না
- তুমি আর আমি ছাড়া কেউ আসবে না।
- রাম এবং শ্যাম আজ দার্জিলিং যাবে।
- দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে। - হাসেম কিংবা কাশেম এর জন্য দায়ী
যে পদে কোনো ব্যক্তি, বস্তু, জাতি, কাজ বা গুণের নাম বোঝায়, তাকে বিশেষ্য পদ বলে। যেমন: বই, নদী, পাখি, ফুল, বাংলাদেশ ইত্যাদি।
১. সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য: যেসব বিশেষ্য পদে কোনো নির্দিষ্ট স্থান, নদী, পর্বত, সমুদ্র, প্রসিদ্ধ গ্রন্থ বা ব্যক্তির নাম বোঝায়, তাকে সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য বলা হয়। যেমন: আকবর, রানা, ঢাকা, তাজমহল ইত্যাদি।
২. স্থানবাচক বিশেষ্য: যেসব বিশেষ্য পদে কোনো নির্দিষ্ট স্থানের নাম বোঝায়, তাকে স্থানবাচক বিশেষ্য বলা হয়। যেমন: ঢাকা, রাজশাহী, ময়নামতি ইত্যাদি।
৩. বস্তুবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদের সাহায্যে কোনো বস্তু বোঝায় এবং যার সংখ্যা নির্দেশ করা যায় না, শুধু পরিমাণ নির্দেশ করা যায়, তাকে বস্তুবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: চিনি, পানি, লবণ ইত্যাদি।
৪. জাতিবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদের সাহায্যে কোনো প্রাণী বা বস্তুর জাতি বোঝায়, তাকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: মানুষ, মুসলমান, হিন্দু ইত্যাদি।
৫. গুণবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদে কোনো গুণ, অবস্থা ও ভাবের নাম বোঝায়, তাকে গুণবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: ধৈর্য, সুখ, দুঃখ, দয়া, বীরত্ব ইত্যাদি।
৬. ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদে কোনো কাজের নাম বোঝায়, তাকে ক্রিয়াবাচক বা ভাববাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: ঘুমান, গমন, যাওয়া ইত্যাদি।
৭. সমষ্টিবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদে সমষ্টি বোঝায়, তাকে সমষ্টিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: জনতা, সমিতি, সভা, দল ইত্যাদি।
বিশেষণ হলো এমন একটি পদ, যা বিশেষ্য বা সর্বনামের গুণ, দোষ, অবস্থা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে। 'ইচ্ছা' শব্দটি একটি বিশেষ্য, যার অর্থ অভিলাষ বা বাসনা। এর থেকে উদ্ভূত বিশেষণ হলো 'ঐচ্ছিক', যার অর্থ "ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল" বা "যা ইচ্ছা অনুযায়ী করা যায়।"
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
ভাববাচক বিশেষণ: - যেসব বিশেষণ বাক্যের অন্তর্গত অন্য বিশেষণকে বিশেষিত করে, সেসব বিশেষণকে ভাববাচক বিশেষণ বলে। - এই বিশেষণগুলি অন্য বিশেষণকে আরও বিশেষিত করে। উদাহরণ: খুব, অনেক। - "খুব ভালো খবর।", "গাড়িটা অনেক দ্রুত চলছে।"
✅প্রাইমারী, নিবন্ধন বা ১১তম-২০তম গ্রেডের যেকোনো চাকরি জন্য প্রশ্ন ব্যাংক লেগে থেকে শেষ করুন। অ্যাপ এর প্রশ্ন ব্যাংক থেকে ১০০% কমন আসবে। বাকি চাকরি পরীক্ষা জন্য ৭০%-৮০% কমন আসবে। আপনার চর্চার সময় আপনার ভুল প্রশ্ন, বুকমার্ক প্রশ্ন সব ডাটাবেজে জমা থাকে। মনে করুন বাংলা সাহিত্য ৪০০০ প্রশ্ন আছে, আপনি একবার ভালো করে পড়বেন, এর মধ্যে দেখবেন ৪০% প্রশ্ন আপনার জানা, যেগুলো কখনও ভুল হবে না, বাকি আছে ৬০%, এই প্রশ্নগুলো আলাদা বাটনে জমা হয়, যেগুলো আপনি ভুল করছেন, এখন এইগুলো ভালো করে রিভিশন দিন। এতে সহজে কম সময় প্রস্তুতি শেষ হবে। যারা একেবারে নতুন তারা জব শুলুশন্স বাটন দিয়ে শুরু করতে পারেন।
✅প্রাইমারী ১ম ধাপের পরীক্ষার তারিখ দিলে ফুল মডেল টেস্ট শুরু হবে।
✅ব্যাংক নিয়োগ প্রস্তুতি'র লং কোর্স (রুটিনের জন্য পিডিএফ বাটন দেখুন) - পরীক্ষা শুরুঃ ১০ নভেম্বর। - মোট পরীক্ষাঃ ১২৮টি, - টপিক ভিত্তিকঃ ১১২টি, - রিভিশন পরীক্ষাঃ ২২টি, - Vocabulary রিভিশনঃ ৩বার
✅ সম্পূর্ণ ফ্রিতে প্রস্তুতি নিন ৫০তম বিসিএস। মোট পরীক্ষাঃ ১৬২টি টপিক ভিত্তিক পরীক্ষাঃ ১০০টি রিভিশন পরীক্ষাঃ ৬২টি
অ্যাপ এর হোম screen -এ পিডিএফ বাটন ক্লিক করুন, এখান থেকে রুটিন ডাউনলোড করতে পারবেন। রুটিনের তারিখ অনুযায়ী পরীক্ষা রাত ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেকোন সময় দিতে পারবেন, ফলাফল সাথে সাথে বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ দেওয়া হয়। missed পরীক্ষাগুলো আর্কাইভ থেকে দিতে পারবেন, তবে মেরিট লিস্ট আসবে না, মেরিট লিস্টে থাকতে হলে রুটিন অনুযায়ী নির্দিষ্ট তারিখে দিতে হবে। আর্কাইভ থেকে পরীক্ষা দিতে হলে ভিজিট করুনঃ অ্যাপ এর হোম স্ক্রীনে 'পরীক্ষার সেকশন' বাটনে ক্লিক করুন -> বিসিএস বাটন -> [ফ্রি কোর্স] ৫০তম বিসিএস প্রিলি ২২০ দিনের সেকশনের All Exam বাটন ক্লিক করুন -> এখান Upcoming, Expired ট্যাব পাবেন।
✅ প্রধান শিক্ষক প্রস্তুতি - লেকচারশীট ভিত্তিকঃ রুটিন আপলোড করা হয়েছে। পরীক্ষা শুরুঃ ১৫ আগস্ট। মোট পরীক্ষাঃ ৫৮টি
✅ আপকামিং রুটিনঃ
- ১০০ দিনের বিসিএস বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি। - বেসিকভিউ বই অনুসারে GK রুটিনে টপিক ও বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ থাকবে। - অগ্রদূত বাংলা বই অনুসারে বাংলা সাহিত্য ও ভাষা রুটিনে টপিক ও বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ থাকবে।। - English মাস্টার বই অনুসারে রুটিনে টপিক ও বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ থাকবে।