ছন্দ ও অলংকার (94 টি প্রশ্ন )
- মাত্রাবৃত্ত ছন্দ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম ছন্দ হিসেবে পরিচিত।
- এটি ধ্বনিপ্রধান ছন্দ, যার মূল পর্ব সাধারণত ৪, ৫, ৬ বা ৭ মাত্রার হয়।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এটিকে 'সংস্কৃতভাঙা' ছন্দ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
- মাত্রাবৃত্ত ছন্দে লেখা কবিতার আবৃত্তির গতি স্বরবৃত্ত ছন্দের চেয়ে ধীর, কিন্তু অক্ষরবৃত্ত ছন্দের চেয়ে দ্রুত।
- যমক: একই শব্দ বারবার ব্যবহার করে ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করা
- অনুপ্রাস: একই বর্ণ বা ধ্বনির পুনরাবৃত্তি
- শ্লেষ: একটি শব্দ দ্বারা একাধিক অর্থ প্রকাশ করা
- অপহ্নূতি হল একটি অর্থালংকার, যেখানে কোনো বস্তুকে অস্বীকার করে অন্য বস্তু হিসেবে বর্ণনা করা হয়। এটি শব্দের ধ্বনি বা উচ্চারণের সাথে নয়, বরং অর্থের সাথে সম্পর্কিত।
উপমেয়র উপর উপমানের ব্যবহার সমারোপিত হলে তাকে সমাসোক্তি বলে।
যেমন- 'পর্বত চাহিল হতে বৈশাখের নিরুদ্দেশ মেঘ।'
- এটি একটি অপ্রচলিত প্রশ্ন ।
- একটি উপমেয়কে অস্বীকার করে, সেখানে অন্য একটিকে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
- তাহলে অপহ্নতি অলংকার হয়।
- এখানে জল কে অস্বীকার করে অশ্রুধারা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
একস্থানে কারণ থাকলে এবং অপরস্থানে কার্যোৎপত্তি হলে তাকে অসঙ্গতি অলঙ্কার বলে। যেমন ঃ হ্রদয় মাঝে মেঘ উদয় করি /নয়নের মাঝে ঝরিল বারি । প্রদত্ত উদাহরণের আমরা দেখতে পাই ,হ্রদয়ের মাঝে মেঘ জমেছে ,অথচ বৃষ্টি ঝড়েছে চোখ দিয়ে ।

"গাছের পাতার সেই বেদনায় বুনো পথে যেতো ঝরে,
ফালগুনী হাওয়া কাঁদিয়া উঠিত শুনো-মাঠখানি ভরে।
পথ দিয়া যেতে গেঁয়ো পথিকেরা মুছিয়া যাইত চোখ,
চরণে তাদের কাঁদিয়া উঠিত গাছের পাতার শোক।"

কবিতাংশটি জসীমউদ্দিনের 'কবর' কবিতা থেকে গৃহীত।
কবিতায় বৃদ্ধের ছেলের মৃত্যুর শোক প্রকাশের জন্য কবিচিত্তের প্রতিবিম্ব একেছেন, তার ভাব চেতনার কাব্যময় চিত্রই হলো 'চিত্রকল্প'।

উপমা হল 'বৈসাদৃশ্যর মধ্যে সাদৃশ্য কল্পনা করা' 


ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন



- মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম সনেট কবিতা ‘বঙ্গভাষা' এর বিখ্যাত পঙ্ক্তি ‘ওরে বাছা, মাতৃকোষে রতনের রাজি, / এ ভিখারী দশা তবে কেন তোর আজি।' 
- কবিতাটি অষ্টক ও ষটকে বিভক্ত এবং অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত।
সনেটের প্রথম ভাগে ৮ লাইন এবং পরের ভাগে ৬ লাইন থাকে ।মোট লাইন হয় ১৪ টি ।প্রথম লাইনকে অষ্টক এবং পরের ৬ লাইনকে বলে ষষ্টক

বাংলা সাহিত্যে সনেট রচনার প্রবর্তন মাইকেল মধুসূদন দত্ত । তিনি বাংলা ভাষায় প্রথম সনেট রচনা করেন । সনেটকে বাংলায় বলা হয় 'চতুর্দশপদী কবিতা' ।
 - সনেট কবিতার একটি বিশেষ রুপকল্প। একটি সনেটে ১৪ চরণ থাকে। এ ১৪ চরণ ৮ চরণ ও ৬ চরণে বিভাজিত হয়। প্রথম ৮ চরণকে অষ্টক আর শেষ ৬ চরণকে বলে ষটক।
 - মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যে তিনি 'মধুকবি' নামে পরিচিত।
 - বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি কায়কোবাদ সর্বপ্রথম সনেট এবং মহাকাব্য রচনা করেন।
 - ফররুখ আহমেদের সনেট সংকলনের নাম 'মুহূর্তের কবিতা'।
 - সনেটের জনক 'ইটালীর পেত্রার্ক'


কাব্যে যে ছন্দে চরণদ্বয়ের অন্ত্যবর্ণের মিল থাকে না, তাকে অমিত্রাক্ষর ছন্দ বলে। অমিত্রাক্ষর ছন্দ বাংলা কাব্যের একটি বিশেষ ছন্দরূপ যা ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রবর্তন করেছিলেন।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন



-'বঙ্গভাষা' কবিতাটি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত ।
-প্রতিটি চরণে ১৪ মাত্রায় দুটি পর্ব ।
-প্রথম পর্ব ৮ মাত্রার ও দ্বিতীয় পর্ব ৬ মাত্রার ।
-এই সনেটে কবি শুধু তার সুগভীর হৃদয়াবেগকেই প্রকাশ করেননি, সব কিছুকে ছাপিয়ে উঠেছে মাতৃভাষার মহিলা এবং ঐ ভাষার প্রতি কবির সুগভীর দরদ ।
-যেমন কবির ভাষায়- হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন; তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি, 


অক্ষরবৃত্ত ছন্দ:
- উৎপত্তির বিচারে যে ছন্দটিকে খাঁটি বাংলা অর্থাৎ 'তদ্ভব ছন্দ' নামে আখ্যায়িত করা হয়, তাকেই প্রচলিত ভাষায় বলা হয় অক্ষরবৃত্ত ছন্দ।
- অক্ষরবৃত্ত ছন্দ বাংলা কাব্যের প্রধান ছন্দ।
- অক্ষরবৃত্ত ছন্দকে তানপ্রধান ছন্দও বলে।
- পয়ার হচ্ছে অক্ষরবৃত্ত ছন্দের ৮/৬ মাত্রার বৈশিষ্ট্যপূর্ণ একটি শ্রেণিবিভাগ।

- ফরাসি দার্শনিক বার্গস-র তত্ত্ব প্রয়োগ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'বলাকা' (১৯১৬) কাব্য রচনা করেন।
- এ কাব্যে গতিতত্ত্বের প্রকাশ ঘটেছে। এ কাব্যে মোট ৪৫টি কবিতা রয়েছে।
- এরমধ্যে প্রথম ১০টি কবিতা সমপক্তিক ছন্দে, ১টি সনেট এবং অবশিষ্ট ৩৪টি বিষম ছন্দে রচিত, যা ‘বলাকার ছন্দ' নামে পরিচিত।
- তবে এগুলো মুক্তক ছন্দ নামেও পরিচিত। কাব্যটি তিনি উইলিয়াম পিয়ারসনকে উৎসর্গ করেন।
যে কাব্য ছন্দে মূল পর্ব চার, পাঁচ, ছয় বা সাত মাত্রার হয় এবং যা মধ্যম লয়ে পাঠ করা হয়, তাঁকে মাত্রাবৃত্ত ছন্দ বলে। এ ছন্দে প্রধানত ৬ মাত্রার প্রচলন বেশি। এ ছন্দকে বর্ণবৃত্ত বা ধ্বনিপ্রধান ছন্দ বা কলাবৃত্ত ছন্দ বলে।
উদাহরণ: এইখানে তোর / দাদির কবর / ডালিম গাছের / তলে (মাত্রা: ৬/৬/৬/২)।
-‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এল বান শিব ঠাকুরের বিয়ে হলো তিন কন্যে দান’ 
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ কবিতাটি স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত। 
স্বরবৃত্ত ছন্দে লেখা কবিতাগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চার মাত্রার চালে চলতে পছন্দ করে। 
প্রধানত ছড়া এবং গান লিখতেই এই ছন্দ সচরাচর ব্যবহৃত হয়।


ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
যে ছন্দ রীতিতে উচ্চারণের গতিবেগ বা লয় দ্রুত অক্ষরমাত্রেই এক মাত্রার হয় ,তাঁকে স্বরবৃত্ত ছন্দ বলে । এ ছন্দের মূল পর্বের মাত্রা সংখ্যা চার । এ ছন্দকে লৌকিক ছন্দ বা ছড়ার ছন্দ বলে
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0