Solution
Correct Answer: Option D
- হরপ্রসাদ শাস্ত্রী রচিত প্রবন্ধ 'তৈল'।
- এ প্রবন্ধে তিনি মনুষ্য সমাজ, তার প্রকৃতি এবং জীবনাচরণের বিভিন্ন রূপ কৌতুকের বাতাবরণে এবং যুক্তিধর্মিতার মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন।
- অর্থাৎ কীভাবে তোষামোদ করে সুবিধা আদায় করা যায়, সেই বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন।
- এ প্রবন্ধে তিনি বলেছেন, “তৈল যে কি পদার্থ, তাহা সংস্কৃত কবিরা কতক বুঝিয়াছিলেন। তাঁহাদের মতে তৈলের অপর নাম স্নেহ। বাস্তবিকও স্নেহ ও তৈল একই পদার্থ। আমি তোমায় স্নেহ করি, তুমি আমায় স্নেহ কর অর্থাৎ আমরা পরস্পরকে তৈল দিয়া থাকি। স্নেহ কি? যাহা স্নিগ্ধ বা ঠাণ্ডা করে, তাহার নাম স্নেহ। তৈলের ন্যায় ঠাণ্ডা করিতে আর কিসে পারে? ...যাহা বলের অসাধ্য, যাহা বিদ্যার অসাধ্য, যাহা ধনের অসাধ্য, যাহা কৌশলের অসাধ্য, তাহা কেবল একমাত্র তৈল দ্বারা সিদ্ধ হইতে পারে। ... যে তৈল দিতে পারিবে, তাহার বিদ্যা না থাকিলেও সে প্রফেসর হইতে পারে। আহাম্মক হইলেও ম্যাজিস্ট্রেট হইতে পারে....।
- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত প্রবন্ধ 'বাবু';
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত প্রবন্ধ 'অতি অল্প হইল'।