‘মৃত্যুক্ষুধা’ কার লেখা?

A মীর মশাররফ হোসেন

B বন্দে আলী মিয়া

C কাজী নজরুল ইসলাম

D রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী

Solution

Correct Answer: Option C

‘মৃত্যুক্ষুধা’
- ‘মৃত্যুক্ষুধা’ উপন্যাসের রচয়িতা কাজী নজরুল ইসলাম।
- ১৯৩০ সালে প্রকাশিত এ উপন্যাসটি কাজী নজরুল ইসলামের একটি উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক রচনা।
- কাজী নজরুল ইসলাম বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে ‘মৃত্যুক্ষুধা’ রচনা করেন।
- ১৯২৭ সাল থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত সময়কালে তিনি মৃৎশিল্পের কেন্দ্রভূমি পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগরের ছিলেন।
- কৃষ্ণনগরের চাঁদসড়ক এলাকার দরিদ্র হিন্দু, মুসলিম ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের দুঃখ-দুর্দশাপূর্ণ জীবনকে কেন্দ্র করেই এ উপন্যাসের কাহিনী গড়ে উঠেছে।

------------------------------------
------------------------------------
- কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে পরিচিত এবং তিনি অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব।
- তিনি ২৪ মে, ১৮৯৯ সালে (বাংলা ১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৩০৬) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। 
- তাঁকে বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হয় ১৯৭২ সালে।
- ছোটবেলায় তাকে 'তারা ক্ষ্যাপা', 'নজর আলী', 'দুখু মিয়া' এসব নামে ডাকা হতো।
- বাল্যকালে নজরুল লেটোদলের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং বিখ্যাত কবিয়াল শেখ চাকা তাঁকে 'ব্যাঙাচি' বলে ডাকতেন। নজরুলের আরও কিছু ছদ্মনাম ছিল, যেমন- ধূমকেতু এবং নুরু।
- বাংলা সাহিত্যে তিনি 'বিদ্রোহী কবি' হিসেবে পরিচিত।
- আধুনিক বাংলা সঙ্গীত জগতে তিনি 'বুলবুল' নামে খ্যাত।

তাঁর সাহিত্যকর্ম হলো:

কাব্যগ্রন্থ:
- অগ্নিবীণা,
- বিষের বাঁশি,
- ভাঙার গান,
- সাম্যবাদী,
- সর্বহারা,
- ঝিঙে ফুল,
- ফণি-মনসা,
- দোলনচাঁপা,
- জিঞ্জিরা,
- প্রলয় শিখা ইত্যাদি

উপন্যাস:
- বাঁধন-হারা (বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপান্যাস),
- মৃত্যুক্ষুধা,
- কুহেলিকা।

প্রবন্ধগ্রন্থ:
- রাজবন্দীর জবানবন্দি,
- দুর্দিনের যাত্রী,
- যুগবাণী,
- রুদ্র মঙ্গল,
- মন্দির ও মসজিদ,
- আমি সৈনিক।

গল্পগ্রন্থ:
- ব্যথার দান,
- রিক্তের বেদন,
- শিউলিমালা।

নাটক:
- ঝিলিমিলি,
- আলেয়া। 

Practice More Questions on Our App!

Download our app for free and access thousands of MCQ questions with detailed solutions