দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (সহকারী ব্যাবস্থাপক) - ২০.০৯.২০২৫ (99 টি প্রশ্ন )
Denial-of-Service (DoS) আক্রমণ হলো এমন এক ধরনের সাইবার হামলা যার মূল উদ্দেশ্য কোনো কম্পিউটার, নেটওয়ার্ক বা সার্ভারকে তার আসল ব্যবহারকারীদের জন্য unavailable করে দেওয়া।

- মূল ধারণা: এটিকে একটি দোকানের সাথে তুলনা করা যেতে পারে, যেখানে একদল লোক কোনো কিছু না কিনেই দোকানদারের সমস্ত মনোযোগ কেড়ে নেয়। ফলে আসল গ্রাহকরা দোকানে প্রবেশ করতে বা সেবা নিতে পারেন না। একইভাবে, DoS আক্রমণে হ্যাকাররা লক্ষ্যবস্তু সার্ভারে একযোগে বিপুল পরিমাণে নকল ট্র্যাফিক বা ডেটা রিকোয়েস্ট পাঠায়।

- কার্যপদ্ধতি: এই অতিরিক্ত ট্র্যাফিকের চাপ সামলাতে না পেরে সার্ভারের রিসোর্স, যেমন - প্রসেসিং ক্ষমতা (CPU), মেমরি (RAM) বা নেটওয়ার্ক ব্যান্ডউইথ শেষ হয়ে যায়।

- ফলাফল: এর ফলে, বৈধ ব্যবহারকারীদের জন্য ওয়েবসাইট বা পরিষেবাটি অত্যন্ত ধীর হয়ে যায় অথবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

- DoS বনাম DDoS: যখন এই আক্রমণ একটি উৎস (single source) থেকে চালানো হয়, তখন তাকে DoS বলে। কিন্তু যখন বহুসংখ্যক সংক্রমিত কম্পিউটার (যাদেরকে বটনেট বলা হয়) ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে একযোগে আক্রমণটি চালানো হয়, তখন তাকে Distributed Denial-of-Service (DDoS) বলা হয়, যা প্রতিরোধ করা অনেক বেশি কঠিন।

অন্যান্য অপশনগুলো কেন সঠিক নয়:
- Phishing: এটি এক ধরনের প্রতারণা, যেখানে ব্যবহারকারীকে নকল ইমেল বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন পাসওয়ার্ড বা ক্রেডিট কার্ডের বিবরণ দিতে প্রলুব্ধ করা হয়।
- Ransomware: এটি এক ধরনের ম্যালওয়্যার যা ব্যবহারকারীর ফাইল এনক্রিপ্ট করে ফেলে এবং ফাইলগুলো ফেরত দেওয়ার বিনিময়ে মুক্তিপণ দাবি করে।
- Keylogger: এটি একটি স্পাইওয়্যার যা ব্যবহারকারীর কীবোর্ডের প্রতিটি কী-চাপ (keystroke) গোপনে রেকর্ড করে সংবেদনশীল তথ্য চুরি করে।
এটি একটি নেটওয়ার্ক প্রোটোকল যা একটি সংরক্ষিত নেটওয়ার্কের উপর দুটি কম্পিউটারের মধ্যে সুরক্ষিতভাবে remote login এবং অন্যান্য নেটওয়ার্ক পরিষেবা চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। SSH ডেটা আদান-প্রদানের জন্য একটি encrypted বা সুরক্ষিত চ্যানেল তৈরি করে, যা ডেটার গোপনীয়তা (confidentiality) এবং অখণ্ডতা (integrity) নিশ্চিত করে। এটি সাধারণত port 22 ব্যবহার করে।

* অন্যান্য অপশনগুলো কেন সঠিক নয়:
 Telnet: এটিও remote login-এর জন্য ব্যবহৃত হয।।  এটি পাসওয়ার্ডসহ সমস্ত ডেটা plaintext বা সাধারণ টেক্সট হিসেবে পাঠায়, যা সহজেই হ্যাক করা সম্ভব।
 FTP (File Transfer Protocol): এটি মূলত এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ফাইল স্থানান্তর করার জন্য ব্যবহৃত হয়, remote login-এর জন্য নয়। সাধারণ FTP-ও সুরক্ষিত নয়।
 HTTP (Hypertext Transfer Protocol): এটি ওয়েব সার্ভার থেকে ওয়েব ব্রাউজারে ওয়েব পেজ এবং ডেটা পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এর সুরক্ষিত সংস্করণ হলো HTTPS
সাইবার নিরাপত্তায়, "জিরো-ডে vulnerability" হলো এমন একটি নিরাপত্তা ত্রুটি যা সফটওয়্যার নির্মাতার অজানা।

অন্যান্য অপশনগুলো কেন ভুল:
A) একটি পরিচিত দুর্বলতা যার প্যাচ উপলব্ধ: এটি জিরো-ডে'র সম্পূর্ণ বিপরীত। জিরো-ডে দুর্বলতাটিই হলো অজানা এবং এর কোনো সমাধান বা প্যাচ (patch) তখনও তৈরি হয়নি।

C) পুরানো হার্ডওয়্যারের দুর্বলতা: দুর্বলতা যেকোনো হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যারে থাকতে পারে, নতুন বা পুরানো। কিন্তু "জিরো-ডে" শব্দটি দুর্বলতার বয়সের ওপর নয়, বরং এটি নির্মাতার জ্ঞানের অভাবের ওপর নির্ভর করে।

D) ম্যালওয়্যার যা ২৪ ঘন্টা পরে সক্রিয় হয়: ম্যালওয়্যারটি কখন সক্রিয় হবে, তার সাথে জিরো-ডে দুর্বলতার সংজ্ঞার কোনো সম্পর্ক নেই।

সুতরাং, সংক্ষেপে, জিরো-ডে দুর্বলতা হলো সফটওয়্যারের এমন একটি গোপন নিরাপত্তা ছিদ্র, যা ডেভেলপাররা আবিষ্কার করার আগেই সাইবার অপরাধীরা খুঁজে বের করে এবং আক্রমণের কাজে ব্যবহার করে।
একটি নেটওয়ার্কে প্রতিটি ডিভাইসকে স্বতন্ত্রভাবে চিহ্নিত করার জন্য আইপি অ্যাড্রেস (IP Address) ব্যবহার করা হয়। এটি একটি নিউমেরিক্যাল লেবেল বা সাংখ্যিক ঠিকানা যা নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত প্রতিটি ডিভাইসকে বরাদ্দ করা হয়, যেমন কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা প্রিন্টার। যখন একটি ডিভাইস অন্য ডিভাইসে ডেটা পাঠায়, তখন এই আইপি অ্যাড্রেসটিই নির্দিষ্ট করে দেয় যে ডেটাটি নেটওয়ার্কের ঠিক কোন ডিভাইসে পৌঁছাবে।এটিকে অনেকটা আমাদের বাসার ঠিকানার মতো ভাবা যেতে পারে, যা একটি চিঠিকে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে।

অন্য অপশনগুলো কেন সঠিক নয়:
A) হোস্টনেম (Hostname): এটি একটি ডিভাইসের ব্যবহারকারী-বান্ধব নাম (যেমন, "My-PC" বা "Johns-Phone") যা মনে রাখা সহজ।কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ডিভাইসগুলো একে অপরকে শনাক্ত করার জন্য এই নামের পরিবর্তে আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে।

C) সাবনেট মাস্ক (Subnet mask): এটি একটি আইপি অ্যাড্রেসকে দুটি অংশে ভাগ করে: নেটওয়ার্ক অ্যাড্রেস এবং হোস্ট অ্যাড্রেস। এর মাধ্যমে বোঝা যায় একটি ডিভাইস কোন নেটওয়ার্কের অধীনে রয়েছে, কিন্তু এটি নির্দিষ্ট কোনো ডিভাইসকে স্বতন্ত্রভাবে চিহ্নিত করে না।

D) গেটওয়ে (Gateway): গেটওয়ে হলো একটি ডিভাইস (যেমন রাউটার) যা দুটি ভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে এবং ডেটা আদান-প্রদানের পথ হিসেবে কাজ করে। এটি নেটওয়ার্কের একটি প্রবেশদ্বার বা বহির্গমন পথ, কোনো ডিভাইসের স্বতন্ত্র পরিচয় নয়।
রুটকিট (Rootkit) হলো এক ধরনের ম্যালওয়্যার যা কোনো সিস্টেমে অননুমোদিত অ্যাক্সেস বা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং এটি নিজের ও অন্যান্য ক্ষতিকারক সফটওয়্যারের অস্তিত্ব গোপন রাখতে বিশেষভাবে পারদর্শী। একবার ইনস্টল হয়ে গেলে, এটি অপারেটিং সিস্টেমের গভীরে প্রবেশ করে এবং এমনভাবে নিজেকে লুকিয়ে রাখে যে সাধারণ অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে একে শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

অন্য অপশনগুলো কেন ভুল:
A) Trojan horse (ট্রোজান হর্স): ব্যবহারকারী যখন ওই সফটওয়্যারটি ইনস্টল করে, তখন ম্যালওয়্যারটি সিস্টেমে প্রবেশ করে ক্ষতিকর কাজ শুরু করে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো সিস্টেমে প্রবেশের পথ তৈরি করা, কিন্তু এর প্রধান বৈশিষ্ট্য লুকিয়ে থাকা নয়, বরং ছদ্মবেশ ধারণ করা।

B) Worm (ওয়ার্ম): ওয়ার্ম হলো একটি স্বতন্ত্র ম্যালওয়্যার যা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নিজে থেকেই ছড়িয়ে পড়ে। এটি কোনো ব্যবহারকারীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে নিজের অনুলিপি তৈরি করে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

D) Adware (অ্যাডওয়্যার): অ্যাডওয়্যারের মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যবহারকারীর ডিভাইসে অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন দেখানো।এটি ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করে ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন দেখাতে পারে, তবে এটি সিস্টেমের গভীরে লুকিয়ে থেকে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়নি।যদিও এটি বিরক্তিকর, তবে রুটকিটের মতো বিপজ্জনক নয়।
QR-এর পূর্ণরূপ হলো Quick Response। এর নাম থেকেই এর কার্যকারিতা বোঝা যায় - এটি যেকোনো স্মার্টফোন বা স্ক্যানিং ডিভাইসের মাধ্যমে খুব দ্রুত তথ্য প্রদান করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

- QR code হলো এক ধরনের 2D (দুই-মাত্রিক) বারকোড। সাধারণ বারকোড (1D) যেখানে শুধু উল্লম্ব রেখা ব্যবহার করে, সেখানে QR কোড বর্গাকার ম্যাট্রিক্সে তথ্য সংরক্ষণ করে, ফলে অনেক বেশি ডেটা ধারণ করতে পারে।
- এটি ১৯৯৪ সালে জাপানের Denso Wave কোম্পানি তৈরি করেছিল, যা মূলত গাড়ির যন্ত্রাংশ ট্র্যাক করার জন্য ব্যবহৃত হতো।
- এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর error correction ক্ষমতা। এর ফলে কোডের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত বা অস্পষ্ট হলেও স্ক্যানার সহজেই তথ্যটি পড়তে পারে।
- এটি যেকোনো দিক থেকে (omnidirectional) দ্রুত স্ক্যান করা যায়, যা এটিকে ব্যবহারকারী-বান্ধব করে তুলেছে।
- Gemini হলো Google-এর তৈরি একটি অত্যাধুনিক generative AI (জেনারেটিভ এআই) মডেল এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, লেখা তৈরি করা, কোনো বিষয়বস্তুর সারসংক্ষেপ করা, এবং কোড লেখার মতো জটিল কাজগুলো করতে পারে।

- এই AI অ্যাসিস্ট্যান্টটিকে Google Chrome ব্রাউজারের সাথে সরাসরি একীভূত (integrate) করা হয়েছে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা ব্রাউজিং করার সময়ই বিভিন্ন কাজে এর সাহায্য নিতে পারেন। যেমন, অ্যাড্রেস বারে "@gemini" লিখে প্রশ্ন করা অথবা কোনো ওয়েবপেজের বিষয়বস্তু সংক্ষেপে জানতে চাওয়া।

- সুতরাং, Gemini কোনো ব্রাউজার থিম, স্বতন্ত্র সার্চ ইঞ্জিন বা বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত এক্সটেনশন নয়। এটি মূলত Chrome ব্রাউজারের ভেতরে একটি বুদ্ধিমান সহকারী, যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করে।
- Analog সিগনালকে Digital সিগনালে রূপান্তরের প্রক্রিয়ার মূল ধাপ হলো Sampling 
- Modulation: ক্যারিয়ার সিগনালে তথ্য বসিয়ে ট্রান্সমিট করার প্রক্রিয়া (analog বা digital উভয়ই হতে পারে)।
- Demodulation: প্রাপ্ত সিগনাল থেকে মূল তথ্য বের করা—এটা রিসিভার-সাইডের বিপরীত প্রক্রিয়া, analog→digital কনভার্সন নয়।
- Compression: ডেটার সাইজ কমানো—রূপান্তর নয়।
- DNS (Domain Name System) এর প্রধান কাজ হলো মানুষের সহজে মনে রাখার মতো ডোমেইন নেমকে (যেমন: google.com) কম্পিউটারের ব্যবহারযোগ্য IP অ্যাড্রেসে (যেমন: 142.250.199.14) রূপান্তর করা।কম্পিউটার এবং অন্যান্য ডিভাইসগুলো ইন্টারনেটে একে অপরের সাথে যোগাযোগের জন্য সংখ্যাসূচক IP অ্যাড্রেস ব্যবহার করে। 

- অন্যান্য অপশনগুলো কেন ভুল:
* অপশন ১: ইন্টারনেট ট্রাফিক এনক্রিপ্ট করার কাজটি মূলত TLS/SSL প্রোটোকলের মাধ্যমে করা হয়, DNS-এর মাধ্যমে নয়।
* অপশন ৩: একটি নেটওয়ার্কে ডেটা প্যাকেট পাঠানোর পথ নির্ধারণ (routing) করে রাউটার (Router) এবং সুইচ (Switch)।
* অপশন ৪: ওয়েব পেজ এবং তার বিষয়বস্তু সংরক্ষণ করে ওয়েব সার্ভার (Web Server)। DNS শুধু সেই সার্ভারের ঠিকানা নির্দেশ করে।

- কিছু জনপ্রিয় পাবলিক DNS সার্ভারের ঠিকানা হলো Google (8.8.8.8) এবং Cloudflare (1.1.1.1)।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
 গ্রাফ ডেটাবেস বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে ডেটার মধ্যেকার সম্পর্ককে (relationships) ডেটার মতোই সমান গুরুত্ব দেওয়ার জন্য।যেখানে অন্যান্য ডেটাবেস মডেল ডেটা সংরক্ষণ করে এবং পরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক খোঁজার চেষ্টা করে, গ্রাফ ডেটাবেস শুরু থেকেই ডেটা এবং তাদের মধ্যকার সংযোগকে একসঙ্গেই সংরক্ষণ করে।এর মূল কারণ হলো, এই মডেলে ডেটার সত্তাগুলোকে Node (নোড) এবং তাদের মধ্যকার সংযোগ বা সম্পর্কগুলোকে Edge (এজ) হিসেবে সরাসরি সংরক্ষণ করা হয়।

 অন্যান্য অপশন গুলো কেন সঠিক নয়ঃ
* অপশন ১ (Relational): এই মডেলে জটিল সম্পর্ক প্রকাশ করার জন্য একাধিক টেবিলের মধ্যে JOIN অপারেশন ব্যবহার করতে হয়। ডেটার সংযোগ যত গভীর ও জটিল হয়, `JOIN`-এর সংখ্যা তত বাড়ে, যা কোয়েরি-কে (query) জটিল ও ধীর করে তোলে।

* অপশন ২ ও ৪ (Key-Value এবং Document-oriented):
   Key-Value স্টোরগুলো একটি নির্দিষ্ট ‘Key’ ব্যবহার করে দ্রুত ডেটা খোঁজার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, কিন্তু এটি ডেটার মধ্যেকার জটিল সম্পর্ক মডেল করার জন্য উপযুক্ত নয়।
   Document-oriented ডেটাবেস হায়ারারকিক্যাল (hierarchical) ডেটার জন্য চমৎকার, কিন্তু বিভিন্ন ডকুমেন্টের মধ্যে বহু-স্তরীয় (many-to-many) সম্পর্ক স্থাপন করা এখানে বেশ কঠিন এবং অদক্ষ হতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস: বাণিজ্য উত্তেজনার কারণে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমছে
বিশ্বব্যাংক তাদের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট’ বা ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্ভাবনা’ শীর্ষক সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাণিজ্য উত্তেজনার কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য হারে কমবে। ২০২৫ সালের ১০ জুন প্রকাশিত এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছর বিশ্ব অর্থনীতি মাত্র ২.৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে, যা তাদের আগের পূর্বাভাসের চেয়ে ০.৪ শতাংশীয় পয়েন্ট কম।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, উচ্চ শুল্ক আরোপ এবং বাণিজ্য সম্পর্কিত অনিশ্চয়তা প্রায় প্রতিটি দেশের অর্থনীতির জন্যই একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর প্রভাবে বিশ্বব্যাংকের ছয় মাস আগের পূর্বাভাসের তুলনায় বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাবে।

মূল বিষয়গুলো হলো:
- দুর্বল প্রবৃদ্ধি: ২০২৫ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে ২.৩ শতাংশে দাঁড়াবে।
- ব্যাপক প্রভাব: যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইউরোপসহ বিশ্বের প্রায় সব উদীয়মান অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি কমবে।
- মন্দার ঝুঁকি: বিশ্বব্যাংক সরাসরি মন্দার পূর্বাভাস না দিলেও বলেছে, এই প্রবৃদ্ধি ২০০৮ সালের পর মন্দা ব্যতিরেকে সবচেয়ে দুর্বল প্রবৃদ্ধি।
- দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব: আগামী ২০২৭ সাল নাগাদ বৈশ্বিক জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ২.৫ শতাংশ, যা ১৯৬০-এর দশক থেকে এখন পর্যন্ত কোনো একক দশকে সবচেয়ে ধীরগতির প্রবৃদ্ধি।
- চার্লি কার্ক ২০১২ সালে Turning Point USA (TPUSA) নামক সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি একজন আমেরিকান রক্ষণশীল (conservative) রাজনৈতিক কর্মী।
- Turning Point USA একটি অলাভজনক সংস্থা, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাই স্কুল এবং কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে রক্ষণশীল মতাদর্শ প্রচার এবং ছাত্র সংগঠন তৈরিতে কাজ করে।
- অন্য অপশনগুলোতে উল্লিখিত সংস্থাগুলো, যেমন Young Americans for Liberty এবং Students for a Democratic Society, ভিন্ন ভিন্ন সংগঠন এবং এগুলো চার্লি কার্ক দ্বারা প্রতিষ্ঠিত নয়।
কপ (COP) সম্মেলন:
-পূর্ণ নাম: Conference of the Parties.
-বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নীতি ও পদক্ষেপ নির্ধারণ।
- জলবায়ু পরিবর্তন রোধ, কার্বন নির্গমন হ্রাস এবং অভিযোজন কৌশল নির্ধারণ।
-প্রথম COP সম্মেলন: ১৯৫৫ সালে বার্লিন, জার্মানি।

সাম্প্রতিক এবং ভবিষ্যৎ সম্মেলনগুলোর ক্রম:
"COP28:
২০২৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 COP29: ২০২৪ সালে আজারবাইজানের বাকু শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 COP30: ২০২৫ সালে ব্রাজিলের বেলেম শহরে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য নির্ধারিত হয়েছে।"

এই ক্রম অনুযায়ী, ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনটি হলো COP30
দীর্ঘমেয়াদী বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2)-কে প্রাথমিক গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর প্রধান কারণগুলো হলো:

* পরিমাণ এবং স্থায়িত্ব: বায়ুমণ্ডলে অন্যান্য প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর তুলনায় মানুষের কর্মকাণ্ডের ফলে নির্গত CO2-এর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, CO2 বায়ুমণ্ডলে দশক থেকে শতাব্দী পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। এর এই দীর্ঘস্থায়িত্বের কারণে সময়ের সাথে সাথে এর উষ্ণায়ন প্রভাব জমা হতে থাকে, যা দীর্ঘমেয়াদী জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণ।

* অন্যান্য গ্যাসের সাথে তুলনা: যদিও মিথেন (CH4) এবং নাইট্রাস অক্সাইড (N2O) অণুপ্রতি CO2-এর চেয়ে বেশি তাপ ধরে রাখতে সক্ষম, বায়ুমণ্ডলে এদের ঘনত্ব অনেক কম। বিশেষ করে মিথেনের আয়ু তুলনামূলকভাবে কম (প্রায় ১২ বছর), তাই এটি স্বল্পমেয়াদী উষ্ণায়নে বেশি প্রভাব ফেলে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবের ক্ষেত্রে CO2-এর ভূমিকা সর্বাধিক।

* মানুষের কর্মকাণ্ডের প্রভাব: শিল্পবিপ্লবের পর থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি (কয়লা, তেল, গ্যাস) পোড়ানো, বনভূমি ধ্বংস এবং বিভিন্ন শিল্পকারখানার কারণে বায়ুমণ্ডলে CO2-এর ঘনত্ব ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ব্যাপক এবং ধারাবাহিক নির্গমনই এটিকে দীর্ঘমেয়াদী উষ্ণায়নের প্রধান চালক করে তুলেছে।

সুতরাং, বায়ুমণ্ডলে অত্যধিক ঘনত্ব, দীর্ঘস্থায়িত্ব এবং মানুষের কর্মকাণ্ডের ফলে বিপুল পরিমাণে নির্গমন—এই তিনটি কারণ সম্মিলিতভাবে CO2-কে দীর্ঘমেয়াদী বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য প্রধান দায়ী গ্রিনহাউস গ্যাসে পরিণত করেছে।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা নদীর জল-বন্টন বিতর্কের মূল কারণ হলো শুষ্ক মৌসুমে নদীর জলের ন্যায্য ভাগাভাগি।

তিস্তা নদী হিমালয় থেকে উৎপন্ন হয়ে ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বর্ষাকালে এই নদীতে জলের প্রবাহ প্রচুর থাকলেও, শুষ্ক মৌসুমে (সাধারণত ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত) জলের পরিমাণ মারাত্মকভাবে কমে যায়।

এই সময়ে ভারত তার গজলডোবা বাঁধের মাধ্যমে সেচ ও অন্যান্য প্রয়োজনে নদীর বেশিরভাগ জল পশ্চিমবঙ্গের দিকে প্রবাহিত করে। ফলে, ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পর্যাপ্ত জল পায় না। এই জলস্বল্পতার কারণে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের কৃষি, সেচ ব্যবস্থা এবং মানুষের জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোন দেশ কতটুকু জল পাবে, এই ভাগাভাগি নিয়েই দুই দেশের মধ্যে বিরোধ চলছে। বিভিন্ন সময়ে চুক্তি করার চেষ্টা করা হলেও, জলের পরিমাণ নিয়ে একমত হতে না পারায় আজ পর্যন্ত কোনো স্থায়ী সমাধান হয়নি।


- সাঁওতালদের বাসস্থান মূলত রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর ও বগুড়া জেলায়।
- সাঁওতালরা অস্ট্রিক ভাষাভাষী আদি-অস্ট্রেলীয় (প্রোটো-অস্ট্রালয়েড) জনগোষ্ঠীর বংশধর।
- তাদের বছর শুরু হয় ফাল্গুন মাসে।
- সাঁওতালদের প্রধান উৎসব সোহরাই।
- সাওতালদের সমাজ হলো পিতৃতান্ত্রিক।
- সাঁওতালদের প্রধান উপাস্য সূর্য।
- সাঁওতাল সমাজ প্রধানত কৃষিনির্ভর।
- সাঁওতালি ভাষা অস্ট্রিক ভাষার পরিবারভুক্ত।
- সাঁওতাল গ্রামগুলো দিশাম নামে পরিচিত।
আর্কটিক (The Arctic) অঞ্চলটি বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে তার চেয়েও বেশি দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে। এই ঘটনাটিকে Arctic Amplification বলা হয়। এর প্রধান কারণগুলো নিচে পয়েন্ট আকারে উল্লেখ করা হলো:

- আলবেডো প্রভাব (Albedo Effect): বরফ এবং তুষার সাদা হওয়ায় সূর্যের বেশিরভাগ আলো মহাকাশে প্রতিফলিত করে পৃথিবীকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু উষ্ণায়নের ফলে যখন এই বরফ গলে যায়, তখন নিচে থাকা সমুদ্র বা মাটি উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। এই  পৃষ্ঠ সূর্যের আলো অনেক বেশি শোষণ করে, ফলে তাপমাত্রা আরও দ্রুত বাড়তে থাকে। এটি একটি চক্রের মতো কাজ করে, যেখানে উষ্ণতা বরফ গলাকে ত্বরান্বিত করে এবং বরফ গলার ফলে উষ্ণতা আরও বাড়ে।

- পাতলা সামুদ্রিক বরফ: আর্কটিকের সামুদ্রিক বরফ এখন আগের চেয়ে অনেক পাতলা এবং গ্রীষ্মকালে গলে যাওয়ার পর শীতে পুনরায় জমতে বেশি সময় নিচ্ছে। শীতকালে বায়ুমণ্ডলের চেয়ে সমুদ্রের জল তুলনামূলকভাবে উষ্ণ থাকে। পাতলা বরফ বা উন্মুক্ত জল সেই উষ্ণতা সহজে বায়ুমণ্ডলে ছেড়ে দেয়, যা বিশেষ করে শীতকালে সেখানকার বাতাসকে অতিরিক্ত উষ্ণ করে তোলে।

- তাপের পরিবহন: উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চল থেকে বায়ুপ্রবাহ এবং সমুদ্রস্রোত আগের চেয়ে বেশি পরিমাণে উষ্ণতা আর্কটিক অঞ্চলে বয়ে নিয়ে আসছে, যা সেখানকার তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

- ব্ল্যাক কার্বন (Black Carbon) দূষণ: শিল্প এবং যানবাহন থেকে নির্গত কালি বা ঝুল (soot) কণা বাতাসে ভেসে আর্কটিকের বরফ ও তুষারের উপর জমা হয়। এই কালো কণাগুলো বরফের পৃষ্ঠকে গাঢ় করে দেয়, যার ফলে বরফ আরও বেশি সূর্যরশ্মি শোষণ করে এবং দ্রুত গলতে শুরু করে।

এই সম্মিলিত কারণগুলোর প্রভাবে আর্কটিকের বরফ দ্রুত গলছে, permafrost (চিরহিমায়িত অঞ্চল) গলে যাচ্ছে এবং গ্রিনল্যান্ডের বরফের চাঁদর অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে, যা বিশ্বজুড়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং আবহাওয়ার ধরনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে।
বায়ুমণ্ডলের যে স্তরে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি, সেটি হলো Troposphere। এর কারণগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:

- অবস্থান ও ঘনত্ব: Troposphere হলো বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর, যা ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। বায়ুমণ্ডলের মোট ভরের প্রায় ৭৫-৮০% এই স্তরেই বিদ্যমান, ফলে এটি সবচেয়ে ঘন স্তর।

- গ্রিনহাউস গ্যাসের উৎস: অধিকাংশ greenhouse gases, যেমন - জলীয় বাষ্প (water vapor), কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2), মিথেন (CH4) এবং নাইট্রাস অক্সাইড (N2O) ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি উৎস (যেমন - শিল্প, যানবাহন, কৃষিকাজ) থেকে নির্গত হয়। ফলে গ্যাসগুলো সরাসরি এই স্তরেই জমা হয়।

- আবহাওয়ার প্রভাব: মেঘ, বৃষ্টি, ঝড় ও বায়ুপ্রবাহের মতো সমস্ত আবহাওয়ার ঘটনা এই স্তরেই ঘটে। বায়ু পরিচলন (convection) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো সমগ্র Troposphere জুড়ে মিশে যায় এবং ঘনীভূত থাকে।

- গ্রিনহাউস প্রভাব (Greenhouse Effect): এই স্তরে থাকা গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো পৃথিবী থেকে নির্গত দীর্ঘ তরঙ্গের ইনফ্রারেড রশ্মি (longwave infrared radiation) শোষণ করে এবং পুনরায় বিকিরণ করে। এর ফলে ভূপৃষ্ঠ ও নিম্ন বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত থাকে, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রধান কারণ।

অন্যান্য স্তরগুলোতে (Stratosphere, Mesosphere, Thermosphere) বায়ুর ঘনত্ব অনেক কম এবং গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণও নগণ্য, তাই বৈশ্বিক উষ্ণায়নে তাদের ভূমিকা খুব সামান্য।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
সংযুক্ত আরব আমিরাত (United Arab Emirates) বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে একটি AI-powered, document-free immigration corridor চালু করেছে। এই অত্যাধুনিক ব্যবস্থাটি মূলত দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Dubai International Airport) 'Smart Tunnel' নামে পরিচিত।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (ICJ) এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC)-এর মধ্যে মূল পার্থক্য হলো তাদের বিচারিক এখতিয়ার (jurisdiction) এবং তারা কাদের বিচার করতে পারে, তার উপর ভিত্তি করে।

International Court of Justice (ICJ): এটি জাতিসংঘের প্রধান বিচারিক অঙ্গ। এর মূল কাজ হলো রাষ্ট্রগুলোর মধ্যেকার আইনি বিরোধ নিষ্পত্তি করা। যেমন, দুটি দেশের মধ্যে সীমানা বা চুক্তি সংক্রান্ত বিরোধ। ICJ-তে কোনো ব্যক্তিকে সরাসরি অভিযুক্ত করা যায় না, এখানে মামলার পক্ষ হতে পারে কেবল রাষ্ট্র।

International Criminal Court (ICC): এটি একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক আদালত, যা রোম সংবিধি (Rome Statute) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। এর প্রধান কাজ হলো আন্তর্জাতিকভাবে গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার করা। এই অপরাধগুলোর মধ্যে রয়েছে গণহত্যা (genocide), যুদ্ধাপরাধ (war crimes), এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ (crimes against humanity)। ICC কোনো রাষ্ট্রের বিচার করে না, বরং রাষ্ট্রের নাগরিক বা নেতাদের ব্যক্তিগত অপরাধের বিচার করে।
- সংবিধান আইন ২০১১ (পঞ্চদশ সংশোধনী) পাস হয় ২০১১ সালের ৩০শে জুন এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন হয় ২০১১সালের ৩রা জুলাই।
- এই সংশোধনী দ্বারা সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয় এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়।
- এই সংশোধনীর মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতিও দেওয়া হয়।
- এই সংশোধনীর দ্বারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়,
- জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা বিদ্যমান ৪৫-এর স্থলে ৫০ করা হয়।
- সংবিধানে ৭ অনুচ্ছেদের পরে ৭ (ক) ও ৭ (খ) অনুচ্ছেদ সংযোজন করে সংবিধান বহির্ভূত পন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ করা হয়।
তাৎক্ষণিক কারণ (Trigger): নেপালে Gen Z (তরুণ প্রজন্ম) দ্বারা পরিচালিত বিক্ষোভের প্রধান এবং তাৎক্ষণিক কারণ ছিল সেপ্টেম্বর 2025-এ সরকারের পক্ষ থেকে আকস্মিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা। এটি কোনো প্রস্তাব বা আইন ছিল না, বরং একটি কার্যকরী পদক্ষেপ ছিল।

Gen Z-এর উপর প্রভাব: Gen Z তাদের দৈনন্দিন যোগাযোগ, তথ্য আদান-প্রদান, মতামত প্রকাশ এবং সামাজিক-রাজনৈতিক কার্যক্রম সংগঠিত করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল। সরকারের এই নিষেধাজ্ঞার ফলে তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং তথ্য পাওয়ার অধিকার সরাসরি বাধাগ্রস্ত হয়, যা তাদের দ্রুত প্রতিবাদ করতে উৎসাহিত করে।


- পরিবেশ দুর্যোগ মোকাবিলায় গঠিত তহবিলের নাম সবুজ জলবায়ু তহ‌বিল (GCF) ।
- এটি জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (UNFCCC) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয় যাতে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে তাদের গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করে।
- এর সদরদপ্তর সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া ।
- এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১০ সালে কপ-১৬ সম্মেলনে।
- জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য সবুজ জলবায়ু তহ‌বিল (GCF) তৈরি করা হয়েছিল।
- এর আকার ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
- বাংলাদেশ ২০২০ সালে গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ড হতে ২৫৬.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লাভ করে ।
Economic recovery বিভিন্ন কারণে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এখানে উল্লিখিত কারণগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সঠিক হলো Weak governance, inflation and global shocks

এই তিনটি বিষয় যেভাবে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে বাধাগ্রস্ত করে:

* Weak governance (দুর্বল শাসন): যখন কোনো দেশের শাসনব্যবস্থা দুর্বল হয়, তখন দুর্নীতি, নীতির অনিশ্চয়তা এবং আইনের শাসনের অভাব দেখা দেয়। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারায়, দেশীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায় এবং সরকারের গৃহীত অর্থনৈতিক পরিকল্পনাগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয় না। ফলে পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া ধীর হয়ে পড়ে।

* Inflation (উচ্চ মূল্যস্ফীতি): উচ্চ মূল্যস্ফীতি জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, যার ফলে ভোগ (consumption) হ্রাস পায়। একই সাথে, এটি ব্যবসার উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দেয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন সুদের হার (interest rate) বৃদ্ধি করে, তখন ঋণ গ্রহণ ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে, যা বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করে। এই দুটি কারণেই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সংকুচিত হয়।

* Global shocks (বৈশ্বিক অভিঘাত): বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ, মহামারি, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি বা উন্নত দেশগুলোতে অর্থনৈতিক মন্দার মতো ঘটনাগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। এর ফলে রপ্তানি আয় কমে যায়, আমদানি ব্যয় বেড়ে যায় এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে।



বাংলাদেশের সরকারি ব্যয়ের কাঠামো বা Public Expenditure Framework মূলত তিনটি প্রধান খাতকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হয়: infrastructure (অবকাঠামো), health (স্বাস্থ্য) এবং education (শিক্ষা)

এর কারণগুলো হলো:

* অবকাঠামো উন্নয়ন (Infrastructure Development): দেশের দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা, যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের জন্য সরকার রাস্তা, সেতু, বিদ্যুৎকেন্দ্র, বন্দর এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মতো বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব আরোপ করে। দেশের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (Annual Development Programme - ADP) সিংহভাগ বরাদ্দ এই খাতেই ব্যয় হয়।

* মানবসম্পদ উন্নয়ন (Human Capital Development): শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে মানবসম্পদ উন্নয়নের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একটি শিক্ষিত ও সুস্থ জাতি দেশের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (Sustainable Development Goals - SDGs) অর্জনের জন্য দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করতে সরকার এই দুটি খাতে ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ করে।



- ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে 'Operation Searchlight' নামক এক নৃশংস সামরিক অভিযান শুরু করে। এর ফলে সেখানে এক ভয়াবহ গণহত্যা ও মানবিক বিপর্যয় নেমে আসে।

- এই নির্মমতার কারণে প্রায় এক কোটি মানুষ শরণার্থী হিসেবে প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নেয়, যা বিংশ শতাব্দীর অন্যতম বৃহৎ শরণার্থী সংকট তৈরি করে।

- মার্কিন সেনেটর Edward Kennedy ১৯৭১ সালের আগস্ট মাসে ভারতের বিভিন্ন শরণার্থী শিবির সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। শরণার্থীদের অবর্ণনীয় দুর্দশা দেখে তিনি গভীরভাবে মর্মাহত হন এবং এই সংকটকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে "the greatest human disaster in modern times" হিসেবে বর্ণনা করেন। তার এই উক্তিটি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।



"Tin Netar Mazar" কথাটির অর্থ হলো "তিন নেতার সমাধি"। ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে অবস্থিত এই স্থাপত্যে বাংলার তিনজন বরেণ্য রাজনৈতিক নেতাকে সমাহিত করা হয়েছে।
- এই তিনজন নেতা হলেন:
  A. K. Fazlul Huq (শেরে বাংলা)
  Huseyn Shaheed Suhrawardy
  Khwaja Nazimuddin

- একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো, এই তিনজন নেতাই বিভিন্ন সময়ে অবিভক্ত বাংলা অথবা পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁদের এই রাজনৈতিক সাদৃশ্যের জন্যই তাঁদেরকে একই স্থানে সমাধিস্থ করা হয়েছে।

- প্রশ্নে উল্লিখিত চতুর্থ নেতা, Abdul Hamid Khan Bhashani (মওলানা ভাসানী), এখানে সমাহিত নন। তাঁর সমাধি টাঙ্গাইল জেলার সন্তোষে অবস্থিত।


- ২০২৫ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর পাকিস্তান এবং সৌদি আরব একটি ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার নাম 'স্ট্র্যাটেজিক মিউচুয়াল ডিফেন্স এগ্রিমেন্ট' (Strategic Mutual Defense Agreement - SMDA)।
- এই চুক্তি অনুযায়ী, যেকোনো একটি দেশের উপর আগ্রাসন উভয় দেশের উপর আক্রমণ হিসেবে গণ্য হবে।
- রিয়াদের আল-ইয়ামামা প্রাসাদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ।



ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
বিশ্বজুড়ে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থাগুলো তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য Propaganda (প্রচারণা) এবং Censorship (সেন্সরশিপ বা সংবাদ-নিয়ন্ত্রণ) - এই দুটি পদ্ধতিকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করত। এর কারণগুলো নিচে পয়েন্ট আকারে আলোচনা করা হলো:

- Propaganda-এর ব্যবহার: ফ্যাসিবাদী শাসকরা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম, যেমন—সংবাদপত্র, রেডিও এবং চলচ্চিত্রকে ব্যবহার করে নিজেদের মতাদর্শ জনগণের উপর চাপিয়ে দিত। এর মাধ্যমে তারা একটি শক্তিশালী 'নেতার ভাবমূর্তি' (cult of personality) তৈরি করত এবং জাতীয়তাবাদকে উস্কে দিত। প্রায়শই একটি অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক 'শত্রু' তৈরি করে জনগণের মনোযোগ মূল সমস্যা থেকে সরিয়ে দেওয়া হতো এবং জাতীয় ঐক্যের নামে একনায়কতন্ত্রকে বৈধতা দেওয়া হতো।

- Censorship-এর প্রয়োগ: সরকারের যেকোনো সমালোচনা বা বিরোধী মতামতকে কঠোরভাবে দমন করার জন্য সেন্সরশিপ ব্যবহার করা হতো। স্বাধীন সংবাদপত্র, ভিন্নমতের বই এবং শিল্পকর্ম নিষিদ্ধ করা হতো। এর ফলে, জনগণ সরকারের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেত না এবং কোনো বিকল্প চিন্তাধারার সাথে পরিচিত হতে পারত না।


সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0