পরিচলন বৃষ্টিঃ দিনের বেলায় সূর্যের কিরণে পানি বাষ্পে পরিণত হয়ে সোজা উপরে উঠে যায় এবং শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে ঐ জলীয়বাষ্প প্রথমে মেঘ ও পরে বৃষ্টিতে পরিণত হয়ে সোজাসুজি নিচে নেমে আসে। এরূপ বৃষ্টিপাতকে পরিচলন বৃষ্টি বলে। নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছর প্রতিদিনই বিকেল অথবা সন্ধ্যার সময় পরিচলন বৃষ্টি হয়। নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে গ্রীষ্মকালের শুরুতে পরিচলন বৃষ্টি হয়। এছাড়া আফ্রিকার কঙ্গো নদীর অববাহিকা, দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদীর অববাহিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া অঞ্চলে প্রায় প্রত্যহ পরিচলন প্রক্রিয়ায় বৃষ্টিপাত হয়।
শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাতঃ জলীয় বাষ্প পূর্ন আর্দ্র বায়ু কোন উঁচু পর্বতে বাঁধা পেয়ে পর্বতের গাঁ বেয়ে ওপরে উঠে ওপরের শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে ঘনীভূত পর্বতের প্রতিবাত ঢালে যে বৃষ্টিপাত ঘটায় তাকে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত বলে। এই ধরণের বৃষ্টিপাত সৃষ্টিতে শৈল অর্থাৎ পর্বত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে বলে।
ঘূর্ণি বৃষ্টিঃ শীতল বায়ু ভারী বলে উষ্ণ বায়ু শীতল বায়ুর উপর ধীরে ধীরে উঠতে থাকে। জলভাগের উপর থেকে আসা উষ্ণ বায়ুতে প্রচুর জলীয়বাষ্প থাকে। ঐ বায়ু শীতল বায়ুর উপরে উঠলে তার ভিতরে জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়। এরূপ বৃষ্টিপাতকে ঘূর্ণি বৃষ্টি বলে।
সংঘর্ষ বৃষ্টিপাত : শীতল ও উষ্ণ বায়ুপুঞ্জ যখন মুখোমুখি হয় তখন শীতল বায়ুর সংস্পর্শে উষ্ণ বায়ুর তাপমাত্রা হ্রাস পায় এবং শিশিরাকে পৌঁছায়। আরও ঘনীভূত হয়ে বায়ুপুঞ্জের সংযোগস্থলে বৃষ্টিপাত ঘটায়। এই প্রকার বৃষ্টি নাতিশীতোষ্ণ বৃষ্টিপাত নামে পরিচিত।