|
|
বাংলাদেশের জলাবায়ুকে ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু বলা হয় ।এখানে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বায়ুর দিক পরিবর্তন হয় ।গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশের বায়ু দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর দিকে প্রবাহিত হয় ।আর শীতকালে বায়ু উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয় ।
|
|
| |
|
|
|
- সুনামি (Tsunami) জাপানি শব্দ, যার অর্থ পোতাশ্রয়ের ঢেউ। - সমুদ্রতল বা তীরবর্তী মাটির গভীরে ভূমিকম্প অথবা টেকটনিক প্লেটের আকস্মিক উত্থানপতন ও সমুদ্র তলদেশের আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সমুদ্রের পানিতে কম্পনের তৈরি হয়, ফলে সেখানে বিশাল আকারে ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। সেই ঢেউয়ের ফলে পানি আরো ফুলে উঠে যখন প্রবল বেগে ধাবিত হতে থাকে তখন সেটাকে সুনামি বলা হয়।
|
|
| |
|
|
|
- বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে জলবায়ুর যে মারাত্মক পরিবর্তন দেখা দিয়েছে তার প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বাংলাদেশ। নিচে এ সম্পর্কিত তথ্যবহুল কয়েকটি উদাহরণ উল্লেখ করা হলো- - বিশ্বব্যাংক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০০৯ সালে ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ দিক (যেমন- মরুকরণ, বন্যা, ঝড়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং কৃষিক্ষেত্রে অধিকতর অনিশ্চয়তা) চিহ্নিত করেছে এবং এ ৫টি ভাগের একটিতে শীর্ষ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানসহ ৩টিতে বাংলাদেশের নাম রয়েছে।
- অন্যদিকে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয় ভূমিকম্প। - ভূমিকম্প: পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগ কোনো কারণে কেঁপে ওঠাকে সাধারণভাবে ভূমিকম্প বলে। - মূলত ভূ-অভ্যন্তরে কোনো কারণে (তাপ ও চাপের তারতম্যজনিত) দ্রুত বিপুল শক্তি মুক্ত হওয়ায় ভূপৃষ্ঠে যে প্রবল ঝাঁকুনি বা কম্পনের সৃষ্টি হয়, তাকে ভূমিকম্প বলে। [উৎস: বিশ্বব্যাংক]
|
|
| |
|
|
|
বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (Flood Control Measures) দুইভাবে নেওয়া যায়ঃ
(I)সাধারণ ব্যবস্থাপনা (General management): ১) সহজে স্থানান্তরযোগ্য ২) নদীর দুই তীরে ঘন জঙ্গল সৃষ্টি করা। ৩) নদী-শাসন ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা। ৪) বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন।
(II)শ্রমসাধ্য ও ব্যয়বহুল প্রকৌশল ব্যবস্থাপনা (Labour intensive and expensive engineering management): ১) ড্রেজারের মাধ্যমে নদীর পানির পরিবহন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। ২) সন্নিহিত স্থানে জলাধার নির্মাণের মাধ্যমে পানি প্রবাহকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করা। ৩) নদী তীরকে উপকূলবর্তী এলাকার পানির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।
|
|
| |
|
|
|
- ভূমিকম্প একটি ভূতাত্ত্বিক ঘটনা যা ভূমির কম্পনের কারণে হয়। এটি কৃষিক্ষেত্রকে ক্ষতি করতে পারে, তবে এটি একটি কৃষি-আবহাওয়াজনিত আপদ নয়। - ভূমিধস হল ভূমিপৃষ্ঠের ঢালু অংশ থেকে মাটি, পাথর এবং অন্যান্য উপাদানের স্থানচ্যুতি। এটি কৃষিক্ষেত্রকে ক্ষতি করতে পারে, তবে এটিও একটি কৃষি-আবহাওয়াজনিত আপদ নয়। - সুনামি হল সমুদ্রের বিশাল তরঙ্গ যা ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি অথবা গভীর সমুদ্রের ভূমিধসের কারণে তৈরি হয়। এটি উপকূলীয় কৃষি এলাকাকে ক্ষতি করতে পারে, তবে এটিও একটি কৃষি-আবহাওয়াজনিত আপদ নয়।
- খরা হল দীর্ঘ সময় ধরে অস্বাভাবিকভাবে কম বৃষ্টিপাতের অবস্থা। এটি কৃষিক্ষেত্রকে ব্যাপকভাবে ক্ষতি করতে পারে এবং ফসলের উৎপাদন হ্রাস করতে পারে।
অন্যান্য কৃষি-আবহাওয়াজনিত আপদগুলো হলো: - বন্যা, - আম্পান, - তুষারপাত, - শীতলপ্রবাহ, - গ্রীষ্মপ্রবাহ ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
চন্দ্র এবং সূর্য ভূপৃষ্ঠের জল ও স্থলকে অবিরাম আকর্ষণ করছে।চন্দ্র ওসূর্যের আকর্ষণ এবং পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভূপৃষ্টের পানি প্রত্যহ নিয়মিত স্থানবিশেষে ফুলে ওঠে এবং অন্যত্র নেমে যায়। পানির এই ফুলে ওঠা বা স্ফীতিকে জোয়ার (High tide) এবং নেমে যাওয়াকে ভাটা(Low tide)বলে। জোয়ার -ভাটার প্রধান কারণ পৃথিবীর উপর চন্দ্রের আকর্ষণ । দূরত্বের কারণে সূর্যের চেয়ে জোয়ার ভাটার উপর চাঁদের আকর্ষণ বেশি ।হিসেব করে দেখা গেছে যে জোয়ার উৎপাদনে সূর্যের ক্ষমতা চন্দ্রের ৪÷৯ ভাগ।
|
|
| |
|
|
|
- বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা (Bangladesh Climate Change Strategy and Action Plan - BCCSAP) চালু হয় ২০০৯ সালে। - এটি বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় একটি দীর্ঘমেয়াদি কৌশল এবং কর্মপরিকল্পনা। - BCCSAP বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি এবং এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে।
BCCSAP-এর মূল লক্ষ্য হলো:
- জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবিলা করা। - অভিযোজন (Adaptation) এবং প্রশমন (Mitigation) কৌশল গ্রহণ করা। - উপকূলীয় সুরক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, এবং টেকসই কৃষি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। - পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
এই কর্মপরিকল্পনা ৬টি মূল থিমের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যেমন: - খাদ্য নিরাপত্তা, পানি ও স্বাস্থ্য। - দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা। - অবকাঠামো উন্নয়ন। - গবেষণা ও জ্ঞান ব্যবস্থাপনা। - প্রশমন ও নিম্ন-কার্বন উন্নয়ন। - সক্ষমতা বৃদ্ধি।
|
|
| |
|
|
|
- জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করার জন্য প্রধান দুইটি কৌশল অবলম্বন করা হয়। যথা - ১। মিটিগেশন (Mitigation) ২। অভিযোজন কৌশল (Adaptation Strategy)
- মিটিগেশন (Mitigation) সংজ্ঞা: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণগুলোকে কমিয়ে আনা বা দূর করা। উদ্দেশ্য: বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ কমিয়ে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের হার কমানো। প্রধান কৌশল: জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো: কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তি (সৌর, বায়ু, জলবিদ্যুৎ) ব্যবহার বাড়ানো। বনায়ন ও বনাঞ্চল সংরক্ষণ: বন গাছ গ্রিনহাউস গ্যাস শোষণ করে। তাই বনায়ন ও বনাঞ্চল সংরক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার: শিল্প কারখানায় পরিবেশ দূষণ কমাতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা। পরিবহনে পরিবর্তন: ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমিয়ে গণপরিবহন ব্যবহার বাড়ানো, ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহার বাড়ানো। উদাহরণ: সৌর প্যানেল ইনস্টল করা, বাইক চালানো, কাগজের ব্যবহার কমানো।
অভিযোজন (Adaptation Strategy) সংজ্ঞা: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নিজেকে মানিয়ে নেওয়া। উদ্দেশ্য: জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া এবং এর সুযোগগুলো কাজে লাগানো। প্রধান কৌশল: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ। কৃষি পদ্ধতি পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নতুন ফসল চাষ করা, জল সংরক্ষণ করা। পরিকাঠামো উন্নয়ন: সমুদ্রপৃষ্ঠ বৃদ্ধির জন্য বাঁধ নির্মাণ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সহনশীল ভবন নির্মাণ। উদাহরণ: উঁচু জায়গায় বাড়ি নির্মাণ, বন্যা প্রতিরোধী ফসল চাষ, জল সংরক্ষণের জন্য পুকুর খনন।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- বাংলাদেশে খরা সবচেয়ে বেশি হয় উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে, যা রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, দিনাজপুর, বগুড়া, এবং কুষ্টিয়া জেলার মতো এলাকাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে। - এই অঞ্চলটি খরাপ্রবণ হওয়ার প্রধান কারণ হলো শুষ্ক আবহাওয়া, অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত, এবং অল্পসংখ্যক নদী। - এই অঞ্চলে দীর্ঘ সময় ধরে শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করে। শীতকালে এবং গ্রীষ্মকালে মাটির আর্দ্রতা দ্রুত হারিয়ে যায়, যা ফসল উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করে। - উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে নদীর সংখ্যা কম এবং বিদ্যমান নদীগুলোর পানিপ্রবাহও কম। ফলে সেচের জন্য প্রয়োজনীয় পানি পাওয়া যায় না। - এই অঞ্চলে তাপমাত্রা বেশি থাকায় বাষ্পীভবনের হারও বেশি। ফলে মাটির আর্দ্রতা দ্রুত শুকিয়ে যায় এবং খরার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
|
|
| |
|
|
|
- বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ের সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা হলো ভোলা। - এর কারণ ভোলার ভৌগোলিক অবস্থান এবং উপকূলীয় অঞ্চলে এর অবস্থান। - ভোলা জেলা বঙ্গোপসাগরের খুব কাছাকাছি এবং এটি মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত। - ফলে ঘূর্ণিঝড়ের সময় এই অঞ্চলটি সরাসরি জলোচ্ছ্বাস এবং প্রবল বাতাসের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। - ঘূর্ণিঝড়ের সময় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়, যা ভোলার নিম্নাঞ্চলগুলোকে প্লাবিত করে। - ১৯৭০ সালের "ভোলা ঘূর্ণিঝড়" এর সময় প্রায় ৫ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়, যা ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
|
|
| |
|
|
|
- শীতকালে ঘূর্ণিবৃষ্টি প্রধানত মধ্য ইউরোপের বৈশিষ্ট্য।
ঘূর্ণিবৃষ্টির কারণ: - শীতকালে মধ্য ইউরোপে শীতল বায়ু এবং উষ্ণ বায়ুর সংঘর্ষের ফলে ঘূর্ণিবৃষ্টির সৃষ্টি হয়। - এই অঞ্চলে নিম্নচাপের কারণেও ঘূর্ণিবৃষ্টি হতে পারে। - এছাড়াও, শীতকালে ইউরোপের উপর দিয়ে যে ঝড়গুলি বয়ে যায়, সেগুলিও ঘূর্ণিবৃষ্টির অন্যতম কারণ।
ঘূর্ণিবৃষ্টির বৈশিষ্ট্য: - এটি সাধারণত স্বল্পস্থায়ী হয়। - এর সাথে প্রায়ই বজ্রপাত এবং শিলাবৃষ্টি দেখা যায়। - এই বৃষ্টিতে ঝড়ের প্রকোপ দেখা যায়।
|
|
| |
|
|
|
- জাতিসংঘের এক গবেষণা অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রায় ৩ ফুট বাড়তে পারে। এই উচ্চতা বৃদ্ধি বাংলাদেশের জন্য এক বিশাল হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। - সমুদ্রপৃষ্ঠ বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের প্রায় ১৭% উপকূলীয় ভূমি পানির নিচে চলে যেতে পারে। এর ফলে কৃষি জমি, বসতি এলাকা এবং অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হবে। - সমুদ্রপৃষ্ঠ বৃদ্ধি এবং অন্যান্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র যেতে হতে পারে।
|
|
| |
|
|
|
আবহাওয়া ও জলবায়ুর নিয়ামক:
১.১ অক্ষাংশ
১.২ উচ্চতা
১.৩ সমুদ্র থেকে দূরত্ব
১.৪ বায়ুপ্রবাহের দিক
১.৫ বৃষ্টিপাত
১.৬ সমুদ্রস্রোত
১.৭ পর্বতের অবস্থান
১.৮ বনভূমি
১.৯ ভূমির ঢাল
১.১০ মাটির বিশেষত্ব
|
|
| |
|
|
|
- জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করার জন্য প্রধান দুইটি কৌশল অবলম্বন করা হয়। যথা - ১। মিটিগেশন (Mitigation) ২। অভিযোজন কৌশল (Adaptation Strategy)
- মিটিগেশন (Mitigation) সংজ্ঞা: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণগুলোকে কমিয়ে আনা বা দূর করা। উদ্দেশ্য: বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ কমিয়ে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের হার কমানো। প্রধান কৌশল: জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো: কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তি (সৌর, বায়ু, জলবিদ্যুৎ) ব্যবহার বাড়ানো। বনায়ন ও বনাঞ্চল সংরক্ষণ: বন গাছ গ্রিনহাউস গ্যাস শোষণ করে। তাই বনায়ন ও বনাঞ্চল সংরক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার: শিল্প কারখানায় পরিবেশ দূষণ কমাতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা। পরিবহনে পরিবর্তন: ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমিয়ে গণপরিবহন ব্যবহার বাড়ানো, ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহার বাড়ানো। উদাহরণ: সৌর প্যানেল ইনস্টল করা, বাইক চালানো, কাগজের ব্যবহার কমানো।
অভিযোজন (Adaptation Strategy) সংজ্ঞা: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নিজেকে মানিয়ে নেওয়া। উদ্দেশ্য: জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া এবং এর সুযোগগুলো কাজে লাগানো। প্রধান কৌশল: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ। কৃষি পদ্ধতি পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নতুন ফসল চাষ করা, জল সংরক্ষণ করা। পরিকাঠামো উন্নয়ন: সমুদ্রপৃষ্ঠ বৃদ্ধির জন্য বাঁধ নির্মাণ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সহনশীল ভবন নির্মাণ। উদাহরণ: উঁচু জায়গায় বাড়ি নির্মাণ, বন্যা প্রতিরোধী ফসল চাষ, জল সংরক্ষণের জন্য পুকুর খনন।
|
|
| |
|
|
|
- বাংলাদেশের জলবায়ু মূলত ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু। অর্থাৎ, এখানে গ্রীষ্মকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এবং শীতকালে তুলনামূলকভাবে শুষ্ক থাকে। - এই ধরনের জলবায়ু মূলত মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সৃষ্টি হয়। - বাংলাদেশের প্রায় মাঝখান দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করে। এই অবস্থানের কারণে দেশটি সূর্যের তাপ সরাসরি গ্রহণ করে এবং উষ্ণতা বজায় থাকে। - মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে দেশে বর্ষা ও শীতকাল একে একে আসে। গ্রীষ্মকালে বাষ্পীভূত জল বাষ্প বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়। - নদী, ব-দ্বীপ, সমুদ্রের উপস্থিতিও জলবায়ুকে প্রভাবিত করে।
বাংলাদেশের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য - আর্দ্রতা: বেশিরভাগ সময়ই আবহাওয়া আর্দ্র থাকে। - উষ্ণতা: গড় তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। - বৃষ্টিপাত: বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২০৩ সেমি। - মৌসুম: বাংলাদেশে তিনটি প্রধান মৌসুম: গ্রীষ্ম, বর্ষা এবং শীত।
|
|
| |
|
|
|
- কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ ২৪ তারিখ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। - ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকার উপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করার আশংকা রয়েছে। - ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় ’ডানা’ ২৩ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২ টার পর থেকে ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে সরাসরি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসাবে স্থল ভাগে আঘাত করার প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে। - এটি পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপূর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা এবং বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার উপকূলে আঘাত করার আশংকা করা যাচ্ছে।
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক।
|
|
| |
|
|
|
সম্প্রতি গ্রীনল্যান্ডে একটি বিশাল ভূমিধসের কারণে ৬৫০ ফুট উচ্চতার মেগা সুনামি সৃষ্টি হয়েছিল। এই সুনামির ফলে পৃথিবী টানা ৯ দিন ধরে কেঁপেছিল। এই ঘটনা বিজ্ঞানীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং তারা এই ভূমিকম্পের কারণ ও প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছেন। ভূমিধসের ফলে সৃষ্ট সুনামি এবং এর পরবর্তী ভূমিকম্পের কম্পন পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অনুভূত হয়েছিল।
|
|
| |
|
|
|
উত্তমাশা অন্তরীপ বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উল্লেখযোগ্য প্রভাবের সম্মুখীন হচ্ছে। গবেষণা থেকে জানা যায়, এই অঞ্চলের অনন্য ফিনবোস (fynbos) ইকোসিস্টেম বিশেষ হুমকির মুখে পড়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে এবং ঘন ঘন চরম আবহাওয়ার কারণে স্থানীয় জীববৈচিত্র্য ব্যাহত হচ্ছে এবং অনেক প্রজাতির অস্তিত্ব সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- 'এল নিনো' একটি জলবায়ু ঘটনা যা প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব-মধ্য অংশে সমুদ্রের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হওয়ার ফলে ঘটে। - সাধারণত, প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম অংশে গরম জল জমা হয় এবং পূর্ব অংশে ঠান্ডা জল উঠে আসে। কিন্তু 'এল নিনো'র সময় এই প্যাটার্ন পরিবর্তিত হয়। - 'এল নিনো'র সময়, পশ্চিম থেকে পূর্বে বায়ুপ্রবাহ দুর্বল হয়ে যায়, যার ফলে গরম জল পূর্ব দিকে সরে যায় এবং দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলের কাছে জমা হয়। - এই তাপমাত্রার পরিবর্তন শুধু প্রশান্ত মহাসাগরেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং এটি বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপর প্রভাব ফেলে। - 'এল নিনো'র প্রভাবে বিভিন্ন অঞ্চলে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, খরা, বন্যা, ঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিতে পারে।
|
|
| |
|
|
|
--- BCCSAP প্রণয়ন:- - পূর্ণরূপ : Bangladesh Climate Change Strategy and Action Plan. - উন্নয়নশীল দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম জলবায়ূ পরিবর্তন মোকাবেলায় এই সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে। -এ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে BCCSAP গঠন করা হয়েছে। (Bangladesh Climate Change Strategy and Action Plan)
|
|
| |
|
|
|
- মৌসুমি বায়ু দক্ষিণ এশিয়া এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জলবায়ুতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তারকারী বায়ুপ্রবাহ। - ধারণা করা হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় মৌসুমি বায়ুচক্রটির সূত্রপাত ঘটে হিমালয় পর্বতমালা সৃষ্টির সময় থেকে। - ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে মৌসুমি বায়ুপ্রবাহের দিকও পরিবর্তিত হয়।
|
|
| |
|
|
|
- বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে। - এখানকার আবহাওয়াতে নিরক্ষীয় প্রভাব দেখা যায়। - নভেম্বর হতে মার্চ পর্যন্ত হালকা শীত অনুভূত হয়। - মার্চ হতে জুন মাস পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল চলে। - জুন হতে অক্টোবর পর্যন্ত চলে বর্ষা মৌসুম। - এসময় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।
|
|
| |
|
|
|
- বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণের ফলে সমুদ্রের পানির অম্লীকরণ ঘটছে। - গত কয়েক দশক ধরে পৃথিবী দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে। - এই উষ্ণায়নের ফলে তাপমাত্রা বেড়ে আমাদের পরিবেশ এবং জীবজগতের উপর ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে।
|
|
| |
|
|
|
বিশ্বব্যাংকের সমীক্ষা অনুযায়ী ২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা ৩ ফুট বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ৩ কোটি মানুষ উদ্ভাস্তু হয়ে যাবে। বাংলাদেশের ১৭ শতাংশ ভূমি সমুদ্রগর্ভে ও খাদ্য উৎপাদনের ৩০% হারিয়ে যাবে। সারা বিশ্বের ২০ শতাংশ মানুষের ভাগ্য বিপর্যয় হতে পারে।
|
|
| |
|
|
|
• বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চল সাধারণত খরা, নদীভাঙন, বন্যা ও ভূমিকম্প দ্বারা প্রভাবিত হয়। • বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলসমূহে ঘূর্ণিঝড়, সুনামি, অন্যদেশের ভূমিকম্পের প্রভাব প্রভৃতির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। • তাই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য যে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হয় তা বেশিরভাগই উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য প্রযোজ্য।
|
|
| |
|
|
|
- ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বড় প্রভাব ঘটে আবহাওয়াতে। ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ার আগে বায়ু শান্ত, উষ্ণ ও আর্দ্র থাকে। - তবে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশে পৌঁছাবার সঙ্গে সঙ্গে দমকা বাতাস ও ঘন ঘন মেঘ দেখা যায়। - ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ যখন আসে তখন প্রবল ঝড়ো হাওয়া ও ঘন মেঘসহ মুষলধারে বৃষ্টি হয়। আর কেন্দ্রের ভিতরে অবস্থানকারী চোখ শান্ত আবহাওয়া পরিস্থিতি তৈরি করে। - ঘূর্ণিঝড়ের পশ্চাৎভাগে পৌঁছানোর পর আবারও ঘন মেঘ, বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া প্রবাহিত হয়। - এ সময় বায়ু অগ্রবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের বিপরীত দিক থেকে প্রবাহিত হয়। ঘূর্ণিঝড় মানুষ ও জানমালের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।
|
|
| |
|
|
|
- সাধারণত চারটি প্রক্রিয়ার দ্বারা নদীর ক্ষয়কার্য হয়ে থাকে। যথা- ১. পানি প্রবাহ ক্ষয় ২. কর্ষণ ৩.ঘর্ষণ ৪. দ্রবণ।
- নদীর এ ক্ষয়কার্য রাসায়নিক ও যান্ত্রিক উপায়ে সংঘটিত হয়।
|
|
| |
|
|
|
ওজোন স্তর সূর্যের আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি অর্থাৎ অতি বেগুনী রশ্মি শোষণ করে। ফলে প্রাণীজগৎ রক্ষা পায় । ১% ওজোন হারানোর অর্থ ২% অতিবেগুনী আলোর প্রভাব বেড়ে যাওয়া ।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবেলায় অভিজানের জন্য গঠিত (NAP) হল National Adaptation Plan। - এটি একটি পরিকল্পনা যা একটি দেশ তার জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিগুলি মোকাবেলা করার জন্য তৈরি করে। - NAP ঝুঁকিগুলি চিহ্নিত করে এবং সেগুলি মোকাবেলা করার জন্য পদক্ষেপ নির্ধারণ করে।
|
|
| |
|