অঞ্চলভিত্তিক ভৌত পরিবেশ (71 টি প্রশ্ন )
- জিব্রাল্টার প্রণালীকে  "ভূমধ্যসাগরের চাবি" বলা হয়।
- এই প্রণালীটি আটলান্টিক মহাসাগরকে ভূমধ্যসাগরের সাথে যুক্ত করেছে এবং ইউরোপ মহাদেশকে আফ্রিকা মহাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। 
- ঐতিহাসিকভাবে, যে শক্তি এই প্রণালীটি নিয়ন্ত্রণ করেছে, সেই শক্তিই ভূমধ্যসাগরে নৌচলাচল এবং বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা অর্জন করেছে।
- এর কৌশলগত গুরুত্বের কারণেই একে "ভূমধ্যসাগরের চাবি" হিসেবে অভিহিত করা হয়।
- 'হিন্দুকুশ পর্বতটি' অবস্থিত আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে।

- হিন্দুকুশ পর্বতমালা মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার একটি বিশাল পর্বতশ্রেণী যা আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্তবেষ্টিত অঞ্চল জুড়ে প্রসারিত।
- এটি পামির ও কারাকোরাম পর্বতমালার অংশ এবং হিমালয়ের একটি উপ-পর্বতমালা হিসেবে বিবেচিত।
- এই পর্বতমালার শীর্ষ শৃঙ্গ তিরিচমির (৭,৩৯০ মিটার) পাকিস্তানের অন্তর্গত।
- তাই হিন্দুকুশ পর্বতমালা অবস্থিত দুই দেশের মাঝে, অর্থাৎ আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে।

সুতরাং, সঠিক উত্তর: (ক+খ) - আফগানিস্তান ও পাকিস্তান।
- স্থলবেষ্টিত দেশ (Landlocked country) হলো সেই সব দেশ যাদের কোনো সমুদ্র বা মহাসাগরের সাথে সরাসরি সংযোগ নেই।
- অর্থাৎ, এই দেশগুলো চারদিকে অন্য এক বা একাধিক দেশ দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে।

বলিভিয়া:
- দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দুটি স্থলবেষ্টিত দেশের মধ্যে একটি হলো বলিভিয়া।
- এটি ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, আর্জেন্টিনা, চিলি এবং পেরু দ্বারা পরিবেষ্টিত।
- যদিও অতীতে বলিভিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরের সাথে উপকূলরেখা ছিল, ১৮৭৯-১৮৮৩ সালের প্রশান্ত মহাসাগরীয় যুদ্ধে চিলির কাছে তা হারায়।

অন্যদিকে,
- উরুগুয়ের দক্ষিণ ও পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগরের সাথে দীর্ঘ উপকূলরেখা রয়েছে।

- আর্জেন্টিনার পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগরের সাথে প্রায় ৪,৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূল রয়েছে।

- গায়ানা দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর উপকূলে অবস্থিত এবং এর উত্তর-পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগরের সাথে প্রায় ৪৫৯ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলরেখা রয়েছে।
- নিরক্ষীয় (Equatorial) জলবায়ু অর্থাৎ নিরক্ষরেখার কাছাকাছি অবস্থিত অঞ্চলের আবহাওয়া — হট ও ভিজে থাকে সারা বছর। এই জলবায়ু মূলত এমন দেশসমূহে দেখা যায় যেগুলি নিরক্ষরেখার কাছাকাছি, অর্থাৎ ১০° উত্তর ও ১০° দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে অবস্থিত। নিরক্ষীয় জলবায়ুতে প্রধান বৈশিষ্ট্য হল:

- সারাবছর তাপমাত্রা প্রায় একই থাকে (প্রায় ২৫-৩০°C)
- প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়
- প্রকৃতিতে ঘন বৃষ্টি-বন (Rainforest) দেখা যায়

- নেপাল উঁচু পাহাড় ও বৃদ্ধিলাভী ভূ-অঞ্চল নিয়ে গঠিত, যেখানে ঋতু পরিবর্তন দেখা যায় ও আবহাওয়া ভিন্ন, নিরক্ষীয় জলবায়ু নয়।
- আগ্নেয় শিলা ও পাললিক শিলা যখন বেশি তাপ ও চাপের প্রভাবে তাদের গঠন ও বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন হয়, তখন তারা রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয়।
- অর্থাৎ, আগ্নেয় ও পাললিক শিলার রূপান্তরিত রূপকে রূপান্তরিত শিলা বলে এই শিলা তৈরি হয়।
- যখন এই দু'রকম শিলা উচ্চ তাপ এবং চাপ সহ রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় পরিবর্তিত হয়, তখন তারা নতুন ধরনের শিলা তৈরি করে, যা রূপান্তরিত শিলা নামে পরিচিত।
- রূপান্তরিত শিলার উদাহরণ: চুনাপাথর থেকে মার্বেল, বেলেপাথর থেকে কোয়ার্টজাইট, কাদা থেকে প্লেট ইত্যাদি।
- ফকল্যান্ড স্রোত দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শীতল স্রোত, যা অ্যান্টার্কটিকার কাছাকাছি থেকে উৎপন্ন হয়ে উত্তরের দিকে প্রবাহিত হয়।
- এটি দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের মেরু অঞ্চলের উপরের স্তর থেকে উৎপন্ন হয় এবং ভারত মহাসাগরের পানিতে পুষ্ট হয়।

মৌসুমি বায়ু ও বাংলাদেশের বর্ষাকাল

মৌসুমি বায়ু হচ্ছে এমন এক ধরনের আঞ্চলিক বায়ুপ্রবাহ, যার দিক ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। মৌসুমি শব্দটি এসেছে আরবি 'মওসুম' বা 'মত্তসুম' শব্দ থেকে, যার অর্থ ঋতু। সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়নের ফলে স্থলভাগ ও জলভাগের তাপমাত্রার তারতম্য ঘটায় এবং এরই ফলে মৌসুমি বায়ুর সৃষ্টি হয়।

গ্রীষ্মকালে সূর্য কর্কটক্রান্তির নিকটে অবস্থান করে বলে উত্তর গোলার্ধে তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং একটি সুবৃহৎ নিম্নচাপ বলয় সৃষ্টি হয়। এ সময় দক্ষিণ গোলার্ধের ক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে উৎপন্ন দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন বায়ু নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে উত্তর গোলার্ধে প্রবেশ করে। এই বায়ু ফেরেলের সূত্র অনুযায়ী বাম দিকে বেঁকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয় এবং একে বলা হয় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। এটি এশিয়ার নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে ধাবিত হয়ে চীন, ভারত, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, মিয়ানমারসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ঘটায়।

বাংলাদেশ একটি ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু অধ্যুষিত দেশ। এখানে জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বর্ষাকাল বিরাজ করে। এই সময় ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর থেকে উৎপন্ন আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ বায়ুপ্রবাহ বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প বহন করে নিয়ে আসে। বাংলাদেশের স্থলভাগে পৌঁছে এই বায়ু পার্বত্য অঞ্চল ও অন্যান্য ভৌগোলিক বাধার কারণে উপরের দিকে উঠে ঠান্ডা হয়, ফলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ঘটে।

অন্যদিকে, শীতকালে সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থান করে বলে সেখানে নিম্নচাপ এবং উত্তর গোলার্ধে উচ্চচাপ সৃষ্টি হয়। ফলে তখন উত্তর-পূর্ব দিক থেকে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়, যা সাধারণত শুষ্ক প্রকৃতির।

এইভাবে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ঋতুভিত্তিক আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাতের অন্যতম প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।


- সাভানা এক ধরণের ক্রান্তীয় তৃণভূমি যা উচ্চ তাপমাত্রা এবং ঋতুভিত্তিক বৃষ্টিপাত দ্বারা চিহ্নিত।
- এই তৃণভূমিগুলো লম্বা ঘাস, বিচ্ছিন্ন গাছ এবং গুল্ম দ্বারা গঠিত। বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে পরিচিত সাভানাগুলি আফ্রিকার গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে অবস্থিত।
- আফ্রিকার বিশাল অংশ, বিশেষ করে পূর্ব এবং দক্ষিণ আফ্রিকা, যেমন সেরেঙ্গেটি (Serengeti) এবং মাসাই মারা (Masai Mara) সাভানা ইকোসিস্টেমের জন্য বিখ্যাত।
- এই অঞ্চলগুলি অসংখ্য বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল, যার মধ্যে সিংহ, হাতি, জিরাফ, জেব্রা এবং বিভিন্ন ধরণের অ্যান্টিলোপ রয়েছে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন


- বর্তমানে বিশ্বের মোট ৪৪টি স্থলবেষ্টিত (landlocked) রাষ্ট্র রয়েছে।
- এগুলো এমন দেশ, যেগুলোর কোনো সমুদ্র বা মহাসাগরের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ নেই। এছাড়া, ৫টি আংশিক স্বীকৃত স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্রও রয়েছে।

স্থলবেষ্টিত দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো কাজাখস্তান (সবচেয়ে বড় স্থলবেষ্টিত দেশ), মঙ্গোলিয়া, নেপাল, ভুটান, এবং আফগানিস্তান। এদের মধ্যে উজবেকিস্তান এবং লিচেনস্টেইন হলো বিশ্বের একমাত্র "ডাবল ল্যান্ডলকড" দেশ, অর্থাৎ এদের চারপাশে শুধুমাত্র স্থলবেষ্টিত দেশ রয়েছে।

এশিয়ায় স্থলবেষ্টিত (landlocked) দেশের সংখ্যা ১২টি।
এই দেশগুলো হলো:
- আফগানিস্তান
- আর্মেনিয়া
- আজারবাইজান
- ভুটান
- কাজাখস্তান
- কিরগিজস্তান
- লাওস
- মঙ্গোলিয়া
- নেপাল
- তাজিকিস্তান
- তুর্কমেনিস্তান
- উজবেকিস্তান। 
কোনো দেশে যদি কোনোরুপ জলসীমা না থাকে তাকে স্থলবেষ্টিত দেশ বলে।
- বিশ্বে স্থলবেষ্ঠিত দেশের সংখ্যা ৪৫ টি।
- বিশ্বে স্থলবেষ্টিত মোট স্বাধীন রাষ্ট্রের সংখ্যা ৪৫টি। এর মধ্যে বৃহত্তম দেশ কাজাখস্তান।
- এশিয়ায় স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র ১১ টি।
যথা -নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান, লাওস, মঙ্গোলিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তাজাকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, আজারবাইজান।
 আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত আবহবিদ উইলিয়াম ফেরেল (William Ferral) ১৮৫৯ খ্রীষ্টাব্দে এই সূত্রটির উদ্ভাবন করেন এবং তাঁর নামানুসারেই এটি ফেরেলের সূত্র নামে পরিচিত ।

কোরিওলিস বলের প্রভাবে বায়ুপ্রবাহ উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপের দিকে সোজাপথে প্রবাহিত না হয়ে উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয় ।
প্রমাণঃ ফেরেলের সূত্র অনুসারে আয়ন বায়ু সোজাভাবে প্রবাহিত না হয়ে উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে উত্তর-পূর্ব আয়ন বায়ুরূপে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ুরূপে বেঁকে প্রবাহিত হয় ।

- ভূ-অভ্যন্তরের স্তরগুলোকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়: ভূত্বক (Crust), গুরুমণ্ডল (Mantle) এবং কেন্দ্রমণ্ডল (Core)।
- ভূত্বক (Crust): এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বাইরের কঠিন স্তর। টেকটোনিক প্লেটগুলো এই স্তরের অংশ।
- গুরুমণ্ডল (Mantle): ভূত্বকের নিচে প্রায় ২,৯০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত স্তরটি হলো গুরুমণ্ডল। এটিকে দুটি অংশে ভাগ করা যায়:

- ঊর্ধ্ব গুরুমণ্ডল (Upper Mantle): এর উপরের অংশ (ভূত্বকের ঠিক নিচে) কঠিন এবং নিচের অংশ, যাকে অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার (Asthenosphere) বলা হয়, সান্দ্র প্রকৃতির। সান্দ্র বলতে বোঝায় এটি কঠিনের মতো আচরণ করে তবে দীর্ঘ সময় ধরে তরলের মতো প্রবাহিত হতে পারে।
নিম্ন গুরুমণ্ডল (Lower Mantle): এটি ঊর্ধ্ব গুরুমণ্ডলের নিচে অবস্থিত এবং কঠিন অবস্থায় থাকে।

- টেকটোনিক প্লেটগুলো মূলত ভূত্বক এবং ঊর্ধ্ব গুরুমণ্ডলের কঠিন অংশের সমন্বয়ে গঠিত (একে লিথোস্ফিয়ারও বলা হয়)। এই প্লেটগুলো অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারের সান্দ্র স্তরের উপর ভাসমান এবং ধীরে ধীরে স্থানান্তরিত হয়। অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারের সান্দ্রতা প্লেটগুলোকে নড়াচড়া করতে সাহায্য করে। সুতরাং, গুরুমণ্ডলের বহিঃস্থ অংশ (অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার)-এর সান্দ্রতাই টেকটোনিক প্লেটগুলোর চলনের জন্য দায়ী।
- চা চাষের জন্য প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত প্রয়োজন।
- সাধারণত, বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২০০-২৫০ সেন্টিমিটারের মধ্যে হতে হয়।
- বৃষ্টিপাত নিয়মিত হওয়া খুব জরুরি। কারণ, চা গাছের বৃদ্ধির জন্য এটি সহায়ক।
- বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি, চা চাষের জন্য উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া প্রয়োজন।
- ২৬-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চা চাষের জন্য উপযোগী।
- এছাড়াও, চা চাষের জন্য অম্লধর্মী মাটি (পিএইচ ৪.৫ থেকে ৫.৮) এবং বেলে দো-আঁশ মাটি ভালো।
- তাই, চা চাষের জন্য ২৫০ সে.মি. বৃষ্টিপাত একটি আদর্শ পরিমাণ।
- পৃথিবীর বৃহত্তম বৃষ্টিপ্রধান বনাঞ্চল আমাজন বন, যা ব্রাজিলে অবস্থিত।
- আমাজন বন দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদী অববাহিকায় অবস্থিত।
- এর বেশিরভাগ অংশ ব্রাজিলে অবস্থিত, তবে এর কিছু অংশ পেরু, কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, ইকুয়েডর, বলিভিয়া, গায়ানা, সুরিনাম এবং ফ্রেঞ্চ গায়ানাতেও বিস্তৃত।
- এই বনের আয়তন প্রায় ৫.৫ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার।
- আমাজন বন পৃথিবীর সবচেয়ে জীববৈচিত্র্যপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে অন্যতম।
- আমাজন বন পৃথিবীর জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- এটি প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন উৎপন্ন করে। এই কারণে, আমাজন বনকে "পৃথিবীর ফুসফুস" বলা হয়।
- পৃথিবীর মোট অক্সিজেনের ২০ শতাংশ এই বন একাই সরবরাহ করে।
- নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে ভূ-পৃষ্ঠে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে এবং এর মাধ্যমে বিভিন্ন নতুন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়।
- বিশেষত, পার্বত্য এলাকায় নদীর ক্ষয়কার্য অত্যন্ত সক্রিয় থাকে।
- নদীর ক্ষয়জাত ভূমিরূপ বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিরূপগুলি হল:
১. ‘ভি’ আকৃতির উপত্যকা (V-shaped Valley),
২. জলপ্রপাত (Waterfall),
৩. গিরিসংকট (Ravine),
৪. গিরিখাত (Gorge),
৫. নদীপ্রপাত (Rapid),
৬. নদীর বাঁক (Meanders),
৭. বর্তুলাকার গর্ত (Pot Holes) ইত্যাদি।

‘ভি’ আকৃতির উপত্যকা:
- পার্বত্য অঞ্চলে নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে ‘ভি’ আকৃতির উপত্যকা গঠিত হয়
- এসব অঞ্চলে শিলা সাধারণত কঠিন হওয়ায়, নদীর প্রবাহের গতি খুব বেশি থাকে।
- এ কারণে নদী পার্শ্বিক ক্ষয়ের তুলনায় তলদেশের ক্ষয় বেশি করে।
- সময়ের সাথে, উপত্যকার মধ্যভাগ গভীরভাবে ক্ষয়ে গিয়ে ক্রমশ ইংরেজি 'V' অক্ষরের মতো আকৃতি ধারণ করে।
- এজন্য এই উপত্যকাকে ‘ভি’ আকৃতির উপত্যকা বলা হয়।
- পরবর্তীতে, পার্শ্বিক ক্ষয়ের হার বাড়ার সাথে সাথে উপত্যকা ক্রমে প্রশস্ত হয়ে ওঠে।
- শীতকালে বাংলাদেশে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে আগত শীতল মৌসুমী বায়ু প্রবাহিত হয়।
- আমাদের দেশের শীতলতম মাস হচ্ছে জানুয়ারি।
- শীতকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯° সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ১১° সেলসিয়াস থাকে।
- এ সময় বাতাসের সর্বনিম্ন আর্দ্রতা শতকরা প্রায় ৩৬ ভাগ হয়ে থাকে।
- এ মাসের গড় তাপমাত্রা ১৭.৭° সেলসিয়াস।
- দেশের বিভিন্ন স্থানে তখন ঘন কুয়াশা দেখা যায়।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
বায়ুপ্রবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে কোনো বিস্তীর্ণ স্থান জুড়ে উঁচু ও দীর্ঘ বালির স্তূপ গঠিত হলে তাকে বালিয়াড়ি (Sand Dune) বলে। বাংলাদেশের কক্সবাজারে ব্যাপক বালিয়াড়ির উপস্থিতি দেখা যায়।
- মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় অঞ্চলের মাটির রং লালচে ও ধূসর।
- এই অঞ্চলের মাটিতে লালচে বর্ণের আয়রন অক্সাইড এবং ধূসর বর্ণের সিলিকা মিশ্রিত থাকে।
- এই মাটিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যালুমিনিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামও থাকে। মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় অঞ্চলের মাটি খুবই উর্বর এবং এটি বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষের জন্য উপযুক্ত।
- আজিজিয়া হল লিবিয়ার একটি শহর যা সাহারা মরুভূমির মধ্যে অবস্থিত।
- ১৯২২ সালে, আজিজিয়ায় ৫৮.০°C (১৩৬.৪°F) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা পৃথিবীতে পরিমাপ করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
- নদীর ক্ষয়সাধন প্রবাহের গতি, ভূমির ঢাল, শিলার প্রকৃতি ইত্যাদির উপর নির্ভর করে।
- পার্বত্য অঞ্চলে নদীর প্রবাহের গতি বেশি থাকে এবং ভূমির ঢাল খাড়া থাকে।
- এছাড়াও, পার্বত্য অঞ্চলের শিলা সাধারণত নরম হয়, যা নদীর ক্ষয়কাজের জন্য সহায়ক।
- সুতরাং, পার্বত্য অঞ্চলে নদীর ক্ষয়সাধন সবচেয়ে বেশি হয়।

-আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত নায়াগ্রা।
-নায়াগ্রা জলপ্রপাতের উচ্চতা ১৬৭ মিটার।
-এটি যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় অবস্থিত।বিশেষ করে এটি আমেরিকার নিউইয়র্ক রাজ্যে অবস্থিত।
-মেসোস্ফিয়ারের উপর থেকে প্রায় ৫00 কিমি পর্যন্ত বিস্তারিত এই স্তরের নাম আয়নমন্ডল।
-এই স্তরের প্রধান উপাদান হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম যা সূর্য রশ্মির প্রভাবে আয়নিত অবস্থায় থাকে।
-এটি বায়ু মন্ডলের সব চেয়ে উষ্ণতম স্তর।
-এই স্তরের উষ্ণতা ২000° ছাড়িয়ে যায়।
-বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ার স্তরে আয়নের আধিক্যের ফলে বেতার তরঙ্গগুলাে এ স্তরে প্রতিফলিত হয়ে পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে আসে।
বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে প্রাচুর্যপূর্ণ উপাদান হলো নাইট্রোজেন।

পরিমাণের দিক থেকে শুষ্ক বাতাসে-
৭৮.০২% নাইট্রোজেন,
২০.৭১% অক্সিজেন,
০.৮০% আর্গন,
০.০৩% কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং সামান্য পরিমাণে অন্যান্য গ্যাস থাকে।
পাললিক শিলা: পলি সঞ্চিত হয়ে যে শিলা গঠিত হয়েছে তাকে পাললিক শিলা বলে। বেলেপাথর, কয়লা, শেল, চুনাপাথার, কাদাপাথর, কেওলিন পাললিক শিলার উদাহরণ।

রূপান্তরিত শিলা: আগ্নেয় ও পাললিক শিলা যখন প্রচন্ড চাপ, উত্তাপ ও রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলে রূপ পরিবর্তন করে নতুন রূপ ধারণ করে তখন তাকে রূপান্তরিত শিলা বলে।চুনাপাথর রূপান্তরিত হয়ে মার্বেল, বেলেপাথর রূপান্তরিত হয়ে কোয়ার্টজাইট, কাদা ও শেল রূপান্তরিত হয়ে স্লেট, গ্রানাইট রূপান্তরিত হয়ে নিস এবং কয়লা রূপান্তরিত হয়ে গ্রাফাইটে পরিণত হয়।
আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ণত্রণকারী নিয়ামকসমূহ- অক্ষাংশ, সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা, বায়ু প্রবাহ, সমুদ্রস্রোত, বৃষ্টিপাত, পাহাড় পর্বতের অবস্থান, ভূমির ঢাল, বনভূমির অবস্থান, মাটির প্রকৃতি, সমুদ্র থেকে দূরত্ব এবং বায়ুর আর্দ্রতা।
শীতপ্রধান অঞ্চলে অনেকসময় খুব জোরে (১২০ কিমি – ১৬০ কিমি প্রতি ঘন্টায়) তুষার সহ ঝড় বয়ে যায়। এর ফলে মাটি তুষারে আবৃত হয় এবং সমগ্র এলাকা বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। একেই তুষার ঝড় (Blizzard) বলে।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
জলজ আবহাওয়া জনিত কারণে বন্যা দেখা দিলে নদীভাঙ্গন হতে পারে, অধিক বৃষ্টির কারণে বা বরফ গলে মাটি নরম হলে ভূমিধস হতে পারে, ঘূর্ণিঝড় দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে ভূ অভ্যন্তরে শিলাচ্যুতি, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যৎপাত, হিমবাহ-য়ের প্রবাহ, খনি ভাঙ্গন ইত্যাদির কারণে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0