Loading [MathJax]/extensions/tex2jax.js
 
বাংলাদেশের নদ-নদী (97 টি প্রশ্ন )
বাংলাদেশের বিখ্যাত কিছু সমুদ্রসৈকত:
- কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত : কুয়াকাটা, পটুয়াখালী।
- পারকি সমুদ্রসৈকত : আনোয়ারা, চট্টগ্রাম
- ইনানী, কলাতলী, লাবনী সমুদ্রসৈকত : কক্সবাজার
- পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত : পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।
- পদ্মার প্রধান উপনদী মহানন্দা এবং পুনর্ভবা।
- পদ্মার বিভিন্ন শাখা নদীর মধ্যে গড়াই, বড়াল আড়িয়াল খাঁ, কুমার, ধানসিঁড়ি, মাথাভাঙ্গা, ভৈরব ইত্যাদি অন্যতম।
- পদ্মার বিভিন্ন প্রশাখা নদীসমূহ হলো- মধুমতী, পশুর, ভৈরব ইত্যাদি।
• ব্রহ্মপুত্র-যমুনা বাংলাদেশের দ্বিতীয় এবং বিশ্বের দীর্ঘতম নদীসমূহের মধ্যে অন্যতম। তিববত, চীন, ভারত এবং বাংলাদেশের ভূখন্ড জুড়ে রয়েছে এর অববাহিকা অঞ্চল।
• প্রকৃতপক্ষে ব্রহ্মপুত্র নদের নিম্ন প্রবাহ যমুনা নামে অভিহিত।
• যমুনা নদীর সর্বাধিক প্রস্থ ১২০০০ মিটার (আরিচা) যমুনার প্রধান উপনদী গুলো হল তিস্তা, ধরলা, করতোয়া, আত্রাই, সুবর্ণশ্রী। করতোয়া যমুনার দীর্ঘতম এবং বৃহত্তম উপনদী। যমুনার শাখা নদী, ধলেশ্বরী।
পদ্মা নদী:

- পদ্মা নদী চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
- হিমালয় পর্বতের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে পদ্মা নদী উৎপত্তি লাভ করে।
-পদ্মা নদী ভারতের উপর দিয়ে গঙ্গা নামে প্রবাহিত হয়। এর সর্বমোট দৈর্ঘ্য ২,৬০০ কি.মি.
- রাজবাড়ি জেলায় গোয়ালন্দের কাছে পদ্মা নদী ও যমুনা নদী একসাথে মিলিত হয়েছে।
- চাঁদপুরের নিকট পদ্মা নদী ও মেঘনা নদীর সাথে মিলিত হয়ে মেঘনা নামে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে।
- পদ্মার শাখা নদীগুলো হলো- মধুমতি, আড়িয়াল খাঁ, ভৈরব, মাথাভাঙ্গা, কুমার, কপোতাক্ষ, শিবসাত, পশুর, বড়াল, গড়াই, ইছামতি ইত্যাদি।
- এর উপনদী মহানন্দা, টাঙ্গন, নাগর, পুনর্ভবা, কুলিক।
নদীভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ জেলা গুলো হলো- গাইবান্ধা, জামালপুর, চাঁদপুর, সিরাজগঞ্জ ইত্যাদি।
তবে চাঁদপুর ও সিরাজগঞ্জ বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। 
- বাংলাদেশের সবচেয়ে খরস্রোতা নদী কর্ণফুলী । এটি আসামের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে প্রায় ২৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ কর্ণফুলী নদী রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে ।
- এটি চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটির প্রধান নদী । এর প্রধান উপনদী কাসালং ,হালদা এবং বোয়ালখালী
বুড়িগঙ্গা নদীর পুর্বনাম- দোলাই নদী

- ব্রক্ষপুত্র নদের পূর্বনাম ছিল- লৌহিত্য ।
- পদ্মা নদীর পূর্বনাম ছিল-  কীর্তিনাশা।
- নিঝুম দ্বীপ এর পূর্বনাম ছিল- বাউলার চর।
- যমুনা নদীর পূর্বনাম ছিল- জোনাই নদী।
 ব্রহ্মপুত্র-যমুনার চারটি প্রধান উপনদী রয়েছে: দুধকুমার, ধরলা, তিস্তা এবং করতোয়া-আত্রাই নদীপ্রণালী।  তিস্তা নদী রংপুর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তিস্তা, করতোয়া ও আত্রাই নদী সংলগ্ন রংপুর ও দিনাজপুর জেলা হলো সঞ্চয়জাত পাদদেশীয় পলল সমভূমি।
বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ 'নদী ভাঙ্গন' এর কারণ- 
- নদীর গতিপথ পরিবর্তন 
- জলবায়ু পরিবর্তন 
- নদীগর্ভে শিলার পরিবর্তন 
- রাসায়িনিক দ্রব্যের উপস্থিতি 
- বাহিত শিলার কঠিনতা

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
'টাঙ্গুয়ার হাওড়' সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। সুনামগঞ্জে মোট ৯৫ হাওড় আছে।  'হাকালুকি' মৌলভীবাজার ও সিলেট অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম হাওর।

- নারী মুক্তিযোদ্ধা কাঁকন বিবি খাসিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত, ১৯৪৮ সালে সুনামগঞ্জ জেলার এক খাসিয়া পরিবারে। 
- ১৯৩৭ সালে বাংলাদেশের প্রথম সিমেন্ট কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায়।



নাফ নদী বাংলাদেশের বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলায় প্রবাহিত। নাফ নদী কক্সবাজারে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে পৃথক করেছে। নাফ নদী বান্দরবান দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে কক্সবাজারের টেকনাফে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য ৫৬ কিলোমিটার।
» হালদা ভ্যালি – খাগড়াছড়ি
» বলিশিরা – মৌলভীবাজার
» সাঙ্গু ভ্যালি – চট্টগ্রাম
» ভেঙ্গি ভ্যালি – কাপ্তাই,রাঙ্গামাটি
» নাপিত খালি ভ্যালি – কক্সবাজার
» মাইনীমুখী ও সাজেক ভ্যালি – রাঙ্গামাটি
মিয়ানমার হতে নদীগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেঃ  সাঙ্গু, নাফ, মাতামুহুরি।

বাংলাদেশ ও ভারতকে বিভক্তকারী নদীর নাম হলো হাড়িভাঙ্গা।আর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে বিভক্তকারী নদীর নাম নাফ।এই নদীর দৈর্ঘ্য ৫৬ কিমি।
✔ পদ্মা ও যমুনা - গোয়ালন্দ (রাজবাড়ি), দৌলতদিয়া। 
✔ পদ্মা ও মেঘনা - চাঁদপুর। 
✔ তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র - চিলমারি, কুড়িগ্রাম।
✔ কুশিয়ারা ও সুরমা - আজমিরীগঞ্জ, হবিগঞ্জ। 
✔ পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা - ভৈরব বাজার। 
✔ হালদা ও কর্ণফুলী - কালুরঘাট, চট্টগ্রাম। 




ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
শীতলক্ষ্যা নদী (Shitalakshya River) পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে উৎপন্ন। গাজীপুর জেলার টোক নামক স্থানে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে একটি ধারা বানার নামে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে লাকপুর নামক স্থানে শীতলক্ষ্যা নাম ধারণ করে বৃহত্তর ঢাকা জেলার পূর্ব পাশ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শীতলক্ষ্যা কলাগাছিয়ার কাছে ধলেশ্বরী নদীতে পড়েছে। নদীটির মোট দৈর্ঘ্য ১১০ কিমি, প্রস্থ নারায়ণগঞ্জের কাছে ৩০০ মিটার, কিন্তু উপরের দিকে আস্তে আস্তে কমে গিয়ে হয়েছে প্রায় ১০০ মিটার। ডেমরায় সর্বোচ্চ ২,৬০০ কিউমেক প্রবাহ পরিমাপ করা হয়েছে। নদীটি নাব্য এবং সারা বছরই নৌ চলাচলের উপযোগী। শীতলক্ষ্যার ভাঙন প্রবণতা কম।
• মেঘনা নদীর প্রধান উপনদী - কংস, সুমেশ্বরী, গোমতী, মনু প্রভৃতি।
• মেঘনা নদীর প্রধান শাখানদী - তিতাস, ডাকাতিয়া ।


- বাংলাদেশের বৃহত্তর হাওর হাকালুকি হাওর, যার আয়তন ২৪,২৯২ হেক্টর। 
- হাকালুকি হাওর সিলেট জেলার ফেঞ্ঝুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার এবং মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা ও কুলাউড়া উপজেলা জুড়ে বিস্তৃত। 
 
- হাইল বিল মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত। 
- চলনবিল বাংলাদেশের বৃহত্তম বিল। চলন বিল পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও নাটোর জেলায় বিস্তৃত।



 

বাকল্যান্ড বাধ বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত


 

দক্ষিন তালপট্টি দীপ হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনায় অবস্থিত


 

দার্জিলিং জেলা থেকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাংশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এর পর আবার পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় প্রবেশ করে, ও পরে আবার বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের কাছে প্রবেশ করে পদ্মা নদীর সাথে মিলিত হয়। বৃষ্টির পানি এই নদীর প্রবাহের প্রধান উৎস। ফলে গরম কাল ও শীতকালে নদীর পানি কমে যায়, আর বর্ষা মৌসুমে নদীর দুই কুল ছাপিয়ে বন্যা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মহানন্দা নদীর অংশটির দৈর্ঘ্য ৩৬ কিমি।


ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
 

যমুনা নদী পদ্মায় পতিত হয়েছে


সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0