ধ্বনি প্রধানত দুই প্রকার- ১) স্বরধ্বনি এবং ২) ব্যঞ্জনধ্বনি। উভয়প্রকার ধ্বনিরই পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। আবার ধ্বনি পরিবর্তনের ধরণগুলি মূলত চার প্রকারের। যথা-
ক) ধ্বনির আগম- উচ্চারণকালে নতুন একটি বা একাধিক ধ্বনির আগমন ঘটে। যেমন- স্কুল> ইস্কুল, স্ত্রী> ইস্ত্রী ইত্যাদি।
খ) ধ্বনির লোপ- উচ্চারণকালে একটি বা একাধিক ধ্বনি লোপ পায়। যেমন- গামোছা> গামছা, জানালা> জানলা ইত্যাদি।
গ) ধ্বনির রূপান্তর- শব্দমধ্যস্থ কোনো ধ্বনি রূপান্তরিত হয়। যেমন- গল্প> গপ্প, শরীর> শরীল ইতাদি।
ঘ) ধ্বনির স্থানান্তর- দ্রুত উচ্চারণের ফলে বা অসাবধানতাবশত পাশাপাশি থাকা দুটি ধ্বনি একটির জায়গায় আরেকটি উচ্চারিত হয়। যেমন- রিকশা> রিশকা, মুকুট> মুটুক ইত্যাদি।
নবম ও দশম শ্রেণির নতুন বাংলা ভাষার ব্যাকরণ গ্রন্থে প্রায় ১৮ প্রকার ধ্বনি পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে।