|
|
- স্বরসঙ্গতি : দুটি স্বরধ্বনির মধ্যে সঙ্গতি রক্ষার্থে একটির প্রভাবে আরেকটি পরিবর্তিত হলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে। যেমন, ‘দেশি’ (দ+এ+শ+ই)> (‘ই’-র প্রভাবে ‘এ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ই’ হয়ে) ‘দিশি’।
স্বরসঙ্গতি ৫ প্রকার- ক. প্রগত : আগের স্বরধ্বনি অনুযায়ী পরের স্বরধ্বনি পরিবর্তিত হলে, তাকে প্রগত স্বরসঙ্গতি বলে । যেমন, মুলা মুলো, শিকা> শিকে, তুলা> তুলো খ. পরাগত : পরের স্বরধ্বনি অনুযায়ী আগের স্বরধ্বনি পরিবর্তিত হলে, তাকে পরাগত স্বরসঙ্গতি বলে । যেমন, আখো> আখুয়া> এখো, দেশি> দিশি গ. মধ্যগত : অন্যান্য স্বরধ্বনির প্রভাবে মধ্যবর্তী স্বরধ্বনি পরিবর্তিত হলে, তাকে মধ্যগত স্বরসঙ্গতি বলে । যেমন বিলাতি> বিলিতি ঘ. অন্যোন্য : আগের ও পরের স্বরধ্বনি দুইয়ের প্রভাবে যদি দুইটি-ই পরিবর্তিত হয়ে যায়, তাকে অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি বলে । যেমন, মোজা> মুজো ঙ. চলিত বাংলায় স্বরসঙ্গতি : গিলা> গেলা, মিলামিশা> মেলামেশা । মিঠা> মিঠে, ইচ্ছা> ইচ্ছে । মুড়া>মুড়ো, চুলা> চুলো । উড়ুনি> উড়নি, এখুনি> এখনি ।
|
|
| |
|
|
|
- সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপ : শব্দের মধ্যবর্তী কোন স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপ বলে । যেমন, ‘বসতি' (ব+অ+স+অ+ত+ই)-র মাঝের ‘অ’ স্বরধ্বনি লোপ পেয়ে হয়েছে ‘বস্তি’ (ব+অ+স+ত+ই) ।
স্বরলোপ ৩ প্রকার- ক. আদিস্বরলোপ : শব্দের শুরুর স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে আদি স্বরাগম বলে । যেমন, অলাবু> লাবু> লাউ, এড়ন্ড> (‘এ’ লোপ পেয়ে) রেড়ী, উদ্ধার> উধার> ধার । খ. মধ্যস্বরলোপ : শব্দের মধ্যবর্তী কোন স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে মধ্যস্বরাগম বলে । যেমন, অগুরু> অগ্নু, সুবর্ণ> স্বর্ণ গ. অন্ত্যস্বরালোপ : শব্দের শেষের স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে অন্ত্যস্বরাগম বলে । যেমন, আশা> আশ, আজি> আজ, চারি> চার, সন্ধ্যা> সঞ্ঝ্যা> সাঁঝ (স্বরলোপ স্বরাগম-এর বিপরীত প্রক্রিয়া ।)
|
|
| |
|
|
|
মধ্য দ্বরাগম, বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি: - শব্দের মাঝখানে স্বরধ্বনি আসলে তাকে বলে মধ্য স্বরাগম বা বিপ্রকর্ষ।- যেমন, 'রত্ন' (র+অ+ত+ন+অ) শব্দের ‘ত’ ও ‘ন’-র মাঝখানে একটি অ যুক্ত হয়ে হয়েছে ‘রতন’ । এটি মধ্য স্বরাগম । এরকম- ধর্ম> ধরম, স্বপ্ন> স্বপন, হর্ষ> হরষ, প্রীতি> পিরীতি, ক্লিপ> কিলিপ, ফিল্ম> ফিলিম, মুক্তা> মুকুতা, তুর্ক> তুরুক, ভু> ভুরু, গ্রাম> গেরাম, প্রেক> পেরেক, স্রেফ> সেরেফ, শ্লোক> শোলোক, মুরগ> মুরোগ> মোরোগ।
অন্যদিকে, - স্বরসঙ্গতি : দুটি স্বরধ্বনির মধ্যে সঙ্গতি রক্ষার্থে একটির প্রভাবে আরেকটি পরিবর্তিত হলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে। যেমন, ‘দেশি’ (দ+এ+শ+ই)> (‘ই’-র প্রভাবে ‘এ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ই’ হয়ে) ‘দিশি’ - ধ্বনি বিপর্যয় : শব্দের মধ্যবর্তী দুটো ব্যঞ্জনধ্বনি অদলবদল হলে তাকে ধ্বনি বিপর্যয় বলে । যেমন, বাক্স> বাস্ক, রিক্সা> রিস্কা, পিশাচ> পিচাশ, লাফ> ফাল - সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপ : শব্দের মধ্যবর্তী কোন স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপ বলে । যেমন, ‘বসতি' (ব+অ+স+অ+ত+ই)-র মাঝের ‘অ’ স্বরধ্বনি লোপ পেয়ে হয়েছে ‘বস্তি’ (ব+অ+স+ত+ই)
|
|
| |
|
|
|
ব্যঞ্জন বিকৃতি: - শব্দ-মধ্যে কোনাে কোনাে সময় কোনাে ব্যঞ্জন পরিবর্তিত হয়ে নতুন ব্যঞ্জনধ্বনি ব্যবহৃত হয়। - একে বলে ব্যঞ্জন বিকৃতি। যেমন: - কবাট > কপাট। - ধোবা > ধোপা।
|
|
| |
|
|
|
- মাঝে মাঝে উচ্চারণের সুবিধার জন্য সংযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির মাঝখানে স্বরধ্বনি আসে। একে বলা হয় মধ্য স্বরাগম বা বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি। যেমন ঃ - ই স্বরধ্বনির আগমন- প্রীতি > পিরীতি, স্নান > সিনান, ক্লিপ > কিলিপ, ফিল্ম > ফিলিম ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
শব্দের মধ্যে দুটি ব্যঞ্জনের পরস্পর পরিবর্তন ঘটলে তাকে ধ্বনি বিপর্যয় বলে। যেমনঃ - ইংরেজি বাক্স > বাংলা বাস্ক, - পিশাচ > পিচাশ, - রিকসা্ > রিস্কা, - জাপানি রিক্সা > বাংলা রিস্কা, - লাফ > ফাল।
|
|
| |
|
|
|
দ্বিত্ব ব্যঞ্জন বা ব্যঞ্জনদ্বিত্ব: - কখনো কখনো জোর দেয়ার জন্য শব্দের অন্তর্গত ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়, একে দ্বিত্ব ব্যঞ্জন বা ব্যঞ্জনদ্বিত্ব বলে। যেমন: - পাকা > পাক্কা, - সকাল > সক্কাল, তেমনিভাবে, - বড় > বড্ড, - কিছু > কিচ্ছু ইত্যাদি।
অন্যদিকে, সমীভবন: - শব্দমধ্যস্থ দুটি ভিন্ন ধ্বনি একে অপরের প্রভাবে অল্প-বিস্তর সমতা লাভ করে। এ ব্যাপারকে বলা হয় সমীভবন। যেমন: - জন্ম > জম্ম।
ব্যঞ্জন বিকৃতি: - শব্দ-মধ্যে কোনাে কোনাে সময় কোনাে ব্যঞ্জন পরিবর্তিত হয়ে নতুন ব্যঞ্জনধ্বনি ব্যবহৃত হয়। - একে বলে ব্যঞ্জন বিকৃতি। যেমন: - কবাট > কপাট।
অভিশ্রুতি: - বিপর্যস্ত স্বরধ্বনি পূর্ববর্তী স্বরধ্বনির সাথে মিলে গেলে এবং তদনুসারে পরবর্তী স্বরধ্বনির পরিবর্তন ঘটলে তাকে অভিশ্রুতি বলে। যেমন - শুনিয়া > শুনে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি।
|
|
| |
|
|
|
সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপ: - দ্রুত উচ্চারণের জন্য শব্দের আদি, অন্ত্য বা মধ্যবর্তী কোনো স্বরধ্বনির লোপকে বলা হয় সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপ। যেমন-অলাবু ˃ লাবু, আটমেসে ˃ আটাসে, কুটুম্ব ˃ কুটুম, জানালা ˃ জান্লা ইত্যাদি।
- আদিস্বর লোপ: শব্দের শুরুর স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে আদি স্বরালোপ বলে। যেমন, অলাবু ˃ লাবু ˃ লাউ; উদ্ধার ˃ উধার ˃ ধার ইত্যাদি। - মধ্যস্বর লোপ: শব্দের মধ্যবর্তী কোন স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে মধ্য স্বরলোপ বলে। যেমন, গামোছা ˃ গামছা, অগুরু˃ অগ্রু, সুবর্ণ˃ স্বর্ণ। - অন্ত্যস্বর লোপ: শব্দের শেষের স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে অন্ত্য স্বরলোপ বলে। যেমন, আশা˃ আশ, আজি˃ আজ, চারি˃ চার, সন্ধ্যা˃ সঞ্ঝ্যা ˃ সাঁঝ, লজ্জা ˃ লাজ, চাকা ˃ চাক ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
ব্যঞ্জন বিকৃতিঃ - শব্দের মধ্যে কোনো কোনো সময় কোনো ব্যঞ্জন পরিবর্তিত হয়ে নতুন ব্যঞ্জনধ্বনি ব্যবহৃত হয়। একে বলে ব্যঞ্জন বিকৃতি। যেমন: কবাট > কপাট, ধোবা > ধোপা, ধাইমা > লাইমা।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
পরের ই-কার আগে উচ্চারিত হলে কিংবা যুক্ত ব্যঞ্জন ধ্বনির আগে ই-কার বা উ-কার উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে। যেমন- রাখিয়া > রাইখ্যা, বাক্য > বাইক্য, আজি > আইজ, সাধু > সাউধ, সত্য > সইত্য, মারি > মাইর ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
মধ্য স্বরাগম, বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি: - কখনো কখনো উচ্চারণের সুবিধার জন্য সংযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির মাঝখানে স্বরধ্বনি আসে। - একে বলা হয় মধ্য স্বরাগম বা বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি। যেমন: - অ - রত্ন > রতন; ধর্ম > ধরম; স্বপ্ন > স্বপন; হর্ষ > হরষ; বস্তি > বসতি ইত্যাদি। - ই - প্রীতি > পিরীতি; ক্লিপ > কিলিপ; ফিল্ম > ফিলিম ইত্যাদি। - উ - মুক্তা > মুকুতা, তুর্ক > তুরুক; ভ্রু > ভুরু; শুক্রবার >শুক্কুরবার ইত্যাদি। - এ - গ্রাম > গেরাম; প্রেক > পেরেক; স্রেফ > সেরেফ ইত্যাদি। - ও - শ্লোক > শোলক, মুরগ > মুরােগ > মােরগ ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
অন্তর্হতিঃ - পদের মধ্যে কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পেলে তাকে বলে অন্তর্হতি। যেমন: ফাল্গুন > ফাগুন, ফলাহার > ফলার, আলাহিদা > আলাদা।
ব্যঞ্জন বিকৃতিঃ - শব্দের মধ্যে কোনো কোনো সময় কোনো ব্যঞ্জন পরিবর্তিত হয়ে নতুন ব্যঞ্জনধ্বনি ব্যবহৃত হয়। একে বলে ব্যঞ্জন বিকৃতি। যেমন: কবাট > কপাট, ধোবা > ধোপা, ধাইমা > লাইমা।
ব্যঞ্জনচ্যুতিঃ - পাশাপাশি সমউচ্চারণের দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি থাকলে তার একটি লোপ পায়। এরূপ লোপকে বলা হয়, ধ্বনিচ্যুতি বা ব্যঞ্জনচ্যুতি। যেমন: বউদিদি > বউদি, বড় দাদা > বড়দা।
অভিশ্রুতিঃ - বিপর্যস্ত স্বরধ্বনি পূর্ববর্তী স্বরধ্বনির সাথে মিলে গেলে এবং তদনুসারে পরবর্তী স্বরধ্বনির পরিবর্তন ঘটলে, তাকে বলে অভিশ্রুতি। যেমন: ‘করিয়া’ থেকে অপিনিহিতির ফলে ‘কইরিয়া’ কিংবা বিপর্যয়ের ফলে ‘কইরা’ থেকে অভিশ্রুতিজাত ‘করে
|
|
| |
|
|
|
সমীভবন: শব্দমধ্যস্থ দুটি ভিন্ন ধ্বনি একে অপরের প্রভাবে অল্প-বিস্তর সমতা লাভ করে। এ ব্যাপারকে বলা হয় সমীভবন। যেমন: জন্ম > জম্ম, কাঁদনা > কান্না।
ক. প্রগত (Progressive) সমীভবন : পূর্ব ধ্বনির প্রভাবে পরবর্তী ধ্বনির পরিবর্তন ঘটে। অর্থাৎ পরবর্তী ধ্বনি পূর্ববর্তী ধ্বনির মতো হয়, একে বলে প্রগত সমীভবন। যেমন- চক্র > চক্ক, পক্ব > পক্ক, পদ্ম > পদ্দ, লগ্ন > লগ ইত্যাদি ।
খ. পরাগত (Regressive) সমীভবন : পরবর্তী ধ্বনির প্রভাবে পূর্ববর্তী ধ্বনির পরিবর্তন হয়, একে বলে পরাগত সমীভবন। যেমন- তৎ + জন্য > তজ্জন্য, তৎ + হিত > তদ্ধিত, উৎ + মুখ > উন্মুখ ইত্যাদি।
গ. অন্যোন্য (Mutual) সমীভবন : যখন পরস্পরের প্রভাবে দুটো ধ্বনিই পরিবর্তিত হয় তখন তাকে বলে অন্যোন্য সমীভবন। যেমন- সংস্কৃত-সত্য > প্রাকৃত-সচ্চ । সংস্কৃত-বিদ্যা > প্রাকত-বিজ্জা ইত্যাদি।
অভিশ্রুতি: - অপিনিহিতির প্রভাবজাত ই কিংবা উ-ধ্বনি পূর্ববর্তী স্বরধ্বনির সঙ্গে মিলে শব্দের পরিবর্তন ঘটালে তাকে অভিশ্রুতি বলে। যেমন: - করিয়া > কইর্যা > করে - বাছিয়া > বাইছ্যা > বেছে
উৎসঃ বাংলা ভাষার ব্যাকরণ - নবম দশম শ্রেণী
|
|
| |
|
|
|
সমীভবন: শব্দমধ্যস্থ দুটি ভিন্ন ধ্বনি একে অপরের প্রভাবে অল্প-বিস্তর সমতা লাভ করে। এ ব্যাপারকে বলা হয় সমীভবন। যেমন: জন্ম > জম্ম, কাঁদনা > কান্না।
ক. প্রগত (Progressive) সমীভবন : পূর্ব ধ্বনির প্রভাবে পরবর্তী ধ্বনির পরিবর্তন ঘটে। অর্থাৎ পরবর্তী ধ্বনি পূর্ববর্তী ধ্বনির মতো হয়, একে বলে প্রগত সমীভবন। যেমন- চক্র > চক্ক, পক্ব > পক্ক, পদ্ম > পদ্দ, লগ্ন > লগ ইত্যাদি ।
খ. পরাগত (Regressive) সমীভবন : পরবর্তী ধ্বনির প্রভাবে পূর্ববর্তী ধ্বনির পরিবর্তন হয়, একে বলে পরাগত সমীভবন। যেমন- তৎ + জন্য > তজ্জন্য, তৎ + হিত > তদ্ধিত, উৎ + মুখ > উন্মুখ ইত্যাদি।
গ. অন্যোন্য (Mutual) সমীভবন : যখন পরস্পরের প্রভাবে দুটো ধ্বনিই পরিবর্তিত হয় তখন তাকে বলে অন্যোন্য সমীভবন। যেমন- সংস্কৃত-সত্য > প্রাকৃত-সচ্চ । সংস্কৃত-বিদ্যা > প্রাকত-বিজ্জা ইত্যাদি।
অভিশ্রুতি: - অপিনিহিতির প্রভাবজাত ই কিংবা উ-ধ্বনি পূর্ববর্তী স্বরধ্বনির সঙ্গে মিলে শব্দের পরিবর্তন ঘটালে তাকে অভিশ্রুতি বলে। যেমন: - করিয়া > কইর্যা > করে - বাছিয়া > বাইছ্যা > বেছে
উৎসঃ বাংলা ভাষার ব্যাকরণ - নবম দশম শ্রেণী
|
|
| |
|
|
|
সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপ: - দ্রুত উচ্চারণের জন্য শব্দের আদি, অন্ত্য বা মধ্যবর্তী কোনো স্বরধ্বনির লোপকে বলা হয় সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপ। যেমন-অলাবু ˃ লাবু, আটমেসে ˃ আটাসে, কুটুম্ব ˃ কুটুম, জানালা ˃ জান্লা ইত্যাদি।
- আদিস্বর লোপ: শব্দের শুরুর স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে আদি স্বরালোপ বলে। যেমন, অলাবু ˃ লাবু ˃ লাউ; উদ্ধার ˃ উধার ˃ ধার ইত্যাদি। - মধ্যস্বর লোপ: শব্দের মধ্যবর্তী কোন স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে মধ্য স্বরলোপ বলে। যেমন, গামোছা ˃ গামছা, অগুরু˃ অগ্রু, সুবর্ণ˃ স্বর্ণ। - অন্ত্যস্বর লোপ: শব্দের শেষের স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে অন্ত্য স্বরলোপ বলে। যেমন, আশা˃ আশ, আজি˃ আজ, চারি˃ চার, সন্ধ্যা˃ সঞ্ঝ্যা ˃ সাঁঝ, লজ্জা ˃ লাজ, চাকা ˃ চাক ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
সমীভবন: শব্দমধ্যস্থ দুটি ভিন্ন ধ্বনি একে অপরের প্রভাবে অল্প-বিস্তর সমতা লাভ করে। এ ব্যাপারকে বলা হয় সমীভবন। যেমন: জন্ম > জম্ম, কাঁদনা > কান্না।
ক. প্রগত (Progressive) সমীভবন : পূর্ব ধ্বনির প্রভাবে পরবর্তী ধ্বনির পরিবর্তন ঘটে। অর্থাৎ পরবর্তী ধ্বনি পূর্ববর্তী ধ্বনির মতো হয়, একে বলে প্রগত সমীভবন। যেমন- চক্র > চক্ক, পক্ব > পক্ক, পদ্ম > পদ্দ, লগ্ন > লগ ইত্যাদি ।
খ. পরাগত (Regressive) সমীভবন : পরবর্তী ধ্বনির প্রভাবে পূর্ববর্তী ধ্বনির পরিবর্তন হয়, একে বলে পরাগত সমীভবন। যেমন- তৎ + জন্য > তজ্জন্য, তৎ + হিত > তদ্ধিত, উৎ + মুখ > উন্মুখ ইত্যাদি।
গ. অন্যোন্য (Mutual) সমীভবন : যখন পরস্পরের প্রভাবে দুটো ধ্বনিই পরিবর্তিত হয় তখন তাকে বলে অন্যোন্য সমীভবন। যেমন- সংস্কৃত-সত্য > প্রাকৃত-সচ্চ । সংস্কৃত-বিদ্যা > প্রাকত-বিজ্জা ইত্যাদি।
অভিশ্রুতি: - অপিনিহিতির প্রভাবজাত ই কিংবা উ-ধ্বনি পূর্ববর্তী স্বরধ্বনির সঙ্গে মিলে শব্দের পরিবর্তন ঘটালে তাকে অভিশ্রুতি বলে। যেমন: - করিয়া > কইর্যা > করে - বাছিয়া > বাইছ্যা > বেছে
উৎসঃ বাংলা ভাষার ব্যাকরণ - নবম দশম শ্রেণী
|
|
| |
|
|
|
মধ্য স্বরাগম, বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি: - কখনো কখনো উচ্চারণের সুবিধার জন্য সংযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির মাঝখানে স্বরধ্বনি আসে। - একে বলা হয় মধ্য স্বরাগম বা বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি। যেমন: - অ - রত্ন > রতন; ধর্ম > ধরম; স্বপ্ন > স্বপন; হর্ষ > হরষ; বস্তি > বসতি ইত্যাদি। - ই - প্রীতি > পিরীতি; ক্লিপ > কিলিপ; ফিল্ম > ফিলিম ইত্যাদি। - উ - মুক্তা > মুকুতা, তুর্ক > তুরুক; ভ্রু > ভুরু; শুক্রবার >শুক্কুরবার ইত্যাদি। - এ - গ্রাম > গেরাম; প্রেক > পেরেক; স্রেফ > সেরেফ ইত্যাদি। - ও - শ্লোক > শোলক, মুরগ > মুরােগ > মােরগ ইত্যাদি।
অন্যদিকে, - 'স্টেশন > ইস্টিশন' আদি স্বরাগম ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ। - 'পোখত্ > পোক্ত' অন্ত্যস্বরাগম ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ। - 'সত্য > সইত্য' অপিনিহিতি ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি
|
|
| |
|
|
|
সমীভবন : (স্বরসঙ্গতির মতো, কিন্তু ব্যঞ্জন ধ্বনির পরিবর্তন হয়) দুটি ব্যঞ্জনধ্বনির একে অপরের প্রভাবে পরিবর্তিত হয়ে সমতা লাভ করলে তাকে সমীভবন বলে । যেমন, ‘জন্ম’ (জ+অ+ন+ম+অ)-এর ‘ন’, ‘ম’-র প্রভাবে পরিবর্তিত হয়ে হয়েছে ‘জম্ম’।
সমীভবন মূলত ৩ প্রকার- ক. প্রগত সমীভবন : আগের ব্যঞ্জনধ্বনির প্রভাবে পরবর্তী ব্যঞ্জনধ্বনির পরিবর্তন । যেমন, চক্র চক্ক, পক্ক> পৰ্ব্ব, পদ্ম> পদ্দ, লগ্ন> লগ
খ. পরাগত সমীভবন : পরের ব্যঞ্জনধ্বনির প্রভাবে আগের ব্যঞ্জনধ্বনির পরিবর্তন । যেমন, তৎ+জন্য> তজ্জন, তৎ+হিত> তদ্ধিত, উৎ+মুখ> উন্মুখ
গ. অন্যোন্য সমীভবন : পাশাপাশি দুটো ব্যঞ্জনধ্বনি দুইয়ের প্রভাবে দু'টিই পরিবর্তিত হলে তাকে অন্যোন্য সমীভবন বলে । যেমন, সত্য (সংস্কৃত)> সচ্চ (প্রাকৃত), বিদ্যা (সংস্কৃত)> বিজ্জা (প্রাকৃত)
|
|
| |
|
|
|
পরাগত (Regressive) সমীভবন : পরবর্তী ধ্বনির প্রভাবে পূর্ববর্তী ধ্বনির পরিবর্তন হয়, একে বলে পরাগত সমীভবন। যেমন- তৎ + জন্য > তজ্জন্য, তৎ + হিত > তদ্ধিত, উৎ + মুখ > উন্মুখ ইত্যাদি।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
মধ্য স্বরাগম, বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি (Anaptyxis)- সময় সময় উচ্চারণের সুবিধার জন্য সংযুক্ত ব্যঞ্জন ধ্বনির মাঝখানে স্বরধ্বনি আসে। একে বলা হয় মধ্য স্বরাগম বা বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি।
যেমন-
অ – রত্ন > রতন, ধর্ম > ধরম, স্বপ্ন > স্বপন, যত্ন > যতন, হর্ষ > হরষ ইত্যাদি।
ই – প্রীতি > পিরীতি, ক্লিপ > কিলিপ, ফিল্ম > ফিলিম ইত্যাদি।
উ – মুক্তা > মুকুতা, তুর্ক > তুরুক, ভূ >ভুরু ইত্যাদি।
এ – গ্রাম > গেরাম, প্রেক> পেরেক, স্রেফ > সেরেফ ইত্যাদি।
ও – শ্লোক > শোলোক, মুরগ > মুরোগ > মোরগ ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
দ্বিত্ব ব্যঞ্জন বা ব্যঞ্জনদ্বিত্ব: - কখনো কখনো জোর দেয়ার জন্য শব্দের অন্তর্গত ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়, একে দ্বিত্ব ব্যঞ্জন বা ব্যঞ্জনদ্বিত্ব বলে। যেমন: - পাকা > পাক্কা, - সকাল > সক্কাল, তেমনিভাবে, - বড় > বড্ড, - কিছু > কিচ্ছু ইত্যাদি।
অন্যদিকে, সমীভবন: - শব্দমধ্যস্থ দুটি ভিন্ন ধ্বনি একে অপরের প্রভাবে অল্প-বিস্তর সমতা লাভ করে। এ ব্যাপারকে বলা হয় সমীভবন। যেমন: - জন্ম > জম্ম।
ব্যঞ্জন বিকৃতি: - শব্দ-মধ্যে কোনাে কোনাে সময় কোনাে ব্যঞ্জন পরিবর্তিত হয়ে নতুন ব্যঞ্জনধ্বনি ব্যবহৃত হয়। - একে বলে ব্যঞ্জন বিকৃতি। যেমন: - কবাট > কপাট।
অভিশ্রুতি: - বিপর্যস্ত স্বরধ্বনি পূর্ববর্তী স্বরধ্বনির সাথে মিলে গেলে এবং তদনুসারে পরবর্তী স্বরধ্বনির পরিবর্তন ঘটলে তাকে অভিশ্রুতি বলে। যেমন - শুনিয়া > শুনে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি।
|
|
| |
|
|
|
অপিনিহিতি (Apenthesis): পরের ই-কার আগে উচ্চারিত হলে কিংবা যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির আগে ই-কার বা উ-কার উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে।
ই-ধ্বনির অপিনিহিতি : আজি > আইজ, রাতি > রাইত, রাখিয়া রাইখ্যা, জালিয়া > জাইল্যা, চারি > চাইর, চলিয়া চইলা, গাঁটি > গাঁইট, মাটিয়া > মাইট্যা, গাঁতি > গাঁইতি, ভাসিয়া > ভাইস্যা ইত্যাদি।
য-ফলার অন্তর্নিহিত ই-ধ্বনির অপিনিহিতি : সত্য > সইত্য, কন্যা > কইন্যা,
কাব্য > কাইব্য, গদ্য > গইদ্য ইত্যাদি।
উ-ধ্বনির অপিনিহিতি : মাছুয়া > মাউছ্যা, গাছুয়া > গাউছ্যা, চালু > চাউল, হাটুয়া > হাউট্যা ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
মধ্য স্বরাগম, বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি (Anaptyxis)- সময় সময় উচ্চারণের সুবিধার জন্য সংযুক্ত ব্যঞ্জন ধ্বনির মাঝখানে স্বরধ্বনি আসে। একে বলা হয় মধ্য স্বরাগম বা বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি।
যেমন-
অ – রত্ন > রতন, ধর্ম > ধরম, স্বপ্ন > স্বপন, হর্ষ > হরষ ইত্যাদি।
ই – প্রীতি > পিরীতি, ক্লিপ > কিলিপ, ফিল্ম > ফিলিম ইত্যাদি।
উ – মুক্তা > মুকুতা, তুর্ক > তুরুক, ভূ >ভুরু ইত্যাদি।
এ – গ্রাম > গেরাম, প্রেক> পেরেক, স্রেফ > সেরেফ ইত্যাদি।
ও – শ্লোক > শোলোক, মুরগ > মুরোগ > মোরগ ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
স্বরসঙ্গতি (Vowel harmony): একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অপর স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে। যেমন- দেশি > দিশি, বিলাতি > বিলিতি, মুলা > মুলো ইত্যাদি।
প্রগত (Progressive): আদিম্বর অনুযায়ী অন্ত্যস্বর পরিবর্তিত হলে প্রগত স্বরসঙ্গতি হয়। যেমন- মুলা > মুলো, শিকা > শিকে, তুলা > তুলো।
|
|
| |
|
|
|
মধ্য স্বরাগম, বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি (Anaptyxis) - সময় সময় উচ্চারণের সুবিধার জন্য সংযুক্ত ব্যঞ্জন ধ্বনির মাঝখানে স্বরধ্বনি আসে। একে বলা হয় মধ্য স্বরাগম বা বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি।
যেমন-
অ – রত্ন > রতন, ধর্ম > ধরম, স্বপ্ন > স্বপন, হর্ষ > হরষ ইত্যাদি।
ই – প্রীতি > পিরীতি, ক্লিপ > কিলিপ, ফিল্ম > ফিলিম ইত্যাদি।
উ – মুক্তা > মুকুতা, তুর্ক > তুরুক, ভূ > ভুরু ইত্যাদি।
এ – গ্রাম > গেরাম, প্রেক> পেরেক, স্রেফ > সেরেফ ইত্যাদি।
ও – শ্লোক > শোলোক, মুরগ > মুরোগ > মোরগ ইত্যাদি।
বুঝতে কঠিন লাগলে তাদের জন্য:
গ্রাস > গেরাস
গ+র+আ+স > গ+এ+র+আ+স
gras > geras
'গেরাস' শব্দে 'গ' ও 'র' এর মাঝে 'এ' স্বরধ্বনি এসেছে।
|
|
| |
|
|
|
** দ্বিত্ব ব্যঞ্জন (Long Consonant) বা ব্যঞ্জনদ্বিত্বা: কখনো কখনো জোর দেয়ার জন্য শব্দের অন্তর্গত ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়, একে বলে দ্বিত্ব ব্যঞ্জন বা ব্যঞ্জনদ্বিত্বা।
** যেমন- পাকা > পাক্কা, সকাল > সক্কাল ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
** অসমীকরণ (Dissimilation) - একই স্বরের পুনরাবৃত্তি দূর করার জন্য মাঝখানে যখন স্বরধ্বনি যুক্ত হয় তখন তাকে বলে অসমীকরণ।
** যেমন ধপ + ধপ > ধপাধপ, টপ + টপ > টপাটপ ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
- অঘোষ বর্ণ ঘোষ বর্ণে পরিণত হলে তাকে ঘোষীভবন বলে। - যেমন: শাক > শাগ, কাক > কাগ, ছাত > ছাদ। পুকুর > পুখুর (পীনায়ন); কাঠ > কাট (ক্ষীণায়ন); বাবু > বাপু (অঘোষীভবন)।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
| |
|