ধ্বনি (270 টি প্রশ্ন )
- অক্ষর (Syllable) হলো শব্দের ক্ষুদ্রতম উচ্চারণগত একক।
- উচ্চারণের প্রকৃতি অনুযায়ী অক্ষর দুই প্রকার—মুক্তাক্ষর ও বদ্ধাক্ষর।

মুক্তাক্ষর (Open Syllable):
- যে অক্ষরের শেষে স্বরধ্বনি থাকে এবং যাকে টেনে উচ্চারণ করা যায়, তাকে মুক্তাক্ষর বলে।
- যেমন: 'আ', 'মা', 'খে', 'লা' ইত্যাদি। এখানে প্রতিটি অক্ষরের শেষে একটি স্বরধ্বনি (আ, এ, ও ইত্যাদি) থাকায় উচ্চারণকে প্রলম্বিত করা সম্ভব।

বদ্ধাক্ষর (Closed Syllable):
- যে অক্ষরের শেষে ব্যঞ্জনধ্বনি থাকে এবং যাকে টেনে উচ্চারণ করা যায় না, তাকে বদ্ধাক্ষর বলে।
- যেমন: 'জল্', 'আম্', 'বন্', 'ধন্' ইত্যাদি।
- এখানে অক্ষরের শেষে একটি ব্যঞ্জনধ্বনি থাকায় উচ্চারণটি সেখানেই থেমে যায়।

সুতরাং, স্বরান্ত অক্ষর, যাকে টেনে উচ্চারণ করা যায়, তা হলো মুক্তাক্ষর।
‘ত’ ধ্বনির ক্ষেত্রেঃ
- ঘোষনা (Voicing):
‘ত’ ধ্বনিটি উচ্চারণের সময় স্বরকেন্দ্রের স্পন্দন ঘটে না, অর্থাৎ স্বর নাড়ি (vocal cord) কম্পিত হয় না।
তাই এটি অঘোষ (voiceless)।

- প্রাণ (Aspiration):
‘ত’ উচ্চারণের সময় ধ্বনির সঙ্গে অতিরিক্ত হাওয়া বের হয় না।
তাই এটি অল্পপ্রাণ (unaspirated)।

- উচ্চারণ স্থান (Place of articulation):
‘ত’ ধ্বনিটি দাঁতের সাথে জিভের সংস্পর্শে উচ্চারিত হয়।
তাই এটি দন্ত্য (dental)।

- উচ্চারণ পদ্ধতি (Manner of articulation):
‘ত’ হলো একটি স্টপ (stop) বা বন্ধ ধ্বনি, যা সাধারণত অল্পপ্রাণ ও অঘোষযুক্ত।
- স্বরধ্বনি (Vowel sound) হলো এমন ধ্বনি যা উচ্চারণের সময় ফুসফুস থেকে তাড়িত বায়ু মুখবিবরের কোনো অংশে বাধা ছাড়াই বের হয়।
- অর্থাৎ, এই ধ্বনিগুলোর গঠন বা উচ্চারণে জিহ্বা, ঠোঁট, তালু বা দাঁতের সঙ্গে কোনো স্পষ্ট সংস্পর্শ বা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় না।
- বাংলায় যেমন: অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, এ, ঐ, ও, ঔ ইত্যাদি স্বরধ্বনি।
স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বার অবস্থান এবং উচ্চতার উপর ভিত্তি করে সেগুলোকে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।

স্বরধ্বনিগুলোকে দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে ভাগ করে:
- জিহ্বার অবস্থান (সম্মুখ, মধ্য, পশ্চাৎ)
- জিহ্বার উচ্চতা (উচ্চ, উচ্চ-মধ্য, নিম্ন-মধ্য, নিম্ন)

জিহ্বার অবস্থান অনুযায়ী: 'এ' ধ্বনিটি উচ্চারণের সময় জিহ্বার সামনের অংশ ব্যবহৃত হয়, তাই এটি একটি সম্মুখ স্বরধ্বনি।

জিহ্বার উচ্চতা অনুযায়ী: 'এ' ধ্বনিটি উচ্চারণের সময় জিহ্বা পুরোপুরি উপরে না উঠে মাঝামাঝি (তবে উপরের দিকে) অবস্থানে থাকে, তাই এটি একটি উচ্চ-মধ্য স্বরধ্বনি।

সুতরাং, এই দুটি বৈশিষ্ট্য একত্রিত করে 'এ' স্বরধ্বনিটির সম্পূর্ণ পরিচয় হলো উচ্চ-মধ্য সম্মুখ স্বরধ্বনি। ছকে এটি পরিষ্কারভাবে "উচ্চ-মধ্য" সারি এবং "সম্মুখ" কলামের সংযোগস্থলে দেখানো হয়েছে।
উচ্চারণের সময় শ্বাসবায়ুর চাপের (air pressure) উপর ভিত্তি করে ব্যঞ্জনধ্বনি দুই ভাগে ভাগ করা হয়
- সঘোষ ব্যঞ্জনধ্বনি (Voiced consonant):
- এই ধ্বনিগুলোর উচ্চারণে স্বরতন্ত্রী বা vocal cord কাঁপে।
- যেমন: গ, ঘ, জ, ঝ, দ, ধ, ব, ভ ইত্যাদি।

- অঘোষ ব্যঞ্জনধ্বনি (Voiceless consonant):
- এই ধ্বনিগুলোর উচ্চারণে স্বরতন্ত্রী কাঁপে না, শুধু শ্বাসবায়ুর চাপ থাকে।
- যেমন: ক, খ, চ, ছ, ট, ঠ, প, ফ ইত্যাদি।
- যে সকল ধ্বনি উচ্চারিত হওয়ার জন্য স্বরধ্বনির সাহায্যের প্রয়োজন হয় এবং স্বাধীনভাবে স্পষ্টরূপে উচ্চারিত হতে পারে না, তাদের ব্যঞ্জনধ্বনি বলা হয়।
- ব্যঞ্জনধ্বনিগুলো উচ্চারণের সময় মুখগহ্বরের কোথাও না কোথাও বাতাস বাধাপ্রাপ্ত হয়।
- যেমন: 'ক্' ধ্বনিটি উচ্চারণ করতে গেলে একটি স্বরধ্বনি 'অ'-এর সাহায্য নিয়ে 'ক' (ক্ + অ) হিসেবে উচ্চারিত হয়। এর বিপরীতে, স্বরধ্বনিগুলো অন্য কোনো ধ্বনির সাহায্য ছাড়াই উচ্চারিত হতে পারে।
- দন্তমূল এবং তালুর মাঝখানে যে উঁচু অংশ থাকে তার নাম মূর্ধা।
- যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময়ে জিভের ডগা মূর্ধার সঙ্গে লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে, সেগুলােকে মূর্ধন্য ব্যঞ্জন বলে।
- ট, ঠ, ড, ঢ, ড়, ঢ় মূর্ধন্য ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ।
• বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
'স্মরণ' শব্দটি সংস্কৃত।
সঠিক উচ্চারণ: শঁরোন্‌।

• 'স্মরণ' শব্দের অর্থ:
- স্মৃতি, ধ্যান, চিন্তন, কল্পনা।
- কোনো ব্যক্তির আগমন কামনা।
--------------------
• কিছু শব্দের প্রমিত উচ্চারণ:
- পদ্ম [পদ্‌দোঁ],
- যুগ্ম [জুগ্‌মো],
- জন্ম [জন্‌মো],
- গুল্ম [গুমো],
- শ্মশান [শঁশান্],
- স্মরণ [শঁরোন্]।
- আত্মীয় [আতিঁয়ো],
- পদ্ম [পদ্‌দোঁ]।

উৎস: বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান, বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি, (২০২১ সংস্করণ)।
- যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাসের চাপের আধিক্য থাকে, তাকে বলা হয় মহাপ্রাণ ধ্বনি।
যেমন - খ, ঘ, ছ, ঝ ইত্যাদি।

- যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় না, তাকে বলা হয় অঘোষ ধ্বনি।
 এই হিসেবে অঘোষ মহাপ্রাণ ধ্বনিগুলো হচ্ছেঃ
খ, ছ, ঠ, থ, ফ।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
ক-ম পর্যন্ত ২৫ টি বর্ণকে স্পর্শ বা বর্গীয় বর্ণ বলে।
যেমন-
ক বর্গীয় বর্ণঃ ক, খ, গ, ঘ, ঙ।
চ বর্গীয় বর্ণঃ চ, ছ, জ, ঝ, ঞ।
ট বর্গীয় বর্ণঃ ট, ঠ, ড, ঢ, ণ।
ত বর্গীয় বর্ণঃ ত, থ, দ, ধ,
প বর্গীয় বর্ণঃ প, ফ, ব, ভ, ম।
উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী ব্যঞ্জন ধ্বনির শ্রেণীবিভাগ :
- কন্ঠ ব্যঞ্জনধ্বনি,
- তালব্য ব্যঞ্জনধ্বনি,
- মূর্ধন্য ব্যঞ্জনধ্বনি,
- দন্ত ব্যঞ্জনধ্বনি,
- ওষ্ঠ ব্যঞ্জনধ্বনি ইত‍্যাদি।

- ক, খ, গ, ঘ, ঙ কণ্ঠ্য ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ।
- ট, ঠ, ড, ঢ, ড়, ঢ় মূর্ধন্য ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ।
- চ, ছ, জ, ঝ, শ তালব্য ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ।

- যখন ব্যঞ্জনের সঙ্গে কারবর্ণ বা হস্চিহ্ন যুক্ত না থাকে, তখন সেই ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে স্বরবর্ণ "অ" ধ্বনি যুক্ত আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। এটি বাংলা ব্যাকরণের একটি মৌলিক নিয়ম।
- বাংলা ভাষায় ব্যঞ্জনবর্ণ একা উচ্চারিত হতে পারে না। ব্যঞ্জনবর্ণ উচ্চারণের জন্য স্বরবর্ণের সাহায্য প্রয়োজন।
- যদি কোনো ব্যঞ্জনের সঙ্গে কারবর্ণ (যেমন া, ি, ী, ু, ূ, ে, ৈ, ো, ৌ) বা হস্চিহ্ন (্) না থাকে, তবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই ব্যঞ্জনের সঙ্গে স্বরবর্ণ "অ" যুক্ত থাকে।
উদাহরণস্বরূপ:
ক = ক্ + অ
গ = গ্ + অ
- পাশাপাশি দুটি স্বরধ্বনি একাক্ষর হিসেবে উচ্চারিত হলে তাকে যৌগিক স্বরধ্বনি বলে। এর অপর নাম দ্বিস্বর বা সন্ধিস্বর।
- বাংলা ভাষায় যৌগিক স্বরধ্বনির সংখ্যা ২৫টি।
- যেমন: আ+ই = আই, আ+এ = আয়।
- বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বরজ্ঞাপক বর্ণ ২টি ।
- যথা: ঐ (অ+ই), ঔ (অ+উ/ও+উ)।

: ধ্বনিটি একটি যৌগিক স্বরধ্বনি। অ + ই কিংবা ও + ই = অই, ওই। অ এবং ই- এ দুটো স্বরের মিলিত ধ্বনিতে ঐ-ধ্বনির সৃষ্টি হয়। যেমন – ক্ + অ + ই = কই, কৈ; ব্ + ই + ঐ = বৈধ ইত্যাদি। এরূপ – বৈদেশিক, ঐক্য, চৈতন্য।
- সূত্র  ৯ম-১০ শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ।


- দ্বিস্বরধ্বনি: পূর্ণ স্বরধ্বনি ও অর্ধস্বরধ্বনি একত্রে উচ্চারিত হলে দ্বিস্বরধ্বনি হয়।
যেমন: 'লাউ' শব্দের 'আ' পূর্ণ স্বরধ্বনি এবং 'উ্‌' অর্ধস্বরধ্বনি মিলে দ্বিস্বরধ্বনি 'আউ্‌' তৈরি হয়েছে।

- বাংলা বর্ণমালায় দুটি দ্বিস্বরধ্বনির জন্য আলাদা বর্ণ নির্ধারিত আছে। যথা: ঐ এবং ঔ।
- ঐ-এর মধ্যে দুটি ধ্বনি আছে। একটি পূর্ণ স্বরধ্বনি 'ও' এবং অন্যটি অর্ধস্বরধ্বনি 'ই্‌'।
- একইভাবে ঔ-এর মধ্যে রয়েছে একটি পূর্ণ স্বরধ্বনি 'ও' এবং অন্যটি অর্ধস্বরধ্বনি 'উ্‌'।
- বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত মৌলিক ধ্বনির সংখ্যা ৩৭টি।
মৌলিক স্বরধ্বনি ৭টি ও
- মৌলিক ব্যঞ্জনধ্বনি ৩০টি।
মৌলিক স্বরধ্বনি:
 অ, আ, ই, উ, অ্যা, এ, ও।

- মৌলিক ব্যঞ্জনধ্বনি:
ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ, জ, ঝ, ট, ঠ, ড, ঢ, ত, ঘ, দ, ধ, ন, প, ফ, ব, ভ, ম, র, ল, শ, স, হ, ড়, ঢ়।
- মানবদেহের যেসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধ্বনি তৈরিতে সহায়তা করে তাদের বাক প্রত্যঙ্গ বলা হয়।
- বাক প্রত্যঙ্গগুলোকে একসঙ্গে বলা হয় বাগযন্ত্র।
- বাগযন্ত্রের মধ্যে আছে ফুসফুস, স্বরতন্ত্রী, গলনালি, জিভ, দাঁত, ঠোঁট, নাক, তালু, মাড়ি ইত্যাদি।
শ,ষ,স,হ- এ চারটি বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনি উচ্চারণের সময় আমরা শ্বাস যতক্ষণ খুশি রাখতে পারি। এগুলোকে বলা হয় উষ্মধ্বনি বা শিশধ্বনি।
• নিলীন বর্ণ - অ
• স্পর্শবর্ণ বা বর্গীয় বর্ণ - ২৫ টি
• কণ্ঠ্য বর্ণ - ক, খ, গ, ঘ, ঙ
• তালব্য বর্ণ - চ, ছ, জ, ঝ, ঞ
• মূর্ধন্য বর্ণ - ট, ঠ, ড, ঢ, ণ
• দন্ত বর্ণ - ত, থ, দ, ধ, ন
• ওষ্ঠ্য বর্ণ - প, ফ, ব, ভ,ম
• নাসিক্য বর্ণ বা অনুনাসিক বর্ণ - ঙ, ঞ, ণ, ন, ম
• অন্তঃস্থ বর্ণ - য, র, ল
• শিশধ্বনি - শ, ষ, স
• কম্পনজাত ধ্বনি - র
• পাশ্বিক বর্ণ - ল
• তাড়নজাত ধ্বনি - ড়, ঢ়
• খন্ডব্যঞ্জন - ৎ

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন

উচ্চারণের রীতি অনুযায়ী, বাংলা স্বরধ্বনিগুলোর উচ্চারণ নিচের ছকে দেখানো হলো:

সূত্র- বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি 
উচ্চারণের রীতি অনুযায়ী, বাংলা স্বরধ্বনিগুলোর উচ্চারণ নিচের ছকে দেখানো হলো:

সূত্র- বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি
বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনি ৭ টি । যথা - অ , আ ,ই ,উ এ অ্যা ,ও । অপরদিকে বাংলা ভাষায় যৌগিক স্বরধ্বনি সংখ্যা ২৫ টি । বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বরজ্ঞাপক দুটি বর্ণ ঐ এবং ঔ ।
যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় ঠোঁট দুটি আংশিকভাবে খোলা থাকে তাকে অর্ধস্বরধ্বনি বলে। বাংলা ভাষাতে অর্ধস্বরধ্বনি আছে চারটি— ই, উ, , ও। এগুলো স্বরধ্বনির অর্ধোচ্চারিত রূপ।
- স্বরধ্বনির সংক্ষিপ্ত রূপকে যেমন ‘কার’ বলা হয়, তেমনি ব্যঞ্জনধ্বনির সংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয় ‘ফলা’।
- ফলা ৬টি।
- যেমনঃ ণ/ন ফলা, ব ফলা, ম ফলা, য ফলা , র ফলা ও ল ফলা।
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বঃ কোনাে প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যেসব শব্দ তৈরি হয়, সেগুলােকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলে। যেমন –ঠন একটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ। কোনাে ধাতব পদার্থের সঙ্গে অন্য কোনাে ধাতব পদার্থের সংঘর্ষে এই ধরনের ধ্বনি তৈরি হয়। ঠন শব্দটি পরপর দুই বার বা কখনাে ততােধিক বার ব্যবহৃত হলে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব সৃষ্টি হয়। যেমন –কুটুস-কুটুস, খক খক, খুটুর-খুটুর, টুং টুং, ঠুক ঠুক, ধুপ ধুপ, দুম দুম, ঢং ঢং, ইত্যাদি।
- যে স্বরধ্বনি উচ্চারণকালে মুখবিবর সংকুচিত হয় তাকে সংবৃত স্বরধ্বনি বলে।
- সংবৃত স্বরধ্বনি ৪টি ।
- যথা: ই, উ, এ, ও। 

- যে স্বরধ্বনি উচ্চারণকালে মুখবিবর বিবৃত বা প্রসারিত হয় তাকে বিবৃত স্বরধ্বনি বলে।
- বিবৃত স্বরধ্বনি ৩টি।
- যথা: অ, আ, অ্যা
- যে স্বরধ্বনি উচ্চারণকালে মুখবিবর সংকুচিত হয় তাকে সংবৃত স্বরধ্বনি বলে।
- সংবৃত স্বরধ্বনি ৪টি ।
- যথা: ই, উ, এ, ও। 

- যে স্বরধ্বনি উচ্চারণকালে মুখবিবর বিবৃত বা প্রসারিত হয় তাকে বিবৃত স্বরধ্বনি বলে।
- বিবৃত স্বরধ্বনি ৩টি।
- যথা: অ, আ, অ্যা।
• যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাসের চাপের আধিক্য থাকে, তাকে বলে হয় মহাপ্রাণ ধ্বনি । যেমন -- খ, ঘ, ছ, ইত্যাদি।

• যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাসের স্বল্পতা থাকে,তাকে বলা হয় অল্পপ্রাণ ধ্বনি । যেমন--ক, গ, চ, জ ইত্যাদি।

• যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় না, তাকে বলা হয় না, তাকে বলা হয় অঘোষ ধ্বনি। যেমন--ক,খ,চ,ছ ইত্যাদি।

• যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয়, তাকে বলে ঘোষ ধ্বনি। যেমন--গ,ঘ,জ,ঝ ইত্যাদি।

ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।

লগইন করুন
- যে সব ব‍্যঞ্জন ধ্বনির উচ্চারণ কালে জিব মুখের ভেতরে কণ্ঠ , তালু , মূর্ধা , দন্ত‍্য ও দন্তমূলের কোন না কোন স্থান স্পর্শ করে বলে তাদের স্পৃষ্ট ব‍্যঞ্জন ধ্বনি বা স্পর্শ ব‍্যঞ্জন ধ্বনি বা স্পৃষ্ট ব‍্যঞ্জন বর্ণ বলে ।

- উচ্চারণস্থান অনুযায়ী এগুলোকে এই পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়, যথা :
ওষ্ঠ ব্যঞ্জন: প, ফ, ব, ভ।
দন্ত ব্যঞ্জন: ত, থ, দ, ধ।
মূর্ধা ব্যঞ্জন: ট, ঠ, ড, ঢ।
তালু ব্যঞ্জন: চ, ছ, জ, ঝ।
কণ্ঠ ব্যঞ্জন: ক, খ, গ, ঘ।
সঠিক উত্তর: 0 | ভুল উত্তর: 0