|
|
- হ্রস্ব স্বর ৪টি। - যে ধ্বনি উচ্চারণ করতে স্বল্প সময় লাগে, তাকে বলে হ্রস্ব স্বর। - যেমন : অ, ই, উ, ঋ।
- যে ধ্বনি উচ্চারণ করতে দীর্ঘ সময় লাগে, তাকে বলে দীর্ঘ স্বর। - যেমন- আ, ঈ, ঊ, এ, ঐ, ঔ।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
বাংলা ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় : 4টি
ক. ধ্বনিতত্ত্ব (Phonology): বর্ণ, সন্ধি, ণ-ত্ব বিধান, ষ-ত্ব বিধান, ধ্বনি পরিবর্তন ও লোপ, বর্ণের বিন্যাস।
খ. শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব (Morphology): লিঙ্গ, সমাস, বচন, ধাতু, সংখ্যাবাচক পদ, পদাশ্রিত নির্দেশক, দ্বিরুক্তি, ক্রিয়া, কাল, পুরুষ, উপসর্গ,
পদ, প্রকৃতি ও প্রত্যয়।
গ. বাক্যতত্ত্ব (Syntax): যতিচিহ্ন, বাগধারা, কারক বিশ্লেষণ, বাক্যের যোগ্যতা, বাক্যের উপাদান লোপ, পদক্রম, বাচ্য, উক্তি ও বাক্য সংক্রান্ত সকল বিষয়, পদের রূপ পরিবর্তন, বাক্যতত্ত্ব।
ঘ. অর্থতত্ত্ব (Semantic): শব্দ ও বাক্যের অর্থবিচার, বিপরীতার্থক, মুখ্যার্থ ও গৌণার্থ।
|
|
| |
|
|
|
মাত্রার উপর ভিত্তি করে বর্ণের সংখ্যা-
-মাত্রাহীন [ ১০ টি ] -স্বরবর্ণ : এ, ঐ,ও, ঔ : (৪ টি) - ব্যঞ্জনবর্ণ : ঙ, ঞ, ৎ, ং, ঃ, ঁ (৬ টি)
-অর্ধমাত্রা [ ৮ টি ] -স্বরবর্ণ : ঋ (১ টি)- ব্যঞ্জনবর্ণ : খ, গ, ণ, থ, ধ, প, শ (৭ টি)
-পূর্ণমাত্রা [ ৩২টি ] -স্বরবর্ণ : অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ (৬ টি)-ব্যঞ্জনবর্ণ : ২৬ টি
|
|
| |
|
|
|
অক্ষর হচ্ছে বাগ্যন্ত্রের স্বল্পতম প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ। ইংরেজিতে আমরা যাকে সিলেবল বলে অভিহিত করি, তা-ই অক্ষর। যেমন—‘বন্ধন’ শব্দটিতে বন্ + ধন—এ দুটি অক্ষর আছে। সাধারণ অর্থে অক্ষর বলতে বর্ণ বা হরফ (Letter)-কে বোঝালেও অক্ষর ও বর্ণ পরস্পরের প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ নয়।
বর্ণ বা হরফ হচ্ছে ধ্বনির লিখিত রূপ বা ধ্বনি-নির্দেশক চিহ্ন বা প্রতীক। ভাষাতাত্ত্বিকরা অক্ষরকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। যেমনঃ
♦ ‘নিঃশ্বাসের স্বল্পতম প্রয়াসে একই বক্ষস্পন্দনের ফলে যে ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ একবারে উচ্চারিত হয়, তাকেই সিলেবল বা অক্ষর বলা যেতে পারে। ’ —মুহম্মদ আব্দুল হাই
♦ ‘কোনো শব্দে যখন যে ধ্বনিসমষ্টি একসময়ে একত্রে উচ্চারিত হয়, তাকে অক্ষর বলে। ’ —ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
♦ ‘এক প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি সমষ্টির নাম অক্ষর (সিলেবল)। ’
|
|
| |
|
|
|
-ভারতীয় উপমহাদেশে খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারের লক্ষ্যে গাজীপুরের ভাওয়ালগড়ে অবস্থানকালে পতুর্গিজ ক্যাথলিক পাদ্রী মনোএল দ্য আসসুম্পসাঁউ রোমান হরফে পর্তুগিজ ভাষায় ‘Vocabulario Em Idioma Bengalla, E Portuguez. -Dividido Em Duas Partes' গ্রন্থটি রচনা করেন, যা বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত। -এটি ১৭৪৩ সালে লিসবন থেকে প্রকাশিত হয়। গ্রন্থটি মূলত একটি অভিধান। -বাংলাভাষী জনগণের মধ্যে খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারের সুবিধার্থে তিনি পর্তুগিজ ভাষায় রোমান হরফে ‘কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ' (১৭৪৩) রচনা করেন, যা বাংলা কথ্যভাষার আদি গদ্যগ্রন্থ হিসেবে পরিচিত। -রাজা রামমোহন রায় রচিত 'Bengali Grammar in English Language' ১৮২৬ সালে প্রকাশিত হয়। -এটি পরবর্তীতে ১৮৩৩ সালে তিনি ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ নামে অনূদিত করেন, যা বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম ব্যাকরণ গ্রন্থ হিসেবে পরিচিত। -নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড রচিত বাংলা ভাষার দ্বিতীয় ব্যাকরণ গ্রন্থ ‘A Grammar of the Bengal Language', যা ১৭৭৮ সালে ইংরেজিতে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে চার্লস উইলকিনসের হুগলির মুদ্রণযন্ত্র থেকে গ্রন্থটির অংশবিশেষ বাংলায় মুদ্রিত হয়। -রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী রচিত ব্যাকরণ বিষয়ক গ্রন্থ ‘শব্দকথা (১৯১৭)।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
- একটি মাত্র নয়, একটিমাত্র - একভূত নয়, একীভূত - এক্ষুণি নয়, এক্ষুনি - এতদ্বারা নয়, এতদ্দ্বারা (দ্দ+ব) - এতৎউদ্দেশ্যে নয়, এতদুদ্দেশ্যে (তেমনি এতদুপলক্ষ্যে) - এতদ্সত্ত্বেও নয়, এতৎসত্ত্বেও - ঐকবদ্ধ নয়, ঐক্যবদ্ধ - ঐকাগ্র নয়, ঐকাগ্র্য - ঐক্যতান নয়, ঐকতান - ঐক্যমত নয়, ঐকমত্য - ঐক্যতা নয়, ঐক্য/একতা
- সূত্র: সর্বশেষ সংশোধিত বাংলা শব্দের তালিকা, ড. মোহাম্মদ আমীন
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
ং ঃ ঁ - এই তিনটি বর্ণ স্বাধীনভাবে স্বতন্ত্র বর্ণ হিসেবে ভাষায় ব্যবহৃত হয় না। এ বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনি অন্য ধ্বনির সঙ্গে মিলিত হয়ে একত্রে উচ্চারিত হয়। তাই এ বর্ণগুলোকে বলা হয় পরাশ্রয়ী বর্ণ।
|
|
| |
|
|
|
অনল, আগুন, দহন, সর্বভূক, শিখা , কৃশানু , বিভাবসু, সর্বশুচি, জ্বালানি , শিখা , তেজ্, বায়ুসখা , বৈশ্বানর , জ্বলন , জ্বলন , হুতভুক , পিঙ্গল , বিশ্বপা , শিখাবৎ , হিমারাতি , অনিলসখ ,সপ্তাংশু , হবিরশন ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
অবনী বা পৃথিবী শব্দের সমার্থক- বসুমতী ,অনন্তা ,বসুধা ,বসুমাতা ,ধরা ,ধরিত্রী,ধরাতল ,মেদিনী ,মহি ,অদিতি ,অখিল ,ভুবন, বিশ্ব ,জগৎ ,ক্ষিতি ,ক্ষিতিতল ,মর্ত্য ,দুনিয়া ,জাহান। অচল, অদ্রি ও শৈল পাহাড় শব্দের সমার্থক।
|
|
| |
|
|
|
যে সকল অব্যয় কোনো শব্দ বা ধ্বনির অনুকরণে গঠিত হয় তাদেরকে অনুকার অব্যয় বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয় বলে। যেমন: শোঁ শোঁ (বাতাসের ধ্বনি), রুম্ঝুম্ (নূপুরের আওয়াজ) ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
অর্ধতৎসম শব্দ হচ্ছে- বোষ্টম, ভত্ত, লোণ, হত্থ, খিদে, চন্দর, নেমন্তন্ন, ছেরাদ্দ, গিন্নী, কুচ্ছিত, চম্মআর, পত্তর, পিরিতি, মিত্তির, সুরুজ ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
-যে বাক্যে সমর্থনের মাধ্যমে কোন কিছুবর্ণনা করা হয়, তাকে অস্তিবাচক বাক্য বা হাঁ বাচক বলে। -যে বাক্যে হাঁ বাচক শব্দ থাকে, তাকে হাঁ বাচক বা অস্তিবাচক বাক্য বলে। -যেমন- তুমি কালকে আসবে। আমি ঢাকা যাব ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
| |
|
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
| |
|
|
|
- কালীদাস বিখ্যাত কবি > কালিদাস বিখ্যাত কবি, - নিরপরাধী লোক কাকেও ভয় করে না > নিরপরাধ লোক কাকেও ভয় করে না, - বমালশুদ্ধ চোর গ্রেপ্তার হয়েছে বমাল> মালশুদ্ধ চোর গ্রেপ্তার হয়েছে ।
|
|
| |
|
|
|
বাংলা বর্ণমালা ৫০ টি বর্ণ রয়েছে । তার মধ্যে স্বরবর্ণ ১১ টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯ টি । পূর্ণমাত্রা, অর্ধমাত্রা ও মাত্রাহীন বর্ণের সংখ্যা যথাক্রমে ৩২ টি, ৮ টি ও ১০ টি ।
|
|
| |
|
|
|
বাংলা ভাষায় অর্ধমাত্রার বর্ণ - ৮টি। এর মধ্যে স্বরবর্ণ ১টি (ঋ) । ব্যঞ্জনবর্গ ৭টি ( খ,গ,ণ,থ,ধ,প,শ)।
|
|
| |
|
|
|
যে ভাষারীতিতে ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদ সংক্ষিপ্ত আকারে বিদ্যমান থাকে, তাকে চলিত ভাষা বলে। যেমন : তারা কাজ করছে, সে এখানে আসবে বলেছিলো ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
-যেসব শব্দ দ্রাবিড়, কোন অথবা এদেশের আদিম আধিবাসী অর্নাযদের ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় স্থান লাভ করেছে সেগুলোকে খাঁটি বাংলা শব্দ বা দেশী শব্দ বলে। বর্তমান বাংলা ভাষাভাষীদের ভূখণ্ডে অনেক আদিকাল থেকে যারা বাস করতো সেইসব আদিবাসীদের ভাষার যে সকল শব্দ বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে সে সব শব্দকে বলা হয় দেশি শব্দ। -এই আদিবাসীদের মধ্যে আছে - কোল, মুণ্ডা, ভীম, খোকা,কুলা,গঞ্জ,ডাব,ডাগর, টোপল ইত্যাদি । -দেশী শব্দের উদাহরণ কুড়ি (বিশ) - কোলভাষা, পেট (উদর) - তামিল ভাষা।
|
|
| |
|
|
|
কুসুম একচন. কুসুমনিচয় বহুবচন
|
|
| |
|
|
|
দ্রুত উচ্চারণের জন্য শব্দের আদি, অন্ত্য বা মধ্যবর্তী কোনো স্বরধ্বনির লোপকে বলা হয় সম্প্রকর্ষ। যেমন : বসতি>বসইত, জানালা>জান্লা ইত্যাদি।
|
|
| |
|
|
|
- যে ধ্বনি উচ্চারণ করতে স্বল্প সময় লাগে, তাকে বলে হ্রস্ব স্বর। যেমন :অ, ই, উ, ঋ।
- যে ধ্বনি উচ্চারণ করতে দীর্ঘ সময় লাগে, তাকে বলে দীর্ঘ স্বর। যেমন- আ, ঈ, ঊ, এ, ঐ, ঔ।
|
|
| |
|
|
|
- সাধারণ গুণের উল্লেখ না করে উপমেয় পদের সাথে উপমান পদের যে সমাস হয়, তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে। এক্ষেত্রে সাধারণ গুণটি ব্যাসবাক্য বা সমস্তপদে থাকে না, বরং অনুমান করে নেওয়া হয়। এ সমাসে উপমেয় পদটি পূর্বে বসে। যেমন: মুখ চন্দ্রের ন্যায়= চন্দ্রমুখ, পুরুষ সিংহের ন্যায়= সিংহপুরুষ।
- এখানে, ভ্রমরের ন্যায় কৃষ্ণ কেশ = ভ্রমরকৃষ্ণকেশ। এখানে ভ্রমর উপমান এবং কেশ উপমেয়। কৃষ্ণত্ব হলাে সাধারণ ধর্ম। সাধারণ ধর্মবাচক পদের সাথে উপমানবাচক পদের যে সমাস হয়, তাকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলে।
|
|
| |
|
ফ্রিতে ২ লাখ প্রশ্নের টপিক, সাব-টপিক ভিত্তিক ও ১০০০+ জব শুলুশন্স বিস্তারিতে ব্যাখ্যাসহ পড়তে ও আপনার পড়ার ট্র্যাকিং রাখতে সাইটে লগইন করুন।
লগইন করুন
|
|
|
• বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম বা ক্রিয়াপদের যে পদে দোষ, গুণ, অবস্থা বা সংখ্যা বোঝায়, তাকে বিশেষণ পদ বলে। যেমন: ভালো, মন্দ, লাল, কালো, সুন্দর, মূর্খ, এক, দুই ইত্যাদি।
• ভালো ছেলে—এই বাক্যে 'ভালো' পদের গুণ বোঝাচ্ছে বলে 'ভালো' পদটি বিশেষণ।
|
|
| |
|